ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!
ভারতমাতার জয়!
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমরজী, শ্রী বীরেন্দ্র কুমারজী, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজী, মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এবং এখানে বিপুল সংখ্যায় আগত আমার পরিবারবর্গের সদস্যরা, গোয়ালিয়ারের এই ঐতিহাসিক মাটিকে আমার শত শত প্রণাম।
এই মাটি সাহস, আত্মাভিমান, সৈন্য গৌরব, সঙ্গীত, স্বাদ ও সর্ষের প্রতীক। গোয়ালিয়র দেশকে অসংখ্য বিপ্লবী বীর উপহার দিয়েছে। গোয়ালিয়রের – চম্বল দেশ রক্ষার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে অসংখ্য বীর সন্তান দিয়েছে। গোয়ালিয়র ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি ও নেতৃত্বকেও নতুন আকার দিয়েছে।
রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়াজী, কুশাভাও ঠাকরেজী এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীজীর মতো ব্যক্তিত্ব এই মাটিরই সন্তান। সেজন্য এই মাটি সকলের জন্য প্রেরণার উৎস। এই মাটিতে জন্ম নেওয়া সমস্ত দেশভক্তরা জাতির জন্য নিজেদের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন।
আমার পরিবারবর্গ,
আমাদের মতো কোটি কোটি ভারতবাসীর স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু, ভারতকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের কাঁধে রয়েছে। আজও এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি আপনাদের মধ্যে এসেছি। আজ এখানে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কর্মসূচির উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। সেজন্য আপনারা হাততালি দিয়ে যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন, তা আমাদের সামর্থ্যকে আরও দৃঢ় করবে।
আমার পরিবারবর্গ,
দশহরা, ধনতেরস এবং দীপাবলীর আগে মধ্যপ্রদেশের প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার গৃহহীন পরিবার আজ তাঁদের নতুন পাকা বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করলেন। আজ এখান থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশ কিছু প্রকল্পেরও শুভ সূচনা হ’ল। উজ্জয়িনীতে বিক্রম উদ্যোগপুরী আর ইন্দোরে মাল্টিমডেল লজিস্টিক পার্ক মধ্যপ্রদেশের শিল্পায়নকে সম্প্রসারিত করবে। এই রাজ্যের যুবক-যুবতীদের হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে। আজ আইআইটি ইন্দোরেও অনেক কাজ শুরু হয়েছে।
আজ গোয়ালিয়রের পাশাপাশি বিদিশা, বৈতুল, কাটনী, বুরহানপুর, নরসিংহপুর, দমোহ এবং সাজাপুরে আয়ুষ্মান ভারত হেলথ্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিশনের মাধ্যমে নতুন নতুন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হ’ল। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে অনেক কঠিন রোগের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। সেজন্য আজ আমার মধ্যপ্রদেশের পরিবারবর্গকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুগণ,
এই সমস্ত কাজ আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারের মিলিত প্রচেষ্টার পরিণাম। দিল্লি ও ভোপালে যখন একই রকম ভাবনাচিন্তা করার মতো জনগণের স্বার্থে সমর্পিত সরকার থাকে, তখন এভাবেই দ্রুতগতিতে কাজ হয়। সেজন্য আজ মধ্যপ্রদেশ ডবল ইঞ্জিন সরকারকে এত ভরসা করে। ডবল ইঞ্জিন মানেই মধ্যপ্রদেশের ডবল উন্নয়ন।
আমার পরিবারবর্গ,
