ওয়াহে গুরুজি কা খালসা।
ওয়াজে গুরুজি কী ফতহ।।
মঞ্চে উপস্থিত সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ আর প্রযুক্তির মাধ্যমে, ভার্চ্যুয়ালি সারা পৃথিবী থেকে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হওয়া সমস্ত ব্যক্তিবর্গ!
নবম গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম প্রকাশ পর্ব বা জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি সমর্পিত এই সুন্দর অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। এতক্ষণ ধরে শবদ কীর্তন শুনে সকলের মনে যে প্রশান্তি ছেয়ে গেছে তার অনুভব শব্দ দিয়ে ব্যক্ত করা অসম্ভব।
আজ কিছুক্ষণ আগে আমার গুরু তেগ বাহাদুরজির স্মৃতিতে সমর্পিত স্মারক ডাকটিকিট এবং মুদ্রা উদ্বোধনেরও সৌভাগ্য হয়েছে। আমি এই সৌভাগ্যকে আমার প্রতি গুরুদের বিশেষ কৃপা বলে মনে করি। এর আগে ২০১৯ সালে আমার গুরু নানক দেবজির ৫৫০তম প্রকাশ পর্ব এবং ২০১৭ সালে গুরু গোবিন্দ সিংহের ৩৫০তম প্রকাশ পর্ব উদযাপনে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে।
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ আমাদের দেশ ও দেশবাসী পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের গুরুদের আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে। আমি এই পূণ্য লগ্নে সকল ১০ গুরুর চরণে সাদর প্রণাম জানাই। আপনাদের সবাইকে, সকল দেশবাসীকে আর গোটা বিশ্বে গুরুবাণীর ওপর আস্থা রাখা সমস্ত মানুষকে আমি এই প্রকাশ পর্ব উপলক্ষে হৃদয় থেকে শুভকামনা জানাই।
বন্ধুগণ,
এই লালকেল্লা এরকম কতো না গুরুত্বপূর্ণ সময়খণ্ডের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। এই লালকেল্লা নবম গুরু তেগ বাহাদুর সাহেবের শহাদত বা আত্মবলিদানকেও দেখেছে আবার দেশের জন্য মৃত্যুবরণকারী অসংখ্য মানুষের সাহসকেও প্রত্যক্ষ করেছে। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর ধরে ভারতের কতো না স্বপ্নের গুঞ্জরন এখান থেকে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সেজন্য স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময় লালকেল্লায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত বিশেষ হয়ে উঠেছে।
বন্ধুগণ,
আমরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি তা আমাদের লক্ষ কোটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগ এবং আত্মবলিদানের কারণেই সম্ভব হয়েছে। স্বাধীন ভারত, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই গ্রহণ করতে পারা ভারত, গণতান্ত্রিক ভারত, বিশ্বে পরোপকারের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া ভারত – এমন ভারতের স্বপ্নকেই পূর্ণ হতে দেখার জন্য আমাদের কোটি কোটি পূর্বজ নিজেদের আত্মবলিদান দিয়ে গেছেন।
এই ভারতভূমি নিছকই একটি দেশ নয়। এই দেশ আমাদের মহান ঐতিহ্য, মহান পরম্পরার ধারক। এই ভারতকে আমাদের ঋষি, মুনি এবং গুরুরা শত শত, হাজার হাজার বছরের তপস্যা দিয়ে সিঞ্চন করেছেন, তাঁদের দর্শন, তাঁদের ভাবনা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। এই পরম্পরাকে সম্মান জানানোর জন্য, এর পরিচয়কে রক্ষা করার জন্য আমাদের ১০ জন গুরুই তাঁদের জীবন সমর্পণ করে গেছেন।
