জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন আরও কয়েকটি কর্মসূচি
১১,১০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির সুফল ভোগ করবে অযোধ্যা এবং তার সন্নিহিত এলাকা ও অঞ্চলগুলি
অযোধ্যা ধামের পবিত্রতা রক্ষায় মকরসংক্রান্তির দিন থেকে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী
২২ জানুয়ারি দেশের প্রতিটি পরিবারে শ্রী রাম জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করার আবেদন জানালেন তিনি
দরিদ্র মানুষের স্বচ্ছন্দ ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের লক্ষ্যেই 'অমৃত ভারত' ট্রেনের সূচনা বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হলে জাতীয় মানচিত্রে অযোধ্যার মর্যাদা পুনর্প্রতিষ্ঠিত হবে।
মহর্ষি বাল্মীকি বর্ণিত অযোধ্যার সুপ্রাচীন গর্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতের সেই অতুলনীয় বৈশিষ্ট্যময় ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলন ঘটতে চলেছে আধুনিকতার।
সেই চাহিদার কথা মনে রেখেই এখানকার পরিকাঠামোকে এখন ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
এই সিরিজে আজ অযোধ্যাও উপহার পেলো বন্দে ভারত ট্রেনটি।
মোদী গ্যারান্টির অন্যতম প্রমাণ হল নব সাজে সজ্জিত অযোধ্যা নগরী। এই পবিত্র স্থানটির উন্নয়নে তিনি যে তাঁর সর্ব শক্তি নিয়োগ করে যাবেন সেকথাও তিনি বিশেষ জোরের সঙ্গে আজ ঘোষণা করেন।

অযোধ্যাবাসী সকলকেই আমার অভিনন্দন! সারা বিশ্ব আগত প্রায় ২২ জানুয়ারি দিনটির জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করে রয়েছে। কারণ ওই দিনটি হল এক বিশেষ ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সুতরাং অযোধ্যাবাসীও ঐ দিনটির জন্য খুব স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দ ও উত্তেজনার সঙ্গে অপেক্ষা করে রয়েছেন। ভারতীয় ভূ-খন্ডের প্রতিটি ধুলিকণাকে আমি প্রণাম জানাই। প্রণতি জানাই ভারতের প্রতিটি ব্যক্তি মানুষকে। ওই বিশেষ মুহূর্তটির জন্য আমিও আপনাদের মতো উত্তেজনার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছি। এই উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দ ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের সকলের মধ্যেই। মাত্র কিছুক্ষণ আগে অযোধ্যার রাস্তায় আমি প্রত্যক্ষ করেছি এমন কিছু মুহূর্ত যাতে আমার মনে হয়েছে যে সমগ্র অযোধ্যা শহরটি যেন আজ নেমে এসেছে পথেঘাটে। আপনাদের এই ভালোবাসা ও আশীর্বাদের জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ। আসুন আমার সঙ্গে আপনারাও গলা মিলিয়ে বলে উঠুন -

সিয়াবর রামচন্দ্র কি - জয়!

সিয়াবর রামচন্দ্র কি - জয়!

সিয়াবর রামচন্দ্র কি - জয়!

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জি, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী জ্যোতিরাদিত্য জি, অশ্বিনী বৈষ্ণব জি ও ভি কে সিং জি, উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য জি ও ব্রজেশ পাঠক জি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী, সকল সাংসদ ও বিধায়ক এবং আমার প্রিয় পরিবার পরিজন, যাঁরা আজ এখানে বিরাট সংখ্যায় সমবেত হয়েছেন তাঁদের সকলের উদ্দেশে জানাই আমার অভিবাদন। 

 

