সাই রাম ! অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী আব্দুল নাজির, শ্রী সত্যসাই সেন্ট্রাল ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি শ্রী আর জে রত্নাকর, শ্রী কে চক্রবর্তী, আমার পুরোনো বন্ধু শ্রী রুকো হীরা, ডঃ ভি মোহন, শ্রী এম এস নাগানন্দ, শ্রী নিমীষ পান্ড্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, আবারও আপনাদের সবাইকে সাই রাম ।
পুট্টাপূর্তিতে বহুবার যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে । আজও আমার ইচ্ছা ছিল আপনাদের সবার মধ্যে থেকে, ওখানে উপস্থিত হয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার । কিন্তু, আমার ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি । আমাকে আমন্ত্রণ জানাবার সময় ভাই রত্নাকর বলেছিলেন, ‘আপনি একবার এসে আমাদের আপনার আশীর্বাদ দিন’ । শ্রী রত্নাকরের এই বক্তব্য আমার সংশোধন করে দেওয়া উচিত । আমি ওখানে অবশ্যই যাব, তবে আশীর্বাদ দিতে নয়, আশীর্বাদ নিতে । প্রযুক্তির দৌলতে আজ আমি আপনাদের মধ্যে উপস্থিত হতে পেরেছি । আজকের এই অনুষ্ঠানের জন্য আমি শ্রী সত্য সাই সেন্ট্রাল ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত সব সদস্য এবং সত্য সাই বাবার সব ভক্তকে অভিনন্দন জানাই । আমাদের ওপর শ্রী সত্য সাই-এর অনুপ্রেরণা ও আর্শীবাদ বর্ষিত হচ্ছে । এই পবিত্র অনুষ্ঠানে শ্রী সত্য সাই বাবার কর্মধারার প্রসার দেখে আমি আনন্দিত । শ্রী হীরা গ্লোবাল কনভেনশন সেন্টারের মাধ্যমে দেশ চিন্তা-ভাবনার এক সমৃদ্ধ কেন্দ্রের অধিকারী হতে চলেছে । আমি এই কনভেনশন সেন্টারের ছবি দেখেছি । এইমাত্র এই সেন্টারটি নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের যে ছায়াছবি দেখানো হল, তারও ঝলক আমি দেখেছি । এই সেন্টার আধ্যাত্মিক অনুভবের সঙ্গে আধুনিকতার, সাংস্কৃতিক দেবত্বের সঙ্গে বৌদ্ধিক ঔৎকর্ষের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে । এটি আধ্যাত্মিক সম্মেলন এবং শিক্ষামূলক কর্মসূচির একটি কেন্দ্র হয়ে উঠবে । সারা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিদ্বান ও বিশেষজ্ঞরা এখানে আসবেন । এই কেন্দ্র যুব সমাজের বিশেষ উপকারে লাগবে বলে আমার ধারণা ।
বন্ধুরা,
যে কোন চিন্তা যখন বাস্তবায়িত হয়ে কর্মের রূপ ধারণ করে, তখনই তা সবথেকে কার্যকর হয়ে ওঠে । সত্যিকারের কাজ যেরকম প্রভাব ফেলে, কেবল কথায় তা হয়না । আজ এই কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনের পাশাপাশি এখানে শ্রী সত্য সাই গ্লোবাল কাউন্সিল লি়ডারদের সম্মেলনও শুরু হচ্ছে । এই সম্মেলনে বহু দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন । এই সম্মেলনের মূল ভাবনা হিসেবে আপনারা ‘অনুশীলন এবং অনুপ্রেরণা’-র যে ধারণা বেছে নিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং প্রভাব সৃষ্টিকারী । আমাদের দেশে প্রায়ই বলা হয়, ‘यत् यत् आचरति श्रेष्ठः, तत्-तत् एव इतरः जनः ‘ অর্থাৎ বিশিষ্ট মানুষেরা যা করেন, সমাজ তাই অনুসরণ করে ।
অতএব আমাদের আচরণই অন্যদের কাছে সবথেকে বড় প্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে পারে । সত্য সাই বাবার জীবন এর চমৎকার উদাহরণ । বিভিন্ন লক্ষ্য স্থির করে, কর্তব্যগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির দিকে ভারত এগিয়ে চলেছে । আমরা ‘অমৃতকাল’-এর নাম দিয়েছি ‘কর্তব্যকাল’ । কারণ এর মধ্যে কেবল আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের নির্দেশিকাই নয়, ভবিষ্যতের আকাঙ্খাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । প্রগতি ও ঐতিহ্য – দুইয়ের প্রতিই আমাদের সমান গুরুত্ব দিতে হবে । দেশে একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটানো হচ্ছে, তেমনি ভারত অর্থনীতি ও প্রযুক্তির পথেও এগিয়ে চলেছে । বর্তমানে ভারত বিশ্বের প্রথম পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে । বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ব্যবস্থাপনা এখানেই । ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ৫জির মতো ক্ষেত্রগুলিতে আমরা বিশ্বের বড় বড় দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছি । সারা বিশ্বে অনলাইন লেনদেনের ৪০ শতাংশই হয় ভারতে । সাই বাবার নামের সঙ্গে সংযুক্ত নবগঠিত পুট্টাপূর্তি জেলাকে ১০০ শতাংশ ডিজিটাল করে তুলতে আমি শ্রী রত্নাকর এবং সাই ভক্তদের অনুরোধ জানাব । আপনারা দেখবেন এই জেলা সারা বিশ্বে এক অনন্য পরিচিতি অর্জন করবে । যদি আমার বন্ধু শ্রী রত্নাকর এই দায়িত্ব নেন, তাহলে বাবার আগামী জন্মদিনের মধ্যেই আমরা পুরো জেলাকে ডিজিটাল করে তুলতে পারব, যেখানে ১ টাকা নগদ লেনদেনেরও প্রয়োজন পড়বে না । এটা কিন্তু করা সম্ভব ।
বন্ধুরা,
দেশে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে । সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করছেন । গ্লোবাল কাউন্সিল সম্মেলনের মতো অনুষ্ঠানগুলি ভারত সম্পর্কে জানার এবং বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভারতকে সংযুক্ত করার এক কার্যকর মাধ্যম ।
বন্ধুরা,
আমাদের দেশে প্রায়শই সাধু সন্ন্যাসীদের বহতা নদীর স্রোতের সঙ্গে তুলনা করা হয় । কারণ তাঁরা কখনো নিজেদের ভাবনা-চিন্তা এবং কাজ থামিয়ে দেননা । তাঁদের জীবন এক নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ ও নিরলস প্রয়াসের সমাহার । এঁদের জন্ম কোথায় হয়েছিল, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ মাথা ঘামান না । একজন প্রকৃত সাধককে প্রত্যেকে নিজের বিশ্বাস ও সংস্কৃতির প্রতিনিধি হিসেবে গ্রহণ করে আপন করে নেন । সেজন্যই হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সাধু সন্ন্যাসীরা ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর চেতনা লালন করে আসছেন । সত্য সাই বাবা অন্ধ্রপ্রদেশের পুট্টাপূর্তিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । কিন্তু, তার ভক্ত ও অনুগামীরা ছড়িয়ে রয়েছেন বিশ্ব জুড়ে । আজ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সত্য সাইয়ের আশ্রম গড়ে উঠেছে । প্রতিটি ভাষা ও ঐতিহ্যের মানুষ প্রশান্তি নিলায়মের কর্মধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন । এটাই ভারতের সেই চেতনা, যা একসূত্রে সবকিছুকে গেঁথে তা চিরন্তন করে তোলে ।
বন্ধুরা,
শ্রী সত্য সাই বলতেন, ‘सेवा अने, रेंडु अक्षराल-लोने, अनन्त-मइन शक्ति इमिडि उन्दी’ অর্থাৎ মানবতার সেবাই হল ঈশ্বরের সেবা । অন্যভাবে বলতে গেলে ‘সেবা’ - এই দুটি বর্ণের মধ্যে অসীম শক্তি লুকিয়ে রয়েছে । সত্য সাইয়ের জীবন এই চেতনার মূর্ত প্রতীক । সত্য সাই বাবার জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখার, তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার এবং তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার পরম সৌভাগ্য আমার হয়েছে । আমার প্রতি তাঁর বিশেষ স্নেহ ছিল, আমি সর্বদাই তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছি । যখনই তাঁর সাথে আমার কথা হত, তিনি খুব সহজভাবে গভীর চিন্তার প্রকাশ ঘটাতেন । তাঁর দেওয়া বহু শিক্ষা আজও আমি এবং সাই ভক্তরা মনের মণিকোঠায় সযত্নে