এইমস্‌ গুয়াহাটি ও আসামের অন্য ৩টি মেডিকেল কলেজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
‘আপকে দ্বার আয়ুষ্মান’ প্রচারাভিযানের সূচনা করেছেন
আসাম উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা উদ্ভাবন প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন
“গত ৯ বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এক ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে”
“আমরা মানুষের জন্য 'সেবা ভাব' নিয়ে কাজ করি”
“আমরা উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের মাধ্যমে ভারতের উন্নয়নের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছি”
“আমাদের সরকার মনে করে যে, দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থই সর্বাগ্রে। তাই, ভোট ব্যাঙ্কের কথা না ভেবে আমরা সমস্যার দিকে নজর দিচ্ছি”
“কোনও একটি ক্ষেত্রে যখন স্বজন-পোষণ, আঞ্চলিকতাবাদ, দুর্নীতি এবং অস্থিরতার রাজনীতি কায়েম করা হয়, তখন উন্নয়ন অসম্ভব হয়ে ওঠে”
“আমাদের সরকারের আমলে যেসব কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, আমাদের মা ও বোনেরা তাতে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছেন”
“একুশ শতকের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করছে আমাদের সরকার”
“ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হ’ল ‘সবকা প্রয়াস’ (সকলের প্রচেষ্টা)”

আসামের রাজ্যপাল শ্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাজী, আমার সহকর্মী স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মান্ডব্যজী ও ডাঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ারজী, আসামের মন্ত্রী শ্রী কেশব মহন্তজী, চিকিৎসা জগতের সমস্ত বিশিষ্ট জনেরা, এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত বিভিন্ন জায়গার বিশিষ্ট জনেরা এবং আমার প্রিয় আসামের ভাই ও বোনেরা।

 

মা কামাক্ষ্যার পুণ্যভূমি অহমের সমস্ত মানুষ, ভাই ও বোনেদের শুভেচ্ছা! আপনাদের সবাইকে রঙ্গালি বিহুর শুভেচ্ছা! এই বিশেষ দিনে আসাম এবং উত্তর-পূর্বের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এক নতুন মাত্রা পেল। আজ উত্তর-পূর্ব ভারত আজ প্রথম এইমস্ পেল এবং আসাম পেয়েছে তিনটি নতুন মেডিকেল কলেজ। গুয়হাটি আইআইটি-র যৌথ উদ্যোগে ৫০০টি শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তরও আজ স্থাপিত হ’ল। আসাম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম এবং মণিপুরের মানুষও নতুন এই এইমস্ হাসাপাতালে সুলভে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

ভাই ও বোনেরা,

গত ৯ বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এক ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আজ যাঁরাই উত্তর-পূর্বে আসেন, তাঁরা এখানকার সড়ক, রেল এবং বিমানবন্দরের প্রশংসাও করেন। এখানকার শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা ব্যাপক সম্প্রসারিত হয়েছে। গত বছর আমি যখন ডিব্রুগড়ে এসেছিলাম, তখন এক সঙ্গে আসামের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছিলাম। আজ আমি একটি এইমস্ এবং তিনটি মেডিকেল কলেজ আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। 

যখনই আমি দেশের উত্তর, দক্ষিণ, উত্তর-পূর্বে যাই - তখন আমি গত ৯ বছরের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করি। যদিও কিছু কিছু মানুষ এতে অখুশি হন। এটি একটি নতুন রোগ। অভিযোগ করেন যে, তাঁরা দশকের পর দশক দেশ শাসন করেছেন, অতএব, তাঁরা এর কৃতিত্ব পাবেন না কেন? এ ধরনের কৃতিত্ব – সর্বস্ব লোকজনেরা দেশের প্রভূত ক্ষতি করেছেন। জনসাধারণ হলেন ভগবানের আরেকটি রূপ। 

 

বন্ধুগণ,

কয়েক দশক ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন। কোনও একটি ক্ষেত্রে যখন স্বজন-পোষণ, আঞ্চলিকতাবাদ, দুর্নীতি এবং অস্থিরতার রাজনীতি কায়েম করা হয়, তখন উন্নয়ন অসম্ভব হয়ে ওঠে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় সেটাই ঘটেছে। ১৯৫০ সালে দিল্লিতে প্রথম এইমস্ হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ সেখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু, দেশের অন্যত্রও যে এইমস্ স্থাপন করা যায়, তা কয়েক দশকে কেউ ভাবেননি। এটি প্রথমবার ভেবেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার। তাই, ২০১৪ সালের পর আমরা সমস্ত বাধাবিঘ্নকে দূরে সরিয়ে ১৫টি নতুন এইমস্ তৈরির কাজ শুরু করি। এই এইমস্ হাসপাতালগুলিতে শুধু চিকিৎসাই নয়, পড়াশোনাও করা যাবে। 