বিগত বছরগুলিতে আমাদের সরকার মধ্যপ্রদেশকে ক্রমাগত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি রুগ্ন রাজ্য থেকে দেশের প্রথম ১০টি রাজ্যের অন্যতম করে তুলেছে। আমরা এখন মধ্যপ্রদেশকে দেশের প্রথম তিনটি রাজ্যের অন্যতম করে তুলতে চাই। আপনারাই বলুন, মধ্যপ্রদেশ দেশের সেরা তিনটি রাজ্যের অন্যতম হওয়া উচিৎ কিনা? মধ্যপ্রদেশ দেশের সেরা তিনটি রাজ্যের অন্যতম হওয়া উচিৎ কিনা? মধ্যপ্রদেশ দেশের সেরা তিনটি রাজ্যের অন্যতম হওয়া উচিৎ কিনা? এই গ্যারান্টি কে দেবেন। আপনাদের উত্তর ভুল। একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আপনাদের সকলের একেকটি ভোট এই গ্যারান্টি দেবে। ডবল ইঞ্জিন সরকারকে আপনারা যত ভোট দেবেন, মধ্যপ্রদেশও ততদ্রুত টপ থ্রি-তে পৌঁছবে।
আমার পরিবারবর্গ,
যাঁদের মনে নতুন কোনও ভাবনা নেই, পথচিত্র নেই - তাঁরা মধ্যপ্রদেশের উন্নয়ন করতে পারবেন না। তাঁরা শুধু একটাই কাজ পারেন, তা হ’ল দেশের উন্নয়নের প্রতি ঘৃণা, ভারতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির প্রতি ঘৃণা। নিজেদের এই ঘৃণার আবহে তাঁরা দেশের সফলতাগুলিও ভুলে যান। আজ আপনারা দেখুন, গোটা বিশ্ব ভারতের গৌরবগান করছে। আজ সারা পৃথিবী ভারতের প্রদর্শিত পথেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখছে। কিন্তু যাঁরা রাজনীতিতে আকন্ঠ ডুবে আছেন, চেয়ার ছাড়া যাঁরা আর কিছু দেখতে পান না, তাঁরা ভারতের এই জয় যাত্রাকে ভালো চোখে দেখছেন না।
আপনারা ভাবুন, গত ৯ বছরে ভারত বিশ্বের দশম আর্থিক শক্তি থেকে পঞ্চম স্থানে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু, বিরোধীরা এটাই প্রমাণ করতে ব্যস্ত যে, এরকম কিছু হয়নি। এটা মোদীর গ্যারান্টি যে, আগামী শাসনকালে ভারতকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিনটি অর্থনীতির অন্যতম করে তুলবো। এই প্রতিজ্ঞা শুনে ক্ষমতা লোভী কিছু মানুষের পেট ব্যথা শুরু হয়ে গেছে।
আমার পরিবারবর্গ,
দেশবাসী তাঁদেরকে উন্নয়নের জন্য ছয় ছ’টি দশক দিয়েছে। ৬০ বছর কম সময় নয় বন্ধুগণ। নয় বছরে যদি এত কাজ হয়ে থাকে, তা হ’লে ৬০ বছরে কত হতে পারে। সুযোগ ছিল, কিন্তু তাঁরা করতে পারেনি – এটা তাঁদের অপদার্থতা। তারা তখনও গরীবদের আবেগ নিয়ে খেলতো, এখনও তাই করছে। তারা তখনও জাতপাতের নামে সমাজকে বিভাজিত করতো, আজও সেই পাপ করছে। তারা তখনও সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতিতে ডুবে থাকতো। আজও তারা দুর্নীতিতেই ডুবে আছে। তারা তখনও শুধুমাত্র একটি পরিবারের গৌরবগান করতো, আজও তাদের মধ্যেই ভবিষ্যৎ দেখছে। সেজন্য তাদের দেশের গৌরবগান পছন্দ হয় না।
আমার পরিবারবর্গ,
মোদী গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া এবং আদিবাসী পরিবারগুলিকে পাকা বাড়ির গ্যারান্টি দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই সারা দেশে ৪ কোটি গৃহহীন পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছে। আজ এখানেও অনেক মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছেন। যখন তাদের সরকার দিল্লিতে ছিল, তখন গরীবদের নামে শুধু লুঠ হ’ত। তারা গৃহহীনদের যত বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে, সেগুলি থাকার যোগ্য ছিল না। আমাদের দেশের এরকম লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগী কখনও সেই বাড়িগুলিতে পাও রাখেননি। কিন্তু, আজ যাঁরা নতুন পাকা বাড়ি পেয়েছেন, তাঁরা অত্যন্ত আনন্দে গৃহপ্রবেশ করছেন। কারণ, এই বাড়িগুলি তাঁদের পছন্দ মতো তৈরি করাতে পেরেছেন।
