আপনারা সবাই কেমন আছেন? সব কিছু ভালো তো?
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল জি, আমার মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি জি, সিআর প্যাটেল জি।
বন্ধুগণ,
বিজয় এই মুহূর্তে আমার কানে কানে বলে গেল এবং আমিও রাজকোটে বিশাল সমাবেশ লক্ষ্য করছি। সাধারণত কেউই দিনের এই সময় রাজকোটে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ভাবে না। তাও আবার সপ্তাহে কাজের দিনে, বিকেলে। যাই হোক, আমি দেখতে পারছি বিশাল জনসমাগম এবং মানুষ এত বেশি সংখ্যায় এসেছে যে রাজকোট আজ তা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অন্যথায় আমরা বছরের বছর দেখে এসেছি যে রাত ৮টার পর সেখানে যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। কারণ রাজকোটের মানুষের বিকেলে ভাতঘুমের প্রয়োজন হয়।
আজ রাজকোটের পাশাপাশি সমগ্র সৌরাষ্ট্র এবং গুজরাটের জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য দিন। তবে, শুরুতেই আমি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে চাই। কয়েকদিন আগে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল এবং বন্যাও ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। এই সঙ্কটের সময় আবারও জনগণ এবং সরকার একযোগে এর মোকাবিলা করেছে। ভূপেন্দ্র ভাইয়ের সরকার যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরণের সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও।
ভাই ও বোনেরা,
বছরের পর বছর ধরে আমরা রাজকোটকে সব দিক থেকে উন্নতিলাভ করতে দেখেছি। এখন রাজকোটকে সৌরাষ্ট্রের উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এখানে শিল্প, ব্যবসা, সংস্কৃতি, খাদ্যের মতো একাধিক জিনিসের প্রাচুর্য রয়েছে। কিন্তু এখানে কিছু জিনিস ছিল না এবং আপনারা সবাই আমার কাছে বরাবর সেই দাবিই করতেন। সেই দাবি আজ পূরণ হয়েছে।
কিছুক্ষণ আগে আমি নবনির্বিত বিমানবন্দরে ছিলাম। আমিও অনুভব করেছি আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আনন্দ। আমি সবসময় বলি রাজকোট সেই জায়গা যা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এখান থেকে আমি প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। রাজকোট সেই জায়গা যা আমার রাজনৈতিক যাত্রার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। আর তাই আমি রাজকোটের কাছে চির ঋণী। আমিও সেই ঋণ একটু একটু করে শোধ করছি।
আজ রাজকোট এক নতুন এবং বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পেয়েছে। এখন রাজকোট থেকে দেশের এমনকি বিশ্বের যে কোনো শহরে যাওয়া যাবে। এই বিমাবন্দর থেকে শুধু যাতায়াত সহজ হবে না, সমগ্র অঞ্চলের শিল্প উপকৃত হবে। প্রথম দিকে যখন আমি মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন আমার তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। একবার আমি বলেছিলাম, “এটি মিনি জাপানে পরিণত হচ্ছে”। তখন আমাকে অনেকেই ব্যঙ্গ করেছিলেন। কিন্তু আজ আপনারা প্রমাণ করেছেন, আমার কথা সত্যি ছিল।
বন্ধুগণ,
এখন এখানকার কৃষকদের ফল ও শাকসব্জি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং দেশের বাইরের মান্ডিতে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে। অর্থাৎ রাজকোট শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, একটি পাওয়ার হাউজ পেয়েছে, যা সমগ্র অঞ্চলের উন্নয়নে এক নতুন শক্তি এবং নতুন ডানা মেলবে।
আজ সৌনী যোজনার আওতায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি সম্পন্ন হলে সৌরাষ্ট্রের কয়েক ডজন গ্রামের কৃষকদের জন্য সেচ ও পানীয় জলের সুবিধা মিলবে। এর পাশাপাশি আমরা আজ এখানে রাজকোটের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনের সুযোগ পেয়েছি। আমি এইসমস্ত প্রকল্পের জন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
বিগত ৯ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার সমাজের প্রতিটি স্তর এবং প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। আমরা সুশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছি। আজ আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করছি। দরিদ্র, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী হোক বা আদিবাসী সমাজ সবার জীবনকে উন্নত করার জন্য আমরা নিরলস কাজ করছি।
আমাদের সরকারের প্রচেষ্টায় আজ দেশে দারিদ্র্য দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের সরকারের শাসনকালে ৫ বছরে ১৩.৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ আজ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসে ভারতে একটি নব্য – মধ্যবিত্ত, একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি হচ্ছে। এই কারণেই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে মধ্যবিত্ত, নব্য – মধ্যবিত্ত মূলত সমগ্র মধ্যবিত্ত শ্রেণী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বন্ধুগণ,
২০১৪ সালের আগে মধ্যবিত্তদের খুব সাধারণ অভিযোগের কথা মনে করার চেষ্টা করুন। লোকেরা অভিযোগ করতেন, যে খারাপ যোগাযোগের কারণে তাঁদের যাতায়াতে অনেক সময় নষ্ট হতো। কেউ কেউ বিদেশে গিয়ে টিভিতে বিদেশী চলচ্চিত্র দেখে ভাবতেন, আমাদের দেশেও কবে এমন ব্যবস্থা হবে? কবে এমন রাস্তা তৈরি হবে? এই ধরণের বিমানবন্দর কবে নির্মিত হবে? আগে বিদ্যালয় এবং অফিসে যাতায়াতের অসুবিধা হত এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করতেও সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। বিগত ৯ বছরে আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য সম্ভাব্য সবধরণের প্রচেষ্টা চালিয়েছি। ২০১৪ সালে মাত্র চারটি শহরে মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল। আজ দেশের ২০টিরও বেশি শহরে মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। আজ বন্দে ভারতের মতো আধুনিক ট্রেন দেশের ২৫টি ভিন্ন রুটে চলছে। ২০১৪ সালে দেশে প্রায় ৭০টি বিমানবন্দর ছিল। এখন সেই সংখ্যাও বেড়েছে এবং দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
বিমান পরিষেবার সম্প্রসারণে ভারতে বিমান চলাচল ক্ষেত্র বিশ্বে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আজ ভারতীয় কোম্পানিগুলি লক্ষ কোটি টাকায় নতুন বিমান কিনছে। আজ ১ হাজার নতুন বিমানের বরাত দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ২ হাজার বিমানের বরাত দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনারা স্মরণ করতে পারেন? আমার মনে আছে, যে গুজরাট নির্বাচনের সময় আমি আপনাদের বলেছিলাম – “সেই দিন আর বেশি দূরে নেই, যখন গুজরাটও বিমান তৈরি করবে।” আজ গুজরাট সেই দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
সহজ জীবনযাপন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের সরকার সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। এর আগে দেশের মানুষকে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, আমরা তা ভুলতে পারিনি। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হতো। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হতো। আপনি যদি বীমা বা পেনশন পেতে চাইতেন, তবে তো আরও সমস্যা সম্মুখীন হতে হতো। এমনকি কর জমা দিতেও অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হতো। আমরা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মধ্য দিয়ে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করেছি। আগে ব্যাঙ্কে গিয়ে কাজ করতে অনেক সময় ব্যয় করতে হতো। আজ ব্যাঙ্ক আপনার মোবাইল ফোনে চলে এসেছে। অনেকের হয়তো মনে থাকবে না, যে তারা শেষ কবে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন, কারণ এখন সেখানে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই।
বন্ধুগণ,
