একশো কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত হতে চলা সন্ত শিরোমণি গুরুদেব শ্রী রবিদাস স্মৃতি সৌধের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন
১,৫৮০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত হতে চলা দুটি সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
২৪৭৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত কোটা-বিনা রেল রুটের ডাবল লাইন জাতিকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
"সন্ত শিরোমণি গুরুদেব শ্রী রবিদাস স্মৃতিসৌধ যেমন চিত্রাকর্ষক হবে, তেমনি এর মধ্যে দেবত্বের প্রকাশও থাকবে"
"সন্ত রবিদাস সমাজকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দিয়েছিলেন"
"দেশ আজ দাসত্বের মানসিকতাকে ঝেড়ে ফেলে মুক্তির চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে"
"অমৃতকালে আমরা দেশ থেকে দারিদ্র ও ক্ষুধা নির্মূল করার চেষ্টা চালাচ্ছি"
"ক্ষুধা এবং আত্মসম্মানের জন্য দরিদ্রের ব্যথা আমি বুঝি। আমি আপনাদের পরিবারেরই এক সদস্য, আমাকে বই পড়ে আপনাদের বেদনা বুঝতে হয় না"
"দরিদ্রের কল্যাণ এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের ক্ষমতায়ন আমাদের লক্ষ্য"
"দলিত, বঞ্চিত, অনগ্রসর বা আদিবাসী - আমাদের সরকার সবাইকে যথাযথ সম্মান ও নতুন সুযোগ দিচ্ছে"

ভারত মাতার জয়।
ভারত মাতার জয়। 
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মধ্যপ্রদেশের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী মাঙ্গুভাই প্যাটেল জি, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী বীরেন্দ্র খটিক জি, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জি, শ্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল জি, সমস্ত সাংসদগণ, বিভিন্ন জায়গা  থেকে আসা শ্রদ্ধেয় সাধু এবং বিপুল সংখ্যায় সমাগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
সাগরের ভূমিতে, সাধুদের সান্নিধ্যে, সাধক রবিদাস জির আশীর্বাদ, এবং সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষ, রাজ্যের প্রতিটি কোণ থেকে মানুষ এসেছেন আমাদের আশীর্বাদ করতে। আপনারা সকলে এত বিপুল সংখ্যায় এসেছেন, তাই আজ সাগর যেন সম্প্রীতির সাগর। দেশের এই অভিন্ন সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে আজ এখানে সন্ত রবিদাস স্মৃতিসৌধ ও শিল্প জাদুঘরের শিলান্যাস করা হয়েছে। কিছ্দিন আগে সাধুদের কৃপায়, আমি এই পবিত্র স্মৃতিস্তম্ভের ভূমিপূজন করার শুভ সুযোগ পেয়েছি। আমি কাশীর সংসদ সদস্য আর তাই এটি আমার জন্য দ্বিগুণ আনন্দের উপলক্ষ। আর শ্রদ্ধেয় সাধক রবিদাস জির আশীর্বাদে আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছি যে আজ আমি যে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি, দেড় বছর পরে মন্দিরটি নির্মিত হবে, তাই আমি অবশ্যই উদ্বোধনের জন্য আসব। আর সাধক রবিদাস জি আমাকে পরের বার এখানে আসার সুযোগ দিতে চলেছেন। আমার বহুবার বেনারসে সন্ত রবিদাস জির জন্মস্থান দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আর আজ আমি আপনাদের সকলের উপস্থিতিতে এখানে এসেছি। আজ এই সাগরের মাটি থেকে আমি সাধক শিরোমণি পূজ্য রবিদাস জির চরণে প্রণাম জানাই, তাঁকে প্রণাম করি।

ভাই ও বোনেরা,  
