হিমাচল প্রদেশে যাঁরা টিকা নেওয়ার যোগ্য তাঁদের সকলকে অন্তত একটি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে
বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্রুততম টিকাকরণ কর্মসূচিকে কিভাবে দেশের গ্রামীণ সমাজ সফল করতে পারে হিমাচল প্রদেশ সেটি প্রমাণ করল : প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্য এবং কৃষির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন ড্রোন নীতি সুবিধাজনক হবে : প্রধানমন্ত্রী
মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য যে বিশেষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে তার মাধ্যমে আমাদের বোনেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী দেশে-বিদেশে বিক্রি করতে পারবেন : প্রধানমন্ত্রী
‘অমৃত কাল’-এর সময়ে হিমাচলের মাটিকে রাসায়নিক কুপ্রভাব মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে রাজ্যের কৃষক ও উদ্যানপালকদের জৈব চাষের পরামর্শ

হিমাচল প্রদেশ আজ আমাকে শুধুই একজন প্রধান সেবক রূপে নয়, একজন পরিবারের সদস্য রূপেও গর্বিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমি হিমাচল প্রদেশকে অনেক ছোট ছোট পরিষেবার জন্য সংঘর্ষ করতে দেখেছি। আজ সেই হিমাচলকেই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে দেখছি। বিকাশের নতুন গাথা লিখতে দেখছি। এসব কিছু দেব-দেবীদের আশীর্বাদে আর হিমাচল প্রদেশ সরকারের কর্মকুশলতার ফলে আর হিমাচলের প্রত্যেক নাগরিকের সচেতনতার ফলেই সম্ভব হচ্ছে। একটু আগে যাঁদের সঙ্গে আমার কথোপকথনের সুযোগ হয়েছে, যেভাবে তাঁরা নিজেদের কথা বলেছেন, সেজন্য আরেকবার  প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানাই, আপনাদের গোটা টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। হিমাচল প্রদেশ একটি টিম রূপে কাজ করে অদ্ভূত সাফল্য পেয়েছে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা।

হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র ওরলেকরজি, এ রাজ্যের প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয়রাম ঠাকুরজি, ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ আর সংসদে আমার সহযোগী হিমাচলের কৃতি সন্তান শ্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডাজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী শ্রী অনুরাগ ঠাকুরজি, সংসদে আমার সহকর্মী আর হিমাচল ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ শ্রী সুরেশ কাশ্যপজি, উপস্থিত অন্যান্য সকল মন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়কগণ, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিগণ আর আমার প্রিয় হিমাচল প্রদেশের ভাই ও বোনেরা!

১০০ বছরের সবচাইতে বড় মহামারীর বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি। বিগত ১০০ বছরে ভারতবাসী এরকম দিন কখনও দেখেনি। এই লড়াইয়ে আজ হিমাচল প্রদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সামনে এগিয়ে এসেছে। হিমাচল প্রদেশ ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে সম্পূর্ণ টিকাযোগ্য জনসংখ্যাকে করোনা টিকার ন্যূনতম একটি ডোজ দিতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও হিমাচল প্রদেশের মোট টিকাযোগ্য জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

হিমাচল প্রদেশের জনগণের এই সাফল্য দেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে আর আমাদের সবাইকে উপলব্ধি করিয়েছে যে আত্মনির্ভর হওয়া কতটা জরুরি। ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ – ১৩০ কোটি ভারতবাসীর এই আত্মবিশ্বাস এই টিকার ক্ষেত্রে ভারতবাসীর আত্মনির্ভরতারই প্রমাণ। ভারত আজ একদিনে ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে টিকা দিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছে। যত টিকা ভারত আজ প্রতিদিন দিচ্ছে, তা অনেক দেশের সমগ্র জনসংখ্যা থেকেও বেশি। ভারতের টিকাকরণ অভিযানের সাফল্য, প্রত্যেক ভারতবাসীর পরিশ্রম ও পরাক্রমের পরিণাম। ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি যে ‘সবকা প্রয়াস’-এর আহ্বান রেখেছিলাম, এটা তারই পরিণাম। হিমাচল প্রদেশের পর সিকিম এবং দাদরা ও নগর হাভেলি প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পেরিয়ে গেছে আর অনেক রাজ্য এর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এখন আমাদের সবাইকে মিলেমিশে চেষ্টা করতে হবে, যাতে যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁরা যেন অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ নেন।

