স্যার এম এম বিশ্বেসরাইয়াকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
“ ‘সব কা প্রয়াস’ এর মাধ্যম ভারত উন্নত দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে”
“দরিদ্রদের সেবার জন্য ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে কর্ণাটকের”
“আমাদের সরকার দরিদ্রদের উন্নয়নের কাজ করে চলেছে। কন্নড় সহ সব ভারতীয় ভাষায় চিকিৎসা শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে”
“দরিদ্রদের ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগণের স্বাস্থ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে”
“স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা মহিলাদের সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছি”

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ বোম্মাইজী, সদ্‌গুরু শ্রী মধুসূদন সাইজী, মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।

কর্ণাটকের সমস্ত ভাই ও বোনেদের আমার সাদর প্রণাম!

আপনারা সকলে এত উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ও নতুন সংকল্প নিয়ে এই মহান সেবাব্রতে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। আপনাদের সাক্ষাৎ দর্শনও আমার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। আমি আপনাদের সকলের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। চিক্কাবল্লাপুরা আধুনিক ভারতের শ্রেষ্ঠ স্থপতিদের মধ্যে অন্যতম। স্যর এম বিশ্বেশ্বরাইয়ার জন্মস্থান। একটু আগেই আমার স্যর বিশ্বেশ্বরাইয়ার সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ এবং তাঁর সংগ্রহালয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এই পুণ্য ভূমিকে আমি মাথা নত করে প্রণাম জানাই। এই পুণ্য ভূমি থেকে প্রেরণা নিয়েই স্যর বিশ্বেশ্বরাইয়া অসংখ্য কৃষক ও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে নতুন নতুন উদ্ভাবন করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং – এর অসাধারণ সব প্রকল্প নির্মাণ করেছেন।

বন্ধুগণ,

এই ভূমি থেকেই দেশবাসী সত্য সাই গ্রাম রূপে সেবার একটি অদ্ভুত মডেল পেয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যোন্নয়নের মাধ্যমে এখানে যে ধরনের মানবসেবা চলছে, তা সত্যিই অদ্ভূত। আজ এখানে যে মেডিকেল কলেজের শুভ উদ্বোধন হ’ল, এর মাধ্যমে এই মিশন আরও শক্তিশালী হ’ল। শ্রী মধুসূদন সাই মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার বা শ্রী মধুসূদন সাই আয়ুর্বিজ্ঞান এবং অনুসন্ধান সংস্থান প্রতি বছর দেশকে অনেক নতুন প্রতিভাবান চিকিৎসক গড়ে তুলবে, যাঁরা দেশের কোটি কোটি জনগণের সেবায় দেশের প্রতি সমর্পিত প্রাণ হবেন। আমি এই সংস্থানে কর্মরত সকলকে এবং চিক্কাবল্লাপুরার সমস্ত জনগণকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমাদের দেশ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার শপথ গ্রহণ করেছে। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন যে, ভারত এত কম সময়ে উন্নত দেশ কী করে হবে? আমি বলেছি, ২০৪৭ সালে যখন দেশ স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে, তার আগেই আমাদের উন্নত দেশে পরিণত হতে হবে। অনেকেই অবাক হয়ে বলেছেন, এত সমস্যা, এত এত কাজ, এত কম সময়ে কিভাবে এত কাজ সম্পন্ন হবে? এই প্রশ্নের একটাই জবাব, জোরালো জবাব, সংকল্পের শক্তিতে বলীয়ান জবাব, সিদ্ধি লাভের জন্য ব্যগ্রতার শক্তিসম্পন্ন জবাব, আর সেই জবাব হ’ল – ‘সবকা প্রয়াস’। সকলের প্রচেষ্টা, প্রত্যেক দেশবাসীর মিলিত প্রচেষ্টাতেই এই সংকল্প বাস্তবায়িত হবে। সেজন্য ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র ও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার নিরন্তর সকলের অংশীদারিত্বের উপর জোর দিচ্ছে। উন্নত ভারতের লক্ষ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন সামজিক সংগঠন এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলির ভূমিকাও অনেক বড় হতে চলেছে। কর্ণাটকে তো যুগ যুগ ধরে সাধু-সন্ত আশ্রম ও মঠের মহান পরম্পরা রয়েছে। এই ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্থাগুলি আস্থা ও আধ্যাত্মের পাশাপাশি গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া ও বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে শক্তিশালী করে তুলছে। আপনাদের সংস্থা যে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে ‘সবকা প্রয়াস’ – এর ভাবনাকেই তাঁরা শক্তিশালী করে তুলছে।

