“যখন একটি সৎ সরকারের প্রয়াস এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত দরিদ্রদের প্রচেষ্টা একত্রিত হয়, তখন দারিদ্র্য পরাজিত হয়”
“দরিদ্রদের পাকা ঘর দেওয়ার এই প্রচারটি কেবল একটি সরকারি প্রকল্প নয়, বরং গ্রামীণ দরিদ্রদের মধ্যে আস্থা জাগ্রত করার প্রতিশ্রুতি”
“এই প্রকল্পগুলিতে সংশোধন প্রক্রিয়ার উপর নজর দিয়ে সরকার বৈষম্য ও দুর্নীতির সম্ভাবনা দূর করেছে”
প্রতিটি রাজ্য সরকার, স্থানীয় সংস্থা ও পঞ্চায়েত প্রতিটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর খননের কাজ করবে
নমস্কারজি!
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগীগণ, মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকারের মন্ত্রীগণ, সংসদে আমার সহযোগীগণ, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিধায়কগণ, অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং আমার মধ্যপ্রদেশের প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
আজ মধ্যপ্রদেশের প্রায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার গরীব পরিবার তাঁদের স্বপ্নের পাকা বাড়ির মালিকানা পেয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই নববর্ষ আসছে। বিক্রম সম্বত-এর ২০৭৯ সাল শুরু হতে চলেছে। নববর্ষ উপলক্ষে নতুন বাড়িতে ‘গৃহ প্রবেশ’, এই ঘটনাই আপনাদের জীবনে একটি নতুন অর্থ নিয়ে এসেছে, আপনাদের সময়কে অমূল্য করে তুলেছে। আমি এই অমূল্য সময়কে আবাহন জানিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে কয়েকটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘকাল ধরে অনেক দারিদ্র্য দূর করার স্লোগান দিয়ে এসেছে। কিন্তু দরিদ্রদের ক্ষমতায়িত করার জন্য যতটা কাজ হওয়া প্রয়োজন ছিল, ততটা হয়নি। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে একবার যখন গরীবরা ক্ষমতায়িত হয়ে ওঠেন, তখন তাঁদের মধ্যে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস চলে আসে। একটি সৎ সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে একজন ক্ষমতায়িত গরীব মানুষের প্রচেষ্টা যখন যুক্ত হয়, একটি সৎ সরকারের কাজের সঙ্গে একজন ক্ষমতায়িত গরীব মানুষের কাজ যখন একসঙ্গে মেশে, তখন দারিদ্র্যও পরাস্ত হয়। সেজন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার হোক কিংবা রাজ্যের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলা বিজেপি সরকার গরীবদের ক্ষমতায়িত করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আজকের এই কর্মসূচি এই ধরনের অভিযানেরই অঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে তৈরি হওয়া এই ৫ লক্ষ ২৫ হাজার বাড়ি নিছকই একটি পরিসংখ্যান নয়, আজ এই ৫ লক্ষ ২৫ হাজার বাড়ি দেশে ক্ষমতায়িত হয়ে ওঠা গরীবদের পরিচয় হয়ে উঠেছে। এই ৫ লক্ষ ২৫ হাজার বাড়ি বিজেপি সরকারের সেবাভাবের নিদর্শন। এই ৫ লক্ষ ২৫ হাজার বাড়ি গ্রামের মহিলাদের লক্ষপতি করে তোলার অভিযানের একটি প্রতিবিম্ব। মধ্যপ্রদেশের দূরদুরান্তের গ্রামে আমাদের জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষদের এই বাড়িগুলি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। আমি মধ্যপ্রদেশের জনগণকে এই ৫ লক্ষ ২৫ হাজার বাড়ির জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।
ভাই ও বোনেরা,
দরিদ্র মানুষদের মাথার ওপর ছাদ, নিজস্ব পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার এই অভিযান আজ নিছকই একটি সরকারি প্রকল্প নয়, এটি আমাদের গ্রামের প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের মনে আস্থা জাগানো, বিশ্বাস জাগানোর দায়বদ্ধতা। এই গরিব মানুষদের দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হিম্মত যোগানোর এটি প্রথম সিঁড়ি। যখন দরিদ্র মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদ থাকে তখন তাঁরা নিজেদের সম্পূর্ণ মনোযোগ ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজে লাগাতে পারেন। যখন গরিব মানুষ নিজস্ব বাড়ি পান তখন তাঁদের জীবনে একটি স্থিরতা আসে। এই ভাবনা থেকেই আমাদের সরকার পিএম আবাস যোজনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিগত সরকার, আমাদের আসার আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারাও নিজেদের কার্যকালে কয়েক লক্ষ বাড়ি তৈরি করিয়েছিল। সেই জায়গায় আমাদের সরকার ইতিমধ্যেই দেশের দরিদ্র মানুষদের প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি বাড়ি দেশের গ্রামাঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে। বিগত দু’বছরে করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারীর কারণে আমরা যত সমস্যার সম্মুখীনই হই না কেন, এই কাজকে কখনও শ্লথ হতে দেওয়া হয়নি। মধ্যপ্রদেশেও প্রায় ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার মঞ্জুর হওয়া বাড়ির মধ্যে ২৪ লক্ষের বেশি ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। এগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশের বৈগা, সহরিয়া এবং ভারিয়ার মতো সমাজের গরীব মানুষেরা সবচাইতে বেশি লাভবান হয়েছেন যাঁরা কখনও পাকা বাড়িতে থাকার কথা ভাবতেও পারতেন না।
ভাই ও বোনেরা,
বিজেপি সরকার যেখানেই রয়েছে তার বৈশিষ্ট্য এটাই যে সরকার মাটির সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলস্তরে কাজ করে, গরীবের হিতে, তাঁদের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই দিন-রাত কাজ করে। পিএম আবাস যোজনাতে আমরা এদিকে লক্ষ্য রেখেছি যাতে গরীবরা যে বাড়ি পাবেন সেগুলি যেন তাঁদের জীবনের অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রেও কাজে লাগে। যেমন, এই নতুন তৈরি করে দেওয়া বাড়িগুলিতে শৌচালয় রয়েছে, এই বাড়িগুলিতে ‘সৌভাগ্য’ যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে, ‘উজালা’ যোজনার মাধ্যমে এলইডি বাল্ব লাগানো হয়েছে, ‘উজ্জ্বলা’ যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে আর ‘হর ঘর জল’ যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত জল সংযোগও সুনিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, দরিদ্র সুবিধাভোগীদের এই পরিষেবাগুলির জন্য আলাদাভাবে সরকারি অফিসের চক্কর কাটার প্রয়োজন পড়বে না। গরীবদের কল্যাণে সেবা করার এই ভাবনাই আজ প্রত্যেক দেশবাসীর জীবন সহজ করে তোলার কাজে লাগছে।
বন্ধুগণ,
ভারত শক্তি উপাসনার দেশ। কিছুদিন পরেই নবরাত্রি শুরু হতে চলেছে। আমাদের দেবীরা শত্রুর সংহার করেন, অস্ত্রশস্ত্রের উপাসক ছিলেন। আমাদের দেবীরা জ্ঞান, কলা ও সংস্কৃতির প্রেরণাস্বরূপ। একবিংশ শতাব্দীর ভারত তাঁদের থেকেই প্রেরণা গ্রহণ করে নিজেকে এবং নিজেদের নারীশক্তিকেও ক্ষমতায়িত করার কাজে নিয়োজিত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এই অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের সরকারের পিএম আবাস যোজনার মাধ্যমে যত বাড়ি তৈরি হয়েছে সেগুলির মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বাড়ির মালিকানার অধিকার মহিলাদেরই রয়েছে।এভাবে এই মালিকানার অধিকার বাড়ির অন্যান্য আর্থিক সিদ্ধান্তেও মহিলাদের অংশীদারিত্বকে মজবুত করেছে। এটি নিজের মতো করে একটি অতুলনীয় বিষয়. আমি নিশ্চিত যে এই বিষয়গুলি একদিন বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার বিষয় হয়ে উঠবে, কেস স্টাডির বিষয় হয়ে উঠবে। আমাদের মধ্যপ্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও এই বিষয়ে অবশ্যই গবেষণা হওয়া উচিৎ।
