“এই বিমানবন্দরটি সমস্ত অঞ্চলের জন্য জাতীয় গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের একটি শক্তিশালী প্রতীক হয়ে উঠবে”
“এই বিমানবন্দর পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে”
“ডবল ইঞ্জিন সরকারের উদ্যোগে আজ উত্তর প্রদেশে দেশের মধ্যে সব থেকে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে”
“আগামী দিনে যে পরিকাঠামো গড়ে উঠবে, তা খুরজার হস্তশিল্পীদের, মীরাটের ক্রীড়া শিল্প, সাহারানপুরের আসবাবপত্র, মোরাদাবাদের পিতল শিল্প এবং আগ্রার জুতো ও পেঠা শিল্পের সহায়ক হবে”
উত্তর প্রদেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি মিথ্যা স্বপ্ন দেখাতো, আজ এই রাজ্য শুধু জাতীয় স্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও পরিচিত”
“আমাদের জন্য পরিকাঠামো রাজনীতির অংশ নয়, জাতীয় নীতির অংশ”

ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়!

উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় কর্মযোগী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, এখানকার কর্মঠ, আমাদের পুরনো সঙ্গী উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, জেনারেল ভি কে সিং-জি, শ্রী সঞ্জীব বালিয়ানজি, শ্রী এস পি সিং বাঘেলজি, শ্রী বি এল ভার্মাজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরিজি, শ্রী জয়প্রতাপ সিং-জি, শ্রী শ্রীকান্ত শর্মাজি, শ্রী ভূপেন্দ্র চৌধরিজি, শ্রী নন্দগোপাল গুপ্তাজি, শ্রী অনিল শর্মাজি, শ্রী ধর্মসিং সৈনিজি, শ্রী অশোক কাটারিয়াজি, শ্রী জি এস ধর্মেশজি, সংসদে আমার সহকর্মী ডঃ মহেশ শর্মাজি, শ্রী সুরেন্দ্র সিং নাগরজি, শ্রী ভোলা সিং-জি, স্থানীয় বিধায়ক শ্রী ধীরেন্দ্র সিং-জি, মঞ্চে উপবিষ্ট অন্যান্য সকল জনপ্রতিনিধিগণ এবং আমাদের সবাইকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য এখানে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষ, আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

আপনাদের সকলকে, দেশের সমস্ত জনগণকে, আমার উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি ভাই ও বোনেদের নয়ডার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভূমিপূজনের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন। আজ এই বিমানবন্দরের ভূমিপূজনের সঙ্গেই দাউজি মেলার জন্য প্রসিদ্ধ জেওয়ারের নামও আন্তর্জাতিক মানচিত্রে লেখা হয়ে গেল। এজন্য দিল্লি এনসিআর এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। আমি সেজন্য আপনাদের সকলকে, সমগ্র দেশকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারত আজ একটার থেকে আরেকটা ভালো আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। উন্নত সড়কপথ, উন্নত রেল নেটওয়ার্ক, উন্নত বিমানবন্দর – এগুলিকে নিছকই পরিকাঠামো প্রকল্প বলা যায় না, কারণ এগুলি গোটা অঞ্চলের চেহারা বদলে দেয়। মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত করে। গরীব থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত, কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শ্রমিক থেকে শুরু করে শিল্পোদ্যোগী – প্রত্যেকেই এর দ্বারা অনেক অনেক লাভবান হন। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির শক্তি আরও বৃদ্ধি পায় যখন তার সঙ্গে সিমলেস কানেক্টিভিটি বা অবাধ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি গড়ে ওঠে। নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কানেক্টিভিটির দৃষ্টিতে একটি অসাধারণ মডেল হয়ে উঠবে। এখানে আসা-যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি থেকে শুরু করে মেট্রো রেল ও রেলপথ – সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে। বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই আপনারা সরাসরি যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে চলে আসতে পারবেন, নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত চলে আসতে পারবেন। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যেতে হলে সামান্য দূরেই পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়েতে পৌঁছে যেতে পারবেন। আর এখন তো দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েও প্রস্তুত হতে চলেছে। এর মাধ্যমেও অনেক শহরে পৌঁছনো সহজ হবে। শুধু তাই নয়, এখান থেকে ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের জন্যও সরাসরি যোগাযোগের সুবিধা থাকবে। একভাবে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উত্তর ভারতের লজিস্টিক গেটওয়ে বা পণ্য পরিবহণের সিংহদ্বার হয়ে উঠবে। এই সমগ্র এলাকাকে ‘ন্যাশনাল গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যান’-এর একটি শক্তিশালী প্রতিবিম্ব করে গড়ে তুলবে।

বন্ধুগণ,

আজ দেশে যত দ্রুতগতিতে এভিয়েশন বা বিমান চলাচল ক্ষেত্রটি বর্ধিত হচ্ছে, প্রসারিত হচ্ছে, যে দ্রুতগতিতে ভারতীয় কোম্পানিগুলি শত শত নতুন বিমান কিনছে, তাদের সাফল্যের ক্ষেত্রেও নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। এই বিমানবন্দর বিমানগুলির দেখাশোনা, মেরামতি এবং অপারেশনের ক্ষেত্রেও দেশের সব থেকে বড় কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এখানে ৪০ একর জায়গায় মেইন্টেন্যান্স, রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল বা এমআরও পরিষেবা তৈরি হবে, যা দেশ-বিদেশের বিমানগুলিকে এসব পরিষেবা প্রদান করবে আর শত শত যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করবে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, আজও আমরা নিজেদের ৮৫ শতাংশ বিমানকে এমআরও পরিষেবার জন্য বিদেশে পাঠাই আর এ কাজের পেছনে প্রতি বছর ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে এই প্রকল্প গড়ে উঠছে। শুধু রিপেয়ারিং-এর জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর বিদেশে চলে যায়। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয় যার অধিকাংশ অংশ অন্যান্য দেশে চলে যায়। এখন এই বিমানবন্দর এই পরিস্থিতিকেও বদলানোর ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে।

