“Embracing entire India, Kashi is the cultural capital of India whereas Tamil Nadu and Tamil culture is the centre of India's antiquity and glory”
“Kashi and Tamil Nadu are timeless centres of our culture and civilisations”
“In Amrit Kaal, our resolutions will be fulfilled by the unity of the whole country”
“This is the responsibility of 130 crore Indians to preserve the legacy of Tamil and enrich it”

হর হর মহাদেব!

ভণক্কম কাশী!

ভণক্কম তামিলনাড়ু!

আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত উত্তর প্রদেশের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দী বেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, শ্রী এল মুরুগনজি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পোন রাধাকৃষ্ণণজি, বিশ্বখ্যাত গীতিকার এবং রাজ্যসভার সদস্য ইলৈ ঈ রাজাজি, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক সুধীর জৈনজি, আইআইটি মাদ্রাজের ডাইরেক্টর অধ্যাপক কামাকট্টিজি, অন্যান্য সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ আর তামিলনাড়ু থেকে আমার কাশীতে এসে উপস্থিত হওয়া সকল সম্মানিত অতিথিগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহাদয়গণ,

বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন জীবন্ত শহর কাশীর পবিত্র ভূমিতে আপনাদের সবাইকে দেখে আজ আমার মন খুবই আনন্দিত। আমি আপনাদের সবাইকে মহাদেবের নগরী কাশীতে কাশী তামিল সঙ্গমমে আন্তরিক স্বাগত জানাই। আমাদের দেশে চিরকালই সঙ্গমগুলির অপার মহিমা, অনেক গুরুত্ব রয়েছে। বিভিন্ন নদী এবং জলধারার সঙ্গম থেকে শুরু করে বিভিন্ন দর্শন, জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতি সব ধরণের সঙ্গমকে আমরা উদযাপন করি। এই উদযাপন বাস্তবে ভারতের নানা বৈচিত্র্য ও বিশেষত্বের উদযাপন। এজন্যই কাশী তামিল সঙ্গমম একটি অত্যন্ত বিশেষ ও অদ্বিতীয় সংগঠন।

আজ আমাদের সামনে একদিকে পূর্ব ভারতের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে সংহত করে রাখা আমাদের সাংস্কৃতিক রাজধানী কাশী। আর অন্যদিকে ভারতের প্রাচীনত্ব এবং গৌরবের কেন্দ্র আমাদের তামিলনাড়ু এবং তামিল সংস্কৃতি। এই সঙ্গমম গঙ্গা, যমুনা সঙ্গমের মতোই পবিত্র। এই গঙ্গা-যমুনা কত না অনন্ত সম্ভাবনা এবং সামর্থ নিয়ে সম্পৃক্ত রয়েছে! আমি কাশী এবং তামিলনাড়ুর সংশ্লিষ্ট সকলকে এই অদ্ভুত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমি জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকেও শুভেচ্ছা জানাই যারা এই একমাস ব্যাপি ব্যাপক কর্মসূচিকে সাকার করেছেন। এতে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি এবং আইআইটি মাদ্রাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সেইজন্য আমি বিশেষভাবে কাশী এবং তামিলনাড়ুর পণ্ডিতদের ও ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,

