৫টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উৎসর্গ
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৭৫ লক্ষ সুবিধাভোগীকে কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ
“সরকার পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে”
”আজ ছত্তিশগড়ে দুটি আর্থিক করিডর যুক্ত হল”
”মনরেগার অধীনে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ছত্তিশগড়কে ২৫০০০ কোটি টাকার বেশি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার”
সেইসঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৭৫ লক্ষ সুবিধাভোগীর হাতে কার্ড দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, মনরেগার আওতায় গ্রামগুলিতে কর্মসংস্থানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ছত্তিশগড়কে ২৫০০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ দিয়েছে।
তাঁর কথায় “সড়ক, রেল, টেলি যোগাযোগ, যাই হোক না কেন, গত ৯ বছরে ছত্তিশগড়ে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার নজিরবিহীন কাজ করেছে।"
তাঁর মতে, “এটাই সামাজিক ন্যায়। এবং এটাই হল, সবকা সাথ সবকা বিকাশ।"
তিনি বলেন, “স্কুল পড়ুয়া, গ্রন্থাগার, রাস্তা, জলের ব্যবস্থা মতো উন্নয়নমূলক কাজে জেলা খনি তহবিল থেকে অর্থ খরচ করা হচ্ছে।"
করোনার সময় ছত্তিশগড়ের প্রায় ২ লক্ষের মতো সংস্থাকে ৫০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল শ্রী বিশ্ব ভূষণ হরিচন্দনজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেশ বাঘেলজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী নীতীন গড়করিজি, মনসুখ মান্ডভিয়াজি, রেণুকা সিংজি, রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী টি এস সিংদেওজি, শ্রী রমন সিংজি, অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়াগণ ! ছত্তিশগড়ের উন্নয়ন যাত্রায় আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।   
আজ ছত্তিশগড় ৭০০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের প্রকল্প উপহার হিসেবে পাচ্ছে। এই উপহার পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার। ছত্তিশগড়ের জনগণের জন্য জীবনযাত্রা আরো সহজ হয়ে উঠবে, তাঁরা আরো ভালো মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পগুলি অনেক নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করবে। এই প্রকল্প গুলি থেকে ধান চাষী, খনিজ সম্পদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শিল্প সংস্থা এবং পর্যটন শিল্প যথেষ্ট উপকৃত হবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে উন্নয়ন ও সহজ জীবনযাপনের এক নতুন যাত্রা শুরু হতে চলেছে। এই প্রকল্পগুলির জন্য আমি ছত্তিশগড়বাসীকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,
ভারতের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি যেখানে পরিকাঠামো দুর্বল, সেখানে উন্নয়নও দেরিতে পৌঁছায়। তাই আজ ভারত, যে সব অঞ্চলে উন্নয়ন কম হয়েছে, সেখানে পরিকাঠামোর উন্নতিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিকাঠামোর অর্থ মানুষের সহজ জীবনযাত্রা, সহজে ব্যবসা করা। পরিকাঠামোর অর্থ লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং দ্রুত উন্নয়ন নিশ্চিত করা। আজ ভারতে আধুনিক পরিকাঠামোর যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, তার প্রতিফলন আমরা ছত্তিশগড়ে পেয়ে থাকি। গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে হাজার হাজার গ্রামে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ৩৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আজ এখানে রায়পুর – কোড়েবোড় এবং বিলাসপুর – পাঠরাপলি মহাসড়কের উদ্বোধন হল। ছত্তিশগড়ে কেন্দ্রীয় সরকার, গত ৯ বছরে রেল, সড়ক অথবা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাপনার মতো সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য কাজ করে চলেছে।
বন্ধুগণ,    
