৯ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি সুফলভোগী কৃষক পরিবারের অ্যাকাউন্টে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি সরাসরি হস্তান্তরিত
২০৪৭-এ ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পূরণ করবে তখন দেশের পরিস্থিতি নির্ণয়ে আমাদের কৃষি ও কৃষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে এ যাবৎ সর্বাধিক সংগ্রহ, ধান চাষীদের অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা এবং গম চাষীদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা সরাসরি জমা করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশে গত ৫০ বছরে ডালশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে তাঁর অনুরোধ শোনার জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষক সমাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
জাতীয় ভোজ্য তেল – পাম তেল অভিযানের মাধ্যমে দেশ ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে, রান্নার তেলের উৎপাদন বাড়াতে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
এই প্রথম ভারত কৃষি পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বের প্রথম ১০টি দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশের কৃষি নীতিতে ক্ষুদ্র কৃষকদেরকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নমস্কার জী,

বিগত কয়েক দিন ধরে আমি সরকারের ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সরকার যে প্রকল্পগুলি রচনা করেছে তার সুবিধা মানুষ কিভাবে পাচ্ছেন তা এভাবে আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারি। জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের এটাই লাভ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সকল সহযোগীবৃন্দ। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে যুক্ত হওয়া মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীগণ, লেফটেন্যান্ট গভর্নর আর উপ মুখ্যমন্ত্রীগণ, রাজ্য সরকারগুলির মন্ত্রীরা, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, সারা দেশ থেকে যুক্ত হওয়া কৃষক এবং ভাই ও বোনেরা,

আজ দেশের ১০ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৯,৫০০ কোটিরও বেশি টাকা সরাসরি হস্তান্তর হয়েছে। তা আমি দেখতে পাচ্ছি, অনেকেই তাঁদের মোবাইল ফোনে চেক করছেন যে পৌঁছলো কি না! তার পর পরস্পরকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এখন বর্ষাকাল আর বীজ বপনের কাজ চলছে। এমন সময়ে এই অর্থ ছোট কৃষকদের অনেক কাজ লাগবে। আজ ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিলেরও এক বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার কৃষক সংগঠন সাহায্য পাচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

সরকার কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ করে দিতে নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ। ‘মিশন হানি বী’ এমনই একটি অভিযান। ‘মিশন হানি বী’-র মাধ্যমে গত বছরে আমরা প্রায় ৭০০ কোটি টাকার মধু রপ্তানি করেছি, এর মাধ্যমে কৃষকদের অতিরিক্ত আয় হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের  কেসর তো এমনিতেই বিশ্ব প্রসিদ্ধ। এখন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীরের কেসর সারা দেশে ‘নাফেড’-এর দোকানগুলিতে পাওয়া যাবে। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরে কেসর চাষ অনেক উৎসাহিত হবে।

ভাই ও বোনেরা,

আপনাদের সবার সঙ্গে এই বার্তালাপ এমন সময় হচ্ছে, যখন আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি। আর কয়েক দিন পরেই তো ১৫ আগস্ট আসবে। এবার দেশ তার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টি আমাদের জন্য গর্বের তো বটেই, নতুন সংকল্প নতুন লক্ষ্যগুলির জন্যও একটা অনেক বড় সুযোগ।

এই উপলক্ষে আমাদের এটা ঠিক করতে হবে যে আগামী ২৫ বছরে আমরা ভারতকে কোথায় দেখতে চাই। দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে ২০৪৭-এ তখন ভারতের পরিস্থিতি কী হবে, এটা ঠিক করতে আমাদের কৃষি, আমাদের গ্রাম, আমাদের কৃষকদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। এই সময় ভারতের কৃষিকে একটা এমন লক্ষ্য প্রদান করতে হবে যা নতুন সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে পারে আর নতুন সুযোগগুলো থেকে সম্পূর্ণ লাভবান হতে পারে।

ভাই ও বোনেরা,

এই সময়ে অনেক দ্রুত গতিতে যে পরিবর্তনগুলি আসছে আমরা সকলেই তার সাক্ষী। আবহাওয়া হোক কিংবা প্রকৃতি সংক্রান্ত পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত পরিবর্তন কিংবা অতিমারীর কারণে গোটা বিশ্বে যে সব পরিবর্তন আসছে; আমরা বিগত দেড় বছরে করোনা মহামারীর সময়ে এগুলিকে অনুভবও করেছি। আর এই কঠিন সময়ে দেশেই খাদ্য ও পানীয়ের অভ্যাস থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে অনেক সচেতনতা এসেছে। ভারী খাদ্যশস্য যেমন জোয়ার, বাজরা ইত্যাদি, আর ফল এবং মশলার ক্ষেত্রে জৈব ফলনের চাহিদা এখন দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই জন্য ভারতীয় কৃষিকেও এখন এই পরিবর্তিত প্রয়োজন এবং চাহিদা হিসেবে পাল্টাতেই হবে। আর আমি সর্বদাই বিশ্বাস করি আমাদের দেশের কৃষকরা এই পরিবর্তনগুলিকে অবশ্যই রপ্ত করে নেবেন।

