Quoteআমরা ২০২৫-এর মধ্যে পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রন করার লক্ষ্য স্থির করেছি: প্রধানমন্ত্রী
Quoteসরকার ১১টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে , যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারের সাহায্যে সম্পদকে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়: প্রধানমন্ত্রী
Quoteসারাদেশে ইথানল উৎপাদন এবং সরবরাহের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ই-১০০’র পাইলট প্রজেক্টও পুণেতে শুরু করা হয়েছে

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আমার সহযোগী শ্রী নীতিন গড়কড়ি জী, নরেন্দ্র সিং তোমর জী, প্রকাশ জাভরেকর জী, পিয়ুষ গোয়েল জী, ধর্মেন্দ্র প্রধান জী, গুজরাটের খেড়ার সাংসদ দেবুসিং জেসিংভাই চৌহান জী, উত্তর প্রদেশের হরদৈয়ের সাংসদ ভাই জয়প্রকাশ রাওয়াত জী, পুণের মেয়র মুরলীধর মহৌল জী, পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় পুরসভার মেয়র ভগিনী ঊষা জী, এবং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজন ও আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমাদের কিষান ভাইদের সঙ্গে আমি যখন কথা বলছিলাম, তখন তাঁরা আমায় জানাচ্ছিলেন যে তাঁরা কতো সহজে বায়ো ফুয়েল ব্যবহৃত পদ্ধতি ব্যবহার করছেন এবং কতটা ভালোভাবে তা করছেন এবং যথেষ্ট  আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তা করছেন। দেশে স্বচ্ছ উর্জা ব্যবহারের প্রচারে যে অভিযান চলছে, এরফলে কৃষিক্ষেত্রও লাভবান হচ্ছে। আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবাস উপলক্ষে ভারত আরও একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ এখনই ইথানল ক্ষেত্রের উন্নয়নে একটি পথনির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। সারাদেশে ইথানল উৎপাদন এবং সরবরাহের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ই-১০০’র পাইলট প্রজেক্টও পুণেতে শুরু করা হয়েছে। আমি পুণেবাসীদের অভিনন্দন জানাই, পুণের মেয়রকে অভিনন্দন জানাই। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যে লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি, সেজন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুরা,
আপনারা মনে করে দেখুন, আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে দেশে ইথানল নিয়ে খুব কম আলোচনা হয়েছে। কেউ এই নিয়ে কথাই বলতো না। আর বললেও রুটিনমাফিক আলোচনা ছাড়া কিছুই হতো না। কিন্তু আজ ইথানল একবিংশ শতাব্দীর ভারতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এরফলে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি কৃষকদের জীবনেও এর সুফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ২০২৫-এর মধ্যে পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রন করার লক্ষ্য স্থির করেছি। আগে ২০৩০-এর মধ্যে এই লক্ষে পৌঁছানোর বিষয়টি স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে যেভাবে এই ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ হয়েছে, সেজন্যে আমরা যা ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা ৫ বছর কমিয়ে ২০২৫ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫ বছর আগেই!
বন্ধুরা,
