Quote“ভারতীয় খেলোয়াড়দের কঠোর শ্রম ও প্রচেষ্টার নিরিখে আরও উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গেই সূচনা হচ্ছে ‘আজাদি কা অমৃতকাল’-এর”
Quote“দেশের যুব সমাজকে খেলোয়াড়রা উৎসাহিত করেছেন খেলাধূলা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রের কাজকর্মে”
Quote“তোমরা তোমাদের চিন্তাভাবনা ও স্থির লক্ষ্যকে এমনভাবে একসূত্রে বাঁধতে পেরেছ যা ছিল এককালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি”
Quote“ইউক্রেনে আমরা এই ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার শক্তি উপলব্ধি করেছি। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য শুধু ভারতীয়দেরই নয়, অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও ত্রিবর্ণা ছিল রক্ষাকবচ”
Quote“আমাদের খেলার জগৎ-কে সর্বাঙ্গীন, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে। দেশের কোনও প্রতিভা যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে”

যদিও সকলের সঙ্গে কথা বলাটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। কিন্তু দেখুন, সকলের সঙ্গে তো আর একসঙ্গে কথা বলা যায় না। তবে, বিভিন্ন সময়ে আপনাদের অনেকের সঙ্গে আমার কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে এবং আপনাদের অনেকের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখার সুযোগ পেয়েছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে আপনারা খানিকটা সময় নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছেন। আপনাদের সাফল্য প্রত্যেক ভারতবাসীকে গর্বিত করেছে। আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমিও গর্বিত। আপনাদের সকলকে স্বাগত।

আর দু’দিন পর দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। অমৃতকালের এই সময়ে আপনাদের সাফল্য দেশের জন্য গর্বের বিষয়।

বন্ধুগণ,

গত কয়েক সপ্তাহে দেশ ক্রীড়া জগতে দুটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আপনাদের ঐতিহাসিক ক্রীড়া নৈপুণ্যের পাশাপাশি, দেশ সফলভাবে দাবা অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেছে। দেশে দাবা খেলায় যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেটি বজায় রেখে এই প্রতিযোগিতায় আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো ফল করেছেন। আজ এই উপলক্ষে আমি দাবা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী সকল দাবাড়ু এবং পদক জয়ীদেরও অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ, আমি আপনাদের সকলকে কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরুর আগে কথা দিয়েছিলাম, দেশে ফিরলেই আমরা একসঙ্গে বিজয় উৎসব পালন করবো। আপনারা যে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসবেন, সেই আস্থা আমার ছিল। তাই, আমার কাজের চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনাদের জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমি খানিকটা সময় বরাদ্দ রেখেছিলা্‌ম। আজ যখন আপনাদের সঙ্গে আমি কথা বলছি, তখন আপনাদের মধ্যে যে সাহস ও প্রত্যয় নজরে আসছে, সেটিই আপনাদের পরিচয় হয়ে উঠেছে। যাঁরা পদক জয় করেছেন এবং যাঁরা আগামী দিনে পদক জয় করতে চলেছেন, তাঁরা সকলেই প্রশংসার যোগ্য।

বন্ধুগণ,

আপনাদের আরও একটা জিনিস জানাতে চাই। আপনারা যখন বার্মিংহামে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, তখন সময়ের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কোটি কোটি ভারতবাসী জেগে থাকতেন। তাঁরা গভীর রাত পর্যন্ত আপনাদের প্রত্যেক খেলাই দেখতেন। খেলার স্কোর, গোল বা পয়েন্ট সবকিছুর দিকেই মানুষের নজর ছিল। আসলে আপনারা যা করেছেন, তা হ’ল – মানুষের মধ্যে খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন, যার জন্য আপনারা প্রত্যেকেই প্রশংসার দাবিদার।

