ভারত এবং আমেরিকার বিশিষ্ট অতিথিগণ,
নমস্কার,
ইউএস – ইন্ডিয়া ট্যাটেজিক পার্টনারসিপ ফোরাম (আইএসপিএফ) দ্বারা আমেরিকা – ভারত শীর্ষ সম্মেলন ২০২০-র জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেরা মানুষদের এক মঞ্চে আনা নিশ্চিতভাবেই অভূতপূর্ব ঘটনা। ভারত এবং আমেরিকার পারস্পরিক সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে (ইউএস – আইএসপিএফ) এর প্রভূত প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংনীয়।
আমি বিগত কয়েক বছর ধরে জন চেম্বার্সকে খুব ভালোভাবে জানি। ভারতের সঙ্গে তার অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল।
বন্ধুগণ,
এবছর এই শিখর সম্মেলনের মূল ভাবনা নিশ্চিতভাবেই অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক – নতুন চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হওয়া। যখন ২০২০ সাল শুরু হয়েছিল, তখন কি কেউ কল্পনা করতে পেরেছিল যে এবছরটি কেমন আসবে ? একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী প্রত্যেককে অত্যন্ত বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এই বিপর্যয় আমাদের সুদৃঢ়তা, আমাদের সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থারও কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবকিছুকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি যাতে উন্নয়নের দৃষ্টিকোন হবে মানব কেন্দ্রিক, যেখানে সকলের মধ্যে সহযোগিতার ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে।
বন্ধুগণ
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রচনার সময় আমাদের ক্ষমতাগুলি বাড়াতে, গরীবদের সুরক্ষিত রাখতে এবং ভবিষ্যতে আমাদের নাগরিকদের অসুস্থতা থেকে নিরাময় সুনিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ভারত এই পথেই চলছে। সবার আগে লকডাউনের কার্যকরী ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রেও ভারত সামিল হয়েছে। ভারতও সেই দেশগুলির অন্যতম যেখানে সবার আগে সার্বজনিক স্বাস্থ্য রক্ষায় মাস্ক এবং মুখ ঢাকার ব্যবহার বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারতের মতো হাতেগোনা কয়েকটি দেশই সবার আগে ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার’ সম্পর্কে গণসচেতনতা অভিযান শুরু করেছে। ভারতে রেকর্ড সময়ের মধ্যে চিকিৎসা বিষয়ক বুনিয়াদি পরিকাঠামো অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিকশিত করা হয়েছে। কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি, আইসিইউর ব্যাপক ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ছাড়াও জানুয়ারিতে যেখানে দেশে একটিমাত্র টেস্টিং ল্যাবরেটরি ছিল, সেখানে আজ আমাদের কাছে সারা দেশে প্রায় ১৬০০ ল্যাবরেটরি রয়েছে।
এই সব জোরদার প্রচেষ্টার উল্লেখযোগ্য পরিণাম হল ১৩০ কোটি মানুষ এবং সীমিত সম্পদ সম্পন্ন ভারত সহ মাত্র কয়েকটি দেশেই মিলিয়ন প্রতি মৃত্যুর হার সারা পৃথিবীতে সব থেকে কম। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার হারও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি এই জন্য অত্যন্ত খুশি যে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এই লক্ষ্যে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে আমাদের ব্যবসায়ীরা আমাদের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পিপিই কিট নির্মাতা দেশে পরিণত করেছেন।
এটি আসলে ভারতের অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপে উঠে আসা ‘চ্যালেঞ্জকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া’ও অন্তর্নিহিত ভাবনার সঠিক প্রতিফলন। বিগত কয়েকমাসে দেশকে কোভিডের পাশাপাশি বন্যা, দু’বার ঘূর্ণিঝড়, পঙ্গপালের হানার মতো বেশকিছু সঙ্কটের মোকাবিলা করতে হয়েছে। যদিও এই সঙ্কটগুলির জনগণের সঙ্কল্পকে আরো মজবুত করে দিয়েছে।
বন্ধুগণ,