আমাদের সরকার যেভাবে কাজ করছে, তার অগ্রগতি সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে তদারকি করে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাচ্ছে। ফলে, এখন কোনও দালালকে টাকা দিতে হয় না, দুর্নীতিও হয় না। আগে বাড়ি নির্মাণের নামে শুধু চারটি দেওয়াল গড়ে দেওয়া হ’ত। কিন্তু, আজ বাড়ির সঙ্গে থাকছে শৌচাগার, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সংযোগ, উজ্জলা প্রকল্পের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস ইত্যাদি। আজ এখানে গোয়ালিয়র এবং শ্যোপুর জেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জল প্রকল্পেরও কাজ শুরু হয়েছে। এগুলি সম্পূর্ণ হলে এই এলাকার বাড়ি বাড়ি নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
বন্ধুগণ,
এই বাড়িগুলির যে লক্ষ্মী অর্থাৎ আমার মা ও বোনেরাই যেন বাড়িগুলির মালিক হন, সেটাও মোদী সুনিশ্চিত করেছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, পিএম আবাস যোজনার বাড়িগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের নামেই নথিভুক্ত করা হয়। এভাবে বাড়িতে বাড়িতে আমার কোটি কোটি বোনেরা লক্ষপতি হয়ে উঠছেন। যাঁদের নামে কোনও সম্পত্তি ছিল না, তাঁরা আজ লক্ষ টাকার বাড়ির মালিক হচ্ছেন।
ভাই ও বোনেরা,
মোদী নিজের গ্যারান্টি পূরণ করেছে। এখন আমি বোনেদের কাছ থেকে একটি গ্যারান্টি চাই। কী বোনেরা, আমাকে একটি গ্যারান্টি দেবেন? ঠিক দেবেন তো? আপনারা আমাকে গ্যারান্টি দিন যে, বাড়ি পাবার পর এবার ছেলেমেয়েদের ভালোভাবে পড়াশুনা করাবেন। কোনও না কোনও হাতের কাজে পারদর্শী করে তুলবেন। কী করবেন তো? আপনাদের এই গ্যারান্টি আমাকে আরও কাজ করার শক্তি যোগায়।
আমার পরিবারবর্গ,
নারী ক্ষমতায়ন, ভারতের জন্য নিছকই ভোট ব্যাঙ্ক নয়, এটি জাতির কল্যাণ এবং রাষ্ট্র নির্মাণে সমর্পিত একটি অভিযান। আমরা দেখেছি যে, অনেক সরকার গেছে-এসেছে। কিন্তু, আমাদের বোনেদের দাবি অনুযায়ী, লোকসভায় ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার ভোট চেয়েছে কিন্তু সংসদে ষড়যন্ত্র করে আসন সংরক্ষণ বিলকে আইনে পরিণত হতে দেয়নি। বারবার বাধা দিয়েছে। কিন্তু, মোদী যে বোনেদের কথা দিয়েছিল। আর মোদীর কথা দেওয়া মানেই প্রতিশ্রুতি পালন।
আজ ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আজ এই সভায় দাঁড়িয়ে আমি আপনাদের সবাইকে বলছি, এই উন্নয়ন গাথায় আমাদের মাতৃ শক্তির অংশীদারিত্ব যাতে আরও বাড়ে আর উন্নয়নের পথ খোলে, সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
ভাই ও বোনেরা,
আজ আমরা যত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছি – সবকটিকেই এই আইন আরও শক্তিশালী করবে।
আমার পরিবারবর্গ,
গোয়ালিয়র – চম্বল আজ অনেক সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে। কিন্তু, সবসময় এরকম অবস্থা ছিল না। অনেক দশক ধরে নেতারা এখানে এসে বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই করেননি। এর প্রমাণ কী? আমাদের যত নবীন বন্ধুরা যাঁরা প্রথমবার ভোট দেবেন, তাঁরা তো ছোটবেলা থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারকেই দেখছেন। তাঁরা একটি প্রগতিশীল মধ্যপ্রদেশ দেখছেন। কিন্তু, তার আগের প্রজন্মের যাঁরা, তাঁরা দেখেছেন যে মধ্যপ্রদেশে শুধু অন্যায় আর অত্যাচার। পূর্ববর্তী শাসকদের সময় সামাজিক ন্যায় বিভাজিত ছিল। তখন দরিদ্র, দলিত ও পিছিয়ে পড়াদের কথা কেউ শুনতো না। ফলে, মানুষ নিজেদের হাতে আইন তুলে নিতেন। সাধারণ মানুষ শান্তিতে যাতায়াত করতে পারতেন না। আমাদের সরকার অনেক পরিশ্রম করে আজ এই এলাকার পরিস্থিতি বদলেছে। আমাদের এখান থেকে আর পেছনে তাকালে চলবে না।
