মালাশ্বেরী দুঙ্গারী কি জয়, মালাশ্বেরী দুঙ্গারী কি জয়!
সাদু মাতা কি জয়, সাদু মাতা কি জয়!
সাভাই ভোজ মহারাজ কি জয়, সাভাই ভোজ মহারাজ কি জয়!
দেবনারায়ণ ভগবান কি জয়, দেবনারায়ণ ভগবান কি জয়!
তপস্বী সাদু মাতার পুণ্যভূমি থেকে মহান উদগাতা এবং যোদ্ধা বাগরাওয়াত, ভগবান দেবনারায়ণ এবং মালাশ্বেরী দুঙ্গারীর কর্মভূমির প্রতি নত মস্তকে আমি প্রণাম জানাই।
শ্রী হেমরাজ জি গুর্জর, শ্রী সুরেশ দাসজি, দীপক পাতিলজি, রামপ্রসাদ ধাবিজি, অর্জুন মেঘওয়ালজি, সুভাষ বেহেরিয়াজি এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
এই পবিত্র অনুষ্ঠানে ভগবান দেবনারায়ণজির বার্তা যখন এসেছে তখন ভগবান দেবনারায়ণজির ডাকের সুযোগ কেউ কী উপেক্ষা করতে পারেন? ফলে আজ আমি আপনাদের মধ্যে। আপনারা মনে রাখবেন যে প্রধানমন্ত্রী এখানে আসেননি। আমিও আপনাদের মতো ভক্তিপূর্ণ মনে তাঁর আশীর্বাদ নিতে এসেছি। আপনাদের মতো যজ্ঞশালায় নিবেদনে পূর্ণ সুযোগ আমারও হয়েছে। আমার অপার সৌভাগ্য যে আমার মতো একজন সাধারণ মানুষ আজ আপনাদের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে ভগবান দেবনারায়ণজি এবং তার ভক্তকূলের আশীর্বাদধন্য হচ্ছি। আজ ভগবান দেবনারায়ণ এবং ভক্তকূলের দর্শন পেয়ে আমি ধন্য। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তকূলের মতো আমিও আজ এখানে এসেছি ভগবান দেবনারায়ণের আশীর্বাদ পেতে যাতে দেশ সেবায় এবং দরিদ্রদের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যেতে পারি।
বন্ধুগণ,
ভগবান দেবনারায়ণজির এটা ১১১১-তম অবতরণ মহোৎসব। এই উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপি উদযাপন চলেছে। গুর্জর সম্প্রদায় এই বিপুল সমাবেশকে সুনিশ্চিত করেছে তা এই অনুষ্ঠানের মহানুভবতা এবং স্বর্গীয় সুষমার এক যথাযথ উপস্থাপন। আমি আপনাদের সকলকে এবং এই সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটি মানুষকে এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।
ভাই ও বোনেরা,
আমাদের হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস, সভ্যতা এবং সংস্কৃতি নিয়ে আমরা ভারতবাসীরা গর্ব অনুভব করি। পৃথিবীর বহু সভ্যতা সময়ের সঙ্গে নিজেদেরকে পরিবর্তন না করায় বিনষ্ট হয়ে গেছে। ভৌগলিকভাবে সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং মতাদর্শগতভাবে ভারতকে ভাঙার বহু চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ভারতকে কেউ বিনষ্ট করতে পারেনি। ভারত কেবল এক ভূখন্ডই নয়, তা সভ্যতা, ভাবধারা, সংস্কৃতি, ঐক্য এবং সক্ষমতার এক পৃষ্ঠভূমিও। ফলে ভারত আজ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনা করছে। এবং আপনারা কি জানেন এর পিছনে মহো অনুপ্রেরণা এবং শক্তি কী? কার শক্তিবলে ভারত আজও অবিচল এবং অমর?