আমাদের শাস্ত্রে কোনও মহান ঋষি লিখে গেছেন ‘একো অহম্ বহু স্যাম্’ অর্থাৎ একটাই চেতনা ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রকট হয়। কাশী এবং তামিলনাড়ুর প্রেক্ষিতে আমরা এই দর্শনকে সাক্ষাৎ অনুভব করতে পারি। কাশী এবং তামিলনাড়ু  উভয়েরই অনন্ত সময় ধরে চলে আসা সংস্কৃতি এবং সভ্যতার কেন্দ্র রয়েছে। উভয়েই সংস্কৃত এবং তামিলের মতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষাগুলির কেন্দ্র রয়েছে। কাশীতে বাবা বিশ্বনাথ রয়েছেন। আর তামিলনাড়ুতে ভগবান রামেশ্বরমের আশীর্বাদ রয়েছে। কাশী এবং তামিলনাড়ু উভয়ই শিবময়, উভয়ই শক্তিময়। একটি তো স্বয়ং কাশী, আর তামিলনাড়ুতে রয়েছে দক্ষিণ কাশী। আমাদের শাস্ত্রের সপ্তপুরীগুলির মধ্যে ‘কাশী-কাঞ্চী’ রূপে উভয়েরই নিজস্ব মহত্ব রয়েছে। কাশী এবং তামিলনাড়ু উভয়েরই সঙ্গীত, সাহিত্য এবং কলা সংস্কৃতির অদ্ভুত উৎস রয়েছে। কাশীর তবলা আর তামিলনাড়ুর তন্নুমাঈ। কাশীতে যেমন বেনারসী শাড়ি পাওয়া যায় তামিলনাড়ুতে তেমনি কাঞ্জিভরম সিল্কের শাড়ি বিশ্বখ্যাত। উভয় স্থানই ভারতীয় আধ্যাত্ম এবং সর্বপ্রাচীন মহান আচার্যদের জন্মভূমি এবং কর্মভূমি। কাশী যেমন ভক্ত তুলসীদাস-এর ভূমি, তামিলনাড়ু তেমনি সন্ত তিরুভল্লওয়র-এর ভক্তিভূমি। আপনারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাত্রায় কাশী এবং তামিলনাড়ুর ভিন্ন ভিন্ন রঙে এ রকম ধরণের প্রাণশক্তি অনুভব করতে পারেন। আজও তামিল বিবাহ পরম্পরায় কাশী যাত্রার উল্লেখ পাওয়া যায়। অর্থাৎ তামিল যুবক-যুবতীদের জীবনের নতুন যাত্রাকে কাশী যাত্রার পুণ্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এটাই হল তামিল হৃদয়ে কাশীর জন্য অবিনাশী প্রেম যা অতীতে কখনও মুছে যায়নি আর ভবিষ্যতেও কখনও ম্লান হবেনা। এটাই ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর সেই পরম্পরা যা আমাদের পূর্বজরা জীবনে ধারণ করে গেছেন আর আজ এই কাশী-তামিল সঙ্গমম আর একবার তার গৌরবকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। 

বন্ধুগণ,

কাশী নগরী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ও কাশীর উন্নয়নেও তামিলনাড়ুর অভূতপূর্ব অবদান ছিল। তামিলনাড়ুতে জন্ম নেওয়া ডঃ সর্বেপল্লি রাধাকৃষ্ণন বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন আচার্য ছিলেন। তাঁর অবদানকে বিএইচইউ আজও স্মরণ করে। শ্রী রাজেশ্বর শাস্ত্রীর মতো প্রসিদ্ধ তামিল বৈদিক পণ্ডিত কাশীতে ছিলেন। তিনি রামঘাটে ‘সাঙ্গ বেদ বিদ্যালয়’ স্থাপন করেন। তেমনি শ্রী পট্টাধিরাম শাস্ত্রীজি যিনি হনুমান ঘাটের পাশে থাকতেন তাঁকেও কাশীর বিদ্বজনেরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। আপনারা যখন কাশী ভ্রমণ করবেন তখন দেখবেন যে হরিশচন্দ্র ঘাটে ‘কাশী কাম কোটিশ্বর পঞ্চায়তন মন্দির’ রয়েছে। এটি আসলে একটি তামিল মন্দির। কেদার ঘাটেও ২০০ বছর পুরনো কুমারস্বামী মঠ রয়েছে যেখানে মার্কণ্ডেয় আশ্রম রয়েছে। এখানকার হনুমান ঘাট এবং কেদারঘাটের কাছেই একটি বড় তামিল জনবসতি রয়েছে যারা কয়েক প্রজন্ম ধরে কাশীর উন্নতিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। তামিলনাড়ুর আর এক মহান কৃতী সন্তান বিখ্যাত কবি শ্রী সুব্রন্যহ্মম ভারতীজি জীবনের একটা বড় সময় কাশীতে ছিলেন। এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী কাশীর মিশন কলেজ এবং জয়নারায়ণ কলেজে পড়াশোনা করেছেন। কাশীর সঙ্গে তিনি এইভাবে মিলেমিশে গেছিলেন যে তিনি কাশীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছিলেন। কথিত আছে যে তাঁর বিখ্যাত গোঁফ জোড়া তিনি এখানে এসেই রেখেছিলেন। এ রকম অসংখ্য ব্যক্তিত্ব, অগুণতি পরম্পরা আর বহুবিধ আস্থা কাশী এবং তামিলনাড়ুকে জাতীয় একতার সূত্রে জুড়ে রেখেছে। সম্প্রতি বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি মহান কবি সুব্রন্যহ্মম ভারতীর নামে বিশেষ চেয়ার স্থাপন করে নিজেদের গৌরব আরও বাড়িয়েছে। 

বন্ধুগণ,

কাশী তামিল সঙ্গমম-এর এই আয়োজন এমন সময়ে হচ্ছে যখন ভারত তার স্বাধীনতার অমৃতকালে প্রবেশ করেছে। এই অমৃতকালে আমাদের সংকল্প সমগ্র দেশের একতা এবং অনেক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। ভারত সেই দেশ যেখানে কয়েক হাজার বছর ধরে ‘সংভোমনাংসি জানতাম্’ মন্ত্রের মাধ্যমে পরস্পরের মনকে জানার মাধ্যমে, সম্মান জানানোর মাধ্যমে স্বাভাবিক সংস্কৃতিক ঐক্যকে সঞ্জীবিত রেখেছে। আমাদের দেশে সকালে ঘুম থেকে উঠে ‘সৌরাষ্ট্রে সোমনাথম্’ থেকে শুরু করে ‘সেতুবন্ধে তু রামেশ্বরম্’ পর্যন্ত ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গকে স্মরণ করার পরম্পরা রয়েছে। আমরা দেশের আধ্যাত্মিক ঐক্যকে স্মরণ করে আমাদের দিন শুরু করি। আমরা স্নান করার সময়, পুজো করার সময়ও মন্ত্র জপি:

‘গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলে অস্মিন্ সন্নিধিম্ পুরু।।’

অর্থাৎ গঙ্গা, গোদাবরী থেকে শুরু করে গোদাবেরী এবং কাবেরী পর্যন্ত সমস্ত নদী আমাদের জলে নিবাস করেন। মানে, আমরা সমগ্র ভারতের নদীগুলিতে স্নান করার ভাবনা পোষণ করি। আমাদের স্বাধীনতার পর এই কয়েক হাজার বছরের পরম্পরাকে, এর ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করা উচিত ছিল। একে দেশের একতা সূত্রে পরিণত করা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এরজন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা করা হয়নি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কাশী তামিল সঙ্গমম আজ এই সংকল্প বাস্তবায়নের একটি উপযুক্ত মঞ্চ হয়ে উঠবে। এটি আমাদের নিজেদের এই কর্তব্যগুলি সম্পর্কে সচেতন করবে, আর জাতীয় একতাকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য প্রাণশক্তি যোগাবে। 

বন্ধুগণ,

ভারতের স্বরূপ কেমন, শরীর কেমন এটা বিষ্ণু পুরাণের একটি স্লোক আমাদের সামনে তুলে ধরে। সেখানে লেখা রয়েছে:

‘উত্তরং ইয়ৎ সমুদ্রস্য হিমাদ্রেশ্চৈব দক্ষিণম্। 
বর্ষ তদ্ ভারতং নাম ভারতী যত্র সন্ততিং।। ’

অর্থাৎ ভারত সেই দেশ যে হিমালয় থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত সমস্ত বৈচিত্র্য এবং বৈশিষ্ট্যগুলি ধারণ করে আছে। আর এর প্রত্যেক সন্তান হলেন ভারতীয়। ভারতের এই শিকড়গুলিকে যদি আমরা অনুভব করি তাহলেই আমরা দেখতে পাবো যে উত্তর এবং দক্ষিণের মধ্যে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও তারা পরস্পরের কতটা কাছে। সঙ্গম তামিল সাহিত্যে হাজার হাজার মাইল দূরে প্রবহমান গঙ্গার গৌরব গান করা হয়েছে। তামিল গ্রন্থ ‘কলিতোগৈ’-এ বারাণসীর জনগণের আতিথেয়তার প্রশংসা করা হয়েছে। আমাদের পূর্বজরা ‘তিরুপ্পুগল’-এর মাধ্যমে ভগবান মুরুগা এবং কাশীর মহিমা একসঙ্গে গেয়েছেন, দক্ষিণের কাশী রূপে কথিত তেনকাশী নগর প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

