ভাই ও বোনেরা,
গায়নার রাষ্ট্রপতি ডঃ মহম্মদ ইরফান আলিজি, সুরিনামের রাষ্ট্রপতি শ্রী চন্দ্রিকা প্রসাদ সান্তোখিজি, মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সি চৌহান, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করজি, মন্ত্রিসভার অন্য সহকর্মীরা এবং প্রবাসী ভারতীয় দিবস কনভেনশন উপলক্ষে সমগ্র বিশ্ব থেকে সমবেত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
২০২৩-এর জন্য আপনাদের সকলকে জানাই শুভ কামনা। প্রবাসী ভারতীয় দিবস কনভেনশন প্রায় চার বছর পর আবার তার চির পরিচিত ধাঁচে আয়োজিত হচ্ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক। ১৩০ কোটির ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই।
ভাই ও বোনেরা,
এখানে উপস্থিত সব প্রবাসী ভারতীই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারী। মাতৃভূমিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁরা এখানে এসেছেন। এবারের প্রবাসী ভারতীয় দিবসের কনভেনশন আয়োজিত হচ্ছে মধ্যপ্রদেশে যা দেশের হৃদয় হিসেবে পরিচিত। মধ্যপ্রদেশে অনেক কিছু রয়েছে, যেমন মা নর্মদা, বন-জঙ্গল, আদিবাসী ঐতিহ্য, ধর্মীয় বিশ্বাস সব মিলে আপনার এই সফর চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সম্প্রতি ভগবান মহাকালের মহালোক মন্দির উজ্জ্বয়নীতে সম্প্রসারিত হয়েছে। আমি আশা করি আপনারা সকলেই ভগবান মহাকালের আশীর্বাদ নিতে সেখানে যাবেন।
বন্ধুগণ,
আমরা এখন যে শহরে রয়েছি তার এক বিশেষ সৌন্দর্য রয়েছে। জনগণ বলেন, ইন্দোর একটি শহর। কিন্তু আমি বলি ইন্দোর একটি সময়। এমন এক সময় যা নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে দেশে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে ইন্দোর। ‘আপন কা ইন্দোর’ তার নিজস্ব খাদ্য সংস্কৃতির জন্য কেবলমাত্র দেশে নয়, সমগ্র বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত। এখানকার নমকিন বা নোনতা খাবার পোহার জন্য মানুষের বিশেষ ভালোবাসা, সাবুর খিঁচুড়ি, কচুড়ি-সিঙাড়া ও সিকঞ্জি বা সরবৎ জিভে জল এনে দেয়। যারা এই স্বাদ গ্রহণ করেছেন তারাই জানেন এর বিশেষত্ব। পাশাপাশি সরফা বাজার এবং ‘ছাপ্পান্ন ভোগ’এর দোকানও এখানে বিশেষ জনপ্রিয়। অনেকেই ইন্দোরকে পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাদু খাবারের রাজধানী বলে অভিহিত করেন। আমি নিশ্চিত আপনারা এই শহরে আপনাদের অভিজ্ঞতা কখনই ভুলতে পারবেন না এবং ফিরে গিয়ে অন্যদেরকেও এই সম্পর্কে বলবেন।
বন্ধুগণ,
এবারের প্রবাসী ভারতীয় দিবস নানা কারণে বিশেষ। আমরা মাত্র কয়েক মাস আগেই দেশে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করেছি। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনের ওপর একটি ডিজিটাল প্রদর্শনী এখানে আয়োজিত হয়েছে। এই প্রদর্শনী আপনাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেই সময়ে।
বন্ধুগণ,
দেশ আগামী ২৫ বছরের জন্য ‘অমৃত কাল’এ প্রবেশ করেছে। আমাদের প্রবাসী ভারতীয়দের এই যাত্রাপথে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরতে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে কথিত আছে ‘স্বদেশও ভূবন্ত্রায়ম’ অর্থাৎ আমাদের জন্য সমগ্র বিশ্বই আমাদের দেশ এবং সমগ্র মানবজাতি আমাদের ভাই ও বোন। এই চিন্তা-ভাবনা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম আমাদের মধ্যে প্রোথিত করেছে। এই সাংস্কৃতিক চিন্তা-ভাবনাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের পথ চলা। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছি। অনুভব করেছি সেখানকার নাগরিক জীবনের নানান সম্ভাবনা। সীমাহীন সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়েছি আমরা। ভারত এবং ভারতীয়রা দেখিয়েছেন কীভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয় এবং কীভাবে বিভিন্ন দেশের নাগরিক জীবন আমাদের উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করে তুলতে পারে। বর্তমানে আমরা দেখি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী ভারতীয় জনগণ ক্রমশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ব আমাদের পরিবার- এখানে ফুটে ওঠে স্পষ্টভাবে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একে অপরের সঙ্গে মিলিত হন তখন পরিস্ফুট হয় ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর অনন্য অনুভূতি। আমি প্রবাসী ভারতীয়দের বিদেশের মাটিতে ভারতের দূত মনে করি। সরকারি ব্যবস্থাপনার দূত নিযুক্ত থাকেন বিভিন্ন দেশে, কিন্তু আপনারা হলেন ভারতের মহান ঐতিহ্যের দূত।