বন্ধুগণ,

এই অতিমারীর সময়ও আমরা ভারতের কৃষকদের সামর্থ দেখেছি। রেকর্ড উৎপাদনের মাঝে সরকারও চেষ্টা করেছে যাতে কৃষকদের সমস্যা ন্যূনতম হয়। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে বীজ, সার সরবরাহ থেকে শুরু করে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দিতে যথা সম্ভব চেষ্টা করেছে, উপায় বের করেছে। ইউরিয়ার সরবরাহ লাগাতার জারি রয়েছে। ডিএপি, যার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে এই করোনার সময় অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এর বোঝাও আমাদের সরকার কৃষকদের ওপর পড়তে দেয়নি। সরকার দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১২,০০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছে।

বন্ধুগণ,

সরকার খরিফ কিংবা রবি ফসলের ঋতুতে কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে রেকর্ড পরিমাণ ফসল ক্রয় করেছে। এর মাধ্যমে ধান চাষীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আর গম চাষীদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা প্রত্যক্ষ হস্তান্তরের মাধ্যমে পৌঁছেছে। কৃষক এবং সরকারের এই বোঝাপড়ার ফলেই আজ ভারতের অন্ন ভাণ্ডার পরিপূর্ণ। কিন্তু বন্ধুগণ, আমরা দেখেছি যে শুধুই গম, চাল, চিনিতে আত্মনির্ভরতা যথেষ্ট নয়। ডাল এবং তেলের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর ভারতের কৃষকেরা এটা করে দেখাতে পারে। আমার মনে আছে, কয়েক বছর আগে যখন দেশে ডাল দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছিল তখন আমি দেশের কৃষকদের কাছে ডাল উৎপাদন বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিলাম। আমার সেই অনুরোধ দেশের কৃষকরা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। ফলে বিগত ৬ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কাজ আমরা ডালের জন্য করেছি কিংবা অতীতে গম - ধান নিয়েও করেছি এখন আমাদের সেই সংকল্পকে ভোজ্য তেল উৎপাদনের জন্য নিয়ে যেতে হবে। এই ভোজ্য তেল উৎপাদনে আমাদের দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলতে আমাদের দ্রুত গতিতে কাজ করতে হবে।

ভাই ও বোনেরা,

ভোজ্য তেলে আত্মনির্ভরতার জন্য এখন জাতীয় খাদ্য তেল মিশন – পাম অয়েলের সংকল্প নেওয়া হয়েছে। আজ দেশ ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’-এর কথা স্মরণ করছে, আর এই ঐতিহাসিক দিন আমাদের নতুন প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলবে। এই মিশনের মাধ্যমে ভোজ্য তেলের সঙ্গে যুক্ত ইকো সিস্টেমে ১১,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হবে। সরকার কৃষকদের উত্তম বীজ থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি - এই সমস্ত সুবিধা সুনিশ্চিত করবে। এই মিশনের মাধ্যমে পাম তেলের চাষকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আমাদের যে অন্যান্য পারম্পরিক তিল শস্য রয়েছে সেগুলির চাষও বাড়ানো হবে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত কৃষি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রথমবার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০টি দেশের তালিকায় পৌঁছেছে। করোনা কালেই দেশ কৃষি রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আজ যখন ভারত একটি বড় কৃষি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে তখন আমরা ভোজ্য তেলের প্রয়োজনীয়তার জন্য আমদানি নির্ভর থাকবো এটা মোটেই উচিত নয়। আমাদের দ্বারা আমদানিকৃত পাম তেল-এর অংশ ৫৫ শতাংশেরও বেশি। আমাদের এই পরিস্থিতিকে বদলাতে হবে। ভোজ্য তেল কেনার জন্য আমরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে অন্যদেরকে দিতে হয়, দেশের কৃষকরাই যেন সেটা পান তা দেখতে হবে। ভারতে তালগাছের বাণিজ্যিক চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতে এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে একে বিশেষ রূপে অনেক বাড়ানো যেতে পারে। এই ক্ষেত্র যেখানে সহজেই তালের চাষ হতে পারে, পাম-তেলের উৎপাদন হতে পারে।

বন্ধুগণ,

ভোজ্য তেলের আত্মনির্ভরতার এই মিশনের অনেক লাভ রয়েছে। এর ফলে কৃষকদের প্রত্যক্ষ লাভ তো হবেই, গরিব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি শস্তায় উন্নতমানের তেল পাবেন। শুধু তাই নয়, এই মিশন বড় স্তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে উপকৃত করবে। বিশেষভাবে ‘ফ্রেশ ফ্রুট বাঞ্চ প্রসেসিং’-এর সঙ্গে যুক্ত শিল্পই অনেক বিস্তারলাভ করবে। যে রাজ্যগুলিতে পাম তেলের চাষ হবে, সেখানে ট্র্যান্সপোর্ট থেকে শুরু করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলিতে যুব সম্প্রদায়ের অনেক কর্মসংস্থান হবে।