ভাই ও বোনেরা,

এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে প্রথমবার দেশে ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-মডেল কার্গো হাবেরও কল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মাধ্যমে গোটা দেশের বিকাশ একটি নতুন গতি পাবে, একটি নতুন উড়ানে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। আমরা সবাই এটা জানি, যে যে রাজ্যগুলির সীমা সমুদ্র তটবর্তী, সেগুলির জন্য নতুন নতুন সমুদ্রবন্দর অনেক বড় সম্পদ হয়। উন্নয়নের জন্য এগুলির শক্তি অনেক বড় কাজে লাগে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মতো ল্যান্ড-লকড বা স্থলবেষ্টিত রাজ্যগুলির জন্য এই ভূমিকা বিমানবন্দরগুলি পালন করে। এখানে আলিগড়, মথুরা, মেরাঠ, আগ্রা, বিজনৌর, মুরাদাবাদ, বেরিলির মতো অনেক শিল্প সমৃদ্ধ অঞ্চল রয়েছে। এখানে সার্ভিস সেক্টরের বড় ইকো-সিস্টেমও রয়েছে আর কৃষিক্ষেত্রেও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। এখন এক্ষেত্রে সামর্থ্যও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রপ্তানির একটি বড় কেন্দ্রকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এখন এখানকার কৃষক বন্ধুরা, বিশেষভাবে ক্ষুদ্র কৃষক ফল, সব্জি, মাছের মতো দ্রুত পচনশীল পণ্যকে সরাসরি রপ্তানি করতে পারবেন।

আমাদের যে খুরজা অঞ্চলের শিল্পীরা রয়েছেন, মেরাঠের ক্রীড়া শিল্প রয়েছে, সাহারানপুরের আসবাবপত্র রয়েছে, মুরাদাবাদের পিতল শিল্প রয়েছে, আগ্রার ফুটওয়্যার আর পেঠা রয়েছে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অনেক অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিরও বিদেশি বাজার পর্যন্ত পৌঁছতে এখন আরও সুবিধা হবে।

বন্ধুগণ,

যে কোনও এলাকায় বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা হলে পরিবর্তনের একটি এমন চক্র শুরু হয় যা চতুর্মুখী লাভে রূপান্তরিত হয়। বিমানবন্দর নির্মাণের সময় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। বিমানবন্দরকে সুচারু রূপে পরিচালনার জন্যও হাজার হাজার মানুষের প্রয়োজন হয়। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার মানুষকে এই বিমানবন্দর নতুন কর্মসংস্থানও দেবে। রাজধানীর কাছাকাছি হওয়ার ফলে আগে এই ধরনের এলাকাগুলিতে বিমানবন্দরের মতো পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হত না। এটা মনে করা হত যে দিল্লিতেই তো বিমানবন্দর এবং অন্যান্য পরিষেবা রয়েছে। আমরা এই ভাবনাটিকে বদলেছি। আজ দেখুন, আমরা হিন্ডন বিমানবন্দরকে যাত্রী পরিষেবার জন্য চালু করেছি। এরকম হরিয়ানার হিসারেও বিমানবন্দর তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

ভাই ও বোনেরা,

যখন বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি পায়, তখন পর্যটনও ততটাই ফুলে-ফেঁপে ওঠে। আমরা সবাই দেখেছি যে মা বৈষ্ণোদেবীর যাত্রা থেকে শুরু করে কেদারনাথ যাত্রাকে হেলিকপ্টার পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করার পর সেখানে শ্রদ্ধাবান ভক্তদের সংখ্যা নিরন্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিখ্যাত পর্যটন এবং আস্থার সঙ্গে যুক্ত বড় বড় কেন্দ্রগুলির জন্য নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই উদ্দেশ্য সাধন করতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

দেশ স্বাধীন হওয়ার সাত দশক পর প্রথমবার উত্তরপ্রদেশ সেই জিনিসগুলি পেতে শুরু করেছে যেগুলির দাবিদার ও যেগুলি পাওয়ার অধিকার তাঁদের সর্বদাই ছিল। এখন ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রচেষ্টায় উত্তরপ্রদেশ রাজ্যটি দেশের সর্বাধিক কানেক্টেড এলাকায় পরিবর্তিত হচ্ছে। এখানে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেও লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। র‍্যাপিড রেল করিডর থেকে শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রো কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থা, পূর্ব এবং পশ্চিম সমুদ্রের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশকে যুক্ত করা ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর – এই সব কিছু আধুনিক হতে উদগ্রীব উত্তরপ্রদেশের নতুন পরিচয়ে পরিণত হতে চলেছে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও উত্তরপ্রদেশকে নানারকম টিটকিরি শোনার জন্য বাধ্য করে রাখা হয়েছিল। কখনও দারিদ্র্যের জন্য বিদ্রূপ, কখনও জাতিভেদ নিয়ে রাজনীতির বিদ্রূপ, কখনও হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থ তছরূপের জন্য বিদ্রূপ, কখনও বাজে সড়কপথের জন্য বিদ্রূপ, কখনও বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগ না থাকার জন্য বিদ্রূপ, আবার কখনও স্থগিত থাকা উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে বিদ্রূপ, কখনও অপরাধী, মাফিয়া এবং রাজনৈতিক দলবদল ও গোষ্ঠী বদলের জন্য বিদ্রূপ। উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য এটাই প্রশ্ন ছিল যে তাঁরা কি আদৌ কখনও উত্তরপ্রদেশের একটি ইতিবাচক ছবি দেখতে পাবেন?

