৯ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি সুফলভোগী কৃষক পরিবারের অ্যাকাউন্টে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি সরাসরি হস্তান্তরিত
২০৪৭-এ ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পূরণ করবে তখন দেশের পরিস্থিতি নির্ণয়ে আমাদের কৃষি ও কৃষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে এ যাবৎ সর্বাধিক সংগ্রহ, ধান চাষীদের অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা এবং গম চাষীদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা সরাসরি জমা করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশে গত ৫০ বছরে ডালশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে তাঁর অনুরোধ শোনার জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষক সমাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
জাতীয় ভোজ্য তেল – পাম তেল অভিযানের মাধ্যমে দেশ ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে, রান্নার তেলের উৎপাদন বাড়াতে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
এই প্রথম ভারত কৃষি পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বের প্রথম ১০টি দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশের কৃষি নীতিতে ক্ষুদ্র কৃষকদেরকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নমস্কার জী,

বিগত কয়েক দিন ধরে আমি সরকারের ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সরকার যে প্রকল্পগুলি রচনা করেছে তার সুবিধা মানুষ কিভাবে পাচ্ছেন তা এভাবে আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারি। জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের এটাই লাভ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সকল সহযোগীবৃন্দ। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে যুক্ত হওয়া মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীগণ, লেফটেন্যান্ট গভর্নর আর উপ মুখ্যমন্ত্রীগণ, রাজ্য সরকারগুলির মন্ত্রীরা, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, সারা দেশ থেকে যুক্ত হওয়া কৃষক এবং ভাই ও বোনেরা,

আজ দেশের ১০ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৯,৫০০ কোটিরও বেশি টাকা সরাসরি হস্তান্তর হয়েছে। তা আমি দেখতে পাচ্ছি, অনেকেই তাঁদের মোবাইল ফোনে চেক করছেন যে পৌঁছলো কি না! তার পর পরস্পরকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এখন বর্ষাকাল আর বীজ বপনের কাজ চলছে। এমন সময়ে এই অর্থ ছোট কৃষকদের অনেক কাজ লাগবে। আজ ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিলেরও এক বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার কৃষক সংগঠন সাহায্য পাচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

সরকার কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ করে দিতে নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ। ‘মিশন হানি বী’ এমনই একটি অভিযান। ‘মিশন হানি বী’-র মাধ্যমে গত বছরে আমরা প্রায় ৭০০ কোটি টাকার মধু রপ্তানি করেছি, এর মাধ্যমে কৃষকদের অতিরিক্ত আয় হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের  কেসর তো এমনিতেই বিশ্ব প্রসিদ্ধ। এখন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীরের কেসর সারা দেশে ‘নাফেড’-এর দোকানগুলিতে পাওয়া যাবে। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরে কেসর চাষ অনেক উৎসাহিত হবে।

ভাই ও বোনেরা,

আপনাদের সবার সঙ্গে এই বার্তালাপ এমন সময় হচ্ছে, যখন আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি। আর কয়েক দিন পরেই তো ১৫ আগস্ট আসবে। এবার দেশ তার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টি আমাদের জন্য গর্বের তো বটেই, নতুন সংকল্প নতুন লক্ষ্যগুলির জন্যও একটা অনেক বড় সুযোগ।

এই উপলক্ষে আমাদের এটা ঠিক করতে হবে যে আগামী ২৫ বছরে আমরা ভারতকে কোথায় দেখতে চাই। দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে ২০৪৭-এ তখন ভারতের পরিস্থিতি কী হবে, এটা ঠিক করতে আমাদের কৃষি, আমাদের গ্রাম, আমাদের কৃষকদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। এই সময় ভারতের কৃষিকে একটা এমন লক্ষ্য প্রদান করতে হবে যা নতুন সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে পারে আর নতুন সুযোগগুলো থেকে সম্পূর্ণ লাভবান হতে পারে।

ভাই ও বোনেরা,

এই সময়ে অনেক দ্রুত গতিতে যে পরিবর্তনগুলি আসছে আমরা সকলেই তার সাক্ষী। আবহাওয়া হোক কিংবা প্রকৃতি সংক্রান্ত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত পরিবর্তন কিংবা অতিমারীর কারণে গোটা বিশ্বে যে সব পরিবর্তন আসছে; আমরা বিগত দেড় বছরে করোনা মহামারীর সময়ে এগুলিকে অনুভবও করেছি। আর এই কঠিন সময়ে দেশেই খাদ্য ও পানীয়ের অভ্যাস থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে অনেক সচেতনতা এসেছে। ভারী খাদ্যশস্য যেমন জোয়ার, বাজরা ইত্যাদি, আর ফল এবং মশলার ক্ষেত্রে জৈব ফলনের চাহিদা এখন দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই জন্য ভারতীয় কৃষিকেও এখন এই পরিবর্তিত প্রয়োজন এবং চাহিদা হিসেবে পাল্টাতেই হবে। আর আমি সর্বদাই বিশ্বাস করি আমাদের দেশের কৃষকরা এই পরিবর্তনগুলিকে অবশ্যই রপ্ত করে নেবেন।

