Unveils a commemorative coin and postal stamp in honour of Bhagwan Birsa Munda
Inaugurates, lays foundation stone of multiple development projects worth over Rs 6640 crore in Bihar
Tribal society is the one which made Prince Ram into Lord Ram,Tribal society is the one that led the fight for centuries to protect India's culture and independence: PM Modi
With the PM Janman Yojana, development of settlements of the most backward tribes of the country is being ensured: PM Modi
Tribal society has made a huge contribution in the ancient medical system of India:PM Modi
Our government has put a lot of emphasis on education, income and medical health for the tribal community: PM Modi
To commemorate the 150th birth anniversary of Lord Birsa Munda, Birsa Munda Tribal Gaurav Upvans will be built in tribal dominated districts of the country: PM Modi

ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!

আমি বলব ভগবান বিরসা মুন্ডা – আপনারা বলবেন অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!

বিহারের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র আরলেকরজি, যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমারজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী জুয়াল ওরামজি, শ্রী জিতেন রাম মানঝিজি, শ্রী গিরিরাজ সিং-জি, শ্রী চিরাগ পাসোয়ানজি এবং শ্রী দুর্গাদাস উইকেজি এবং আজ এখানে আমাদের মধ্যে বিরসা মুন্ডাজির উত্তরসূরীরাও উপস্থিত রয়েছেন। আজ তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের অনুষ্ঠান চলছে। তাই, তাঁদের পরিবার-পরিজন এখন সেই কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে, বুধরাম মুন্ডাজি আজ এখানে এই অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন। তিনি সিধু কানহু-রই এক বংশধর। একথা জানাতে পেরে আমি খুশিই হব যে ভারতীয় জনতা পার্টিতে খুবই বরিষ্ঠ একজন নেতা রয়েছেন। এক সময় তিনি লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও দায়িত্বভার পালন করেছেন। পদ্ম বিভূষণে পুরস্কৃত আমাদের সেই নেতা হলেন শ্রী কারিয়া মুন্ডাজি। জুয়াল ওরামজি একথার উল্লেখ করেছেন যে কারিয়া মুন্ডাজি হলেন তাঁদের কাছে পিতৃতুল্য। ঝাড়খণ্ড থেকে শ্রী কারিয়া মুন্ডাজি আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং আমার বন্ধুসম শ্রী বিজয় কুমার সিনহাজি, শ্রী সম্রাট চৌধুরিজি, বিহার সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীবৃন্দ, সাংসদ, বিধায়ক, অন্যান্য সরকারি প্রতিনিধিবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা জামুই-এর আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা।

 

আজ এখানে বহু মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, রাজ্য মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপস্থিত রয়েছেন। আমি তাঁদের সকলকেই স্বাগত জানাই। আমি অভিনন্দন জানাই আমার কোটি কোটি আদিবাসী ভাই-বোনেদের যাঁরা এখানে ভার্চ্যুয়াল মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। গীত গৌর দুর্গা মা এবং বাবা ধনেশ্বর নাথের পবিত্র ভূমিতে আমি নতমস্তকে প্রণাম জানাই। শ্রদ্ধা জানাই ভগবান মহাবীরের জন্মস্থানটিকে। আজ কার্ত্তিক পূর্ণিমা তথা দেব দীপাবলি। তাই এটি হল এক বিশেষ শুভদিন। একইসঙ্গে আবার তা গুরু নানক দেবের ৫৫৫তম জন্মবার্ষিকী। এই উৎসবের মরশুমে সকল নাগরিককে জানাই আমার অভিনন্দন। আজ এই দিনটি ঐতিহাসিক আরও একটি বিশেষ কারণে। তা হল, ভগবান বিরসা মুন্ডার আজ জন্মবার্ষিকী যা সারা দেশে রাষ্ট্রীয় জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। এই বিশেষ দিনটিতে আমার সকল আদিবাসী ভাই-বোনেদের জানাই আমার বিশেষ অভিনন্দন। গত ২-৩ দিন ধরে জামুই-তে এক বড় ধরনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে। এজন্য আমাদের বিজয়জি এখানে বেশ কয়েক দিন ধরেই অবস্থান করছেন। 

বন্ধুগণ,

গত বছর এই দিনে বিরসা মুন্ডার গ্রাম উলিহাতুতে আমি উপস্থিত ছিলাম, আর আজ আমি শহীদ তিলকা মানঝির পূণ্যভূমিতে উপস্থিত রয়েছি। আজ থেকে ভগবান বিরসা মুন্ডার ষার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে দেশব্যাপী। তাই, দেশের শত শত জেলার কোটি কোটি মানুষ আজ আমার এই অনুষ্ঠানে কোনো না কোনভাবে উপস্থিত রয়েছেন। প্রযুক্তির কল্যাণে তা সম্ভব হয়েছে। তাই, জামুইবাসীদের কাছে নিঃসন্দেহে এ এক গর্বের বিষয়। কয়েকদিন আগে সিধু কানহুর বংশধর শ্রী মণ্ডল মুর্মুকে সম্মান জানানোর সুযোগ আমার হয়েছিল। তাঁদের সকলের উপস্থিতি আজকের এই অনুষ্ঠানের গরিমাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। 

বন্ধুগণ,

বিরসা মুন্ডাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন আজ এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসী ভাই-বোনেদের জন্য ৫০ হাজারের মতো স্থায়ী বাসস্থানের অনুমোদন, আদিবাসী শিশুদের ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বিদ্যালয় ও হস্টেল স্থাপন, আদিবাসী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন ব্যবস্থা, আদিবাসী অঞ্চলগুলির সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকল্পে দীর্ঘ সড়কপথ, আদিবাসী সংস্কৃতির উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত সংগ্রহশালা এবং গবেষণা কেন্দ্র। দেব দীপাবলি উপলক্ষে ১১ হাজারেরও বেশি আদিবাসী পরিবার আজ তাঁদের নতুন বাড়িতে প্রবেশ করবেন। তাঁদের সকলের জন্যই রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

 

 

বন্ধুগণ,

জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন তথা জনজাতীয় গৌরব বর্ষ সূচনার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের কর্মসূচির কেন প্রয়োজন, তাও আমাদের উপলব্ধি ও অনুধাবন করা জরুরি। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে একদা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো তথা তার প্রতিকারের এ হল আমাদের এক সৎ প্রচেষ্টা। আদিবাসী সমাজের অবদানকে ইতিহাস কোনদিনই স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁদের অবদান ছিল কোন অংশেই কম নয়। মনে রাখতে হবে যে আদিবাসী সমাজই যুবরাজ রামকে প্রভু শ্রীরাম-এ রূপান্তরিত করেছিল। ভারতের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী সমাজ বহু শতাব্দী ধরেই সংগ্রাম করে এসেছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালে তাঁদের এই অমূল্য অবদানকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। বিরসা মুন্ডাজির আন্দোলন, সাঁওতাল বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ – এ সমস্তর কথা কি মুছে যাওয়ার বিষয়? ছত্রপতি শিবাজিকে ক্ষমতা লাভে সাহায্য করেছিলেন আদিবাসী ভাই-বোনেরাই। আল্লুরি সীতারাম রাজু, তেলকা মানঝি, সিধু কানহু, বুধু ভগৎ, ধীরাজ সিং, তেলাঙ্গা খারিয়া, গোবিন্দ গুরু, রামজি গোন্ড, বাদল ভোই, রাজা শঙ্কর শাহ, কুমার রঘুনাথ শাহ, তাঁতিয়া ভিল, নীলাম্বর-পীতাম্বর, বীর নারায়ণ সিং, দিবা কিশুন সোরেন, যাত্রা ভগৎ, লক্ষ্মণ নায়েক, রোপুইলিয়ানিজি, রাজমোহিনী দেবী, রানি গাইদিনলিউ, বীর বালিকা কালীবাঈ এবং রানি দুর্গাবতীর কথা কখনও বিস্মরণযোগ্য নয়। মানগড়ে হাজার হাজার আদিবাসী ভাই-বোনেদের ব্রিটিশরা হত্যা করেছিল। এই ঘটনাও কি আমরা কখনও বিস্মৃত হতে পারি?

