Quoteবনস কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের উদ্বোধন
Quoteবানাসকাঁথা’র জেলার দিওদরে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নতুন ডেইরি কমপ্লেক্স এবং আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছে
Quoteপালানপুরের বনস ডেইরি প্ল্যান্টে পনির সামগ্রী এবং ছানা তৈরির পাউডার উৎপাদনের জন্য সম্প্রসারিত সুবিধা
Quoteগুজরাটের দামাতে তৈরি হয়েছে জৈব সার ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট
Quoteখিমানা, রতনপুরা – ভিলদি, রাধনপুর এবং থাওয়ারে ১০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
Quote“গত কয়েক বছরে, বনস ডেইরি স্থানীয় সম্প্রদায়, বিশেষ করে কৃষক ও মহিলাদের ক্ষমতায়ণের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে”
Quote“বানাসকাঁথা যেভাবে কৃষি ক্ষেত্রে ছাপ ফেলেছে তা প্রশংসনীয়। কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, জল সংরক্ষণের উপর নজর দিয়েছে এবং এর ফলাফল সকলের দেখার মতো”
Quote“বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজার বিদ্যালয়, ৪.৫ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১.৫ কোটি শিক্ষার্থীদের শক্তির একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র হয়ে উঠেছে”
Quote“আমি অংশীদারের মতো আপনাদের পাশে থাকব”

নমস্কার!

আপনারা সবাই আনন্দে আছেন তো! এখন আপনাদের কাছে একটু ক্ষমা চেয়ে নিয়ে শুরুতে কিছুটা হিন্দিতে বলবো। বলতে হবে কারণ, এই সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ ছিল যাতে আমি হিন্দিতে বলি, তাহলে তাঁদের সুবিধা হয়। তো আমিও ভাবলাম, পুরোটা না হলেও কিছুটা হলেও তাঁদের আব্দার মেনে নিই।

গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, মৃদুভাষী এবং কর্মঠ জননেতা শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি, সংসদে আমার বরিষ্ঠ সাথী ও গুজরাট প্রদেশ ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ শ্রী সি আর পাটিলজি, গুজরাট রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ভাই জগদীশ পাঞ্চাল, এই মাটির সুপুত্র শ্রী কীর্তি সিং বাঘেলা, শ্রী গজেন্দ্র সিং পরমার, উপস্থিত মাননীয় সাংসদ শ্রী পর্বত ভাই, শ্রী ভরত সিং দাভি, শ্রী দীনেশ ভাই অনাওয়াডিয়া, বনাস ডেয়ারির চেয়ারম্যান, প্রাণশক্তিতে ভরপুর আমার প্রিয় বন্ধু ভাই শঙ্কর চৌধরি, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, আমার ভাই ও বোনেরা!

মা নরেশ্বরী এবং মা অম্বাজির এই পবিত্র মাটিকে আমি শত শত প্রণাম জানাই। আপনাদের সবাইকেও আমার প্রণাম। হয়তো জীবনে প্রথমবার এমন সুযোগ এসেছে যে, একসঙ্গে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ মা ও বোনেরা আজ এখানে আমাকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন, আমাদের সবাইকে আপনারা আশীর্বাদ দিচ্ছেন। যখন আপনারা আমাকে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী ওভরণা বা বলৈয়ার মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিলেন, তখন আপনাদের মনের ভাবকে চেপে রাখতে পারছিলেন না। আপনাদের আশীর্বাদ, মা জগদম্বার ভূমির মা ও বোনেদের প্রত্যেকের আশীর্বাদ আমার জন্য একেকটি অমূল্য আশীর্বাদ, অমূল্য শক্তির উৎস, অমূল্য প্রাণশক্তির কেন্দ্র। আমি বনাসের সমস্ত মা ও বোনেদের সাদর প্রণাম জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

