Witnesses Operational Demonstrations by Indian Navy’s ships and special forces
“India salutes the dedication of our navy personnel”
“Sindhudurg Fort instills a feeling of pride in every citizen of India”
“Veer Chhatrapati Maharaj knew the importance of having a strong naval force”
“New epaulettes worn by Naval Officers will reflect Shivaji Maharaj’s heritage”
“We are committed to increasing the strength of our Nari Shakti in the armed forces”
“India has a glorious history of victories, bravery, knowledge, sciences, skills and our naval strength”
“Improving the lives of people in coastal areas is a priority”
“Konkan is a region of unprecedented possibilities”
“Heritage as well as development, this is our path to a developed India”

ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের জয়!
ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের জয়!

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ জি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ জি, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী রাজনাথ জি, শ্রী নারায়ণ রাণে জি, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জি এবং শ্রী অজিত পাওয়ার জি, তিন বাহিনীর সম্মিলিত প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান জি, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, আমার নৌ বাহিনীর বন্ধুরা এবং পরিবারের সদস্যরা!
    এই ঐতিহাসিক ৪ঠা ডিসেম্বর, এই ঐতিহাসিক সিন্ধুদুর্গের কেল্লা, এই সুন্দর মালভান-তারকারলি, ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের গৌরবময় স্মৃতি বিজড়িত এই অঞ্চল, রাজকোট দুর্গে তাঁর মূর্তির উন্মোচন এবং আপনাদের বলিষ্ঠ আওয়াজ প্রতিটি ভারতীয়কে প্রাণিত করছে। আপনাদের উদ্দেশে যা বলা যায়- 

चलो नई मिसाल हो, बढ़ो नया कमाल हो,
झुको नही, रुको नही, बढ़े चलो, बढ़े चलो ।

অর্থাৎ 

এগিয়ে চল নতুন নির্দশন রাখতে, অনন্য কিছু করতে
নত হয়ো না, থেমো না, এগিয়ে চল, এগিয়ে চল।

নৌসেনা দিবসে বাহিনীর সব সদস্যকে আমি অভিনন্দন জানাই। অভিবাদন করি সেই বীর সন্তানদের যাঁরা দেশমাতৃকার জন্য চরম আত্মত্যাগ করেছেন। 

বন্ধুরা, 
    সিন্ধুদুর্গের এই রণক্ষেত্রে থেকে নৌসেনা দিবসে দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি গর্বিত। সিন্ধুদুর্গের ঐতিহাসিক কেল্লা দেখে গর্বিত হয়ে পড়েন প্রতিটি ভারতবাসী। ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজ নৌবাহিনীর গুরুত্ব জানতেন। তাঁর স্লোগান ছিল, ‘সমুদ্র যার নিয়ন্ত্রণে, সে সর্বশক্তিমান।’ শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন তিনি। কানহোজি আঙরে, মায়াজি নায়িক ভাটকার, হিরোজি ইন্দুলকারের মত যোদ্ধা আজও আমাদের কাছে প্রেরণার উৎস। নৌসেনা দিবসে আমি তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।

 

