জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনারা অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন। একশো বছরের মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, আমাদের কাছে যে সম্পদ ছিল, তার যথাযোগ্য ব্যবহার করে আপনারা এত বড় ঢেউয়ের মোকাবিলা করেছেন।
বন্ধুরা,
বৈঠকের শুরুতেই আমি আপনাদের সেই দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যখন আপনারা এই পদে যোগ দেওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আপনারা ভেবে দেখুন, যখন আপনারা সিভিল সার্ভিস বা অন্যান্য পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছিলেন, তখন আপনাদের নিজেদের পরীশ্রমের ওপর, নিজেদের কাজের ওপর অগাধ বিশ্বাস ছিল। আপনারা যে অঞ্চলে ছিলেন, সেই অঞ্চলের ছোটো ছোটো ঘটনাগুলি জানতেন, আপনারা ভাবতেন আমি এই সমস্যাটা এইভাবে সমাধান করব।
আপনাদের এই চিন্তাভাবনাই আপনাদের সাফল্যের সিঁড়িও হয়ে ওঠে। বর্তমান পরিস্থিতি আপনাদের সেই দক্ষতা পরীক্ষা করার নতুন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। নিজেদের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাগুলির ছোটো ছোটো সমস্যাগুলির সমাধান করতে আপনারা সংবেদনশীলভাবে সেই দক্ষতাগুলিই কাজে লাগাচ্ছেন।
করোনাকালে আপনাদের কাজ আগের থেকে অনেক বেশী কঠিন এবং চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহামারীর মতো ভয়ঙ্কর সময়ে আমাদের সহমর্মিতা এবং সাহসের ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ হয়ে ওঠে। সেই ভাবনাগুলি নিয়েই আরও শক্ত হাতে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে, যে কাজ করছিলেন তা করে যেতে হবে।
বন্ধুরা,
নতুন নতুন সমস্যার মুখে আমাদের নতুন নতুন কৌশল এবং পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। আর সেজন্যে, আমাদের নিজেদের স্থানীয় অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে এক দেশ হিসেবে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
দু-দিন আগেই আমার কয়েকটি রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। সেই বৈঠকে বিভিন্ন জেলার বন্ধুরা অনেক পরামর্শ, অনেক কৌশল ভাগ করে নিয়েছিলেন। আজ এখানেও , বেশ কয়েকটি জেলার আধিকারিক আমাদের সঙ্গে নিজেদের জেলার পরিস্থিতি এবং তাঁদের কৌশল ভাগ করে নিয়েছেন।
যারা মাঠে নেমে কাজ করছেন, যখন তাঁদের সঙ্গে কথা হয়, তখন এধরণের নজিরবিহীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার নানা কৌশল জানা যায়। গত কয়েকদিনে এধরণের অনেক পরামর্শ পেয়েছি । আপনারা অনেক জেলায় পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী অভিনব কৌশলনীতি প্রয়োগের কথা বলেছেন। গ্রামে করোনা পরীক্ষার পরিষেবা সবার কাছে পৌঁছে দিতে মোবাইল ভ্যানের কথা জানিয়েছেন আপনারা। আপনাদের মধ্যে অনেকে স্কুল, পঞ্চায়েত অফিসগুলিকে কোভিড সেন্টারে পরিবর্তন করার কথাও জানিয়েছেন।
আপনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সমস্ত ব্যবস্থার পর্যবেক্ষণ করলে, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললে, সেই গ্রামের জনসাধারণের, অথবা গ্রামের নেতাদের, কোথাও ৫জন নেতা থাকেন, কোথাও ১০জন, কোথাও ১৫জন, যখন তাঁরা সরাসরি আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন এবং তাঁদের মন থেকে আশঙ্কা দূর হয়ে যাবে তখন তাঁদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যাবে। সমস্ত আশঙ্কা আত্মবিশ্বাসে পরিণত হয়ে যাবে।
