৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের টিকাকরণে প্রথম পর্যায়ে রাজ্য সরকারগুলিকে কোনো খরচ বহন করতে হবে না : প্রধানমন্ত্রী
কো-উইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম টিকাকরণ কর্মসূচীকে সাহায্য করবে ও ডিজিটাল টিকা শংসাপত্র দেবে
আগামী কয়েক মাসে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত : প্রধানমন্ত্রী
বার্ড ফ্লুকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে; সব সময় সব জায়গায় নজরদারী চালানো হবে : প্রধানমন্ত্রী

করোনার 'মেড ইন ইন্ডিয়া' টিকা এবং বিশ্বের সব থেকে বড় টিকাকরণ অভিযান নিয়ে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রেজেন্টেশনে অনেক কিছুই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আর আমাদের রাজ্যগুলির জেলাস্তরের আধিকারিক পর্যন্ত অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে এর কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং রাজ্যগুলি থেকে অনেক ভালো পরামর্শও পেয়েছি।

কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে এই আলাপ-আলোচনা ও সহযোগিতা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব বড় ভূমিকা পালন করেছে। এক প্রকার দেখতে গেলে, সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর এটি একটি উত্তম উদাহরণ। এই গোটা লড়াইটা আমরা সকলে মিলেমিশে লড়েছি।

বন্ধুগণ,

আজ আমাদের দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীজির জন্মদিন। আমি তাঁকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। ১৯৬৫ সালে শাস্ত্রীজি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস-এর একটি সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন যা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।

তিনি বলেছিলেন, “শাসনের মূল ভাবনাকে আমি যেভাবে দেখি তা হল উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সমগ্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করা।

সরকারের কাজ হল এই বিবর্তন, এই প্রক্রিয়ার সহায়ক ভূমিকা পালন করা।” আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে করোনার এই সঙ্কটকালে আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করেছি।

যে শিক্ষা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজি আমাদেরকে দিয়ে গেছেন, আমরা সকলে তাঁর প্রদর্শিত পথে চলার চেষ্টা করেছি এবং অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে নতুন নতুন সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছি।

প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ করেছি, আর দেশের জনগণকে নিরন্তর আমরা সচেতনও করে গিয়েছি। আর আজ তার পরিণামস্বরূপ, ভারতে করোনা সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে ছড়িয়েছে, তার তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে।

৭-৮ মাস আগে দেশবাসীর মনে যতটা দুশ্চিন্তা ছিল, এখন মানুষ তার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এটা ভালো পরিস্থিতি। কিন্তু বেপরোয়া হলে চলবে না। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। দেশবাসীর ক্রমবর্ধমান বিশ্বাসের প্রভাবে দেশের আর্থিক গতিবিধিতে ইতিবাচক রূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি এই করোনা প্রতিরোধে আপনাদের রাজ্য প্রশাসনগুলির দিন-রাত এক করে কাজ করা ও লড়াইয়ের প্রশংসা করি।

বন্ধুগণ,

এখন আমাদের দেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি নির্ণায়ক পর্যায়ে প্রবেশ করছে। এই পর্যায় হল টিকাকরণের।

একটু আগেই যেমন বলা হয়েছে, ১৬ জানুয়ারি থেকে আমরা দেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযান শুরু করতে চলেছি।

এটা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়, যে দুটি টিকাকে 'ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন’ প্রদান করা হয়েছে, এই দুটিই ভারতে তৈরি।

শুধু তাই নয়, আরও চারটি টিকা তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

আর আমি যে ৬০-৭০ শতাংশ কাজের কথা আগে বলছিলাম, তা নিয়ে প্রথম রাউন্ডের পর আবার আলোচনা করছি যে আরও টিকা আসার পর আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় অনেক সুবিধা হবে। সেজন্য দ্বিতীয় ভাগে আমরা ৫০ বছরের ওপর যাঁদের বয়স, তাঁদেরকে টিকাকরণ করাব। ততদিনের মধ্যে আমাদের কাছে আরও টিকা এসে যাবে।

 

বন্ধুগণ,

দেশবাসীকে একটি কার্যকরী টিকা দেওয়ার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞরা সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করেছেন।

আর এখন বৈজ্ঞানিক মহলের পক্ষ থেকে বিস্তারিতভাবে আমাদের বলাও হয়েছে, আর আপনারা হয়তো জানতে পেরেছেন যে এই বিষয়ে যখনই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আমি একটাই জবাব দিয়েছি, ‘এ বিষয়ে যত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবই সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক মহল নেবে।

