This decade will be the decade of Uttarakhand: PM Modi
The State has achieved first place in Sustainable Development Goals Index: PM Modi
Uttarakhand has been placed as ‘achievers’ in ‘Ease of Doing Business’ category and as ‘leaders’ in the startup category:PM Modi
Central assistance to state has now been doubled for all round progress: PM Modi
Development projects by the Center worth Rs 2 lakh crore are already underway in the state and connectivity projects are being completed at a fast pace: PM Modi
Under ‘Vibrant Village’ scheme Government considers the border villages as the ‘first villages’ of the country and not last as referred to previously: PM Modi
Uttarakhand has implemented Uniform Civil Code which is being discussed by the entire country: PM Modi
I am making nine requests, five for the people of Uttarakhand and four for pilgrims and tourists visiting the state for development and strengthening identity of the state: PM Modi

উত্তরাখন্ডের রজতজয়ন্তী বছরের আজ সূচনা। অর্থাৎ উত্তরাখন্ড আজ ২৫ বছরে পদার্পণ করল। আমরা যদি সামনের দিকে তাকাই, তাহলে পরবর্তী ২৫ বছরের যাত্রা পথে আমরা সামিল হব। কারণ, ভবিষ্যতের এক উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ উত্তরাখন্ড গঠনে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে চমৎকার এক সমাপতন। কারণ, আমাদের অগ্রগতি ঘটছে ভারতের অমৃত কালে, যা হল জাতীয় অগ্রগতির লক্ষ্যে ২৫ বছরের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল। এ হল এমন এক মিলন মুখ, যেখানে উন্নত উত্তরাখন্ডের স্রোতোধারা এসে মিশে যাবে উন্নত ভারতের উৎসমুখের সঙ্গে। এই সময়কালে আমাদের মিলিত আশা-আকাঙ্খাই তার বাস্তবায়ন ঘটাবে। আমি একথা জেনে খুবই আনন্দিত যে উত্তরাখন্ডবাসী রাজ্যজুড়ে আয়োজন করছে নানা ধরনের কর্মসূচি। তাঁদের লক্ষ্য হল পরবর্তী ২৫ বছরের যাত্রাপথ। এই সমস্ত ঘটনার অর্থ হল উত্তরাখন্ডের গর্বের এক বিশেষ উদযাপন। উন্নত উত্তরাখন্ডের চিন্তা-ভাবনা অনুরণিত হবে এখানে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। এই উল্লেখযোগ্য মুহূর্তে এবং এই বিশেষ সংকল্পের অভিঘাতে আপনাদের সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। মাত্র ২ বছর আগেই সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রবাসী উত্তরাখন্ড সম্মেলন। আমি স্থির প্রত্যয়ী যে, যে সমস্ত উত্তরাখন্ডবাসী অন্য স্থান থেকে এখানে এসে উপস্থিত হয়েছেন বা এখন থেকে অন্যত্র গমন করেছেন তাঁরা সকলেই রাজ্যের এই উন্নয়ন পরিক্রমায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। 

বন্ধুগণ, 

উত্তরাখন্ডবাসী দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সংগ্রাম চালিয়েছিলেন নিজেদের একটি পৃথক রাজ্যের দাবিতে। কারণ, তাঁরা চেয়েছিলেন তাঁদের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়ন। তাঁদের সেই সংগ্রাম অবশেষে সফল হয়ে উঠল, যখন শ্রদ্ধেয় অটলজীর নেতৃত্বে পরিচালিত এনডিএ সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসীন হল। আমি খুবই খুশি হচ্ছি একথা ভেবে যে উত্তরাখন্ড গড়ে ওঠার পেছনে যে স্বপ্নের অনুপ্রেরণা একদা কাজ করেছিল, তাই আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। রাজ্যবাসী সকলের অফুরন্ত স্নেহ-ভালবাসা বর্ষিত হয়েছে আমাদের সকলের ওপরই, এমনকি সার্বিক ভাবে বিজেপি-র ওপরও। বিনিময়ে উত্তরাখন্ডের নিরলস উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বিজেপি আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেবভূমিকে সেবা করে যাওয়ার নিষ্ঠাই আমাদের এক চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বন্ধুগণ, কেদারনাথ মন্দিরের দরজা মাত্র কয়েকদিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েক বছর আগে বাবা কেদারনাথ দর্শন এবং তাঁর পদপ্রান্তে উপবিষ্ট হয়ে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলাম যে বর্তমান দশকটি হয়ে উঠবে উত্তরাখন্ডেরই এক দশক। এই রাজ্যটি আমার সেই আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করেছে। প্রমাণিত হয়েছে বিগত বছরগুলিতে আমার ঘোষণার বাস্তবায়ন প্রচেষ্টা। উত্তরাখন্ড আজ উন্নয়নের নতুন নতুন রেকর্ডই শুধু স্থাপন করছে না, একই সঙ্গে আবার তা ভেঙ্গে গিয়ে আরও এক নতুন রেকর্ড গড়ে তুলছে। নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কিত সূচক অনুযায়ী এই রাজ্যটি প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতর করে তোলার ক্ষেত্রে এই রাজ্য যে আজ সফল, একথাও আর নতুন করে স্বীকৃতির অবকাশ রাখে না। এমনকি, স্টার্টআপ Ranking-এর দিক থেকেও উত্তরাখন্ড হল এক এগিয়ে থাকা রাজ্য। গত দেড় বছরে উত্তরাখন্ডের উন্নয়নের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১.২৫ গুণেরও বেশি। অন্যদিকে, জিএসটি সংগ্রহের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ শতাংশের মতো। ২০১৪ সালে উত্তরাখন্ডে মাথা পিছু আয় ও উপার্জনের মাত্রা ছিল বছরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু আজ তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়। একই ভাবে রাজ্যের মোট জিডিপি ২০১৪ সালে ছিল ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার মতো। আজ তা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকায়। এই সমস্ত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একথারই প্রতিফলন ঘটেছে যে উত্তরাখন্ডের যুবসমাজের জন্য এখন সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন অনেক সুযোগ সুবিধা এবং একই সঙ্গে ত্বরান্বিত হয়েছে রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন প্রচেষ্টা। 