কোভিড – ১৯ এবং সম্পূর্ণ লকডাউন কালে কেন্দ্রীয় সরকার, যে কোনো পরিস্থিতিতে গরিবদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ ছিল। ভারতে গরীবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা বিশ্বের বৃহত্তম সহায়তা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম। ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প ৮ মাস ধরে লাগাতার চালু রয়েছে। ৮০ কোটি মানুষকে এই সাহায্য দেওয়ার মানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণ থেকে বেশি। প্রায় ৮ কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস জোগান দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৩৪.৫ কোটি কৃষক এবং গরীবদের নগদ সাহায্য করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় ২০ কোটি কর্মদিবস সৃষ্টি করে প্রবাসী শ্রমিকদের অত্যন্ত জরুরী রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্ধুগণ
মহামারী অনেক ক্ষেত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। কিন্তু এর মাধ্যমে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আকাঙ্খাগুলি এবং উচ্চাকাঙ্খাগুলি কার্যকর করতে বিগত কয়েকমাসে বেশ কিছু দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সংস্কার করা হয়েছে। এতে ব্যবসাকে সহজ করে তোলা এবং লাল ফিতের ফাঁস দূর করার প্রচেষ্টা অন্যতম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গৃহনির্মাণ কর্মসূচী সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলেছে। অক্ষয়উর্যা প্রকল্পের বিস্তার দূতগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। রেলপথ, সড়কপথ এবং আকাশপথ প্রসার করার কাজও জারি রয়েছে। আমাদের দেশ একটি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন স্থাপনের জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল মডেল তৈরি করছে। আমরা কোটি কোটি মানুষকে ব্যাঙ্কিং, ঋণ, ডিজিটাল লেনদেন এবং বিমার আওতায় আনার জন্যে সর্বশ্রেষ্ট ফিন-টেক (অর্থনৈতিক প্রযুক্তি) ব্যবহার করছি। আন্তর্জাতিক স্তরের প্রযুক্তি এবং সর্বশ্রেষ্ট আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এই মহামারী বিশ্বকে এটাও শিখিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলা বিকাশের সঙ্গে যুক্ত সিদ্ধান্তগুলি শুধুই বিনিয়োগ ভিত্তিক হওয়া উচিত নয়, এগুলিকে বিশ্বাসের ভিত্তিতেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কোনো ভৌগলিক ক্ষেত্রের সামর্থের পাশাপাশি কোম্পানীগুলি এখন বিশ্বস্ততা এবং নীতিগত স্থায়িত্ব নিয়েও ভাবনা – চিন্তা করছে। ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে এসকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
পরিণাম স্বরূপ, ভারত বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রণী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠে আসছে। তা সে আমেরিকা হোক কিংবা উপসাগরীয় দেশগুলি হোক, ইউরোপ হোক কিংবা অষ্ট্রেলিয়া – সারা পৃথিবী আমাদের বিশ্বাস করে। এবছর আমদের দেশে ২ কোটি ডলার বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। গুগল, অ্যামাজন এবং মুবাডালা বিনিয়োগকারীরা ভারতে বেশকিছু দীর্ঘকালীন প্রকল্প ঘোষণা করেছে।
বন্ধুগণ,
ভারত একটি স্বচ্ছ এবং পূর্ব অনুমান যোগ্য কর ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। আমাদের এই ব্যবস্থা সৎ করদাতাদের উৎসাহ যোগায় এবং সমর্থন করে। আমাদের জিএসটি একটি সংহত, পূর্ণরূপে তথ্যপ্রযুক্তি সামর্থে বলিয়ান অপ্রত্যক্ষ কর ব্য়বস্থা। দেউলিয়া এবং ঋণ খেলাপী আইনের মাধ্যমে গোটা অর্থনৈতিক ব্য়বস্থায় ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। আমাদের শ্রমআইনে ব্যাপক সংস্কারের ফলে নিয়োগকর্তাবান্ধব ব্য়বস্থা গড়ে উঠছে। এর ফলে শ্রমিকদেরও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।
বন্ধুগণ,
উন্নয়নকে গতি প্রদান করতে বিনিয়োগের গুরুত্বকে ছোট করে দেখা যায় না। এই চাহিদা এবং জোগান উভয়দিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। ভারতকে বিশ্বের নূন্যতম কর গ্রহণকারী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং নতুন বিনির্মাণ সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দেবার কাজ চলছে। আমার বিশ্বাস, গরিবদের সাহায্যে অনিবার্য ই-প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক ‘ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট’ একটি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হবে। করদাতা চার্টারও এই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বন্ড বাজারে জারি বিভিন্ন নিয়মের ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীবান্ধব গড়ে তোলা সুনিশ্চিত