রেখে দিয়েছি । ‘সবাইকে ভালোবাসো – সবার সেবা করো’, ‘সর্বদা সাহায্য করো, কখনো আঘাত কোরো না’, ‘কথা কম কাজ বেশি’, ‘প্রতিটি অভিজ্ঞতাই একটি শিক্ষা, প্রতিটি লোকসানই লাভ’ – জীবনের এমন বহু শিক্ষা সত্য সাই আমাদের দিয়েছেন । এগুলির মধ্য দিয়ে সংবেদনশীলতা ও গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ পেয়েছে । আমার মনে আছে, একবার গুজরাটে ভূমিকম্পের পর তিনি আমাকে ডেকেছিলেন । সেই সময় ত্রাণ ও সহায়তার কাজে তিনি নিজেকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়োজিত করেছিলেন । তাঁর নির্দেশনায় তাঁর সংগঠনের হাজার হাজার কর্মী দিনরাত এক করে ভূকম্পকবলিত ভুজে সেবাকাজ চালিয়েছিল । কোনো মানুষের পরিচয় তাঁর কাছে গুরুত্ব পেত না । তিনি প্রত্যেকের প্রতি এমন যত্ন নিতেন, যেন তারা সবাই তাঁর খুব কাছের । সত্য সাইয়ের কাছে ‘মানবতার সেবাই ঈশ্বরের সেবা’ ছিল । ‘প্রতিটি মানুষের মধ্যে নারায়ণকে প্রত্যক্ষ করা’ এবং ‘প্রতিটি জীবকে শিব জ্ঞান করা’-র এই চেতনাই মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে ।
বন্ধুরা ভারতের মতো দেশে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সংগঠনগুলি সর্বদাই সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । ভারত আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করে আাগামী ২৫ বছরের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ‘অমৃতকাল’-এ পা দিয়েছে । আজ যখন আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও উন্নয়নকে নতুন গতি দিচ্ছি, তখন সত্য সাই ট্রাস্টের মতো সংগঠনগুলির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । আপনাদের আধ্যাত্মিক শাখা যখন বালবিকাশের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতের তরুণ প্রজন্মের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করে, তখন আমার খুব ভালো লাগে । মানবতার সেবার জন্য সত্য সাই বাবা হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন । প্রশান্তি নিলয়ামে অত্যাধুনিক হাসপাতাল তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে । বেশ কিছু বছর ধরে সত্য সাই ট্রাস্ট বিনামূল্যে শিক্ষার প্রসারে ভালো স্কুল ও কলেজ পরিচালনা করে আসছে । জাতি গঠন এবং সমাজের ক্ষমতায়নে যে ভূমিকা আপনারা পালন করছেন, তা প্রশংসনীয় । সত্য সাইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিও দেশের বিভিন্ন উদ্যোগে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে । বর্তমানে জল জীবন মিশনের আওতায় দেশের প্রতিটি গ্রামে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । সত্য সাই সেন্ট্রাল ট্রাস্টও প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বিনামূল্যে জল সরবরাহ করে এই মহৎ প্রচেষ্টার অংশিদার হয়েছে ।
বন্ধুরা,
একবিংশ শতাব্দীতে জলবায়ু পরিবর্তন এক বৃহৎ চ্যালেঞ্জ হয়ে সারা বিশ্বের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে । এর মোকাবিলায় ভারত বিশ্বমঞ্চে ‘মিশন লাইফ’-এর মতো বিভিন্ন প্রয়াস হাতে নিয়েছে । বিশ্ব আজ ভারতের নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখে । আপনারা সবাই জানেন, ভারত এবছর জি-২০-র মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্বে রয়েছে । এর মূল ভাবনার সঙ্গে ভারতের মৌলিক আদর্শ ‘এক বিশ্ব এক পরিবার এক ভবিষ্যত’-এর ধারণা মিলে গেছে । সারা বিশ্ব ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাবিত হচ্ছে, ভারতের প্রতি আকর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে । আপনারা দেখেছেন, জুনের ২১ তারিখে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে কীভাবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে উঠেছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিরা একই সময়ে একই জায়গায় যোগাভ্যাসের জন্য সমবেত হয়েছেন । বিশ্ব জুড়ে যোগাভ্যাস মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠছে ।
