Quoteপ্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন তিনি
Quote“ভারত গুরুত্বপূর্ণ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে”
Quote“আত্মপ্রত্যয়ে ভরপুর একজন যুবক দেশের ভবিষ্যতের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন”
Quote“ভারতের দ্রুত উন্নয়নের কারণে আমাদের যুবশক্তির আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে”
Quote“ভারত যা অঙ্গীকার করে, সেটিই পূরণ করে এবং গণতন্ত্রের কারণেই তা বাস্তবায়িত হয়”
Quote“চিপ উৎপাদনের মাধ্যমে ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে যার মধ্য দিয়ে দেশ আধুনিক হবে”
Quote“চিপ উৎপাদক কেন্দ্র সীমাহীন সম্ভাবনার দরজাকে খুলে দিয়েছে”
Quote“ভারতের যুব সম্প্রদায় সক্ষম, তাঁদের সুযোগের প্রয়োজন; আজ এই সেমিকন্ডাক্টর সংক্রান্ত উদ্যোগগুলি দেশের কাছে নতুন নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে”

নমস্কার!

মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি, শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখরজি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী,  গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী,  টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান শ্রী নটরাজন চন্দ্রশেখরণজি এবং সিজি পাওয়ারজি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন লিমিটেডের শ্রী শ্রীভেল্লায়ান সুব্বিয়াজি, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ!  

আজ, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে আমরা এক নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছি, যা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আজ এই অনুষ্ঠানে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের শিলান্যাস করা হ’ল এই তিনটি প্রকল্প হল - গুজরাটে ঢোলেরায় বিশেষ বিনিয়োগ অঞ্চল, আসামের মরিগাঁও-এ আউটসোর্স সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট এবং গুজরাটের সানন্দে আউটসোর্স সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট। এই প্রকল্পগুলি ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সহায়তা করবে। এর জন্য আমি সকল দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। এই প্রকল্পগুলি নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবে। তাইওয়ান থেকে আমাদের বন্ধুরাও এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে যোগ দিয়েছেন, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের এই উদ্যোগগুলির জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বন্ধুগণ, 

গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ৬০ হাজার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধুরা, যা এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলাম যে, আজকের এই অনুষ্ঠানে যত বেশি সম্ভব যুবক-যুবতীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। দেশের যুবসম্প্রদায়ের লালিত স্বপ্নকে এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আজকের এই অনুষ্ঠান সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পগুলির সূচনা অনুষ্ঠান। কিন্তু, যুবক-যুবতী ও ছাত্রছাত্রীরা যাঁরা আমার সামনে বসে রয়েছেন, যাঁরা ভারতের ভবিষ্যৎ, আমাদের দেশের সম্ভাবনা যাঁদের মধ্যে নিহিত রয়েছে, তাঁদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, দেশের প্রতিটি প্রান্তে থাকা ছাত্রছাত্রীরা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের যাতে সঙ্গী হতে পারেন, আমি সেই উদ্যোগই নিয়েছি। আজ ভারতে উন্নয়ন, স্বনির্ভর হয়ে ওঠা এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ-শৃঙ্খলে শক্তিশালী উপস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ সর্বাঙ্গীনভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সকলেই জানি যে, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর একজন যুবকের, তাঁর দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা রয়েছে। আর তাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে আমি উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

|

বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দী নিশ্চিতভাবেই প্রযুক্তির মাধ্যমে চালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন চিপ – এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত আরও আধুনিক হয়ে উঠবে। বিভিন্ন কারণে প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লবের সুযোগ ভারত কাজে লাগাতে পারেনি। চতুর্থ পর্যায়ের শিল্প বিপ্লবকে নেতৃত্ব দিতে ভারত উদ্যোগী হয়েছে। সময়ের প্রতিটি মুহুর্তকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আজকের এই অনুষ্ঠানটি যত দ্রুততার সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে তার মধ্য দিয়ে সরকারের সক্রিয়তা প্রমাণিত হয়। আপনারা জানেন, দু’বছর আগে সেমিকন্ডাক্টর মিশনের ঘোষণা করা হয়েছিল। তার কয়েক মাসের মধ্যেই প্রথম সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। আজ তিনটি প্রকল্পের শিলান্যাস করা হল। ভারত যা অঙ্গীকার করে, সেটিই পূরণ করে এবং গণতন্ত্রের কারণেই তা বাস্তবায়িত হয়।
বন্ধুগণ,