বন্ধুগণ,

সংস্কৃতি বা সামাজিক ন্যায় – প্রতিটি ক্ষেত্রেই এনডিএ সরকারের কাজ অতুলনীয় বলেই আমি মনে করি। মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মুকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমরা পেয়েছি। তিনিই হলেন ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা নামে যে কর্মসূচির কাজ আমরা শুরু করেছি, তাও আমাদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সৌজন্যেই। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল থাকাকালীন এবং পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি পাদে আসীন হয়েও তিনি আমার সঙ্গে প্রায়শই প্রান্তিক আদিবাসী সমাজের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পূর্ববর্তী সরকারগুলি অনগ্রসর আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য কখনই চিন্তাভাবনা করেনি। আদিবাসী ভাই-বোনেদের সমস্যার নিরসনে এবং তাঁদের জীবনে আমূল পরিবর্তন সম্ভব করে তুলতে ২৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনার সূচনা। আজ এই কর্মসূচির একটি বছর পূর্ণ হল। এই সময়কালে আমরা হাজার হাজার স্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ করে তার চাবি তুলে দিয়েছি প্রান্তিক আদিবাসী সমাজের পরিবারগুলির হাতে। শত শত কিলোমিটার সড়কপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে আদিবাসী অঞ্চলগুলিকে সড়কপথে যুক্ত করার জন্য। প্রতিটি পরিবারে জলের যোগান নিশ্চিত করারও চেষ্টা করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

বহু দশক ধরেই আদিবাসী সমাজ জীবনধারণের প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে উন্নয়ন বলতে প্রায় কিছুই ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় শুধুমাত্র উন্নয়নের কাজই চলছে না, আমার আদিবাসী ভাই-বোনেদের কাছে তা অনেক সুযোগ-সুবিধাও পৌঁছে দিচ্ছে। 

 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হল আদিবাসী কল্যাণ। এই উদ্দেশ্যে অটল বিহারী বাজপেয়ীজি একটি পৃথক মন্ত্রকও গঠন করেছিলেন। আজ থেকে ১০ বছর আগে আদিবাসী অঞ্চল ও পরিবারগুলির উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকারও কম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সরকার এই বরাদ্দ পাঁচগুণ বাড়িয়ে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। কয়েকদিন আগে ধরিত্রী আভা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ যোজনা নামে একটি বিশেষ পরিকল্পনার সূচনা করেছি। এর আওতায় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নয়নে। 

বন্ধুগণ,

আদিবাসী ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও আমাদের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আদিবাসী শিল্পকলা ও সংস্কৃতির কাজে অবদানের স্বীকৃতিতে অনেককেই সম্মানিত করা হয়েছে পদ্ম পুরস্কারে। ভগবান বিরসা মুন্ডার নামাঙ্কিত একটি সংগ্রহশালার কাজও আমরা শুরু করেছি রাঁচিতে। আজ শ্রীনগর ও সিকিমে দুটি আদিবাসী গবেষণা কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। ভগবান বিরসা মুন্ডার স্মরণে ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রাও প্রকাশিত হয়েছে। আদিবাসী সমাজের জন্য আমাদের এই উন্নয়ন প্রচেষ্টা নিরন্তর করে তোলা হবে। 

বন্ধুগণ,

ভারতের সুপ্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও আদিবাসী সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাঁদের ঐতিহ্যকে শুধুমাত্র সংরক্ষণই নয়, তাতে নতুন মাত্রা এনে দিতেও আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উদ্দেশ্যে লেহ-তে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সোয়া রিগপা জাতীয় প্রতিষ্ঠান। আবার, অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত আয়ুর্বেদ ও লোক-চিকিৎসা সম্পর্কিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিষ্ঠানটিকেও আরও উন্নত করে তোলা হয়েছে। আমাদের দেশে স্থাপিত হতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিরাচরিত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কিত একটি বিশ্ব কেন্দ্র। এইভাবে চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে আদিবাসী সমাজের অবদানকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে বিশ্ববাসীর কাছে। 