বন্ধুগণ,
ভারতীয় দূত হিসেবে আপনাদের ভূমিকা বিস্তৃত। মেক ইন ইন্ডিয়া, যোগ এবং আর্য়ুবেদের দূত আপনারা। ভারতের কুটির শিল্প ও হস্তশিল্পের দূত হিসেবেও কাজ করেন আপনারা। পাশাপাশি ভারতীয় মিলেটের দূত হচ্ছেন আপনারাই। আপনারা ইতিমধ্যে জানেন যে রাষ্ট্রসংঘ ২০২৩কে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো যখন ফিরে যাবেন তখন এখান থেকে কিছু মিলেট সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাবেন। দ্রুত পরিবর্তন এই সময়ে আপনাদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারত সম্পর্কে জানতে আগ্রহী বিশ্বের চাহিদা পূরণ করবেন আপনারাই। বিশেষ উৎসাহ ও কৌতুহল নিয়ে সমগ্র বিশ্ব এখন ভারতের দিকে বিশেষ নজর রেখেছে। তাই আমি কেন এ কথা বলছি তা অনুধাবন করা আপনাদের জন্য বিশেষ জরুরি।
বন্ধুগণ,
ভারতে বিগত কয়েক বছরে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে, নানা কাজে অভাবনীয় সাফল্যও মিলেছে। কোভিড অতিমারীর মাঝামাঝি সময়ে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত এর টিকা তৈরি করতে সক্ষম হয়। এমনকি দেশে ২২০ কোটির বেশি নাগরিককে বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়ার রেকর্ডও তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দোলাচলের মধ্যেও ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত উন্নয়নশীল। বর্তমানে বিশ্বের ৫টি শীর্ষস্থানীয় দেশের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ভারত। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকো সিস্টেমও ভারতেই রয়েছে। মোবাইলের মতো বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি তৈরিতে ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে তেজস যুদ্ধ বিমান। বিমানবাহী জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত এবং আরিহন্ত-এর মত আণবিক সাবমেরিন। তাই খুব স্বাভাবিক যে সমগ্র বিশ্ব ভারতে কী ভাবে এ সবকিছু হচ্ছে তা জানতে আগ্রহী হবে।
জনগণ ভারতের ভবিষ্যৎ ও উন্নয়নের গতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। যখন নগদ বিহীন অর্থনীতি এবং ফিনটেক-এর প্রসঙ্গ আসে তখনও সমগ্র বিশ্ব আশ্চর্য হয়ে দেখে যে বিশ্বের ডিজিটাল লেনদেন-এর ৪০ শতাংশই হয় ভারতে। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হলে দেখা যায় মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারত অন্যতম উন্নয়নশীল দেশগুলির একটি। একসঙ্গে ১০০টির স্যাটেলাইট পাঠানোর নজির গড়েছে ভারত। সফ্টওয়্যার এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করছে সমগ্র বিশ্ব। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের বক্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। আগামীদিনে ভারতের এই ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তাই ভারত সম্পর্কে মানুষের কৌতুহলও বাড়বে। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের এই কৌতুহল মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ ও ভূমিকা নিতে হবে। আপনারাই তাঁদের ভারত সম্পর্কে যথাযথ তথ্য জানাতে পারবেন। ভারতের উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সমগ্র বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে আমি আপনাদের প্রতি আবেদন জানাই।
বন্ধুগণ,
আপনারা সকলেই জানেন ভারত এ বছর জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্ব নিয়েছে। এই দায়িত্বকে ভারত এক ব্যাপক সম্ভাবনা বলে মনে করছে। সমগ্র বিশ্বকে ভারত সম্পর্কে জানানোর এক অনন্য সুযোগ করে দেবে এই দায়িত্ব। ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ পাবে বিশ্ব। তাই আমরা জি২০-কে কেবলমাত্র কোনো কূটনৈতিক কর্মসূচি নয়, এক ঐতিহাসিক কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করবো। এক্ষেত্রে জনগণের অংশীদারিত্ব বিশেষভাবে প্রয়োজন। এই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দেখবে আমাদের ‘অতিথি দেব ভব’। অর্থাৎ অতিথিকে ভগবান রূপে পুজো করার যে ঐতিহ্য আমাদের রয়েছে তার এক অনন্য অনুভূতি পৌঁছে যাবে বিশ্ব দরবারে। আপনারা যেসব দেশে বসবাস করেন সেখান থেকে আসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদেরকে ভারত সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেন।