ভাই ও বোনেরা,
মহিলাদের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা দেশের প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার অভিযান চালিয়েছি। বিগত ২বছর ৬ মাসে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের ছয় কোটিরও বেশি পরিবারে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার সময় মধ্যপ্রদেশে মাত্র ১৩ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারে নলের মাধ্যমে জল আসত আর আজ ৫০ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি আমরা পৌঁছে গিয়েছি। মধ্যপ্রদেশের প্রত্যেক গ্রামীণ পরিবারে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা দায়বদ্ধ।
বন্ধুগণ,
আজ আমি মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের সেই সকল গরীব পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আপনাদের জন্য বাড়ি তৈরি অভিযান দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এখনও কিছু মানুষ পাকা বাড়ি পাননি। কারা পাননি এ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। আজ আমি আপনাদেরকে বলতে এসেছি যে এ বছরের বাজেটে গোটা দেশে ৮০ লক্ষেরও বেশি এরকম বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য অর্থ বন্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশেরও লক্ষ লক্ষ পরিবার নিশ্চিতভাবে উপকৃত হবে। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ এই প্রকল্পে খরচ করা হয়েছে। এই অর্থ দেশের গ্রামগুলিতে খরচ হয়েছে। এই অর্থ বরাদ্দ গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থাকে শক্তি যুগিয়েছে। যখন একটি বাড়ি তৈরি হয় তখন ইঁট, বালি, সুরকি , সিমেন্ট, বাড়ি তৈরির শ্রমিক – সবকিছু স্থানীয়ই তো হয়! সেজন্য পিএম আবাস যোজনা গ্রামে গ্রামে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগও গড়ে তুলছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর অনেক দশক ধরে অনেক সরকার আমরা দেখেছি। কিন্তু প্রথমবার দেশের মানুষ এমন সরকার দেখছে যে সরকার তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁদের পাশে রয়েছে। করোনার এতবড় সঙ্কটে বিজেপি সরকার আবার প্রমাণ করেছে যে দরিদ্র মানুষদের জন্য এই সরকার কতটা সংবেদনশীলতা নিয়ে কাজ করে। গরীবদের বিনামূল্যে টিকাকরণ থেকে শুরু করে, তাঁদের জন্য বিনামূল্যে রেশন বিতরণ – এই কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে একটু আগেই মাননীয় শিবরাজজি অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। এই তো দু’দিন আগেই আমরা সবাই মিলে ঠিক করেছি যে, আগামী ছয় মাস ধরে ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা’র সময়সীমা বাড়ানো হবে যাতে গরীবদের বাড়িতে উনুন জ্বলতে থাকে। আগে করোনার ফলে বিশ্ববাসী কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে আর আজ গোটা বিশ্বের মানুষ রাশিয়া-ইউয়ক্রেন যুদ্ধের ফলে প্রভাবিত। সেজন্যও আর্থিক ব্যবস্থায় অনেক ধরনের নতুন সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।টাই আমরা চেষ্টা করছি, ভারতের সাধারণ নাগরিকদের ওপর আর্থিক বোঝা যত কম করা যায়, যতটা সম্ভব কম করা যায়, তা সুনিশ্চিত করা।আমরা শুরু থেকেই দেশের সাধারণ নাগরিকদের সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ভাই ও বোনেরা,