সন্ত রবিদাস স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরে থাকবে বৈভবের পাশাপাশি দেবত্ব। এই দেবত্ব অনুভূত হবে রবিদাসজীর শিক্ষা থেকে যা আজ এই স্মৃতিসৌধের ভিত্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, নির্মিত হয়েছে। আজ সম্প্রীতির চেতনায় উদ্বুদ্ধ ২০ হাজারেরও বেশি গ্রাম এবং ৩০০-রও বেশি নদীর মাটি,  এই স্মৃতিসৌধের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। এক মুঠো মাটির পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের লক্ষাধিক পরিবার এখানে সম্প্রীতি ভোজের জন্য এক মুঠো করে শস্যও পাঠিয়েছে। এ জন্য যে ৫টি সম্প্রীতি শোভাযাত্রা রওয়ানা চলছিল, আজ সেগুলিও এসে মিলিত হয়েছে সাগরের ভূমিতে। আর আমি বিশ্বাস করি যে, এই সম্প্রীতির যাত্রা এখানেই শেষ হয়নি, বরং এখান থেকেই শুরু হল সামাজিক সম্প্রীতির এক নতুন যুগ। এই কাজের জন্য আমি মধ্যপ্রদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাই, মুখ্যমন্ত্রী ভাই শিবরাজ জিকে অভিনন্দন জানাই এবং আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধগণ, 
অনুপ্রেরণা এবং অগ্রগতি, যখন একসঙ্গে যুক্ত হয়, একটি নতুন যুগের ভিত্তি স্থাপিত হয়। আজ আমাদের দেশ, আমাদের মধ্যপ্রদেশ এই শক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায়, আজ এখানে কোটা-বিনা সেকশনে রেলের দ্বিতীয় লাইনেও ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় সড়কের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাগর ও আশপাশের এলাকার মানুষদের আরও ভালো সুযোগ-সুবিধা দেবে। এ জন্য আমি এখানকার সকল ভাই ও বোনদের অভিনন্দন জানাই। 
বন্ধগণ, 
সন্ত রবিদাস স্মৃতিসৌধ ও সংগ্রহালয়ের এই ভিত্তিপ্রস্তর এমন এক সময়ে স্থাপিত হয়েছে যখন দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। এখন আগামী ২৫ বছরের অমৃত কাল আমাদের সামনে রয়েছে। অমৃতকালে আমাদের দায়িত্ব, আমাদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া। জাতি হিসেবে আমরা কয়েক হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়েছি। এত দীর্ঘ সময়ে সমাজ যে কিছু খারাপ রীতি ও কুসংস্কারে আবদ্ধ হবে সেটাই স্বাভাবিক। এটাই ভারতীয় সমাজের শক্তি যে যুগে যুগে এই সমাজ থেকেই কিছু মহাপুরুষ, কিছু সাধক, কিছু আউলিয়ার আবির্ভাব ঘটেছে এসব কুসংস্কার ও খারাপ রীতিকে দূর করার জন্য। সন্ত রবিদাস জি তেমনই একজন বড় সাধক ছিলেন। তিনি সেই সময়ে জন্মগ্রহণ করেন যখন দেশ মুঘল শাসনাধীন ছিল। আমাদের ভারতীয় সমাজ তখন অস্থিতিশীলতা, নিপীড়ন ও অত্যাচারের সঙ্গে সংঘর্ষ করছিল। সেই সময়েও রবিদাসজী সমাজকে জাগ্রত করেছিলেন, তিনি সমাজকে সচেতন করছিলেন, তিনি মানুষকে শিখিয়েছিলেন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। সাধক রবিদাস জি বলেছিলেন- 

জাত পাত কে ফের মহি, উরঝি রহই সব লোগ।  
মানুষতা কুঁ খাত হই, রৈদাস জাত কর রোগ ।।   
অর্থাৎ পরাধীনতা সবচেয়ে বড় পাপ। যে পরাধীনতা স্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না, তাকে কেউ ভালোবাসে না।
তার মানে,সবাই জাতপাতের কবলে পড়েছে, আর এই রোগ মানবতাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তিনি একদিকে সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, অন্যদিকে দেশের আত্মাকে নাড়া দিয়েছেন। যখন আমাদের বিশ্বাসকে আক্রমণ করা হচ্ছিল, আমাদের পরিচয় মুছে ফেলার জন্য আমাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছিল, তখন রবিদাস জি বলেছিলেন, সেই সময় মুঘলদের আমলে বলেছিলেন, কত সাহস দেখুন, এই দেশপ্রেম দেখুন, রবিদাস জি বলেছিলেন-
পরাধীনতা পাপ হ্যায়, জান লেহু রে মীত।
রৈদাস পরাধীন সৌ, কৌন করেহে প্রীত ||
অর্থাৎ,  হে বন্ধু, ভালো করে জেনে রাখো পরাধীনতা মহাপাপ। রৈদাস বলে যে কেউই আশ্রিত ব্যক্তিকে ভালোবাসে না! 