আপনাদের উপস্থিতি, আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্রামবাসীদের মন থেকে এই আশঙ্কা দূর হয়ে যাবে যে, কিছু হলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কী হবে? আপনাদের দেখেই তাঁদের মনের আশঙ্কা দূর হয়ে যাবে। এরফলে, গ্রামবাসীদের মনে সাহস তৈরি হবে এবং নিজেদের গ্রামকে বাঁচানোর জন্যে সচেতনতা তৈরি হবে। এবং আমার অনুরোধ আমাদের গ্রামে গ্রামে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে গ্রামগুলিকে করোনামুক্ত রাখতে হবে এবং দীর্ঘসময় ধরে সচেতনভাবে এই প্রচেষ্টা করে যেতে হবে।
বন্ধুরা,
বিগত কয়েকদিনে, দেশজুড়ে করোনার সক্রিয় সংক্রমিতের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। আপনারাও নিশ্চয় আপনাদের জেলায় এটা অনুভব করেছেন যে ২০ দিন আগেও আপনাদের ওপর যে চাপ ছিল, আজ তা অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু গত দেড় বছরের অভিজ্ঞতায় আপনারা নিশ্চয় বুঝেছেন যে যতদিন পর্যন্ত জেলায় ক্ষুদ্র মাপের সংক্রমণও রয়েছে, ততদিন পর্যন্ত আশঙ্কাও রয়েছে। অনেক সময় যখন সংক্রমণের সংখ্যা কমতে থাকে তখন মানুষের মনে হয় যে এখন আর চিন্তার কোনও কারন নেই, রোগ তো আর নেই, কিন্তু অভিজ্ঞতা অন্য কথা বলে। পরীক্ষা এবং দু-গজের দূরত্ব নিয়ে যাতে জনসাধারণের মধ্যে কোনও ঢিলেমি না আসে, সেজন্যে সরকারী তন্ত্র, সামাজিক সংগঠন এবং জন প্রতিনিধিদের সম্মিলিত দায়িত্বভার নিতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে প্রশাসনের দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে যাবে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাদের জেলার বাজারগুলিতে, গ্রামে সংক্রমণের কেস কমে গেলেও যেন যথাযথ কোভিড আচরণবিধি, যেমন মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া এগুলির পালন করা হয়, তা দেখতে হবে। জেলার বিভিন্ন বিভাগ যেমন, পুলিশ বিভাগ হোক, পরিচ্ছন্নতার বিষয় হোক, যখন এই সমস্ত বিভাগের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে কাজ হয়, এবং পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রভাব দেখা যায়।
আমি বেশ কয়েকটি জেলার থেকে এই রণকৌশলে কাজ করে তার সুফলের খবরও পেয়েছি। এই জেলাগুলিতে আপনারা সত্যিই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
বন্ধুরা,
আপনাদের মাঠে নেমে কাজের ফলে, আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারিক এবং কার্যকর নীতিমালা তৈরি করতে সহায়তা করে। প্রতি স্তরের রাজ্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের পরামর্শ নিয়ে টিকাকরণের কৌশল রচনা করা হচ্ছে।
এই পর্যায়ে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে ১৫ দিনের টিকা সরবরাহের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। টিকা সরবরাহের সময়রেখার স্বচ্ছতার ফলে আপনাদের টিকাকরণের ব্যবস্থাপনার কাজে আরও স্বাচ্ছন্দ্য আসবে ।
আমি নিশ্চিত যে প্রতিটি জেলা ও টিকা কেন্দ্রের স্তরে সরবরাহ আরও জোরদার করা হবে। এরফলে টিকাকরণের সঙ্গে জড়িত অনিশ্চয়তা দূর করতে, পুরো প্রক্রিয়াকে সুশৃঙ্খল করতে সাহায্য করবে। আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে টিকাকরণের পরিকল্পনা, তার ক্যালেন্ডার আরও বেশি করে ভাগ করে নিলে জনসাধারণের সমস্যা আরও কম হবে।