বন্ধুগণ,

আমি দেখছিলাম যে, শ্রী সত্য সাই ইউনিভার্সিটির ধ্যেয় বাক্য হ’ল – ‘যোগঃ কর্মসু কৌশলম্‌’ অর্থাৎ, ‘কর্মে কুশলতাই হ’ল যোগ’। বিগত নয় বছরে ভারতও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে অত্যন্ত সততা ও কুশলতার সঙ্গে অনেক কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশে চিকিৎসার শিক্ষা সংক্রান্ত নানা ক্ষেত্রে অনেক সংস্কার আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি, আরও অনেক সংগঠন এগিয়ে আসায় সকলের জন্য হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ চালু করা এখন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি ও সামাজিক ক্ষেত্র বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গতিবিধি ও সকলের প্রচেষ্টার পরিণামই আজ দেখা যাচ্ছে। ২০১৪ সালে আমাদের দেশে ৩৮০টিরও কম মেডিকেল কলেজ ছিল। আজ দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫০টিরও বেশি হয়েছে। এগুলির মধ্যে ৪০টি মেডিকেল কলেজ উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলিতে গড়ে তোলা হয়েছে। যে জেলাগুলি উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল, সেখানে এখন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে।

বন্ধুগণ,

বিগত ৯ বছরে দেশে মেডিকেল আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরে যতজন চিকিৎসক দেশে তৈরি হয়েছেন, সেই সমসংখ্যক চিকিৎসক ভারতেই আগামী ১০ বছরে গড়ে উঠবে। এই যে দেশে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে, তার সুফল কর্ণাটকের জনগণও পাচ্ছেন। কর্ণাটকে আজ প্রায় ৭০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রচেষ্টায় বিগত কয়েক বছরে যত মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে একটি এখানে চিক্কাবল্লাপুরাতেও গড়ে উঠেছে। এ বছর কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে আমরা ১৫০টি নার্সিং কলেজ গড়ে তোলার প্রস্তাব রেখেছি। এর ফলে, নার্সিং নিয়ে যাঁরা পড়াশুনা করছেন, সেই যুবক-যুবতীদের জন্য অনেক বড় সুযোগ গড়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

আজ যখন আমি আপনাদের মধ্যে এসেছি, তখন ভারতের চিকিৎসা পেশার সামনে অন্য একটি সমস্যার উল্লেখ অবশ্যই করতে চাইব। সেই সমস্যাটির ফলে গ্রাম ও গরীবদের, পিছিয়ে পড়া সমাজের যুবক-যুবতীদের জন্য চিকিৎসক হয়ে ওঠা খুব কঠিন ছিল। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ভোট ব্যাঙ্কের জন্য কিছু দল ভাষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। কিন্তু, প্রকৃত অর্থে ভাষার উপর যতটা জোর দেওয়া উচিৎ ছিল, ততটা হয়নি। কন্নড় তো এত সমৃদ্ধশালী ভাষা, দেশের গৌরব বৃদ্ধিকারী ভাষা। কন্নড় ভাষাতেই যাতে চিকিৎসা শাস্ত্র থেকে শুরু করে কারিগরি বিদ্যা ও প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা যাতে সকলে নিজের মাতৃভাষায় করতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করতে পূর্বের সরকারগুলি যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। গ্রামের মানুষ গরীব, দলিত ও পিছিয়ে পড়া সমাজের ছেলেমেয়েরাও যাতে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে উঠতে পারে, সেই চেষ্টা কোনও রাজনৈতিক দলই করতে চায়নি। গরীবদের হিতে আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার কন্নড় সহ সমস্ত ভারতীয় ভাষাগুলিতেই চিকিৎসা শাস্ত্র পড়াশুনার বিকল্প রেখেছে।

ভাই ও বোনেরা,

দীর্ঘকাল ধরে দেশে এমনই রাজনীতি চলেছে, যেখানে গরীবদের শুধুই ভোট ব্যাঙ্ক বলে মনে করা হ’ত। কিন্তু, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার গরীবদের সেবাকেই নিজেদের সর্বোচ্চ কর্তব্য বলে মনে করে। আমরা গরীব এবং মধ্যবিত্তের আরোগ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা দেশে সুলভে ওষুধের দোকান ‘জন ঔষধি কেন্দ্র’ চালু করেছি। আজ সারা দেশে প্রায় ১০ হাজার জন ঔষধি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজারেরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র আমাদের কর্ণাটকেই রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি স্থাপিত হওয়ার ফলে কর্ণাটকের কোটি কোটি গরীব মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা ওষুধ কেনা বাবদ কম খরচ হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আপনারা সেই পুরনো দিনের কথা মনে করুন, যখন গরীব মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার কথা চিন্তাও করতেন না। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার গরীব মানুষের এই দুঃখকে বুঝেছে, তার সমাধানও করেছে। আজ আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে গরীব পরিবারের জন্য ভালো ভালো হাসপাতালের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার গরীব পরিব্রগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার গ্যারান্টি দিয়েছে। কর্ণাটকেরও লক্ষ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।

