বনস কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের উদ্বোধন
বানাসকাঁথা’র জেলার দিওদরে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নতুন ডেইরি কমপ্লেক্স এবং আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছে
পালানপুরের বনস ডেইরি প্ল্যান্টে পনির সামগ্রী এবং ছানা তৈরির পাউডার উৎপাদনের জন্য সম্প্রসারিত সুবিধা
গুজরাটের দামাতে তৈরি হয়েছে জৈব সার ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট
খিমানা, রতনপুরা – ভিলদি, রাধনপুর এবং থাওয়ারে ১০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
“গত কয়েক বছরে, বনস ডেইরি স্থানীয় সম্প্রদায়, বিশেষ করে কৃষক ও মহিলাদের ক্ষমতায়ণের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে”
“বানাসকাঁথা যেভাবে কৃষি ক্ষেত্রে ছাপ ফেলেছে তা প্রশংসনীয়। কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, জল সংরক্ষণের উপর নজর দিয়েছে এবং এর ফলাফল সকলের দেখার মতো”
“বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজার বিদ্যালয়, ৪.৫ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১.৫ কোটি শিক্ষার্থীদের শক্তির একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র হয়ে উঠেছে”
“আমি অংশীদারের মতো আপনাদের পাশে থাকব”

নমস্কার!

আপনারা সবাই আনন্দে আছেন তো! এখন আপনাদের কাছে একটু ক্ষমা চেয়ে নিয়ে শুরুতে কিছুটা হিন্দিতে বলবো। বলতে হবে কারণ, এই সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ ছিল যাতে আমি হিন্দিতে বলি, তাহলে তাঁদের সুবিধা হয়। তো আমিও ভাবলাম, পুরোটা না হলেও কিছুটা হলেও তাঁদের আব্দার মেনে নিই।

গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, মৃদুভাষী এবং কর্মঠ জননেতা শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি, সংসদে আমার বরিষ্ঠ সাথী ও গুজরাট প্রদেশ ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ শ্রী সি আর পাটিলজি, গুজরাট রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ভাই জগদীশ পাঞ্চাল, এই মাটির সুপুত্র শ্রী কীর্তি সিং বাঘেলা, শ্রী গজেন্দ্র সিং পরমার, উপস্থিত মাননীয় সাংসদ শ্রী পর্বত ভাই, শ্রী ভরত সিং দাভি, শ্রী দীনেশ ভাই অনাওয়াডিয়া, বনাস ডেয়ারির চেয়ারম্যান, প্রাণশক্তিতে ভরপুর আমার প্রিয় বন্ধু ভাই শঙ্কর চৌধরি, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, আমার ভাই ও বোনেরা!

মা নরেশ্বরী এবং মা অম্বাজির এই পবিত্র মাটিকে আমি শত শত প্রণাম জানাই। আপনাদের সবাইকেও আমার প্রণাম। হয়তো জীবনে প্রথমবার এমন সুযোগ এসেছে যে, একসঙ্গে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ মা ও বোনেরা আজ এখানে আমাকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন, আমাদের সবাইকে আপনারা আশীর্বাদ দিচ্ছেন। যখন আপনারা আমাকে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী ওভরণা বা বলৈয়ার মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিলেন, তখন আপনাদের মনের ভাবকে চেপে রাখতে পারছিলেন না। আপনাদের আশীর্বাদ, মা জগদম্বার ভূমির মা ও বোনেদের প্রত্যেকের আশীর্বাদ আমার জন্য একেকটি অমূল্য আশীর্বাদ, অমূল্য শক্তির উৎস, অমূল্য প্রাণশক্তির কেন্দ্র। আমি বনাসের সমস্ত মা ও বোনেদের সাদর প্রণাম জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

বিগত ১-২ ঘন্টায় আমি এখানে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। ডেয়ারি সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি, পশুপালক বোনেদের সঙ্গে আমার অনেক বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে। এখানে যে নতুন ক্লাস্টার গড়ে উঠেছে, নতুন আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট গড়ে উঠেছে, সেগুলিও ঘুরে দেখার সুযোগ আমি পেয়েছি। এই পুরো সময়ের মধ্যে আমি যা কিছু দেখেছি, যত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যত তথ্য আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি দেখে-শুনে আমি অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছি। সেজন্য আমি বনাস ডেয়ারির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সাথীদের এবং আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভারতের গ্রামের অর্থ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে, মা ও বোনেদের ক্ষমতায়নের ওপর কিভাবে জোর দেওয়া যেতে পারে, কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট বা সমবায় আন্দোলন কিভাবে আত্মনির্ভর ভারতের অভিযানকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে – এই সবকিছু এখানে এলে প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করা যেতে পারে। কয়েক মাস আগে আমার নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র বারাণসীতে বনাস-কাশী ক্লাস্টারের শিলান্যাস করার সুযোগ হয়েছিল।

আমি বনাস ডেয়ারিকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। কারণ, আপনারা কাশীতে আমার লোকসভা এলাকায় গিয়ে সেখানকার কৃষকদের পরিষেবা প্রদান করেছেন, পশুপালকদের পরিষেবা প্রদান করেছেন। পশুপালকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য গুজরাটের মাটি থেকে বনাস ডেয়ারি যে সঙ্কল্প নিয়েছে আর এখন মূর্ত রূপে যে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে – এই সবকিছুর জন্য আমি কাশীর সাংসদ হিসেবে আপনাদের সকলের কাছে ঋণী। আমি আপনাদের সকলের কাছে ঋণী আর সেজন্য বিশেষ রূপে বনাস ডেয়ারিকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। আজ এখানে বনাস ডেয়ারি ক্লাস্টার আয়োজিত উদ্বোধন কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠতে পেরে আমার খুশি অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

ভাই ও বোনেরা,

আজ এখানে যা কিছু উদ্বোধন হচ্ছে, আর যত কিছুর জন্য শিলান্যাস করা হচ্ছে, সে সবকিছুই আমাদের পরম্পরাগত শক্তির ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ নির্মাণের উত্তম উদাহরণ হয়ে উঠবে। বনাস ডেয়ারি ক্লাস্টার চিজ এবং হোয়ে (whey) বা প্রোটিন গুঁড়োর প্ল্যান্ট। এই সবকিছুই তো ডেয়ারি ক্ষেত্রকে সম্প্রসারিত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বনাস ডেয়ারি এটাও প্রমাণ করেছে যে স্থানীয় কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য সম্পদেরও ব্যবহার করা যেতে পারে।

এখন বলুন, আলু এবং দুধের মধ্যে তো কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও সম্পর্ক আছে কী? কোনও মিল আছে কী? কিন্তু বনাস ডেয়ারি এই সম্পর্ক তৈরি করেছে। দুধ, ছাঁচ, দই, পনির, আইসক্রিমের পাশাপাশি আলু টিক্কি, আলু ভেজ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, হৈশ ব্রাউন, বার্গার, প্যাটিস-এর মতো পণ্যও বনাস ডেয়ারির কৃষকরা উৎপাদন করছেন আর তাঁদের পণ্যের চাহিদাও রয়েছে। এটা ভারতের লোকালকে গ্লোবাল করে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় প্রচেষ্টার সপক্ষে একটি খুব ভালো পদক্ষেপ।

বন্ধুগণ,

বনাসকাঁঠার মতো কম বর্ষা হয় এমন জেলার শক্তি হয়ে ওঠা কাঁকরেজ গরু, মেহসানি মোষ আর এখানে উৎপাদিত আলু কিভাবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে, এই মডেল আজ বনাসকাঁঠাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি। বনাস ডেয়ারি তো কৃষকদের এই মাটির অনুকূল উচ্চ ফলনশীল আলুর ভালো বীজও বিতরণ করে আর আলু উৎপাদিত হলে তা খুব ভালো দামে কিনে নেয়। এর ফলে আলু চাষীদের কোটি কোটি টাকা রোজগারের একটি নতুন পথ খুলে গেছে, আর এই সুচিন্তিত মূল্য সংযোজন শুধু আলুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আমি প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্রমাগত ‘সুইট রেভোলিউশন’ বা মিষ্টি বিপ্লবের কথা বলে আসছি। মধু উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেছি। আমার এই আহ্বানও বনাস ডেয়ারি ঐকান্তিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। একথা জেনে আমার খুব ভালো লেগেছে যে বনাসকাঁঠার আরও একটি বড় শক্তি হল, এখানে উৎপাদিত বাদাম এবং সরষে নিয়েও ডেয়ারি খুব ভালো প্রকল্প তৈরি করেছে। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য সরকার যে অভিযান শুরু করেছে, তাকে শক্তিশালী করে তুলতে আপনাদের সংস্থা এখানে তেল উৎপাদনের যন্ত্রও স্থাপন করেছে। এই উদ্যোগ দেশের তিল চাষীদের জন্যও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ।

ভাই ও বোনেরা,

আজ এখানে একটি বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্টেরও উদ্বোধন করা হয়েছে, আর চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের শিলান্যাস হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এ ধরনের অনেক প্ল্যান্ট বনাস ডেয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালু করতে চলেছে। আমি নিশ্চিত, এই উদ্যোগ আমাদের সরকারের ‘আবর্জনা থেকে সম্পদ’ উৎপাদনের অভিযানকে সাহায্য করবে। গোবরধনের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক লক্ষ্য পূরণের কাজ চলছে। একদিকে আমাদের গ্রামে পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে এগুলির মাধ্যমে পশুপালকরাও গোবর বিক্রি করে রোজগার করছেন। তৃতীয়ত, গোবর থেকে বায়ো-সিএনজি এবং বিদ্যুৎও উৎপাদিত হচ্ছে, আর চতুর্থত, এই গোটা প্রক্রিয়া থেকে যে জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে তা কৃষকদের খুব কাজে লাগছে। এই সার ধরিত্রী মা-কে বাঁচানোর জন্য খুবই কাজে লাগছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা যখন বনাস ডেয়ারির মাধ্যমে গোটা দেশে পৌঁছবে, তখন নিশ্চিতভাবেই আমাদের গ্রামের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আমাদের গ্রামগুলি আরও শক্তিশালী হবে, আমাদের বোন ও মেয়েরা আরও ক্ষমতায়িত হয়ে উঠবেন।

বন্ধুগণ,

গুজরাট আজ সাফল্যের যে উচ্চতায় রয়েছে, উন্নয়নের যে উচ্চতায় রয়েছে তা প্রত্যেক গুজরাটবাসীকে গর্বিত করছে। এই সাফল্যের নানা নিদর্শন, নানা অভিজ্ঞতা আমি গতকাল গান্ধীনগরের বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রে প্রত্যক্ষ করেছি ও অনুভব করেছি। গুজরাটের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিষ্টাচারসম্পন্ন করে তোলার জন্য এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র আজ একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জন্য এত বড় প্রযুক্তির ব্যবহার এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র করছে যা বিশ্ববাসীর জন্য একটি অবাক বিস্ময়।

এমনিতে এই সেক্টরের সঙ্গে আমি আগে থেকেই যুক্ত রয়েছি, কিন্তু গুজরাট রাজ্য সরকারের নিমন্ত্রণে গতকাল আমি বিশেষভাবে গান্ধীনগরে এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রটি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের কাজের যে বিস্তার, প্রযুক্তির যে উন্নত ব্যবহার এখানে করা হচ্ছে, তা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র আজ গোটা ভারতকে নতুন দিশা দেখানোর মতো একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

আপনারা ভাবুন, আমার শুধুই এক ঘন্টার জন্য ওখানে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে গিয়ে সমস্ত কিছু দেখে, সেগুলি বুঝতে গিয়ে আমি এতই ডুবে গিয়েছিলাম যে এক ঘন্টার জায়গায় আমি সেখানে দুই-আড়াই ঘন্টা মগ্ন হয়ে দেখছিলাম। যতই দেখছিলাম, ততই আমার আরও দেখার ইচ্ছা বেড়ে যাচ্ছিল। আমি সেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অনেক বিস্তারিত আলাপ-আলোচনাও করেছি। অনেক শিশু ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকেও আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। দক্ষিণ গুজরাট, উত্তর গুজরাট, কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র – বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে কথা বলছিল।

আজ এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়কে যুক্ত করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীদের একটি জীবন্ত প্রাণশক্তির কেন্দ্র, একটি সজীব শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিসিস ইত্যাদি আধুনিক সুবিধায় সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে।

এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র প্রত্যেক বছর ৫০০ কোটি ডেটা সেট-এর বিশ্লেষণ করে। এগুলিতে অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট, প্রত্যেক সেশনের পরে পরীক্ষা, স্কুলের স্বীকৃতি, ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত নানা কর্মসূচি চলতে থাকে। গোটা রাজ্যের স্কুলগুলিতে এক ধরনের টাইম টেবিল, প্রশ্নপত্র, চেকিং – এইসব ক্ষেত্রেও এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। এই কেন্দ্রটির সক্রিয়তার কারণে আজ রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছেলে-মেয়েদের উপস্থিতি ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে এই আধুনিক কেন্দ্রটি  মডেল হয়ে উঠলে গোটা দেশে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং আধিকারিকদেরও বলব যে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রে এসে অবশ্যই এর সমস্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখুন, অধ্যয়ন করুন, বিভিন্ন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকরা অবশ্যই গান্ধীনগরে আসুন। এই ব্যবস্থাকে জানুন, দেখুন, অধ্যয়ন করুন। এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের মতো আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যেন ভারতের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয় সেটা দেখতে হবে, তাহলেই ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

এখন আমার মনে হয়, আপনাদের সঙ্গে আমাদের বনাস ডেয়ারি নিয়ে কিছু কথা বলা উচিৎ। সবার আগে যখন বনাস ডেয়ারির সঙ্গে আমি যুক্ত হয়েছিলাম, এই বনাসের মাটিতে যখন প্রথমবার এসেছিলাম, তখন শ্রী গলবা কাকার উপস্থিতি আমাকে উজ্জীবিত করেছিল, অবলীলায় মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম করতে বাধ্য করেছিল। আজ থেকে ৬০ বছর আগে এক কৃষকের সন্তান গলবা কাকা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন আজ বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এই গলবা কাকা বনাসকাঁঠার বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে এই অঞ্চলকে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন। সকলের প্রচেষ্টায় তাঁর এই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। সেজন্য আমি এখানে এলেই সবার আগে গলবা কাকাকে সাদর প্রণাম জানাই।

তারপর আমি প্রণাম জানাই বনাসকাঁঠার মা ও বোনেদের, যাঁরা এখানে পশুপালনের কাজ করেন। তাঁদের কাজ আমি দেখেছি। আমার বনাসকাঁঠার মা ও বোনেরা বাড়িতে যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে সন্তান প্রতিপালন করেন, তার থেকেও বেশি দরদ দিয়ে তাঁরা নিজেদের পশুগুলিকে লালন-পালন করেন। যখন তাঁরা পশুগুলিকে খাবার যোগাতে পারেন না, জল যোগাতে পারেন না, তখন আমার বনাসকাঁঠার মা ও বোনেরা নিজেরাও জল খেতে দ্বিধাবোধ করেন। কখনও বিয়ের জন্য, কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ি ছেড়ে বাইরে যেতে হলে সমস্ত বনাসের মা ও বোনেরা আত্মীয়-স্বজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার মোহ ত্যাগ করে হলেও পশুদের কখনও একা ছেড়ে যান না। এই ত্যাগ ও তপস্যা আছে বলেই, এই মা ও বোনেদের তপস্যার পরিণামেই আজ বনাস এতটা পল্লবিত ও পুষ্পিত হয়েছে। সেজন্য আমি বনাসকাঁঠার মা ও বোনেদের আমার দ্বিতীয় প্রণাম জানাই আর তাঁদেরকে আন্তরিকভাবে প্রণাম জানাই।