বন্ধুগণ,

এই অতিমারীর সময়ও আমরা ভারতের কৃষকদের সামর্থ দেখেছি। রেকর্ড উৎপাদনের মাঝে সরকারও চেষ্টা করেছে যাতে কৃষকদের সমস্যা ন্যূনতম হয়। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে বীজ, সার সরবরাহ থেকে শুরু করে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দিতে যথা সম্ভব চেষ্টা করেছে, উপায় বের করেছে। ইউরিয়ার সরবরাহ লাগাতার জারি রয়েছে। ডিএপি, যার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে এই করোনার সময় অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এর বোঝাও আমাদের সরকার কৃষকদের ওপর পড়তে দেয়নি। সরকার দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১২,০০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছে।

বন্ধুগণ,

সরকার খরিফ কিংবা রবি ফসলের ঋতুতে কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে রেকর্ড পরিমাণ ফসল ক্রয় করেছে। এর মাধ্যমে ধান চাষীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আর গম চাষীদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা প্রত্যক্ষ হস্তান্তরের মাধ্যমে পৌঁছেছে। কৃষক এবং সরকারের এই বোঝাপড়ার ফলেই আজ ভারতের অন্ন ভাণ্ডার পরিপূর্ণ। কিন্তু বন্ধুগণ, আমরা দেখেছি যে শুধুই গম, চাল, চিনিতে আত্মনির্ভরতা যথেষ্ট নয়। ডাল এবং তেলের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর ভারতের কৃষকেরা এটা করে দেখাতে পারে। আমার মনে আছে, কয়েক বছর আগে যখন দেশে ডাল দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছিল তখন আমি দেশের কৃষকদের কাছে ডাল উৎপাদন বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিলাম। আমার সেই অনুরোধ দেশের কৃষকরা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। ফলে বিগত ৬ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কাজ আমরা ডালের জন্য করেছি কিংবা অতীতে গম - ধান নিয়েও করেছি এখন আমাদের সেই সংকল্পকে ভোজ্য তেল উৎপাদনের জন্য নিয়ে যেতে হবে। এই ভোজ্য তেল উৎপাদনে আমাদের দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলতে আমাদের দ্রুত গতিতে কাজ করতে হবে।

ভাই ও বোনেরা,

ভোজ্য তেলে আত্মনির্ভরতার জন্য এখন জাতীয় খাদ্য তেল মিশন – পাম অয়েলের সংকল্প নেওয়া হয়েছে। আজ দেশ ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’-এর কথা স্মরণ করছে, আর এই ঐতিহাসিক দিন আমাদের নতুন প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলবে। এই মিশনের মাধ্যমে ভোজ্য তেলের সঙ্গে যুক্ত ইকো সিস্টেমে ১১,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হবে। সরকার কৃষকদের উত্তম বীজ থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি - এই সমস্ত সুবিধা সুনিশ্চিত করবে। এই মিশনের মাধ্যমে পাম তেলের চাষকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আমাদের যে অন্যান্য পারম্পরিক তিল শস্য রয়েছে সেগুলির চাষও বাড়ানো হবে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত কৃষি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রথমবার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০টি দেশের তালিকায় পৌঁছেছে। করোনা কালেই দেশ কৃষি রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আজ যখন ভারত একটি বড় কৃষি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে তখন আমরা ভোজ্য তেলের প্রয়োজনীয়তার জন্য আমদানি নির্ভর থাকবো এটা মোটেই উচিত নয়। আমাদের দ্বারা আমদানিকৃত পাম তেল-এর অংশ ৫৫ শতাংশেরও বেশি। আমাদের এই পরিস্থিতিকে বদলাতে হবে। ভোজ্য তেল কেনার জন্য আমরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে অন্যদেরকে দিতে হয়, দেশের কৃষকরাই যেন সেটা পান তা দেখতে হবে। ভারতে তালগাছের বাণিজ্যিক চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতে এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে একে বিশেষ রূপে অনেক বাড়ানো যেতে পারে। এই ক্ষেত্র যেখানে সহজেই তালের চাষ হতে পারে, পাম-তেলের উৎপাদন হতে পারে।

বন্ধুগণ,

ভোজ্য তেলের আত্মনির্ভরতার এই মিশনের অনেক লাভ রয়েছে। এর ফলে কৃষকদের প্রত্যক্ষ লাভ তো হবেই, গরিব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি শস্তায় উন্নতমানের তেল পাবেন। শুধু তাই নয়, এই মিশন বড় স্তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে উপকৃত করবে। বিশেষভাবে ‘ফ্রেশ ফ্রুট বাঞ্চ প্রসেসিং’-এর সঙ্গে যুক্ত শিল্পই অনেক বিস্তারলাভ করবে। যে রাজ্যগুলিতে পাম তেলের চাষ হবে, সেখানে ট্র্যান্সপোর্ট থেকে শুরু করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলিতে যুব সম্প্রদায়ের অনেক কর্মসংস্থান হবে।