বন্ধুগণ,
জি২০ শিখ সম্মেলনে প্রায় ২০০ বৈঠক আয়োজিত হবে। ভারতের বিভিন্ন শহরে জি২০ গোষ্ঠীর ২০০র বেশি প্রতিনিধি যাবেন। আমি মনে করি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে এ এক বিশেষ সুযোগ।
বন্ধুগণ,
বিশ্বের জ্ঞান কেন্দ্র হয়ে ওঠার জন্য ভারতের যে কেবলমাত্র ক্ষমতা রয়েছে তা নয়, দক্ষতাও রয়েছে। বর্তমানে দেশে বিপুল সংখ্যক সক্ষম যুবক-যুবতী রয়েছেন। তাদের দক্ষতা, মূল্যবোধ এবং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আগ্রহ ও সততাও রয়েছে। দক্ষতার রাজধানী ভারত বিশ্ব উন্নয়নের চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের যুব সম্প্রদায়কে বিশেষ সুযোগ দিচ্ছি। এমনকি যারা বিদেশে জন্ম নিয়েছেন এবং সেখানেই বড় হচ্ছেন তাদেরকে ভারত সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিচ্ছি। তারাও তাদের পিতা-মাতার দেশ সম্পর্কে জানতে ও নিজের শিকড়ের যোগসূত্র গড়ে তুলতে আগ্রহী। আমাদের সকলের দায়িত্ব এই যুব সম্প্রদায়কে ভারতের সঙ্গে পরিচিত করার। চিরাচরিত চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে আধুনিক মত মিলে-মিশে কী ভাবে এক সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে তা আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হবে। ভারতের বিভিন্ন উৎসবের সময় এইসব যুবক-যুবতীরা দেশে আসতে পারেন ও দেশ সম্পর্কে জানতে পারেন।
বন্ধুগণ,
আপনাদের জন্য আমার আরও একটি পরামর্শ রয়েছে। ভারত থেকে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন বহু মানুষ। দেশ গঠনে তাঁদেরও অনন্য ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের জীবন, সংগ্রাম ও সাফল্যকে আমাদের সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। অনেক প্রবীণ নাগরিকেরই পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানাই বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের কাছ থেকে সেইসব তথ্য, অডিও-ভিডিও বা লিখিত মাধ্যমে নথিভুক্ত করার জন্য।
বন্ধুগণ,
যে কোন দেশ তার নাগরিকের হৃদয়ের সঙ্গে যুক্ত। কোনো ব্যক্তি যখন ভারত থেকে বিদেশে যান এবং সেখানে কোনো ভারতীয় বংশোদ্ভুতের সঙ্গে মিলিত হন তখন মনে হয় যেন সমগ্র দেশ তার কাছে রয়েছে। বিগত ৮ বছর ধরে বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই আপনি থাকুন না কেন, দেশের দায়িত্ব আপনাকে সহায়তা করা।
আমি গায়নার রাষ্ট্রপতি এবং সুরিনামের রাষ্ট্রপতিকে আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা সময় বের করে এই অনুষ্ঠানে এসেছেন এবং তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করছি যে ভারত অবশ্যই তাঁদের দেওয়া পরামর্শ গুরুত্বের সঙ্গে বিচার-বিবেচনা করবে। আমি গায়নার রাষ্ট্রপতির কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি তাঁর পুরনো স্মৃতি আজ এই অনুষ্ঠানে ভাগ করে নিয়েছেন। আমি যখন গায়না গিয়েছিলাম তখন আমি কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলাম না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও নই। তা সত্ত্বেও তিনি সেই সময়ের সম্পর্কের কথা মনে রেখেছেন। আমি তাঁর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আরও একবার প্রবাসী ভারতীয় দিবস উপলক্ষে আপনাদের সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। কিছুদিন বিরতির পর আমরা পুনরায় সমবেত হয়েছি। আপনারা অনেকের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন, জানতে পারবেন অনেক কিছু এবং ফিরে যাবেন নানান সুখকর স্মৃতি নিয়ে। আমি নিশ্চিত ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের এক নতুন যুগের সূচনা হবে। আপনাদের সকলকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ!