এই অঞ্চলের মহিলারা প্রধানমন্ত্রীকে একটি অতিকায় রাখি উপহার দিয়েছেন এবং তাদের মর্যাদা ও জীবন-যাপনের মানোন্নয়নে শ্রী মোদীর অবদানের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
সুফলভোগীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময় করেছেন
অর্থবহ সাফল্য তখনই পাওয়া যায়, যখন সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে সুফলভোগীদের কাছে পৌঁছে যায়
এই সরকারের আট বছর সেবা, সুশাসন ও গরীব কল্যাণে উৎসর্গীকৃত
আমার স্বপ্নই হল বিভিন্ন প্রকল্পের সর্বাঙ্গীন রূপায়ন; আামাদের ১০০% পরিধি বিস্তারের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে হবে; সরকারি ব্যবস্থাকে বিভিন্ন প্রকল্পের সর্বাঙ্গীন রূপায়নে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা গড়ে তুলতে হবে
সুফলভোগীদের কাছে ১০০% সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার অর্থই হল, সবকা সাথ, সবকা বিকাশের উদ্যোগের সঙ্গে সমানভাবে প্রতিটি ধর্ম ও প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া

নমস্কার!

আজকের এই ‘উৎকর্ষ সমারোহ’ প্রকৃতপক্ষেই একটি উত্তম সমাবেশ, আর এই সমাবেশ প্রমাণ করছে যে, যখন সরকার সততার সঙ্গে একটি সঙ্কল্প নিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়, তখন কত সার্থক পরিণাম উঠে আসতে পারে। আমি ভারুচের জেলা প্রশাসনকে, গুজরাট রাজ্য সরকারকে সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত চারটি প্রকল্পের ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন কভারেজ’-এর জন্য - আপনাদের সবাইকে যত শুভেচ্ছাই জানাই না কেন, তা কম পড়বে। আপনারা সবাই অনেক অনেক ধন্যবাদের অধিকারী। একটু আগেই আমি যখন এই প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন আমি দেখছিলাম যে তাঁদের মনে কত আনন্দ, কত আত্মবিশ্বাস। অনেক সমস্যার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে যখন সরকারের দিক থেকে ছোট ছোট সাহায্যও পাওয়া যায়, তখন মানুষের মনে সাহস আরও বেড়ে যায়, আর সমস্যা নিজেই অসহায় হয়ে পড়ে, আর যাঁরা সেই সমস্যাগুলির মোকাবিলা করেন তাঁরা মজবুত হয়ে ওঠেন। এটা আমি আজ আপনাদের সকলের সঙ্গে কথা বলার সময় অনুভব করছিলাম। এই চারটি প্রকল্পে যে যে বোনেরা উপকৃত হয়েছেন, যে যে পরিবারগুলি উপকৃত হয়েছে, তাঁরা সবাই আমার জনজাতি সমাজের ভাই ও বোনেরা, আমার দলিত, পিছিয়ে পড়া সমাজের ভাই ও বোনেরা, আমার সংখ্যালঘু সমাজের ভাই ও বোনেরা। আমরা প্রায়ই দেখি যে সচেতনতার অভাবে, সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যান। কখনও কখনও তো প্রকল্পগুলি কাগজেই থেকে যায়, আবার কখনও কখনও কিছু অসৎ মানুষ প্রকৃত দাবীদারদের প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন। কিন্তু যখন ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয়, দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়, সততার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা থাকে, আর যে বিষয়টা নিয়ে আমি সব সময় কাজ করার চেষ্টা করি, সেটা হল – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর ভাবনা,  যা থেকে নিশ্চিতভাবেই ইতিবাচক পরিণাম পাওয়া যায়। যে কোনও প্রকল্পকে ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া একটা অনেক বড় লক্ষ্য। এ কাজ অত্যন্ত কঠিন কিন্তু, এটাই সঠিক পথ। আমি সমস্ত সুবিধাভোগীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে এই সাফল্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।