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
এ শক্তি হল আমাদের সমাজের শক্তি। এই শক্তি দেশের কোটি কোটি মানুষের শক্তি। এই সামাজিক শক্তি সহস্র বছর ধরে ভারতের যাত্রাপথে এক মহান ভূমিকা পালন করে এসেছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য, প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ যুগেই আমাদের সমাজের ভিতর থেকে এমন এক শক্তির আর্বিভাব ঘটেছে যার আলোকবর্তিকা আমাদের সকলকে পথ দেখিয়েছে এবং জনকল্যাণে পাথেয় হয়েছে। ভগবান দেবনারায়ণ ছিলেন তেমনই এক শক্তির আলয়। তিনি এমন এক অবতার যিনি আমাদের জীবন ও সংস্কৃতিকে শোষকদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ৩১ বছর বয়েসে তিনি অমর হন। সমাজ থেকে তিনি অশুভকে উৎখাত করে সামাজিক সমন্বয় এবং ঐক্যের ভাবধারা প্রসারের সাহস দেখিয়েছেন। ভগবান দেবনারায়ণ সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একত্রিক করে এক আদর্শ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। এই কারণবশতই ভগবান দেবনারায়ণের প্রতি সমাজের প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস এবং অপার শ্রদ্ধা রয়েছে। এই কারণবশতই ভগবান দেবনারায়ণ জন-জীবনে পরিবারের প্রধান হিসেবে পূজিত হন যার সঙ্গে পরিবারের সব রকম দুঃখ-আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যায়।
ভাই ও বোনেরা,
জনকল্যাণে সেবাদানকে ভগবান দেবনারায়ণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। এখানে আগত প্রত্যেক ভক্ত এই শিক্ষা এবং এই আদর্শের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যান। যে পরিবারে তিনি জন্মেছিলেন সেখানে প্রাচুর্য্যের কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু বিলাস-ব্যাসনের পরিবর্তে জনকল্যাণের এবং সমাজ সেবার সেই কষ্টদীর্ণ পথকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন। জীবিতের কল্যাণে তিনি তার সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছিলেন।
ভাই ও বোনেরা,
‘ভালা জি ভালা, দেব ভালা’। ‘ভালা জি ভালা, দেব ভালা’। এই বার্তার মধ্যে দিয়ে এক ন্যায়পরায়ণতা কল্যাণের মনোভাব ব্যক্ত হয়। ভগবান দেবনারায়ণ ‘সব কা বিকাশ’ (সকলের উন্নতি)র পথ দেখিয়েছেন ‘সবকা সাথ’ (প্রত্যেকের সহায়তা)র মাঝে। আজ দেশ এই পথ ধরে এগিয়ে চলেছে। যারা এতদিন পর্যন্ত অবহেলিত এবং বঞ্চিত ছিল, গত ৮-৯ বছর ধরে দেশ সমাজের প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের স্বশক্তি প্রদানের লক্ষ্যে চেষ্টা চালাচ্ছে। অবহেলিতদের অগ্রাধিকারের মন্ত্র নিয়ে আমরা কাজ করছি। আপনাদের হয়তো স্মরণে থাকবে যে গরিব মানুষের সব থেকে বড় উদ্বেগ ছিল যে রেশন পাওয়া যাবে না যাবে না বা গেলেও কতটা পাওয়া যাবে। আজকে প্রত্যেক সুবিধাভোগী নিখরচায় পুরো রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। দরিদ্র মানুষদের হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগকে ঘিরে যে উদ্বোগ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে তার নিরসন করা হয়েছে। গরিব মানুষদের বাড়িতে শৌচালয়, বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস সংযোগ ব্যবস্থা আমরা করেছি। কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে ব্যাঙ্কিং লেনদেন সীমাবদ্ধ ছিল। আজ ব্যাঙ্কের দরজা দেশের সমস্ত মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ,
জলের যে কী গুরুত্ব রাজস্থান ছাড়া আর কেই বা তা ভালো বুঝতে পারে! স্বাধীনতার বহু দশক পরেও কেবলমাত্র ৩ কোটি পরিবারের কাছে নল বাহিত পরিশ্রত জলের সুযোগ ছিল। ১৬ কোটি গ্রামীণ বাড়িকে জলের জন্য রীতিমতো লড়াই করতে হতো। কেবলমাত্র গত সাড়ে ৩ বছরেই দেশজুড়ে প্রচেষ্টায় ১১ কোটিরও বেশি পরিবারে এখন পাইপ বাহিত পরিশ্রুত জল পৌঁছে গেছে। কৃষকদের জমিতে জল পৌঁছে দেওয়ার বৃহৎ কর্মকান্ড চলেছে। তা সেচের প্রথাগত প্রকল্পের বিন্যাস ঘটিয়েই হোক অথবা সেচ ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমেই হোক। কৃষকদের আজ সম্ভাব্য যাবতীয় সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র কৃষকরা এক সময় যারা সরকারের সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতেন, এই প্রথম তারা পিএম কিষাণ সম্মাননিধি মারফত প্রত্যক্ষ সুবিধা পাচ্ছেন। এই রাজস্থানেও ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পিএম কিষাণ নিধি মারফত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ,
ভগবান দেবনারায়ণ সমাজ সেবার অঙ্গ হিসেবে এবং সমাজে স্বশক্তিকরণের জন্য ‘গৌ সেবা’ (গরুদের পরিচর্যা)কে একটি মাধ্যম করেছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে ‘গৌ সেবা’র এই মনোভাব ক্রমাগত দেশজুড়ে শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে। আপনারা নিশ্চয় অবগত যে গবাদি পশুদের বহুবিধ সমস্যা, অর্থাৎ তাদের খুর, মুখ এবং পায়ের রোগ সংক্রান্ত বিষয়ে। দেশ জুড়ে নিখরচায় কোটি কোটি পশুর টিকাকরণের অভিযান চলেছে যাতে আমাদের গরু এবং পশু সম্পত্তিকে এইসব রোগের হাত থেকে মুক্ত করা যায়। গো কল্যাণে এই প্রথম দেশে রাষ্ট্রীয় কামধেনু কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গোকূল মিশনের আওতায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পশুপালনকে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। পশু সম্পত্তি আমাদের কেবলমাত্র ঐতিহ্যগত ধারা বা বিশ্বাসের বিষয় নয়। গ্রামীণ অর্থনীতির এটা এক শক্তিশালী আধার। ফলে এই প্রথম পশু পালকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। আজ গোবর্ধন যোজনা চলেছে সারা দেশ জুড়ে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল কৃষিজ বর্জ্য এবং গোবরকে সম্পদে রূপদান। প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গোবর থেকে তৈরি বিদ্যুৎকে দুগ্ধ কারখানাগুলি চালানোর কাজে ব্যবহার করারও চেষ্টা চালোনো হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
গত বছর আমি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লার প্রাকার থেকে ‘পঞ্চপ্রাণ’ (পাঁচটি সংকল্প)-এর ডাক দিয়েছিলাম। এর মূল লক্ষ্য হল যাতে আমরা আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে পারি এবং দাশত্বের মানসিকতা মুক্ত হয়ে দেশের জন্য আমাদের কী করণীয় তা স্মরণ করতে পারি। সাধু-সন্তদের পথে হাঁটা এবং দেশের জন্য চরম আত্মাহুতি দেওয়া বীর হৃদয়দের শৌর্য্যকে স্মরণ করা ছিল এই প্রস্তাবের অঙ্গ। রাজস্থান হল এক ঐতিহ্যশালী ভূমি। এখানে রয়েছে সৃষ্টি, উদ্যম এবং উদযাপনের সমন্বয়। এখানে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম এবং সেবার মনোভাব। বীরত্ব এখানে ঘরোয়া রীতি। কলা এবং সঙ্গীত রাজস্থানের সঙ্গে সমার্থক। অনুরূপভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এখানকার মানুষদের সংগ্রাম এবং সহিষ্ণুতার মনোভাব। ভারতের বিভিন্ন গৌরবজ্জ্বল মুহূর্তের সঙ্গে সমন্বিত বিভিন্ন ব্যক্তিত্বকে প্রত্যক্ষ করার এটা এক প্রেরণাভূমি। তেলাজী থেকে পূবাজী, গোগাজী থেকে রামদেবজী, বাপ্পারাওয়াল থেকে মহারাণা প্রতাপ-এর মতো সব মহামানব, জন-নায়ক, স্থানীয় দেব-দেবী, সমাজ সংস্কারকগণ সব সময় দেশকে পথ দেখিয়েছে। এমন একটা সময় যায়নি যখন এই মৃত্তিকা দেশকে অনুপ্রেরণা যোগায়নি। এ প্রসঙ্গে গুর্জর