ভাই ও বোনেরা,

পূর্ববর্তী সরকারগুলি যে উত্তরপ্রদেশে অভাব এবং অন্ধকার সৃষ্টি করে রেখেছিল, পূর্ববর্তী সরকারগুলি যেভাবে উত্তরপ্রদেশকে সর্বদা মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছিল, তেমনই উত্তরপ্রদেশ আজ শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ছাপ রেখে যাচ্ছে। আজ উত্তরপ্রদেশে আন্তর্জাতিক স্তরে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। আজ উত্তরপ্রদেশে আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠছে, আন্তর্জাতিক স্তরের হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে, আন্তর্জাতিক স্তরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, আজ উত্তরপ্রদেশ মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানিগুলির বিনিয়োগের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এই সমস্ত কিছু আজ আমাদের উত্তরপ্রদেশে হচ্ছে। সেজন্যই আজ দেশ এবং বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বলেন – উত্তরপ্রদেশ মানেই উন্নত সুবিধা, নিরন্তর বিনিয়োগ। উত্তরপ্রদেশের এই আন্তর্জাতিক পরিচয়কে, উত্তরপ্রদেশের আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুনভাবে মাত্রান্বিত করছে। আগামী ২-৩ বছরে যখন এই বিমানবন্দর চালু হয়ে যাবে এবং কাজ করা শুরু করবে, তখন উত্তরপ্রদেশ পাঁচটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পন্ন রাজ্যে পরিণত হবে।

বন্ধুগণ,

উত্তরপ্রদেশে এবং কেন্দ্রীয় সরকারে আগে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা কিভাবে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নকে এড়িয়ে গেছেন তার একটি উদাহরণ এই জেওয়ার বিমানবন্দরও। দুই দশক আগে উত্তরপ্রদেশের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এই প্রকল্পের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এই বিমানবন্দর অনেক বছর ধরে দিল্লি এবং লক্ষ্ণৌ-এর পূর্ববর্তী সরকারের কাছে টানাপোড়েনের বিষয় হয়ে ছিল। উত্তরপ্রদেশে আগে যে সরকার ছিল তারা তো দস্তুরমতো চিঠি লিখে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিল, যাতে এই বিমানবন্দর প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন ডবল ইঞ্জিনের সরকারের প্রচেষ্টায় আজ আমরা সেই বিমানবন্দরের ভূমিপূজনের সাক্ষী হয়ে উঠেছি।

এমনিতে বন্ধুগণ, আজ আমি আরেকটা কথা বলব। মোদীজি-যোগীজি যদি চাইতেন তবে ২০১৭ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়ে ওঠার পরেই এখানে ভূমিপূজন করিয়ে দিতে পারতেন, ফটো তোলাতেন, খবরের কাগজে প্রেস নোটও ছেপে যেত। আর যদি আমরা তেমনটা করতাম, তাহলে পূর্ববর্তী সরকারগুলির প্রথাগত অভ্যাসমতো জনগণেরও মনে হত না যে আমরা খারাপ কিছু করছি। আগেকার রাজনৈতিক লাভের জন্য যেখানে সেখানে রেওরি খাওয়ানোর মতো পরিকাঠামো প্রকল্পের ঘোষণা হত। কাগজে দাগ টানা হত। কিন্তু প্রকল্পগুলি কিভাবে বাস্তবায়িত হবে, প্রতিকূলতাগুলি কিভাবে দূর করা হবে, অর্থ সংস্থান কোথা থেকে হবে – এইসব ভাবনা কেউ করতেন না। এর ফলেই প্রকল্পগুলি দশকের পর দশক ধরে স্থগিত থেকে যেত, তৈরিই হত না। ঘোষণা হয়ে যেত, প্রকল্পের বিনিয়োগও অনেকগুণ বেড়ে যেত, তারপর নানারকম বাহানাবাজি শুরু হত। বিলম্বের নারকেল অন্যদের মাথায় ভাঙার জন্য নানারকম চেষ্টা করা হত। কিন্তু আমরা এরকম কিছু করিনি, কারণ, পরিকাঠামো আমাদের জন্য রাজনীতির বিষয় নয়, রাষ্ট্রনীতির অংশ। ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি দায়িত্ব। আমরা এটা সুনিশ্চিত করছি, প্রকল্পগুলি যাতে থেমে না থাকে, ঝুলে না থাকে, বিভ্রান্ত না হয়, আমরা এটা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়, দেরি হলে আমরা জরিমানার ব্যবস্থাও করেছি।