সেজন্য বন্ধুগণ, শত শত বছরের দাসত্ব থেকে মুক্তিকে, ভারতের স্বাধীনতাকে, ভারতের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক যাত্রা থেকে কখনোই আলাদা করে দেখা যায় না। তাই আজ দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবকে এবং পরম পূজ্য গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম প্রকাশ পর্বকে একসঙ্গে পালন করছে, একইরকমভাবে নিজেদের সঙ্কল্পগুলি ভক্তিভরে উচ্চারণ করে তাঁরা পালন করছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের গুরুরা সর্বদাই জ্ঞান এবং অধ্যাত্মের সঙ্গেই সমাজ এবং সংস্কৃতির উজ্জীবন এবং সংরক্ষনের দায়িত্বও সম্পাদন করেছেন। তাঁরা ভক্তির পাশাপাশি শক্তিকেও সেবার মাধ্যম করে তুলেছেন। যখন গুরু তেগ বাহাদুরজির জন্ম হয়েছিল, তখন গুরু পিতা বলেছিলেন –
“দীন রচ্ছ সঙ্কট হরণ”
অর্থাৎ, এই বালক একদিন একজন মহাত্মা হয়ে উঠবে। এই বালক দীন-দুঃখীদের রক্ষা করবে, সঙ্কটকে দূর করবে। সেজন্য শ্রী গুরু হরগোবিন্দ সাহিব তাঁর নাম রেখেছিলেন ত্যাগমল। সেই ত্যাগ গুরু তেগ বাহাদুরজি তাঁর জীবনে চরিতার্থও করে দেখিয়েছেন। দশম গুরু গোবিন্দ সিংহ-জি তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন –
“তেগ বাহাদর সিমরিয়ে, ঘর নৌ নিধি আভৈ ধাঈ।
সব থাই হোঈ সহাঈ।।”
অর্থাৎ, গুরু তেগ বাহাদুরজিকে স্মরণ করলেই নিজে থেকে সমস্ত সিদ্ধি প্রকট হতে শুরু করে। নবম গুরু তেগ বাহাদুরজির এমন অদ্ভূত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ছিল, তিনি এমনই বিলক্ষণ প্রতিভায় ধনী ছিলেন।
বন্ধুগণ,
এখানে লালকেল্লার কাছেই, এই সামনেই গুরু তেগ বাহাদুরজির অমর আত্মবলিদানের প্রতীক গুরুদ্বার শিসগঞ্জ সাহিব আজও সকলের ভালোবাসা কুড়াচ্ছে। এই পবিত্র গুরুদ্বার আমাদের স্মরণ করায় যে আমাদের মহান সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য গুরু তেগ বাহাদুরজির আত্মবলিদান কত বড় ঘটনা ছিল। সেই সময় দেশে ধর্মীয় কট্টরতার ধূলীঝড় এসেছিল। এমনিতে ধর্মকে দর্শন, বিজ্ঞান এবং আত্মবিশ্লেষণের বিষয় বলে যাঁরা মনে করতেন, সেই মানুষেরাই পরম্পরাগতভাবে আমাদের ভারতে নেতৃত্ব দিতেন। তাঁরা ধর্মের নামে হিংসা এবং অত্যাচারকে কখনই মেনে নেননি। সেজন্যে সেই সময়ও ভারতের নিজের পরিচয় রক্ষার জন্য একটি বড় আশা গুরু তেগ বাহাদুরজি রূপে মূর্ত হয়েছিল। অত্যাচারী ঔরঙ্গজেবের আততায়ী ভাবনার সামনে সেই সময় গুরু তেগ বাহাদুরজি ‘হিন্দ দি চাদর’ বা ভারতের বর্ম হয়ে একটি পাথরের চট্টানের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইতিহাস এর সাক্ষী রয়েছে। এই বর্তমান সময়ও আরেকটি ঘটনার সাক্ষী, আর এই লালকেল্লাও সাক্ষী যে যুগে যুগে ঔরঙ্গজেব আর তার মতো অত্যাচারীরা যতই অনেকের মাথাকে ধর থেকে আলাদা করে দিয়ে থাকুক না কেন, কিন্তু আমাদের আস্থাকে, আমাদের বিশ্বাসকে, আমাদের আত্মা থেকে আলাদা করতে পারেনি।
গুরু তেগ বাহাদুরজির আত্মবলিদান ভারতের অনেক প্রজন্মের লালিত নিজস্ব সংস্কৃতির মর্যাদাকে রক্ষার জন্য, তাঁদের আত্মসম্মান, তাঁদের অস্মিতা, তাঁদের মান-সম্মান রক্ষার জন্য বেঁচে থাকা, আর প্রয়োজনে মাথা উঁচু করে বীরদর্পে লড়তে লড়তে আত্মবলিদানের প্রেরণা দিয়েছে। এই বিশ্বে কালের সঙ্গে বড় বড় শাসন ক্ষমতা ধ্বস্ত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বড় বড় তুফান শান্ত হয়েছে। কিন্তু ভারত আজও তার নিজস্ব সংস্কৃতির মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রেখে অজর অমর অক্ষয়। ভারত আজও দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। আজ আরও একবার বিশ্ববাসী ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। মানবতাকে রক্ষার পথে পথ প্রদর্শনের আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আজও গুরু তেগ বাহাদুরজির আশীর্বাদ আমরা নতুন ভারতের আভামণ্ডলে, সর্বত্র, প্রত্যেক দিকে অনুভব করতে পারি।
ভাই ও বোনেরা,
আমাদের দেশে প্রত্যেক সময়খণ্ডে যখন যখন কোনও নতুন সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে, তখন কোনও না কোনও মহাত্মা এই পুরাতন দেশের মানুষকে নতুন পথ দেখিয়ে, নতুন দিশা দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ভারতের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি কোণা আমাদের পূজনীয় গুরুদের দিব্য প্রভাব এবং তাঁদের শেখানো জ্ঞানে আলোকিত, উদ্ভাসিত রয়েছে। গুরু নানক দেবজি গোটা দেশকে একসূত্রে গেঁথেছেন। গুরু তেগ বাহাদুরজির অনুসারীরা দেশের সমস্ত প্রান্তে ছড়িয়ে গেছেন। পাটনাতে পাটনা সাহিব, দিল্লিতে রকাবগঞ্জ সাহিব, আমাদের দেশের প্রত্যেক প্রান্তে গুরুদের জ্ঞান এবং আশীর্বাদ রূপে ‘এক ভারত’-এর দর্শন তাঁরা প্রচারিত করে গেছেন।
ভাই ও বোনেরা,
আমি মনে করি, এটা আমাদের সরকারের সৌভাগ্য যে এই মহান গুরুদের সেবার জন্য আমরা এত কিছু করার সুযোগ পেয়েছি। গত বছরই আমাদের সরকার সাহিবজাদাদের মহান বলিদানের স্মৃতিতে ২৬ ডিসেম্বর দিনটি প্রতি বছর ‘বীর বাল দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তীর্থাটন বা তীর্থ পর্যটনের স্বার্থে শিখ পরম্পরার তীর্থস্থানগুলিকে একসূত্রে যুক্ত করার জন্যও আমাদের সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কর্তারপুর সাহিব করিডরের জন্য অনেক দশক ধরে প্রতীক্ষা চলছিল, সেটি তৈরি করে আমাদের সরকার গুরু সেবার জন্য আমাদের দায়বদ্ধতাকে তুলে ধরেছে। আমাদের সরকার পাটনা সাহিব সহ গুরু গোবিন্দ সিংহ-জির স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিতে রেল সুবিধার আধুনিকীকরণও করিয়েছে। আমরা আমাদের ‘স্বদেশ দর্শন যোজনা’-র মাধ্যমে পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিব এবং অমৃতসরের অমৃতসর সাহিব (যা হরিমন্দির সাহিব বা স্বর্ণ মন্দির নামে পরিচিত) সহ সমস্ত প্রধান ভক্তি স্থলগুলিকে যুক্ত করে একটি তীর্থ সার্কিটও তৈরি করছি। উত্তরাখণ্ডে হেমকুন্ড সাহিবে যাতায়াতের পথকে সুগম করার জন্য রোপওয়ে তৈরির কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
বন্ধুগণ,
শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিবজি আমাদের জন্য আত্মকল্যাণের পথ প্রদর্শনের পাশাপাশি ভারতের বিবিধতা এবং একতার জীবন্ত স্বরূপও। সেজন্য যখন আফগানিস্তানে সঙ্কট তৈরি হয়, আমাদের পবিত্র গুরু গ্রন্থ সাহিবের স্বরূপগুলিকে সেখান থেকে অক্ষত অবস্থায় নিয়ে আসার প্রশ্ন উঠে আসে। আর সেজন্য ভারত সরকার সম্পূর্ণ শক্তি লাগিয়ে দেয়। আমরা শুধু যে গুরু গ্রন্থসাহিবের স্বরূপকে সম্পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে অক্ষত অবস্থায় মাথায় করে ফিরিয়ে এনেছি তা নয়, সঙ্কটের সময়ে সে দেশে আটকে পড়া আমাদের সমস্ত শিখ ভাইদেরও উদ্ধার করেছি। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু পরিবারগুলির জন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আমরাই সহজ করেছি। এ সবকিছু এজন্য সম্ভব হয়েছে, কারণ, আমাদের গুরুরা আমাদের মানবতাকে সর্বোপরি রাখার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আজ তাই প্রেম আর সৌহার্দ আমাদের সংস্কারের অংশ।
![](https://cdn.narendramodi.in/cmsuploads/0.58571600_1650602325_text-of-prime-minister-narendra-modi-s-address-during-400th-parkash-purab-celebrations-of-sri-guru-tegh-bahadur-ji-at-red-fort.jpg)
বন্ধুগণ,
আমাদের গুরুর বাণী হল –
“ভৈ কাহূ কো ডেত নহি,