|

বন্ধুগণ,    

কটা পদক পেয়েছেন, তার মাধ্যমে আপনাদের খেলাধূলার দক্ষতার যথাযথ মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। অনেকেই বিভিন্ন খেলায় প্রতিদ্বন্দীদের খুব কাছাকাছি ছিলেন। এটা পদক জয়ের থেকে কিছু কম নয়। হতে পারে, এক সেকেন্ড বা একটা পয়েন্ট বা এক সেন্টিমিটারের জন্য পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, আগামী দিনে আপনারা সেই সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। আপনাদের সকলের উদ্যম, কঠোর পরিশ্রম ও মানসিকতার প্রশংসা করি। দলগতভাবে আপনাদের এই উদ্যোগের কারণে হকিতে আমরা আমাদের হৃত গৌরব ফিরে পেয়েছি। গতবারের সঙ্গে বিচার করলে এবার আমরা আরও ৪টি নতুন খেলায় বিজয়ী হয়েছি। লন বল থেকে অ্যাথলেটিক্স ౼ বিভিন্ন খেলায় আমাদের খেলোয়াড়দের পারদর্শিতা ছিল নজরকাড়া। এই পারদর্শিতার জন্যই নতুন নতুন খেলার বিষয়ে দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের আগ্রহ বাড়ছে। আমাদের এই উদ্যোগ বজায় রাখতে হবে। শরদ, কিদাম্বী, সিধু, সৌরভ, মীরাবাঈ, বজরং, বীনেশ বা সাক্ষীর মতো পুরনো মুখগুলি যেমন দেখতে পাচ্ছি, একইভাবে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রাও দারুন খেলেছেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করেছেন। নতুন যেসব খেলোয়াড় এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ৩১টি পদক জয় করেছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে প্রত্যয় বাড়ছে, তা এর মাধ্যমে প্রতিফলিত। নতুন ভারতের মানসিকতা আজ অনুভূত হচ্ছে। একদিকে দীর্ঘ দিনের খেলোয়াড় শরদ আগের মতোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, অবিনাশ, প্রিয়াঙ্কা এবং সন্দীপ এই প্রথম বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের টক্কর দিয়েছেন। এটা এমন এক মানসিকতা যে, যে কোনও প্রতিযোগিতায় আমরা সব ধরনের পরিস্থিতি সামল দিতে প্রস্তুত। আচ্ছা ভাবুন তো, পোডিয়ামে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকাকে দু’জন  ভারতীয় খেলোয়াড় শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, এটা আমরা কতবার দেখেছি? আর বন্ধুরা, আমাদের মেয়েদের পারদর্শিতার জন্য গোটা দেশ আজ আনন্দিত। আমি যখন পূজার সঙ্গে কথা  বলছিলাম, তখন তাঁর আবেগঘন ভিডিও-টির বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। পূজা, আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি দেশের জন্য বিজয়ী। আপনি আপনার সততা ও কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে কোনও আপোষ করেননি। অলিপিক্সের পর বীনেশকেও আমি একই কথা বলেছিলাম। আমি আনন্দিত যে, উনি ওনার মন খারাপকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন। আমাদের মেয়েরা বক্সিং, জুডো অথবা কুস্তি – সব খেলাতেই দারুন ফল করেছেন। নিতু বক্সিং রিং থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে তো বেরই করে দিলেন। উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল  দুর্দান্ত খেলেছেন। আসলে সব খেলোয়াড়ই চমৎকার পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। আর, রেণুকার স্যুইং-এর ব্যাপারে তো কোনও কথাই হবে না। তার মুখে সিমলার শান্তভাব ফুটে ওঠে, তাঁর হাসিতে পাহাড়ের সারল্য রয়েছে। কিন্তু, তাঁর আগ্রাসী মনোভাব বিপক্ষকে তছনছ করে দেয়। এই পারদর্শিতা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদেরও অনুপ্রাণিত করে, উৎসাহিত করে।  

|

বন্ধুগণ,

দেশকে আপনারা পদক এনে দিয়েছেন। আর তার জন্য দেশ গর্বিত – বিষয়টি এরকম ভাবলে চলবে না। বরং বলা ভালো ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনাকে আপনারা শক্তিশালী করেছেন। দেশের যুবসম্প্রদায়কে শুধু ক্রীড়া জগতেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও আপনারা অনুপ্রাণিত করেছেন। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল অভিন্ন লক্ষ্য। আপনারা ‘এক সংকল্প ও এক লক্ষ্য’ – এর মাধ্যমে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মঙ্গল পান্ডে, তাতিয়া টোপি, লোকমান্য তিলক, সর্দার ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, আসফাকুল্লা খান এবং রামপ্রসাদ বিসমিলের ভাবনা ছিল আলাদা। কিন্তু, উদ্দেশ্য ছিল এক। গতানুগতিক নিয়মের বেড়াজাল ভেঙ্গে রানী লক্ষীবাঈ, ঝালকারি বাঈ, দুর্গাভাবি, রানী চেন্নাম্মা, রানী গাইদিলিউ এবং ভেলু নাচিয়ের মতো অগণিত বীরাঙ্গনা এগিয়ে এসেছিলেন। বীরসা মুন্ডা, আল্লুরি সীতারাম রাজু এবং গোবিন্দ গুরুর মতো বহু জনজাতি যোদ্ধা তাঁদের সাহস ও মানসিকতার জোরে লড়াই করেছেন। স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, পন্ডিত নেহরু, সর্দার প্যাটেল, বাবাসাহেব আম্বেদকর, আচার্য বিনোবা ভাবে, নানাজী দেশমুখ, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা তাঁদের জীবন অতিবাহিত করেছেন। যেভাবে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল, সেই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীন ভারতের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য, জেলা, গ্রাম, ভাষা – যাই হোক না কেনো, দেশের গর্ব ও মান রক্ষার জন্য আপনাকে আপনার সবথেকে ভালো জিনিসটা দিতে হবে। এই ত্রিবর্ণা আপনার চালিকাশক্তি। দিন কয়েক আগে ইউক্রেনে আমরা এই ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার শক্তি উপলব্ধি করেছি। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য শুধু ভারতীয়দেরই নয়, অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও ত্রিবর্ণা ছিল রক্ষাকবচ।  