করোনার সময়েও বনাস ডেয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। গলবা কাকার নামে এখানে একটি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে, আর আমার এই বনাস ডেয়ারিই প্রথম আলু নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছে, পশুদের নিয়ে ভেবেছে, দুধ নিয়ে ভেবেছে, গোবর নিয়ে ভেবেছে, মধু নিয়ে ভেবেছে, কারখানাকে প্রাণশক্তির কেন্দ্র করে তুলেছে, আর এখন শিশুদের শিক্ষণ নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে। এক প্রকার বনাস ডেয়ারি বনাসকাঁঠার কো-অপারিটিভ মুভমেন্ট বা সমবায় আন্দোলনকে সমগ্র বনাসকাঁঠার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কেন্দ্র করে তুলেছে। সেজন্য একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যবস্থা থাকতে হবে, আর বিগত ৭-৮ বছরে যেভাবে ডেয়ারি শিল্প বিস্তার লাভ করেছে, তাকে দক্ষভাবে সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধির কারণ হল,  যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনও প্রায়ই এসে হাজির হতাম, আর এখন আপনারা আমাকে যখন দিল্লি পাঠিয়েছেন তখন তো আমি আপনাদের আর ছাড়ব না। আপনাদের সঙ্গে থেকে, আপনাদের সুখে-দুঃখে অংশগ্রহণ করেছি। আজ বনাস ডেয়ারি উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং ওড়িশায় তাদের উপস্থিতি তুলে ধরেছে। সোমনাথের মাটি থেকে জগন্নাথের মাটি পর্যন্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও বনাস ডেয়ারি সেখানকার পশুপালকদের যে পরিষেবা প্রদান করছে তাতে তাঁদের অনেক লাভ হচ্ছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুধ উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে আমাদের ভারত অন্যতম। যে দেশে আজ কোটি কোটি কৃষকদের জীবন-জীবিকা এখন দুধের ওপর নির্ভরশীল। এক বছরে অনেকবার পরিসংখ্যানের গ্রাফ উপরে উঠতে দেখে কিছু মানুষ অবাক হয়েছেন, অনেক বড় বড় অর্থনীতিবিদও আগে এদিকটায় লক্ষ্য দেননি। আমাদের দেশে বছরে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। এটি আমাদের দেশের গ্রামে গ্রামে ডি-সেন্ট্রালাইজড ইকনমিক সিস্টেম বা বিকেন্দ্রায়িত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উদাহরণ। এর মোকাবিলায় গম এবং চালের উৎপাদনও ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের। আজ এই মূল্যের থেকেও বেশি মূল্যের দুধ উৎপাদিত হয়। আজ ডেয়ারি ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি লাভবান হন যাঁরা দু’বিঘা, তিন বিঘা, পাঁচ বিঘা জমির মালিক।

রাজ্যে যখন বৃষ্টির কোনও দেখা নেই, জলের অভাব, তখন আমাদের কৃষক ভাইদের জীবন কঠিন হয়ে ওঠে। সেই সময় পশুপালন করে পরিবারের অন্ন সংস্থান করা অনেক কষ্টকর। এই বনাস ডেয়ারি এ ধরনের ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্পর্কে অনেক বড় চিন্তাভাবনা করেছে, আর ছোট ছোট কৃষকদের নিয়ে এই বড় চিন্তা, এই শিষ্টাচার নিয়ে তারা দিল্লি গিয়েছে। দিল্লিতেও আমি গোটা দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অনেক জবাবদিহিতার কাজ করেছি। আজ বছরে তিনবার দুই-দুই হাজার টাকা করে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করাচ্ছি। পূর্ববর্তী এক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, দিল্লি থেকে এক টাকা বেরোলে সাধারণ মানুষের কাছে ১৫ পয়সা পৌঁছয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একথা বলতে পারেন নি যে দিল্লি থেকে টাকা বেরোলে ১০০ টাকায় ১০০ টাকাই যাঁদের কাছে পৌঁছনো উচিৎ, তাঁদের হাতে পৌঁছচ্ছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। এ ধরনের অনেক কাজ আজ যখন কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাট সরকার মিলেমিশে করছে, তখন গুজরাটের এই কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট এই সবকিছু সঙ্গে নিয়ে করছে। তখন আমি এইসব মুভমেন্টকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। তাদের জয় জয়কার হোক। একটু আগেই ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি অত্যন্ত চিন্তাপ্রসূত একটি কথা বলেছেন, তা হল জৈব চাষ নিয়ে। বনাসকাঁঠায় আরও একটি বিষয় যদি বোঝা যায়, তাহলে বনাসকাঁঠা কখনও কখনও সেই বিষয়টিকেও ছাড়ে না, এটাই আমার অভিজ্ঞতা।