বিগত ৭ বছরে দেশ যেসব লক্ষ্য পূরণ করেছে, দেশ যে সমস্ত প্রচেষ্টা করেছে, এবং সেই লক্ষ্যে সাফল্য পাওয়ার ফলেই আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস হয়েছে। ২০১৪ পর্যন্ত ভারতে গড়ে মাত্র এক থেকে দেড় শতাংশ ইথানলের মিশ্রন করা হতো। আজ তা প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ২০১৩-১৪ সালে, যেখানে দেশে ৩৮ কোটি লিটার ইথানল কেনা হতো, আজ তা প্রায় ৩২০ কোটি লিটারে গিয়ে পৌছেছে। মানে প্রায় ৮গুন বেশি ইথানল কেনা হচ্ছে। গত বছরেই তেল বিপণন সংস্থাগুলি প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার ইথানল কিনেছে। এর একটা বড় অংশ, যে ২১ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল, তার একটা বড় অংশ আমাদের কৃষকদের পকেটে গেছে। বিশেষ করে আমাদের আখ চাষীদের এরফলে অনেক লাভ হয়েছে।  ২০২৫ সালের মধ্যে যখন পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণ শুরু হয়ে যাবে, তখন ভাবুন কৃষকরা তেল কোম্পানীগুলির থেকে কতো বেশি টাকা পাবে। এরফলে চিনির অতিরিক্ত উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, কারন কখনও কখনও বেশি উৎপাদন হয়ে গেলে, সারা বিশ্বে ক্রেতার সঙ্কট দেখা দেয়, দেশের মধ্যেও দাম পড়ে যায়। এবং অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দেয়, যেরকম এতো উৎপাদন কোথায় রাখা হবে, সে সমস্যাগুলিও রয়েছে। এরকম সমস্ত সমস্যা কমাতে সাহায্য হবে, এবং আখ চাষীরা এরফলে সরাসরি লাভবান হবেন। অনেক লাভ হবে।
বন্ধুরা,
২১ শতকের ভারত, ২১ শতকের আধুনিক ভাবনা, আধুনিক নীতির মাধ্যমেই শক্তিশালী হবে। আমাদের সরকারও প্রত্যেক ক্ষেত্রে এই ভাবনা মাথায় রেখেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আজ দেশে ইথানলের উৎপাদন এবং বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এতোদিন পর্যন্ত যে ৩-৪টি রাজ্যে চিনির উৎপাদন বেশি হয়, সেই রাজ্যগুলিতেই ইথানল তৈরির সংস্থাগুলি ছিল। পচে যাওয়া ফসল ব্যবহার করে এর উৎপাদন সারা দেশে বিস্তার করতে ফুড গ্রেন বেসড ডিস্টিলারিজের স্থাপনা করা হয়েছে।  কৃষির বর্জ্য পদার্থ থেকে ইথানল তৈরি করতে দেশে আধুনিক প্রযুক্তির প্লান্ট বসানোর কাজ চলছে।
বন্ধুরা,
জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ রুখতে বিশ্বজুড়ে যে সমস্ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তারমধ্যে ভারত একটি আশার কিরণ হয়ে দেখা দিয়েছে। মানবজাতির কল্যাণে ভারত আজ এক বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। একসময় সারা বিশ্ব ভারতকে সমস্যা হিসেবে দেখতো, পরিবেশ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, সবার মনে হতো ভারতের এতো বিশাল জনসংখ্যা, বিপদ এখান থেকেই শুরু হবে। আজ পরিস্থিতি পালটে গেছে। আমাদের দেশ পরিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, এক ভয়ঙ্কর বিপদের বিরুদ্ধে বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। ওয়ান সান, ওয়ান ওয়ার্ল্ড, ওয়ান গ্রিড- এক সুর্য, এক পৃথিবী, এক গ্রিড ব্যবস্থার ভাবনা বাস্তবায়িত করতে আন্তর্জাতিক সৌর সংগঠন তৈরি করা হোক, অথবা দুর্যোগ প্রতিরোধক পরিকাঠামো সংগঠনের সূচনা হোক, ভারত একটি বড় আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি  নিয়ে এগিয়ে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পার্ফর্মেন্স ইন্ডেক্সে ভারত প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
বন্ধুরা,