তাঁরা যা বলবেন, আমরা সেটাই করব। বৈজ্ঞানিক মহলের সিদ্ধান্তকে আমরা শেষ কথা মেনে চলব’। অনেকেই বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশে টিকা এসে গেছে, ভারত কী করছে, ভারত কি ঘুমোচ্ছে? এত লক্ষ লোকের রোগ হয়েছে, এতজন মারা গেছেন, এসব কথা নিয়েও চেঁচামেচি হচ্ছে।

কিন্তু তারপরও আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক মহলের ওপরই ভরসা রেখেছি, কারণ তাঁরা দেশের প্রতি দায়িত্বশীল।

যখন তাঁদের পক্ষ থেকে আসবে, তখনই আমাদের সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ হবে। সব থেকে বড় কথা, যে কথাটা আমি আরেকবার বলতে চাই, আমাদের দুটো টিকাই বিশ্বের অন্যান্য টিকার তুলনায় অনেক সস্তা।

আমরা কল্পনা করতে পারি, যদি ভারতকে করোনা টিকাকরণের জন্য বিদেশি টিকার ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করতে হত, তাহলে আমাদের অবস্থা কী হত! কত বড় সমস্যা হত আমরা এটা কল্পনা করতে পারি! এই টিকা ভারতের পরিবেশ ও পরিস্থিতি দেখে তৈরি করা হয়েছে।

ভারতে টিকাকরণের যে অভিজ্ঞতা, দূর-দুরান্তের অঞ্চলগুলিতে টিকা পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যবস্থা তা করোনা টিকাকরণ কর্মসূচিতেও অত্যন্ত উপযোগী প্রমাণিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

বন্ধুগণ,

আপনাদের সঙ্গে, সমস্ত রাজ্যের টিমের সঙ্গে পরামর্শ করে এটা ঠিক করা হয়েছে যে টিকাকরণ অভিযানে প্রথমে কাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আমাদের চেষ্টা থাকবে সবার আগে তাঁদেরকে টিকা দিতে যাঁরা দিন-রাত দেশবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে চলেছেন।

আমাদের সেই স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি হাসপাতাল হোক কিংবা বেসরকারি, তাঁদেরকেই সবার আগে টিকা দেওয়া হবে।

এর পাশাপাশি আমাদের সাফাই কর্মচারীরা যাঁদেরকে প্রতিনিয়ত অগ্রণী করোনা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে হয়, আর আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় আধা-

সামরিক বাহিনী, হোমগার্ড, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবক সহ সমস্ত অসামরিক প্রতিরক্ষার জওয়ান, কন্টেনমেন্ট এবং সার্ভেলেন্সে যুক্ত রেভিনিউ কর্মচারী - এই ধরনের বন্ধুদের প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মী, অগ্রভাগে থাকা কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। এটা ঠিক করা হয়েছে যে প্রথম পর্যায়ে এই ৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার যে খরচ তা রাজ্য সরকারগুলিকে বহন করতে হবে না। এই খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে।

 

বন্ধুগণ,

টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে - এই পর্যায়টিকে আপনারা তৃতীয় পর্যায়ও বলতে পারেন, যদি এই ৩ কোটিকে ধরেন, তাহলে দ্বিতীয় পর্যায়।

কারণ ৫০ বছরের বেশি বয়সী যেসব মানুষ, আর ৫০ বছরের নিচে যাঁদের অন্যান্য মারাত্মক রোগ রয়েছে, যাঁদের সংক্রমণের ভয় বেশি রয়েছে, তাঁদেরকেও প্রথম পর্যায়েই টিকা দেওয়া হবে।

আপনারা সবাই দেখেছেন যে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে জরুরি পরিকাঠামো থেকে শুরু করে টিকাগুলি পরিবহণের ব্যবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত প্রস্তুতি দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিভিন্ন মডিউলে এতে প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশের প্রায় প্রত্যেক জেলায় ড্রাই-

রানও সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এত বড় দেশের সমস্ত জেলায় ড্রাই-

রান সম্পন্ন করাও একটি বড় সামর্থ্যের ব্যাপার। আমাদের যে নতুন প্রস্তুতি, যা কোভিডের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর রয়েছে, সেটাকে এখন পুরনো টিকাকরণ অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