মধ্যপ্রদেশের জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ গোয়ালিয়রে নতুন এয়ারপোর্ট টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে, এলিভেটেড রোড নির্মাণ হচ্ছে, হাজার শয্যার নতুন হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে, নতুন বাস টার্মিনাল, আধুনিক রেল স্টেশন, নতুন নতুন স্কুল-কলেজ ক্রমে সম্পূর্ণ এলাকার চিত্র বদলে দিচ্ছে। এভাবেই আমাদের গোটা মধ্যপ্রদেশের চিত্র বদলে দিতে হবে। আর সেজন্যই এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
আধুনিক পরিকাঠামো মানুষের জীবনকে যেমন সুগম করে, তেমনই সমৃদ্ধও করে। আজই ঝাবুয়া, মন্দসৌর এবং রতলামকে সংযুক্ত করার জন্য ৮ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হয়েছে। বিগত শতাব্দীতে মধ্যপ্রদেশ দুই লেনসম্পন্ন ভালো সড়কপথের জন্য হা-পিত্যেস করতো। কিন্তু, আজ এখানে ৮ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়া, আজ ইন্দোর, দেওয়াস এবং হরদার মধ্যে ৪ লেনসম্পন্ন সড়কপথেরও কাজ শুরু হয়েছে। রেলের গোয়ালিয়র থেকে সুমাওয়ালি সেকশনকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করার কাজও ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ সেটির উদ্বোধন হ’ল। একটু আগেই এই পথের প্রথম ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখানো হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই সকল কাজ গোটা এলাকার মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলবে।
বন্ধুগণ,
আধুনিক পরিকাঠামো এবং ভালো আইন ব্যবস্থা কৃষি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সবক্ষেত্রকেই উন্নত করে। যখন উন্নয়ন বিরোধী কোনও সরকার আসে, তখন এই সবকিছুই বিগড়ে যায়। আপনারা রাজস্থানকেই দেখুন। দিন-দুপুরে গলা কাটা হচ্ছে। আর সেখানকার সরকার কিছুই করতে পারছে না। উন্নয়ন বিরোধীরা যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তুষ্টিকরণের রাজনীতি শুরু হয়। ফলে, যত গুন্ডা, বদমাশ, অপরাধী, দাঙ্গাবাজ ও দুর্নীতিবাজরা লাগামহীন হয়ে পড়ে। মহিলা, দলিত, পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বাড়ে। বিগত বছরগুলিতে এই উন্নয়ন বিরোধীদের শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে অপরাধ ও দুর্নীতি সর্বাধিক বেড়েছে। সেজন্য মধ্যপ্রদেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।
আমার পরিবারবর্গ,
আমাদের সরকার প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের উন্নয়নের জন্য সমর্পিত। যাঁদের কেউ খবর নিতো না, মোদী তাঁদের খবর নেয়, তাঁদের পুজো করে। আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই যে, ২০১৪ সালের আগে কী, আপনারা কেউ ‘দিব্যাঙ্গ’ শব্দটা শুনেছিলেন। যাঁরা শারীরিক প্রতিবন্ধী, তাঁদের পূর্ববর্তী সরকারগুলি অসহায় অবস্থায় ছেড়ে রেখেছিল। আমাদের সরকারই প্রথমবার তাঁদের কথা ভেবেছে, তাঁদেরকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, তাঁদের জন্য কমন সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ চালু করেছে। আজই এই গোয়ালিয়রে দিব্যাঙ্গ বন্ধুদের জন্য নতুন স্পোর্টস সেন্টার উদ্বোধন হ’ল। এভাবেই দেশের মধ্যে গোয়ালিয়র একটি স্পোর্টস্ হাব রূপে পরিচিত হয়ে উঠবে। আর বন্ধুরা আমার কথা বিশ্বাস করুন, একদিন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে এখানকার দিব্যাঙ্গ জনেরা গোয়ালিয়রের নাম উজ্জ্বল করবেন – একথা লিখে রাখুন।