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে সমস্যাগুলি তৈরি হচ্ছে, ভারত সেবিষয়ে সচেতন এবং সক্রিয়ভাবে কাজও করছে। আমরা একদিকে গ্লোবাল সাউথের ন্যায্য উর্জার প্রতি সংবেদনশীল এবং গ্লোবাল নর্থের দায়িত্বের পক্ষে রয়েছি, অন্যদিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমাদের ভূমিকা পালন করছি। ভারত শক্তি পরিবর্তনের এমন একটি পথ বেছে নিয়েছে যেখানে আমাদের নীতি ও সিদ্ধান্তে হার্ড এবং সফট কম্পোনেন্ট উভয়েরই সমান গুরুত্ব রয়েছে। আমি যদি হার্ড কম্পোনেন্টের বিষয়ে কথা বলি ভারতের বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হোক, সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য অভূতপূর্ব গতি হোক,সারা বিশ্ব  সবকিছুই খুব খুঁটিয়ে দেখছে। গত ৬-৭ বছরে আমাদের পুনর্নবীকরণ শক্তির ক্ষমতা  আড়াইশো শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে । পুনর্নবীকরণ শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রতিস্থাপনে ভারত আজ বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে । এর মধ্যেও, গত ৬ বছরে সৌরশক্তির সক্ষমতা প্রায় ১৫ গুণ বাড়ানো হয়েছে। আজ, ভারতের কচ্ছে, গুজরাটের কচ্ছ মরুভূমিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার এবং উইন-হাইব্রিড এনার্জি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, এবং ভারতও ১৪ গিগাওয়াটের পুরানো কয়লাখনি বন্ধ করে দিয়েছে। দেশ সফ্ট কম্পোনেন্টের মাধ্যমেও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ দেশের সাধারণ মানুষ পরিবেশ-সংরক্ষণের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এবং তাঁরা এর নেতৃত্বও দিচ্ছেন।
আমরা দেখেছি কীভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক প্রত্যাহারের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। মানুষও নিজের মতো করে কিছুটা চেষ্টা করছে। এখনও আরও অনেক কিছু করার প্রয়োজন। তবে কথা শুরু হয়েছে, চেষ্টা শুরু হয়েছে। আমাদের সমুদ্র সৈকত পরিস্কারের বিষয়টি দেখুন, যুবকরা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। অথবা স্বচ্ছ ভারত অভিযান, দেশের সাধারণ নাগরিকরা তাদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছিল, এবং আমার দেশবাসী আজ এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। দেশে ৩৭ কোটিরও বেশি এলইডি বাল্ব এবং ২৩ লক্ষেরও বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী পাখার কারণে পরিবেশ সংরক্ষণের যে কাজ হয়েছে,  তা নিয়ে প্রায় আলোচনাই করা হয়না। এই বিষয়ে অনেক আলোচনা হওয়া উচিত। একইভাবে উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় কোটি কোটি পরিবার নিখরচায় গ্যাস সংযোগ পেয়ে, সৌভাগ্য প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ সংযোগ, যাদের আগে কাঠ-কয়লা পুড়িয়ে ধোঁয়ার মধ্যে দিন গুজরান করতে হতো আজ এই কাঠ-কয়লার ওপর তাদের নির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এরফলে দূষণ কম হোয়ার পাশাপাশি আমাদের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়তা করেছে। তবে এই নিয়েও খুব বেশি আলোচনা হয় না। ভারত এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে কয়েক মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন রোধ করেছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিচালনার পথে ভারতকে আজ শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে। একইভাবে ৩ লক্ষেরও বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী পাম্পের মাধ্যমে দেশ আজ কয়েক মিলিয়ন টন কম কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে ছাড়ছে ।
বন্ধুরা,