ভারতে আগে থেকেই অনেক ইউনিভার্সাল ইম্মিউনাইজেশন প্রোগ্রাম চলছে।

আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সেগুলি পালন করছেন। মিজেলস-

রুবেলার মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধী টিকার ব্যাপক অভিযান আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ নির্বাচন এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে ভোটদানের পরিষেবা প্রদানের অভিজ্ঞতাও আমাদের রয়েছে।

সেজন্য আমরা যে বুথ স্তরের রণনীতি তৈরি করি, সেটা এই টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কার্যকরী হবে।

 

বন্ধুগণ,

এই টিকাকরণ অভিযানে যাঁরা টিকা দেবেন তাঁদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পরিচিতি এবং তদারকি করে কাজ করতে হবে। সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে 'কো-

উইন’ নামক একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও তৈরি করা হয়েছে। আধারের সাহায্যে সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা হবে। আর তাঁরা যাতে দ্বিতীয় ডোজ সময়মতো পান, তাও সুনিশ্চিত করা হবে। আপনাদের সকলের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ, এই টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত যথাযথ তথ্য, রিয়েল টাইম ডেটা 'কো-উইন'-এ আপলোড করা সুনিশ্চিত করতে হবে। এতে সামান্য ভুল থাকলে এই অভিযান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 'কো-উইন' প্রথম টিকাকরণের পর একটি ডিজিটাল টিকাকরণ শংসাপত্র দেবে। সুবিধাভোগীদের এই শংসাপত্র টিকাকরণের পরপরই দিতে হবে যাতে তাঁদের সেই শংসাপত্র নেওয়ার জন্য আবার না আসতে হয়।

যাঁর টিকাকরণ হয়েছে, তাঁর এই শংসাপত্র দেখে বোঝা যাবে যে দ্বিতীয় ডোজ কবে দিতে হবে। এই শংসাপত্র তাঁদের রিমাইন্ডার রূপে কাজ করবে।

দ্বিতীয় ডোজের পর প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে চূড়ান্ত শংসাপত্র দেওয়া হবে।

 

বন্ধুগণ,

ভারত যা করতে চলেছে, তা বিশ্বের অনেক দেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তা অনুসরণ করবে। সেজন্য আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশ্বের ৫০টি দেশে ৩-৪ সপ্তাহ ধরে এই টিকাকরণের কাজ চলছে। প্রায় একমাস ধরে কাজ চলছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে মাত্র ২.৫ কোটি মানুষেরই টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে।

তাঁদের নিজস্ব প্রস্তুতি, নিজস্ব অভিজ্ঞতা, নিজস্ব সামর্থ্য নিয়ে তারা নিজেদের মতো করে টিকাকরণ ছে। কিন্তু এখন ভারতে আগামী কয়েক মাসে প্রায় ৩০ কোটি জনসংখ্যাকে টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। এই সমস্যা পূর্বানুমান করেই বিগত মাসগুলিতে ভারতে ব্যাপক প্রস্তুতির কাজ চলেছে।

করোনা টিকাকরণের ফলে যদি কারোর কোনও অস্বস্তি হয়, তাহলে তার জন্য জরুরি ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিভার্সাল ইম্মিউনাইজেশন প্রোগ্রামে আগে থেকেই এর জন্য একটি মেকানিজম আমাদের কাছে রয়েছে। করোনা টিকাকরণের জন্য একে আরও মজবুত করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

টিকা এবং টিকাকরণের এই অভিযানে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে আমরা কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করে এসেছি।

এই প্রোটোকলগুলি আমাদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে বজায় রাখতে হবে। সামান্য ঢিলে দিলে ক্ষতি হতে পারে।

আর শুধু তাই নয়, যাঁকে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তিনিও সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য যে সাবধানতা অবলম্বন করে আসছেন সেগুলি অনুসরণ করতে হবে এবং সেগুলি সুনিশ্চিত করতে হবে। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

তা হল প্রত্যেক রাজ্য, প্রত্যেক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে এই টিকাকরণ নিয়ে যে কোনও গুজব বা অপপ্রচার না হয়।

দেশ এবং বিশ্বের অনেক সুযোগ সন্ধানী স্বার্থপর মানুষ আমাদের এই অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কর্পোরেট বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতাও এই অভিযানকে বিঘ্নিত করতে পারে।

