মঞ্চে উপস্থিত রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী কলরাজ মিশ্রজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী এবং এই পবিত্র ভূমির সেবক গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত ও কৈলাশ চৌধুরী, রাজস্থান সরকারের মন্ত্রী শ্রী ভজন লাল, সাংসদ এবং সমবেত সুধীবৃন্দ!
প্রথমেই বীর দুর্গাদাস রাঠোরের স্মৃতি বিজড়িত মান্দোরের এই ভূমিকে আমি প্রণাম জানাই। আজ এখানে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হ’ল। বিগত ৯ বছরে রাজস্থানের উন্নয়নে আমাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার সুফল মিলছে এখন।
বন্ধুগণ,
রাজস্থান ভারতের গৌরবগাথাকে তুলে ধরে। সম্প্রতি যোধপুরে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা। রাজস্থান ভারতের গৌরবময় অতীতকে তুলে ধরার পাশাপাশি, দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতেরও প্রতীক। এই প্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত উন্নয়নের প্রশ্নে একের পর এক শিখর স্পর্শ করে চলেছে, গড়ে উঠছে আধুনিক পরিকাঠামো। যোধপুর ছুঁয়ে যাওয়া বিকানির – জয়সলমীর এক্সপ্রেসওয়ে এ রাজ্যের আধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন পরিকাঠামোর এক উজ্জ্বল উদাহরণ। সড়ক থেকে শুরু করে রেল – সবক্ষেত্রেই এই রাজ্যের উন্নয়নে অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শুধুমাত্র এ বছরেই রাজস্থানে রেল পরিষেবার উন্নয়নে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই পরিমাণ পূর্বতন সরকারের গড় বার্ষিক বরাদ্দের প্রায় ১৪ গুণ। ২০১৪ সালের আগে রাজস্থানে মাত্র ৬০০ কিলোমিটার রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছিল। আজ এখানকার ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় রাজস্থানের ৮০টিরও বেশি রেল স্টেশনকে আধুনিক পরিষেবায় সজ্জিত করে তোলা হচ্ছে। মোদী সরকার দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তদের স্বার্থ রক্ষায় অগ্রাধিকার দেয়। রেল স্টেশনগুলিকে বিমানবন্দরের চেয়েও বেশি আধুনিক করে তোলা এই সরকারের লক্ষ্য।
বন্ধুগণ,
আজ চালু হওয়া সড়ক ও রেল প্রকল্পগুলি উন্নয়ন যাত্রাকে আরও মসৃণ করবে। একের পর এক নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে এখানে। কয়েকদিন আগেই রাজস্থানে বন্দেভারত ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেছি আমি। আজ তিনটি সড়ক প্রকল্পেরও শিলান্যাস হয়েছে। যোধপুর ও উদয়পুর বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজও শুরু হ’ল। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি, এইসব প্রকল্প রাজস্থানের পর্যটন ক্ষেত্রেরও প্রসার ঘটাবে।
বন্ধুগণ,
মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রশ্নে রাজস্থান একটি স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে। কোটায় তৈরি হয়ে উঠছেন বহু চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়ার। এইমস্ যোধপুরে গড়ে তোলা হচ্ছে ট্রমা ও ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট। প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত পরিকাঠামো যোজনার আওতায় জেলা হাসপাতালগুলিতেও গড়ে তোলা হচ্ছে ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লক। এইমস্ যোধপুর এবং আইআইটি যোধপুর শুধুমাত্র এই রাজ্যেরই নয়, সারা দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
বন্ধুগণ,
প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রেমীদের কাছে রাজস্থানের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। গুরু জম্ভেশ্বর এবং বিষ্ণোই জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ-বান্ধব জীবনশৈলী অনুসরণ করছেন, যা এখন গ্রহণ করতে চাইছে সারা বিশ্ব। এর উপর ভিত্তি করে ভারত নেতৃত্ব দিচ্ছে সারা বিশ্বকে। আমাদের প্রচেষ্টা উন্নত ভারতের ভিত তৈরি করে দেবে। সেক্ষেত্রে রাজস্থানের সমৃদ্ধি এক আবশ্যিক শর্ত।
ধন্যবাদ।