বন্ধুগণ,

এটাই ছিল প্রাকৃতিক দূরত্ব এবং ভাষার ব্যবধানকে দূর করার উপায়। এটাই ছিল সেই আপনত্ব যা থেকে স্বামী কুমরগুরুপর তামিলনাড়ু থেকে কাশীতে এসে এই শহরকেই নিজের কর্মভূমি করে তুলেছিলেন। ‘ধর্মাপুরম আধীনম’ –এর স্বামী কুমরগুরুপর কাশীতে এসে কেদারঘাটে কেদারেশ্বর মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর শিষ্যরা তাঞ্জাভুর জেলায় কাবেরী নদীর কিনারায় কাশী বিশ্বনাথ মন্দির স্থাপন করেছিলেন। মনোন্মণিয়ম সুন্দরনারজি ও মহাভারত পড়বে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, রামানুজাচার্য এবং শঙ্করাচার্য থেকে শুরু করে রাজগোপালাচারীজি এবং সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের বিদ্বানদের করা ভারতীয় দর্শনের ব্যাখ্যা ভালোভাবে না বুঝলে আমরা ভারতকে ভালো ভাবে জানতে পারবো না। তাঁরা মহাপুরুষ, তাঁদেরকে আমাদের বুঝতে হবে। তামিলনাড়ুর রাজ্যগীত ‘তামিল তাঈ ভাড়তু...’ লিখেছিলেন। কথিত আছে যে তাঁর গুরু কোডগা নল্লুর সুন্দরর স্বামীগলজি কাশীর মণিকর্ণিকা ঘাটে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন। মনোন্মণিয়ম সুন্দরনারজির ওপরও কাশীর অনেক প্রভাব ছিল। তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করে রামানুজাচার্য-এর মতো সন্ন্যাসীও কয়েক হাজার মাইল পায়ে হেঁটে কাশী হয়ে কাশ্মীর পর্যন্ত সফর করেছিলেন। আজও তাঁর জ্ঞানকে প্রামাণ্য বলে মনে করা হয়। শ্রদ্ধেয় সি রাজগোপালাচারীজির লেখা রামায়ণ এবং মহাভারত থেকে আজও দক্ষিণ থেকে উত্তর, পূর্ব থেকে পশ্চিম গোটা দেশ প্রেরণা পায়। আমার মনে পড়ে, আমার একজন শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন যে, তুমি হয়তো রামায়ণ ও মহাভারত পড়ে নিয়েছ, কিন্তু যদি এগুলিকে গভীরভাবে বুঝতে চাও তাহলে সুযোগ পেলে রাজাগোপালাচারীর লেখা রামায়ণ পড়ে নিও।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত তার ‘ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব’ ভিত্তিক ‘পঞ্চ প্রাণ’-কে সামনে রেখেছে। বিশ্বের যে কোনও দেশের কাছেই যে প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে তা নিয়ে সেই দেশের মানুষ গর্ব করেন। সেই ঐতিহ্যকে তাঁরা বিশ্ববাসীর সামনে ‘প্রমোট’ করেন। আমরা ইজিপ্টের পিরামিড থেকে শুরু করে ইটালীর কোলোসিয়াম এবং পিসার মিনার পর্যন্ত এ রকম কতনা উদাহরণ দেখতে পাই। আমাদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সজীব ভাষা তামিল রয়েছে। আজ পর্যন্ত এই ভাষা ততটাই জনপ্রিয় ও জীবন্ত। বিশ্বের জনগণ যখন জানতে পারেন যে পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষাটি ভারতে বলা হয় তখন তাঁরা আশ্চর্য হন। কিন্তু আমরা এর গৌরবগান করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকি। এটা আমাদের ১৩০ কোটি দেশবাসীর দায়িত্ব- আমাদের তামিলের এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একে সমৃদ্ধও করতে হবে। আমরা যদি তামিল ভুলে যাই তাহলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে। আর তামিলকে যদি নানা রকম বন্ধনে বেঁধে রাখি তাহলেও এর ক্ষতি হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ভাষার বিভেদ দূর করে আমাদের দেশে ভাবনার একতাকে শক্তিশালী করতে হবে। 

বন্ধুগণ,

কাশী তামিল সঙ্গমম; আমি মনে করি এসব কিছু শব্দ থেকে অনেক বেশি অনুভবের বিষয়। আপনাদের এই কাশী যাত্রার সময় আপনারা এর স্মৃতিগুলির সঙ্গে যুক্ত হবেন যা আপনাদের জীবনের পুঁজি হয়ে উঠবে। আমার কাশীবাসী আপনাদের আদর-আপ্যায়ণে কোনও ত্রুটি রাখবেন না। আমি চাই তামিলনাড়ু এবং দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও এই ধরণের আয়োজন হোক। দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে যাক। ভারতকে চিনুক, জানুক। নিজেদের মধ্যে ভারতকে সঞ্জীবিত রাখুক। আমি কামনা করি, কাশী তামিল সঙ্গমম-এর এই আয়োজন থেকে চিন্তা-ভাবনার মন্থনে যে অমৃত বেরিয়ে আসবে তাকে নবীন প্রজন্ম গবেষণা এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই বীজ ভবিষ্যতে জাতীয় একতার বটবৃক্ষে পরিণত হবে। দেশের মঙ্গলেই আমাদের মঙ্গল- ‘নাট্টু নলনে নমদু নলন’। এই মন্ত্র যেন আমাদের দেশবাসীর জীবনমন্ত্র হয়ে ওঠে। এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে আর একবার অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। 

ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!

ধন্যবাদ! ভণক্কম।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.