দেশের ইতিহাসে ৩০ ডিসেম্বর দিনটির এক বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এই দিনটিতেই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্দামানে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আবার, এই পবিত্র দিনটি স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত। স্বাধীনতার অমৃতকালের লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার সংকল্প গ্রহণ করে আমরা এখন অগ্রগতির পথে পা বাড়িয়েছি। এক বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে সাকার করে তুলতে অযোধ্যা নগরী আমাদের প্রচেষ্টায় নতুন শক্তি ও উৎসাহ যুগিয়েছে। ১৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের আজ উদ্বোধন। একই সঙ্গে আবার কয়েকটি প্রকল্প উৎসর্গ করা হবে জাতির উদ্দেশে। এই পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি আধুনিক অযোধ্যা নগরীকে জাতীয় মানচিত্রে বিশেষ গর্বের সঙ্গে তুলে ধরবে। বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারীর মধ্যেও আমাদের অনলস নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ফসল হলো আজকের এই অযোধ্যা নগরী। এই প্রকল্পগুলির জন্য সকল অযোধ্যাবাসীকে জানাই আমার অভিনন্দন। 

 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন,

পৃথিবীর যে কোন দেশই তার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হতে পারে। আমাদের ঐতিহ্য আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় এবং সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছোনোর দিশা নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং বর্তমান ভারত অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে প্রাচীনত্বের সঙ্গে আধুনিকতাকে বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে। অযোধ্যায় রামলালার অধিষ্ঠান ছিল এক সময় এক অস্থায়ী অচ্ছাদনের মধ্যে। তেমনি ভাবে দেশের চার কোটি দরিদ্র মানুষের দীর্ঘদিন কোন স্থায়ী আস্থানা গড়ে ওঠেনি। কিন্তু তাঁরা এখন সকলেই পাকা বাড়িতে বসবাসের সুযোগ লাভ করেছেন। বর্তমান ভারত একদিকে যেমন তাঁর ধর্মীয় স্থানগুলির সৌন্দার্যায়ন ঘটিয়েছে, অন্যদিকে তেমনি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে দেশের রূপান্তরও ক্রমশ বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৩০ হাজারেরও বেশি পঞ্চায়েত ভবন সহ কাশী বিশ্বনাথ ধামকে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। কেদারনাথ ধামকে শুধুমাত্র পুনর্গঠনই করা হয়নি, একই সঙ্গে দেশে স্থাপিত হয়েছে ৩১৫টিরও বেশি মেডিকেল কলেজ। মহাকাল, মহালোক নির্মাণের কাজে আমরা শুধু হাত দিইনি, একই সঙ্গে প্রতিটি গৃহস্থ পরিবারে জলের সুযোগ পৌঁছে দিতে সংস্থাপিত হয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি জলের ট্যাঙ্ক। একদিকে আমরা যেমন মহাকাশ ও সমুদ্র গবেষণা কাজে ব্যস্ত, অন্যদিকে তেমনি আমরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি দেশের পৌরাণিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্যকে। বর্তমান ভারতকে আমরা একঝলক প্রত্যক্ষ করতে পারছি অযোধ্যা নগরীর মধ্যে। উন্নয়নের সঙ্গে ঐতিহ্যের মিলন ঘটিয়ে আমরা ২১ শতকের এক নতুন ভারত গড়ে তুলতে পারবো। 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন, 

মহর্ষি বাল্মীকি স্বয়ং প্রাচীন অযোধ্যা নগরীর বর্ণনা দিয়ে গেছেন। প্রাচীন অযোধ্যা নগরী যে সৌন্দর্য ও বৈভবে এক্কালে সমৃদ্ধির শিখরে আরোহণ করেছিল তার বর্ণনা আমরা পেয়েছি মহর্ষির রচনার মধ্যে। তাই প্রাচীন অযোধ্যা নগরীর সঙ্গে আধুনিক অযোধ্যার মিলনে আমরা এক নতুন অযোধ্যা নির্মাণের কাজে ব্রতী হয়েছি। 

 

বন্ধুগণ, 

আগামী দিনগুলিতে উন্নয়নের এক বিশেষ মডেল রূপে চিহ্নিত হবে অযোধ্যা শহরটি। অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের সুন্দর মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে তা সকলের কাছে আকর্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। লক্ষ লোকের সমাগম ঘটবে অযোধ্যা ধামে। বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্প রূপায়ণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে অযোধ্যা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। 