বন্ধুরা,
আগের মহামারীগুলি এবং এই মহামারী আমাদের একটা কথাই শিখিয়েছে। মহামারী নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের ধারাবাহিক পরিবর্তন, প্রয়োজন অনুযায়ী পদ্ধতির পরিবর্তন, কৌশলের গতিশীল পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাইরাসটি পরিযোজনে অত্যন্ত দক্ষ, অত্যন্ত চালাক, সুতরাং আমাদের পদ্ধতি এবং কৌশলগুলিও গতিশীল হওয়া উচিত।
বৈজ্ঞানিক স্তরে, আমাদের বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের পরিযোজনের মোকাবেলায় দিনরাত কাজ করে চলেছেন। টিকা তৈরি করা থেকে শুরু করে এসওপি এবং নতুন ওষুধ তৈরি করার কাজ চলছে। যখন আমাদের প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গি একইরকম উদ্ভাবনী এবং গতিশীল হইয়ে ওঠে, তখন আমরা অসাধারণ ফলাফল পাই। আপনাদের জেলার সমস্যাগুলি আলাদা, তাই তার সমাধানগুলিও আলাদাই হবে। টিকার অপচয়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি টিকার অপচয় মানে, একজন মানুষকে সুরক্ষা দিতে না পারা। সেজন্যে, টিকার অপচয় বন্ধ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আমি আরও বলব যে আপনারা যখন আপনাদের জেলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করেন, তখন আপনারা তা নগর ও গ্রামীণে পৃথকভাবে বিবেচনা করবেন, যাতে আপনাদের ফোকাসটা থাকে। এমনকি টায়ার -২, টিয়ার -৩ শহরগুলিকেও আলাদা করে বিশ্লেষণ করা উচিত যাতে অঞ্চলের প্রয়োজন অনুযায়ী কৌশলের পরিবর্তন করা যেতে পারে- কোথায় কত শক্তি প্রয়োগ করতে হবে, কোন ধরণের শক্তি প্রয়োগ করতে হবে, এর মাধ্যমে আপনি তা খুব সহজেই করতে পারবেন। এবং এর মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলে করোনার মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
এবং আমিও আপনাদের মতো দীর্ঘকাল ধরে কোন না কোনও কাজ করে এখানে পৌঁছেছি। আমার অভিজ্ঞতা বলে, গ্রামবাসীদের যদি সঠিক সময়ে সঠিক বার্তা দেওয়া হয়, তবে তারা তা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। এবং শহরে, কখনও কখনও কিছু বাস্তবায়নের জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, কিন্তু গ্রামে তা খুব সহজেই হয়ে যায়। হ্যাঁ, স্বচ্ছতার প্রয়োজন রয়েছে। গ্রামের ভিতরে একটি দল গঠন করা উচিত। আপনারা দেখবেন, তার ফলাফল অবশ্যই পাবেন।
বন্ধুরা,
দ্বিতীয় ঢেউয়ে, ভাইরাসের মধ্যে পরিযোজনের কারণে এখন যুবক এবং শিশুদের জন্যও উদ্বেগ বাড়ছে। আপনারা যেভাবে এই ক্ষেত্রে কাজ করেছেন, আমাদের কৌশল এখনও পর্যন্ত এই উদ্বেগটিকে গুরুতর হয়ে উঠতে দেয়নি, তবে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের আরও প্রস্তুত থাকতে হবে। এবং প্রথমে আপনারা যেটা করতে পারেন তা হ'ল আপনাদের জেলায় যুবক এবং শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ এবং এর তীব্রতার পরিসংখ্যান তৈরি করা। এ সম্পর্কে আলাদাভাবে নিয়মিত বিশ্লেষণ করুন। আপনারা নিজেও… আমি সমস্ত মুখ্য আধিকারিকদের এটি নিজেই মূল্যায়ণ করার জন্য অনুরোধ করছি। এটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে।
বন্ধুরা,
আমি গতবারও একটি বৈঠকে বলেছিলাম যে জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি আমাদের জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। দরিদ্রদের জন্য নিখরচায় রেশন হোক, অন্যান্য পরিষেবা হোক, কালোবাজারি বন্ধ করা হোক, এই যুদ্ধে জয়ের জন্য এগুলিও প্রয়োজনীয়, এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্যেও জরুরি। আপনাদের কাছে গতবারের অভিজ্ঞতার শক্তি রয়েছে, এবং গতবারের প্রচেষ্টার সাফল্যের প্রেরণাও রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনারা সবাই আপনাদের জেলাগুলিকে সংক্রমণ থেকে মুক্ত করতে সফল হবেন।
আমরা সবাই দেশের নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে, দেশকে বিজয়ী করতে সফল হব এবং আজ আমি কয়েকজন সহকর্মীর কথা শোনার সুযোগ পেয়েছি, তবে আপনাদের সকলের কাছেই সাফল্যের কোনও না কোনও গল্প রয়েছে। আপনারা নিশ্চয় কোথাও না কোথাও অভিনব পরীক্ষা করেছেন। আপনারা যদি তা আমার কাছে পৌঁছে দেন, তবে আমি অবশ্যই এই কৌশল দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হব। কারণ যতই মননশীল তর্ক করা হোক না কেন, তার চেয়ে বেশি শক্তি যে রাস্তায় নেমে কাজ করে, তাঁর যে অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং যে পথগুলি আবিষ্কার করেছেন সেগুলি বেশী শক্তিশালী হয়। এবং তাই আপনাদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং তাই আমি আপনাদের এই পরিসংখ্যান বের করতে অনুরোধ করছি।
দ্বিতীয়ত, বিগত একশো বছরে, কারো জীবনে এত বড় সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায় ছিল না। আপনারা জেলায় বসে আছেন, আপনাদের ওপর সবথেকে বড় দায়িত্বের বোঝা এসে পড়েছে। আপনারা অনেক কিছুই হয়তো পর্যবেক্ষণ করেছেন, মানুষের মন পর্যবেক্ষণ করেছেন, ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতা দেখেছেন, কম সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন হয়তো। আপনারা যখনই সুযোগ পাবেন, ডায়েরিতে অবশ্যই লিখে রাখবেন। আপনাদের অভিজ্ঞতাগুলি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কার্যকর হবে কারণ গত শতাব্দীতে একশো বছর আগে যে মহামারী হয়েছিল, তার বেশী তথ্য নেই। তার রূপ কী ছিল, সংকট কতটা গভীর ছিল, কী ঘটেছিল, এর থেকে বেরোনোর পথ কী ছিল? তবে আজ যদি আমাদের জেলা স্তরের আধিকারিকরা এটিকে জেলা গেজেটের মতো করে তোলে তবে আমাদের প্রচেষ্টা, ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে আমাদের অভিজ্ঞতা কার্যকর হবে।
এবং আমি আপনাদের এই সাফল্যের জন্যে, এই পরিশ্রমের জন্যে, আপনাদের-আপনাদের পুরো টিমকে, যেভাবে আপনারা তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেজন্যে আমি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই, আপনাদের প্রশংসা করি। এবং আমি আশা করছি যে আপনারা আরও সফল হোন, দ্রুতগতিতে সফল হোন, এবং জনসাধারণের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করুন।
জনসাধারণের বিশ্বাসই বিজয়ের পথে সবথেকে বড় ওষুধ। এর থেকে বড় ওষুধ হয়না। আর আপনারা এই কাজটি সহজেই করতে পারবেন। আপনারা সুস্থ থাকবেন, আপনাদের ওপর কাজের অনেক চাপ রয়েছে আমি বুঝি। এবার বৃষ্টির সময় শুরু হলে, মরশুমী অসুখের যে চাপ থাকে, তাও বাড়বে। কিন্তু এসবের মধ্যেও আপনারা সুস্থ থাকবেন, আপনাদের পরিবার সুস্থ থাকুক এবং আপনাদের জেলা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক, প্রত্যেক নাগরিক সুস্থ হয়ে উঠুক, আপনাদের এই প্রার্থনা ঈশ্বর পূর্ণ করুন, আপনাদের পরিশ্রম র্সাথক হোক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!