বন্ধুগণ,

আপনারা সবাই জানেন যে যেদিন আপনারা আমাকে গুজরাট থেকে দিল্লিতে সেবার জন্য পাঠিয়েছেন, দেশের সেবার জন্য পাঠিয়েছেন, আজ সেই শুভ দিনটির আট বছর পূরণ হতে চলেছে। আট বছরের এই সেবা, সুশাসন এবং গরীব কল্যাণের প্রতি সমর্পিত ছিল। আজ আমি যা কিছু করতে পারছি, সেগুলি সব আপনাদের কাছেই শিখেছি। আপনাদের মধ্যে থেকে বাঁচার মাধ্যমে উন্নয়ন কাকে বলে, দুঃখ, ব্যথা কাকে বলে, দারিদ্র্য কাকে বলে, সমস্যার পাহাড় কাকে বলে – এই সবকিছু অত্যন্ত কাছে থেকে অনুভব করেছি, আর সেই অভিজ্ঞতাই পুঁজি করে আজ গোটা দেশের জন্য, দেশের কোটি কোটি নাগরিকের জন্য একজন পরিবারের সদস্য রূপে কাজ করে চলেছি। আমাদের সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে গরীবদের কল্যাণের স্বার্থে রচিত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে এগুলির দাবীদার যত সুবিধাভোগী রয়েছেন, সেই দাবীদাররা কেউ যেন বাদ না যান, সমস্ত দাবীদার যেন উপকৃত হন, আর সবাই যেন সম্পূর্ণ রূপে উপকৃত হন!

আর আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

যখন আমরা যে কোনও প্রকল্পে ‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট’ বা ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করি, তখনই এটা ১০০ শতাংশ হয়। এটা একটি নিছক পরিসংখ্যান নয়, এটা শুধুই খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো কোনও বিষয় নয়, এর মানে হল শাসন, প্রশাসন - যা অত্যন্ত সংবেদনশীল, আর আপনাদের সমস্ত সুখ ও দুঃখের সাথী, এটাই তার সবচাইতে বড় প্রমাণ। আজ দেশে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের আট বছর পূর্ণ হচ্ছে। আর যখন আট বছর পূর্ণ হচ্ছে, তখন আমরা একটি নতুন সঙ্কল্প নিয়ে, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার সঙ্গে একদিন একজন অনেক বড় নেতার দেখা হয়। অনেক বয়স্ক নেতা। তিনি এমনিতে আমাদের নিয়মিত বিরোধিতা করেন, রাজনৈতিক বিরোধিতাও করেন, কিন্তু আমি তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। একদিন কিছু বিষয় নিয়ে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন আর বলেন, মোদীজি এটা কী করব? দুই দুইবার আপনাকে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিয়েছে, এখন কী করা যাবে? তাঁর মনে হচ্ছিল যে দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছি মানে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছি। তিনি জানতেন না যে মোদী পুরো ভিন্ন মাটি দিয়ে তৈরি। এই গুজরাটের মাটি তাঁকে তৈরি করেছে। আর সেজন্য যাই-ই হয়েছে, ভালোই হয়েছে। চলো, এখন আরাম করি। না, আমার স্বপ্ন হল ‘স্যাচুরেশন’! ১০০ শতাংশ লক্ষ্যের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি মেশিনারিকে আমরা এই অভ্যাসে অভ্যস্ত করব। নাগরিকদের মনেও আমরা অটুট বিশ্বাসের জন্ম দেব। আপনাদের হয়তো মনে আছে, ২০১৪ সালে যখন আপনারা আমাকে দেশের সেবার সুযোগ দিয়েছিলেন, আমাকে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন, তখন দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা শৌচালয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল, টিকাকরণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল, বিদ্যুৎ সংযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুবিধা কয়েকশ’ মাইল দূরে ছিল, অধিকাংশ গরীবরাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। গত আট বছরে আমরা সকলের প্রচেষ্টায় অনেক প্রকল্পকে ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন’-এর কাছাকাছি আনতে পেরেছি। এখন আট বর্ষ পূর্তির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আরও একবার কোমর বেঁধে, ‘সবকা সাথ’ বা সকলকে সঙ্গে নিয়ে, ‘সবকা প্রয়াস’ বা সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে আর প্রত্যেক দরিদ্র মানুষকে, প্রত্যেক দাবীদারকে তাঁদের অধিকার প্রদানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে। আমি আগেই বলেছি, এই কাজ অনেক কঠিন হয়। রাজনৈতিক নেতারাও এগুলিতে হাত দিতে ভয় পান। কিন্তু আমি রাজনীতি করার নয়, আমি শুধু এবং শুধুই দেশবাসীর সেবা করার জন্য এসেছি। দেশ যখন সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে ১০০ শতাংশ দাবীদারদের কাছে পৌঁছনোর আর যখন তা বাস্তবায়িত হয়, ১০০ শতাংশে পৌঁছয়, তখন সবার আগে যে মানসিক পরিবর্তন আসে, সেটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই মানসিক অবস্থায় দেশের নাগরিকরা যাচকের অবস্থা থেকে সবার আগে বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেশবাসীর মনে যে ভিক্ষার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার মনোভাব, সেটা থেকে মুক্তি পায়। তাঁদের মনে একটি আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয় যে এটা আমার দেশ, এই সরকার আমার, এই সরকারের অর্থের ওপর আমার অধিকার রয়েছে, আমার দেশের নাগরিকদের প্রত্যেকেরই এই অধিকার আছে। এই ভাব তাঁদের মনের ভেতরে জন্ম নেয় আর সেই মনোভাব তাঁদের ভেতরে কর্তব্যের বীজকেও বপন করে দেয়।

বন্ধুগণ,

যখন ‘স্যাচুরেশন’ আসে, তখন বৈষম্যের সমস্ত অভিযোগ শেষ হয়ে যায়, কারোর সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেকের মনে বিশ্বাস থাকে, অমুক হয়তো আগে পেয়েছে, কিন্তু পরে আমিও পাবই। হয়তো দু’মাস পরে পাব, হয়তো ছ’মাস পরে পাব, কিন্তু অবশ্যই পাব। সেজন্য কারোর সুপারিশের প্রয়োজন পড়বে না। যাঁরা দেবেন, তাঁরাও একথা বলতে পারবেন না যে, তুমি আমার নিজের, সেজন্য দিচ্ছি, আর অমুক আমার নিজের নয়, সেজন্য দিচ্ছি না। এই বৈষম্য আর সম্ভব হবে না। আজ দেশ সঙ্কল্প নিয়েছে যে, ১০০ শতাংশ দাবীদারদের কাছে সব প্রকল্প পৌঁছনোর। আজ যখন ১০০ শতাংশে আমরা পৌঁছেছি, তখন এই ক্ষেত্রে তুষ্টিকরণের রাজনীতি সমাপ্ত হয়ে যায়। সেজন্য তুষ্টিকরণের আর কোনও জায়গা বাকি থাকে না। ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছনোর মানে হল সমাজের অন্তিম সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির কাছে পৌঁছনো, যাঁর কিছুই নেই, সর্বহারা, তাঁর জন্য সরকার থাকে, তাঁর জন্য সরকারের সঙ্কল্প থাকে, সরকার তাঁর বিশ্বস্ত   সাথী হয়ে এগিয়ে চলে – এই মনোভাব দেশের দূরদুরান্তের অরণ্য প্রদেশে বসবাসকারী আমার জনজাতি ভাই ও বোনেদের অনুভব করাতে হবে,  কিংবা বস্তিতে বসবাসকারী আমার গরীব মা ও বোনেরা হোন, বৃদ্ধাবস্থায় একাকী জীবন কাটানো কোনও ব্যক্তি হোন – প্রত্যেকের মনে এই বিশ্বাসের জন্ম দিতে হবে যে তাঁর অধিকারের জিনিসটি তাঁর দরজায় গিয়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের কভারেজ, অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমানভাবে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’, ১০০ শতাংশ লাভ গরীব কল্যাণের প্রত্যেক প্রকল্প থেকে কেউ যেন বাদ না পড়েন, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়েন। এটা অনেক বড় সঙ্কল্প। আজ আপনারা আজ যে রাখী পরিয়েছেন, সমস্ত বিধবা মায়েরা পরিয়েছেন, সমস্ত বোনেরা আমার জন্য এত বড় যে রাখী বানিয়েছেন, এটা নিছকই একটি সুতো নয়, এটার মাধ্যমে আপনারা আমাকে একটি শক্তি দিয়েছেন, সামর্থ্য দিয়েছেন, আর আমি যে স্বপ্নগুলি নিয়ে এগিয়ে চলেছি সেই স্বপ্নগুলি বাস্তবায়নের শক্তি দিয়েছেন। সেজন্য আজ আপনারা আমাকে যে রাখী দিয়েছেন, সেটিকে আমি অত্যন্ত অমূল্য উপহার বলে স্বীকার করেছি। এই রাখী আমাকে সর্বদাই দেশের গরীব মানুষদের সেবা করার জন্য ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন’-এর দিকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনগুলিকে ছোটানোর জন্য প্রেরণাও যোগাবে, সাহসও দেবে আর সঙ্গও দেবে। এটাকেই আমি বলি, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’। আজ রাখীও সমস্ত বিধবা মায়েদের প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে, আর