বিগত ১-২ ঘন্টায় আমি এখানে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। ডেয়ারি সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি, পশুপালক বোনেদের সঙ্গে আমার অনেক বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে। এখানে যে নতুন ক্লাস্টার গড়ে উঠেছে, নতুন আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট গড়ে উঠেছে, সেগুলিও ঘুরে দেখার সুযোগ আমি পেয়েছি। এই পুরো সময়ের মধ্যে আমি যা কিছু দেখেছি, যত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যত তথ্য আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি দেখে-শুনে আমি অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছি। সেজন্য আমি বনাস ডেয়ারির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সাথীদের এবং আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভারতের গ্রামের অর্থ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে, মা ও বোনেদের ক্ষমতায়নের ওপর কিভাবে জোর দেওয়া যেতে পারে, কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট বা সমবায় আন্দোলন কিভাবে আত্মনির্ভর ভারতের অভিযানকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে – এই সবকিছু এখানে এলে প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করা যেতে পারে। কয়েক মাস আগে আমার নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র বারাণসীতে বনাস-কাশী ক্লাস্টারের শিলান্যাস করার সুযোগ হয়েছিল।

আমি বনাস ডেয়ারিকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। কারণ, আপনারা কাশীতে আমার লোকসভা এলাকায় গিয়ে সেখানকার কৃষকদের পরিষেবা প্রদান করেছেন, পশুপালকদের পরিষেবা প্রদান করেছেন। পশুপালকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য গুজরাটের মাটি থেকে বনাস ডেয়ারি যে সঙ্কল্প নিয়েছে আর এখন মূর্ত রূপে যে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে – এই সবকিছুর জন্য আমি কাশীর সাংসদ হিসেবে আপনাদের সকলের কাছে ঋণী। আমি আপনাদের সকলের কাছে ঋণী আর সেজন্য বিশেষ রূপে বনাস ডেয়ারিকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। আজ এখানে বনাস ডেয়ারি ক্লাস্টার আয়োজিত উদ্বোধন কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠতে পেরে আমার খুশি অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

ভাই ও বোনেরা,

আজ এখানে যা কিছু উদ্বোধন হচ্ছে, আর যত কিছুর জন্য শিলান্যাস করা হচ্ছে, সে সবকিছুই আমাদের পরম্পরাগত শক্তির ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ নির্মাণের উত্তম উদাহরণ হয়ে উঠবে। বনাস ডেয়ারি ক্লাস্টার চিজ এবং হোয়ে (whey) বা প্রোটিন গুঁড়োর প্ল্যান্ট। এই সবকিছুই তো ডেয়ারি ক্ষেত্রকে সম্প্রসারিত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বনাস ডেয়ারি এটাও প্রমাণ করেছে যে স্থানীয় কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য সম্পদেরও ব্যবহার করা যেতে পারে।

এখন বলুন, আলু এবং দুধের মধ্যে তো কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও সম্পর্ক আছে কী? কোনও মিল আছে কী? কিন্তু বনাস ডেয়ারি এই সম্পর্ক তৈরি করেছে। দুধ, ছাঁচ, দই, পনির, আইসক্রিমের পাশাপাশি আলু টিক্কি, আলু ভেজ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, হৈশ ব্রাউন, বার্গার, প্যাটিস-এর মতো পণ্যও বনাস ডেয়ারির কৃষকরা উৎপাদন করছেন আর তাঁদের পণ্যের চাহিদাও রয়েছে। এটা ভারতের লোকালকে গ্লোবাল করে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় প্রচেষ্টার সপক্ষে একটি খুব ভালো পদক্ষেপ।

|

বন্ধুগণ,

বনাসকাঁঠার মতো কম বর্ষা হয় এমন জেলার শক্তি হয়ে ওঠা কাঁকরেজ গরু, মেহসানি মোষ আর এখানে উৎপাদিত আলু কিভাবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে, এই মডেল আজ বনাসকাঁঠাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি। বনাস ডেয়ারি তো কৃষকদের এই মাটির অনুকূল উচ্চ ফলনশীল আলুর ভালো বীজও বিতরণ করে আর আলু উৎপাদিত হলে তা খুব ভালো দামে কিনে নেয়। এর ফলে আলু চাষীদের কোটি কোটি টাকা রোজগারের একটি নতুন পথ খুলে গেছে, আর এই সুচিন্তিত মূল্য সংযোজন শুধু আলুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আমি প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্রমাগত ‘সুইট রেভোলিউশন’ বা মিষ্টি বিপ্লবের কথা বলে আসছি। মধু উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেছি। আমার এই আহ্বানও বনাস ডেয়ারি ঐকান্তিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। একথা জেনে আমার খুব ভালো লেগেছে যে বনাসকাঁঠার আরও একটি বড় শক্তি হল, এখানে উৎপাদিত বাদাম এবং সরষে নিয়েও ডেয়ারি খুব ভালো প্রকল্প তৈরি করেছে। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য সরকার যে অভিযান শুরু করেছে, তাকে শক্তিশালী করে তুলতে আপনাদের সংস্থা এখানে তেল উৎপাদনের যন্ত্রও স্থাপন করেছে। এই উদ্যোগ দেশের তিল চাষীদের জন্যও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ।

