“Inauguration of 91 FM transmitters will revolutionize the radio industry in India”
“Through Radio and Mann Ki Baat, I could be linked to the strength of the country and the collective power of the duty among the countrymen”
“In a way, I am part of your All India Radio Team”
“Those who were considered to be distant will now get a chance to connect at a greater level”
“Government is continuously working for the democratization of technology”
“Digital India has not only given new listeners to the radio but a new thought process as well”
“Be it DTH or FM radio, this power gives us a window to peep into future India. We have to prepare ourselves for this future”
“Our government is strengthening cultural connectivity as well as intellectual connectivity”
“Connectivity in any form should aim to connect the country and its 140 crore citizens”
নমস্কারজি!
আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়কগণ, অন্যান্য বিশিষ্টজন এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।
আজকের এই কর্মসূচিতে আপনাদের সঙ্গে উপস্থিত রয়েছে পদ্ম পুরস্কার জয়ী বহু ব্যক্তিত্বই। আমি তাঁদের সকলকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই। আকাশবাণীতে এফএম সার্ভিসের সম্প্রসারণ সর্বভারতীয় এফএম গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপবিশেষ। আকাশবাণীর ৯১টি এফএম ট্রান্সমিটারের সূচনার অর্থই হল দেশের ৮৫টি জেলার ২ কোটি মানুষের জন্য এক বিশেষ উপহার। শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠান ভারতের রঙিন বৈচিত্র্যকেই আমাদের সামনে মেলে ধরেছে। এই ৮৫টি জেলার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক ব্লক ও জেলা। এই সার্ভিসের সুযোগ গ্রহণ করে সেগুলি নিঃসন্দেহে উপকৃত হবে। এই সাফল্যের জন্য আমি অভিনন্দন জানাই আকাশবাণী কর্তৃপক্ষকে। উত্তর-পূর্ব ভারতে আমাদের ভাই-বোনেরা তথা তরুণ বন্ধুরা এর ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। এই নতুন সার্ভিস চালু হওয়ায় আমি তাঁদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
রেডিও এবং এফএম প্রসঙ্গে একটি কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে যে আমাদের এই প্রজন্মের সঙ্গে এই সার্ভিসের এক বিশেষ যোগ রয়েছে। কারণ, তাঁরা হলেন এই এফএম তরঙ্গের বিশেষ শ্রোতা। আকাশবাণী তথা রেডিও সম্প্রচারের সঙ্গে আমার বিশেষ সম্পর্কের জন্য আমি আনন্দিত। মাত্র কয়েকদিন পরেই বেতারে ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম এপিসোডটি আমি উপস্থাপনা করব। ‘মন কি বাত’-এর এই অভিজ্ঞতা এবং এর সঙ্গে দেশবাসীর আবেগ যুক্ত হয়েছে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে দেশবাসীর সম্ভাবনার বিষয়গুলি আমি জানতে পারি এবং উপলব্ধি করি জাতির মিলিত দায়বদ্ধতার কথাও। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ বা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান – যাই-ই হোক না কেন, ‘মন কি বাত’-এর মঞ্চে এই অভিযানগুলি হয়ে উঠেছে এক বিশেষ জন-আন্দোলন। সেই অর্থে আকাশবাণীর সমগ্র টিমের একটি অংশ হয়ে উঠেছি আমি নিজেও।
বন্ধুগণ,
আজকের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করবার মতো। এর মাধ্যমে একদা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের অগ্রাধিকারের কথাও তুলে ধরা হয়। এতদিন যাঁরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন এবং যাঁরা বাস করতেন সুদূর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁরাও এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। সঠিক সময়ে তথ্য পৌঁছে দেওয়া, সমষ্টিভিত্তিক কাজের প্রসার, জলহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য, কৃষি সংবাদ, শস্য, ফল ও শাকসবজির সর্বশেষ মূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে কৃষক ভাইদের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়া, রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কৃষিকর্মের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আলোচনা, চাষবাসের কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি সম্পর্কে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ওয়াকিবহাল করা কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে সমগ্র অঞ্চলকে সতর্ক করে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই এফএম ট্রান্সমিটারগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
