এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী একটি স্মারক মুদ্রা ও ডাক টিকিট প্রকাশ করেন
“শ্রদ্ধেয় গুরুদের শিক্ষায় দেশ এগিয়ে চলেছে”
“শত বছরের দাসত্ব থেকে ভারতের স্বাধীনতাকে তার আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক যাত্রাকে আলাদা করা যায় না”
“ঔরঙ্গজেবের অত্যাচারী চিন্তাধারার সামনে গুরু তেগ বাহাদুর ‘হিন্দ দি চাদর’ হিসেবে কাজ করেছিলেন”
“আমরা ‘নতুন ভারতের’ আলোয় সর্বত্র গুরু তেগ বাহাদুর জির আশীর্বাদ অনুভব করি”
“আমরা গুরুদের জ্ঞান ও আশীর্বাদের মধ্যে ‘এক ভারত’ দেখতে পাই”
“আজকের ভারত বিশ্বব্যাপী সংঘাতের মধ্যেও সম্পূর্ণ স্থিতিশীলতার সঙ্গে শান্তির জন্য প্রয়াস চালাচ্ছে এবং ভারত দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সমানভাবে শক্তিশালী”

ওয়াহে গুরুজি কা খালসা।

ওয়াজে গুরুজি কী ফতহ।।

মঞ্চে উপস্থিত সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ আর প্রযুক্তির মাধ্যমে, ভার্চ্যুয়ালি সারা পৃথিবী থেকে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হওয়া সমস্ত ব্যক্তিবর্গ!

নবম গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম প্রকাশ পর্ব বা জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি সমর্পিত এই সুন্দর অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। এতক্ষণ ধরে শবদ কীর্তন শুনে সকলের মনে যে প্রশান্তি ছেয়ে গেছে তার অনুভব শব্দ দিয়ে ব্যক্ত করা অসম্ভব।

আজ কিছুক্ষণ আগে আমার গুরু তেগ বাহাদুরজির স্মৃতিতে সমর্পিত স্মারক ডাকটিকিট এবং মুদ্রা উদ্বোধনেরও সৌভাগ্য হয়েছে। আমি এই সৌভাগ্যকে আমার প্রতি গুরুদের বিশেষ কৃপা বলে মনে করি। এর আগে ২০১৯ সালে আমার গুরু নানক দেবজির ৫৫০তম প্রকাশ পর্ব এবং ২০১৭ সালে গুরু গোবিন্দ সিংহের ৩৫০তম প্রকাশ পর্ব উদযাপনে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ আমাদের দেশ ও দেশবাসী পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের গুরুদের আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে। আমি এই পূণ্য লগ্নে সকল ১০ গুরুর চরণে সাদর প্রণাম জানাই। আপনাদের সবাইকে, সকল দেশবাসীকে আর গোটা বিশ্বে গুরুবাণীর ওপর আস্থা রাখা সমস্ত মানুষকে আমি এই প্রকাশ পর্ব উপলক্ষে হৃদয় থেকে শুভকামনা জানাই।

বন্ধুগণ,

এই লালকেল্লা এরকম কতো না গুরুত্বপূর্ণ সময়খণ্ডের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। এই লালকেল্লা নবম গুরু তেগ বাহাদুর সাহেবের শহাদত বা আত্মবলিদানকেও দেখেছে আবার দেশের জন্য মৃত্যুবরণকারী অসংখ্য মানুষের সাহসকেও প্রত্যক্ষ করেছে। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর ধরে ভারতের কতো না স্বপ্নের গুঞ্জরন এখান থেকে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সেজন্য স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময় লালকেল্লায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত বিশেষ হয়ে উঠেছে।

বন্ধুগণ,

আমরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি তা আমাদের লক্ষ কোটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগ এবং আত্মবলিদানের কারণেই সম্ভব হয়েছে। স্বাধীন ভারত, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই গ্রহণ করতে পারা ভারত, গণতান্ত্রিক ভারত, বিশ্বে পরোপকারের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া ভারত – এমন ভারতের স্বপ্নকেই পূর্ণ হতে দেখার জন্য আমাদের কোটি কোটি পূর্বজ নিজেদের আত্মবলিদান দিয়ে গেছেন।

এই ভারতভূমি নিছকই একটি দেশ নয়। এই দেশ আমাদের মহান ঐতিহ্য, মহান পরম্পরার ধারক। এই ভারতকে আমাদের ঋষি, মুনি এবং গুরুরা শত শত, হাজার হাজার বছরের তপস্যা দিয়ে সিঞ্চন করেছেন, তাঁদের দর্শন, তাঁদের ভাবনা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। এই পরম্পরাকে সম্মান জানানোর জন্য, এর পরিচয়কে রক্ষা করার জন্য আমাদের ১০ জন গুরুই তাঁদের জীবন সমর্পণ করে গেছেন।

সেজন্য বন্ধুগণ, শত শত বছরের দাসত্ব থেকে মুক্তিকে, ভারতের স্বাধীনতাকে, ভারতের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক যাত্রা থেকে কখনোই আলাদা করে দেখা যায় না। তাই আজ দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবকে এবং পরম পূজ্য গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম প্রকাশ পর্বকে একসঙ্গে পালন করছে, একইরকমভাবে নিজেদের সঙ্কল্পগুলি ভক্তিভরে উচ্চারণ করে তাঁরা পালন করছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের গুরুরা সর্বদাই জ্ঞান এবং অধ্যাত্মের সঙ্গেই সমাজ এবং সংস্কৃতির উজ্জীবন এবং সংরক্ষনের দায়িত্বও সম্পাদন করেছেন। তাঁরা ভক্তির পাশাপাশি শক্তিকেও সেবার মাধ্যম করে তুলেছেন। যখন গুরু তেগ বাহাদুরজির জন্ম হয়েছিল, তখন গুরু পিতা বলেছিলেন –

“দীন রচ্ছ সঙ্কট হরণ”

অর্থাৎ, এই বালক একদিন একজন মহাত্মা হয়ে উঠবে। এই বালক দীন-দুঃখীদের রক্ষা করবে, সঙ্কটকে দূর করবে। সেজন্য শ্রী গুরু হরগোবিন্দ সাহিব তাঁর নাম রেখেছিলেন ত্যাগমল। সেই ত্যাগ গুরু তেগ বাহাদুরজি তাঁর জীবনে চরিতার্থও করে দেখিয়েছেন। দশম গুরু গোবিন্দ সিংহ-জি তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন –

“তেগ বাহাদর সিমরিয়ে, ঘর নৌ নিধি আভৈ ধাঈ।

সব থাই হোঈ সহাঈ।।”

অর্থাৎ, গুরু তেগ বাহাদুরজিকে স্মরণ করলেই নিজে থেকে সমস্ত সিদ্ধি প্রকট হতে শুরু করে। নবম গুরু তেগ বাহাদুরজির এমন অদ্ভূত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ছিল, তিনি এমনই বিলক্ষণ প্রতিভায় ধনী ছিলেন।

বন্ধুগণ,

এখানে লালকেল্লার কাছেই, এই সামনেই গুরু তেগ বাহাদুরজির অমর আত্মবলিদানের প্রতীক গুরুদ্বার শিসগঞ্জ সাহিব আজও সকলের ভালোবাসা কুড়াচ্ছে। এই পবিত্র গুরুদ্বার আমাদের স্মরণ করায় যে আমাদের মহান সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য গুরু তেগ বাহাদুরজির আত্মবলিদান কত বড় ঘটনা ছিল। সেই সময় দেশে ধর্মীয় কট্টরতার ধূলীঝড় এসেছিল। এমনিতে ধর্মকে দর্শন, বিজ্ঞান এবং আত্মবিশ্লেষণের বিষয় বলে যাঁরা মনে করতেন, সেই মানুষেরাই পরম্পরাগতভাবে  আমাদের ভারতে নেতৃত্ব দিতেন। তাঁরা ধর্মের নামে হিংসা এবং অত্যাচারকে কখনই মেনে নেননি। সেজন্যে সেই সময়ও ভারতের নিজের পরিচয় রক্ষার জন্য একটি বড় আশা গুরু তেগ বাহাদুরজি রূপে মূর্ত হয়েছিল। অত্যাচারী ঔরঙ্গজেবের আততায়ী ভাবনার সামনে সেই সময় গুরু তেগ বাহাদুরজি ‘হিন্দ দি চাদর’ বা ভারতের বর্ম হয়ে একটি পাথরের চট্টানের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইতিহাস এর সাক্ষী রয়েছে। এই বর্তমান সময়ও আরেকটি ঘটনার সাক্ষী, আর এই লালকেল্লাও সাক্ষী যে যুগে যুগে ঔরঙ্গজেব আর তার মতো অত্যাচারীরা যতই অনেকের মাথাকে ধর থেকে আলাদা করে দিয়ে থাকুক না কেন, কিন্তু আমাদের আস্থাকে, আমাদের বিশ্বাসকে, আমাদের আত্মা থেকে আলাদা করতে পারেনি।

গুরু তেগ বাহাদুরজির আত্মবলিদান ভারতের অনেক প্রজন্মের লালিত নিজস্ব সংস্কৃতির মর্যাদাকে রক্ষার জন্য, তাঁদের আত্মসম্মান, তাঁদের অস্মিতা, তাঁদের মান-সম্মান রক্ষার জন্য বেঁচে থাকা, আর প্রয়োজনে মাথা উঁচু করে বীরদর্পে লড়তে লড়তে আত্মবলিদানের প্রেরণা দিয়েছে। এই বিশ্বে কালের সঙ্গে বড় বড় শাসন ক্ষমতা ধ্বস্ত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে বড় বড় তুফান শান্ত হয়েছে। কিন্তু ভারত আজও তার নিজস্ব সংস্কৃতির মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রেখে অজর অমর অক্ষয়। ভারত আজও দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। আজ আরও একবার বিশ্ববাসী ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। মানবতাকে রক্ষার পথে পথ প্রদর্শনের আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আজও গুরু তেগ বাহাদুরজির আশীর্বাদ আমরা নতুন ভারতের আভামণ্ডলে, সর্বত্র, প্রত্যেক দিকে অনুভব করতে পারি।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের দেশে প্রত্যেক সময়খণ্ডে যখন যখন কোনও নতুন সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে, তখন কোনও না কোনও মহাত্মা এই পুরাতন দেশের মানুষকে নতুন পথ দেখিয়ে, নতুন দিশা দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ভারতের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি কোণা আমাদের পূজনীয় গুরুদের দিব্য প্রভাব এবং তাঁদের শেখানো জ্ঞানে আলোকিত, উদ্ভাসিত রয়েছে। গুরু নানক দেবজি গোটা দেশকে একসূত্রে গেঁথেছেন। গুরু তেগ বাহাদুরজির অনুসারীরা দেশের সমস্ত প্রান্তে ছড়িয়ে গেছেন। পাটনাতে পাটনা সাহিব, দিল্লিতে রকাবগঞ্জ সাহিব, আমাদের দেশের প্রত্যেক প্রান্তে গুরুদের জ্ঞান এবং আশীর্বাদ রূপে ‘এক ভারত’-এর দর্শন তাঁরা প্রচারিত করে গেছেন।

ভাই ও বোনেরা,

আমি মনে করি, এটা আমাদের সরকারের সৌভাগ্য যে এই মহান গুরুদের সেবার জন্য আমরা এত কিছু করার সুযোগ পেয়েছি। গত বছরই আমাদের সরকার সাহিবজাদাদের মহান বলিদানের স্মৃতিতে ২৬ ডিসেম্বর দিনটি প্রতি বছর ‘বীর বাল দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তীর্থাটন বা তীর্থ পর্যটনের স্বার্থে শিখ পরম্পরার তীর্থস্থানগুলিকে একসূত্রে যুক্ত করার জন্যও আমাদের সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কর্তারপুর সাহিব করিডরের জন্য অনেক দশক ধরে প্রতীক্ষা চলছিল, সেটি তৈরি করে আমাদের সরকার গুরু সেবার জন্য আমাদের দায়বদ্ধতাকে তুলে ধরেছে। আমাদের সরকার পাটনা সাহিব সহ গুরু গোবিন্দ সিংহ-জির স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিতে রেল সুবিধার আধুনিকীকরণও করিয়েছে। আমরা আমাদের ‘স্বদেশ দর্শন যোজনা’-র মাধ্যমে পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিব এবং অমৃতসরের অমৃতসর সাহিব (যা হরিমন্দির সাহিব বা স্বর্ণ মন্দির নামে পরিচিত) সহ সমস্ত প্রধান ভক্তি স্থলগুলিকে যুক্ত করে একটি তীর্থ সার্কিটও তৈরি করছি। উত্তরাখণ্ডে হেমকুন্ড সাহিবে যাতায়াতের পথকে সুগম করার জন্য রোপওয়ে তৈরির কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ,

শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিবজি আমাদের জন্য আত্মকল্যাণের পথ প্রদর্শনের পাশাপাশি ভারতের বিবিধতা এবং একতার জীবন্ত স্বরূপও। সেজন্য যখন আফগানিস্তানে সঙ্কট তৈরি হয়, আমাদের পবিত্র গুরু গ্রন্থ সাহিবের স্বরূপগুলিকে সেখান থেকে অক্ষত অবস্থায় নিয়ে আসার প্রশ্ন উঠে আসে। আর সেজন্য ভারত সরকার সম্পূর্ণ শক্তি লাগিয়ে দেয়। আমরা শুধু যে গুরু গ্রন্থসাহিবের স্বরূপকে সম্পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে অক্ষত অবস্থায় মাথায় করে ফিরিয়ে এনেছি তা নয়, সঙ্কটের সময়ে সে দেশে আটকে পড়া আমাদের সমস্ত শিখ ভাইদেরও উদ্ধার করেছি। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু পরিবারগুলির জন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আমরাই সহজ করেছি। এ সবকিছু এজন্য সম্ভব হয়েছে, কারণ, আমাদের গুরুরা আমাদের মানবতাকে সর্বোপরি রাখার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আজ তাই প্রেম আর সৌহার্দ আমাদের সংস্কারের অংশ।

বন্ধুগণ,

আমাদের গুরুর বাণী হল –

“ভৈ কাহূ কো ডেত নহি,

নহি ভৈ মানত আন।

কহু নানক সুনি রে মনা,

জ্ঞানী তাহি বাখানি।।”

অর্থাৎ, জ্ঞানী তিনিই যিনি কাউকে ভয় দেখান না, আর কাউকে ভয় পানও না। ভারত কখনও কোনও দেশ বা সমাজের জন্য বিপদ তৈরি করেনি। আজও আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের কল্যাণের কথা ভাবি। একটাই কামনা করি, আমরা আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলি। সেখানে গোটা বিশ্বের প্রগতির লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করি। ভারত বিশ্বে যোগ-এর প্রচার ও প্রসারে উদ্যোগ নেয়। গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য এবং শান্তি কামনা করে বলেই ভারত এই কাজ করে। গতকালই আমি গুজরাট থেকে ফিরেছি সেখানে আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত চিকিৎসার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে। এখন ভারত বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পরম্পরাগত চিকিৎসার সুবিধাগুলি,  পরম্পরাগত চিকিৎসার উপকারগুলিকে পৌঁছে দেবে। পরম্পরাগত চিকিৎসা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বন্ধুগণ,

আজকের বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্বের মধ্যেও, আন্তর্জাতিক বিবাদের মধ্যেও ভারত সরকার সম্পূর্ণ স্থিরতার সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য চেষ্টা করছে, কাজ করছে। আজ ভারত নিজেদের দেশের রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য অটল ততটাই দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সামনে গুরুদের দেওয়া মহান শিখ পরম্পরা রয়েছে। পুরনো ভাবনা, পুরনো কুসংস্কারকে পাশে সরিয়ে গুরুরা আমাদের সামনে নতুন নতুন ভাবনা তুলে ধরেছেন। তাঁদের শিষ্যরা সেগুলিকে আপন করে নিয়েছেন, সেগুলিকে শিখেছেন। নতুন নতুন ভাবনার এই সামাজিক অভিযান তখন একটি ধারাবাহিক ভাবনামূলক উদ্ভাবন ছিল। সেজন্য নতুন ভাবনা, সতত পরিশ্রম এবং ১০০ শতাংশ সমর্পণ – এটা আজও আমাদের শিখ সমাজের পরিচয়। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আজ দেশেরও এটাই সঙ্কল্প। আমাদের নিজেদের পরিচয় নিয়ে সর্বদা গর্ব করে যেতে হবে। আমাদের লোকাল নিয়ে ভোকাল হতে হবে, গর্ব করতে হবে। আমাদের আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণ করতে হবে। আমাদের একটি এমন ভারত গড়ে তুলতে হবে, যার সামর্থ্যকে বিশ্ববাসী দু’চোখ মেলে তাকিয়ে দেখবে, আর যা বিশ্বকে ও মানবতাকে ক্রমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। দেশের বিকাশ সাধন, দেশের দ্রুতগতিতে উন্নয়ন সাধন - এটা আমাদের সকলের কর্তব্য। সেজন্য সর্বস্তরে ‘সবকা প্রয়াস’-এর প্রয়োজন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে গুরুদের আশীর্বাদে ভারত তার গৌরবের শিখরে অবশ্যই পৌঁছবে। যখন আমরা স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি পালন করব, তখন একটি নতুন ভারত আমাদের সামনে মূর্ত হবেই।

গুরু তেগ বাহাদুরজি বলতেন –

“সাধো, গোবিন্দ কে গুণ গাও।

মানস জনম অমোল কপায়ো

ব্যর্থা কাহে গবাও।”

এই ভাবনা নিয়েই আমাদের নিজেদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য কাজে লাগাতে হবে, দেশের জন্য সমর্পণ করতে হবে। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে দেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে। এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে আরও একবার আন্তরিক শুভকামনা জানাই।

ওয়াহে গুরুজি কা খালসা।

ওয়াজে গুরুজি কী ফতহ।।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।