পৃথিবীতে মাত্র কয়েকটি দেশেই সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয়। করোনা ভাইরাস অতিমারীর কারণে পৃথিবী জুড়ে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটেছিল। সেই সময় একটি ভরসাযোগ্য শৃঙ্খলের প্রয়োজনীয়তা সকলে অনুভব করেন। ভারত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আগ্রহী। আমাদের দেশে প্রযুক্তি, পারমাণবিক ও ডিজিট্যাল ক্ষমতার বিষয়ে সকলে অবগত। সেমিকন্ডাকটরের বাণিজ্যিক উৎপাদনে ভারত যাতে প্রথম সারিতে থাকতে পারে, তার জন্য যথাযথ কর্ম পরিকল্পনা করতে হবে। সেদিন আর দূরে নেই, যখন সেমিকন্ডাকটর উৎপাদনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠবে। নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত ভারত আজ নিয়েছে আগামীদিনে তার সুফল পাওয়া যাবে। গত কয়েক বছরে ৪০,০০০ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন সহজ-সরল করে তোলা হয়েছে। প্রতিরক্ষা, বীমা এবং টেলিকম ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের নীতিতে সংস্কার ঘটানো হয়েছে। বৈদ্যুতিন এবং হার্ডওয়্যার উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য উৎসাহ ভিত্তিক উৎপাদনের প্রকল্প চালু হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল উৎপাদক দেশ হিসেবে ভারত আত্মপ্রকাশ করেছে। কোয়ান্টাম মিশন, ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে উদ্ভাবনে উৎসাহিত করা হবে। ভারতের কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত মিশনের সম্প্রসারণ ঘটানো হচ্ছে। এইভাবে বিভিন্ন প্রযুক্তি গ্রহণ করা ছাড়াও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে চলেছে। 

 

|

বন্ধুগণ,

এই সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ক্ষেত্র থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন ভারতের যুবসম্প্রদায়। সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ক্ষেত্রে যোগাযোগ থেকে পরিবহণ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্র যুক্ত রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই শিল্প ক্ষেত্র থেকে বহু বিলিয়ন ডলার রাজস্ব ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। চিপ উৎপাদন কেবলমাত্র একটি শিল্প নয়, এখান থেকে উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয় এবং অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়। এই ক্ষেত্র থেকে কেবলমাত্র ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে তা নয়, প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক বিকাশ হবে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর চিপ – এর পেছনে যে ডিজাইন করা হয় এবং সেই ডিজাইন করতে যে মেধার ব্যবহার করা হয়, তা অধিকাংশই ভারতীয় যুবসম্প্রদায়ের। এজন্য আজ ভারত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং আমরা মেধা বাস্তুতন্ত্রের এই বৃত্ত সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। আজ এই অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে যুক্ত সকল যুবক-যুবতীরা জানেন যে, দেশে তাঁদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে। মহাকাশ ক্ষেত্র, মানচিত্রের ক্ষেত্রে ভারত নিজের যুবসম্প্রদায়ের জন্য নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আমাদের সরকার স্টার্টআপ বাস্তুতন্ত্রের যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে এবং এজন্য যে উৎসাহ দিচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। আর এজন্যই এত কম সময়ে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম হিসেবে উঠে এসেছে। আজকের এই অনুষ্ঠানের পর সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রেও আমাদের স্টার্টআপ – এর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই নতুন সূচনা আমাদের যুবসম্প্রদায়কে আধুনিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নতুন সুযোগ দেবে।