বন্ধুগণ,

আদিবাসী সমাজের ভাই-বোনেদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য আমাদের সরকার নানাভাবে সচেষ্ট রয়েছে। জামুই-তে স্থাপন করা হচ্ছে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ। আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে স্থাপিত হয়েছে বহু ডিগ্রি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও আইটিআই। দেশজুড়ে আমরা স্থাপন করব ৭০০-টিরও বেশি একলব্য বিদ্যালয়। 

 

বন্ধুগণ,

মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনিক্যাল পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে আদিবাসী সমাজের কাছে একটি বিশেষ সমস্যা হল ভাষার সমস্যা। তাই আমাদের সরকার মাতৃভাষাতেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। আমাদের এই সিদ্ধান্ত আদিবাসী সমাজের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এবং তাঁদের স্বপ্নকে সফল করে তোলার পথও দেখিয়েছে। 

বন্ধুগণ,

বিগত দশকে আদিবাসী যুব সমাজ ক্রীড়াক্ষেত্রেও তাদের দক্ষতা ও নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। আন্তর্জাতিক খেলাধূলার ক্ষেত্রেও তারা অসামান্য অবদানের নজির রেখেছে। তাই, খেলো ইন্ডিয়া অভিযানের আওতায় আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে। মণিপুরে স্থাপিত হয়েছে ভারতের প্রথম জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। 

 

বন্ধুগণ,

বর্তমানে সারা দেশে স্থাপিত হয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি বন ধন কেন্দ্র যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১২ লক্ষের মতো আদিবাসী ভাই-বোন। এর মাধ্যমে তাঁরা জীবনধারণের এক উন্নততর পথের সন্ধান খুঁজে পেয়েছেন। 

বন্ধুগণ,

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ একটি দেশ হিসাবে ভারত আজ বিশ্বের কাছে সুপরিচিত একটি নাম। আদিবাসী সমাজ আমাদের বরাবর এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে যে প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি ও সদ্ভাব বজায় রেখে কিভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব। আদিবাসী সমাজ খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃতিপ্রেমী। তাঁরা সূর্য, বায়ু এবং বৃক্ষ দেবতার পূজার্চনা করে থাকেন। আজ এই শুভ দিনটিতে আমি একথা ঘোষণা করতে চাই যে দেশের আদিবাসী প্রধান জেলাগুলিতে বিরসা মুন্ডা জনজাতীয় গৌরব উপবন স্থাপন করা হবে। এর প্রত্যেকটিতেই রোপণ করা হবে ৫০০ থেকে ১ হাজারের মতো গাছের চারা। 

 

 

বন্ধুগণ,

ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উদযাপন আমাদের নতুন লক্ষ্য স্থির করার কাজে অনুপ্রাণিত করে। এক নতুন ভারত গড়ে তোলার পেছনে তাঁদের আবেগ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত পরম্পরাকে আমরা অবশ্যই সংরক্ষণ করব। এই ঐতিহ্যগুলিকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তাঁরা লালন করে এসেছেন। এর মধ্য দিয়েই এক শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই, জনজাতীয় গৌরব দিবসের এই বিশেষ উপলক্ষে আমি আপনাদের সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আসুন, আমরা আরও একবার একসাথে উচ্চারণ করি -

ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!
ভগবান বিরসা মুন্ডা – অমর রহে, অমর রহে!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Ayushman driving big gains in cancer treatment: Lancet

Media Coverage

Ayushman driving big gains in cancer treatment: Lancet
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 23, 2024
It is a moment of pride that His Holiness Pope Francis has made His Eminence George Koovakad a Cardinal of the Holy Roman Catholic Church: PM
No matter where they are or what crisis they face, today's India sees it as its duty to bring its citizens to safety: PM
India prioritizes both national interest and human interest in its foreign policy: PM
Our youth have given us the confidence that the dream of a Viksit Bharat will surely be fulfilled: PM
Each one of us has an important role to play in the nation's future: PM

Respected Dignitaries…!

आप सभी को, सभी देशवासियों को और विशेषकर दुनिया भर में उपस्थित ईसाई समुदाय को क्रिसमस की बहुत-बहुत शुभकामनाएं, ‘Merry Christmas’ !!!