১০০ বছরের মধ্যে আসা সবচাইতে বড় বিশ্বব্যাপী মহামারীতে আমাদের সরকার গরীব মানুষদের জন্য বিনামূল্যে রেশন সরবরাহের পেছনে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। আগামী ছয় মাসে এই বাবদ আরও ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। যাঁরা আগে জনগণের রোজগারকে লুন্ঠন করতেন, যাঁরা আগে জনগণের রোজগারের টাকা নিজেদের সিন্দুকে ভরতেন, তাঁরা আজও এই প্রকল্প নিয়ে কোনও না কোনও হাসি-ঠাট্টা করছেন, ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ করছেন, মিথ্যা কথা বলছেন, গুজব রটাচ্ছেন – এই সবই চলছে। আমি আজ দেশবাসীকে একটি তথ্য জানাতে চাই। আপনারাও এটা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবেন।
বন্ধুগণ,
যখন এই মহান ব্যক্তিদের নেত্র্রিত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন তাঁরা গরীবদের রেশন লুন্ঠনের জন্য প্রায় ৪ কোটি ভুয়ো মানুষের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ৪ কোটির পরিসংখ্যান অনেক বড় হয় ভাই! ৪ কোটি এরকম মানুষের নাম... যাঁদের কখনও জন্মই হয়নি, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ৪ কোটি ভুয়ো নাম কাগজে-কলমে নথিভুক্ত হয়েছিল। এই ৪ কোটি ভুয়ো মানুষের নামে নিয়মিত রেশন ওঠানো হত, আর সেই রেশন চোরাপথ দিয়ে বাজারে বিক্রি করা হত এবং সেই টাকা দিয়ে এই মানুষেরা অনেক আর্থিক কেলেঙ্কারি করতেন, জালিয়াতি করতেন, সেই টাকা ঘুর পথে তাঁদের সিন্দুকে পৌঁছে যেত। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের সরকার এই ভুয়ো নামগুলিকে খুঁজতে শুরু করে এবং তাঁদের নাম রেশনের তালিকা থেকে বাদ দেয়, যাতে প্রকৃত দরিদ্র মানুষেরা তাঁদের অধিকার পেতে পারেন। আপনারা ভাবুন, আগের সময়ে এই গরীবদের মুখ থেকে গ্রাস ছিনিয়ে প্রত্যেক মাসে কত হাজার কোটি টাকা তারা লুন্ঠন করতেন! আমরা ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলিতে আধুনিক মেশিন লাগিয়ে এটাও সুনিশ্চিত করেছি যাতে আর রেশন চুরি না হয়। আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে আমরা যখন এই মেশিন লাগানোর অভিযান শুরু করেছিলাম, তখন এটা নিয়েও তারা অনেক হাসি-ঠাট্টা, ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ করেছিলেন। কারণ, তারা জানতেন যে, যদি মেশিন আসে, যদি এতে মানুষকে আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে হয়, তাহলে সত্যিটা বেরিয়ে পড়বে আর তা আটকানোর জন্যই এ ধরনের হাসি-ঠাট্টা, ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ তাঁরা করেছেন, গুজব রটিয়েছেন। এমনও গুজব রটিয়েছেন যে আপনারা রেশন নিতে গেলে, বুড়ো আঙুলের ছাপ দিলে আঙুলের মাধ্যমে শরীরে করোনা এসে যাবে। এখন বুঝুন, কী ধরনের গুজব রটিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সরকার এদের সকলের জালিয়াতি বন্ধ করিয়ে দিয়েছে। সেজন্য এরা আমাদের ওপর অনেক রেগে আছেন। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, যদি রেশনের দোকানগুলিতে এই স্বচ্ছতা না আসত, যদি সারা দেশে এই ৪ কোটি ভুয়ো নামের রেশন কার্ড বাতিল না করা হত, তাহলে করোনার এই সঙ্কটকালে গরীবদের কী অবস্থা হত? গরীবদের স্বার্থে সমর্পিত বিজেপি সরকার দিন-রাত গরীবদের জন্য কাজ করে।
ভাই ও বোনেরা,
আমরা চেষ্টা করেছি যাতে স্বাধীনতার অমৃতকালে অন্ততপক্ষে মৌলিক পরিষেবাগুলি প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে দ্রুতগতিতে পৌঁছে দেওয়া যায়। এ ধরনের কাজের ভিত্তিতে, এ ধরনের কাজের শক্তির ওপর নির্ভর করে আমরা প্রকল্পগুলির স্যাচুরেশন অর্থাৎ, প্রত্যেক প্রকল্পের ১০০ শতাংশ যাতে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছয়, এই সঙ্কল্প নিয়ে কাজ করে চলেছি। গ্রামে যে প্রকল্পে যতজন সুবিধাভোগী রয়েছেন, যতজন যে প্রকল্প থেকে পরিষেবা পান, তাঁদের প্রত্যেকের অধিকার তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছনো উচিৎ, আর এই অধিকার সুনিশ্চিত করার কাজই আমরা করে চলেছি। স্যাচুরেশনের এই লক্ষ্যে সবচাইতে বড় উপকার এটাই যে দেশের কোনও গরীব মানুষ এই প্রকল্পগুলির আওতা থেকে বাদ পড়বেন না। সরকার সকলের কাছে পৌঁছবে। এর ফলে, বৈষম্যের সম্ভাবনা আর থাকবে না, দুর্নীতির সম্ভাবনা আর থাকবে না। আজ সমাজের শেষ পংক্তিতে বসে থাকা ব্যক্তিও যেন লাভবান হন – তেমন নীতি নিয়ে, তেমন মানসিকতা নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। এতে ‘সবকা সাথ’ বা সকলের সঙ্গও দেওয়া হবে, আবার ‘সবকা বিকাশ’ বা সকলের উন্নয়নও হবে।
বন্ধুগণ,
আমরা গ্রামগুলির ভূমিকাও ক্রমাগত সম্প্রসারিত করে চলেছি। দীর্ঘ সময় ধরে গ্রামের অর্থনীতিকে কেবলই চাষবাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে দেখা হত। আমরা কৃষিকে, কৃষকদেরকে, পশুপালকদেরকে ড্রোনের মতো আধুনিক প্রযুক্তিপ্রদান করছি এবং প্রাকৃতিক চাষের মতো পুরনো ব্যবস্থাকে আরও উৎসাহ যোগাচ্ছি। পাশাপাশি, গ্রামের অন্যান্য ক্ষমতাগুলিকেও আমরা শক্তিশালী করে তুলছি। দীর্ঘ সময় ধরে গ্রামের বাড়িগুলিতে এবং গ্রামের চাষের জমিতে আর্থিক গতিবিধি অত্যন্ত সীমিত ছিল কারণ, গ্রামের সম্পত্তির রেকর্ড সেরকম সুনিয়ন্ত্রিত ও সুব্যবস্থিত ছিল না। সেজন্য গ্রামে ব্যবসা করতে, গ্রামে শিল্পোদ্যোগ চালু করতে, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে অনেক অসুবিধা হত। এখন আমাদের চালু করা ‘স্বামীত্ব’ যোজনার মাধ্যমে গ্রামের বাড়িগুলির আইনি দলিল-দস্তাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের সকল জেলার ৫০ হাজারের বেশি গ্রামে সার্ভে করা হচ্ছে, সরেজমিনে সমীক্ষা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ গ্রামবাসীকে তাঁদের সম্পত্তির বিবরণ ও মানচিত্র সহ ‘প্রপার্টি কার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার ফলে কৃষি ও বাস্তু জমি এবং বাড়ি নিয়ে যত বিবাদ, মামলা-মোকদ্দমা হতো, সেগুলি হ্রাস পাবে আর প্রয়োজন হলে আমি আগে যেমন বললাম, ব্যাঙ্কগুলি থেকে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হবে।
বন্ধুগণ,
আমি আজ মাননীয় শিবরাজজির নেতৃত্বাধীন সরকারকে আরও একটি কাজের জন্য অভিবাদন জানাতে চাই। শস্যের সরকারি ক্রয়ে মধ্যপ্রদেশ অসাধারণ কাজ করেছে। নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। দেশের অনেক রাজ্যকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আজ আগের তুলনায় বেশি টাকা জমা করা হচ্ছে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘পিএম কিষাণ সম্মান নিধি’ও ক্ষুদ্র কৃষকদের অনেক সাহায্য করছে। মধ্যপ্রদেশের প্রায় ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র কৃষককে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ তাঁদের কৃষি আনুষঙ্গিক ছোট ছোট ব্যয়ের জন্য প্রদান করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এই সময় দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। আমাদের স্বাধীনতা এনে দেওয়ার জন্য ভারতমাতার লক্ষ লক্ষ বীর সুপুত্র এবং বীরাঙ্গনা কন্যারা তাঁদের জীবন, তাঁদের সুখ-সুবিধার আহুতি দিয়েছেন। সেই আহুতি আজ আমাদের স্বাধীন স্বতন্ত্র জীবন দিয়েছে। এই অমৃত মহোৎসবে আমাদেরও এই সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ, যাতে আমরা সকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কিছু দিয়ে যেতে পারি। এই সময়ে আমরা যত কাজ করব, সে গুলি যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণা হয়ে ওঠে, তাদের নিজেদের কর্তব্যগুলি মনে করিয়ে দেয়, এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেমন এখন আমরা সবাই মিলে একটি কাজ অবশ্যই করতে পারি, আর আমি চাই আজ মধ্যপ্রদেশের লক্ষ লক্ষ পরিবারের সঙ্গে আমি যখন কথা বলছি, এত বিপুল সংখ্যক মানুষের সঙ্গে যখন আমি কথা বলছি, তখন আমি একটি সঙ্কল্পের জন্য অবশ্যই অনুরোধ রাখব। আমরা কি সঙ্কল্প নিতে পারি যে এবার যখন নতুন বছর শুরু হবে তার দু-চারদিন পর থেকে, বা এ বছরের প্রথম মাসের যে প্রতিপদ, সেদিন থেকে শুরু করে আগামী বছরের প্রথম মাসের প্রতিপদ পর্যন্ত, অর্থাৎ আমাদের হাতে ১২ মাস আছে, ৩৬৫ দিন আছে, আমরা কি সঙ্কল্প নিতে পারি যে, দেশের প্রত্যেক জেলায় স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের স্মরণে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কিছু দিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প বাস্তবায়িত করার জন্য কিছু করব? প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি ‘অমৃত সরোবর’ খনন করব, আর আমি চাইব সম্ভব হলে প্রত্যেক জেলায় এই ‘অমৃত সরোবর’ নতুন হোক, বড় হোক। এগুলি গড়ে তুলতে সরকারের পক্ষ থেকে যতটা সাহায্য করা যায় তা করা যেতে পারে। যেমন ‘মনরেগা’ বাবদ যে অর্থ তার সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশের প্রত্যেক জেলায় নতুন ৭৫টি ‘অমৃত সরোবর’ তৈরি করতে পারলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনেক উপযোগী হবে। আমাদের ধরিত্রী মাতা এর ফলে অনেক উপকৃত হবেন। আমাদের ধরিত্রী মাতার তৃষ্ণা অনেকটা মিটবে। আমরা মায়ের বুক থেকে এত জল টেনে নিয়েছি যে এই ধরিত্রী মাতার বুক শুকিয়ে গেছে। তার তৃষ্ণা মেটানোর দায়িত্বও ধরিত্রী মায়ের সন্তানদেরই নিতে হবে। ধরিত্রী মায়ের সন্তান রূপে এটা আমাদের কর্তব্য। এর ফলে প্রকৃতির প্রাণেও একটি নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার হবে, একটি নতুন চেতনা জাগবে। এর মাধ্যমে ছোট ছোট কৃষকরা লাভবান হবেন। মহিলারা লাভবান হবেন। শুধু তাই নয়, এটা জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনের বড় কাজ হবে, পশু-পাখিদের জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক জেলায় ৭৫ নতুন ‘অমৃত সরোবর’ খনন মানবতার সপক্ষে অনেক বড় কাজ, যা আমাদের অবশ্যই করা উচিৎ। আমি সমস্ত রাজ্য সরকারকে, সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনকে, দেশের সমস্ত পঞ্চায়েতকে এই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানাই।
বন্ধুগণ,