বন্ধুগণ,

আগে কৃষকদের জমি নিয়ে যে ধরনের দুর্নীতি হত, তাও প্রকল্পগুলির বিলম্বের ক্ষেত্রে অনেক বড় কারণ হয়ে উঠত। তেমনই চারপাশে আগেকার সরকারের সময়কার এরকম অনেক প্রকল্প রয়েছে, যেগুলির জন্য কৃষকদের থেকে জমি তো নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেখানে হয় ভর্তুকি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে অথবা বছরের পর বছর ধরে সেই জমি পতিত হয়ে পড়ে আছে। আমাদের কৃষকদের কল্যাণে প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে দেশের স্বার্থে এই প্রতিকূলতাগুলিকেও আমরা নিরসন করেছি। আমরা এটা সুনিশ্চিত করেছি যে প্রশাসন, কৃষকদের থেকে যথাসময়ে, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে জমি কিনুক। তারপরই গিয়ে এই ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান এই প্রকল্পের ভূমিপূজনের জন্য আমরা এগিয়ে এসেছি।

বন্ধুগণ,

আজ প্রত্যেক সাধারণ দেশবাসীর জন্য উন্নতমানের পরিকাঠামো, উন্নতমানের পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ যাতে সুলভে বিমান যাত্রা করতে পারেন, এই স্বপ্নগুলিও আজ আমাদের ‘উড়ান’ যোজনার মাধ্যমে বাস্তবে পরিণত করে দেখিয়েছি। আজ যখন কোনও বন্ধু খুশি হয়ে বলেন যে তাঁর বাড়ির পাশেই বিমানবন্দর থেকে তিনি তাঁর মা-বাবার সঙ্গে প্রথমবার বিমান যাত্রা করেছেন, যখন তাঁরা নিজেদের ফটো শেয়ার করেন, তখন আমার মনে হয় যে আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, একা উত্তরপ্রদেশই বিগত বছরগুলিতে আটটি বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা চালু করেছে। কয়েকটিতে তো এখনই কাজ শুরু হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের দেশে কিছু রাজনৈতিক দল সর্বদাই তাদের নিহিত স্বার্থকে সবার ওপরে রেখেছে। তাদের ভাবনা ছিল নিজেদের স্বার্থ শুধুই নিজেদের পরিবারের সদস্যরা যেখানে থাকেন সেই এলাকার উন্নতিকেই তারা উন্নয়ন বলে মানত যেখানে আমরা ‘দেশ সর্বাগ্রে’ – এই ভাবনা নিয়ে কাজ করি। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’ – এটাই আমাদের মন্ত্র। আজ উত্তরপ্রদেশের জনগণ সাক্ষী, দেশের আপামর জনগণ সাক্ষী, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে কিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কী ধরনের রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু ভারত উন্নয়নের পথ থেকে সরে দাঁড়ায়নি। কিছুদিন আগেই ভারত ১০০ কোটি কোভিড টিকাকরণ ডোজের কঠিন মাইলফলক পেরিয়ে এসেছে। এই মাসের শুরুতেই ভারত ২০৭০-এর মধ্যে ‘নেট জিরো’র লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। কিছু সময় আগেই কুশিনগরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করা হয়েছে। তখন উত্তরপ্রদেশেই একসঙ্গে নয়টি মেডিকেল কলেজ চালু করে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। মাহোবায় নতুন বাঁধ আর সেচ প্রকল্পগুলি উন্মোচনের মাধ্যমে ঝাঁসিতে ডিফেন্স করিডরের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। গত সপ্তাহেই পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশবাসীদের জন্য সমর্পণ করা হয়েছে। তার একদিন আগেই আমরা জনজাতীয় গৌরব দিবস পালন করেছি। মধ্যপ্রদেশে একটি অত্যন্ত সুন্দর এবং আধুনিক রেল স্টেশনও উদ্বোধন করা হয়েছে। এ মাসেই মহারাষ্ট্রের পণ্ঢরপুরে কয়েক হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করা হয়েছে আর এখন আজ নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভূমিপূজন সম্পন্ন হল। আমাদের দেশভক্তির সামনে, আমাদের দেশসেবার সামনে কিছু রাজনৈতিক দলের স্বার্থনীতিও কখনও টিকতে পারে না।

বন্ধুগণ,

আজ দেশে একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনগুলি মাথায় রেখে অনেক আধুনিক প্রকল্প নিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। এই গতি, এই প্রগতি একটি সক্ষম এবং শক্তিশালী ভারতের গ্যারান্টি। এই প্রগতি দেশের সমস্ত পরিষেবা সুগম করে তোলা থেকে শুরু করে সাধারণ ভারতবাসীর সমৃদ্ধিকে সুনিশ্চিত করার মতো। আপনাদের সকলের আশীর্বাদে আপনাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারের দায়বদ্ধতা থেকে উত্তরপ্রদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আমরা সবাই মিলে এগিয়ে যাব। এই বিশ্বাস নিয়েই আপনাদেরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য আরেকবার অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

আমার সঙ্গে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে বলুন –

ভারতমাতার জয়!

ভারতমাতার জয়!