अभी तीन-चार दिन पहले मैं अपने साथी भारत सरकार में मंत्री जॉर्ज कुरियन जी के यहां क्रिसमस सेलीब्रेशन में गया था। अब आज आपके बीच उपस्थित होने का आनंद मिल रहा है। Catholic Bishops Conference of India- CBCI का ये आयोजन क्रिसमस की खुशियों में आप सबके साथ जुड़ने का ये अवसर, ये दिन हम सबके लिए यादगार रहने वाला है। ये अवसर इसलिए भी खास है, क्योंकि इसी वर्ष CBCI की स्थापना के 80 वर्ष पूरे हो रहे हैं। मैं इस अवसर पर CBCI और उससे जुड़े सभी लोगों को बहुत-बहुत बधाई देता हूँ।

साथियों,

पिछली बार आप सभी के साथ मुझे प्रधानमंत्री निवास पर क्रिसमस मनाने का अवसर मिला था। अब आज हम सभी CBCI के परिसर में इकट्ठा हुए हैं। मैं पहले भी ईस्टर के दौरान यहाँ Sacred Heart Cathedral Church आ चुका हूं। ये मेरा सौभाग्य है कि मुझे आप सबसे इतना अपनापन मिला है। इतना ही स्नेह मुझे His Holiness Pope Francis से भी मिलता है। इसी साल इटली में G7 समिट के दौरान मुझे His Holiness Pope Francis से मिलने का अवसर मिला था। पिछले 3 वर्षों में ये हमारी दूसरी मुलाकात थी। मैंने उन्हें भारत आने का निमंत्रण भी दिया है। इसी तरह, सितंबर में न्यूयॉर्क दौरे पर कार्डिनल पीट्रो पैरोलिन से भी मेरी मुलाकात हुई थी। ये आध्यात्मिक मुलाक़ात, ये spiritual talks, इनसे जो ऊर्जा मिलती है, वो सेवा के हमारे संकल्प को और मजबूत बनाती है।

साथियों,

अभी मुझे His Eminence Cardinal जॉर्ज कुवाकाड से मिलने का और उन्हें सम्मानित करने का अवसर मिला है। कुछ ही हफ्ते पहले, His Eminence Cardinal जॉर्ज कुवाकाड को His Holiness Pope Francis ने कार्डिनल की उपाधि से सम्मानित किया है। इस आयोजन में भारत सरकार ने केंद्रीय मंत्री जॉर्ज कुरियन के नेतृत्व में आधिकारिक रूप से एक हाई लेवल डेलिगेशन भी वहां भेजा था। जब भारत का कोई बेटा सफलता की इस ऊंचाई पर पहुंचता है, तो पूरे देश को गर्व होना स्वभाविक है। मैं Cardinal जॉर्ज कुवाकाड को फिर एक बार बधाई देता हूं, शुभकामनाएं देता हूं।

साथियों,

आज आपके बीच आया हूं तो कितना कुछ याद आ रहा है। मेरे लिए वो बहुत संतोष के क्षण थे, जब हम एक दशक पहले फादर एलेक्सिस प्रेम कुमार को युद्ध-ग्रस्त अफगानिस्तान से सुरक्षित बचाकर वापस लाए थे। वो 8 महीने तक वहां बड़ी विपत्ति में फंसे हुए थे, बंधक बने हुए थे। हमारी सरकार ने उन्हें वहां से निकालने के लिए हर संभव प्रयास किया। अफ़ग़ानिस्तान के उन हालातों में ये कितना मुश्किल रहा होगा, आप अंदाजा लगा सकते हैं। लेकिन, हमें इसमें सफलता मिली। उस समय मैंने उनसे और उनके परिवार के सदस्यों से बात भी की थी। उनकी बातचीत को, उनकी उस खुशी को मैं कभी भूल नहीं सकता। इसी तरह, हमारे फादर टॉम यमन में बंधक बना दिए गए थे। हमारी सरकार ने वहाँ भी पूरी ताकत लगाई, और हम उन्हें वापस घर लेकर आए। मैंने उन्हें भी अपने घर पर आमंत्रित किया था। जब गल्फ देशों में हमारी नर्स बहनें संकट से घिर गई थीं, तो भी पूरा देश उनकी चिंता कर रहा था। उन्हें भी घर वापस लाने का हमारा अथक प्रयास रंग लाया। हमारे लिए ये प्रयास केवल diplomatic missions नहीं थे। ये हमारे लिए एक इमोशनल कमिटमेंट था, ये अपने परिवार के किसी सदस्य को बचाकर लाने का मिशन था। भारत की संतान, दुनिया में कहीं भी हो, किसी भी विपत्ति में हो, आज का भारत, उन्हें हर संकट से बचाकर लाता है, इसे अपना कर्तव्य समझता है।