আজ, ভারত বিশ্ববাসীর সামনে একটি উদাহরণ স্থাপন করছে যে পরিবেশ রক্ষা করতে উন্নয়নমূলক কাজ আটকানোর প্রয়োজন হয় না। অর্থনীতি এবং পরিবাশ উভয়ই একসঙ্গে পাশাপাশি চলতে পারে, এগিয়ে যেতে পারে এবং ভারত এই পথই বেছে নিয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, গত কয়েক বছরে আমাদের বনাঞ্চলও ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার বেড়েছে। গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। চিতাবাঘের সংখ্যাও প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এত কিছুর মধ্যে, পেঞ্চ জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী বান্ধব করিডোরও আজ আলোচনার বিষয়।
বন্ধুরা,
স্বচ্ছ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী ব্যবস্থাপনা, স্থিতিস্থাপক নগর পরিকাঠামো এবং পরিকল্পিত পরিবেশ পুনর্গঠন আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সবুজে ঢাকা হাইওয়ে- এক্সপ্রেসোয়ে হোক, সৌর শক্তির মাধ্যমে চালিত মেট্রো হোক, ইলেক্ট্রিক বাহনের ওপর জোর দেওয়া অথবা হাইড্রোজেন পরিচালিত যান-বাহন নিয়ে গবেষণা হোক, এই সমস্ত ক্ষেত্রে  বিস্তারিত রণকৌশল নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত এই সমস্ত প্রচেষ্টার ফলে দেশে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
বন্ধুরা,
সাধারণত, এরকম মনে করা হয় যে শুধু কারখানা থেকেই বায়ুদূষণ হয়। কিন্তু তথ্য বলে যে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে যানবাহন, অপরিচ্ছন্ন জ্বালানী, ডিজেল জেনারেটর সহ বেশ কয়েকটি জিনিসের ভূমিকা রয়েছে। আর তাই, ভারত বায়ুদূষণ রোধে 'জাতীয় স্বচ্ছ বায়ু পরিকল্পনা'র মাধ্যমে একটি সামগ্রিক পদ্ধতির সঙ্গে কাজ করে চলেছে। জলপথ এবং মাল্টিমোডাল সংযোগ স্থাপনের কাজ কেবল সবুজ পরিবহনের মিশনকেই জোরদার করবে না, দেশে পণ্য পরিবহনের দক্ষতাকেও বাড়িয়ে তুলবে।দেশের হাজার হাজার জেলায় সিএনজি ব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো তৈরি হোক, ফাস্ট্যাগের মতো আধুনিক ব্যবস্থা হোক, এর মাধ্যমে দূষণ কম করতে প্রচুর সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। আজ দেশে মেট্রো রেল পরিষেবা ৫টি শহর থেকে বেড়ে ১৮টি শহরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শহরতলিতে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে যে কাজ হয়েছে, তারফলে  ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার কমেছে।
বন্ধুরা,
আজ দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটা বড় অংশের বিদ্যুতিকরণ করা হয়েছে। দেশের বিমানবন্দরগুলিকেও  দ্রুতগতিতে সৌর শক্তি নির্ভর তৈরি করাঢ় কাজ চলছে। ২০১৪র আগে কেবল ৭টি বিমানবন্দরেই সৌর শক্তির ব্যবস্থা ছিল, এখন বেড়ে সেই সংখ্যা ৫০এ গিয়ে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্যে ৮০টিরও বেশি বিমানবন্দরে এলইডি লাইট লাগানোর কাজ সম্পূর্ন হয়েছে। ভবিষ্যতের আরও একটি প্রস্তুতির উদাহরণ দেব-
স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, গুজরাটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি, বিশ্বের সবথেকে উঁচু স্মারক। স্ট্যাচু অফ ইউনিটি যেই শহরে রয়েছে, সেই সন্দর কেভাডিয়া শহরকে ইলেক্ট্রিক যানযুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। ভবিষ্যতে কেভাডিয়া শহরে ব্যাটারি চালিত বাস, টু- হুইলার এবং ফোর- হুইলার চালানো হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
বন্ধুরা,
পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে জল চক্রের সরাসরি যোগ রয়েছে। জলচক্রে ভারসাম্য নষ্ট হলে তার সরাসরি প্রভাব জল সম্পদের ওপর পড়ে। আজ দেশে জলসম্পদ বিষয়ক যত কাজ হচ্ছে, তা আগে কখনও হয়নি। দেশে জল সম্পদের নির্মাণ এবং সংরক্ষণ থেকে তার ব্যবহার পর্যন্ত এক সামগ্রিক দৃষ্টিতে কাজ করা হচ্ছে। জলজীবন মিশন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং আমি আপনাদের সকলকে মনে করাতে চাই সে জলজীবন মিশনে এবার একটি কাজ হচ্ছে যাতে আমি দেশের নাগরিকদের সাহায্য চাই। তা হলো বৃষ্টির জল সংরক্ষণ , ক্যাচ দ্য রেইন ওয়াটার, আমাদের বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে হবে, বাঁচাতে হবে।