আধুনিক পরিকাঠামোর আরেকটি বড় সুবিধা রয়েছে, যা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না, আধুনিক পরিকাঠামোর সঙ্গে সামাজিক ন্যায়ের বিষয়টিও যুক্ত। যুগ যুগ ধরে যারা ন্যায় বিচার পান নি এবং নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার এই সব আধুনিক ব্যবস্থা পৌঁছে দিচ্ছে। আজ এই সব রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া এবং আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে তুলবে। দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত অসুস্থ মানুষ, মা ও বোনেরা এখন সহজেই হাসপাতালে পৌঁছতে পারবেন। কৃষক ও শ্রমিকরাও প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবেন। আরেকটি উদাহরণ হল মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা। ৯ বছর আগে ছত্তিশগড়ে ২০ শতাংশের বেশি গ্রামে কোনো মোবাইল সংযোগ ছিল না। আজ তা কমে ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামগুলি নকশাল হিংসার শিকার। এই গ্রামে যাতে ভালো ফোরজি পরিষেবা পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়  সরকার, ৭০০-র বেশি মোবাইল টাওয়ার বসানোর উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যেই ৩০০টি টাওয়ার কাজ শুরু করেছে। যে সব আদিবাসী গ্রামে এক সময় নেটওয়ার্ক পৌঁছাতো না, আজ সেখানে মোবাইলের রিংটোন শোনা যাচ্ছে। মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে গ্রামের মানুষ নানা ধরণের কাজের সুবিধা পাচ্ছেন। এটিই সামাজিক ন্যায়, সব কা সাথ, সবকা বিকাশের ধারণা এর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,
আজ ছত্তিশগড় দুটি নতুন অর্থনৈতিক করিডর পাচ্ছে। রায়পুর – ধানবাদ অর্থনৈতিক করিডর এবং রায়পুর – বিশাখাপত্তনম অর্থনৈতিক করিডর। এই যোগাযোগ গড়ে উঠলে সমগ্র অঞ্চলের ছবিটি পাল্টে যাবে। এই অর্থনৈতিক করিডরগুলি উচ্চাকাঙ্খী জেলার মধ্যে রয়েছে। এই অঞ্চলগুলি এক সময় পিছিয়ে পড়া এলাকা বলে পরিচিত ছিল। হিংসা এবং নৈরাজ্যের শিকার অঞ্চলগুলি আজ উন্নয়নের নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। রায়পুর – বিশাখাপত্তনম অর্থনৈতিক করিডরের কাজ আজ থেকে শুরু হল। এই অঞ্চল এর ফলে নতুন এক জীবনরেখা পাবে। এই করিডর দিয়ে রায়পুর থেকে বিশাখাপত্তমন যেতে অর্ধেক সময় লাগবে। দেশের বাকি অংশের সঙ্গে ধামতারির ধান উৎপাদন অঞ্চল, কাঁকেরের বক্সাইড খনিজ অঞ্চল এবং হস্তশিল্পে বিখ্যাত কোন্ডাগাঁও ৬ লেনের সড়কের মাধ্যমে যুক্ত হবে। এখানে আরেকটি বিষয় আমি উল্লেখ করতে চাই, এই রাস্তাটি বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাবে। বন্যপ্রাণীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য সুড়ঙ্গ এবং বন্যপ্রাণীদের যাতায়াতের পথ থাকবে। ডাল্লি রাজহারা থেকে জগদলপুর এবং অন্তগড় থেকে রায়পুরের মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাতায়াত আরো সহজ হবে।
বন্ধুগণ,   
যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, সেখানে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করা এবং আরো শিল্প গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। ছত্তিশগড়ের শিল্পায়নের লক্ষ্যে গত ৯ বছরে কেন্দ্র, নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রের নীতির কারণে ছত্তিশগড়, রাজস্বের মাধ্যমে আরো বেশি অর্থ পাচ্ছে। মূলত খনি ও খনিজ আইনের পরিবর্তন আনায়, রয়্যালটি বাবদ ছত্তিশগড় আরো বেশি অর্থ উপার্জন করছে। ২০১৪ সালের আগের চার বছরে ছত্তিশগড় রয়্যালটি বাবদ পেয়েছিল ১৩০০ কোটি টাকা। ২০১৫ – ১৬ থেকে ২০২০ – ২১ সময়কালে রাজ্য রয়্যালটি বাবদ পেয়েছে প্রায় ২৮০০ কোটি টাকা।  জেলা খনিজ পদার্থ তহবিল থেকে বেশি অর্থ পাওয়ায় খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ জেলাগুলিতে উন্নয়নে গতি এসেছে। স্কুল, গ্রন্থাগার, সড়ক নির্মাণ অথবা জল সরবরাহ প্রকল্প – বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই তহবিলের অর্থ ব্যয় হয়েছে।   
বন্ধুগণ,   
কেন্দ্রের আরেকটি উদ্যোগের সুফলও ছত্তিশগড় পেয়েছে। এই রাজ্যে ১ কোটি ৬০ লক্ষের বেশি জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ৬০০০ কোটি টাকার বেশি জমা পড়েছে। দরিদ্র পরিবারগুলির সদস্যরা, কৃষক এবং শ্রমিকরা আগে তাদের অর্থ সুরক্ষিত জায়গায় রাখতেন না। আজ জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সরকারী সুবিধা প্রত্যক্ষভাবে পেয়ে থাকেন। ছত্তিশগড়ের যুবক – যুবতীরা যাতে কাজ পান, স্বনির্ভর হয়ে উঠতে যাতে তাদের কোনো সমস্যা না হয়, কেন্দ্র সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। রাজ্যের যুবক – যুবতীদের ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে। এই টাকা কোনো ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসী ও দরিদ্র পরিবারের যুবক – যুবতীরা এই আর্থিক সহায়তায় নতুন ব্যবসা খুলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার করোনার সময়কালে দেশের ক্ষুদ্র শিল্পকে সহায়তার জন্য কোটি কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছত্তিশগড়ের প্রায় ২ লক্ষ শিল্পোদ্যোগী ৫০০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।

বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে এর আগে কোনো সরকার রাস্তার হকারদের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করে নি। গ্রাম থেকে মূলত হকাররা শহরে আসেন। কেন্দ্রীয় সরকার, এদের তার অংশীদার বলে বিবেচনা করে। আর তাই আমরা এই প্রথম তাদের জন্য পিএম স্বনিধি যোজনা চালু করেছি। এই প্রকল্পে ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়া হকারদের ঋণ দেওয়া হয়। ছত্তিশগড়ে ৬০,০০০ সুবিধাভোগী প্রকল্পটির সুবিধা নিয়েছেন। গ্রামাঞ্চলে এমজিনারেগা প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে কেন্দ্র, ছত্তিশগড়ে ২৫,০০০ কোটি টাকা দিয়েছে। এই টাকা গ্রামের শ্রমিকদের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
কিছু আগে ৭৫ লক্ষ সুবিধাভোগীর কাছে আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ করা হল। এর ফলে এই সব দরিদ্র ও আদিবাসী ভাই – বোনেরা প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। রাজ্যের ১৫০০-র বেশি বড় হাসপাতালে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। দরিদ্র, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া এবং দলিত পরিবারের সদস্যদের জন্য আয়ুষ্মান যোজনা বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছে। যদি এই রাজ্যের কোনো সুবিধাভোগী দেশের অন্য কোনো রাজ্যে যান, তাহলে তিনি সেখানে থেকেও সব ধরণের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ এই কার্ডের প্রচুর ক্ষমতা আছে। ছত্তিশগড়ের প্রতিটি পরিবারকে কেন্দ্রীয় সরকার, আগের মতোই সেবা করে যাবে। এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য আরো একবার আমি আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ !

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024

Media Coverage

Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in Veer Baal Diwas programme on 26 December in New Delhi
December 25, 2024
PM to launch ‘Suposhit Gram Panchayat Abhiyan’

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in Veer Baal Diwas, a nationwide celebration honouring children as the foundation of India’s future, on 26 December 2024 at around 12 Noon at Bharat Mandapam, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Prime Minister will launch ‘Suposhit Gram Panchayat Abhiyan’. It aims at improving the nutritional outcomes and well-being by strengthening implementation of nutrition related services and by ensuring active community participation.

Various initiatives will also be run across the nation to engage young minds, promote awareness about the significance of the day, and foster a culture of courage and dedication to the nation. A series of online competitions, including interactive quizzes, will be organized through the MyGov and MyBharat Portals. Interesting activities like storytelling, creative writing, poster-making among others will be undertaken in schools, Child Care Institutions and Anganwadi centres.

Awardees of Pradhan Mantri Rashtriya Bal Puraskar (PMRBP) will also be present during the programme.