ভারতমাতার জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India has the maths talent to lead frontier AI research: Satya Nadell

Media Coverage

India has the maths talent to lead frontier AI research: Satya Nadell
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
We are not just the Mother of Democracy; democracy is an integral part of our lives: PM
January 09, 2025
PM flags off inaugural journey of the Pravasi Bharatiya Express, a special Tourist Train for the Indian diaspora
Pravasi Bharatiya Divas has become an institution to strengthen the bond between India and its diaspora: PM
The future is not in war, it is in Buddha: PM
We are not just the Mother of Democracy; democracy is an integral part of our lives: PM
21st century India is progressing at an incredible speed and scale: PM
Today's India not only firmly asserts its own point but also strongly amplifies the voice of the Global South: PM
India has the potential to fulfill the world's demand for skilled talent: PM
We consider it our responsibility to help our diaspora during crisis situations, no matter where they are: PM

ओडिशा के राज्यपाल डॉक्टर हरि बाबू जी, हमारे लोकप्रिय मुख्यमंत्री मोहन चरण माँझी जी, केंद्रीय कैबिनेट के मेरे साथी एस जयशंकर जी, जुएल ओरांव जी, धर्मेंद्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, शोभा करंदलाजे जी, कीर्ति वर्धन सिंह जी, पबित्रा मार्गेरिटा जी, ओडिशा सरकार में उप मुख्यमंत्री कनक वर्धन सिंहदेव जी, प्रवती परिदा जी, अन्य मंत्रिगण, सांसद और विधायकगण, दुनियाभर से यहां पधारे मां भारती के सभी बेटे-बेटी!

देवियों और सज्जनों! भगवान जगन्नाथ और भगवान लिंगराज की इस पावन धरती पर, मैं पूरे विश्व से आए अपने भारतवंशी परिवार का स्वागत करता हूं। अभी प्रारंभ में जो स्वागत गान हुआ, मुझे पूरा विश्वास है कि ये स्वागत गान भविष्य में भी दुनिया में जहां-जहां भारतीय समुदाय के कार्यक्रम होंगे, उसमें जरूर उसको बार-बार बजाया जाएगा। बहुत-बहुत बधाई आपको। आपकी टीम ने बहुत, बहुत ही सुंदर तरीके से एक प्रवासी भारतीय की भावना को अभिव्यक्त किया है, बधाई हो आपको।

Friends,

We just heard from the Chief Guest of this Pravasi Bhartiya Diwas. The video message of the President of Trinidad and Tobago, Her Excellency Christine Kangaloo left an impact on all of us. She too was speaking about India’s progress. I thank her for the warm and affectionate words.

Friends,

This is a time of vibrant festivals and gatherings in India. In just a few days, the Mahakumbh will start in Prayagraj. The festivals of Makar Sankranti, Lohri, Pongal and Magh Bihu are also coming up. There is a joyful atmosphere everywhere. Further, it was on this day, in 1915, that Mahatma Gandhi Ji came back to India after a long stay abroad. Your presence in India at such a wonderful time is adding to the festive spirit. This edition of Pravasi Bharatiya Diwas is special for an additional reason. We have gathered here just a few days after the birth centenary of Atal Bihari Vajpayee Ji. His vision was instrumental to this programme. It has become an institution to strengthen the bond between India and its diaspora. Together, we celebrate India, Indianness, our culture, our progress and connect to our roots.

साथियों,

आज आप जिस ओडिशा की महान धरती पर जुटे हैं, वो भी भारत की समृद्ध विरासत का प्रतिबिंब है। ओडिशा में कदम-कदम पर हमारी हैरिटेज के दर्शन होते हैं। उदयगिरी-खंडगिरी की historical caves हों, कोणार्क का सूर्य मंदिर हो, तम्रलिप्ति, मणिकपटना और पलूर के प्राचीन पोर्ट्स हों, ये देखकर हर कोई गौरव से भर उठता है। सैकड़ों वर्ष पहले भी ओडिशा से हमारे व्यापारी-कारोबारी लंबा समुद्री सफर करके बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानों तक जाते थे। उसी स्मृति में आज भी ओडिशा में बाली जात्रा का आयोजन होता है। यहीं ओडिशा में धौली नाम का वो स्थान है, जो शांति का बड़ा प्रतीक है। दुनिया में जब तलवार के ज़ोर पर सम्राज्य बढ़ाने का दौर था, तब हमारे सम्राट अशोक ने यहां शांति का रास्ता चुना था। हमारी इस विरासत का ये वही बल है, जिसकी प्रेरणा से आज भारत दुनिया को कह पाता है कि- भविष्य युद्ध में नहीं है, बुद्ध में है। इसलिए ओडिशा की इस धरती पर आपका स्वागत करना मेरे लिए बहुत विशेष हो जाता है।

साथियों,

मैंने हमेशा भारतीय डायस्पोरा को भारत का राष्ट्रदूत माना है। मुझे बहुत खुशी होती है जब पूरी दुनिया में आप सभी साथियों से मिलता हूं, आपसे ये बातचीत करता हूं। जो प्यार मुझे मिलता है, वो मैं भूल नहीं सकता। आपका वो स्नेह, वो आशीर्वाद हमेशा मेरे साथ रहता है।

साथियों,

आज मैं आप सभी का व्यक्तिगत तौर पर आपका आभार व्यक्त करना चाहता हूं, आपको Thank you भी बोलना चाहता हूं। Thank you इसलिए क्योंकि आपकी वजह से मुझे दुनिया में गर्व से सिर ऊंचा रखने का मौका मिलता है। बीते 10 वर्षों में मेरी दुनिया के अनेक लीडर्स से मुलाकात हुई है। दुनिया का हर लीडर अपने देश के भारतीय डायस्पोरा की, आप सभी की बहुत प्रशंसा करता है। इसका एक बड़ा रीज़न वो सोशल वैल्यूज हैं, जो आप सभी वहां की सोसायटी में ऐड करते हैं। हम सिर्फ मदर ऑफ डेमोक्रेसी ही नहीं हैं, बल्कि डेमोक्रेसी हमारी लाइफ का हिस्सा है, हमारी जीवन पद्धति है। हमें डायवर्सिटी सिखानी नहीं पड़ती, हमारा जीवन ही डायवर्सिटी से चलता है। इसलिए भारतीय जहां भी जाते हैं, वहां की सोसायटी के साथ जुड़ जाते हैं। हम जहां जाते हैं, वहां के रूल्स, वहां के ट्रेडिशन्स की रिस्पेक्ट करते हैं। हम पूरी ईमानदारी से उस देश की, उस सोसायटी की सेवा करते हैं। वहां की ग्रोथ और प्रॉसपैरिटी में कंट्रीब्यूट करते हैं। और इन सबके साथ ही हमारे दिल में भारत भी धड़कता रहता है। हम भारत की हर खुशी के साथ खुश होते हैं, भारत की हर उपलब्धि के साथ उत्सव मनाते हैं।

साथियों,

21st सेंचुरी का भारत, आज जिस स्पीड से आगे बढ़ रहा है, जिस स्केल पर आज भारत में डेवलपमेंट के काम हो रहे हैं, वो अभूतपूर्व है। सिर्फ 10 साल में भारत ने अपने यहां 25 करोड़ लोगों को गरीबी से बाहर निकाला है। सिर्फ 10 सालों में भारत, दुनिया की 10th largest economy से ऊपर उठकर 5th largest economy बन गया है। वो दिन दूर नहीं, जब भारत, दुनिया की third largest economy बनेगा। भारत की सफलता आज दुनिया देख रही है, आज जब भारत का चंद्रयान शिव-शक्ति प्वाइंट पर पहुंचता है, तो हम सबको गर्व होता है। आज जब दुनिया डिजिटल इंडिया की ताकत देखकर हैरान होती है, तो हम सबको गर्व होता है। आज भारत का हर सेक्टर आसमान की ऊंचाई छूने के लिए आगे बढ़ रहा है। रीन्यूएबल एनर्जी हो, एविएशन इकोसिस्टम हो, इलेक्ट्रिक मोबिलिटी हो, मेट्रो का विशाल नेटवर्क हो, बुलेट ट्रेन प्रोजेक्ट हो, भारत की प्रगति की गति सारे रिकॉर्ड तोड़ रही है। आज भारत, मेड इन इंडिया फाइटर जेट बना रहा है, ट्रांसपोर्ट एयरक्राफ्ट बना रहा है, और वो दिन भी दूर नहीं जब आप किसी मेड इन इंडिया प्लेन से ही प्रवासी भारतीय दिवस मनाने भारत आएंगे।

साथियों,

भारत के ये जो अचीवमेंट्स हैं, ये जो prospects आज भारत में दिख रहे हैं, इसके कारण भारत की वैश्विक भूमिका बढ़ रही है। भारत की बात को आज दुनिया ध्यान से सुनती है। आज का भारत, अपना पॉइन्ट तो स्ट्रॉन्गली रखता ही है, ग्लोबल साउथ की आवाज को भी पूरी ताकत से उठाता है। जब भारत ने अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाने का प्रपोजल रखा, तो सभी मेंबर्स ने इसका समर्थन किया। ह्यूमेनिटी फर्स्ट के भाव के साथ, भारत अपने ग्लोबल रोल का विस्तार कर रहा है।

साथियों,

भारत के टैलेंट का डंका आज पूरी दुनिया में बज रहा है, आज हमारे प्रोफेशनल्स दुनिया की बड़ी कंपनियों के ज़रिए ग्लोबल ग्रोथ में कंट्रीब्यूट कर रहे हैं। भारत की राष्ट्रपति आदरणीय द्रौपदी मुर्मू जी के हाथों कल कई साथियों को प्रवासी भारतीय सम्मान भी दिया जाएगा। मैं सम्मान पाने वाले सभी महानुभावों को अपनी शुभकामनाएं देता हूं।

साथियों,

आप जानते हैं, आने वाले कई दशकों तक भारत, दुनिया का सबसे यंग और स्किल्ड पॉपुलेशन वाला देश बना रहेगा। ये भारत ही है, जहां से दुनिया की एक बड़ी स्किल डिमांड पूरी होगी। आपने देखा होगा, दुनिया के अनेक देश अब, भारत के स्किल्ड यूथ का दोनों हाथों से स्वागत कर रहे हैं। ऐसे में भारत सरकार का भी प्रयास है कि कोई भी भारतीय विदेश जाए, तो वो बेहतरीन स्किल के साथ ही जाए। इसलिए हम अपने यूथ की लगातार skilling, re-skilling और up-skilling कर रहे हैं।

Friends,

We give great importance to your convenience and comfort. Your safety and welfare are a top priority. We consider it our responsibility to help our diaspora during crisis situations, no matter where they are. This is one of the guiding principles of India’s foreign policy today. Over the last decade, our embassies and offices worldwide have been sensitive and pro-active.

Friends,

Earlier, in many countries, people had to travel long distances to access consular facilities. They had to wait for days for help. Now, these problems are being solved. In just the last two years, fourteen embassies and consulates have been opened. The scope of OCI cards is also being expanded. It has been extended to PIOs of the 7th generation of Mauritius and 6th generation of Suriname martinique and guadeloupe.