বন্ধুরা,
দাসত্বের মনোভাব ঝেড়ে ফেলে ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের অণুপ্রেরণায় ভারত আজ এগিয়ে চলেছে। আমাদের নৌসেনা আধিকারিকদের স্কন্ধসজ্জায় ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের উত্তরাধিকারের প্রতিফলনে আমি খুশী। এই নতুন স্কন্ধসজ্জা এবার নৌবাহিনীর প্রতীক চিহ্নের মত হয়ে উঠবে। 
গত বছর নৌবাহিনীর পতাকাকে ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের উত্তরাধিকারের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছি আমি। এখন ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের বীরত্ব গাথা প্রতিফলিত নৌসৈনিকদের স্কন্ধসজ্জাতেও। আজ এখানে আরও একটি ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত। নৌবাহিনীর পদগুলির নাম হয়ে উঠবে ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে। সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের যোগদান বাড়ানো আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়। রণতরীতে দেশের প্রথম মহিলা কম্যান্ডিং অফিসার নিয়োগ করার জন্য নৌবাহিনীকে অভিনন্দন জানাই। 
বন্ধুরা,
    আজকের ভারত নিজেই নিজের লক্ষ্য স্থির করছে এবং তা অর্জনে প্রয়োগ করছে নিজের শক্তির সবটুকু। এই শক্তির উৎস ১৪০ কোটি দেশবাসীর আস্থা ও ভালবাসা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিই হল মানুষের বিশ্বাস। এই শক্তির প্রতিফলন আপানার দেখেছেন গতকাল দেশের ৪ টি রাজ্যে। প্রমাণিত হয়েছে যে মানুষের প্রতিজ্ঞা, আবেগ এবং উচ্চাকাঙ্খা মিলিত হলে ইতিবাচক অনেক কিছুই ঘটতে পারে। 
    বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি ভিন্ন। কিন্তু প্রতিটি রাজ্যের মানুষই দেশকে সবার আগে রাখার মানসিকতায় জারিত। ইতিহাসের প্রেরণাকে সম্বল করে ভারত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। নেতিবাচক রাজনীতি পর্যুদস্ত হচ্ছে সবখানে। 
বন্ধুরা,
    
    ভারতের ইতিহাস হাজার বছরের দাসত্ব, পরাজয় এবং হতাশার আখ্যান নয়। ভারতের ইতিহাস হল বিজয়ের ইতিহাস, সাহসিকতার ইতিহাস, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ইতিহাস, শিল্প ও সৃজনশীলতার ইতিহাস। এই গৌরবময় ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জুড়ে আছে আমাদের নৌশক্তির ইতিহাস। হাজার বছর আগে যখন আজকের প্রযুক্তি ও সম্পদ কিছুই ছিল না, তখন আমরা সমুদ্র জয়ের জন্য গড়েছিলাম সিন্ধুদুর্গের মত কেল্লা। 
    সামুদ্র সম্পদ ও সম্ভাবনায় ভারত সমৃদ্ধ হাজার হাজার বছর ধরে। গুজরাটের লোথালে সিন্ধু সভ্যতার যে বন্দরের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গেছে, তার মধ্যে জড়িয়ে আছে সমুদ্রপথে ভারতের বিজয়গাথার চিহ্ন। সুপ্রাচীনকালে ৮০ টিরও বেশি দেশের জাহাজ এসে ভিড়ত সুরাট বন্দরে। নৌশক্তির ওপর ভর করেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ গড়ে তুলেছিল চোল সাম্রাজ্য। 
    সেজন্যই বিদেশী হানাদাররা প্রথমেই ভারতের নৌশক্তিকে আঘাত করতে চেয়েছে। নৌকো এবং জাহাজ তৈরির জন্য ভারত ছিল সুপ্রসিদ্ধ। হামলার ফলে এই দক্ষতা লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল একসময়। সমুদ্রপথের নিয়ন্ত্রণ হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সক্ষমতা।

    আজ ভারত যখন এগিয়ে চলেছে বিকাশের পথে, তখন আমাদের পুনরুদ্ধার করতেই হবে হৃতগৌরব। নীল অর্থনীতির বিকাশ ভারতের আজ অন্যতম অগ্রাধিকার। ‘সাগরমালা’ প্রকল্পের আওতায় বন্দর-ভিত্তিক উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে চলেছে এই দেশ। সামুদ্র পরিসরের যাবতীয় সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ভারত গ্রহণ করেছে ‘মেরিটাইম ভিশন’। বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে গতি আনতে সরকার নতুন আইন নিয়ে এসেছে। এসবের ফলে বিগত ৯ বছরে ভারতে সমুদ্র পথে চলাচল ১৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। 
বন্ধুরা,
    ভারতের ইতিহাসে বর্তমান অধ্যায়টি শুধুমাত্র আগামী ৫-১০ বছরেরই নয়, বেশ কয়েক শতকের গতিপথ চিহ্নিত করে দেবে। ১০ বছরেরও কম সময়ে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে এই দেশ দশম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে এই দেশ। 
    আত্মপ্রত্যয়ী ভারতকে বন্ধু হিসেবে পেতে চায় সারা বিশ্ব। মহাকাশ থেকে সমুদ্র-সব ক্ষেত্রেই ভারতের সম্ভাবনা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠছে। কথা হচ্ছে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-পূর্ব ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে। অতীতের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া ‘স্পাইস রুট’ আবারও ভারতের সমৃদ্ধির বাহক হয়ে উঠতে চলেছে। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ শব্দবন্ধটি  আজ সারা বিশ্বে আলোচিত। তেজস বিমান কিংবা কিষাণ ড্রোণ, ইউপিআই প্রণালী কিংবা চন্দ্রযান-৩- সব ক্ষেত্রেই তার প্রতিফলন ঘটছে। আমাদের সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ প্রয়োজন মিটছে ওই মন্ত্রেই। দেশে প্রথমবার তৈরি হয়েছে পণ্যবাহী বিমান। গত বছর দেশজ প্রণালীতে তৈরি রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত জলে ভেসেছে। ওই সমরপোত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ তথা আত্মনির্ভর ভারতের সার্থক রূপ। 

