“India is moving forward with the mantra of ‘Make in India, Make for the Globe’”
“Vadodara, the famous cultural and education center, will develop a new identity as an aviation sector hub”
“We are about to enter among the top three countries in the world with regard to air traffic”
“Growth momentum of India has been maintained despite pandemic, war and supply-chain disruptions”
“India is presenting opportunities of low cost manufacturing and high output”
“Today, India is working with a new mindset, a new work-culture”
“Today our policies are stable, predictable and futuristic”
“We aim to scale our defense manufacturing beyond $25 billion by 2025. Our defense exports will also exceed $5 billion”

গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি, রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজি, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং-জি, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার, প্রতিরক্ষা ও বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকগণ এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

নমস্কার!

গুজরাটে দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয় দেব দীপাবলি পর্যন্ত। দীপাবলির এই উৎসবকালে গুজরাটের ভদোদরা তথা সমগ্র দেশই পেয়েছে এক মূল্যবান উপহার, তা হল – গুজরাটি নববর্ষ। নতুন বছরে এই প্রথম আমার গুজরাটে আসা। তাই, আপনাদের সকলকেই জানাই শুভ নববর্ষ!

বিশ্বের এক বৃহৎ উৎপাদন কেন্দ্র রূপে ভারতকে গড়ে তোলার পথে আজ আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছি। ভারত বর্তমানে নিজস্ব যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করছে। নিজস্ব ট্যাঙ্ক ও সাবমেরিনও এখন তৈরি হচ্ছে ভারতেই। শুধু তাই নয়, ভারতেই উৎপাদিত ওষুধ ও ভ্যাক্সিন আজ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণরক্ষা করেছে। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, মোবাইল ফোন এবং গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ভারত আজ বিশ্বের বহু দেশকে অতিক্রম করে গেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ফর দ্য গ্লোব’ – এই দুটি মন্ত্রকে সম্বল করে ভারত এখন অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। এইভাবেই দ্রুত প্রসার ঘটছে নির্মাণ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারতের নতুন নতুন সম্ভাবনার। কিন্তু এ হল যাত্রার সূচনামাত্র। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এমন একটি দিনের ছবি যখন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী বিমান নির্মিত হবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ব্র্যান্ডে আমাদের এই ভারতেই।

বন্ধুগণ,

যে সুযোগ-সুবিধার প্রসারে ভদোদরায় আজ শিলান্যাস অনুষ্ঠিত হল তা দেশের প্রতিরক্ষা ও বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে এক আমূল পরিবর্তন এনে দিতে পারে। এই প্রথম দেশের প্রতিরক্ষা বিমান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এত বড় ধরনের এক বিনিয়োগ প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখানে যে বিমানগুলি নির্মিত হচ্ছে তা শুধু সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিই করবে না, সেইসঙ্গে বিমান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নতুন অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে সহায়ক হয়ে উঠবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র রূপে বিখ্যাত ভদোদরা এখন থেকে বিমান পরিবহণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠতে চলেছে। এক নতুন পরিচিতির মাধ্যমে ভারত আজ নিজেকে তুলে ধরছে সমগ্র বিশ্বের কাছে। ভারত যদিও বর্তমানে বিমানের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ বিশ্বের অনেক দেশেই রপ্তানি করতে শুরু করেছে, সেনাবাহিনীর জন্য বিমান তৈরির ক্ষেত্রে এটিই হল দেশের প্রথম পদক্ষেপ। এজন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল টাটা গোষ্ঠী এবং এয়ারবাস ডিফেন্স কোম্পানির জন্য। দেশে ১০০টিরও বেশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে বলে আমি জানি। ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য এখানে বরাত নেওয়ার কাজ চালু হবে। আর এইভাবেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ফর দ্য গ্লোব’-এর সঙ্কল্পকে আরও তাৎপর্যময় করে তোলার কাজ শুরু হচ্ছে এই স্থানটি থেকেই।