তার মানে, পরাধীনতা সবচেয়ে বড় পাপ। যে পরাধীনতা স্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না, তাকে কেউ ভালোবাসে না। এভাবে, তিনি সমাজকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উৎসাহিত করেছিলেন। এই ভাবনা নিয়েই ছত্রপতি বীর শিবাজী মহারাজ হিন্দবী স্বরাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এই ভাবনা ছিল আমাদের লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীর হৃদয়ে। আর এই বোধ নিয়েই দেশ আজ দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তির সংকল্পে এগিয়ে যাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
রবিদাস জি তাঁর লেখা একটি দোহায় বলেছেন, একটু আগে শিবরাজ জিও তাঁর বক্তব্যে এটির উল্লেখ করেছেন –
অ্যাইসা চাহুঁ রাজ ম্যাঁয়, জহাঁ মিলে সবন কো অন্ন।
ছোট-বড়োঁ সব সম বসৈ, রৈদাস রহৈ প্রসন্ন।।  
অর্থাৎ, সমাজ এমন হওয়া উচিত যেখানে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না। ছোট বড় - এসবের ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করে। আজ স্বাধীনতার অমৃতকালে আমরা দেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা দেখেছেন, করোনার এত বড় মহামারী এসেছে। পুরো বিশ্বব্যবস্থা একরকম ভেঙ্গে পড়েছিল, স্থবির হয়ে পড়েছিল। তখন প্রত্যেকেই ভারতের দরিদ্র অংশের জন্য, দলিত-আদিবাসীদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছিল। বলা হচ্ছিল, এত বড় বিপর্যয় এসেছে একশো বছর পর, কীভাবে বাঁচবে সমাজের এই অংশটি। কিন্তু, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, যাই হোক না কেন, আমি আমার গরিব ভাই বোনকে খালি পেটে ঘুমাতে দেব না। বন্ধুরা, আমি ভালো করেই জানি ক্ষুধার্ত থাকার কষ্ট কী। আমি জানি একজন গরীব মানুষের আত্মসম্মান কেমন হয়! আমি তো আপনাদের পরিবারের সদস্য, আপনাদের সুখ-দুঃখ বোঝার জন্য আমাকে বই খুঁজতে হবে না। সেজন্য আমরা ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ শুরু করেছি। এর মাধ্যমে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। আর, আজ দেখুন, আমাদের প্রচেষ্টা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ, 
আজ দেশে গরীবদের কল্যাণে যত বড় প্রকল্পই চলুক না কেন, এর থেকে দলিত, পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সমাজ সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে। আপনারা সবাই ভালো করেই জানেন যে, আগের সরকারের আমলে যেসব প্রকল্প আসতো নির্বাচনের মরসুম অনুযায়ী আসতো। কিন্তু, আমরা মনে করি, দেশের দলিত, বঞ্চিত, অনগ্রসর, উপজাতি, নারীদের জীবনের প্রতিটি স্তরে আমাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত, তাঁদের আশা-আকাঙ্খাকে সমর্থন করা উচিত। আপনি যদি প্রকল্পগুলি দেখেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন যে যখন একটি শিশুর জন্মের সময় আসে, মাতৃবন্দনা যোজনার মাধ্যমে গর্ভবতী মাকে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় যাতে মা এবং শিশু সুস্থ থাকে। আপনি আরও জানেন যে জন্মের পর শিশুরা নানা রোগ, সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে থাকে। দারিদ্র্যের কারণে দলিত-উপজাতি বসতিতে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজ, নবজাতক শিশুদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য মিশন ইন্দ্রধনুষ চালানো হচ্ছে। সরকার উদ্বিগ্ন যে শিশুদের সব রোগের প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। আমি সন্তুষ্ট যে বিগত বছরগুলিতে ৫.৫ কোটিরও বেশি মা ও শিশুদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ আমরা দেশের ৭ কোটি ভাই-বোনকে সিকল সেল অ্যানিমিয়া থেকে মুক্ত করার জন্য একটি অভিযান চালাচ্ছি। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করার জন্য কাজ চলছে, কালাজ্বর এবং মেনিনজাইটিসের প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে কমে আসছে। এসব রোগের সবচেয়ে বেশি শিকার হতো দলিত, বঞ্চিত, দরিদ্র পরিবারগুলো। একইভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছেন যে তারা মোদী কার্ড পেয়েছেন, অসুস্থতার কারণে যদি তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত  দিতে হয়, সেই টাকা তাঁদের এই ছেলে দিয়ে দিচ্ছে।
বন্ধুগণ,
মানুষের জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন জনজাতীয় শিশুদের শিক্ষার জন্য আজ দেশে ভাল ভাল স্কুলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আদিবাসী এলাকায় ৭০০টি একলব্য আবাসিক স্কুল খোলা হচ্ছে। সরকার তাঁদের পড়াশোনার জন্য বই ও বৃত্তি দেয়। শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় সেজন্য মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে। কন্যাদের জন্য সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা চালু করা হয়েছে, যাতে কন্যারাও সমানভাবে এগিয়ে যায়। তপশীলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি যুবক-যুবতিদের স্কুলের পর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য আলাদা বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের যুবকদের স্বাবলম্বী হতে এবং তাঁদের স্বপ্ন পূরণের জন্য মুদ্রা ঋণের মতো প্রকল্পও শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতজন মুদ্রা যোজনার সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একটি বিশাল সংখ্যক যুবক- যুবতি আমার  তপশীলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি যুবক-যুবতি ভাই ও বোনেরা। আর তাঁদেরকে সব টাকা গ্যারান্টি ছাড়াই দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ,    