साथियों,

भारत अपनी विदेश नीति में भी National-interest के साथ-साथ Human-interest को प्राथमिकता देता है। कोरोना के समय पूरी दुनिया ने इसे देखा भी, और महसूस भी किया। कोरोना जैसी इतनी बड़ी pandemic आई, दुनिया के कई देश, जो human rights और मानवता की बड़ी-बड़ी बातें करते हैं, जो इन बातों को diplomatic weapon के रूप में इस्तेमाल करते हैं, जरूरत पड़ने पर वो गरीब और छोटे देशों की मदद से पीछे हट गए। उस समय उन्होंने केवल अपने हितों की चिंता की। लेकिन, भारत ने परमार्थ भाव से अपने सामर्थ्य से भी आगे जाकर कितने ही देशों की मदद की। हमने दुनिया के 150 से ज्यादा देशों में दवाइयाँ पहुंचाईं, कई देशों को वैक्सीन भेजी। इसका पूरी दुनिया पर एक बहुत सकारात्मक असर भी पड़ा। अभी हाल ही में, मैं गयाना दौरे पर गया था, कल मैं कुवैत में था। वहां ज्यादातर लोग भारत की बहुत प्रशंसा कर रहे थे। भारत ने वैक्सीन देकर उनकी मदद की थी, और वो इसका बहुत आभार जता रहे थे। भारत के लिए ऐसी भावना रखने वाला गयाना अकेला देश नहीं है। कई island nations, Pacific nations, Caribbean nations भारत की प्रशंसा करते हैं। भारत की ये भावना, मानवता के लिए हमारा ये समर्पण, ये ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच ही 21वीं सदी की दुनिया को नई ऊंचाई पर ले जाएगी।

Friends,

The teachings of Lord Christ celebrate love, harmony and brotherhood. It is important that we all work to make this spirit stronger. But, it pains my heart when there are attempts to spread violence and cause disruption in society. Just a few days ago, we saw what happened at a Christmas Market in Germany. During Easter in 2019, Churches in Sri Lanka were attacked. I went to Colombo to pay homage to those we lost in the Bombings. It is important to come together and fight such challenges.

Friends,

This Christmas is even more special as you begin the Jubilee Year, which you all know holds special significance. I wish all of you the very best for the various initiatives for the Jubilee Year. This time, for the Jubilee Year, you have picked a theme which revolves around hope. The Holy Bible sees hope as a source of strength and peace. It says: "There is surely a future hope for you, and your hope will not be cut off." We are also guided by hope and positivity. Hope for humanity, Hope for a better world and Hope for peace, progress and prosperity.