বন্ধুগণ,

ভারতে বর্তমানে রয়েছে দ্রুততম গতিতে বেড়ে ওঠা এক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা। বিমান চলাচলের দিক থেকে আমরা অচিরেই স্থান পেতে চলেছি বিশ্বের শীর্ষ স্থানের অধিকারী তিনটি দেশের সঙ্গে একসারিতেই। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে কোটি কোটি নতুন যাত্রী বিমানপথে যাত্রা করবেন বলে আমরা মনে করি। এই লক্ষ্যে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে আমাদের ‘উড়ান’ কর্মসূচিটি। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে ভারতে আরও প্রায় ২ হাজারটির মতো যাত্রী ও পণ্যবাহী বিমানের প্রয়োজন হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। চিন্তা করুন! শুধুমাত্র ভারতেই প্রয়োজন আরও ২ হাজারটি বিমানের। তাহলে কোন গতিতে ভারতের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে তা সহজেই অনুমেয়। এই বিরাট চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ভারত এখন নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছে এবং সেই লক্ষ্য পূরণের পথে আজকের এই অনুষ্ঠানটি হল এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বন্ধুগণ,

আজকের এই অনুষ্ঠান স্থল থেকে এক বিশেষ বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে সমগ্র বিশ্বের কাছে। অন্যান্য দেশগুলির জন্য এক সোনালী সুযোগ নিয়ে ভারত এখন উপস্থিত। যোগান শৃঙ্খলে ব্যাঘাত সত্ত্বেও এবং করোনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়া সত্ত্বেও ভারতের উৎপাদন ক্ষেত্র এখন আবার নতুনভাবে এগিয়ে চলেছে। প্রতিনিয়তই কাজের পরিবেশের এখানে উন্নতি ঘটছে। এমনকি, পণ্যের গুণমান ও প্রতিযোগিতামুখী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ভারত এখন নিজেকে অনেকটাই উন্নত করেছে। কম খরচে বেশি মাত্রায় উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি করে চলেছে আমাদের দেশ। দক্ষ ও মেধাসম্পন্ন শ্রমশক্তির কোনো অভাব নেই বর্তমান ভারতে। গত আট বছরে সরকার গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির পথ ধরে নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারতে এক নজিরবিহীন পরিবেশও গড়ে উঠেছে। বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার ওপর এর আগে এ ধরনের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি আমাদের দেশে। কর্পোরেট ক্ষেত্রের কর কাঠামোকে সরল করে তোলার মতো অনেক নতুন নতুন অর্থনৈতিক সংস্কারসূচি ভারতে এক নতুন পরিবেশ গড়ে তুলছে। ফলে, ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সম্ভব করে তুলতে পেরেছি। খনি, প্রতিরক্ষা, বেসরকারি সংস্থা, শ্রম সংস্কার, ২৯টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে শুধুমাত্র চারটি আইনের মধ্যে সীমিত রাখা, কর সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ৩৩ হাজারেরও বেশি বাধ্যবাধকতাকে পরিহার করে এবং ডজন ডজন কর-এর বোঝা কমিয়ে এনে একটিমাত্র পণ্য ও পরিষেবা কর-এর মধ্যে তা সীমিত রাখার সাফল্য আমরা দেখিয়েছি। আমাদের এই সংস্কার প্রচেষ্টার সুফল আজ পৌঁছে গেছে দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রে।

বন্ধুগণ,

আমাদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে আরও এক বিশেষ কারণ। এটিকে বরং সবচেয়ে বড় কারণ বললেও অত্যুক্তি হয় না এবং তা হল মানসিকতার পরিবর্তন। সুদীর্ঘকাল ধরে অতীতের সরকারগুলি দেশ শাসন করে এসেছে এই মানসিকতা নিয়ে যে তারাই প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বেসর্বা। ফলে, দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র তেমনভাবে বেড়ে ওঠার কোনো সুযোগই তখন পায়নি। কিন্তু, ‘সবকা প্রয়াস’কে অবলম্বন করে এক নতুন শক্তিতে উজ্জীবিত ভারত সরকারি ও বেসরকারি - দুটি ক্ষেত্রকেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার কাজে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ,

