সারা দেশে সরকারি, রাজনৈতিক এবং সামাজিক কাজকর্মে যুক্ত সকল মানুষ “বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা”-কে সফল করতে তাঁদের সময় ব্যয় করছেন। সেইজন্য সংসদের একজন সদস্য হিসেবে আমারও দায়িত্ব এই কর্মসূচির জন্য সময় দেওয়া। তাই আজ আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র একজন সাংসদ এবং আপনাদের ‘সেবক’হিসেবে। আপনাদের মতোই এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্রস্তুত।
আমাদের দেশে সরকার আসে যায়, অনেক কর্মসূচি তৈরি হয়, আলোচনা হয় এবং বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল, কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই সরকারি পরিকল্পনা উদ্দিষ্ট সুবিধাপ্রাপকদের কাছে পৌঁছনো নিশ্চিত করা। যদি “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা” হয় তাহলে যারা ঝুপড়ি এবং বস্তিতে বাস করছে, তাদের বাড়ি পাওয়া উচিত। সেইজন্য সরকারি অফিসে তাকে বার বার দৌড়নোর প্রয়োজন নেই। সরকারের উচিত তার কাছে পৌঁছনো। যেহেতু আপনারা আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন, প্রায় ৪ কোটি পরিবার তাদের “পাকা” বাড়ি পেয়েছেন। তবে, এমনও দেখেছি যে, কেউ কেউ সরকারি সুবিধা পাননি, সেইজন্য আমি সারা দেশ ঘোরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারি কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষের অভিজ্ঞতা শুনতে, উদ্দিষ্ট সুবিধা তাঁরা পেয়েছেন কিনা সেটা বুঝতে এবং কর্মসূচিগুলি কোনোরকম উৎকোচ ছাড়াই তাঁদের কাছে পৌঁছনো নিশ্চিত করতে। আমরা প্রকৃত ছবিটা পাবো যদি আমরা আবার তাঁদের কাছে যাই। সেইজন্য এই ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ একরকম আমার নিজের পরীক্ষা। আমি আপনাদের কাছ থেকে সারা দেশের মানুষের কাছ থেকে শুনতে চাই যে, যা আমি ভেবেছি এবং যে কাজ আমরা করে চলেছি, তা বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা এবং যাদের জন্য করা তাঁদের কাছে তা পৌঁছচ্ছে কিনা।
যে কাজ হওয়ার তা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা জরুরি। আমি সম্প্রতি কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছি, যাঁরা আয়ুষ্মান কার্ড ব্যবহার করে গুরুতর অসুখের জন্য চিকিৎসা পেয়েছেন। একজনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছিল, কার্ড ব্যবহার করে তিনি প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার করাতে পেরেছেন এবং এখন তিনি সেরে উঠছেন। যখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন; “আমি কি করে এই চিকিৎসা করতে পারতাম? এখন আয়ুষ্মান কার্ড থাকায় আমি অস্ত্রোপচার করাতে পেরেছি। এখন আমি একেবারে ভালো আছি”। এই ধরনের কাহিনী আমার কাছে আশীর্বাদ।