সেইসব দিনগুলির কথা মনে করার চেষ্টা করুন, যখন কর দাখিল করাও এক বড় সমস্যা ছিল। আপনাকে কাউকে খুঁজতে হতো এবং এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়তে হতো, এটাই ছিল ব্যবস্থা। আজ আপনি খুব সহজেই অনলাইনে কর দাখিল করতে পারবেন। যদি টাকা ফেরত হয়, তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে সেই টাকা সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। আগে এই টাকা ফেরত পেতে কয়েক মাস সময় লাগতো।
বন্ধুগণ,
মধ্যবিত্ত মানুষের নিজস্ব ঘরের অধিকার পাওয়ার বিষয়ে বিগত সরকারের কোনো তৎপরতা ছিল না। আমরা দরিদ্রদের জন্য ঘর নিশ্চিত করেছি এবং মধ্যবিত্তদের একটি বাড়ির স্বপ্ন পূরণে কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় আমরা বাড়ি তৈরিতে সাহায্যের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারকে বিশেষ ভর্তুকি দিয়েছি। এর আওতায় যেসমস্ত পরিবারের বার্ষিক আয় ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এপর্যন্ত দেশের ৬ লক্ষের বেশি মধ্যবিত্ত পরিবার এই প্রকল্পের বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। এখানে গুজরাটে ৬০ হাজারেরও বেশি পরিবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে।
বন্ধুগণ,
আগের সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল, আমরা প্রায় বাড়ি-ঘর নিয়ে একটা না একটা দুর্নীতির কথা শুনতাম। বছরের পর বছর ধরে বাড়ির মালিকানাও দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে কোনো আইন ছিল না। প্রশ্ন করার কেউ ছিল না। কিন্তু আমাদের সরকার জনগণের স্বার্থরক্ষা করে আরইআরএ আইন প্রণয়ন করেছে। আরইআরএ আইনের কারণে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের টাকা লুট হওয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছেন।
ভাই ও বোনেরা,
আজ যখন দেশে এত কাজ হচ্ছে এবং দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কিছু মানুষের তাতে সমস্যা হওয়াই খুব স্বাভাবিক। যারা সবসময় দেশের মানুষকে তাদের প্রয়োজনে নিজেদের অনুকূলে রাখতে চান, যারা দেশের মানুষের চাহিদা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত ছিল না, তারাই আজ দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে দেখতে নারাজ।
আর সেজন্যই দেখতে পারছেন, আজকাল এই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পরিবারতন্ত্ররাও তাদের দলের নামও পাল্টে ফেলেছে। চেহারা একই, পাপ একই, পদ্ধতি একই, কিন্তু দলের নাম বদলে গেছে। তাদের কাজের ধরনও একই। তাদের উদ্দেশ্যও একই। মধ্যবিত্তরা যখন কম দামে কিছু পায় তখন তারা বলে যে কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। কৃষক বেশি দাম পেলে মুদ্রাস্ফীতিকে দায়ী করে। তারা দ্বৈত রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছে।
সুতরাং, মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে অতীতে তাদের ভূমিকা কি ছিল? তারা যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল তখন মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশে পৌঁছেছিল। আমাদের সরকার যদি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করত তাহলে আজ ভারতে জিনিসপত্রের দাম হত আকাশছোঁয়া। আগের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আজকে দুধ লিটার পিছু ৩০০ এবং ডাল প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিশুদের বিদ্যালয় খরচ থেকে শুরু করে যাতায়াতের ভাড়া সবকিছুই আকাশচুম্বী হয়ে যেতো।
কিন্তু বন্ধুরা, আমাদের সরকার করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলা সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। বর্তমানে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে মুদ্রাস্ফীতি ২৫-৩০ শতাংশ হারে বেড়েছে। কিন্তু ভারতে তা হয়নি। আমরা সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবো।
ভাই ও বোনেরা,
দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তের খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি আমাদের সরকার মধ্যবিত্তের পকেটে যাতে সর্বোচ্চ সঞ্চয় থাকে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে। আপনি হয় তো মনে রাখবেন, ৯ বছর আগে পর্যন্ত ২ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের উপর কর ধার্য ছিল। আপনি আজ ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করলেও কত টাকা কর দিতে হয়? শূন্য! ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের উপর কোনো কর নেই। এতে শহরে বসবাসকারী মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা সাশ্রয়ে সাহায্য করেছে। আমরা স্বল্প সঞ্চয়ে উচ্চ সুদের হার নিশ্চিত করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। এই বছর ইপিএফও-এর জন্য ৮.২৫ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকারের নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে আপনার অর্থ কিভাবে সাশ্রয় হচ্ছে তার একটি উদাহরণ হল মোবাইল ফোন। সম্ভবত আপনি লক্ষ্য করেননি আজ ধনী অথবা দরিদ্র, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একটি ফোন রয়েছে। আজ প্রত্যেক ভারতীয় গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ২০ জিবি করে ডেটা ব্যবহার করেন। আপনি কি জানেন, ২০১৪ সালে ১ জিবি ডেটার দাম কত ছিল? ২০১৪ সালে ১ জিবি ডেটার জন্য আপনাকে ৩০০ টাকা খরচ করতে হতো। বিগত সরকার যদি আজ ক্ষমতায় থাকতো তাহলে মোবাইল বিলের জন্য আপনাকে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৬ হাজার টাকা খরচ করতে হতো। সেখানে আজ আপনি ২০ জিবি ডেটার জন্য মাত্র ৩০০-৪০০ টাকা খরচ করছেন। অর্থাৎ আজ সাধারণ মানুষ তাদের মোবাইল বিলে প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা সাশ্রয় করছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার প্রবীণ নাগরিক, বৃদ্ধ বাবা-মা এবং দাদু-দিদার পরিবারকেও সাহায্য করছে, যাঁদের নানা অসুস্থতার জন্য নিয়মিত ওষুধ কেনার প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এতে প্রচুর সাশ্রয় হচ্ছে। আগে এইসমস্ত মানুষদের বাজারে বেশি দামে ওষুধ কিনতে হতো। তাঁদের সমস্যা সমাধানে আমরা জন ঔষধি কেন্দ্রে সস্তায় ওষুধ বিক্রি শুরু করেছি। এই কেন্দ্রগুলির কারণে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। গরিবদের জন্য সংবেদনশীল সরকার, মধ্যবিত্তদের জন্য সংবেদনশীল সরকার, সাধারণ নাগরিকের পকেটে যাতে চাপ না পরে সেজন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভাই ও বোনেরা,
এখানে আমাদের সরকার গুজরাট এবং সৌরাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ করছে। গুজরাট ও সৌরাষ্ট্র ভালো করেই জানে যে জলের অভাব বলতে কি বোঝায়। সৌরাষ্ট্র দেখেছে, সৌনী যোজনার আগে কি পরিস্থিতি ছিল এবং সৌনী যোজনার পরে কি পরিবর্তন ঘটেছে। কয়েকডজন বাঁধ, হাজার হাজার চেক ড্যাম আজ সৌরাষ্ট্রে জলের উৎস হয়ে উঠেছে। হর ঘর জল যোজনার আওতায় গুজরাটের কোটি কোটি পরিবার এখন নলবাহিত জল পাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এই সুশাসনের মডেল যা আমরা সফলভাবে দেশে ব্যবহার করছি। সাধারণ মানুষের সেবা, চাহিদা পূরণে বিগত ৯ বছরে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমনই এই সুশাসন যেখানে সমাজের প্রতিটি শ্রেণী এবং প্রতিটি পরিবারের চাহিদা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা করা হয়। এটি আমাদের উন্নত ভারত গড়ার পথ। এই পথে হাঁটতে হাঁটতে ‘অমৃত কাল’-এর সংকল্প পূরণ করতে হবে।
আমার সৌরাষ্ট্রের মানুষ, গুজরাটের রাজকোটের মানুষ, একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ বেশ কিছু প্রকল্পের উপহার পেয়েছেন। বহু মানুষ এখানে এসেছেন। আমি এই সমস্ত প্রকল্পের জন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা। আমি দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী যে ভূপেন্দ্র ভাইয়ের সরকার আপনাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কোনো খামতি রাখবে না।
আরও একবার আমি আমার হৃদয় অন্তঃস্থল থেকে আপনাদের স্বাগত, ভালোবাসা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ!
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দি এবং কিছু অংশ গুজরাটি ভাষায় ছিল।