আমি যখন গুজরাটে ছিলাম, বারবার বলতাম, কখনও কখনও আমার বক্তব্য খবরের কাগজে ছাপা হত, টিভিতে দেখানো ও শোনানো হত, আমার ওপর খবর, আমার নিরাপত্তা নিয়ে খবর ছাপা হত, দু-একবার তো আমার অসুস্থতার খবরও ছাপা হয়েছে। তখন আমি বলতাম যে ভাই, আমার কাছে কোটি কোটি মা ও বোনেদের দেওয়া রক্ষাকবচ রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই কোটি কোটি মা ও বোনেদের দেওয়া রক্ষাকবচ আমার কাছে থাকবে, যতদিন আমি এই রকম রক্ষাকবচ পেতে থাকবে, সেই রক্ষাকবচগুলিকে ভেদ কেউ আমার কোনও কিছু করতে পারবে না। আর আজ আমি এটা দেখছি, প্রত্যেক পদক্ষেপে, প্রত্যেক মুহূর্তে, আমার প্রিয় মা ও বোনেরা সর্বদাই তাঁদের আশীর্বাদ আমাকে দিয়ে যাচ্ছেন। এই মা ও বোনেদের কাছে যত ঋণ স্বীকার করি না কেন তা কম পড়ে যাবে। আর সেজন্য বন্ধুগণ, এই শিষ্টাচারের কারণেই আমি একবার লালকেল্লার প্রাকার থেকে একথা বলার সাহস করেছিলাম যে এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ, আমি করছি, আমি জানি এটা কঠিন কাজ, কিভাবে করা কঠিন সেটাও আমি জানি। সমস্ত রাজ্যগুলিকে প্রেরণা যোগানো, সঙ্গে নেওয়া অনেক কঠিন কাজ আমি জানি। সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের এই কাজের জন্য দৌড় করানো অনেক কঠিন আমি জানি, কিন্তু এটা স্বাধীনতার অমৃতকাল। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি পালন উৎসব এখন চলছে। এই অমৃতকালে দেশের জনগণের জন্য মৌলিক সুবিধাগুলি প্রদানের প্রকল্পগুলিকে ‘স্যাচুরেশন’-এ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যের কথা আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে ঘোষণা করেছিলাম। ১০০ শতাংশ সেবাভাব নিয়ে আমাদের এই অভিযান ‘সোশ্যাল জাস্টিস’ বা সামাজিক ন্যায়ের অনেক বড় মাধ্যম। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের গুজরাটের সক্রিয় এবং জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল তাঁর নেতৃত্বে গুজরাট রাজ্য সরকার এই সঙ্কল্পকে সিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য , জনকল্যাণ এবং গরীবদের গরিমা রক্ষার জন্য এই সমস্ত কিছু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ‘স্যাচুরেশন’-এ পৌঁছনোর অভিযান চালাচ্ছে। যদি আমি একটি শব্দে বলতে চাই তাহলে এটাই হল গরীবের আত্মগরিমা। গরীবের আত্মগরিমা রক্ষার জন্যই আমাদের সরকার। গরীবের আত্মগরিমা রক্ষার জন্য সঙ্কল্প আর গরীবের আত্মগরিমা রক্ষার জন্য শিষ্টাচার। এসবই তো আমাদের প্রেরণা যোগায়। আগে আমরা যখন ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি’ বা সামাজিক সুরক্ষার কথা শুনতাম তখন প্রায়ই অন্যান্য ছোট ছোট দেশের উদাহরণ দিতাম। ভারতে সেগুলি বাস্তবায়নের যত প্রচেষ্টাই হোক না কেন, সেগুলির পরিধি এবং