প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা ও সমন্বিত উদ্যোগের জন্য রাজ্যগুলির প্রশংসা করেছেন
মুখ্যমন্ত্রীরা সবধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
মহারাষ্ট্র ও কেরলে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া উদ্বেগের বিষয় : প্রধানমন্ত্রী
নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমিতদের শণাক্তকরণ, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা এবং টিকাকরণ প্রমাণিত ও পরীক্ষিত কৌশল : প্রধানমন্ত্রী
তৃতীয় ঢেউ প্রতিহত করতে আমাদের সক্রিয়ভাবে সবধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে পরিকাঠামোর ঘাটতি পূরণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
করোনা এখনও চলে যায়নি, আনলক পর্বে যেসব ছবি পোস্ট হচ্ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক : প্রধানমন্ত্রী
নমস্কারজি! করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনারা সকলেই নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। দু’দিন আগেই আমার উত্তর-পূর্ব ভারতের সকল মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার সৌভাগ্য হয়েছে, কারণ, যেখানে যেখানে চিন্তাজনক পরিস্থিতি রয়েছে সেই রাজ্যগুলির সঙ্গে আমি বিশেষভাবে কথা বলছি। বন্ধুগণ, বিগত দেড় বছরে দেশ এতবড় মহামারীর মোকাবিলা পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই করেছে। সকল রাজ্য সরকার যেভাবে পরস্পরের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছে, বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলি বোঝার চেষ্টা করেছে, পরস্পরকে সহযোগিতার চেষ্টা করেছে, আর আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এ ধরনের প্রচেষ্টার ফলে আমরা ভবিষ্যতে এই লড়াইয়ে বিজয় লাভ করতে পারব।
বন্ধুগণ, আপনারা সবাই একথা জানেন যে আমরা এই সময়ে একটি এমন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা নিয়মিত আমাদের দরজায় করাঘাত করছে। দেশের অধিকাংশ রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে হ্রাস পেয়েছে এতে কিছুটা স্বস্তি, মানসিক স্বস্তি অনুভূত হচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা এই ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডকে দেখে আশাও করছিলেন যে দ্রুত দেশ দ্বিতীয় ঢেউ থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু কিছু রাজ্যে সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এখনও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, আজ যতগুলি রাজ্য; মোট ছয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। যে রাজ্যগুলিতে গত সপ্তাহে দেশের মোট সংক্রমণের ৮০ শতাংশ রোগী রয়েছে, আপনারা সেই রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্ব করছেন। ৮৪ শতাংশ দুঃখজনক মৃত্যুও এই রাজ্যগুলিতেই হয়েছে। গোড়ার দিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছিলেন যে যেখান থেকে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছিল, সেখানকার পরিস্থিতি অন্যদের তুলনায় আগে নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। কিন্তু মহারাষ্ট্র এবং কেরলে সংক্রমণের হার এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এটা প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবার জন্য, দেশের জন্য একটি গভীর দুশ্চিন্তার বিষয়। আপনারা সবাই বিষয়টা বুঝতে পারছেন। দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা এই ধরনেরই ট্রেন্ড দেখতে পাচ্ছিলাম। সেজন্য এই আশঙ্কা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে অনেক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে। যে রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান, সেখানে সক্রিয় ব্যবস্থা নিয়ে যে কোনভাবে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাকে দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি।
বন্ধুগণ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমাগত সংক্রমণ বাড়তে থাকলে করোনা ভাইরাসের মিউটেশনের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, আর নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টসের সম্ভাবনাও বাড়ে। সেজন্য তৃতীয় ঢেউকে প্রতিরোধ করতে করোনার বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এজন্য রণকৌশল সেটাই যা আপনারা নিজেদের রাজ্যে আগেও প্রয়োগ করেছিলেন, গোটা দেশে প্রয়োগ করা হয়েছে আর তার অভিজ্ঞতাও আমাদের রয়েছে যা আপনাদের জন্যও পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত পদ্ধতি। টেস্ট, ট্র্যাক এবং ট্রিট – এই তিনটি উপায়ের পাশাপাশি এখন টিকাকরণও আমাদের রণনীতিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এর গতি আমাদের বাড়াতে হবে। আমাদের বিশেষভাবে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যে জেলাগুলিতে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি, যেখানে যেখানে বেশি সংখ্যক রোগীরা সংক্রামিত হচ্ছেন, সেই অঞ্চলগুলিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে পরিণত করে দ্রুত উপশমের পথে এগিয়ে যেতে হবে। দু’দিন আগেই যখন আমি উত্তর-পূর্ব ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন একটি বিষয় উঠে এসেছিল যে কয়েকটি রাজ্য লকডাউনই করেনি, কিন্তু মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে গুরুত্ব দিয়েছে আর সেজন্য তারা পরিস্থিতি সামলাতে পেরেছে। টেস্টিং-এর ক্ষেত্রেও এই জেলাগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্পূর্ণ রাজ্যে যথাসম্ভব বেশি টেস্ট করার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে জেলাগুলিতে, যে এলাকাগুলিতে বেশি সংক্রমণ রয়েছে সেখানে টিকাকরণের জন্য আমাদের একটি কৌশলগত পদ্ধতি রয়েছে। টিকার কার্যকরী ব্যবহারের ফলে করোনা থেকে উদ্ভূত শারীরিক সমস্যা অনেক হ্রাস পায়। অনেক রাজ্যে এই সময়ে আমরা যে উইন্ডো পাচ্ছি, সেটাকে আমরা সেখানে আরটি-পিসিআর টেস্টিং ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করছি। এটাও একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যত বেশি সম্ভব আরটি-পিসিআর টেস্টিং এই সংক্রমণকে রুখতে অনেক কার্যকরী হয়ে পারে। বন্ধুগণ, দেশের সকল রাজ্যকে নতুন আইসিইউ বেড বৃদ্ধি, টেস্টিং ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য প্রয়োজনসাধনের জন্য বিশেষ তহবিল থেকে টাকা পাঠানো হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ইমার্জেন্সি কোভিড রেসপন্স প্যাকেজ জারি করেছে। আমি চাইব যে, এই বাজেটের ব্যবহার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য ব্যবহার করুন। যে রাজ্যে পরিকাঠামোগত যত ত্রুটি রয়েছে সেগুলিকে দূর করার ক্ষেত্রে এই তহবিল থেকে পাঠানো টাকা ব্যবহার করতে হবে। পরিকাঠামোগত শূন্যস্থান পূরণ করতে বিশেষ করে, গ্রামীণ এলাকায় আমাদের বেশি পরিশ্রম করার প্রয়োজন রয়েছে। এর পাশাপাশি, সকল রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা, কন্ট্রোল রুম এবং কল সেন্টারের নেটওয়ার্ক মজবুত করাও ততটাই প্রয়োজনীয়। এগুলির মাধ্যমে সম্পদের তথ্য, এই বিষয়ক যাবতীয় তথ্য নাগরিকরা সহজেই স্বচ্ছভাবে পেতে পারেন। চিকিৎসার জন্য রোগীদের এবং পরিজনদের আর এখানে-ওখানে ছুটতে হবে না।
বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে আপনাদের রাজ্যগুলিতে যে ৩৩২টি পিএসএ প্ল্যান্ট মঞ্জুর করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে ৫৩টি ইতিমধ্যেই কমিশনড হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাজ্যের প্রতি আমার অনুরোধ যে যেখানে ত্রুটি রয়েছে সেই অঞ্চলগুলিতে অগ্রাধিকার দিয়ে সেই ত্রুটি দূর করা হোক। কোনও একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়ে শুধু এই কাজে লাগান আর ১৫-২০ দিনের মিশন মোডে এই কাজকে আপনারা বাস্তবায়িত করুন, ত্বরান্বিত করুন। বন্ধুগণ, আরেকটি দুশ্চিন্তা শিশুদের নিয়ে। শিশুদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে আমাদের নিজেদের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। বন্ধুগণ, আমরা দেখছি যে বিগত দু’সপ্তাহে ইউরোপের অনেক দেশে দ্রুতগতিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যদি পশ্চিম দিকে যাই তাহলে ইউরোপের দেশগুলিতে, পূর্ব দিকে গেলে বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড সহ সকল দেশে দ্রুতগতিতে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। কোথাও চারগুণ, কোথাও আটগুণ, কোথাও দশগুণ বেড়েছে। এটা গোটা বিশ্বের জন্য, আর আমাদের জন্যও একটি সতর্ক বার্তাস্বরূপ। একটি অনেক বড় অ্যালার্ট আমাদেরকে বারবার এটা মনে করাতে হয় যে করোনা আমাদের মধ্য থেকে যায়নি। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্র থেকে আনলকের পর যেসব পাচ্ছি সেই দেখে চিন্তা বাড়তে বাধ্য। একথা আমি আমার উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময়েও বলেছিলাম। আমি আজ আরেকবার জোর দিয়ে সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করছি। আজকে যে রাজ্যগুলি আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সেগুলিতে অনেক বড় বড় মেট্রোপলিটন শহর আছে, অনেক ঘনবসতিসম্পন্ন এলাকা রয়েছে, সবাইকে এটাও মাথায় রাখতে হবে। সার্বজনিক স্থানগুলিতে ভিড় রোখার জন্য আমাদের সব সময় সজাগ, সতর্ক এবং কঠোর হতে হবে। সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং অসরকারি সংস্থা, ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের ক্রমাগত জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যেতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের সকলের ব্যাপক অভিজ্ঞতা এই লক্ষ্যে অনেক কার্যকরী বলে প্রমাণিত হবে। আপনারা সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য সময় বের করেছেন বলে আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর যেমনটি আপনারা সবাই, সমস্ত সম্মানিত মুখ্যমন্ত্রীরা উল্লেখ করেছেন, আমি প্রত্যেক মুহূর্তে হাজির আছি। আমাদের সম্পর্ক বজায় রয়েছে। ভবিষ্যতেও সব সময় অ্যাভেলেবল থাকব যাতে আমরা সবাই মিলেমিশে এই সঙ্কটে মানবজাতিকে রক্ষা করতে এই অভিযানে নিজের নিজের রাজ্যকে যেন বাঁচাতে পারি। আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Share
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi
जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।
जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...
आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।
साथियों,
आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।
साथियों,
मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।
साथियों,
छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।
साथियों,
ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।
साथियों,
मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।
साथियों,
हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।
साथियों,
महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।
साथियों,
लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।
साथियों,
इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।
साथियों,
देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।
साथियों,
आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।
साथियों,
महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।
साथियों,
भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।
साथियों,
सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।
साथियों,
कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।
साथियों,
एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।
साथियों,
कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।
साथियों,
जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।
साथियों,
आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।
साथियों,
मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।