মানুষ আজ আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিতে আস্থা রাখছেন, তারা ভারতের সুস্থিত জীবনশৈলি থেকে শিক্ষা নিতে চাইছেন । আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, অতীত ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে বিশ্বাস ও ঔৎসুক্য ক্রমশ বেড়ে চলেছে । গত কয়েক বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য পুরাকীর্তি ভারতে ফেরত এসেছে । এই মূর্তিগুলি আমাদের দেশ থেকে ৫০-১০০ বছর আগে চুরি করা হয়েছিল । ভারতের প্রচেষ্টার এবং নেতৃত্বের নেপথ্যে সবথেকে বড় শক্তি হল আমাদের সাংস্কৃতিক আদর্শ । তাই আমাদের সবরকম প্রয়াসে সত্য সাই ট্রাস্টের মতো সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সংগঠনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আপনারা আগামী ২ বছরের মধ্যে ১ কোটি ‘প্রেমতরু’ রোপণের অঙ্গীকার নিয়েছেন । আমি এই প্রয়াসের সাফল্য কামনা করি । আমার বন্ধু ভাই হীরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন । আমরা জাপানের মিয়াওয়াকি পদ্ধতি অনুসরণ করে ছোট বন তৈরির কৌশল রপ্ত করতে পারি । এটি বাস্তবায়নের জন্য ট্রাস্টের সদস্যদের আমি অনুরোধ জানাচ্ছি । এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট বন তৈরির একটি মডেল উপস্থাপন করা সম্ভব । এটি খুব বড় আকারে করা উচিত । আমি জানি, এব্যাপারে শ্রী হীরার দক্ষতা রয়েছে । আমি তাঁকে যে কোন কাজের ভার অর্পণ করতে পারি । সেই জন্যই আমি তাঁকে এই বিষয়টি জানালাম । প্লাস্টিকমুক্ত ভারতের যে স্বপ্ন আমরা দেখি, তা যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে ।
দূষণমুক্ত বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে সৌরশক্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । আমাকে বলা হয়েছে এবং আমি আপনাদের ভিডিওতে দেখেছি, সত্য সাই সেন্ট্রাল ট্রাস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের কাছে প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়াকে শ্রীঅন্ন রাগি ও বাজরার তৈরি খাবার সরবরাহ করছে । এটিও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ । এই প্রয়াসে অন্য রাজ্যগুলিকে সংযুক্ত করা গেলে দেশ বিপুলভাবে উপকৃত হবে । শ্রীঅন্ন শুধু পুষ্টির যোগানই দেয়না, অনেক সম্ভাবনাও তুলে ধরে । বিশ্বস্তরে এই ধরণের সমস্ত উদ্যোগ ভারতের সক্ষমতা বাড়াবে এবং তার পরিচিতিকে আরও শক্তিশালী করবে ।
বন্ধুরা,
সত্য সাইয়ের আশীর্বাদ আমাদের সকলের সঙ্গে রয়েছে । এই শক্তি দিয়ে আমরা এক উন্নত ভারত গড়ে তুলবো এবং সমগ্র বিশ্বের সেবা করবো । এবার আমি আপনাদের অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না, কিন্তু ভবিষ্যতে আমি অবশ্যই আপনাদের কাছে যাব এবং সুন্দর সময় কাটাব । মাঝে মাঝে শ্রী হীরার সঙ্গে আমার দেখা হয় । আমি আবারও আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আজ না পারলেও ভবিষ্যতে আমি নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে যাব । আমি সর্বান্তকরণে আপনাদের মঙ্গল কামনা করি । আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ । সাই রাম !