তপশীলি জাতি, উপজাতি সমাজের কথা মাথায় রেখে আমরা স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া প্রকল্পও শুরু করেছিলাম। স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়ার অধীনে, তপশীলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের যুবকরা 8 হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছে, আমাদের তপশীলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীদের কাছে 8 হাজার কোটি টাকা গিয়েছে৷ আমাদের অনেক আদিবাসী ভাই-বোন বনজ সম্পদ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। দেশ তাদের জন্য বন ধন যোজনা চালাচ্ছে। আজ প্রায় ৯০টি বনজ পণ্যও এম এস পি-র সুবিধা পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কোনো দলিত, বঞ্চিত, অনগ্রসর মানুষ যেন গৃহহীন না থাকেন, প্রত্যেক গরিব মানুষের মাথার ওপর যেন ছাদ থাকে তা সুনিশ্চিত করতে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িও দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা, বিদ্যুৎ সংযোগ, নলবাহিত জলের সংযোগও দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে।  ফলস্বরূপ আজ তপশীলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা সমাজে সমতা নিয়ে সঠিক স্থান পাচ্ছেন ।  

বন্ধুগণ,
সাগর এমন একটি জেলা, যার নামে তো সাগর রয়েছে, কিন্তু এর আরেকটি পরিচয় ৪০০ একর লাখা বানজারা হ্রদ দিয়েও হয়।এই ভূখণ্ডের সঙ্গে লাখা বানজারার মতো একজন বীরের নাম জড়িয়ে আছে । লাখা বানজারা এত বছর আগে জলের গুরুত্ব বুঝেছিলেন। অথচ, যারা কয়েক দশক ধরে দেশে সরকার পরিচালনা করেছেন, তাঁরা গরিবদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনটাও ঠিকভাবে বোঝেননি। আমাদের সরকার জলজীবন মিশনের মাধ্যমে এই কাজটি পুরোদমে করছে। আজ নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে যাচ্ছে দলিত বসতি, অনগ্রসর এলাকা এবং আদিবাসী এলাকায়। একইভাবে লাখা বানজারার ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে দেশের প্রতি জেলায় ৭৫টি করে অমৃত সরোবর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সরোবরগুলি ক্রমে দেশে স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক হয়ে উঠবে , সামাজিক সম্প্রীতির কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,  
আজ দেশের দলিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া, আদিবাসী হোক, আমাদের সরকার তাদের যথাযথ সম্মান দিচ্ছে, নতুন সুযোগ দিচ্ছে। এ সমাজের মানুষ দুর্বল নয়, তাদের ইতিহাসও দুর্বল নয়। সমাজের এই অংশগুলো থেকে একের পর এক মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটেছে। জাতি গঠনে তাঁরা অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। সেজন্যেই আজ দেশ গর্বিতভাবে তাঁদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করছে। বেনারসে সাধক রবিদাস জির জন্মস্থানে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরটির সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। আমার নিজেরও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। ভোপালের গোবিন্দপুরায় এখানে যে গ্লোবাল স্কিল পার্ক তৈরি করা হচ্ছে তাঁর নাম রাখা হয়েছে সাধু রবিদাসের নামে। আমরা বাবা সাহেবের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে পঞ্চতীর্থ হিসাবে গড়ে তোলার কাজও হাতে নিয়েছি। একইভাবে, আদিবাসী সমাজের গৌরবময় ইতিহাসকে অমর করে রাখার জন্য আজ দেশের অনেক রাজ্যে সংগ্রহালয় তৈরি করা হচ্ছে। দেশে প্রভু বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনকে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসেবে পালনের প্রথা শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের হবিবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নামও রাখা হয়েছে গোন্ড সম্প্রদায়ের রানী কমলাপতির নামে। পাতালপানি স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে টাঁট্যা মামার নামে। আজ দেশে প্রথমবারের মতো দলিত, অনগ্রসর ও উপজাতি ঐতিহ্যগুলি তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে। আমাদের সবাইকে 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস' এই সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি নিশ্চিত, দেশের এই অমৃত যাত্রায়, সন্ত রবিদাসজীর শিক্ষা আমাদের সকল দেশবাসীকে একত্রিত করবে। আমরা সবাই মিলে, থেমে না গিয়ে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করব। এই ভাবনা নিয়ে, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ। 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।