বন্ধুরা, 
পূর্বতন জমানার সেকেলে মানসিকতা আমরা মুছে দিয়েছি। আগে সীমান্তবর্তী এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী বসতিগুলি অগ্রাধিকারের প্রশ্নে থাকত একেবারে শেষের দিকে। ফলে ওই সব অঞ্চলে জীবনযাপনের নূন্যতম সুযোগ সুবিধাগুলিও ছিল না বলা যায়। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হল উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলির জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। 
    আমাদের সরকারই প্রথম মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে পৃথক একটি মন্ত্রক গড়ে তোলে ২০১৯ সালে। ওই ক্ষেত্রে আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। এই পদক্ষেপের দরুণ ২০১৪-র তুলনায় ভারতে মৎস্য উৎপাদন ৮০ শতাংশরও বেশি বেড়েছে এবং রপ্তানি বেড়েছে ১১০ শতাংশের বেশি। মৎস্যজীবীদের বিমার পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছে আমাদের সরকার। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম মৎস্যজীবীরাও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন। সাগরমালা প্রকল্পের আওতায়, সমুদের উপকূলবর্তী এলাকায় আধুনিক সংযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ফলে আসছে প্রচুর পরিমাণে লগ্নি। ওই সব অঞ্চল হয়ে উঠছে বাণিজ্য ও শিল্পের বড় কেন্দ্র। 

বন্ধুরা,

বিকশিত ভারতের পরিপূর্ণ ছবির মধ্যে ঐতিহ্যের দিকটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজের আমলে এই অঞ্চলে তৈরি হওয়া দুর্গগুলির রক্ষণাবেক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে। এর ফলে মহারাষ্ট্র ও কোঙ্কণের ওই সব এলাকায় পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়বে, ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও। 

বন্ধুরা, 
 
সমৃদ্ধ ভারতের প্রধান শর্ত হল উপযুক্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা। সাধারণত সেনাদিবস, বায়ুসেনা দিবস কিংবা নৌসেনা দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি দিল্লিতে হয়ে থাকে। এই রীতির পরিবর্তন চাই আমি। সেজন্যই নৌসেনা দিবসের মূল উদযাপন হচ্ছে এই পবিত্র ভূমিতে-যা ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্মস্থল। 
    জি-২০ শিখর সম্মেলনের সময়ে যে বিষয়টি বিশ্বের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়েছে তা হল ভারত কেবলমাত্র বৃহত্তম গণতন্ত্রই নয়, গণতন্ত্রের ধাত্রীভূমি। ঠিক একই ভাবে নৌসেনার ধারণা ভারতেই তৈরি হয়েছে এবং এবিষয়ে ভারত তার প্রাপ্য সম্মান আদায় করে নিচ্ছে বিশ্বের মানুষের কাছ থেকে। 

সকলকে আমি আবার অভিনন্দন জানাই --- চিৎকার করে বলুন, 

ভারত মাতার জয়
ভারত মাতার জয়
ভারত মাতার জয়
ভারত মাতার জয়

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।