মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক বিষয়ে তথ্য ভাগ করে নিতে এসেছি।
এই বিষয়টি আমার মতোই আমাদের প্রিয় ভাই-বোনেদের কাছেও হৃদয়স্পর্শী। আমি এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে সম্মানিত বোধ করছি।
এই বিষয়টি রাম জন্মভূমি এবং অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের জন্মস্হানে চমৎকার মন্দির নির্মাণ সম্পর্কিত।
মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,
আমি গত বছর ৯ই নভেম্বর গুরুনানক দেবজির ৫৫০তম প্রকাশ পর্ব উপলক্ষ্যে পাঞ্জাবে কর্তারপুরসাহিব করিডর জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ অনুষ্ঠানে ছিলাম। এটা ছিল সেই পবিত্র স্হান যেখানে আমি রাম জন্মভূমির বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ঐতিহাসিক রায় সম্পর্কে জানতে পারি।
এই রায়ে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল রাম জন্মভূমির ভিতর এবং বাইরের বিতর্কিত জমি ভগবান শ্রী রাম লালা বিরাজমানের।
মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে এও জানিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার উভয়ে পরামর্শ-আলোচনা করে সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করবে।
মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,
আজ আমি এই মহান কক্ষে এবং দেশবাসীকে একথা জানাতে পেরে খুব খুশি হচ্ছি যে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্মরণে রেখে এদিন সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের সরকার ভগবান শ্রী রামের জন্মভূমিতে সুন্দর মন্দির নির্মাণ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকল্প এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় প্রস্তুত করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ নামে একটি স্বশাসিত ট্রাস্ট গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
এই ট্রাস্ট সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের জন্মভূমতিতে সুন্দর এবং পবিত্র রাম মন্দির নির্মাণ করতে পারলে এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে নিজের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।
মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,
মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আলাপ-আলোচনার পর সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,
আমরা সকলেই ভগবান শ্রী রামের মহান পবিত্রতা সম্পর্কে, অযোধ্যার ইতিহাস বিষয়ে এবং অযোধ্যা ধামের পবিত্রতা সম্পর্কে অবগত। এই সবকিছুই ভারতের নৈতিকতা, আদর্শ এবং আত্মার সঙ্গে সংপৃক্ত।
অযোধ্যায় শ্রী রামের সুন্দর মন্দির নির্মাণের সময় বর্তমান এবং আগামী দিনে রামলালা দর্শনে অসংখ্য পুণ্যার্থী ও তাদের আবেগের কথা স্মরণে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আমাদের সরকার অযোধ্যা রায়ে অধিগৃহীত সমগ্র জমির মধ্যে প্রায় ৬৭.৭০৩ একর জমি নবগঠিত ট্রাস্ট ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’কে প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,
গত বছর ৯ই নভেম্বর রাম জন্মভূমির ওপর রায় ঘোষনার পর দেশবাসী আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্হায় পূর্ণ আস্হা রেখে পরিণতমনস্কতার পরিচয় দিয়েছেন।
আজ আমি এই কক্ষে আমাদের প্রিয় নাগরিকদের পরিপূর্ণ স্বভাবের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ’বসুধৈব কুটুম্বকম’ এবং ‘সর্বে ভবন্তু সুখাইন’-এই দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এবং এখান থেকেই আমরা এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাই।
ভারতে হিন্দু, মুসলিম শিখ, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, পার্শি অথবা জৈন যে ধর্মেই বিশ্বাসী হোক না কেন সকলেই একটি পরিবার।
আমাদের সরকার সকলকে সঙ্গে নিয়ে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস’ এই মন্ত্রে এগিয়ে যেতে চাই, যাতে দেশের প্রত্যেকটি পরিবারের উন্নতি, সুখ-সমৃদ্ধি ঘটে এবং দেশ এগিয়ে যেতে পারে।
এই সন্ধিক্ষণের মুহুর্তে ঐতিহাসিক কক্ষে আমি সকলকে অযোধ্যায় শ্রী রাম ধাম এবং চমৎকৃত রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়ে এক কন্ঠে সমর্থনের জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।