साथियों,

बीते 10 साल में हमारे देश में 25 करोड़ लोगों ने गरीबी को परास्त किया है। ये इसलिए हुआ क्योंकि गरीबों में एक उम्मीद जगी, की हां, गरीबी से जंग जीती जा सकती है। बीते 10 साल में भारत 10वें नंबर की इकोनॉमी से 5वें नंबर की इकोनॉमी बन गया। ये इसलिए हुआ क्योंकि हमने खुद पर भरोसा किया, हमने उम्मीद नहीं हारी और इस लक्ष्य को प्राप्त करके दिखाया। भारत की 10 साल की विकास यात्रा ने हमें आने वाले साल और हमारे भविष्य के लिए नई Hope दी है, ढेर सारी नई उम्मीदें दी हैं। 10 साल में हमारे यूथ को वो opportunities मिली हैं, जिनके कारण उनके लिए सफलता का नया रास्ता खुला है। Start-ups से लेकर science तक, sports से entrepreneurship तक आत्मविश्वास से भरे हमारे नौजवान देश को प्रगति के नए रास्ते पर ले जा रहे हैं। हमारे नौजवानों ने हमें ये Confidence दिया है, य़े Hope दी है कि विकसित भारत का सपना पूरा होकर रहेगा। बीते दस सालों में, देश की महिलाओं ने Empowerment की नई गाथाएं लिखी हैं। Entrepreneurship से drones तक, एरो-प्लेन उड़ाने से लेकर Armed Forces की जिम्मेदारियों तक, ऐसा कोई क्षेत्र नहीं, जहां महिलाओं ने अपना परचम ना लहराया हो। दुनिया का कोई भी देश, महिलाओं की तरक्की के बिना आगे नहीं बढ़ सकता। और इसलिए, आज जब हमारी श्रमशक्ति में, Labour Force में, वर्किंग प्रोफेशनल्स में Women Participation बढ़ रहा है, तो इससे भी हमें हमारे भविष्य को लेकर बहुत उम्मीदें मिलती हैं, नई Hope जगती है।

बीते 10 सालों में देश बहुत सारे unexplored या under-explored sectors में आगे बढ़ा है। Mobile Manufacturing हो या semiconductor manufacturing हो, भारत तेजी से पूरे Manufacturing Landscape में अपनी जगह बना रहा है। चाहे टेक्लोलॉजी हो, या फिनटेक हो भारत ना सिर्फ इनसे गरीब को नई शक्ति दे रहा है, बल्कि खुद को दुनिया के Tech Hub के रूप में स्थापित भी कर रहा है। हमारा Infrastructure Building Pace भी अभूतपूर्व है। हम ना सिर्फ हजारों किलोमीटर एक्सप्रेसवे बना रहे हैं, बल्कि अपने गांवों को भी ग्रामीण सड़कों से जोड़ रहे हैं। अच्छे ट्रांसपोर्टेशन के लिए सैकड़ों किलोमीटर के मेट्रो रूट्स बन रहे हैं। भारत की ये सारी उपलब्धियां हमें ये Hope और Optimism देती हैं कि भारत अपने लक्ष्यों को बहुत तेजी से पूरा कर सकता है। और सिर्फ हम ही अपनी उपलब्धियों में इस आशा और विश्वास को नहीं देख रहे हैं, पूरा विश्व भी भारत को इसी Hope और Optimism के साथ देख रहा है।

साथियों,

बाइबल कहती है- Carry each other’s burdens. यानी, हम एक दूसरे की चिंता करें, एक दूसरे के कल्याण की भावना रखें। इसी सोच के साथ हमारे संस्थान और संगठन, समाज सेवा में एक बहुत बड़ी भूमिका निभाते हैं। शिक्षा के क्षेत्र में नए स्कूलों की स्थापना हो, हर वर्ग, हर समाज को शिक्षा के जरिए आगे बढ़ाने के प्रयास हों, स्वास्थ्य के क्षेत्र में सामान्य मानवी की सेवा के संकल्प हों, हम सब इन्हें अपनी ज़िम्मेदारी मानते हैं।

साथियों,

Jesus Christ ने दुनिया को करुणा और निस्वार्थ सेवा का रास्ता दिखाया है। हम क्रिसमस को सेलिब्रेट करते हैं और जीसस को याद करते हैं, ताकि हम इन मूल्यों को अपने जीवन में उतार सकें, अपने कर्तव्यों को हमेशा प्राथमिकता दें। मैं मानता हूँ, ये हमारी व्यक्तिगत ज़िम्मेदारी भी है, सामाजिक दायित्व भी है, और as a nation भी हमारी duty है। आज देश इसी भावना को, ‘सबका साथ, सबका विकास और सबका प्रयास’ के संकल्प के रूप में आगे बढ़ा रहा है। ऐसे कितने ही विषय थे, जिनके बारे में पहले कभी नहीं सोचा गया, लेकिन वो मानवीय दृष्टिकोण से सबसे ज्यादा जरूरी थे। हमने उन्हें हमारी प्राथमिकता बनाया। हमने सरकार को नियमों और औपचारिकताओं से बाहर निकाला। हमने संवेदनशीलता को एक पैरामीटर के रूप में सेट किया। हर गरीब को पक्का घर मिले, हर गाँव में बिजली पहुंचे, लोगों के जीवन से अंधेरा दूर हो, लोगों को पीने के लिए साफ पानी मिले, पैसे के अभाव में कोई इलाज से वंचित न रहे, हमने एक ऐसी संवेदनशील व्यवस्था बनाई जो इस तरह की सर्विस की, इस तरह की गवर्नेंस की गारंटी दे सके।