ভাই ও বোনেরা,
৭ দশকে দেশের প্রায় ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারদের কাছে পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে গেছে, তো ২ বছরেরও কম সময়ে ৪ কোটিরও বেশি পরিবারে কলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একদিকে, পাইপের মাধ্যমে ঘরে ঘরে জল পৌঁছনো, অন্যদিকে অটল ভূ-জল প্রকল্পের মাধ্যমে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বন্ধুরা,
উন্নয়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য, এই আমাদের পরম্পরার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা আমরা আত্মনির্ভর ভারতের শক্তি হিসেবে গড়ে তুলছি।  প্রকৃতি এবং প্রাণীর মধ্যে ভারসাম্যের সম্পর্ক বজায় রাখা, ব্যক্তি এবং সমষ্টির মধ্যে ভারসাম্য, জীব এবং শিবের মধ্যে ভারসাম্য আমাদের শাস্ত্রেই শেখানো হয়েছে।  আমাদের এখানে বলা হয়, ‘ যৎ পিন্ডে, তৎ ব্রহ্মান্ডে’। অর্থাৎ, যা জীবের মধ্যে রয়েছে, তাই ব্রহ্মান্ডে রয়েছে।  আমরাই যাকিছু নিজেদের জন্যে করি তার প্রভাব সরাসরি পরিবেশের ওপর পড়ে। এবং সেজন্যে সম্পদের দক্ষটা নিয়ে ভারতের প্রয়াসও বাড়ানো হচ্ছে।  আজ যে সার্কুলার ইকোনমির আলোচনা হচ্ছে, সেখানে এমন এক পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে যাতে সম্পদের ওপর কম চাপ পড়ে। সরকার ১১টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে , যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারের সাহায্যে সম্পদকে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় । ওইয়েস্ট টু ওয়েলথ, অর্থাৎ ‘কাচরা’ থেকে কাঞ্চনের বিষয়ে প্রচারে বিগত কয়েক বছরে প্রচুর কাজ হয়েছে। এখন এটিকে মিশন মোডে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  বাড়ি বা চাষের জমির বর্জ্য হোক, ধাতুর টুকরো হোক, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি হোক, এরকম অনেক ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনর্নবীকরণকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।  আগামীদিনে এর সঙ্গে সম্পর্কিত সকল কর্মপরিকল্পনা নিয়মমাফিক কার্যকর করা হবে।
বন্ধুরা,
জলবায়ুর সংরক্ষণের জন্য, পরিবেশ রক্ষার জন্যে আমাদের প্রয়াস সংগঠিত হওয়া প্রয়োজন। দেশের প্রত্যেক নাগরিক যখন জল, বায়ু এবং জমির ভারসাম্যের সম্পদের জন্য একজোট হয়ে চেষ্টা করবে, তখনই আমরা আমাদের আসন্ন প্রজন্মকে একটি সুরক্ষিত পরিবেশ দিতে পারবো। আমাদের পূর্ব পুরুষদের ইচ্ছা ছিল, এবং আমাদের জন্য তাঁরা খুব দামী কথা বলে গিয়েছিলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা আমাদের থেকে কী চেয়েছিলেন? তাঁরা দারুন কথা বলে গেছিলেন- পৃথিবীঃ পুঃ চ উর্বী ভব। অর্থাৎ সম্পুর্ণ পৃথিবী, সমগ্র পরিবেশ, আমাদের সকলের জন্যে উত্তম হোক, আমাদের স্বপ্নগুলিকে সুযোগ দিক, এই শুভকামনা নিয়েই আমি আজ বিস্ব পরিবেশ দিবসে এরসঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিশিষ্টজনদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা নিজেদের খেয়াল রাখবেন, সুস্থ থাকবেন। নিজেদের পরিবারকে সুস্থ্য রাখবেন। এবং কোভিড প্রোটোকল মেনে চলবেন, এই আশা নিয়েই অনেক অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা।

  • Jitendra Kumar April 23, 2025

    ❤️🙏🇮🇳🙏
  • Ratnesh Pandey April 16, 2025

    भारतीय जनता पार्टी ज़िंदाबाद ।। जय हिन्द ।।
  • Ratnesh Pandey April 10, 2025

    🇮🇳जय हिन्द 🇮🇳
  • krishangopal sharma Bjp January 01, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 01, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 01, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • langpu roman October 26, 2024

    jay
  • Devendra Kunwar October 17, 2024

    BJP
  • रीना चौरसिया September 11, 2024

    bjp
  • Jayanta Kumar Bhadra February 18, 2024

    Jay Maa Tara
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
After Operation Sindoor, a diminished terror landscape

Media Coverage

After Operation Sindoor, a diminished terror landscape
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM reviews status and progress of TB Mukt Bharat Abhiyaan
May 13, 2025
QuotePM lauds recent innovations in India’s TB Elimination Strategy which enable shorter treatment, faster diagnosis and better nutrition for TB patients
QuotePM calls for strengthening Jan Bhagidari to drive a whole-of-government and whole-of-society approach towards eliminating TB
QuotePM underscores the importance of cleanliness for TB elimination
QuotePM reviews the recently concluded 100-Day TB Mukt Bharat Abhiyaan and says that it can be accelerated and scaled across the country

Prime Minister Shri Narendra Modi chaired a high-level review meeting on the National TB Elimination Programme (NTEP) at his residence at 7, Lok Kalyan Marg, New Delhi earlier today.

Lauding the significant progress made in early detection and treatment of TB patients in 2024, Prime Minister called for scaling up successful strategies nationwide, reaffirming India’s commitment to eliminate TB from India.

Prime Minister reviewed the recently concluded 100-Day TB Mukt Bharat Abhiyaan covering high-focus districts wherein 12.97 crore vulnerable individuals were screened; 7.19 lakh TB cases detected, including 2.85 lakh asymptomatic TB cases. Over 1 lakh new Ni-kshay Mitras joined the effort during the campaign, which has been a model for Jan Bhagidari that can be accelerated and scaled across the country to drive a whole-of-government and whole-of-society approach.

Prime Minister stressed the need to analyse the trends of TB patients based on urban or rural areas and also based on their occupations. This will help identify groups that need early testing and treatment, especially workers in construction, mining, textile mills, and similar fields. As technology in healthcare improves, Nikshay Mitras (supporters of TB patients) should be encouraged to use technology to connect with TB patients. They can help patients understand the disease and its treatment using interactive and easy-to-use technology.

Prime Minister said that since TB is now curable with regular treatment, there should be less fear and more awareness among the public.

Prime Minister highlighted the importance of cleanliness through Jan Bhagidari as a key step in eliminating TB. He urged efforts to personally reach out to each patient to ensure they get proper treatment.

During the meeting, Prime Minister noted the encouraging findings of the WHO Global TB Report 2024, which affirmed an 18% reduction in TB incidence (from 237 to 195 per lakh population between 2015 and 2023), which is double the global pace; 21% decline in TB mortality (from 28 to 22 per lakh population) and 85% treatment coverage, reflecting the programme’s growing reach and effectiveness.

Prime Minister reviewed key infrastructure enhancements, including expansion of the TB diagnostic network to 8,540 NAAT (Nucleic Acid Amplification Testing) labs and 87 culture & drug susceptibility labs; over 26,700 X-ray units, including 500 AI-enabled handheld X-ray devices, with another 1,000 in the pipeline. The decentralization of all TB services including free screening, diagnosis, treatment and nutrition support at Ayushman Arogya Mandirs was also highlighted.

Prime Minister was apprised of introduction of several new initiatives such as AI driven hand-held X-rays for screening, shorter treatment regimen for drug resistant TB, newer indigenous molecular diagnostics, nutrition interventions and screening & early detection in congregate settings like mines, tea garden, construction sites, urban slums, etc. including nutrition initiatives; Ni-kshay Poshan Yojana DBT payments to 1.28 crore TB patients since 2018 and enhancement of the incentive to ₹1,000 in 2024. Under Ni-kshay Mitra Initiative, 29.4 lakh food baskets have been distributed by 2.55 lakh Ni-kshay Mitras.

The meeting was attended by Union Health Minister Shri Jagat Prakash Nadda, Principal Secretary to PM Dr. P. K. Mishra, Principal Secretary-2 to PM Shri Shaktikanta Das, Adviser to PM Shri Amit Khare, Health Secretary and other senior officials.