আমলারা যারা ভালো কর্মসূচি তৈরি করেন, দ্রুত কাগজপত্রের কাজ সারেন এবং এমনকি অর্থ বরাদ্দ করেন, তাঁরাও সন্তুষ্ট যে, ৫০ বা একশো মানুষ যাঁদের এই অর্থ পাওয়ার কথা, তাঁরা এই অর্থ পেয়েছেন। এক হাজার গ্রামের জন্য বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কর্ম সন্তুষ্টি পূর্ণ হয়, যখন তাঁরা শোনেন যে, তাঁদের কাজে কারো কারো জীবনে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যখন তাঁরা তাঁদের প্রয়াসের ফল দেখতে পান, তখন তাঁদের উৎসাহ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাঁরা সন্তুষ্টি অনুভব করেন। সেইজন্য, ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’-র ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সরকারি আধিকারিকদের ওপর। এটা তাঁদের কাজ সম্পর্কে আরও উৎসাহিত করেছে, যখন তাঁরা সাক্ষী থাকছেন সুবিধা পৌঁছচ্ছে মানুষের কাছে। আধিকারিকরা এখন তাঁদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট, বলছেন, “একটা ভালো পরিকল্পনা করেছিলাম। আমি একটা ফাইল তৈরি করেছিলাম এবং উদ্দিষ্ট সুবিধাপ্রাপকরা সুবিধা পেয়েছেন।”।যখন তাঁরা দেখেন যে,জীবনজ্যোতি কর্মসূচিতে একজন দরিদ্র বিধবার কাছে অর্থ পৌঁছেছে, তাঁর সংকটের সময়ে যা একটা বড় সহায়ক হয়েছে, তখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে, তাঁরা ভালো কাজ করেছেন। যখন একজন সরকারি আধিকারিক এই ধরনের কথা শোনেন, তখন তিনি সন্তোষবোধ করেন।
কেই কেউ আছেন, যাঁরা ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’-র শক্তি এবং প্রভাব বোঝেন। আমি যখন আমলাতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষের মুখে এই ধরনের কথা শুনতে পাই, তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করছে, তা আমার ভেতর অনুরণন তোলে। আমি এমন গল্প শুনেছি, যেখানে কেউ তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর হঠাৎই ২ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। একজন বোন বললেন, কিভাবে তাঁর বাড়িতে গ্যাস আসায় জীবনে পরিবর্তন ঘটে গেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল, যখন কেউ বলেন, ধনী এবং দরিদ্রের মাঝে থাকা রেখাটি উবে গেছে। ‘গরিবী হটাও’ শ্লোগান এক জিনিস, কিন্তু প্রকৃত পরিবর্তন তখনই ঘটে, যখন একজন মানুষ বলেন, “এইমাত্র আমার বাড়িতে গ্যাস স্টোভ এসেছে, তখনই দারিদ্র এবং স্বাচ্ছল্যের মধ্যে ফারাকটি মুছে গেছে।”
এটা অভুতপূর্ব যে, কিভাবে একটি মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়তে পারে, যথন তাঁরা বলেন, “আমি আমার সত্যিকারের বাড়িতে গেছি”। এই প্রভাব বিশাল, শুধুমাত্র ওই ব্যক্তির ওপরই নয়, তাঁর ছেলে-মেয়েদের ওপরেও। এর আগে, কাঁচা বাড়িতে থাকার সময় ছেলে-মেয়েরা লজ্জিত বোধ করত এবং আত্মসম্মানের অভাবে ভুগতো। এখন এই পাকা বাড়ি পেয়ে তাঁদের জীবন পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসেপূর্ণ। প্রকৃত পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করা যাবে, যখন আপনি শুনতে পাবেন কোনো সুবিধাপ্রাপকের নিজের মুখ থেকে। তখনই আপনি বুঝতে পারবেন, জীবন সত্যিই পরিবর্তিত হয়েছে।
দেখছি গুপ্তাজীর মতো মানুষের উৎসাহ চমকপ্রদ, তিনি ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে থামতেই পারছেন না। যখন মানুষ সরাসরি সুবিধা পান, সে ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার টাকাই হোক, বা অন্য কোনো আর্থিক সহায়তা, তখন তাঁদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। অন্যথায় যদি তাঁরা মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার করেন, তাঁদের অত্যন্ত ভুগতে হয়। প্রত্যেক নাগরিকের স্বামিত্বের অনুভূতি থাকা