বন্ধুগণ,

পূর্ববর্তী সরকারগুলি ভুল নীতির ফলে আমাদের দেশের চিকিৎসক এবং অন্যান্য চিকিৎসার এবং স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের ঘাটতি রয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণগত মানোন্নয়নে এটাই প্রধান বাধা। ২০১৪-র আগের ১০ বছরে মাত্র ১৫০টি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছিল। গত ৯ বছরে আমরা প্রায় ৩০০টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন করি। এমবিবিএস পাঠক্রমে আসনসংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১ লক্ষেরও বেশি করা হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে আসন প্রায় ১১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষায় সম্প্রসারণে আমরা ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন তৈরি করেছি। এই প্রথম চিকিৎসা শিক্ষার জন্য আমরা ভারতের বিভিন্ন ভাষায় পড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। এর ফলে, প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারাও চিকিৎসক হতে পারবেন। এ বছরের বাজেটে ১৫০টিরও বেশি নার্সিং কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গত ৯ বছরে উত্তর-পূর্বে দ্বগুণ সংখ্যক মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। 

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের সরকার মনে করে যে, দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থই সর্বাগ্রে। তাই, ভোট ব্যাঙ্কের কথা না ভেবে আমরা সমস্যার দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা আয়ুষ্মান প্রকল্পের সূচনা করেছি। এর ফলে, দরিদ্র মানুষরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা খরচে চিকিৎসার সুবিধা পেতে পারেন। কম খরচে গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষ যাতে সুলভ মূল্যে ওষুধ কিনতে পারেন, সেজন্য আমরা ৯ হাজারেরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র চালু করেছি। য়ামরা স্টেন্ট ও হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচ অনেক হ্রাস করে দিয়েছি। গরীব মানুষের জন্য আমরা প্রতিটি জেলায় নিখরচায় ডায়ালিসিস – এর ব্যবস্থা করেছি। কঠিন অসুখ নির্ণয়ের জন্য আমরা দেড় লক্ষেরও বেশি স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করেছি, যেখানে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছি আমরা। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আমরা যোগ – আয়ুর্বেদ এবং ফিট ইন্ডিয়া প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। 

 

বন্ধুগণ,

আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা আজ দেশের প্রতিটি গরীব মানুষের চিকিৎসায় প্রধান সহায়ক হয়ে উঠেছে। বিগত বছরগুলিতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গরীব মানুষের ৮০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। জন ঔষধি কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষের ওষুধের জন্য খরচ এখন ৮০ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে প্রায় ২০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। এখন স্টেন্ট এবং হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচ বছরে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা কমেছে। আসামের ১ কোটিরও বেশি মানুষ এখন আয়ুষ্মান ভারত কার্ড ব্যবহার করছেন। 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আমি প্রায়ই কথা বলি। আমাদের বিপুল সংখ্যক মা, বোন, ছেলে ও মেয়েরা এতে অংশ নেন। তাঁরা আমার সঙ্গে বিজেপি সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন।

 

বিজেপি সরকারের আমলে যেসব কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, আমাদের মা ও বোনেরা তাতে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানে কোটি কোটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে, যা মহিলাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। উজালা যোজনা বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে মহিলাদের মুক্তি দিয়েছে। জল জীবন মিশনে কোটি কোটি মহিলা জলবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা গর্ভবতী মহিলাদের আর্থিক সহায়তা সুনিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্রীয় পোষণ অভিযানের মাধ্যমে মহিলারা পুষ্টিকর খাদ্য পাচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

একুশ শতকের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করছে আমাদের সরকার। আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল হেলথ মিশনের অওতায় দেশবাসীকে ডিজিটাল হেলথ আইডি বা ডিজিটাল স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। দেশের সমস্ত হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর ফলে, মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমেই নাগরিকদের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। হাসপাতালে চিকিৎসা এবং সঠিক চিকিৎসকের কাছে পৌঁছনো অনেক সহজ হবে। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৩৮ কোটি মানুষকে ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এখন ই-সঞ্জীবনির মাধ্যমে এখন বাড়িতে বসেই নিজের পছন্দ মতো চিকিৎসা করাতে পারছেন সাধারণ মানুষেরা। 

 

ভাই ও বোনেরা,

ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হ’ল ‘সবকা প্রয়াস’ (সকলের প্রচেষ্টা)। করোনা সঙ্কটের সময় আমরা ‘সবকা প্রয়াস’ – এর শক্তি প্রত্যক্ষ করেছি। আজ গোটা বিশ্ব আমাদের সবচেয়ে দ্রুততম এবং অত্যন্ত কার্যকরি কোভিড টিকাদান কর্মসূচি প্রশংসা করছে। টিকাদান কর্মসূচিতে আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কর্মীরা খুব ভালো কাজ করেছেন। ‘সবকা প্রায়স’ এবং ‘সবকা বিশ্বাস’ – এর ফলেই এই মহাযজ্ঞ সফল সম্ভব হয়েছে। ‘সবকা প্রয়াস’ – এর মন্ত্র নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Indian economy ends 2024 with strong growth as PMI hits 60.7 in December

Media Coverage

Indian economy ends 2024 with strong growth as PMI hits 60.7 in December
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 17 ডিসেম্বর 2024
December 17, 2024

Unstoppable Progress: India Continues to Grow Across Diverse Sectors with the Modi Government