সম্প্রদায় বীরত্ব, শৌর্য্য এবং দেশাত্ববোধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেই হোক অথবা সংস্কৃতির সংরক্ষণই হোক, গুর্জর সম্প্রদায় প্রত্যেক পর্বেই শান্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছে। ক্রান্তিবীর ভূপ সিং গুর্জরের নেতৃত্বে বিজলিয়া কৃষক আন্দোলন যা সমধিক পরিচিত বিজয় সিং পাটিল হিসেবে স্বাধীনতা আন্দোলনে ছিল তা এক মূল অনুপ্রেরণা। কোতওয়াল ধ্যান সিং জি এবং যোগরাজ সিং জির মতো অনেক যোদ্ধাগণ দেশের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। রামপেয়ারী গুর্জর এবং পান্না দায়ের মতো মহিলা শক্তি প্রতি মুহূর্তে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। এর থেকে বোঝা যায় গুর্জর সম্প্রদায়ের ভগিনী এবং কন্যাদের দেশ সেবা এবং সংস্কৃতিতে মহান অবদানকে। এই ধারা আজও ক্রমাগত ঋদ্ধ হয়ে চলেছে। দেশের কাছে এটা দুর্ভাগ্য যে এই অগুন্তি যোদ্ধারা ইতিহাসে তাদের প্রাপ্য স্থান পাননি। কিন্তু আজ নতুন ভারতে গত বেশ কয়েক দশকের ভ্রান্তি সংশোধনের চেষ্টা চলেছে। দেশের সংস্কৃতি এবং স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নে যাদেরই অবদান রয়েছে তাদের সম্মুখে নিয়ে আসার কাজ চলেছে।
বন্ধুগণ,
নতুন প্রজন্মের কাছে আজ এটা অনুরূপভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে গুর্জর সম্প্রদায়ের তরুণরা ভগবান দেবনারায়ণের শিক্ষা এবং বার্তাকে এগিয়ে নিয়ে যান। এর ফলে গুর্জর সম্প্রদায়েরই কেবল স্বশক্তিলাভ নয়, দেশকেও তা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ,
রাজস্থান এবং ভারতের উন্নয়নে একবিংশ শতাব্দীর এই সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উন্নয়নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সারা বিশ্ব আজ অনেক উচ্চাশা নিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে। সারা বিশ্বের কাছে ভারত তার সক্ষমতা যেভাবে প্রদর্শন করেছে তা এই যোদ্ধা ভূমির গর্ব বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। আজকে বিশ্বের যাবতীয় মঞ্চে ভারত জোরের সঙ্গে তার বিবিধ বিষয়কে তুলে ধরছে। আজ ভারত অন্য দেশের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনছে। ফলে আজ দেশের মানুষের ঐক্যকে বিঘ্নিত করতে পারে এমন যাবতীয় বিষয় থেকে আমরা দূরে থাকবো। আজ সংকল্প পূরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের কাছে আমাদের প্রত্যাশাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে ভগবান দেবনারায়ণজির আশীর্বাদধন্য হয়ে আমরা নিশ্চিতভাবে এই লক্ষ্যপূরণে সফল হব। আমাদের সকলের কঠোর পরিশ্রম সকলের সাহায্যেই সাফল্যের পথে আমাদের নিয়ে যাবে। এটা কী এক সমাপতন যে ভগবান দেবনারায়ণজির ১১১১-তম অবতরণ বর্ষে ভারত জি২০-তে সভাপতিত্ব করছে। ভগবান দেবনারায়ণজি পদ্মে অবতরণ করেছিলেন এবং জি২০ লোগোতে সমগ্র ধরিত্রীকে পদ্মে স্থাপন করা হয়েছে। এটাও আরও এক সমাপতন যে আমরা সেইসব মানুষ পদ্ম নিয়েই যাদের জন্ম। ফলে আপনাদের সঙ্গে এক গভীর সমন্বয় আমাদের রয়েছে। পূজনীয় সাধুরা যারা আমাদের আশীর্বাদ করতে এখানে বিরাট সংখ্যায় সমবেত হয়েছেন তাদের প্রতি আমি মাথা নত করি। একজন ভক্ত হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোয় গুর্জর সম্প্রদায় আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এটা কোনো সরকারি অনুষ্ঠান নয়। এই সমাজের শক্তি এবং ত্যাগ আপনাদের মধ্যে পৌঁছানোর আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
জয় দেব দরবার! জয় দেব দরবার! জয় দেব দরবার!
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে।