বন্ধুগণ,
আপনারা সবাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা নিজেরা করোনা পজিটিভ হয়েও তাঁদের জেলায় পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কাজ করে গেছেন। এর ফলে জেলার অন্যান্য কর্মীরাও উৎসাহিত হয়েছেন এবং অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন অনেকে আছেন যাঁরা অনেকদিন বাড়িতেও যেতে পারেননি। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। অনেকে তাঁদের পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের, তাঁদের নিকটজনদেরও হারিয়েছেন। এই ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের মধ্যেও আপনারা নিজেদের দায়িত্বকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আজ একটু আগে আপনাদের মধ্যে থেকে অনেক বন্ধুর কথা শোনার সুযোগ পেয়েছি। যাই হোক, আমার সামনে অনেকেই রয়েছেন। সেজন্য সবার কথা শোনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু, আমি নিশ্চিত যে প্রত্যেকেরই নতুন কিছু বলার ছিল। অনেক উদ্ভাবক ভাবনা, যা তাঁরা সমস্যার মোকাবিলা করতে গিয়ে নিজের মতো করে সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। আর সাফল্যের জন্য এটাই সবচাইতে বড় উপায়। আপনি মূল ধারণাটিকে কতটা স্থানীয় পরিবেশ অনুযায়ী পরিস্থিতি মোকাবিলার উপযোগী করে তুলতে পারেন! অনেকেই অসাধারণ ও অভিনব পদ্ধতিতে কাজ করেছেন। যাঁরা আজ বলার সুযোগ পাননি, তাঁদের অনেকের কাছেও অনেক কিছু বলার থাকবে। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ জানাই, আপনি যদি মনে করেন আপনি যা করেছেন ভালো করেছেন, ভালোভাবে করেছেন, নির্দ্বিধায়, দয়া করে আমার কাছে লিখে পাঠান। আমি আপনার অভিনব ভাবনাকে কিভাবে অন্যান্য জেলার উপযোগী করে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে অবশ্যই ভাববো। কারণ আপনার পরিশ্রম, আপনার উদ্ভাবনও দেশের কাজে লাগতে হবে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আজ যত উপায় আমার সামনে এসেছে, এরকম আরও অনেক উপায় রয়েছে যা আমাদের কাজে লাগবে। আর সেজন্য আমি আপনাদের চিঠির অপেক্ষা করব। আপনারা অবশ্যই আমাকে মেসেজ পাঠাবেন, শেয়ার করবেন, আপনাদের প্রত্যেকের প্রচেষ্টাকে আমি প্রভূত প্রশংসা জানাই।


বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে যত জেলা আছে ততই ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জও আছে। একভাবে প্রত্যেক জেলার নিজস্ব অভিনব সমস্যা রয়েছে। আপনারা নিজের জেলার সমস্যাগুলিকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেন। আর সেজন্য যখন আপনাদের জেলা জয়লাভ করে, এর অর্থ দেশও জয়লাভ করে। যখন আপনাদের জেলা করোনাকে পরাভূত করে, তখন দেশও করোনাকে পরাভূত করে। সেজন্য জেলার মেজাজ গ্রামে গ্রামে বার্তারূপে ছড়িয়ে দিন। আমাদের গ্রামগুলিকে করোনামুক্ত রাখব। আমাদের গ্রামে করোনাকে ঢুকতেই দেব না। এটা যদি গ্রামের মানুষেরা সঙ্কল্প হিসেবে নেন, তাহলে তাঁরা কিভাবে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না। গতবার যখন এরকম সমস্যা হয়েছিল, তখন আমাদের গ্রামগুলিতে এমন সব অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল যা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। আমরাও জানতাম না যে কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করব। তবুও আমরা গ্রামের কৃষিক্ষেত্রগুলির জন্য কোনও লকডাউন জারি করিনি। আর মজার বিষয় হল, কৃষিক্ষেত্রগুলিতে গ্রামের মানুষেরা কাজ করতেন আর কাজের সময় তাঁরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতেন। আপনাদের হয়তো মনে আছে, গতবার আমাদের গ্রামগুলিতে কত দ্রুত এই প্রতিরোধের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছিল। গ্রামের মানুষ কত সচেতনভাবে প্রয়োজন অনুসারে নিজের মতো করে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আমি দেখেছি, আমাদের গ্রামের এই শক্তি আছে। আজও অনেক গ্রামে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। গ্রামে প্রয়োজনের জন্য দু-একজন বাইরে যান, সকলের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ফিরে গ্রামে তা বন্টন করেন। আর, গ্রামে কোনও অতিথিও যদি আসেন, তাঁকে আগে গ্রামের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। গ্রামগুলির নিজস্ব একটি শক্তি রয়েছে। সেই শক্তির নিজস্ব উপযোগীতা রয়েছে। আর আমি বন্ধুদেরকে বলতে চাইব করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আপনারা প্রত্যেকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আপনারা একভাবে প্রত্যেকেই এই লড়াইয়ের ‘ফিল্ড কম্যান্ডার’। যুদ্ধের সময় ফিল্ড কম্যান্ডাররাই সমস্ত পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেন, তৃণমূলস্তরে সেই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং পরিস্থিতি অনুসারে সিদ্ধান্ত নেন। আপনারা সবাই ভারতের এই লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ড কম্যান্ডার রূপে আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের অস্ত্র কী? আমাদের অস্ত্র হল – ‘লোকাল কন্টেনমেন্ট জোনস, অ্যাগ্রেসিভ টেস্টিং’ আর সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক এবং সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরা। হাসপাতালগুলিতে কত শয্যা রয়েছে, কোথায় কোথায় রয়েছে, এই তথ্য সহজভাবে পাওয়া গেলে মানুষের সুবিধা হয়। এভাবে কালোবাজারিকেও লাগাম পরানো যায়। এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অগ্রভাগে থাকা যোদ্ধাদের নীতিবোধকে ওপরে রেখে তাঁদেরকে উদ্দীপ্ত করতে হবে। একজন ফিল্ড কম্যান্ডার রূপে আপনাদের এই প্রচেষ্টা গোটা জেলাকে শক্তিশালী করে তুলবে। অগ্রণী যোদ্ধারা সব সময় আপনার সাহস ও কর্মদক্ষতা থেকে প্রেরণা পাবেন, তাঁদের ভরসা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমি আপনাদেরকে আরেকটি কথা বলতে চাই। কারণ আপনারা যদি মনে করেন সরকার প্রণীত কোনও নীতি জেলাস্তরে বাস্তবায়িত করতে কোনও উদ্ভাবনের প্রয়োজন রয়েছে আর সেই উদ্ভাবনের মাধ্যমে নীতি প্রণয়নে সুবিধা হবে, তাহলে আপনাদের সম্পূর্ণ ছাড় রয়েছে। তা অবশ্যই করবেন। যদি এই উদ্ভাবন আপনাদের জেলার স্থানীয় প্রয়োজনের উপযোগী হয়, তাহলে সেই হিসেবেই করবেন। যদি আপনাদের মনে হয় আপনার উদ্ভাবন গোটা রাজ্যের জন্য বা গোটা দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে, তাহলে সেটাকে সরকারের কাছে পৌঁছে দিন। যদি আপনাদের অভিজ্ঞতা থেকে দ্রুত পরিবর্তিত পরিস্থিতির নিরিখে যে নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে কোনও সংস্কারের প্রয়োজন হয়, সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়াও অবশ্যই সরকারের কাছে পৌঁছে দিন। নিঃসঙ্কোচে পৌঁছে দিন। কারণ এই লড়াই এমনই যেখানে আমাদের প্রত্যেককে মিলেমিশে ভাবতে হবে, প্রত্যেককে মিলেমিশে নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসতে হবে; তবেই গিয়ে আমরা কিছু করতে পারবো!
আপনাদের জেলার সাফল্য বাকি জেলাগুলির জন্য একটা উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। তাঁদেরও সাহায্য হতে পারে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেভাবে ভালো ফল পাওয়া যায় সেটাকেই আমাদের রপ্ত করে ফেলতে হবে। আপনাদের অনেক সহকর্মী ও বন্ধু এমন জেলায় হয়তো রয়েছেন যেখানে করোনা সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার পর এখন তার প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে। আপনাদের অনেক বন্ধু বা সহকর্মী হয়তো এমন জেলায় রয়েছেন, তাঁদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনারা নিজের জেলায় নিজের মতো করে রণনীতি তৈরি করতে পারেন। আর, সেই পদ্ধতি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও সফল করে তুলবে।
বন্ধুগণ,
এই সময় অনেক রাজ্যে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান ক্রমহ্রাসমান। অনেক রাজ্যে ক্রমবর্ধমান। বন্ধুগণ, যেখানে ক্রমহ্রাসমান, সেখানে আমাদের বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। বিগত এক বছর ধরে প্রায় প্রত্যেক বৈঠকে আমি এই অনুরোধ জানিয়ে আসছি যে আমাদের লড়াই প্রত্যেক জীবন বাঁচানোর লড়াই। প্রত্যেকের জীবন বাঁচাতে হবে। আমাদের দায়িত্ব সংক্রমণ ছড়ানোকেও রুখতে হবে। আর এটা তখনই সম্ভব যখন আমরা সংক্রমণের মাত্রা সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারব। ‘টেস্টিং, ট্র্যাকিং, আইসোলেশন, ট্রিটমেন্ট’ এবং কোভিড আদর্শ আচরণবিধি অনুসরণেও ধারাবাহিকভাবে জোর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন গ্রামীণ এবং দুর্গম অঞ্চলগুলির দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাদের অঞ্চলে থাকার অভিজ্ঞতা, আপনাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতায় অনেক প্রভাব ফেলবে। আমাদের গ্রামে গ্রামে সচেতনতা বাড়াতে হবে আর তাঁদের কোভিড চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ আর সম্পদের সীমাবদ্ধতার মাঝে জনগণের প্রত্যাশার যথোচিত সমাধান করাই আমাদের সবচাইতে বড় অগ্রাধিকার। সমস্ত সমস্যার মাঝে সমাজের সব থেকে প্রান্তিক ব্যক্তির চেহারা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আপনারা যদি এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন যাতে সেই প্রান্তিক মানুষটির কষ্ট দূর হয়, তাহলে দেখবেন সেই ব্যবস্থা নিজে থেকেই অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এই বিশাল সংখ্যক প্রান্তিক মানুষদের কাছে যখন প্রশাসনের একজন ব্যক্তিও পৌঁছন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, তাঁদের কথা শোনেন, তা থেকে গোটা ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের মনে অনেক বড় বিশ্বাস জাগে। এতে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যেমন আমরা দেখি, যখন হোম আইসোলেশনে থাকা পরিবারের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অক্সিমিটার নিয়ে কেউ যান, ওষুধ নিয়ে যান, তাঁদের খোঁজখবর নেন, তখন সেই পরিবারগুলি এমন মানসিক জোর পায়, তাঁরা অনুভব করেন যে আমরা একা নই।
বন্ধুগণ,
কোভিড ছাড়া আপনাদের জেলার প্রত্যেক নাগরিকের ‘ইজ অফ লিভিং’ও সুনিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সংক্রমণও প্রতিরোধ করতে হবে, আবার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সরবরাহ ব্যবস্থাকেও অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্টের জন্যও যে ধরনের নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে, সেগুলি পালন করতে হবে। আর সেগুলি পালন করার সময় এটাও মাথায় রাখতে হবে যাতে গরীবদের সবচাইতে কম কষ্ট হয়। কোনও নাগরিক যেন সমস্যায় না পড়েন।
বন্ধুগণ,
পিএম কেয়ার্স-এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। অনেক হাসপাতালে এই প্ল্যান্টগুলি অক্সিজেন উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। যেমনটি একটু আগে আমরা চণ্ডীগড়ের কাছ থেকে শুনলাম তাঁরা কতটা উপকৃত হয়েছেন। আর সেজন্য আমার আপনাদের প্রত্যেকের প্রতি অনুরোধ, প্রত্যেকেই এই প্ল্যান্ট অ্যালট হওয়ার আগে থেকেই প্রস্তুতি রাখবেন, যাতে টাকা পেলেই অক্সিজেন প্ল্যান্ট দ্রুতগতিতে গড়ে ওঠে। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন মনিটরিং কমিটি যত ভালোভাবে কাজ করবে, তত সুন্দরভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাপনা করা যাবে।
বন্ধুগণ,
টিকাকরণ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী মাধ্যম। সেজন্য আমাদের সবাইকে মিলে এর সঙ্গে জড়িত সমস্ত ভ্রম দূর করতে হবে। করোনার টিকা সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। টিকাকরণ সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়াকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিয়মিতভাবে সুনিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে যাতে আগামী ১৫ দিনের প্রয়োজনীয় টিকা প্রত্যেক রাজ্যকে অগ্রিম দেওয়া যায়। এর ফলে আপনারাও জানতে পারবেন যে আপনার জেলায় কতজনের জন্য টিকা দেওয়া সম্ভব আর আপনারা কোন হিসেবে প্রস্তুতি নেবেন। টিকার অপচয় রোধ করতে জেলাস্তরে সঠিক ব্যবস্থাপনার ভূমিকা সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন। আপনাদের সহযোগিতায় টিকা অপচয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হতে পারে। শুধু তাই নয়, ‘অপ্টিমাম ইউটিলাইজেশন’-এর লক্ষ্যে আমরা সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি।
বন্ধুগণ,
এই সময় একজন প্রশাসকের পাশাপাশি একজন মানবসম্পদ এবং ‘লজিস্টিক্স ম্যানেজার’ রূপে আপনাদের ভূমিকারও পরীক্ষা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখা ছাড়াও আপনার জেলায় অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় বস্তুর সরবরাহ যেন পর্যাপ্ত থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সামনে বর্ষার ঋতু আসছে। আমরা জানি বর্ষা ঋতুতে দৈনন্দিন সরকারি প্রস্তুতি জুন মাসের আগেই নিতে হয়। আপনাদের নজর থাকে আবহাওয়ার দিকে। কতটা বৃষ্টিপাত হবে, কী কী করতে হবে - সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। এবারও বর্ষা ঋতু আসতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষার যত সমস্যাগুলি আছে, যত চ্যালেঞ্জ আপনাদের নিতে হবে, তার অতিরিক্ত কাজের বোঝাও রয়েছে। নানারকম দায়িত্ব রয়েছে। সেজন্য আপনাদের অত্যন্ত দ্রুত নিজেদের প্রয়োজনের ম্যাপিং করতে হবে আর সেই অনুসারে ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন অনেক সময় ভারী বর্ষণে বিদ্যুৎ চলে যায় আর অনেক হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে এই বিপর্যয়ের সময়ে অনেক বড় সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হবে। কাজেই এই বিষয়গুলি আপনাদের মাথায় রাখতে হবে। অনেক বড় সঙ্কট, কিন্তু আমাদের সাহস ও উদ্যম তার থেকেও বড়। আমাদের প্রতিক্রিয়াও ‘ন ভূতোঁ ন ভবিষ্যতী’ … এরকমই হওয়া উচিৎ। এই সাহস ও সঙ্কল্পের সঙ্গে, এই প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও সঙ্কল্পের সঙ্গে আমরা দেশকে এই সঙ্কট থেকে বের করে আনব। এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাদের যে অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারব তাও ভবিষ্যতে আপনাদের এবং দেশের অনেক কাজে লাগবে। এই অভিজ্ঞতাগুলির সঠিক ব্যবহার করে আপনারা ভবিষ্যতেও দেশের বড় সেবা করতে পারবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের দক্ষ নেতৃত্বে, আপনাদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় ভারত করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ বিভিন্ন রাজ্য এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীরাও সময় বের করে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। যখন এই কর্মসূচি রচিত হচ্ছিল তখন মনে হয়েছিল যে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই, তাঁদেরকে ব্যস্ত করার কোনও দরকার নেই কারণ, জেলার সমস্যা সম্পর্কে জেলাশাসকরাই তো সবচাইতে ভালো জানেন। কিন্তু এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে অনেক মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সেজন্য তাঁদেরকে স্বাগত জানাই। আমি সমস্ত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই আর মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশে আপনারা সবাই জেলার গোটা টিমকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশ্বাস ও সঙ্কল্পের সঙ্গে প্রতিটি গ্রামকে করোনা থেকে বাঁচাবেন। এই মন্ত্র নিয়ে আপনারা এগিয়ে যাবেন, আর দ্রুতগতিতে যাতে ‘রিকভারি রেট’ বৃদ্ধি পায়, দ্রুতগতিতে যাতে ‘নেগেটিভ’ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, দ্রুতগতিতে টেস্টের সংখ্যা বাড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এগুলিতে জোর দিয়ে সাফল্যের লক্ষ্যে আমরা কোনও চেষ্টার ত্রুটি রাখব না, কোনও ধরনের প্রয়োগ করতে পিছিয়ে থাকব না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমি যাঁদের কাছ থেকে শুনলাম, তাঁরা প্রত্যেকেই একটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, নতুন নতুন পদ্ধতির কথা বলেছেন – এই সমস্ত বিষয় নিজে থেকেই একটা বড় বিশ্বাস গড়ে তোলে। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আর এটা অত্যন্ত বড় দায়িত্ব। আপনারা ফিল্ডে কাজ করছেন। নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে অবশ্যই নজর রাখবেন। নিজেদের পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন আর আপনারা যে অঞ্চলকে সামলাচ্ছেন সেখানকার প্রত্যেক নাগরিকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনাদের নেতৃত্ব যেন সুফলদায়ক হয় এই আশা নিয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের সহযোগিতায় সাফল্য আসবেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।