জৈব চাষের ক্ষেত্রে গোড়াতে বেশি পরিশ্রম হয়। আমার মনে আছে, একটা সময় আন্দোলনকারীরা ‘বিজলী ছোড়ো বিজলী ছোড়ো’ বলে বলে ক্লান্ত হয়ে পড়তেন। বনাসের কেউ কেউ মনে করেন যে মোদী কিছু জানতেই পারেন না! আজ আমি বলি, হ্যাঁ! বিদ্যুৎ থেকে বেরিয়ে আসুন! আমার বিরোধিতা যাঁরা করেন, তাঁরা অনেক কথাই বলবেন! কিন্তু বনাসের কৃষকরা যখন বুঝতে পেরেছেন তখন আমার থেকেও দশ কদম এগিয়ে গেছেন, আর জল বাঁচানোর অনেক বড় অভিযান শুরু করেন। বিন্দু বিন্দু জলের মাধ্যমে সেচের পদ্ধতিকে আপন করে নিচ্ছেন, আর আজ বনাসকাঁঠা কৃষির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার কাজ করছে। আজ আমার বনাসকাঁঠার জনগণ এই কাজ করছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মা নর্মদা যখন অবশেষে বনাসকাঁঠার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, তখন থেকে আপনারা এই জলের ঈশ্বরকে প্রসাদ মনে করেন, এই জলকে পরশপাথর মনে করেন। এবার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে বনাস জেলার কৃষকদের প্রতি অনুরোধ যে, এই জেলায় ৭৫টি বড় পুকুর খনন করুন। যাতে বনাসের এই শুকনো মাটিকে আরও আর্দ্র করে তোলা যায়। যে শুকনো মাটিতে তেমন কিছুই উৎপাদিত হত না, সেখানে দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেই সেই জল গড়গড়িয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সেটা যাতে না হয়, সেজন্য এই ব্যবস্থা করা। পুকুর খনন করলে এই জল গিয়ে পুকুরে জমা হবে। যদি এই কাজটা আপনারা করতে পারেন, শুরু করে দেন, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই মাটিও একদিন অমৃতময়ী হয়ে উঠবে। সেজন্য আপনাদের প্রতি আমার প্রত্যাশা যে জুন মাসের আগে, বর্ষা আসার আগে আগামী ২-৩ মাস ধরে জোরদার অভিযান চালান। ২০২৩ সালের ১৫ই আগস্টে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময়ে এই এক বছরে বনাস জেলায় ন্যূনতম ৭৫টি পুকুর খনন যেন সম্পূর্ণ হয়, আর সেই পুকুরগুলি যেন জলে টইটম্বুর হয়ে থাকে। তাহলে আজ জলের কারণে যে ছোট-বড় সমস্যায় আপনারা ভোগেন, তা থেকে আপনারা বেরিয়ে আসতে পারবেন, আর এক্ষেত্রে আমি আপনাদের সঙ্গী হয়ে উঠব। যেমন প্রত্যেক কৃষক আপনাদের একেকজন সঙ্গী, যারা খেতে কাজ করেন, তেমনই আমিও আপনাদের সঙ্গী। আর সেজন্য একজন সঙ্গী রূপে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চাই।

এখন তো আপনারা নডাবেট-কে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করে তুলেছেন। ভারতের সীমান্তবর্তী জেলার উন্নয়ন কিভাবে হয়, ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে কিভাবে উন্নত করা যায়, প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলা যায়, তার উদাহরণ গুজরাট স্থাপন করেছে। কচ্ছ-এর সীমায় রান উৎসব গোটা কচ্ছ-এর সম্পূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলগুলিকে, সেখানকার গ্রামগুলিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে জীবন্ত করে তুলেছে। এখন নডাবেট-এ সীমান্ত দর্শনের কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের এই বনাস ও পাটন জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির জন্যও নতুন সুযোগ আসছে। এই পর্যটন বাড়লে এই গ্রামগুলিরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। দূরদুরান্তের গ্রামগুলিতেও নানা রকম কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। উন্নয়নের জন্য যত পথ হতে পারে, প্রকৃতির কোলে থেকে কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতিতে কিভাবে পরিবর্তন আনা যেতে পারে, এটি তার গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এটি আপনাদের সামনে রয়েছে। যখন আমি বনাসে গুজরাটের নাগরিকদের বা গোটা দেশের নাগরিকদেরকে এই অমূল্য রত্ন অর্পণ করতে চাইছি। এই সুযোগকে বনাস ডেয়ারি পছন্দ করেছে, গ্রহণ করেছে, আর সেজন্য আমিও বনাস ডেয়ারির কাছে কৃতজ্ঞ।

আপনারা সবাই আমার সঙ্গে দু’হাত ওপরে তুলে জোরে জোরে বলুন, আপনাদের আওয়াজ খুব উঁচু হওয়া উচিৎ।

ভারতমাতা কী, জয়!

ভারতমাতা কী, জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।