ভাই ও বোনেরা,

আজ এখানে একটি বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্টেরও উদ্বোধন করা হয়েছে, আর চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের শিলান্যাস হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এ ধরনের অনেক প্ল্যান্ট বনাস ডেয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালু করতে চলেছে। আমি নিশ্চিত, এই উদ্যোগ আমাদের সরকারের ‘আবর্জনা থেকে সম্পদ’ উৎপাদনের অভিযানকে সাহায্য করবে। গোবরধনের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক লক্ষ্য পূরণের কাজ চলছে। একদিকে আমাদের গ্রামে পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে এগুলির মাধ্যমে পশুপালকরাও গোবর বিক্রি করে রোজগার করছেন। তৃতীয়ত, গোবর থেকে বায়ো-সিএনজি এবং বিদ্যুৎও উৎপাদিত হচ্ছে, আর চতুর্থত, এই গোটা প্রক্রিয়া থেকে যে জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে তা কৃষকদের খুব কাজে লাগছে। এই সার ধরিত্রী মা-কে বাঁচানোর জন্য খুবই কাজে লাগছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা যখন বনাস ডেয়ারির মাধ্যমে গোটা দেশে পৌঁছবে, তখন নিশ্চিতভাবেই আমাদের গ্রামের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আমাদের গ্রামগুলি আরও শক্তিশালী হবে, আমাদের বোন ও মেয়েরা আরও ক্ষমতায়িত হয়ে উঠবেন।

বন্ধুগণ,

গুজরাট আজ সাফল্যের যে উচ্চতায় রয়েছে, উন্নয়নের যে উচ্চতায় রয়েছে তা প্রত্যেক গুজরাটবাসীকে গর্বিত করছে। এই সাফল্যের নানা নিদর্শন, নানা অভিজ্ঞতা আমি গতকাল গান্ধীনগরের বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রে প্রত্যক্ষ করেছি ও অনুভব করেছি। গুজরাটের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিষ্টাচারসম্পন্ন করে তোলার জন্য এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র আজ একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জন্য এত বড় প্রযুক্তির ব্যবহার এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র করছে যা বিশ্ববাসীর জন্য একটি অবাক বিস্ময়।

এমনিতে এই সেক্টরের সঙ্গে আমি আগে থেকেই যুক্ত রয়েছি, কিন্তু গুজরাট রাজ্য সরকারের নিমন্ত্রণে গতকাল আমি বিশেষভাবে গান্ধীনগরে এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রটি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের কাজের যে বিস্তার, প্রযুক্তির যে উন্নত ব্যবহার এখানে করা হচ্ছে, তা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র আজ গোটা ভারতকে নতুন দিশা দেখানোর মতো একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

আপনারা ভাবুন, আমার শুধুই এক ঘন্টার জন্য ওখানে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে গিয়ে সমস্ত কিছু দেখে, সেগুলি বুঝতে গিয়ে আমি এতই ডুবে গিয়েছিলাম যে এক ঘন্টার জায়গায় আমি সেখানে দুই-আড়াই ঘন্টা মগ্ন হয়ে দেখছিলাম। যতই দেখছিলাম, ততই আমার আরও দেখার ইচ্ছা বেড়ে যাচ্ছিল। আমি সেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অনেক বিস্তারিত আলাপ-আলোচনাও করেছি। অনেক শিশু ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকেও আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। দক্ষিণ গুজরাট, উত্তর গুজরাট, কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র – বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে কথা বলছিল।

আজ এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র গুজরাটের ৫৪ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়কে যুক্ত করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীদের একটি জীবন্ত প্রাণশক্তির কেন্দ্র, একটি সজীব শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিসিস ইত্যাদি আধুনিক সুবিধায় সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে।

এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র প্রত্যেক বছর ৫০০ কোটি ডেটা সেট-এর বিশ্লেষণ করে। এগুলিতে অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট, প্রত্যেক সেশনের পরে পরীক্ষা, স্কুলের স্বীকৃতি, ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত নানা কর্মসূচি চলতে থাকে। গোটা রাজ্যের স্কুলগুলিতে এক ধরনের টাইম টেবিল, প্রশ্নপত্র, চেকিং – এইসব ক্ষেত্রেও এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। এই কেন্দ্রটির সক্রিয়তার কারণে আজ রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছেলে-মেয়েদের উপস্থিতি ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে এই আধুনিক কেন্দ্রটি  মডেল হয়ে উঠলে গোটা দেশে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এবং আধিকারিকদেরও বলব যে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রে এসে অবশ্যই এর সমস্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখুন, অধ্যয়ন করুন, বিভিন্ন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকরা অবশ্যই গান্ধীনগরে আসুন। এই ব্যবস্থাকে জানুন, দেখুন, অধ্যয়ন করুন। এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের মতো আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যেন ভারতের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয় সেটা দেখতে হবে, তাহলেই ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

এখন আমার মনে হয়, আপনাদের সঙ্গে আমাদের বনাস ডেয়ারি নিয়ে কিছু কথা বলা উচিৎ। সবার আগে যখন বনাস ডেয়ারির সঙ্গে আমি যুক্ত হয়েছিলাম, এই বনাসের মাটিতে যখন প্রথমবার এসেছিলাম, তখন শ্রী গলবা কাকার উপস্থিতি আমাকে উজ্জীবিত করেছিল, অবলীলায় মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম করতে বাধ্য করেছিল। আজ থেকে ৬০ বছর আগে এক কৃষকের সন্তান গলবা কাকা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন আজ বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এই গলবা কাকা বনাসকাঁঠার বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে এই অঞ্চলকে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন। সকলের প্রচেষ্টায় তাঁর এই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। সেজন্য আমি এখানে এলেই সবার আগে গলবা কাকাকে সাদর প্রণাম জানাই।

তারপর আমি প্রণাম জানাই বনাসকাঁঠার মা ও বোনেদের, যাঁরা এখানে পশুপালনের কাজ করেন। তাঁদের কাজ আমি দেখেছি। আমার বনাসকাঁঠার মা ও বোনেরা বাড়িতে যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে সন্তান প্রতিপালন করেন, তার থেকেও বেশি দরদ দিয়ে তাঁরা নিজেদের পশুগুলিকে লালন-পালন করেন। যখন তাঁরা পশুগুলিকে খাবার যোগাতে পারেন না, জল যোগাতে পারেন না, তখন আমার বনাসকাঁঠার মা ও বোনেরা নিজেরাও জল খেতে দ্বিধাবোধ করেন। কখনও বিয়ের জন্য, কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের জন্য বাড়ি ছেড়ে বাইরে যেতে হলে সমস্ত বনাসের মা ও বোনেরা আত্মীয়-স্বজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার মোহ ত্যাগ করে হলেও পশুদের কখনও একা ছেড়ে যান না। এই ত্যাগ ও তপস্যা আছে বলেই, এই মা ও বোনেদের তপস্যার পরিণামেই আজ বনাস এতটা পল্লবিত ও পুষ্পিত হয়েছে। সেজন্য আমি বনাসকাঁঠার মা ও বোনেদের আমার দ্বিতীয় প্রণাম জানাই আর তাঁদেরকে আন্তরিকভাবে প্রণাম জানাই।

|

করোনার সময়েও বনাস ডেয়ারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। গলবা কাকার নামে এখানে একটি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে, আর আমার এই বনাস ডেয়ারিই প্রথম আলু নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছে, পশুদের নিয়ে ভেবেছে, দুধ নিয়ে ভেবেছে, গোবর নিয়ে ভেবেছে, মধু নিয়ে ভেবেছে, কারখানাকে প্রাণশক্তির কেন্দ্র করে তুলেছে, আর এখন শিশুদের শিক্ষণ নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে। এক প্রকার বনাস ডেয়ারি বনাসকাঁঠার কো-অপারিটিভ মুভমেন্ট বা সমবায় আন্দোলনকে সমগ্র বনাসকাঁঠার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কেন্দ্র করে তুলেছে। সেজন্য একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যবস্থা থাকতে হবে, আর বিগত ৭-৮ বছরে যেভাবে ডেয়ারি শিল্প বিস্তার লাভ করেছে, তাকে দক্ষভাবে সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধির কারণ হল,  যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনও প্রায়ই এসে হাজির হতাম, আর এখন আপনারা আমাকে যখন দিল্লি পাঠিয়েছেন তখন তো আমি আপনাদের আর ছাড়ব না। আপনাদের সঙ্গে থেকে, আপনাদের সুখে-দুঃখে অংশগ্রহণ করেছি। আজ বনাস ডেয়ারি উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং ওড়িশায় তাদের উপস্থিতি তুলে ধরেছে। সোমনাথের মাটি থেকে জগন্নাথের মাটি পর্যন্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও বনাস ডেয়ারি সেখানকার পশুপালকদের যে পরিষেবা প্রদান করছে তাতে তাঁদের অনেক লাভ হচ্ছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুধ উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে আমাদের ভারত অন্যতম। যে দেশে আজ কোটি কোটি কৃষকদের জীবন-জীবিকা এখন দুধের ওপর নির্ভরশীল। এক বছরে অনেকবার পরিসংখ্যানের গ্রাফ উপরে উঠতে দেখে কিছু মানুষ অবাক হয়েছেন, অনেক বড় বড় অর্থনীতিবিদও আগে এদিকটায় লক্ষ্য দেননি। আমাদের দেশে বছরে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। এটি আমাদের দেশের গ্রামে গ্রামে ডি-সেন্ট্রালাইজড ইকনমিক সিস্টেম বা বিকেন্দ্রায়িত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উদাহরণ। এর মোকাবিলায় গম এবং চালের উৎপাদনও ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের। আজ এই মূল্যের থেকেও বেশি মূল্যের দুধ উৎপাদিত হয়। আজ ডেয়ারি ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি লাভবান হন যাঁরা দু’বিঘা, তিন বিঘা, পাঁচ বিঘা জমির মালিক।

রাজ্যে যখন বৃষ্টির কোনও দেখা নেই, জলের অভাব, তখন আমাদের কৃষক ভাইদের জীবন কঠিন হয়ে ওঠে। সেই সময় পশুপালন করে পরিবারের অন্ন সংস্থান করা অনেক কষ্টকর। এই বনাস ডেয়ারি এ ধরনের ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্পর্কে অনেক বড় চিন্তাভাবনা করেছে, আর ছোট ছোট কৃষকদের নিয়ে এই বড় চিন্তা, এই শিষ্টাচার নিয়ে তারা দিল্লি গিয়েছে। দিল্লিতেও আমি গোটা দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য অনেক জবাবদিহিতার কাজ করেছি। আজ বছরে তিনবার দুই-দুই হাজার টাকা করে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করাচ্ছি। পূর্ববর্তী এক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, দিল্লি থেকে এক টাকা বেরোলে সাধারণ মানুষের কাছে ১৫ পয়সা পৌঁছয়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একথা বলতে পারেন নি যে দিল্লি থেকে টাকা বেরোলে ১০০ টাকায় ১০০ টাকাই যাঁদের কাছে পৌঁছনো উচিৎ, তাঁদের হাতে পৌঁছচ্ছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। এ ধরনের অনেক কাজ আজ যখন কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাট সরকার মিলেমিশে করছে, তখন গুজরাটের এই কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট এই সবকিছু সঙ্গে নিয়ে করছে। তখন আমি এইসব মুভমেন্টকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। তাদের জয় জয়কার হোক। একটু আগেই ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি অত্যন্ত চিন্তাপ্রসূত একটি কথা বলেছেন, তা হল জৈব চাষ নিয়ে। বনাসকাঁঠায় আরও একটি বিষয় যদি বোঝা যায়, তাহলে বনাসকাঁঠা কখনও কখনও সেই বিষয়টিকেও ছাড়ে না, এটাই আমার অভিজ্ঞতা।