বন্ধুগণ, 

আজ অযোধ্যা ধাম বিমান বন্দর এবং অযোধ্যা ধাম রেল স্টেশনের উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। আমি আনন্দিত যে অযোধ্যা বিমান বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে মহর্ষি বাল্মীকির নামানুসারে। রামায়ণ মহাকাব্যের মধ্য দিয়ে মহর্ষি আমাদের মিলন ঘটিয়েছিলেন ভগবান শ্রী রামের সঙ্গে। তাই মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি ব্যবহার করে আমরা পৌঁছে যেতে পারবো অনুপম সৌন্দর্যময় রাম মন্দিরের ঐশ্বরিক তথা আধ্যাত্মিকতার জগতে। নতুন এই বিমান বন্দরটি বছরে ১০ লক্ষ যাত্রীর চাপ সামলাতে পারবে। তবে, মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে প্রতি বছর ৬০ লক্ষ যাত্রী এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। অযোধ্যা রেল স্টেশন দিয়ে বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু স্টেশনটির পুরো কাজ সম্পূর্ণ হলে তা প্রতিদিন ৬০ হাজার যাত্রীর চাপ সামলানোর উপযোগী হয়ে উঠবে। 

 

বন্ধুগণ, 

রেল স্টেশন এবং বিমান বন্দরের উদ্বোধন ছাড়াও অযোধ্যায় রামপথ ও ভক্তিপথ, ধর্মপথ এবং শ্রীরাম জন্মভূমিপথ আজ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। অযোধ্যা শহরে গাড়ি পার্কিং-এর স্থানগুলিও আজ থেকে খুলে দেওয়া হলো। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অযোধ্যায় নাগরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে। আমাদের এই নতুন নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান ও রুজিরোজগারের সুযোগ। স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রিক্সা ও ট্যাক্সি চালক, ধাবা ও হোটেল ব্যবসায়ী, পোষাক বিক্রেতা, ফুল-মালার দোকানদার, পূজার উপকরণ বিক্রেতা এবং ছোট-খাটো দোকানদাররা তাঁদের আয় ও উপার্জন বাড়ানোর সুযোগ পাবেন।  

 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন,

রেল আধুনিকীকরণের সঙ্গে সঙ্গে নতুন এক গুচ্ছ ট্রেন পরিষেবারও আজ সূচনা হলো। অমৃত ভারত সিরিজের প্রথম ট্রেনটি চালু হচ্ছে আজ থেকেই। 'বন্দে ভারত', 'নমো ভারত' এবং 'অমৃত ভারত' সিরিজের ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে ভারতীয় রেলের ইতিহাসে। প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্পর্শ করে যাবে অযোধ্যা রেল স্টেশনটিকে। আধুনিক অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি দরিদ্র এবং অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের প্রভূত উপকারে আসবে। গোস্বামী তুলসী দাস তাঁর 'রামচরিত মানস'-এ উল্লেখ করেছেন যে অন্যের প্রতি সেবার থেকে বড় আর কোন ধর্ম বা কর্তব্য থাকতে পারে না। এই আদর্শকে অনুসরণ করে সূচনা হয়েছে আধুনিক অমৃত ভারত ট্রেনের। 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন, 

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে মিলন ঘটেছে উন্নয়নের সঙ্গে ঐতিহ্যের। দেশের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু করে কাশী থেকে। কিন্তু বর্তমানে কাশী, বৈষ্ণো দেবী কাটরা, উজ্জ্বয়িনী, পুষ্কর, তিরুপতি, শিরদি, অমৃতসর এবং মাদুরাই সহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলির সংযোগ ও যোগাযোগ ঘটেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে। অযোধ্যা ধাম জংশন - আনন্দ বিহার বন্দে ভারত ট্রেনের আজ আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। এই সিরিজের ট্রেনগুলির মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের আদর্শকে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। 

 