 

সরকারি প্রচেষ্টার সুবাদে উত্তরাখন্ডবাসীর জীবনযাপন এখন হয়ে উঠেছে আগের থেকে অনেকটাই সহজ। বিশেষ করে আমাদের মা, বোন ও কন্যা সন্তানরা তা নিশ্চিত ভাবে উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন। ২০১৪ সালের আগে উত্তরাখন্ডের ৫ শতাংশেরও কম গৃহস্থ বাড়িতে নলবাহিত জলের সুযোগা পাওয়া যেত। কিন্তু আজ ৯৬ শতাংশেরও বেশি পরিবারে এই সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে। সবকটি পরিবারকেই এর আওতায় নিয়ে আসার কাজ এখন চলেছে। আবার ২০১৪ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় এই রাজ্যটিতে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু বর্তমানে এই সড়কগুলির মোট দৈর্ঘ্য ২০ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে গেছে। পার্বত্য অঞ্চলে সড়ক নির্মাণ প্রচেষ্টা যে কতটা সমস্যাবহুল তা আমি ভালো ভাবেই জানি। অথচ এর প্রয়োজনীয়তা কোন অংশেই কম নয়। হাজার হাজার শৌচাগার নির্মাণ, প্রতিটি পরিবারে বিদ্যুতের যোগান, উজ্জ্বলা কর্মসূচির আওতায় অসংখ্য পরিবারে গ্যাসের সংযোগ এবং আয়ুষ্মান কর্মসূচির আওতায় বিনা ব্যয়ে চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের সরকার সকল বয়সী এবং যে কোনো পরিসর থেকে উঠে আসা মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।  

বন্ধুগণ,

উত্তরাখন্ডে ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিভিন্ন সুফল আমরা স্পষ্টতঃই দেখতে পাচ্ছি। কেন্দ্রের কাছ থেকে উত্তরাখন্ড যে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে তার পরিমাণ এখন প্রায় দ্বিগুণ। এই ধরনের সরকারি ব্যবস্থাপনায় এইমসের একটি স্যাটেলাইট সেন্টারও স্থাপিত হয়েছে এই রাজ্যে। এই সময়কালে দেরাদুনে গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম ড্রোনের ব্যবহার সম্পর্কিত একটি গবেষণা কেন্দ্র। উধম সিং নগরে একটি স্মার্ট শিল্পনগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। সারা উত্তরাখন্ড জুড়ে ২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের কাজ রূপায়িত হচ্ছে। আবার সংযোগ ও যোগাযোগের প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতিও সম্ভব হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। ঋষিকেশ - কর্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পটির কাজ আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। অন্যদিকে, উত্তরাখন্ডের ১১টি রেল স্টেশনটিকে অমৃত স্টেশন রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে। দেরাদুন - দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে দুটি শহরের মধ্যে যাতায়াতের সময় আড়াই ঘন্টার মতো কমে আসবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে উত্তরাখন্ডে এখন চলছে উন্নয়নের এক ব্যাপক কর্মকান্ড, যা দেবভূমির গৌরবকে বাড়িয়ে তুলবে অনেক গুণে। পার্বত্য অঞ্চল থেকে অন্যত্র কাজের খোঁজে চলে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও হ্রাস পাবে উল্লেখযোগ্য ভাবে। 

বন্ধুগণ, 

উন্নয়নের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্য সংরক্ষণেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমাদের সরকার। কেদারনাথ ধামের আধ্যাত্মিক পুনর্গঠনের এক বিশাল কর্মকান্ড দেবভূমির সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিকে সম্মানের সঙ্গে তুলে ধরছে। বদ্রীনাথ ধামেও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। মানসখন্ড মন্দিরমালা মিশনের প্রথম পর্যায়ে ১৬টি প্রাচীন মন্দিরকে আবার নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সকল রকম আবহাওয়ার উপযোগী সড়কপথ চারধাম যাত্রাকে এখন আগের থেকে আরও অনেক সহজ করে তুলেছে। পর্বতমালা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় ও পর্যটন কেন্দ্রকে যুক্ত করা হচ্ছে রোপওয়ে ব্যবস্থায়। এই মুহূর্তে মানা গ্রাম সফরের কথা আমি স্মরণ করতে পারছি। সেখানকার সীমান্ত অঞ্চলে ভাইবোনেদের স্বতস্ফূর্ত স্নেহ আমি লক্ষ্য করেছিলাম। 'প্রাণবন্ত গ্রাম' কর্মসূচির কাজ শুরু হয়েছিল মানা থেকেই। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে আমাদের সরকার দেশের প্রথম গ্রাম বলে মনে করে। কোনো ভাবেই সেগুলিকে শেষ গ্রাম বলে চিহ্নিত করে না। উত্তরাখন্ডের প্রায় ৫০টি গ্রামকে আরও উন্নত করে তোলার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা উত্তরাখন্ডের পর্যটন সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধার প্রসারে এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। পর্যটনের প্রসারের সাথে সাথে এই রাজ্যে যুব সমাজের কাছে উন্মুক্ত হচ্ছে কর্মসংস্থান সম্পর্কিত আরও বেশি সুযোগ সুবিধা। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই জানানো হয়েছে যে এবছর উত্তরাখন্ড সফরে এসেছিলেন প্রায় ৬ কোটি পর্যটক ও পুণ্যার্থী। ২০১৪ সালের আগে চারধাম দর্শনে আসা পুণ্যার্থীদের রেকর্ড সংখ্যা ছিল ২৪ লক্ষ। কিন্তু গত বছর ৫৪ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী চারধাম সফর করেছেন। এর ফলে উপকৃত হয়েছেন অনেকেই, হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোমস্টে মালিক এবং ট্যাক্সি চালক থেকে শুরু করে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক বছরে ৫ হাজারেরও বেশি হোমস্টে নথিভুক্ত হয়েছে এই রাজ্যটিতে। 

 

বন্ধুগণ, 

আজকের উত্তরাখন্ড এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে এবং গৃহীত নীতির বাস্তবায়ন ঘটাচ্ছে যা সমগ্র জাতির কাছে এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পুঙ্খানুপুঙ্খ সমীক্ষার পর অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুসরণ করা হচ্ছে উত্তরাখন্ডে। এই বিধিটিকে আমি ধর্ম নিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধি বলে আমি মনে করি। সারা দেশেই এখন আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং এর গুরুত্ব এখন স্বীকৃতি লাভ করেছে। রাজ্যের যুবসমাজের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় প্রতারণা বিরোধী আইনও পাশ হয়ে গেছে উত্তরাখন্ড সরকারের উদ্যোগে। যে সমস্ত মাফিয়া প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে এবং সময়ানুবর্তিতা মেনে পরিচালিত হচ্ছে নিয়োগ ব্যবস্থা। এই ক্ষেত্রগুলিতে উত্তরাখন্ডের সাফল্য অন্যান্য রাজ্যের কাছে একটি আদর্শ হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি। 

বন্ধুগণ, 

আজ ৯ নভেম্বর, এ হল এমন একটি তারিখ যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শুভ ৯ সংখ্যাটি, যা হল শক্তি বা ক্ষমতার প্রতীক। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে আমি ৫টি আবেদন রাখবো আপনাদের কাছে। এর মধ্যে পাঁচটি উত্তরাখন্ডবাসীর জন্য এবং চারটি এই রাজ্য সফর করতে আসা পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের প্রতি। 