নহি ভৈ মানত আন।
কহু নানক সুনি রে মনা,
জ্ঞানী তাহি বাখানি।।”
অর্থাৎ, জ্ঞানী তিনিই যিনি কাউকে ভয় দেখান না, আর কাউকে ভয় পানও না। ভারত কখনও কোনও দেশ বা সমাজের জন্য বিপদ তৈরি করেনি। আজও আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের কল্যাণের কথা ভাবি। একটাই কামনা করি, আমরা আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলি। সেখানে গোটা বিশ্বের প্রগতির লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করি। ভারত বিশ্বে যোগ-এর প্রচার ও প্রসারে উদ্যোগ নেয়। গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য এবং শান্তি কামনা করে বলেই ভারত এই কাজ করে। গতকালই আমি গুজরাট থেকে ফিরেছি সেখানে আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত চিকিৎসার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে। এখন ভারত বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পরম্পরাগত চিকিৎসার সুবিধাগুলি, পরম্পরাগত চিকিৎসার উপকারগুলিকে পৌঁছে দেবে। পরম্পরাগত চিকিৎসা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বন্ধুগণ,
আজকের বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্বের মধ্যেও, আন্তর্জাতিক বিবাদের মধ্যেও ভারত সরকার সম্পূর্ণ স্থিরতার সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য চেষ্টা করছে, কাজ করছে। আজ ভারত নিজেদের দেশের রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য অটল ততটাই দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সামনে গুরুদের দেওয়া মহান শিখ পরম্পরা রয়েছে। পুরনো ভাবনা, পুরনো কুসংস্কারকে পাশে সরিয়ে গুরুরা আমাদের সামনে নতুন নতুন ভাবনা তুলে ধরেছেন। তাঁদের শিষ্যরা সেগুলিকে আপন করে নিয়েছেন, সেগুলিকে শিখেছেন। নতুন নতুন ভাবনার এই সামাজিক অভিযান তখন একটি ধারাবাহিক ভাবনামূলক উদ্ভাবন ছিল। সেজন্য নতুন ভাবনা, সতত পরিশ্রম এবং ১০০ শতাংশ সমর্পণ – এটা আজও আমাদের শিখ সমাজের পরিচয়। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আজ দেশেরও এটাই সঙ্কল্প। আমাদের নিজেদের পরিচয় নিয়ে সর্বদা গর্ব করে যেতে হবে। আমাদের লোকাল নিয়ে ভোকাল হতে হবে, গর্ব করতে হবে। আমাদের আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণ করতে হবে। আমাদের একটি এমন ভারত গড়ে তুলতে হবে, যার সামর্থ্যকে বিশ্ববাসী দু’চোখ মেলে তাকিয়ে দেখবে, আর যা বিশ্বকে ও মানবতাকে ক্রমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। দেশের বিকাশ সাধন, দেশের দ্রুতগতিতে উন্নয়ন সাধন - এটা আমাদের সকলের কর্তব্য। সেজন্য সর্বস্তরে ‘সবকা প্রয়াস’-এর প্রয়োজন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে গুরুদের আশীর্বাদে ভারত তার গৌরবের শিখরে অবশ্যই পৌঁছবে। যখন আমরা স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি পালন করব, তখন একটি নতুন ভারত আমাদের সামনে মূর্ত হবেই।
গুরু তেগ বাহাদুরজি বলতেন –
“সাধো, গোবিন্দ কে গুণ গাও।
মানস জনম অমোল কপায়ো
ব্যর্থা কাহে গবাও।”
এই ভাবনা নিয়েই আমাদের নিজেদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য কাজে লাগাতে হবে, দেশের জন্য সমর্পণ করতে হবে। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে দেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে। এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে আরও একবার আন্তরিক শুভকামনা জানাই।
ওয়াহে গুরুজি কা খালসা।
ওয়াজে গুরুজি কী ফতহ।।