দেশ এবং গর্বের নামেও এটা হতে পারে। অনেক কিছু সামনে আসতে পারে।

কিন্তু সেইসব কিছু অতিক্রম করে আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরে এই অপপ্রচেষ্টা থামাতে হবে।

সেজন্য আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্থাগুলিকে এমওয়াইকে, এমএসএস, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, বিভিন্ন পেশাদার সংস্থা, রোটারি লায়নস ক্লাব এবং রেড ক্রসের মতো সংস্থার সঙ্গে আমাদের যুক্ত হতে হবে। তাছাড়া আমাদের যে রুটিন স্বাস্থ্য পরিষেবা সেটিকেও বজায় রাখতে হবে।

যাতে অন্যান্য টিকাকরণ অভিযানও সমান্তরালভাবে চলতে থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ আমরা জানি, আমরা ১৬ তারিখে শুরু করছি, কিন্তু আমাদের ১৭ তারিখেও রুটিন ভ্যাক্সিনের তারিখ রয়েছে।

আর সেজন্য আমাদের রুটিন টিকাকরণের কাজ যাতে এগিয়ে যায়, কারোর কোনও ক্ষতি না হয়, সেটা দেখতে হবে।

অবশেষে, আরেকটি গভীর বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। দেশের নয়টি রাজ্যে বার্ড-ফ্লু যে হচ্ছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এই রাজ্যগুলি হল কেরল, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। বার্ড-

ফ্লু প্রতিরোধে পশুপালন মন্ত্রক যে রণকৌশল তৈরি করেছে সেগুলিকে তৎপরতার সঙ্গে পালন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে জেলাশাসকরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

আমার অনুরোধ যে প্রভাবিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের সঙ্গে মুখ্য সচিবদের মাধ্যমে সমস্ত জেলাশাসকদের পথ দেখান। যে রাজ্যগুলিতে এখনও বার্ড-

ফ্লু পৌঁছয়নি, সেখানকার রাজ্য সরকারগুলিকেও সতর্ক থাকতে হবে।

সমস্ত রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসনকে জলাশয়গুলির আশেপাশে, পাখি বাজারে, চিড়িয়াখানায় এবং পোল্ট্রি ফার্ম ইত্যাদির দিকে নিরন্তর লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে পাখিরা অসুস্থ হলে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জানতে পারে। বার্ড-ফ্লু-

র যথাযথ পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য যে সুনির্দিষ্ট গবেষণাগার রয়েছে সেখানে নির্দিষ্ট সময়ে নমুনা পাঠালেই এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অত্যন্ত দ্রুত জানা যাবে আর স্থানীয় প্রশাসনও ততটাই দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবে।

বন বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, পশুপালন বিভাগের মধ্যে যত বেশি যোগাযোগ থাকবে, ততটাই দ্রুতগতিতে আমরা বার্ড-ফ্লু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। বার্ড-

ফ্লু নিয়ে জনমনে গুজব যাতে না ছড়ায় সেটাও আমাদের দেখতে হবে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ভারতকে প্রতিটি সমস্যা থেকে বের করে আনবে।

আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই আর ৬০ শতাংশ কাজ হওয়ার পর আমরা আরেকবার বসে এর অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করব। সেই সময় আরেকটু বিস্তারিত কথাবার্তা বলব। আর ততদিন পর্যন্ত আরও কিছু নতুন টিকা এসে যাবে। তখন আমরা আলাপ-আলোচনা করে ভবিষ্যতের রণনীতি তৈরি করব।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India's Economic Growth Activity at 8-Month High in October, Festive Season Key Indicator

Media Coverage

India's Economic Growth Activity at 8-Month High in October, Festive Season Key Indicator
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi pays homage to Dr Harekrushna Mahatab on his 125th birth anniversary
November 22, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi today hailed Dr. Harekrushna Mahatab Ji as a towering personality who devoted his life to making India free and ensuring a life of dignity and equality for every Indian. Paying homage on his 125th birth anniversary, Shri Modi reiterated the Government’s commitment to fulfilling Dr. Mahtab’s ideals.

Responding to a post on X by the President of India, he wrote:

“Dr. Harekrushna Mahatab Ji was a towering personality who devoted his life to making India free and ensuring a life of dignity and equality for every Indian. His contribution towards Odisha's development is particularly noteworthy. He was also a prolific thinker and intellectual. I pay homage to him on his 125th birth anniversary and reiterate our commitment to fulfilling his ideals.”