বন্ধুগণ, 

গাড়োয়ালি, কুমায়নি এবং জানুসারির মতো যে সমস্ত ভাষা চালু রয়েছে উত্তরাখন্ডে তা কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে সমৃদ্ধ। তাই সেগুলির সংরক্ষণ একান্ত জরুরী। উত্তরাখন্ডবাসীদের উদ্দেশে আমার প্রথম আবেদনটি হল এই সমস্ত ভাষায় আপনারা শিক্ষিত করে তুলুন ভবিষ্যৎ প্রজন্মগুলিকে। যাতে এই রাজ্যটির সাংস্কৃতিক পরিচিতি অক্ষুণ্ন থাকে। প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি উত্তরাখন্ডের গভীর শ্রদ্ধার কথা আজ আর কারোরই অজানা নেই। এটি হল গৌরা দেবীর পীঠস্থান। এখানকার প্রতিটি নারী হলেন মা নন্দার স্বতস্ফূর্ত প্রকাশ। প্রকৃতিকে রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য। তাই আমার দ্বিতীয় আবেদনটি হল মায়ের 'নামে একটি বৃক্ষ' অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। প্রত্যেক মায়ের নামে একটি করে বৃক্ষ চারা রোপণ। এই অভিযানটি তাৎপর্যলাভ করেছে সারা দেশজুড়ে। তাই এই অভিযানে উত্তরাখন্ডের সক্রিয় অংশগ্রহণ জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করবে। 'নাউল ধারা'র পূজার্চনার যে ঐতিহ্য চালু রয়েছে এই রাজ্যটিতে, তা অবশ্যই অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। আপনাদের সকলের কাছে আমার তৃতীয় আবেদনটি হল আপনারা নদী এবং নাউলের সংরক্ষণে উদ্যোগী হন। জলের বিশুদ্ধতা সম্পর্কেও আপনারা গৃহীত যে কোন উদ্যোগকে সমর্থন করুন। আমার চতুর্থ আবেদনটি হল এই যে নিয়মিত ভাবে গ্রাম পরিদর্শনের মাধ্যমে আপনারা মূল শিকড়টিকে কখনই বিস্মৃত হবেন না। কারণ, তা আমাদের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। তিওয়ারি নামে গ্রামের প্রাচীন বাড়িগুলিকে সংরক্ষণের জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন। সেগুলিকে আপনারা পরিত্যাগ করে যাবেন না। পরিবর্তে আয় ও উপার্জনের একটি উপায় হিসেবে সেগুলিকে হোমস্টে রূপে আপনারা সাজিয়ে তুলুন। এটাই হল আপনাদের কাছে আমার পঞ্চম আবেদন। 

বন্ধুগণ, 

উত্তরাখন্ডে পর্যটনের প্রসার ঘটছে দ্রুততার সঙ্গে। সারা দেশ এমনকি বহির্বিশ্ব থেকেও পর্যটকরা উপস্থিত হচ্ছেন এই রাজ্যটিতে। তাই, সকল পর্যটকের কাছে রইল আমার চারটি আবেদন। প্রথমত, আপনারা যখন সুউচ্চ হিমালয় সফরে আসবেন, তখন পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে আপনারা রাখুন অগ্রাধিকারের তালিকায়। একবারমাত্র ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিকের পুনর্ব্যবহার আপনারা এড়িয়ে চলুন। দ্বিতীয়ত, 'ভোকাল ফর লোকাল' মন্ত্রটিকে সম্বল করে আপনাদের বাজেটের অন্তত ৫ শতাংশ ব্যয় করুন স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রীর জন্য। তৃতীয়ত, পার্বত্য অঞ্চলে ট্রাফিক আইন আপনারা যথাযথ অনুসরণ করুন। কারণ, নিরাপত্তার বিষয়টি হল সর্বোচ্চ। চতুর্থত, ধর্মীয় স্থানগুলির রীতিনীতি ও বিধিনিষেধ সম্পর্কে আপনারা সজাগ থাকুন। অক্ষুণ্ন রাখুন সেখানকার মর্যাদা ও রীতিনীতি। উত্তরাখন্ডবাসী নিশ্চই সানন্দে আপনাদের এই বিষয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন। উত্তরাখন্ডবাসীর জন্য আমার এই পাঁচটি আবেদন এবং পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য আমার এই চারটি অনুরোধ রক্ষা করলে দেবভূমির পরিচিতি যেমন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রতিভাত হবে, একই সঙ্গে তা উন্নয়ন প্রক্রিয়ার ধারাকে অব্যাহত রাখার কাজেও সাহায্য করবে। 

বন্ধুগণ, 

দ্রুত উন্নয়নের পথে আমাদের অবশ্যই উত্তরাখন্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি স্থির প্রত্যয়ী যে আমাদের উত্তরাখন্ড সমগ্র জাতির লক্ষ্য পূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উত্তরাখন্ড প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আমি আরও একবার শুভেচ্ছা জানাই প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে। বাবা কেদারনাথের আশীর্বাদে আপনাদের সকলের জীবনে নেমে আসুক সুখ ও সমৃদ্ধি। সকলের প্রতি রইল আমার অসংখ্য ধন্যবাদ। 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।