বন্ধুগণ, 

অতি প্রাচীনকাল থেকে তীর্থযাত্রা আমাদের দেশে এক তাৎপর্যময় ঘটনা রূপে চিহ্নিত হয়েছে। বদ্রীনাথ বিশাল থেকে সেতুবন্ধ রামেশ্বর, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর, দ্বারকা থেক জগন্নাথ পুরী, ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন স্থান, চারধাম যাত্রা, কৈলাশ ও মানস সরোবর যাত্রা, শক্তিপীঠ যাত্রা - এসমস্ত কিছুই আজও আকর্ষণ করে দেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীকে। ভগবান বুদ্ধের জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছে লুম্বিনী, কপিলাবস্তু, সারনাথ, কুশিনগর ও রাজনগরের মতো ধর্মীয় স্থানগুলি। অন্যদিকে, শিখ ও জৈন ধর্ম আচরণের জন্য দেশের প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে আরও বহু ধর্মীয় স্থান। অন্যদিকে, উত্তর পূর্ব ভারতে বিশেষত অরুণাচল প্রদেশে রয়েছে বিখ্যাত পরশুরাম কুন্ড। 

বন্ধুগণ, 

আমাদের সকলের জীবনেই আজ উপস্থিত এক বিশেষ ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নতুন নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে নতুন নতুন সংকল্প গ্রহণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত এটি। আমি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কাছে আবেদন জানাই যে আগামী ২২ জানুয়ারি দিনটিতে দীপাবলি উদযাপনের মতো ভগবান শ্রীরামের প্রতি ভক্তি জানাতে নিজ নিজ গৃহে তাঁরা যেন বাতি প্রজ্জ্বলন করেন। এর আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এক নতুন ভারত। 

 

Friends,

Today, my earnest request to my brothers and sisters in Ayodhya is that you should be prepared for countless guests from all over the country and the world. People will continuously come to Ayodhya every day, and there will be millions of people coming. They will come at their convenience; some will come in a year, some in two years, some in 10 years, but millions of people will come. And this tradition will continue for eternity. Therefore, the residents of Ayodhya also need to make a resolution. And this resolution is to make the city of Ayodhya the cleanest city in Bharat. The responsibility for Swachh Ayodhya lies with the residents of Ayodhya. And for this, we need to take every step together. Today, I reiterate my request to all the pilgrimage sites and temples in the country. My prayer to the people across the country is that starting a week before January 14, Makar Sankranti, a massive cleanliness campaign should be conducted at all the small and big pilgrimage sites across the country. From January 14 to January 22, we should run a cleanliness campaign in every temple, in every corner of Bharat. Lord Ram belongs to the entire country, and when Lord Ram is coming, none of our temples, none of our pilgrimage sites, and their surroundings should be unclean.

Friends,

Just a while ago, I had the privilege of another fortunate event in the city of Ayodhya. Today, I am happy to share that I had the opportunity to have tea at the home of the 10th crore beneficiary sister of the Ujjwala Gas Connection scheme. When we started the Ujjwala scheme from Ballia, Uttar Pradesh, on May 1, 2016, no one could have imagined that this scheme would reach such heights of success. This scheme has permanently transformed the lives of millions of families, countless mothers and sisters, liberating them from the shackles of cooking with firewood.

 

বন্ধুগণ, 

মোদীর গ্যারান্টি সম্পর্কে জানতে কম বেশি সকলেই প্রায় সমান উৎসুক ও আগ্রহী। আমি তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, মোদী যা বলেন বাস্তবে তাই করে থাকেন। কারণ তিনি তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন দেশবাসীর সেবায়। তাই মোদী গ্যারান্টির ওপর আস্থা এখন সকলের মধ্যেই এই ঘটনার প্রমাণ আজকের এই অযোধ্যা নগরী। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে ঘোষণা করছি যে পবিত্র অযোধ্যা ভূমির উন্নয়নে আমি চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখবো না। ভগবান শ্রীরামের আশীর্বাদ আমাদের সকলের ওপর বর্ষিত হোক এই প্রার্থনা জানাই। আমি আনত প্রণাম জানাই ভগবান শ্রী রামের পদপ্রান্তে। আমাদের এই উন্নয়নের যাত্রাপথে সামিল হওয়ার জন্য সকলকেই জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। আসুন আমরা মিলিত কন্ঠে বলে উঠি :

জয় সিয়ারাম! 

জয় সিয়ারাম! 

জয় সিয়ারাম! 

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

আপনাদের সকলকে জানাই আমার অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।