ভাই ও বোনেরা,

পাম তেলের চাষ করলে দেশের ছোট কৃষকেরা অনেক বেশি লাভবান হবেন। তাল গাছের প্রতি হেক্টর উৎপাদন বাকি তিল প্রজাতির ফসলের তুলনায় অনেক বেশি হয়। অর্থাৎ পাম অয়েল মিশন অনেক ক্ষুদ্র অংশেও বেশি ফসল উৎপাদন করে ছোট কৃষকরা অনেক বেশি লাভ পেতে পারে।

বন্ধুগণ,

এটা আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন যে দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি কৃষকদের কাছে দুই হেক্টরের বেশি জমি নেই। আগামী ২৫ বছরে দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে এই ছোট কৃষকদের অনেক বড় ভূমিকা থাকতে চলেছে। সেজন্য এখন দেশের কৃষি নীতিতে এই ছোট কৃষকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই ভাবনা নিয়ে বিগত বছরগুলিতে ছোট কৃষকদের সুবিধা এবং নিরাপত্তা প্রদানের একটি প্রকৃত চেষ্টা করা হচ্ছে। পিএম কিসান নিধির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা তো করোনায় কঠিন সময় থেকেই ছোট কৃষকদের কাছে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, করোনা কালেই ২ কোটিরও বেশি কিসান ক্রেটিড কার্ড জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই ছোট কৃষক। এদের মাধ্যমে কৃষকরা হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। কল্পনা করুন যদি এই সাহায্য ছোট কৃষকরা না পেতেন, ১০০ বছরের এই সর্ববৃহৎ বিপর্যয়ে তাঁদের কী অবস্থা হতো, তাঁদের ছোট ছোট প্রয়োজনের জন্য তাদের কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়াতে হতো?

ভাই ও বোনেরা,

আজ যে কৃষি পরিকাঠামো গড়ে উঠছে, যে যোগাযোগের পরিকাঠামো গড়ে উঠছে কিংবা আরও বড় বড় ফুড পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, এগুলির মাধ্যমেও ছোট কৃষকরা অত্যন্ত লাভবান হচ্ছেন। আজ দেশে বিশেষ কিসান রেল চালু হয়েছে। এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে হাজার হাজার কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ফসল কম টাকায় ট্রান্সপোর্টের খরচ অনেক কম দেশের বড় বড় বাজারগুলিতে পৌঁছে দিয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করছে। এইভাবে, যে বিশেষ পরিকাঠামো তহবিল রয়েছে তার মাধ্যমেও ছোট কৃষকদের জন্য আধুনিক গুদামীকরণের পরিষেবা গড়ে উঠছে। গত বছর সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি প্রজেক্ট স্বীকৃতও হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৃষকরাও রয়েছেন। কৃষকদের সমাজে এবং কিসান উৎপাদক সঙ্ঘের মাধ্যমেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীও রয়েছে আর স্টার্টআপও রয়েছে। সম্প্রতি আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার ঠিক করেছে, যে রাজ্যগুলিতে আমাদের সরকারি মান্ডি রয়েছে তাদেরকেও এই তহবিল থেকে সাহায্য করা যাবে। এই তহবিল ব্যবহার করে আমাদের সরকারি মান্ডিগুলি উন্নততর হবে আরও বেশি শক্তিশালী হবে।

ভাই ও বোনেরা,

পরিকাঠামো ফান্ড হোক কিংবা ১০ হাজার কৃষক উৎপাদক সঙ্ঘের নির্মাণ, এভাবে ছোট কৃষকদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ছোট কৃষকদের বাজার পর্যন্ত যোগাযোগও খুব ভালো হবে আর বাজারে তাদের দামদর করার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাক। যখন এফপিও-গুলির মাধ্যমে, সরকারি ব্যবস্থা থেকে, হাজার হাজার ছোট কৃষক যখন একজোট হবেন তখন তাঁদের শক্তি হাজার গুণ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ হোক কিংবা রপ্তানি; সমস্ত ক্ষেত্রেই কৃষকদের অন্যদের ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে। তাঁরা নিজেরাও সরাসরি বিদেশী বাজারে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বন্ধন মুক্ত হয়েই দেশের কৃষকরা আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারবেন। এই ভাবনা নিয়ে আমাদের আগামী ২৫ বছরে একটি সংকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হবে। তিলে আত্মনির্ভরতার মিশনে আমাদের এখন থেকেই লেগে পড়তে হবে। আরেকবার পিএম কিসান সম্মান নিধি-র সমস্ত সুবিধাভোগীদের আমার অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ! 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi congratulates hockey team for winning Women's Asian Champions Trophy
November 21, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi today congratulated the Indian Hockey team on winning the Women's Asian Champions Trophy.

Shri Modi said that their win will motivate upcoming athletes.

The Prime Minister posted on X:

"A phenomenal accomplishment!

Congratulations to our hockey team on winning the Women's Asian Champions Trophy. They played exceptionally well through the tournament. Their success will motivate many upcoming athletes."