পূর্ববর্তী সরকারগুলি যে কোনো ধরনের সমস্যাকে এড়িয়ে চলার মানসিকতা নিয়ে চলত। নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রে কিছু ভর্তুকি সহায়তা প্রসারের মধ্য দিয়েই তারা তাদের কর্তব্য সম্পাদন করত। ফলে, সরকারের এই ধরনের মানসিকতায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রটি। এরই অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপ সেই সময় কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিই গড়ে তোলা যায়নি। অবহেলিত থেকে গিয়েছিল পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও জলের যোগানের মতো কর্মসূচিগুলি। এ দেশের তরুণ প্রজন্ম এই ধরনের মানসিকতার কি ফল হতে পারে, তা বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছে। অস্থায়ীভাবে কাজ করে যাওয়ার পদ্ধতিকে আমরা সম্পূর্ণ রূপে পরিহার করেছি বরং, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি অনেকগুলি সুযোগ-সুবিধা। আমরা চালু করেছি উৎপাদন-ভিত্তিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধামূলক কর্মসূচি। আর এ সমস্ত কিছুর সুফল এখন আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারছি। আমাদের নীতি বর্তমানে দৃঢ়, সহজেই অনুমেয় এবং ভবিষ্যৎকে লক্ষ্য রেখে গড়ে তোলা। ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান’ এবং ‘জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি’গুলির সাহায্যে দেশের সার্বিক পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থাকে আমরা ক্রমশ উন্নত করে তোলার পথে এগিয়ে গিয়েছি।

বন্ধুগণ,

অতীতে আরও এক ধরনের মানসিকতাও চালু ছিল, তা হল - “ভারত তো কোনদিনই উৎপাদন ক্ষেত্রে তেমন কিছু করে দেখাতে পারবে না, তাই তার উচিৎ শুধুমাত্র পরিষেবা ক্ষেত্রের দিকেই নজর দেওয়া।” কিন্তু আজ আমরা পরিষেবা ক্ষেত্রের পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষেত্রকেও আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করে তুলেছি। আমরা জানি যে বর্তমান বিশ্বে কোনো দেশই শুধুমাত্র পরিষেবা ক্ষেত্র অথবা উৎপাদন ক্ষেত্রের মধ্যে তাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সীমাবদ্ধ রেখে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই, উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের রয়েছে এক সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি। আজকের নতুন ভারত সেই পথেই গভীর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছে। অতীতে আরও একটি ভ্রান্ত ধারণা কাজ করত, তা হল – “দেশে নাকি শ্রমশক্তির খুবই অভাব”, আর এই মানসিকতার ফলে বিশেষভাবে ব্যাহত হত সাধারণ মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা। ফলে, দক্ষতার ঘাটতি এবং মেধার অভাব দুইয়ে মিলে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। এরই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রকে। সেদিকে দৃষ্টি প্রায় দেওয়া হয়নি বললেই চলে। কিন্তু আজকের ভারত নির্মাণ বা উৎপাদন ক্ষেত্রের একদম সামনের সারিতে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি। সেমি-কন্ডাক্টর থেকে বিমান – প্রতিটি ক্ষেত্রেই সামনের সারিতে দাঁড়ানোর জন্য আমরা এখন লড়াই করে চলেছি। গত আট বছর ধরে দক্ষতা বিকাশের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার ফলে কাজের এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা আজ সম্ভব হয়েছে। এইভাবে সমস্ত কিছু পরিবর্তনকে সঙ্গে নিয়ে ভারত এগিয়ে চলেছে তার উন্নয়নের যাত্রাপথে। আর এইভাবেই দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রটি আজ এসে পৌঁছেছে এক নতুন পর্যায়ে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকারের বিনিয়োগ-বান্ধব নীতিগুলির সুফল আজ আমরা লক্ষ্য করছি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও। গত আট বছরে ১৬০টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন সংস্থার বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে আমাদের দেশে। গুটিকয়েক শিল্পক্ষেত্রের মধ্যেই এই বিদেশি বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ থাকেনি, বিদেশি বিনিয়োগ প্রসারিত হয়েছে অর্থনীতির ৬০টিরও বেশি ক্ষেত্রে। দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের একটি বাস্তব চিত্র আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। শুধুমাত্র বিমান উৎপাদন ক্ষেত্রেই বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ২০০০-২০১৪ – এই ১৪ বছরে এই ক্ষেত্রটিতে বিদেশি বিনিয়োগের তুলনায় গত আট বছরে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচগুণ মাত্রায়। আগামী বছরগুলিতে ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠতে চলেছে দেশের প্রতিরক্ষা ও বিমান উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রগুলি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মাত্রায় উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানির মাত্রাও অতিক্রম করে যাবে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রতিরক্ষা করিডর। এজন্য আমি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং গুজরাট সরকারের বিশেষ প্রশংসা করি। মাত্র কয়েকদিন আগেই গান্ধীনগরে আয়োজিত হয় প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর। আনন্দের ঘটনা যে আজ পর্যন্ত এটিই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী। এজন্য অভিনন্দন রাজনাথজিকে। ঐ প্রদর্শনীতে যে সমস্ত জিনিস সকলের সামনে প্রদর্শিত হয় তা সবই ছিল ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ব্র্যান্ডের। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রদর্শনীগুলিতে ‘প্রোজেক্ট সি-২৯৫’-এর প্রতিফলন ঘটবে বলেই আমরা মনে করি। টাটা গোষ্ঠী এবং এয়ারবাস সংস্থাকে এজন্য আমি আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