বন্ধুগণ,

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে, লালকেল্লা থেকে আমি বলেছিলাম যে, এই সময়ই হচ্ছে সঠিক সময়। আমরা যখন এই চিন্তাভাবনা থেকে নীতি-নির্ধারণ করি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, তখন তার ফলাফলও যথার্থভাবেই পাওয়া যায়। ভারত এখন দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। পুরনো চিন্তাভাবনা ফেলে দিয়ে সামনের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ভারত। দ্রুতগতিতে এখানে নীতি-নির্ধারণ হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বেশ কয়েক দশক হারিয়েছি। কিন্তু, এখন আর এক মুহূর্তও হারাতে চাই না। ভারত সর্বপ্রথম ষাটের দশকে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের স্বপ্ন দেখেছিল। এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছিল। কিন্তু, এই চিন্তাভাবনা তখনকার সরকার বাস্তবায়িত করেনি। এর সবচেয়ে বড় কারণ ইচ্ছাশক্তির অভাব ও নিজ নিজ সংকল্পকে বাস্তবে পরিণত করার ইচ্ছের অভাব। এছাড়াও, দেশের জন্য দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার অভাবও দায়ী। ভারত এজন্যই বহু বছর সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারেনি। সেই সময় যাঁরা সরকারে ছিলেন, তাঁরাও ভাবতেন, আরে, তাড়াহুড়োর কি আছে! সময় এলে তখন হবে। সরকারেরও মনে হ’ত যে, এই কাজ ভবিষ্যতে প্রয়োজন হবে। তাই, এর সমাধান এখন থেকেই কেন করা। তখনকার সময়ে সরকার দেশের প্রাথমিকতার মধ্যেও ভারসাম্য তৈরি করতে পারেনি, দেশের ক্ষমতাও বুঝতে পারেনি। তাঁদের মনে হয়েছিল, ভারত তো দরিদ্র দেশ... ভারত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের মতো উচ্চ প্রযুক্তির কাজ কিভাবে সামলাতে পারবে। তাঁরা ভারতের দারিদ্র্যতার কথা ভেবে আধুনিক কাজে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় বা বিনিয়োগকে সর্বদাই এড়িয়ে গেছেন। তাঁরা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। কিন্তু, সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেননি। এই চিন্তাভাবনা নিয়ে যাঁরা চলেন, তাঁরা কখনই দেশের উন্নয়ন করতে পারেন না। এজন্য আমাদের সরকার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তাভাবনা ও ভবিষ্যতের উপর নির্ভরশীল কর্মপন্থার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং ফলশ্রুতিতে যে কোনও উন্নত দেশের সঙ্গে বর্তমানে নিজেকে তুলনা করতে পারে ও প্রতিযোগিতাও করতে পারে। আমাদের দেশ বর্তমানে নিজের প্রাথমিক দায়িত্বের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। একদিকে আমরা দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করছি, অন্যদিকে গবেষণাকে উৎসাহ দিতে ব্যয় করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। একদিকে আামরা দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা অভিযান পরিচালনা করছি, অন্যদিকে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ক্ষেত্রেও সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আমরা একদিকে দেশ থেকে দ্রুততার সঙ্গে দারিদ্র্যতা দূর করছি, অন্যদিকে একই গতিতে তৈরি হচ্ছে আধুনিক পরিকাঠামোও। দেশ ক্রমশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছি। আমি গতকালই পোখরানে একুশ শতকের ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা সংক্রান্ত একটি ট্যাবলো প্রত্যক্ষ করেছি। দু’দিন আগে ভারত অগ্নি-৫ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের বিশেষ ক্লাবে যুক্ত হয়েছে। দু’দিন আগেই দেশের কৃষি কাজে ড্রোন বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। নমো ড্রোন দিদি যোজনার আওতায় হাজার হাজার ড্রোন মহিলাদের দেওয়া হয়েছে। গগনযান নিয়ে ভারত জোর কদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে। সম্প্রতি দেশ প্রথম ভারতে তৈরি ফাস্ট ব্রিডার নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর পেয়েছে। এইসব প্রচেষ্টা এবং প্রকল্প ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য  পূরণে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আজকের এই তিনটি প্রকল্প এই লক্ষ্যে বড় ভূমিকা পালন করবে, তা নিশ্চিত। 