|

বন্ধুগণ,

সাম্প্রতিককালে আমরা অন্যান্য টুর্নামেন্টও ভালো খেলেছি। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারদর্শিতা দেখিয়েছি। অনুর্দ্ধ-২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও আমরা ভালো খেলেছি। ওয়ার্ল্ড ক্যাডেট রেসলিং চ্যাম্পিয়ানশিপ এবং প্যারা ব্যাডমিন্টন ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টেও অনেক নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ভারতীয় ক্রীড়া জগতের ক্ষেত্রে সময়টা দারুন। আমাদের প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণ দলের কর্মী এবং ক্রীড়া প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, এটা নতুন এক সূচনা। শুধুমাত্র এই সাফল্যে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। ভারতীয় ক্রীড়া জগতের সুবর্ণ্ যুগের সূচনা হয়েছে। বন্ধুরা, খেলো ইন্ডিয়া মঞ্চ থেকে উঠে আসা অনেক খেলোয়াড় দারুন খেলেছেন। টপস্‌ প্রকল্পের ইতিবাচক দিকও নজরে আসছে। নতুন নতুন প্রতিভার অন্বেষণে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে। আমাদের খেলার জগৎ-কে সর্বাঙ্গীন, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে। দেশের কোনও প্রতিভা যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আপনাদের সকলকে আগামী এশিয়ান গেমস্‌ ও অলিম্পিক্সের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। আরেকটি অনুরোধ আছে, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে এর আগে আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, দেশের ৭৫টি স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করুন। ইতোমধ্যেই ‘মিট দ্য চ্যাম্পিয়ন’ কর্মসূচির আওতায় অনেকেই বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেছেন। যাঁরা যাননি, তাঁদের কাছে অনুরোধ, আপনারা এই উদ্যোগে সামিল হন। যেহেতু, দেশের তরুণ-তরুণীরা আপনাদের আদর্শ হিসাবে মনে করেন এবং আপনাদের কথাগুলি খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন, তাই আপনাদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা প্রয়োজন। কারণ, আপনারা যে পরামর্শ দেবেন, তারা তাদের জীবনে সেটি গ্রহণ করবে। আপনাদের ক্ষমতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং আপনাদের প্রতি সম্মান দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আরও একবার আপনাদের সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানাই! অনেক অভিনন্দন! ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন।

  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷ज
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷घ
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌹र🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 11, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌷🌹🌷🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • Reena chaurasia September 02, 2024

    जय जय श्री राम
  • Chirag Limbachiya July 25, 2024

    bjp
  • JBL SRIVASTAVA June 02, 2024

    मोदी जी 400 पार
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India’s smartphones become country’s top exported good, surpassing traditional sectors in FY25

Media Coverage

India’s smartphones become country’s top exported good, surpassing traditional sectors in FY25
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles loss of lives due to fire tragedy in Solapur, Maharashtra
May 18, 2025
QuoteAnnounces ex-gratia from PMNRF

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has expressed deep grief over the loss of lives due to fire tragedy in Solapur, Maharashtra. Shri Modi also wished speedy recovery for those injured in the accident.

The Prime Minister announced an ex-gratia from PMNRF of Rs. 2 lakh to the next of kin of each deceased and Rs. 50,000 for those injured.

The Prime Minister’s Office posted on X;

"Pained by the loss of lives due to a fire tragedy in Solapur, Maharashtra. Condolences to those who have lost their loved ones. May the injured recover soon.

An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF would be given to the next of kin of each deceased. The injured would be given Rs. 50,000: PM" @narendramodi

"महाराष्ट्रात सोलापूर इथे आग लागून झालेल्या दुर्घटनेतील जीवितहानीमुळे तीव्र दु:ख झाले. आपले प्रियजन गमावलेल्या कुटुंबांप्रति माझ्या सहवेदना. जखमी झालेले लवकर बरे होवोत ही प्रार्थना. पंतप्रधान राष्ट्रीय मदत निधीमधून (PMNRF) प्रत्येक मृतांच्या वारसाला 2 लाख रुपयांची मदत दिली जाईल. जखमींना 50,000 रुपये दिले जातील : पंतप्रधान" @narendramodi