साथियों,

दुनिया भर में फैले भारतीय डायस्पोरा का इतिहास, उनके उस देश में पहुंचने और वहां अपना परचम लहराने की गाथाएं, ये भारत की अहम विरासत है। आपकी ऐसी अनेक interesting और inspiring stories हैं, जिन्हें सुनाया जाना, दिखाया जाना, संजोया जाना जरूरी है। ये हमारी, shared legacy है, shared heritage है। अभी कुछ दिन पहले मैंने मन की बात में, इससे जुड़े एक प्रयास पर विस्तार से बात की थी। कुछ सेंचुरीज़ पहले गुजरात से कई परिवार ओमान में जाकर बस गए थे। 250 years की उनकी जर्नी काफी inspiring है। यहां इससे जुड़ी एक एग्ज़ीबिशन भी लगाई गई है। इसमें इस कम्यूनिटी से जुड़े thousands of documents को digitise करके दिखाया गया है। साथ ही उनके साथ एक ‘Oral History Project’ भी किया गया है। यानि कम्यूनिटी के जो सीनियर लोग हैं, जिनकी काफी age हो चुकी है, उन्होंने अपने experience share किए हैं। मुझे खुशी है कि इनमें से कई फैमिलीज़ आज हमारे बीच यहां मौजूद भी हैं।

साथियों,

इसी तरह के प्रयास हमें अलग-अलग देशों में गए डायस्पोरा के साथ भी करने चाहिए। जैसे एक उदाहरण हमारे “गिरमिटिया” भाई-बहन हैं। क्यों ना हमारे गिरमिटिया साथियों का एक डेटाबेस create किया जाये। वे भारत के किस-किस गांव से, किस शहर से गए, इसकी पहचान हो। वे कहाँ-कहाँ जाकर बसे, उन जगहों को भी identify किया जाए। उनकी लाइफ कैसी रही, उन्होंने कैसे challenges को opportunities में बदला, इसे सामने लाने के लिए फिल्म बन सकती है, डॉक्यूमेंट्री बन सकती है। गिरमिटिया लैगेसी पर स्टडी हो, इस पर रिसर्च हो, इसके लिए यूनिवर्सिटी में चेयर स्थापित की जा सकती है, रेग्यूलर इंटरवल पर वर्ल्ड गिरमिटिया कॉन्फ्रेंस भी कराई जा सकती है। मैं अपनी टीम से कहूंगा कि इसकी संभावनाएं तलाशें, इसको आगे बढ़ाने पर काम करे।

साथियों,

आज का भारत विकास भी और विरासत भी इस मंत्र पर चल रहा है। जी-20 के दौरान हमने देश के कोने-कोने में इसलिए मीटिंग्स रखीं, ताकि दुनिया, भारत की डायवर्सिटी का फर्स्ट हैंड एक्सपीरियंस ले पाए। हम बड़े गर्व से यहां काशी-तमिल संगमम, काशी तेलुगू संगमम, सौराष्ट्र तमिल संगमम जैसे आयोजन करते हैं। अभी कुछ दिन बाद ही संत थिरूवल्लुवर दिवस है। हमारी सरकार ने संत थिरूवल्लुवर के विचारों के प्रसार के लिए थिरूवल्लुवर कल्चर सेंटर्स की स्थापना का निर्णय लिया है। सिंगापुर में ऐसे पहले सेंटर का काम शुरू हो गया है। अमेरिका की ह्यूस्टन यूनिवर्सिटी में थिरूवल्लुवर चेयर की स्थापना भी की जा रही है। ये सारे प्रयास, तमिल भाषा को, तमिल विरासत को, भारत की विरासत को दुनिया के कोने-कोने में ले जा रहे हैं।

साथियों,

भारत में हैरिटेज से जुड़े अपने स्थानों को कनेक्ट करने के लिए भी हमने अनेक कदम उठाए हैं। जैसे भगवान राम और सीता माता से जुड़े स्थानों के दर्शन के लिए स्पेशल रामायण एक्सप्रेस ट्रेन है। भारत गौरव ट्रेनें भी, देश के important heritage places को जोड़ती हैं। अपनी सेमी हाईस्पीड, वंदे भारत ट्रेन्स से भी हमने देश के बड़े हेरिटेज सेंटर्स को जोड़ा है। थोड़ी देर पहले, एक विशेष प्रवासी भारतीय एक्सप्रेस ट्रेन शुरु करने का अवसर मुझे मिला है। इसमें करीब 150 लोग, टूरिज्म और आस्था से जुड़े सेवनटीन डेस्टिनेशन्स का टूर करेंगे। यहां ओडिशा में भी अनेक स्थान हैं, जहां आपको ज़रूर जाना चाहिए। प्रयागराज में महाकुंभ शुरु हो रहा है। ये मौका लाइफ में बार-बार नहीं मिलता। वहां भी आप ज़रूर होकर आएं।

साथियों,

साल 1947 में भारत को आज़ादी मिली और इसमें एक बड़ा रोल, हमारे डायस्पोरा का भी रहा है। उन्होंने विदेशों में रहकर भारत की आज़ादी के लिए कंट्रीब्यूट किया। अब हमारे सामने 2047 का टारगेट है। हमें भारत को विकसित देश, एक डेवलप्ड नेशन बनाना है। आप आज भी भारत की ग्रोथ में शानदार कंट्रीब्यूशन कर रहे हैं। आपके hard work के चलते ही आज भारत रेमिटेंस के मामले में दुनिया में नंबर एक हो गया है। अब हमें इससे भी आगे सोचना है। आप भारत के साथ-साथ दूसरे देशों में इन्वेस्ट करते हैं। Financial services और investment से जुड़ी आपकी needs को पूरा करने में हमारा GIFT CITY इकोसिस्टम help कर सकता है। आप सभी इसका benefit ले सकते हैं और विकसित भारत की जर्नी को और ताकत दे सकते हैं। आपका हर प्रयास, भारत को मजबूत करेगा, भारत की विकास यात्रा में मदद करेगा। जैसे एक सेक्टर हेरिटेज टूरिज्म का है। दुनिया में अभी भारत को बड़े-बड़े मेट्रो शहरों से ही जाना-पहचाना जाता है। लेकिन भारत सिर्फ इन बड़ी सिटीज़ तक सीमित नहीं है। भारत का बहुत बड़ा हिस्सा टीयर-2, टीयर-3 सिटीज़ में है, villages में है। वहां भारत की हैरिटेज के दर्शन होते हैं। दुनिया को हमें इस हैरिटेज से कनेक्ट करना है। आप भी अपने बच्चों को, भारत के छोटे-छोटे शहरों और गांवों तक ले जाएं। फिर अपने एक्सपीरियन्स, वापस जाकर अपने फ्रेंड्स के साथ शेयर करें। मैं ये भी चाहूंगा कि अगली बार जब आप भारत आएं, तो अपने साथ, इंडियन ऑरिजिन से बाहर के मिनिमम फाइव फ्रेंडस को लेकर आएं। आप जहां रहते हैं, वहां अपने फ्रेंड्स को भारत आने के लिए, भारत को देखने के लिए inspire करें।

साथियों,

मेरी एक अपील - डायस्पोरा के सभी young friends से भी है। आप भारत को जानिए क्विज़ में ज्यादा से ज्यादा हिस्सा लें। इससे भारत को जानने समझने में बहुत हेल्प मिलेगी। आप स्टडी इन इंडिया प्रोग्राम का भी जरूर benefit लें। ICCR की जो स्कॉलरशिप स्कीम है, उसका भी डायस्पोरा के यूथ को ज्यादा से ज्यादा फायदा लेना चाहिए।

साथियों,

जिस देश में आप रहते हैं, वहां भारत की असली हिस्ट्री को लोगों तक पहुंचाने के लिए भी आपको आगे आना होगा। जिन देशों में आप रहते हैं, वहां जो आज की जेनरेशन है, वो हमारी समृद्धि को, गुलामी के लंबे कालखंड और हमारे संघर्षों को नहीं जानती। आप सभी भारत की true history को दुनिया तक पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

भारत आज विश्व-बंधु के रूप में जाना जा रहा है। इस ग्लोबल कनेक्ट को और मजबूत करने में आपको अपने efforts बढ़ाने होंगे। अब जैसे, आप जिस देश में रहते हैं, वहां कोई न कोई अवॉर्ड फंक्शन शुरु कर सकते हैं। और ये अवार्ड उस देश के मूल निवासियों के लिए हों, जहां आप अभी रहते हैं। वहां के जो प्रॉमिनेंट लोग हैं, कोई लिट्रेचर से जुड़ा है, कोई आर्ट एंड क्राफ्ट से जुड़ा है, कोई फिल्म और थिएटर से जुड़ा है, हर सेक्टर में जो अचीवर्स हैं, उन्हें बुलाकर के भारत के डायस्पोरा की तरफ से अवॉर्ड दीजिए, उन्हें सर्टिफिकेट्स दीजिए। इसमें वहां जो भारत की एंबेसी है, जो consulate है, वो भी आपकी पूरी मदद करेंगे। इससे आपका वहां उस देश के लोगों से पर्सनल कनेक्ट बढ़ेगा, आपकी इमोशनल बॉन्डिंग बढ़ेगी।

साथियों,

भारत के लोकल को ग्लोबल बनाने में भी आपका बहुत बड़ा रोल है। आप मेड इन इंडिया फूड पैकेट, मेड इन इंडिया कपड़े, ऐसा कोई न कोई सामान ज़रूर खरीदें। अगर आपके देश में कुछ चीज़ें नहीं मिल रही हैं, तो ऑनलाइन ऑर्डर करें। मेड इन इंडिया प्रॉडक्ट को अपने किचन में, अपने ड्राइंग रूम में, अपने गिफ्ट में शामिल करें। ये विकसित भारत के निर्माण में आप सभी की तरफ से बहुत बड़ा कंट्रीब्यूशन होगा।

साथिय़ों,

मेरी एक और अपील, mother और mother earth से जुड़ी है। अभी कुछ दिन पहले मैं गुयाना गया था। वहां के प्रेसिडेंट के साथ मैंने एक पेड़ मां के नाम initiative में हिस्सा लिया। भारत में करोड़ों लोग ये काम कर रहे हैं। आप भी जिस देश में हों, वहां अपनी मां के नाम एक tree, एक सैप्लिंग जरूर प्लांट करें। मुझे विश्वास है कि आप जब भारत से लौटकर जाएंगे, तो विकसित भारत का रेजोल्यूशन, ये संकल्प भी आपके साथ जाएगा। हम सब मिलकर विकसित भारत बनाएंगे। साल 2025 आप सभी के लिए, मंगलमय हो, हेल्थ हो या वेल्थ, आप समृद्ध रहें, इसी कामना के साथ, आप सभी का फिर से भारत में स्वागत है, अभिनंदन है।

बहुत-बहुत शुभकामनाएं, बहुत बहुत धन्यवाद।