ভাই ও বোনেরা,

পাম তেলের চাষ করলে দেশের ছোট কৃষকেরা অনেক বেশি লাভবান হবেন। তাল গাছের প্রতি হেক্টর উৎপাদন বাকি তিল প্রজাতির ফসলের তুলনায় অনেক বেশি হয়। অর্থাৎ পাম অয়েল মিশন অনেক ক্ষুদ্র অংশেও বেশি ফসল উৎপাদন করে ছোট কৃষকরা অনেক বেশি লাভ পেতে পারে।

বন্ধুগণ,

এটা আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন যে দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি কৃষকদের কাছে দুই হেক্টরের বেশি জমি নেই। আগামী ২৫ বছরে দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে এই ছোট কৃষকদের অনেক বড় ভূমিকা থাকতে চলেছে। সেজন্য এখন দেশের কৃষি নীতিতে এই ছোট কৃষকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই ভাবনা নিয়ে বিগত বছরগুলিতে ছোট কৃষকদের সুবিধা এবং নিরাপত্তা প্রদানের একটি প্রকৃত চেষ্টা করা হচ্ছে। পিএম কিসান নিধির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা তো করোনায় কঠিন সময় থেকেই ছোট কৃষকদের কাছে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, করোনা কালেই ২ কোটিরও বেশি কিসান ক্রেটিড কার্ড জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই ছোট কৃষক। এদের মাধ্যমে কৃষকরা হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। কল্পনা করুন যদি এই সাহায্য ছোট কৃষকরা না পেতেন, ১০০ বছরের এই সর্ববৃহৎ বিপর্যয়ে তাঁদের কী অবস্থা হতো, তাঁদের ছোট ছোট প্রয়োজনের জন্য তাদের কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়াতে হতো?

ভাই ও বোনেরা,

আজ যে কৃষি পরিকাঠামো গড়ে উঠছে, যে যোগাযোগের পরিকাঠামো গড়ে উঠছে কিংবা আরও বড় বড় ফুড পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, এগুলির মাধ্যমেও ছোট কৃষকরা অত্যন্ত লাভবান হচ্ছেন। আজ দেশে বিশেষ কিসান রেল চালু হয়েছে। এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে হাজার হাজার কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ফসল কম টাকায় ট্রান্সপোর্টের খরচ অনেক কম দেশের বড় বড় বাজারগুলিতে পৌঁছে দিয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করছে। এইভাবে, যে বিশেষ পরিকাঠামো তহবিল রয়েছে তার মাধ্যমেও ছোট কৃষকদের জন্য আধুনিক গুদামীকরণের পরিষেবা গড়ে উঠছে। গত বছর সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি প্রজেক্ট স্বীকৃতও হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৃষকরাও রয়েছেন। কৃষকদের সমাজে এবং কিসান উৎপাদক সঙ্ঘের মাধ্যমেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীও রয়েছে আর স্টার্টআপও রয়েছে। সম্প্রতি আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার ঠিক করেছে, যে রাজ্যগুলিতে আমাদের সরকারি মান্ডি রয়েছে তাদেরকেও এই তহবিল থেকে সাহায্য করা যাবে। এই তহবিল ব্যবহার করে আমাদের সরকারি মান্ডিগুলি উন্নততর হবে আরও বেশি শক্তিশালী হবে।

ভাই ও বোনেরা,

পরিকাঠামো ফান্ড হোক কিংবা ১০ হাজার কৃষক উৎপাদক সঙ্ঘের নির্মাণ, এভাবে ছোট কৃষকদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ছোট কৃষকদের বাজার পর্যন্ত যোগাযোগও খুব ভালো হবে আর বাজারে তাদের দামদর করার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাক। যখন এফপিও-গুলির মাধ্যমে, সরকারি ব্যবস্থা থেকে, হাজার হাজার ছোট কৃষক যখন একজোট হবেন তখন তাঁদের শক্তি হাজার গুণ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ হোক কিংবা রপ্তানি; সমস্ত ক্ষেত্রেই কৃষকদের অন্যদের ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে। তাঁরা নিজেরাও সরাসরি বিদেশী বাজারে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বন্ধন মুক্ত হয়েই দেশের কৃষকরা আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারবেন। এই ভাবনা নিয়ে আমাদের আগামী ২৫ বছরে একটি সংকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হবে। তিলে আত্মনির্ভরতার মিশনে আমাদের এখন থেকেই লেগে পড়তে হবে। আরেকবার পিএম কিসান সম্মান নিধি-র সমস্ত সুবিধাভোগীদের আমার অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ! 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।