ভাই ও বোনেরা,

আত্মবিশ্বাসের এই জড়িবুটি হিমাচল প্রদেশে সবচাইতে দ্রুত টিকাকরণ অভিযানে সাফল্যের মূল ভিত্তি। হিমাচল প্রদেশ নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস রেখেছে, নিজের রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এবং ভারতের বৈজ্ঞানিকদের ওপর ভরসা রেখেছে। এই সাফল্য সকল স্বাস্থ্যকর্মী, আশা কর্মকর্তা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, শিক্ষক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকল বন্ধুদের দৃঢ় প্রত্যয়ের পরিণাম। আরোগ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলের পরিশ্রমেরই ফসল এটা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে প্যারা-মেডিকেল স্টাফ ও অন্যান্য সহযোগীদের প্রতিশ্রমের ফসল। এতে আমাদের বৃহৎ সংখ্যক বোনেদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই আমাদের অনেক ফিল্ডে কাজ করতে থাকা বন্ধু বিস্তারিতভাবে বলেছেন, কিভাবে তাঁরা বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করেছেন। হিমাচলে সব ধরনের সমস্যা ছিল, যা টিকাকরণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। পাহাড়ি প্রদেশ হওয়ার ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা ছিল। করোনা টিকা সংরক্ষণ এবং পরিবহণের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু জয়রামজির সরকার যেভাবে ব্যবস্থাকে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে কাজে লাগিয়েছে, যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছে, তা প্রকৃতপক্ষে প্রশংসনীয়। এভাবে কোনও টিকা নষ্ট না করে হিমাচল প্রদেশ দেশের মধ্যে সব থেকে দ্রুতগতিতে টিকাকরণ অভিযান সম্পন্ন করেছে। এটা খুব বড় কথা যে তারা কোনও টিকা নষ্ট হতে দেয়নি।

বন্ধুগণ,

কঠিন ভৌগোলিক পরিস্থিতিকে জয় করতে জনগণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা এবং গণ-অংশীদারিত্বই এই টিকাকরণের সাফল্যের বড় কারণ। হিমাচল প্রদেশে প্রতিটি পাহাড়ের পাদদেশে কথ্যভাষা সম্পূর্ণরূপে বদলে যায়। অনেকটা অংশেই এখনও গ্রামীণ সংস্কৃতি বজায় রয়েছে যেখানে আস্থা জীবনের অপরিহার্য অংশ। সেখানে মানুষের জীবনে দেব-দেবীদের আবেগপূর্ণ উপস্থিতি রয়েছে। কিছুক্ষণ আগে কুলু জেলার মালাণা গ্রামের এক বোনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। মালাণা গণতন্ত্রকে সঠিক পথে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে, প্রাণশক্তি যোগানোর ক্ষেত্রে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। সেখানকার টিম বিশেষ ক্যাম্প লাগিয়েছে। কার-স্প্যান-এর মাধ্যমে টিকার বাক্স পৌঁছেছে আর সেখানকার দেব-সমাজের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আস্থা অর্জন করে তাঁদের সাহায্যে টিকাকরণ করেছে। গণ-অংশীদারিত্ব এবং জনগণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির রণনীতিই সিমলার ডোডরা-কোয়ার, কাংরার ছোট ভাঙ্গাল, বড়া ভাঙ্গাল, কিন্নৌর, লাহুল-স্পিতি আর পাঙ্গী-ভরমৌর-এর মতো প্রতিটি দুর্গম ক্ষেত্রে এই রণনীতিই সাফল্য এনেছে।

বন্ধুগণ,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে লাহুল-স্পিতির মতো দুর্গম জেলা হিমাচল প্রদেশে ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এটা এমন অঞ্চল যেখানে অটল সুড়ঙ্গ নির্মাণের আগে বছরে অনেক ক’টা মাস দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থাকত। আস্থা, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান মিলেমিশে কিভাবে নাগরিক জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে এটা হিমাচল প্রদেশ বারবার করে দেখিয়েছে। হিমাচলবাসীরা কোনরকম গুজবে কান দেননি, কোনরকম অপপ্রচারকে গ্রাহ্য করেন নি। দেশের গ্রামীণ সমাজ কিভাবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচাইতে দ্রুত টিকাকরণ অভিযানকে বাস্তবায়িত করতে পারে, হিমাচল প্রদেশ তার উজ্জ্বল উদাহরণ।