আজ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আমার বন্ধুদের কাছে আমি আমার একটি আবেদনের পুনরাবৃত্তি করতে আগ্রহী। এই মুহূর্তে দেশের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের পরিবেশ গড়ে উঠেছে, আপনারা সকলে তার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করুন। এই সুযোগকে কোনভাবেই আপনারা নষ্ট হতে দেবেন না বরং, যতটা সম্ভব এই সুযোগের আপনারা সদ্ব্যবহার করুন। শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলের কাছে আমি আহ্বান জানাই যে দেশের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে সহায়তা করার পথ আপনারা খুঁজে বের করুন। দেশের তরুণ প্রজন্মগুলি যে সমস্ত স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে তুলেছে সেগুলির জন্য একটি স্টার্ট-আপ সেল আপনারা গড়ে তুলুন। এর মধ্য দিয়ে আপনারা নিজেদের অগ্রগতিকে দ্রুততম করে তোলার পাশাপাশি আমাদের তরুণ প্রজন্মও বিশ্বের স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রে ভারতের গৌরবকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারবে। একইসঙ্গে, তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ। গবেষণা ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণ আজও সীমিত ও সীমাবদ্ধ। কিন্তু আমরা যদি তার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করে তুলতে পারি তাহলে উদ্ভাবন ও উৎপাদনের এক উন্নত পরিবেশ আমরা গড়ে তুলতে পারব। ‘সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্রটি আমাদের সকলকেই তখন পথ দেখিয়ে চলবে। একই পথ ধরে এগিয়ে যাব আমরা সকলেই। আজ এই আধুনিক বিমান উৎপাদন কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা প্রসারের অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে আমি আরও একবার অভিনন্দন জানাই। দেশের তরুণদের সামনে নতুন নতুন সুযোগ এখন অপেক্ষা করে রয়েছে। দেশের তরুণদের জন্য রইল আমার বিশেষ অভিনন্দন বার্তা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage