“Inauguration of 91 FM transmitters will revolutionize the radio industry in India”
“Through Radio and Mann Ki Baat, I could be linked to the strength of the country and the collective power of the duty among the countrymen”
“In a way, I am part of your All India Radio Team”
“Those who were considered to be distant will now get a chance to connect at a greater level”
“Government is continuously working for the democratization of technology”
“Digital India has not only given new listeners to the radio but a new thought process as well”
“Be it DTH or FM radio, this power gives us a window to peep into future India. We have to prepare ourselves for this future”
“Our government is strengthening cultural connectivity as well as intellectual connectivity”
“Connectivity in any form should aim to connect the country and its 140 crore citizens”

নমস্কারজি!

আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়কগণ, অন্যান্য বিশিষ্টজন এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।

আজকের এই কর্মসূচিতে আপনাদের সঙ্গে উপস্থিত রয়েছে পদ্ম পুরস্কার জয়ী বহু ব্যক্তিত্বই। আমি তাঁদের সকলকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই। আকাশবাণীতে এফএম সার্ভিসের সম্প্রসারণ সর্বভারতীয় এফএম গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপবিশেষ। আকাশবাণীর ৯১টি এফএম ট্রান্সমিটারের সূচনার অর্থই হল দেশের ৮৫টি জেলার ২ কোটি মানুষের জন্য এক বিশেষ উপহার। শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠান ভারতের রঙিন বৈচিত্র্যকেই আমাদের সামনে মেলে ধরেছে। এই ৮৫টি জেলার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক ব্লক ও জেলা। এই সার্ভিসের সুযোগ গ্রহণ করে সেগুলি নিঃসন্দেহে উপকৃত হবে। এই সাফল্যের জন্য আমি অভিনন্দন জানাই আকাশবাণী কর্তৃপক্ষকে। উত্তর-পূর্ব ভারতে আমাদের ভাই-বোনেরা তথা তরুণ বন্ধুরা এর ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। এই নতুন সার্ভিস চালু হওয়ায় আমি তাঁদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

রেডিও এবং এফএম প্রসঙ্গে একটি কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে যে আমাদের এই প্রজন্মের সঙ্গে এই সার্ভিসের এক বিশেষ যোগ রয়েছে। কারণ, তাঁরা হলেন এই এফএম তরঙ্গের বিশেষ শ্রোতা। আকাশবাণী তথা রেডিও সম্প্রচারের সঙ্গে আমার বিশেষ সম্পর্কের জন্য আমি আনন্দিত। মাত্র কয়েকদিন পরেই বেতারে ‘মন কি বাত’-এর ১০০তম এপিসোডটি আমি উপস্থাপনা করব। ‘মন কি বাত’-এর এই অভিজ্ঞতা এবং এর সঙ্গে দেশবাসীর আবেগ যুক্ত হয়েছে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে দেশবাসীর সম্ভাবনার বিষয়গুলি আমি জানতে পারি এবং উপলব্ধি করি জাতির মিলিত দায়বদ্ধতার কথাও। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ বা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান – যাই-ই হোক না কেন, ‘মন কি বাত’-এর মঞ্চে এই অভিযানগুলি হয়ে উঠেছে এক বিশেষ জন-আন্দোলন। সেই অর্থে আকাশবাণীর সমগ্র টিমের একটি অংশ হয়ে উঠেছি আমি নিজেও।

বন্ধুগণ,

আজকের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করবার মতো। এর মাধ্যমে একদা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের অগ্রাধিকারের কথাও তুলে ধরা হয়। এতদিন যাঁরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন এবং যাঁরা বাস করতেন সুদূর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁরাও এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। সঠিক সময়ে তথ্য পৌঁছে দেওয়া, সমষ্টিভিত্তিক কাজের প্রসার, জলহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য, কৃষি সংবাদ, শস্য, ফল ও শাকসবজির সর্বশেষ মূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে কৃষক ভাইদের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়া, রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কৃষিকর্মের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আলোচনা, চাষবাসের কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি সম্পর্কে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ওয়াকিবহাল করা কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে সমগ্র অঞ্চলকে সতর্ক করে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই এফএম ট্রান্সমিটারগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

প্রযুক্তির গণতান্ত্রিকতার লক্ষ্যে আমাদের সরকার নিরন্তরভাবে কাজ করে চলেছে। এই সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে কোনও ভারতবাসীকেই এর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তিকে সকলের কাছে সুলভ করে তোলা প্রয়োজন। ভারতে এখন তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অপটিক্যাল ফাইবারের কারণে খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। দেশের গ্রামগুলিও এই সুযোগ থেকে এখন আর বঞ্চিত নয়। মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ডেটার জন্য ব্যয়ের মাত্রাও এখন সকলের নাগালের মধ্যে। দেশের প্রতিটি প্রান্তেই বর্তমানে নতুন নতুন ডিজিটাল শিল্পোদ্যোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করে দেশের যুব সমাজ এখন আয় ও উপার্জন বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামে বসবাস করেও শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণেই তা এখন তাঁদের কাছে অধরা নয়। অন্যদিকে, ছোট দোকানদার এবং রাস্তার হকাররাও যখন ইন্টারনেট এবং ইউপিআই-এর সুযোগ লাভ করতে পারেন, তখন তাঁরাও ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সুযোগকে কাজে লাগাতে শুরু করেন। দেশের মৎস্যজীবীরা বর্তমানে সঠিক সময়ে জলহাওয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য লাভ করেন। একমাত্র প্রযুক্তির কল্যাণেই এটি সম্ভব হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীরা এখন তাঁদের উৎপাদিত পণ্য প্রযুক্তির সাহায্যেই দেশের যে কোনও স্থানে পৌঁছে দিতে পারেন। সরকারি ই-মার্কেটগুলির সাহায্যও তাঁরা এখন পেতে পারেন।

বন্ধুগণ,

গত কয়েক বছরে দেশে যে প্রযুক্তি বিপ্লব ঘটে গেছে তা এখন রেডিও এবং বিশেষ করে এফএম-কে এক নতুন অবতারে আমাদের সামনে উপস্থিত করেছে। ইন্টারনেটের কারণে রেডিও এখন কোনভাবেই পিছিয়ে নেই বরং, অনলাইন এফএম এবং ব্রডকাস্টের মাধ্যমে উদ্ভাবনী পথে এগিয়ে এসেছে তারাও। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ সৃষ্টি করেছে রেডিও-র নতুন নতুন শ্রোতা। নতুন নতুন চিন্তাভাবনার সুযোগ এনে দিয়েছে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি। সত্যি কথা বলতে কি, সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন বিপ্লব ঘটে গেছে। ডিডি ফ্রি ডিশ-এর সুযোগ এখন পৌঁছে গেছে দেশের ৪ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবারে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের খবর এখন দেশের কোটি কোটি পরিবারে নিয়মিতভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিও এই সুযোগ থেকে এখন আর বঞ্চিত নেই। সমাজের যে সমস্ত মানুষ বহু দশক ধরে দুর্বল ও বঞ্চিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন, তাঁরাও এখন ডিডি ফ্রি ডিশ-এর সাহায্যে শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ লাভ করতে পারছেন। এর ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ফারাক বা বৈষম্য এখন অনেকাংশে দূর হয়েছে। উন্নতমানের তথ্য এখন পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি মানুষের কাছে। ডিটিএইচ চ্যানেলগুলিতে নানা ধরনের শিক্ষাক্রম বা পাঠ্যসূচি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে। দেশের প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অভিজ্ঞ অধ্যাপকদের ক্লাস করার সুযোগ এখন সম্প্রসারিত প্রতিটি মানুষের বাড়িতে। করোনা পরিস্থিতিকালে এই ব্যবস্থার সাহায্য উপকৃত হয়েছে দেশের কোটি কোটি ছাত্রছাত্রী। ডিটিএইচ বা এফএম রেডিও – যাই-ই হোক না কেন, তা ভবিষ্যৎ ভারতের জানালা আমাদের সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে এবং সেই ভবিষ্যতের লক্ষ্যেই এখন চলছে আমাদের প্রস্তুতিপর্ব।

বন্ধুগণ,

এফএম ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সংযোগ ও যোগাযোগ প্রসারের আরও একটি বিশেষ মাত্রাও রয়েছে। এই এফএম ট্রান্সমিটারগুলি থেকে দেশের সবক’টি ভাষায় বিশেষত, ২৭টি উপ-ভাষায় সম্প্রচারিত হবে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। অন্যভাবে বলতে গেলে, এই সংযোগ ও যোগাযোগ শুধুমাত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রেই নয়, মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের সরকারের কর্মপদ্ধতির এ হল এক বিশেষ প্রতীক চিহ্ন। যখনই আমরা সংযোগ বা যোগাযোগের কথা বলি তখন রেল, সড়ক বা বিমানবন্দরের ছবি আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। কিন্তু ব্যবহারিক পরিকাঠামো ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপরও আমাদের সরকার সমান গুরুত্ব দিয়েছে। দেশের জনসাধারণের মধ্যে যাতে সাংস্কৃতিক তথা বুদ্ধিদীপ্ত সমন্বয়সাধন সফল হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের সরকার নিরন্তরভাবে কাজ করে চলেছে।

পদ্ম পুরস্কার, সাহিত্য পুরস্কার এবং শিল্পকলার পুরস্কারের মাধ্যমে গত ৯ বছরে প্রকৃত কর্মযোগী ও নায়কদের আমরা সম্মানিত করেছি। অতীতের মতো পদ্ম পুরস্কার এখন শুধুমাত্র সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয় না, তা দেওয়া হয় দেশ ও সমাজের প্রতি সেবাকর্মের স্বীকৃতিতে। যে সমস্ত পদ্ম পুরস্কার জয়ী আমাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা সকলেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। ধর্মীয় স্থান তথা তীর্থস্থানগুলিকে নতুন করে গড়ে তোলার ফলে সাধারণ মানুষ এখন একটি রাজ্য থেকে যাত্রা করছেন আরেকটি রাজ্যের উদ্দেশ্যে এবং এইভাবেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁরা এখন যাতায়াত করছেন। দেশের পর্যটন স্থানগুলিতে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি একথাই প্রমাণ করে যে দেশে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বন্ধন আরও নিবিড় হয়ে উঠেছে। আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে গড়ে তোলা মিউজিয়াম বা বাবাসাহেব আম্বেদকরের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে ‘পঞ্চতীর্থ’-এর পুনর্নিমাণ, প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা কিংবা জাতীয় যুদ্ধ স্মারক – যাই-ই হোক না কেন, এই উদ্যোগগুলি দেশের আবেগ ও মেধার বন্ধনকে আরও নিবিড় করে তুলেছে।

বন্ধুগণ,

আমার মতে, সংযোগ ও যোগাযোগের অর্থ হল সারা দেশকে একসূত্রে বেঁধে ফেলা। ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা। আকাশবাণীর মতো সমস্ত যোগাযোগ চ্যানেলের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গী হওয়া উচিত এটাই। এই লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আপনারা সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন এবং বেতার তরঙ্গের এই সম্প্রসারণ দেশকে নতুন নতুন শক্তি যোগাবে, একথা নির্দ্ধিধায় উচ্চারণ করতে পারি। আমি আরও একবার আকাশবাণী এবং দূরদুরান্তের ভাই-বোনদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।