হবে। বুনিয়াদী পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য ‘সার্বভোম সম্পদ তহবিল’ এবং পেনশন তহবিলগুলির ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-এ ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ যেখানে ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, ভারতে তখন এই বিনিয়োগ বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই তারতম্য থেকে আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ ব্যবস্থার সাফল্য অনুধাবন করা যায়। আমি নিশ্চিত, এই সমস্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধতর ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে। এই শক্তি নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে।
বন্ধুগণ,
১৩০ কোটি ভারতবাসীকে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি অভিযানে সামিল করা হয়েছে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এ দেশবাসী স্থানীয় ‘লোকাল’কে আন্তর্জাতিক ‘গ্লোবাল’-এর সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে এটি গ্লোবাল ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার রূপে ভারতের শক্তি সুনিশ্চিত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে ভারত এটা প্রমাণ করেছে যে বিশ্বের মঙ্গলই হল আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ব্যাপক স্থানীয় প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও, আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে থাকিনি। আমরা বিশ্বে সর্ববৃহৎ জেনেরিক ঔষুধ উৎপাদক রূপে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে গেছি। আমরা বিশ্ববাসীকে নিয়মিত সুলভে জেনেরিক ঔষুধ সরবরাহ সুনিশ্চিত করেছি। আমরা কোভিড – ১৯ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। এক আত্মনির্ভর শান্তিপূর্ণ ভারত উন্নত বিশ্বের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে।
‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর মানে ভারতকে প্রায় নিষ্ক্রিয় বাজার থেকে গ্লোবাল ‘ভেলু চেনে’র মাঝামাঝি একটি সক্রিয় ‘ডিকনস্ট্রাকশন হাব’-এ পরিণত করা।
বন্ধুগণ,
আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপগুলিও অনেক সুযোগ তৈরি করবে। এই সুযোগ সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই গড়ে উঠবে। এর মধ্যে মুখ্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রও রয়েছে। সম্প্রতি কয়লা, খনি, রেলওয়ে, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং পরমাণু শক্তি সহ বেশকিছু ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল এবং ইলেক্ট্রনিক্স, মেডিক্যাল সরঞ্জাম, ঔষুধি ক্ষেত্রের জন্য উৎপাদনে উৎসাহ জোগানকারী প্রকল্পগুলি শুরু হয়েছে, এগুলির প্রতি প্রভূত উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। অন্যান চ্যাম্পিয়ান ক্ষেত্রগুলির জন্যেও এধরণের প্রকল্প রচনা করা হচ্ছে। কৃষি বিপণন ক্ষেত্রটিকে সংস্কার করা হয়েছে এবং ১.৪ কোটি ডলার কৃষি অর্থ-জোগানকারী পরিষেবার মাধ্যমে বৃহৎ সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
ভারতের বর্তমান সমস্যাগুলির মোকাবিলায় আপনাদের পাশে এমন একটি সরকার রয়েছে, যারা পরিণামে ভরসা করে। এই সরকারের জন্য ইজ অফ লিভিং বা সুগম জীবন শৈলী ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা ‘ইজ অফ ডুইং বিসনেস’ বা ব্যবসাকে সুগম করা। আপনারা একটি যুবক দেশের দিকে তাকিয়ে আছেন, যার ৬৫ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স ৩৫ বছরেরও কম। আপনারা একটি উচ্চাকাঙ্খী দেশের দিকে তাকিয়ে আছেন, যে দেশ নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সেই সময় যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে প্রবেশ করতে চলেছি। আপনারা এমন দেশের দিকে তাকিয়ে আছেন, যেখানে রাজনৈতিক স্থায়িত্ব ও নীতিগত নিরন্তর ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা এমন দেশের দিকে তাকিয়ে আছেন, যে দেশ গণতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য রক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ।
আসুন, আমাদের সঙ্গে এই যাত্রায় সামিল হন।
আপনাদের ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।