প্রভাব এতদিন অত্যন্ত সীমিত ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ তার পরিধিকে অনেক ব্যাপক করেছে, বিস্তারিত করেছে। দেশ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। এর পরিণাম আজ আমাদের সকলের সামনে রয়েছে। ৫০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি মানুষকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা এবং জীবনবিমার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি ভারতবাসীকে ৬০ বছর বয়সের পর একটি নিশ্চিত পেনশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের পাকা বাড়ি, শৌচালয়, রান্নার গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট – এ ধরনের পরিষেবাগুলির জন্য তো গরীবরা সরকারি দপ্তরগুলিতে ঘুরে ঘুরে জুতোর শুকতলা খসাতেন। কোনও সুবিধা পেতে অনেক সময় তাঁদের সারা জীবন অতিবাহিত হত। তাঁরা হেরে যেতেন। আমাদের সরকার এই সমস্ত পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে, প্রকল্পগুলিতে সংস্কার এনেছে, নতুন নতুন লক্ষ্য স্থির করেছে, আর এখন আমরা নিরন্তর সেই লক্ষ্য পূরণের কাজ সাফল্যের সঙ্গে করে যাচ্ছি। এই পর্যায়ে কৃষকদের প্রথমবার সরাসরি সাহায্য করা হয়েছে। ছোট ছোট কৃষকদের তো আগে কেউ জিজ্ঞাসাই করত না ভাই, আর আমাদের দেশের ৯০ শতাংশ কৃষক তো ক্ষুদ্র কৃষকই। ৮০ শতাংশের বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ যাঁদের ২ একর জমিও নেই। সেই ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য আমরা একটি প্রকল্প রচনা করেছি। আমাদের মৎস্যজীবী ভাই ও বোনেদেরও ব্যাঙ্কের লোকেরা কখনও পাত্তা দিত না। আমরা ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’-এর মতো একটি পরিষেবা সবার আগে মৎস্যজীবীদের দিয়ে শুরু করেছি। শুধু তাই নয়, ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে প্রথমবার সহায়তা সুনিশ্চিত হয়েছে। আর আমি তো চাইব, আর আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি শ্রী সি আর পাটিলজি এটা সুনিশ্চিত করবেন, আমাদের কর্মকর্তাদের এই ব্যাপারটা দেখতে বলবেন, যাতে রাজ্যের সমস্ত নগরে এই ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র মাধ্যমে ঋণ পান, তাঁদের ব্যবসা যেন মহাজনী চড়া সুদের চক্কর থেকে মুক্ত হয়ে যায়। এই ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যতটা পরিশ্রম করেন, তা যেন তাঁর পরিবারের মানুষদের কাজে লাগে। সেজন্য আমরা এই যে অভিযান শুরু করেছি, আমি চাইব তা যেন ভরুচ থেকে শুরু করে অঙ্কলেশ্বর, ওয়ালিয়ার মতো আমাদের সমস্ত নগরে ব্যবসা করা এই ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লাভবান করে। এমনিতে তো ভারুচে আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ কথা বলতে পারছি।