বন্ধুগণ,

এই দ্রুত টিকাকরণের মাধ্যমে হিমাচল প্রদেশের পর্যটন শিল্প উপকৃত হবে। এই পর্যটনই তো এ রাজ্যে নবীন প্রজন্মের রোজগারের সবচাইতে বড় মাধ্যম। কিন্তু মনে রাখবেন, টিকা নেওয়া হলেও নিয়মিত মাস্ক পরিধান করা এবং দু’গজের দূরত্ব বজায় রাখার মন্ত্র আমাদের ভুললে চলবে না। আমরা তো হিমাচল প্রদেশের মানুষ। আমরা জানি বরফ পড়া শুরু হলেই সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে। তা সত্ত্বেও আমরা যখন কোনকিছু করার জন্য পথে বেরোই তখন অতি সন্তর্পণে প্রতিটি পা বাড়াই। আমরা জানি, বরফ পড়ার পর সন্তর্পণে চলতে হয়। বৃষ্টি হওয়ার পরও আপনারা দেখেছেন, ছাতা বন্ধ করে দিলেও কিছুক্ষণ পথঘাট ভেজা থাকে বলে পা টিপে টিপে এগোতে হয়। একইরকমভাবে এই করোনা মহামারীর পরও আমাদের সামলে চলতে হবে, সন্তর্পণে এগোতে হবে। করোনা সঙ্কটকালে হিমাচল প্রদেশের অনেক যুবক-যুবতী রাজ্যকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ওয়ার্ক ফ্রম এনিহোয়্যার – এই সংস্কৃতির একটি জনপ্রিয় গন্তব্য করে তুলেছেন। উন্নত সুযোগ-সুবিধা, শহরগুলিতে উন্নত ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির মাধ্যমে হিমাচল প্রদেশের নবীন প্রজন্ম অনেক উপকৃত হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে তা জীবন এবং জীবিকার ওপর কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তা এই করোনা সঙ্কটকালেও হিমাচল প্রদেশের মানুষ খুব ভালোভাবে অনুভব করেছেন। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে আমি সড়ক যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ, বিমানপথে যোগাযোগের পাশাপাশি ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির কথাও বুঝি যা আজ দেশের সবচাইতে বড় অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মাধ্যমে আজ এমনকি ৮-১০টি বাড়ি রয়েছে তেমন জনপদের সঙ্গেও সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশের প্রতিটি জাতীয় মহাসড়ককে অনেক প্রশস্ত করা হয়েছে কিছু জায়গায় এখনও প্রশস্তিকরণের কাজ চলছে। এভাবে ক্রমে উন্নত হওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে এ রাজ্যের পর্যটন শিল্প প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছে। ফল, সব্জির উৎপাদনকারী কৃষক ও বাগিচা চাষিরা স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হচ্ছেন। গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়ায় হিমাচল প্রদেশের নবীন প্রতিভারা এ রাজ্যের সংস্কৃতির বিবরণ, পর্যটনের নতুন সম্ভাবনাগুলির কথা দেশে-বিদেশে পৌঁছে দিতে পারছেন।

ভাই ও বোনেরা,

আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির এই লাভ হিমাচল প্রদেশকে আগামীদিনে আরও লাভবান করবে। বিশেষ করে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এর ফলে, দূরদুরান্তের স্কুলগুলি এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বড় বড় হাসপাতাল থেকে ও বড় বড় স্কুল থেকে চিকিৎসক ও শিক্ষকরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হতে পারবেন, মূল্যবান পরামর্শ দেবেন।

সম্প্রতি দেশের সরকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটি সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে হিমাচল প্রদেশের মানুষকে বলতে চাই। সেটি হল ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়মাবলীতে পরিবর্তন। এখন ড্রোন ব্যবহারের নিয়ম অনেক সহজ করে তোলা হয়েছে। এর ফলে হিমাচল প্রদেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্র থেকে শুরু করে কৃষির মতো অনেক ক্ষেত্রে নতুন নতুন সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে। ড্রোনের মাধ্যমে এখন ওষুধপত্রের হোম ডেলিভারির কাজও করা যাবে। উদ্যান চাষের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। এছাড়া, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যাবে, তা হল জমির সার্ভে। আমি মনে করি, ড্রোন প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের সম্পূর্ণ জীবন বদলে দিতে পারে। অরণ্য, প্রকৃতির সুরক্ষা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও হিমাচল প্রদেশে ড্রোন প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগতএই চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে সকল প্রকার সরকারি পরিষেবায় বেশি করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়।

ভাই ও বোনেরা,

হিমাচল প্রদেশ আজ দ্রুতগতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলি আজও হিমাচল প্রদেশের জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে। বিগত দিনে অনেক দুর্ভাগ্যপূর্ণ ঘটনায় আমাদের অনেক সঙ্গীকে হারাতে হয়েছে। সেজন্য আমাদের বৈজ্ঞানিক সমাধানের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হবে। ধ্বস সম্পর্কে আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম নিয়ে গবেষণাকে উৎসাহিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, পার্বত্য অঞ্চলের প্রয়োজন অনুসারে আমাদের নির্মাণ সংক্রান্ত প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য আমাদের যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করতে হবে, প্রেরণা যোগাতে হবে।