বন্ধুগণ,

আপনারা জানেন যে, বর্তমানে সর্বত্র এআই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ভারতীয় প্রতিভা এআই জগতে সমগ্র বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা দেখেছেন যে, বিগত এক-দু’সপ্তাহে আমি যা ভাষণ দিয়েছি, তাতে যুবসম্প্রদায় ও তরুণ-তরুণীরা আমার কাছে এসে বলেছেন, আমার ভাষণের প্রতিটি শব্দ তাঁরা দেশের দূরবর্তী প্রান্তেও পৌঁছে দিতে চান। তাঁরা এআই যন্ত্র ব্যবহার করে বর্তমানে আমার সব ভাষণ নিজ নিজ ভাশায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই শোনানো শুরু করছেন। অর্থাৎ, কাউকে যদি তামিল ভাষা শুনতে হয়, কাউকে যদি পাঞ্জাবী ভাষা শুনতে হয়, কাউকে যদি বাংলা শুনতে হয় অথবা কাউকে অসমিয়া বা ওড়িয়া ভাষা শুনতে হয় তবে এই চমৎকার আমার দেশের তরুণ প্রজন্ম বাস্তবা করে দিচ্ছেন। আমি এই তরুণ প্রজন্মের কাছে ঋণী কারণ, তাঁরা আমার ভাষণ সব ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমার কাছে এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। দেখতে দেখতে এআই – এর সাহায্যে সব ভাষাতেই আমার কথা আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে। সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে আমাদের এই উদ্যোগ দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করেছে। 

 

|

বন্ধুগণ,

আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আমি হিমন্তজির এই কথার সঙ্গে সর্বসম্মত যে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য এত বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব, তা কখনই কেউ ভাবেননি। আমরা তা নিশ্চিত করেছি। আমি মনে করি যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে সংযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা আরও বাড়াতে উত্তর-পূর্ব ভারত বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। আমি স্পষ্টভাবে তা দেখতে পাচ্ছি। আমি এর শুভারম্ভও দেখতে পাচ্ছি। তাই, আসামের জনগণকে ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগণকে আমি আজ সবচেয়ে বেশি শুভকামনা ও অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,

আপনারা সকলে এভাবেই ভারতের উন্নয়নে নতুন শক্তি যোগাতে যুক্ত হয়ে থাকুন। সামনের দিকে এগিয়ে চলুন। আপনাদের জন্য, আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য এবং আপনাদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য রইল মোদীর গ্যারান্টি। 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

  • Ratnesh Pandey April 10, 2025

    भारतीय जनता पार्टी ज़िंदाबाद ।। जय हिन्द ।।
  • Jitendra Kumar April 03, 2025

    🙏🇮🇳❤️
  • Dheeraj Thakur February 17, 2025

    जय श्री राम
  • Dheeraj Thakur February 17, 2025

    जय श्री राम।
  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • Devendra Kunwar October 08, 2024

    BJP
  • Shashank shekhar singh September 29, 2024

    Jai shree Ram
  • दिग्विजय सिंह राना September 19, 2024

    हर हर महादेव
  • ओम प्रकाश सैनी September 07, 2024

    Ram Ram Ram Ram Ram Ram Ram
  • ओम प्रकाश सैनी September 07, 2024

    Ram Ram Ram Ram Ram Ram
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
How GeM has transformed India’s public procurement

Media Coverage

How GeM has transformed India’s public procurement
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles loss of lives due to fire tragedy in Solapur, Maharashtra
May 18, 2025
QuoteAnnounces ex-gratia from PMNRF

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has expressed deep grief over the loss of lives due to fire tragedy in Solapur, Maharashtra. Shri Modi also wished speedy recovery for those injured in the accident.

The Prime Minister announced an ex-gratia from PMNRF of Rs. 2 lakh to the next of kin of each deceased and Rs. 50,000 for those injured.

The Prime Minister’s Office posted on X;

"Pained by the loss of lives due to a fire tragedy in Solapur, Maharashtra. Condolences to those who have lost their loved ones. May the injured recover soon.

An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF would be given to the next of kin of each deceased. The injured would be given Rs. 50,000: PM" @narendramodi

"महाराष्ट्रात सोलापूर इथे आग लागून झालेल्या दुर्घटनेतील जीवितहानीमुळे तीव्र दु:ख झाले. आपले प्रियजन गमावलेल्या कुटुंबांप्रति माझ्या सहवेदना. जखमी झालेले लवकर बरे होवोत ही प्रार्थना. पंतप्रधान राष्ट्रीय मदत निधीमधून (PMNRF) प्रत्येक मृतांच्या वारसाला 2 लाख रुपयांची मदत दिली जाईल. जखमींना 50,000 रुपये दिले जातील : पंतप्रधान" @narendramodi