বেশিক্ষণ হয়নি আমি এখানে এসেছি, তবুও মনে ইচ্ছা জাগে কারণ ভারুচের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত পুরনো আর ভারুচ তো আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, গুজরাটের বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কয়েক হাজার বছর পুরনো কেন্দ্র ছিল। একটা সময় ছিল যখন সমস্ত বিশ্বে সংযোগ স্থাপনের জন্য ভারুচের নাম উল্লেখযোগ্য ছিল। আর আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, আমাদের কৃষক ভাই ও বোনেরা, আমাদের জনজাতি ভাই ও বোনেরা আর এখন তো বাণিজ্য উদ্যোগের রমরমা চলছে এই ভারুচে, আমাদের এই অঙ্কলেশ্বরে। বাণিজ্য এই ভারুচ ও অঙ্কলেশ্বরকে ট্যুইন সিটিতে পরিণত করে তুলেছে যা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারত না। আর আমি যতদিন এখানে ছিলাম, সেসব পুরনো দিনের কথা সব মনে আছে।

আজ আধুনিক উন্নয়নের কারণে ভারুচ জেলার অনেক নাম হয়েছে। এখানে অনেক উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, আর স্বাভাবিকভাবেই ভারুচে যখন আসি, ভারুচের জনগণের কাছে আসি, তখন সব পুরনো মানুষদের কথা মনে পড়ে। অনেকের কথা মনে পড়ে। আমার অনেক পুরনো পুরনো বন্ধু, অনেক বয়স্ক বন্ধু রয়েছেন, এখনও মাঝেমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়। অনেক অনেক বছর আগে যখন আমি সঙ্ঘের কাজ করতাম, তখন বাস থেকে নেমেই পায়ে হেঁটে মুক্তিনগর সোসাইটিতে যেতাম, আমাদের মূলচাঁদভাই চৌহানের বাড়িতে যেতাম, আমাদের বিপীন ভাই শাহ-এর বাড়িতে যেতাম, আমাদের শঙ্কর ভাই গান্ধীর বাড়িতে যেতাম। এখানে আমার এরকম অনেক বন্ধু আছে। সব পুরনো পুরনো বন্ধু। আর যখন আপনাদেরকে দেখি তখন আমার বাহাদুর সাথী শ্রী শিরিষ বাঙালির কথা মনে পড়ে, যিনি শুধুই সমাজের জন্য বেঁচেছেন, সমাজের জন্য কাজ করে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

আমি জানি, লাল্লু ভাইয়ের গলি থেকে বেরিয়ে এলেই তখন আমাদের পাঁচবত্তি বিস্তার। এখন যে যুবক-যুবতীদের বয়স ২০-২৫ বছর, তাঁরা হয়তো জানেনই না যে এই পাঁচবত্তি আর লাল্লু ভাইয়ের গলির তখন কী অবস্থা ছিল। একদম সরু একটা পথ। স্কুটার চালিয়ে যেতে কষ্ট হত। এত গর্ত ছিল। কিন্তু আমি নিয়মিত যেতাম। আমার মনে আছে। আগে তো আর আমার কোনও সার্বজনিক সভা করা বা সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ হত না। অনেক বছর আগে এই ভারুচের মানুষই আমাদের শক্তিনগর সোসাইটিতে একদিন আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করেন। তখন তো আমি আর রাজনীতিতে আসিনি। প্রায় ৪০ বছর আগের কথা। শক্তিনগর সোসাইটিতে একটা সভা হত, আর আমি অবাক হয়েছিলাম, সেই সোসাইটিতে তখন এত ভিড় হত যে দাঁড়িয়ে থাকার মতো জায়গা পাওয়া যেত না। এত মানুষ, এত মানুষ! অনেক মানুষ একসঙ্গে আমাকে আশীর্বাদ দিতে এসেছিলেন। আমার কোনও নাম ছিল না, কেউ চিনতেন না, জানতেন না, তবুও জোর করেই ওঁদের চাপে পড়েই বক্তৃতা দিতে হয়েছিল আর অনেক বড় সভা হয়েছিল। সেই সময়, তখন তো আমি রাজনীতিতে কিছুই ছিলাম না। নতুন নতুন দলের কাজ করতাম, প্রতিদিন অনেক কিছু নতুন শিখতাম। সেই সময় আমার ভাষণ শেষ হওয়ার পর অনেক সাংবাদিক বন্ধু আমার সঙ্গে দেখা করেন। আমি তাঁদেরকে বলি, আপনারা লিখে রাখুন, এই ভারুচে কখনও কংগ্রেস জিতবে না। সেই সময় দাঁড়িয়ে আমি একথা বলেছিলাম। আজ থেকে ৪০ বছর আগে। তখন সবাই হাসতে শুরু করেন, আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেন, আর আজ আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি যে ভারুচের জনগণের এই ভালোবাসা এবং আশীর্বাদের ফলেই আমার সেই ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল।

এত ভালোবাসা! ভারুচ এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জনজাতি পরিবারগুলির পক্ষ থেকে আমি সেই স্পন্দন অনুভব করেছিলাম। আমি তখন অনেক গ্রামে গ্রামে ঘুরতাম। তখন অনেক জনজাতি পরিবারের মধ্যে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম, তাঁদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী থাকা, তাঁদের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আগে এখানে আমাদের একজন অগ্রজ কর্মী ছিলেন শ্রী চন্দু ভাই দেশমুখ। আমার তাঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তারপর থেকেই আমাদের মনসুখ ভাই সমস্ত কাজ সামলে নিয়েছেন। আমাদের অনেক দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন আর এত বেশি বন্ধু, এত বেশি মানুষের সঙ্গে কাজ করেছেন, সেইসব দিনে যখন আপনাদের মধ্যে এসেছি, যখন আপনাদের কাছে আসতাম, কত ভালো লাগত।

এখন আপনাদের থেকে এত দূরে থাকি যে আপনাদের কথা মনে পড়লে স্মৃতিমেদুর হয়ে –পড়ি! সেই সময়ের কথা মনে পড়ে, যাঁরা সব্জি বিক্রি করতেন তাঁদের জন্য এখানকার রাস্তাঘাট এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁরা ফিরি করতে এলে সব্জি পথে পড়ে যেত। এমনই অবস্থা ছিল। আমি যখন এই পথ দিয়ে যেতাম তখন দেখতাম যে অনেক গরীব মানুষের থলে উলটে গেছে। তখন আমি সব্জি কুড়িয়ে দিতাম, তাঁদের থলে সোজা করে দিতাম। সেরকম সময়েই আমি ভারুচে কাজ করেছি। আর আজ ভারুচ চারিদিকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। সড়কপথগুলি মসৃণ হয়েছে। জীবনযাত্রার মান অনেক শুধরেছে, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনেক উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, তীব্র গতিতে আমাদের ভারুচ জেলা এগিয়ে চলেছে। আমি জানি, সমস্ত জনজাতি এলাকাগুলি – সেই ওমরগাঁও থেকে অম্বাজি – গোটা জনজাতি এলাকায় আমি ঘুরেছি। আমাদের গুজরাটে এই জনজাতি সম্প্রদায় থেকে মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন। কিন্তু এই এলাকাগুলিতে কোনও বিজ্ঞানের স্কুল ছিল না। আপনারাই বলুন, বিজ্ঞানের স্কুল ছিল? আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম এই জেলায় বিজ্ঞানের স্কুল চালু করার সৌভাগ্য হয়েছে। আর যেখানে বিজ্ঞানের স্কুল থাকবে না, সেখান থেকে ছেলে-মেয়েরা কিভাবে ইঞ্জিনিয়ার হবে, কিভাবে ডাক্তার হবে? একটু আগেই আমাদের ইয়াকুব ভাই আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি মেয়েকে চিকিৎসক বানাতে চান। কিভাবে? কারণ, এখন ভারুচবাসীর জন্য ছেলে-মেয়েদের চিকিৎসক তৈরি করার সম্ভাবনা বেড়েছে। কারণ এখন এটা অভ্যাসে পরিণত হতে চলেছে। সেজন্য ইয়াকুব ভাইয়ের কন্যাও ঠিক করেছে যে সে ডাক্তার হবে।

আজ প্রকৃত পরিবর্তন এসেছে, তাই না? একইভাবে ভারুচের শিল্প উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে আর এখন তো আমাদের ভারুচে রেলের অনেক মেইন লাইন রয়েছে, ফ্রন্ট করিডর রয়েছে, এমনকি বুলেট ট্রেন চালু হতে চলেছে। সড়কপথে এক্সপ্রেসওয়ে আছে। এমন কোনও যাতায়াতের মাধ্যম নেই যা ভারুচকে স্পর্শ করে না। সেজন্য ভারুচ আজ এক প্রকার নবীন প্রজন্মের স্বপ্নের জেলায় পরিণত হয়ে উঠছে। নব যুবক-যুবতীদের আকাঙ্ক্ষার শহরে পরিণত হয়ে উঠছে। এই আকাঙ্ক্ষা প্রতিদিন বিস্তার লাভ করছে। আর মা নর্মদার বুকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি গড়ে তোলার পর থেকে তো আমাদের ভারুচ থেকে শুরু করে রাজপিপলার নাম গোটা ভারতে, গোটা বিশ্বের মানুষ জেনে গেছেন।

আরে ভাই, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি যেতে হলে কোথা দিয়ে যেতে হবে?