বন্ধুগণ,

আগে হৃদযন্ত্রের শল্য চিকিৎসা থেকে শুরু করে হাঁটু প্রতিস্থাপন কিংবা ডায়ালেসিস করাতে অনেক টাকা খরচ করেত হ’ত। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন গরীব মানুষের সরকার ক্ষমতায় এসে এই সমস্ত চিকিৎসাকে অনেক সুলভ করে দিয়েছে। বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা শুরু হওয়ায় গরীবদের হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আমরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত নীতি প্রণয়নের সময় দেশের মা ও বোনেদের চিকিৎসাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। যখন মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নত হয়, তখন তাঁর সন্তানরাও সুস্থ থাকে এবং গোটা প্রজন্মের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সেজন্য শৌচালয় নির্মাণ প্রকল্প থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ করার প্রকল্প, প্রতি বাড়িতে নলবাহিত পরিশ্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প, প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড দেওয়ার প্রকল্প, মায়েদের পুষ্টি সাধনের কথা মাথায় রেখে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর প্রকল্প – এই সবকিছুই আমার দেশের কোটি কোটি মা ও বোনেদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে করা হচ্ছে। বিশেষ স্তন ক্যান্সার নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার অত্যন্ত সতর্ক। এখন গ্রামে গ্রামে যে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার খোলা হচ্ছে, সেখানে এ ধরনের রোগের নিয়মিত স্ক্রিনিং – এর প্রচেষ্টা চলছে। উদ্দেশ্য হ’ল – প্রাথমিক স্তরেই রোগ শনাক্ত করা, যাতে আমরা মা ও বোনেদের জীবনে বড় সঙ্কট আসার আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে পারি আর এক্ষেত্রে আমরা সফল হচ্ছি। আমি, বোম্মাইজী আর তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই যে, কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই ৯ হাজারেরও বেশি হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে তোলার জন্য। আমাদের সরকার মা, বোন এবং মেয়েদের এমন জীবন দেওয়ার জন্য পরিশ্রম করছে, যাতে তাঁর নিজেরাও সুস্থ থাকেন আর তাঁদের সন্তানদেরও সুস্থ রাখতে পারেন।

ভাই ও বোনেরা,

আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে আরেকটি বিশেষ কারণে কর্ণাটক সরকারের প্রশংসা করবো। বিগত বছরগুলিতে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার এএনএম এবং আশা কর্মী বোনদের আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। তাঁদের হাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চালিত গেজেট তুলে দিয়ে তাঁদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। কর্ণাটকে আজ প্রায় ৫০ হজার আশা এবং এএনএম কর্মকর্তা রয়েছেন। এছাড়াও, প্রায় ১ লক্ষ নথিভুক্ত নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার এই সকল বন্ধুদের সমস্ত ধরনের পরিষেবা দেওয়ার জন্য এবং তাঁদের জীবনযাত্রার মান আরও সহজ করে তুলেছে।

বন্ধুগণ,

আরোগ্যের পাশাপাশি, আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার মা, বোন ও মেয়েদের আর্থিক ক্ষমতায়নকেও অগ্রাধিকার দিয়েছে। কর্ণাটকের এই মহান ভূমি ‘মিল্ক অ্যান্ড সিল্ক’ বা ‘দুধ ও রেশন’ – এর জন্য বিখ্যাত এই দুধ ও রেশনের কথা মাথায় রেখেই আমাদের সরকার পশুপালকদের জন্যও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড – এর পরিষেবা সুনিশ্চিত করেছে। পশুদের সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে আমাদের সরকার পশুদের জন্য সবচেয়ে বড় বিনামূল্যে টিকাকরণ অভিযানও চালু করেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারের চেষ্টা রয়েছে যাতে ডেয়ারি সমবায়গুলিতে মহিলাদের অংশীদারিত্ব আরও বেশি বাড়ে। গ্রামে গ্রামে মহিলাদের যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে, সেগুলিকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

যখন দেশ সুস্থ থাকবে, যখন উন্নয়নে ‘সবকা প্রয়াস’ সম্মিলিত হবে, তখন আমরা আরও দ্রুত উন্নত ভারতের লক্ষ্য পূরণে সফল হব। আমি আরেকবার শ্রী মধুসূদন সাই আয়ুর্বিজ্ঞান এবং অনুসন্ধান সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের মানব সেবার এই উত্তর প্রচেষ্টার জন্য অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভগবান সাই বাবার সঙ্গে গোড়া থেকেই আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর আমাদের শ্রীনিবাসজীর সঙ্গেও আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। এই সম্পর্কের বয়স প্রায় ৪০ বছর। সেজন্য আমি এখানে নিজেকে অতিথি বলে মনে করছি না। আমিও তো আপনাদের এই মাটিরই সন্তান। আমি কী করে অতিথি হতে পারি। যখনই আমি আপনাদের মধ্যে আসি, তখন আমাদের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হয়। পুরনো স্মৃতিগুলি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আর আরও বেশি শক্তি দিয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে মন চায়।

আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাদের সকলকে আরেকবার অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.