বন্ধুগণ,
প্রযুক্তির গণতান্ত্রিকতার লক্ষ্যে আমাদের সরকার নিরন্তরভাবে কাজ করে চলেছে। এই সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে কোনও ভারতবাসীকেই এর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তিকে সকলের কাছে সুলভ করে তোলা প্রয়োজন। ভারতে এখন তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অপটিক্যাল ফাইবারের কারণে খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। দেশের গ্রামগুলিও এই সুযোগ থেকে এখন আর বঞ্চিত নয়। মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ডেটার জন্য ব্যয়ের মাত্রাও এখন সকলের নাগালের মধ্যে। দেশের প্রতিটি প্রান্তেই বর্তমানে নতুন নতুন ডিজিটাল শিল্পোদ্যোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করে দেশের যুব সমাজ এখন আয় ও উপার্জন বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামে বসবাস করেও শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণেই তা এখন তাঁদের কাছে অধরা নয়। অন্যদিকে, ছোট দোকানদার এবং রাস্তার হকাররাও যখন ইন্টারনেট এবং ইউপিআই-এর সুযোগ লাভ করতে পারেন, তখন তাঁরাও ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সুযোগকে কাজে লাগাতে শুরু করেন। দেশের মৎস্যজীবীরা বর্তমানে সঠিক সময়ে জলহাওয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য লাভ করেন। একমাত্র প্রযুক্তির কল্যাণেই এটি সম্ভব হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীরা এখন তাঁদের উৎপাদিত পণ্য প্রযুক্তির সাহায্যেই দেশের যে কোনও স্থানে পৌঁছে দিতে পারেন। সরকারি ই-মার্কেটগুলির সাহায্যও তাঁরা এখন পেতে পারেন।
বন্ধুগণ,
গত কয়েক বছরে দেশে যে প্রযুক্তি বিপ্লব ঘটে গেছে তা এখন রেডিও এবং বিশেষ করে এফএম-কে এক নতুন অবতারে আমাদের সামনে উপস্থিত করেছে। ইন্টারনেটের কারণে রেডিও এখন কোনভাবেই পিছিয়ে নেই বরং, অনলাইন এফএম এবং ব্রডকাস্টের মাধ্যমে উদ্ভাবনী পথে এগিয়ে এসেছে তারাও। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ সৃষ্টি করেছে রেডিও-র নতুন নতুন শ্রোতা। নতুন নতুন চিন্তাভাবনার সুযোগ এনে দিয়েছে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি। সত্যি কথা বলতে কি, সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন বিপ্লব ঘটে গেছে। ডিডি ফ্রি ডিশ-এর সুযোগ এখন পৌঁছে গেছে দেশের ৪ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবারে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের খবর এখন দেশের কোটি কোটি পরিবারে নিয়মিতভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিও এই সুযোগ থেকে এখন আর বঞ্চিত নেই। সমাজের যে সমস্ত মানুষ বহু দশক ধরে দুর্বল ও বঞ্চিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন, তাঁরাও এখন ডিডি ফ্রি ডিশ-এর সাহায্যে শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ লাভ করতে পারছেন। এর ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ফারাক বা বৈষম্য এখন অনেকাংশে দূর হয়েছে। উন্নতমানের তথ্য এখন পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি মানুষের কাছে। ডিটিএইচ চ্যানেলগুলিতে নানা ধরনের শিক্ষাক্রম বা পাঠ্যসূচি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে। দেশের প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অভিজ্ঞ অধ্যাপকদের ক্লাস করার সুযোগ এখন সম্প্রসারিত প্রতিটি মানুষের বাড়িতে। করোনা পরিস্থিতিকালে এই ব্যবস্থার সাহায্য উপকৃত হয়েছে দেশের কোটি কোটি ছাত্রছাত্রী। ডিটিএইচ বা এফএম রেডিও – যাই-ই হোক না কেন, তা ভবিষ্যৎ ভারতের জানালা আমাদের সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে এবং সেই ভবিষ্যতের লক্ষ্যেই এখন চলছে আমাদের প্রস্তুতিপর্ব।
বন্ধুগণ,