উচিত এবং ব্যাঙ্ক, রেল, হাসপাতাল এবং সরকারি অফিসের মতো প্রতিষ্ঠান নিয়ে গর্ব থাকা উচিত। যখন এই স্বামিত্বের অনুভব আসবে, তখন দেশের জন্য কিছু করার আগ্রহ জাগ্রত হবে। এই যে প্রয়াস, এটি বীজ বপন করার মতো। এই বীজের অর্থ আমাদের অভিভাবকরা যে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন, তার স্বীকৃতি। আমরা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু আমরা চাই না আমাদের ছেলে-মেয়েরা সেইরকম কষ্টে কাটাক। কোনো অভিভাবকই চান না, তাঁরা যে অনুবিধা ভোগ করেছেন, তাঁদের ছেলে-মেয়েরাও সেই অসুবিধা ভোগ করুক। যদি তাঁরা কোনোরকম শিক্ষাও না পান, অথবা অসুবিধার সম্মুখীন হন অভিভাবকরা কখনই চাইবেন না তাঁদের ছেলে-মেয়েরাও অশিক্ষিত থাকুক অথবা একইরকম সংগ্রামের মুখোমুখি হোক। যখন মানুষ সহজে সরকারি কর্মসূচি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন, তখন তাঁরা বুঝতে পারেন, এবার কাজের সময়। যখন এই মনোভাব ১৪০ কোটি মানুষের হৃদয়ে জাগরিত হবে, দেশ তখন নিঃসন্দেহে সামনে এগোবে।
দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে, দেশ জুড়ে একতার আবহে। কেউ চরকা ঘোরাচ্ছেন, জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি উত্তর দিতেন “স্বাধীনতার জন্য”। কেউ কেউ “ভারত মাতা কি জয়” বলে স্কুল ছেড়ে দিয়েছেন। পুলিশের লাঠি খেয়েছেন এবং যখন তাঁদের আত্মত্যাগের কারণ জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তাঁরা ঘোষণা করেছেন “দেশের স্বাধীনতার জন্য”। কেউ বৃদ্ধ মানুষের দেখাশোনা করেছেন, যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছে “কি করছেন?” তাঁরা উত্তর দিয়েছেন “স্বাধীনতার জন্য কাজ করছি”। কেউ খাদি পরেছেন এবং যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছে “কেন এসব করছেন”? তাঁদের উত্তর ছিল “স্বাধীনতার জন্য”। হিন্দুস্তানের প্রতিটি মানুষ বলা শুরু করেছিলেন “আমি স্বাধীনতার জন্য কাজ করছি”।সে অনশন হোক, বা কঠোর পরিশ্রম, শিশুদের শিক্ষাদান, সাফাই-এর কাজ অথবা রিক্সা চালানো সবই করা হতো স্বাধীনতার জন্য। স্বাধীনতার জ্বর দেশকে আঁকড়ে ধরেছিল। প্রতিটি হৃদয়ে প্রোথিত হয়েছিল বিশ্বাস, যার থেকে বিদায় নিয়েছিল ব্রিটিশ।
দেশ জেগে উঠেছে, যদি ১৪০ কোটি মানুষের প্রত্যেকের মনেই এই বিশ্বাস থাকে যে, এবার আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব; আমরা একরম বলতে পারি না। প্রত্যেকের জীবনে পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রত্যেক ব্যাক্তির শক্তিকে সম্মান দেওয়া উচিত এবং সেই শক্তিকে ব্যবহার করতে হবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। একবার যদি সকলের মনে এই বীজ রোপণ করা যায়, তাহলে ২০৪৭-এর মধ্যে উন্নত ভারত নির্মাণ করা যাবে। আপনাদের ছেলে-মেয়েরা সেই ফল পেতে শুরু করবে। এই গাছের ছায়া উপভোগ করবে আপনাদের ছেলে-মেয়েরা। সেইজন্য, প্রত্যেক নাগরিকের উচিত মনোভাবের পরিবর্তন করা এবং দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। আর এই মনোভাব যদি গড়ে ওঠে, তাহলে লক্ষ্যপূরণ খুব দূরে নয়।
‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা পবিত্র কর্ম করছেন। যাঁরা অংশগ্রহণ করছেন না, তাঁদের বুঝতে হবে যে. তাঁরা একটি সুযোগ হারাচ্ছেন। যদিও আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী, আমি আজ আপনাদের মধ্যে এসে উৎসাহিত, আমি খুব খুশি যে, আমি আজ ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’-র অংশ হতে পেরেছি। আমি সন্তোষবোধ করছি যে, আমি এই কাজ করেছি। আপনাদের প্রত্যেকের এটা করা উচিত। ‘এই যাত্রা’ পরবর্তী গ্রাম বা শহরে পৌঁছলে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা করা উচিত। প্রত্যেকে এগিয়ে আসুন, প্রত্যেকে শুনুন সুবিধাপ্রাপকদের কথা, প্রত্যেকের উচিত এই পরিকল্পনার সুবিধাগুলি নেওয়া এবং যাঁরা এই পরিকল্পনা থেকে উপকৃত হয়েছেন, তাঁরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের সাফল্যের কথা ভাগ করে নিন। ইতিবাচক কথা ভাগ করে নিলে একটি ভালো পরিবেশের সৃষ্টি হয়, এবং সেই কারণেই আমি চাই ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ একটি বড় স্বপ্ন এবং বড় সংকল্প হয়ে উঠুক এবং আমাদের নিজের প্রয়াসে এই সংকল্প পূরণ করতে হবে।
আপনাদের সঙ্গে দেখা করার এবং আপনাদের কথা শোনার এই সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। প্রত্যেকের উচিত এই ‘যাত্রা’-কে আরও সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে চেষ্টা করা। আমাদের উচিত নাগরিকদের মনে এই সংকল্প এবং বিশ্বাস জাগরিত করা। আমরা দেখেছি, যেখন বাড়িতে অর্থের অভাব থাকে, তখন ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু করা যায় না। কেউ হয়তো তার ছেলে-মেয়েদের পছন্দসই জামা কিনে দিতে চান, কিন্তু পারেন না, কারণ তাঁর কাছে যথেষ্ট অর্থ নেই। ঘরে ঘরে যেমন এটা হয়, তেমন দেশের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে থাকে। দেশেরও অর্থ থাকা উচিত। যদি অর্থ থাকে, তখন প্রত্যেক নাগরিক তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করতে পারেন। প্রায় ৪ কোটি মানুষ বাড়ি পেয়েছেন। যাঁরা এখনও পাননি, তাঁরা ভবিষ্যতে পাবেন, এটাও মোদী গ্যারান্টি দিচ্ছেন। যাঁরা আয়ুষ্মান কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা বিনামূল্যে ওষুধ পেয়েছেন। যাঁদের গ্যাস স্টোভের প্রয়োজন, তাঁরাও সরকারের কাছ থেকে তা পাচ্ছেন। গ্যাস স্টোভের জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। কেন? কারণ সরকারের এখন দেওয়ার ক্ষমতা আছে। যখন ভারত ২৫ বছরে উন্নত হবে, এইসব অসুবিধা আর থাকবে না এবং আমরা সবরকম অসুবিধামুক্ত হয়ে যাবো।
‘বিকশিত ভারত’ সংকল্প পূরণ করলেই এইসব অসুবিধা থেকে মুক্তি। সেইজন্য আমি আপনাদের সেবক হিসেবে, আপনাদের সংসদের সদস্য হিসেবে কাশীর নাগরিকদের আশ্বাস দিয়ে বলতে চাই, আমি কাজ করবো। মহাদেবের আশীর্বাদে আমি কখনও দেশের কাজ থেকে পিছিয়ে যাবো না। মহাদেবের মহিমা আমাদের সকলের ওপর বর্ষিক হোক এবং এই ‘যাত্রা’ কাশীতে আরও সফল হোক। যেন কোনো খামতি না থাকে। পরিবারের সকল সদস্যের উচিত এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া । কেউ যেন এই ‘যাত্রা’ থেকে বিরত না হয়। ১ ঘণ্টা হোক, ২ ঘণ্টা হোক, এই কর্মসূচিতে যোগ দিন। এইজন্য আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি, ‘বিকশিত ভারত’-এর সংকল্পকে সাহায্য করুন এবং শক্তিশালী করুন। অনেক ধন্যবাদ।
নমস্কার!