বন্ধুগণ,

গ্রামে গ্রামে আরও বেশি মানুষকে যুক্ত করতে পারলে কতটা সার্থক পরিণাম পাওয়া যায় এর বড় উদাহরণ হল জল জীবন মিশন। আজ হিমাচল প্রদেশের সেই অঞ্চলগুলিতেও বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে জলের সংযোগ করা সম্ভব হয়েছে যেখানে কখনও এটা অসম্ভব বলে মনে করা হত। বনসম্পদের ক্ষেত্রেও এই দৃষ্টিকোণ কাজে লাগতে পারে। এর ফলে, আমাদের গ্রামের বোনেদের যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি রয়েছে সেগুলির অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। বিশেষভাবে জড়িবুটি, স্যালাড ও নানা শাকসব্জির যোগান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে হিমাচলের অরণ্যগুলির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এর চাহিদা নিরন্তর ক্রমবর্ধমান। আমাদের পরিশ্রমী বোনেরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এগুলির উৎপাদন অনেকগুণ বাড়াতে পারেন। এখন তো ই-কমার্স-এর নতুন মাধ্যমে আমাদের বোনেরা নতুন পদ্ধতিতে নিজেরাও বিক্রি করতে পারেন। গত ১৫ আগস্ট আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলেছি যে কেন্দ্রীয় সরকার এখন বোনেদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য বিশেষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চলেছে। এর মাধ্যমে আমাদের বোনেরা এখন দেশ ও বিশ্বের যে কোনও স্থানে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি বিশেষ কৃষি পরিকাঠামো তহবিল গড়ে তুলেছে। বোনেদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৃষক উৎপাদক সঙ্ঘ এই তহবিলের সহায়তায় নিজেদের গ্রামের কাছেই হিমঘর কিংবা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট চালু করতে পারেন। এগুলির মাধ্যমে নিজেদের ফল-সব্জির সংরক্ষণের জন্য তাঁদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আবার হিমাচল প্রদেশের পরিশ্রমী কৃষক ও বাগিচা চাষিরা এ থেকে অধিক লাভবান হয়ে উঠবেন বলে আমার বিশ্বাস।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার অমৃতবর্ষে হিমাচল প্রদেশের কৃষক ও বাগিচা চাষিদের আমি আরেকটি অনুরোধ করতে চাই। আগামী ২৫ বছরে কি আমরা হিমাচল প্রদেশের কৃষিকে পুনর্বার জৈব-কৃষিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করতে পারি? তাহলে আমাদের ধীরে ধীরে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ থেকে ফসলকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের মাটিকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের এমন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে যেখানে আমাদের মাটি আর আমাদের সন্তান-সন্ততিদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হিমাচল প্রদেশের সামর্থ্যের ওপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। হিমাচল প্রদেশের যুবশক্তির ওপর আমার ভরসা রয়েছে। যেভাবে দেশের সীমান্তে হিমাচল প্রদেশের যুবকেরা অতন্দ্র প্রহরায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, সেভাবেই নিজের রাজ্যের মাটির নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আমাদের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক কৃষক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। হিমাচল প্রদেশ অসাধ্য সাধন করার ক্ষেত্রে তার যে স্বাভাবিক পরিচয় সেটাকেই আরও শক্তিশালী করে তুলবে; এই কামনা নিয়ে আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। হিমাচল প্রদেশ সম্পূর্ণ টিকাকরণের ক্ষেত্রে দেশে সবার আগে সফল হোক এই শুভকামনা জানাই।

আজ আমি সমস্ত দেশবাসীকে করোনা নিয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এখন পর্যন্ত দেশে ৭০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে সারা দেশের চিকিৎসক, সেবিকা, অঙ্গনওয়াড়ি, আশা বোনেদের ভূমিকা, স্থানীয় প্রশাসন, টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি এবং ভারতের বৈজ্ঞানিকদের অনেক তপস্যা রয়েছে। দেশে দ্রুতগতিতে টিকাকরণ অভিযান চলছে কিন্তু আমাদের কোনরকম উদাসীনতা আর গাফিলতি করলে চলবে না। আমি করোনা সংক্রমণের প্রথম দিন থেকেই একটি মন্ত্র বলছি – ‘ওষুধও, কড়াকড়িও’। এই মন্ত্র আমাদের ভুললে চলবে না। আরেকবার হিমাচলের জনগণকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।