জৈব চাষের ক্ষেত্রে গোড়াতে বেশি পরিশ্রম হয়। আমার মনে আছে, একটা সময় আন্দোলনকারীরা ‘বিজলী ছোড়ো বিজলী ছোড়ো’ বলে বলে ক্লান্ত হয়ে পড়তেন। বনাসের কেউ কেউ মনে করেন যে মোদী কিছু জানতেই পারেন না! আজ আমি বলি, হ্যাঁ! বিদ্যুৎ থেকে বেরিয়ে আসুন! আমার বিরোধিতা যাঁরা করেন, তাঁরা অনেক কথাই বলবেন! কিন্তু বনাসের কৃষকরা যখন বুঝতে পেরেছেন তখন আমার থেকেও দশ কদম এগিয়ে গেছেন, আর জল বাঁচানোর অনেক বড় অভিযান শুরু করেন। বিন্দু বিন্দু জলের মাধ্যমে সেচের পদ্ধতিকে আপন করে নিচ্ছেন, আর আজ বনাসকাঁঠা কৃষির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার কাজ করছে। আজ আমার বনাসকাঁঠার জনগণ এই কাজ করছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মা নর্মদা যখন অবশেষে বনাসকাঁঠার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, তখন থেকে আপনারা এই জলের ঈশ্বরকে প্রসাদ মনে করেন, এই জলকে পরশপাথর মনে করেন। এবার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে বনাস জেলার কৃষকদের প্রতি অনুরোধ যে, এই জেলায় ৭৫টি বড় পুকুর খনন করুন। যাতে বনাসের এই শুকনো মাটিকে আরও আর্দ্র করে তোলা যায়। যে শুকনো মাটিতে তেমন কিছুই উৎপাদিত হত না, সেখানে দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেই সেই জল গড়গড়িয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সেটা যাতে না হয়, সেজন্য এই ব্যবস্থা করা। পুকুর খনন করলে এই জল গিয়ে পুকুরে জমা হবে। যদি এই কাজটা আপনারা করতে পারেন, শুরু করে দেন, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই মাটিও একদিন অমৃতময়ী হয়ে উঠবে। সেজন্য আপনাদের প্রতি আমার প্রত্যাশা যে জুন মাসের আগে, বর্ষা আসার আগে আগামী ২-৩ মাস ধরে জোরদার অভিযান চালান। ২০২৩ সালের ১৫ই আগস্টে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময়ে এই এক বছরে বনাস জেলায় ন্যূনতম ৭৫টি পুকুর খনন যেন সম্পূর্ণ হয়, আর সেই পুকুরগুলি যেন জলে টইটম্বুর হয়ে থাকে। তাহলে আজ জলের কারণে যে ছোট-বড় সমস্যায় আপনারা ভোগেন, তা থেকে আপনারা বেরিয়ে আসতে পারবেন, আর এক্ষেত্রে আমি আপনাদের সঙ্গী হয়ে উঠব। যেমন প্রত্যেক কৃষক আপনাদের একেকজন সঙ্গী, যারা খেতে কাজ করেন, তেমনই আমিও আপনাদের সঙ্গী। আর সেজন্য একজন সঙ্গী রূপে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চাই।

এখন তো আপনারা নডাবেট-কে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করে তুলেছেন। ভারতের সীমান্তবর্তী জেলার উন্নয়ন কিভাবে হয়, ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে কিভাবে উন্নত করা যায়, প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলা যায়, তার উদাহরণ গুজরাট স্থাপন করেছে। কচ্ছ-এর সীমায় রান উৎসব গোটা কচ্ছ-এর সম্পূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলগুলিকে, সেখানকার গ্রামগুলিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে জীবন্ত করে তুলেছে। এখন নডাবেট-এ সীমান্ত দর্শনের কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের এই বনাস ও পাটন জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির জন্যও নতুন সুযোগ আসছে। এই পর্যটন বাড়লে এই গ্রামগুলিরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। দূরদুরান্তের গ্রামগুলিতেও নানা রকম কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। উন্নয়নের জন্য যত পথ হতে পারে, প্রকৃতির কোলে থেকে কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতিতে কিভাবে পরিবর্তন আনা যেতে পারে, এটি তার গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এটি আপনাদের সামনে রয়েছে। যখন আমি বনাসে গুজরাটের নাগরিকদের বা গোটা দেশের নাগরিকদেরকে এই অমূল্য রত্ন অর্পণ করতে চাইছি। এই সুযোগকে বনাস ডেয়ারি পছন্দ করেছে, গ্রহণ করেছে, আর সেজন্য আমিও বনাস ডেয়ারির কাছে কৃতজ্ঞ।

আপনারা সবাই আমার সঙ্গে দু’হাত ওপরে তুলে জোরে জোরে বলুন, আপনাদের আওয়াজ খুব উঁচু হওয়া উচিৎ।

ভারতমাতা কী, জয়!

ভারতমাতা কী, জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

Media Coverage

"Huge opportunity": Japan delegation meets PM Modi, expressing their eagerness to invest in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।