এই অমৃতকাল ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার কাল। ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তখনই সম্ভব যখন দেশের দরিদ্র পরিবারগুলির ভবিষ্যৎ উন্নততর হবে। এই যেমন নতুন বাড়ি আপনাদের পরিবারকে নতুন দিশা দেবে। আপনাদেরকে নতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য যোগাবে। আপনার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা, দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করবে; এই শুভ কামনা করে, আপনাদের সবাইকে, সমস্ত সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের এই নতুন গৃহ প্রবেশের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই!
Citizens Appreciate India's Strategic Transformation under PM Modi: Economic, Technological, and Social Milestones
Empowering remote and Maoist-affected regions like Gadchiroli reflects the transformative approach envisioned by PM @narendramodi ji. Appreciation to the Maharashtra Government for advancing inclusive growth and ensuring a brighter future for every citizen!
Hon'ble PM @narendramodi's initiatives like Beti Bachao Beti Padhao, Mudra Yojana, and Ujjwala Yojana are empowering women and shaping a brighter future. These schemes promote financial independence, education, and health. Kudos Team Modi!! pic.twitter.com/HCPl8mW5S5
Bharat’s auto industry booms with its highest ever sales, underscoring a thriving economic sentiment & growing consumer confidence. Hon #PM@narendramodi Ji’s #NDA Govt’s dynamic auto sector policies has paved a future where mobility is both accessible& environmentally conscious. pic.twitter.com/sHQOQ5wYtf
A commendable initiative by @narendramodi ji 🙏This move is a significant stride toward empowering students and fostering growth among research enthusiasts. It reflects a strong commitment to shaping a brighter and more innovative future!
TB has been a serious health issue,work to fight against this malady is in full swing, thanks to @narendramodi Govt. The #NiKshayMitra initiative connects communities with TB patients, transform lives, by providing essential support &care. Let's all contribute, 4a.. #TBMuktBharatpic.twitter.com/Td5vPujGwg
India’s mobile exports crossed $1 billion in FY25, a landmark in electronics growth. This success is a testament to PM Shri @narendramodi ji’s forward-thinking policies, transforming India into a global tech hub. A proud moment for our nation. https://t.co/yNilEmhRiI
PM Shri @narendramodi ji’s leadership is driving India’s power sector to new heights, with power consumption rising nearly 6%. This growth reflects the increasing industrialization and urbanization, showcasing the nation’s evolving energy needs.https://t.co/q8LYv6Up0R
Immense appreciation to PM @narendramodi Ji for leading #AtmanirbharBharat & #MakeInIndia to success! With ₹1.46 lakh crore investments by August 2024, generating ₹12.50 lakh crore in production, ₹4 lakh crore in exports, and 9.5 lakh jobs—remarkable growth! pic.twitter.com/gaTKxwVfmR
India’s agritech sector is booming, creating 60-80k new jobs in the next five years. PM Modi ji’s support for innovation in agriculture is setting the stage for a sustainable future in farming and rural development.https://t.co/ZtYDUAhVVC