তাই আমি বলছিলাম যে, যাঁদের কেউ খবর নিতো না, মোদী তাঁদের খবর নেয়, তাঁদের পুজো করে। এত বছর ধরে দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের খবর কেউ নেয়নি। আমরা পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক ক্ষুদ্র কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই ২৮ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছি। এখন আমাদের দেশে আড়াই কোটিরও বেশি ক্ষুদ্র কৃষক মোটা দানার শস্য উৎপাদন করছেন। তাঁদের কথা আগে কেউ ভাবেননি। আমাদের সরকার মোটাদানার শস্যকে ‘শ্রী অন্ন’ পরিচয় দিয়েছে। এগুলিকে সারা পৃথিবীর বাজারে পৌঁছে দিচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকারের এই ভাবনা আরেকটি বড় প্রমাণ পিএম – বিশ্বকর্মা যোজনা। আমাদের কুমোর, কামার, ছুতার, স্বর্ণকার, মালাকার, দর্জি, ধোপা, নাপিত ও মুচি ভাই-বোনেরা আমাদের জীবনে একেকজন গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাঁদের ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করাও অসম্ভব। কিন্তু, স্বাধীনতার পর থেকে এত দশক ধরে আমাদের কোনও সরকার তাঁদের কথা ভাবেনি।
এই পিছিয়ে পড়া ভাই-বোনেদের জন্য আমাদের সরকার অনেক বড় অভিযান শুরু করেছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। আধুনিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার সকলকে ১৫ হাজার টাকা করে দেবে। পাশাপাশি, ভালো করে ব্যবসা শুরু করার জন্য সহজ কিস্তি ও ন্যূনতম সুদে তাঁদের ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিশ্বকর্মা বন্ধুদের ঋণের গ্যারান্টি মোদী নিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে।
আমার পরিবারবর্গ,
দেশের উন্নয়ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যপ্রদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু, আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে কাজ করে। সেজন্য আপনারা উন্নয়নের স্বার্থে শুধুই ডবল ইঞ্জিন সরকারকে ভরসা করতে পারেন। মধ্যপ্রদেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অগ্রগণ্য রাজ্যে পরিণত করার গ্যারান্টি শুধু আমাদের সরকারই দিতে পারে।
একটু আগেই শিবরাজজী বলছিলেন যে, পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ এখন দেশের মধ্যে এক নম্বর। আজ গান্ধী জয়ন্তী। গান্ধীজী সবসময়েই পরিচ্ছন্নতার কথা বলতেন। গতকাল সারা দেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আপনারা কী একজন কংগ্রেসীকেও কোনও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিতে দেখেছেন? কাউকে কী দেখেছেন, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোনও আবেদন রাখতে। মধ্যপ্রদেশ পরিচ্ছন্নতায় দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে – এই বিষয়টি যাদের পছন্দ নয়, তারা মধ্যপ্রদেশের উন্নয়ন কিভাবে করবে? তাদের কি ভরসা করা যায়?
আর সেজন্য আপনাদের সকলকে অনুরোধ যে, উন্নয়নের এই গতিকে বজায় রাখতে আরও দ্রুতগতিতে উন্নয়নের স্বার্থে আপনারা আজ যেমন বিপুল সংখ্যায় আশীর্বাদ দিতে এসেছেন, আপনাদের সবাইকে আমি অন্তর থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমার সঙ্গে সমস্বরে বলুন –
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।