জবাব পাবেন - ভারুচ দিয়ে, রাজপিপলা হয়ে যেতে হবে! আর এখন একটি দ্বিতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রও তৈরি হচ্ছে। আমার মনে পড়ে, ভারুচ নর্মদার তীরে হওয়া সত্ত্বেও এখানে পানীয় জলের কত সমস্যা ছিল। একবার কথাটা ভাবুন! মা নর্মদার তীরে থাকা একটি শহর যেখানে পানীয় জলের সমস্যা ছিল। এটা মেনে নেওয়া যায়? তাহলে এই সমস্যা সমাধানের উপায়? সেই উপায় আমরা খুঁজেছি। আমরা সমুদ্রের ওপর দিয়ে বড় ওয়েয়ার বানিয়েছি যাতে সমুদ্রের লবণাক্ত জল উজিয়ে না আসতে পারে আর নর্মদার মিষ্টি জলকে রক্ষা করা যায়, সংরক্ষণ করা যায়। আর নর্মদার সব জল এসে কেউড়িয়াতে জমা হয়। ফলে আর কখনও যেন পানীয় জলের সমস্যা না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার কাজ চলছে। আর আমি ভূপেন্দ্র ভাইয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাই। তিনি এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এটি সম্পূর্ণ হলে এই এলাকার মানুষের কত উপকার হবে তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। সেজন্য বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সঙ্গে দেখা করার যে সৌভাগ্য হয়েছে সেজন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অনেক পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে সেজন্য আমি খুব খুশি। পুরনোদের মনে পড়া খুবই স্বাভাবিক।

এখন আমাদের সরকারের উদ্যোগে সারা দেশের সমুদ্র তটবর্তী এলাকাগুলিতে ‘ব্লু ইকনমি’ বা নীল অর্থনীতি নিয়ে যে কাজ চলছে তাতেও ভারুচ জেলার অনেক কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রের মধ্যে যত সম্পদ আছে, আমাদের ‘সাগর খেরু’ প্রকল্পের মাধ্যমে তা থেকে আমাদের উপকৃত হওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। সকলের শিক্ষা থেকে শুরু করে সকলের উন্নত স্বাস্থ্য, এই এলাকায় শিপিং-এর ক্ষেত্রে উন্নয়ন, কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে উন্নয়ন – এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারুচ জেলা খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই, শুভকামনা জানাই। জয় জয় গর্বী গুজরাট, বন্দে মাতরম!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Enrolment of women in Indian universities grew 26% in 2024: Report

Media Coverage

Enrolment of women in Indian universities grew 26% in 2024: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi to visit Mauritius from March 11-12, 2025
March 08, 2025

On the invitation of the Prime Minister of Mauritius, Dr Navinchandra Ramgoolam, Prime Minister, Shri Narendra Modi will pay a State Visit to Mauritius on March 11-12, 2025, to attend the National Day celebrations of Mauritius on 12th March as the Chief Guest. A contingent of Indian Defence Forces will participate in the celebrations along with a ship from the Indian Navy. Prime Minister last visited Mauritius in 2015.

During the visit, Prime Minister will call on the President of Mauritius, meet the Prime Minister, and hold meetings with senior dignitaries and leaders of political parties in Mauritius. Prime Minister will also interact with the members of the Indian-origin community, and inaugurate the Civil Service College and the Area Health Centre, both built with India’s grant assistance. A number of Memorandums of Understanding (MoUs) will be exchanged during the visit.

India and Mauritius share a close and special relationship rooted in shared historical, cultural and people to people ties. Further, Mauritius forms an important part of India’s Vision SAGAR, i.e., Security and growth for All in the Region.

The visit will reaffirm the strong and enduring bond between India and Mauritius and reinforce the shared commitment of both countries to enhance the bilateral relationship across all sectors.