এফএম ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সংযোগ ও যোগাযোগ প্রসারের আরও একটি বিশেষ মাত্রাও রয়েছে। এই এফএম ট্রান্সমিটারগুলি থেকে দেশের সবক’টি ভাষায় বিশেষত, ২৭টি উপ-ভাষায় সম্প্রচারিত হবে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। অন্যভাবে বলতে গেলে, এই সংযোগ ও যোগাযোগ শুধুমাত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রেই নয়, মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের সরকারের কর্মপদ্ধতির এ হল এক বিশেষ প্রতীক চিহ্ন। যখনই আমরা সংযোগ বা যোগাযোগের কথা বলি তখন রেল, সড়ক বা বিমানবন্দরের ছবি আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। কিন্তু ব্যবহারিক পরিকাঠামো ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপরও আমাদের সরকার সমান গুরুত্ব দিয়েছে। দেশের জনসাধারণের মধ্যে যাতে সাংস্কৃতিক তথা বুদ্ধিদীপ্ত সমন্বয়সাধন সফল হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের সরকার নিরন্তরভাবে কাজ করে চলেছে।
পদ্ম পুরস্কার, সাহিত্য পুরস্কার এবং শিল্পকলার পুরস্কারের মাধ্যমে গত ৯ বছরে প্রকৃত কর্মযোগী ও নায়কদের আমরা সম্মানিত করেছি। অতীতের মতো পদ্ম পুরস্কার এখন শুধুমাত্র সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয় না, তা দেওয়া হয় দেশ ও সমাজের প্রতি সেবাকর্মের স্বীকৃতিতে। যে সমস্ত পদ্ম পুরস্কার জয়ী আমাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা সকলেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। ধর্মীয় স্থান তথা তীর্থস্থানগুলিকে নতুন করে গড়ে তোলার ফলে সাধারণ মানুষ এখন একটি রাজ্য থেকে যাত্রা করছেন আরেকটি রাজ্যের উদ্দেশ্যে এবং এইভাবেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁরা এখন যাতায়াত করছেন। দেশের পর্যটন স্থানগুলিতে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি একথাই প্রমাণ করে যে দেশে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বন্ধন আরও নিবিড় হয়ে উঠেছে। আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে গড়ে তোলা মিউজিয়াম বা বাবাসাহেব আম্বেদকরের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে ‘পঞ্চতীর্থ’-এর পুনর্নিমাণ, প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা কিংবা জাতীয় যুদ্ধ স্মারক – যাই-ই হোক না কেন, এই উদ্যোগগুলি দেশের আবেগ ও মেধার বন্ধনকে আরও নিবিড় করে তুলেছে।
বন্ধুগণ,
আমার মতে, সংযোগ ও যোগাযোগের অর্থ হল সারা দেশকে একসূত্রে বেঁধে ফেলা। ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা। আকাশবাণীর মতো সমস্ত যোগাযোগ চ্যানেলের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গী হওয়া উচিত এটাই। এই লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আপনারা সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন এবং বেতার তরঙ্গের এই সম্প্রসারণ দেশকে নতুন নতুন শক্তি যোগাবে, একথা নির্দ্ধিধায় উচ্চারণ করতে পারি। আমি আরও একবার আকাশবাণী এবং দূরদুরান্তের ভাই-বোনদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Share
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi
जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।
जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...
आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।
साथियों,
आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।
साथियों,
मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।
साथियों,
छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।
साथियों,
ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।
साथियों,
मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।
साथियों,
हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।
साथियों,
महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।
साथियों,
लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।
साथियों,
इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।
साथियों,
देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।
साथियों,
आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।
साथियों,
महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।
साथियों,
भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।
साथियों,
सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।
साथियों,
कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।
साथियों,
एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।
साथियों,
कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।
साथियों,
जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।
साथियों,
आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।
साथियों,
मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।