आप कल्पना कर सकते हैं, जब एक गरीब परिवार को ये गारंटी मिलती हैं तो उसके ऊपर से कितनी बड़ी चिंता का बोझ उतरता है। पीएम आवास योजना का घर जब परिवार की महिला के नाम पर बनाया जाता है, तो उससे महिलाओं को कितनी ताकत मिलती है। हमने तो महिलाओं के सशक्तिकरण के लिए नारीशक्ति वंदन अधिनियम लाकर संसद में भी उनकी ज्यादा भागीदारी सुनिश्चित की है। इसी तरह, आपने देखा होगा, पहले हमारे यहाँ दिव्यांग समाज को कैसी कठिनाइयों का सामना करना पड़ता था। उन्हें ऐसे नाम से बुलाया जाता था, जो हर तरह से मानवीय गरिमा के खिलाफ था। ये एक समाज के रूप में हमारे लिए अफसोस की बात थी। हमारी सरकार ने उस गलती को सुधारा। हमने उन्हें दिव्यांग, ये पहचान देकर के सम्मान का भाव प्रकट किया। आज देश पब्लिक इंफ्रास्ट्रक्चर से लेकर रोजगार तक हर क्षेत्र में दिव्यांगों को प्राथमिकता दे रहा है।

साथियों,

सरकार में संवेदनशीलता देश के आर्थिक विकास के लिए भी उतनी ही जरूरी होती है। जैसे कि, हमारे देश में करीब 3 करोड़ fishermen हैं और fish farmers हैं। लेकिन, इन करोड़ों लोगों के बारे में पहले कभी उस तरह से नहीं सोचा गया। हमने fisheries के लिए अलग से ministry बनाई। मछलीपालकों को किसान क्रेडिट कार्ड जैसी सुविधाएं देना शुरू किया। हमने मत्स्य सम्पदा योजना शुरू की। समंदर में मछलीपालकों की सुरक्षा के लिए कई आधुनिक प्रयास किए गए। इन प्रयासों से करोड़ों लोगों का जीवन भी बदला, और देश की अर्थव्यवस्था को भी बल मिला।

Friends,

From the ramparts of the Red Fort, I had spoken of Sabka Prayas. It means collective effort. Each one of us has an important role to play in the nation’s future. When people come together, we can do wonders. Today, socially conscious Indians are powering many mass movements. Swachh Bharat helped build a cleaner India. It also impacted health outcomes of women and children. Millets or Shree Anna grown by our farmers are being welcomed across our country and the world. People are becoming Vocal for Local, encouraging artisans and industries. एक पेड़ माँ के नाम, meaning ‘A Tree for Mother’ has also become popular among the people. This celebrates Mother Nature as well as our Mother. Many people from the Christian community are also active in these initiatives. I congratulate our youth, including those from the Christian community, for taking the lead in such initiatives. Such collective efforts are important to fulfil the goal of building a Developed India.

साथियों,

मुझे विश्वास है, हम सबके सामूहिक प्रयास हमारे देश को आगे बढ़ाएँगे। विकसित भारत, हम सभी का लक्ष्य है और हमें इसे मिलकर पाना है। ये आने वाली पीढ़ियों के प्रति हमारा दायित्व है कि हम उन्हें एक उज्ज्वल भारत देकर जाएं। मैं एक बार फिर आप सभी को क्रिसमस और जुबली ईयर की बहुत-बहुत बधाई देता हूं, शुभकामनाएं देता हूं।

बहुत-बहुत धन्यवाद।