“মাত্র ছ’বছরে কৃষি ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে; গত ৭ বছরে কৃষকদের জন্য ঋণের পরিমাণ আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে”
“With 2023 being recognized as International Year of Millets, the corporate world should come forward for branding and promoting Indian millets”“২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে ভারতীয় বাজরার বিষয়ে প্রচার ও ব্র্যান্ডিং-এর জন্য কর্পোরেট জগতের এগিয়ে আসা উচিৎ”
“একবিংশ শতাব্দীতে কৃষি ক্ষেত্র এবং চাষ আবাদের পদ্ধতিতে কৃত্রিম মেধা সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে”
“গত ৩-৪ বছরে দেশে ৭০০-রও বেশি কৃষি সংক্রান্ত স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে”
“কেন্দ্র সমবায় সংক্রান্ত একটি নতুন মন্ত্রক তৈরি করেছে; সমবায়কে কিভাবে একটি সফল শিল্পোদ্যোগে পরিণত করা যায়, সে বিষয়ে আপনাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ”

নমস্কার!

এই ওয়েবিনারে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগ ও অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুগণ, কৃষি-বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলির সঙ্গে জড়িত আমাদের সমস্ত কৃষক ভাই-বোনেরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

এটা অত্যন্ত সুখের বিষয় যে তিন বছর আগে আজকের দিনেই ‘পিএম কিষাণ সম্মান নিধি’র শুভ সূচনা হয়েছিল। এই প্রকল্প আজ দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের একটি অনেক বড় সম্বল হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে দেশের ১১ কোটি কৃষককে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর (ডিবিটি)-র মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। এই প্রকল্পেও আমাদের অভিজ্ঞতা ‘স্মার্ট’, সেজন্যে আমরা ‘স্মার্টনেস’ অনুভব করতে পারি। শুধু একটি ক্লিকে ১০-১২ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাওয়া, এই ঘটনাটি নিজেই যে কোনও ভারতবাসীর জন্য একটি গর্ব করার মতো বিষয়।

বন্ধুগণ,

বিগত সাত বছরে আমরা বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত এরকমই অসংখ্য নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, আর পুরনো ব্যবস্থাগুলিতে সংস্কার এনেছি। মাত্র ছয় বছরে কৃষি বাজেট অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণও সাত বছরে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার কঠিন সময়েও ‘স্পেশাল ড্রাইভ’ চালিয়ে আমরা ৩ কোটি ক্ষুদ্র কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (কেসিসি)-র পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করেছি। এই পরিষেবার সম্প্রসারণ পশুপালন এবং মৎস্যচাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্যও করা হয়েছে। ক্ষুদ্র সেচের নেটওয়ার্ক যত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে,  ক্ষুদ্র কৃষকদের সুবিধাও তত বাড়ছে।

বন্ধুগণ,

এই সকল প্রচেষ্টার ফলে প্রত্যেক বছর কৃষকরা রেকর্ড পরিমাণ ফসল ফলাচ্ছেন, আর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সরকারি ক্রয়ের নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। জৈব চাষকে উৎসাহ দেওয়ার ফলে আজ জৈব ফসলের বাজারও ১১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। জৈব ফসলজাত পণ্যের রপ্তানি বিগত ছয় বছরে ২ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি হয়ে গেছে।

বন্ধুগণ,

এ বছরের কৃষি বাজেট বিগত বছরগুলির এই প্রচেষ্টাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি সৎ প্রচেষ্টা, তারই একটি সম্প্রসারণ মাত্র। এই বাজেটে কৃষিকে আধুনিক এবং স্মার্ট করে তোলার জন্য বিশেষভাবে সাতটি পথ দেখানো হয়েছে। এই পরামর্শগুলি হল –

প্রথমত, গঙ্গার উভয় তীরে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রাকৃতিক চাষ মিশন মোডে করানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এতে হার্বাল মেডিসিন বা ভেষজ ঔষধি বৃক্ষ-গুল্মের চাষের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। ফুল-ফলের চাষের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, কৃষি এবং বাগিচা চাষে কৃষকদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো হবে।

তৃতীয়ত, ভোজ্যতেলের আমদানি হ্রাস করার জন্য ‘মিশন অয়েল পাম’-এর পাশাপাশি তিল জাতীয় শস্য চাষের ওপর যতটা জোর দেওয়া যায়, আমরা তাকে ততটাই শক্তিশালী করে তোলার দিকে সচেষ্ট রয়েছি,আর সেজন্যই এই বাজেটে এই ক্ষেত্রটিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

চতুর্থত, কৃষি ফলন ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহণের জন্য ‘পিএম গতি শক্তি প্ল্যান’-এর মাধ্যমে লজিস্টিক্সের নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।

এগ্রি-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বা কৃষি বর্জ্য ব্যবস্থাপনাগুলিকে বাজেটে পঞ্চম সমাধান হিসেবে রাখা হয়েছে। এই বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের নানা উপায়ের মাধ্যমেও কৃষকদের আয় বাড়ানো হবে।

ষষ্ঠ সমাধানটি হল, দেশের ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি ডাকঘরে এখন রেগুলার ব্যাঙ্কের মতো পরিষেবা প্রদান করা হবে যাতে কৃষকদের কোনও সমস্যা না হয়।

সপ্তম সমাধানটি হল, কৃষি গবেষণা ও কৃষি-শিক্ষার পাঠক্রমে দক্ষতা উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নে আজকের আধুনিক সময়ের নিরিখে পরিবর্তন আনা হবে।

বন্ধুগণ,

আজ বিশ্বে্র সর্বত্র স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে, পরিবেশ-বান্ধব জীবনশৈলীর প্রতি সচেতনতা বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষ এদিকে আকর্ষিত হচ্ছেন। এর মানে হল, বিশ্বে্র সর্বত্র জৈব চাষ বা প্রাকৃতিক চাষের বাজারও বাড়ছে। আমরা পরিবেশ-বান্ধব প্রাকৃতিক চাষ, জৈব চাষের সাহায্যে বাজার দখল করার চেষ্টা করতে পারি। প্রাকৃতিক চাষের নানা উপকারিতা প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে, প্রত্যেককে এর সুবিধাভোগী করে তুলতে আমাদের কৃষি-বিজ্ঞান কেন্দ্র ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজে লেগে পড়তে হবে। আমাদের কেভিকে বা কৃষি-বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি এক একটি গ্রামকে যাতে দত্তক নিতে পারে। আমাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ১০০ থেকে ৫০০ কৃষককে আগামী এক বছরে প্রাকৃতিক কৃষির দিকে নিয়ে আসার লক্ষ্য রাখতে পারে।

বন্ধুগণ,

আজকাল আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে, উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে আরও একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে তাদের ডাইনিং টেবিলে অনেক জিনিস পৌঁছে গেছে। প্রোটিনের নামে, ক্যালশিয়ামের নামে এরকম অনেক পণ্য এখন ডাইনিং টেবিলে স্থান করে নিয়েছে। এগুলির মধ্যে অনেক পণ্য বিদেশ থেকে আসছে আর এগুলি ভারতীয় স্বাদের অনুকূলও নয়, অথচ এই সমস্ত পণ্য আমাদের ভারতীয় কৃষি থেকেও উৎপন্ন হয় যা আমাদের কৃষকরাই বপন করেন। তাতে সবকিছু আছে, কিন্তু আমরা সঠিকভাবে তৈরি করতে পারছি না, সেগুলিকে সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারছি না, আর তাই এগুলিকে যথাযথভাবে বাজারজাত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রেও ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ভারতীয় শস্য, ভারতীয় ফসলের ক্ষেত্রেও আমরা এরকম অনেক বৈচিত্র্য পাই যা আমাদের স্বাদের অনুকূল। কিন্তু সমস্যা হল আমাদের দেশে এগুলির উৎকর্ষ সম্পর্কে সচেতনতা নেই। অনেক মানুষ এগুলি সম্পর্কে জানেন না। কিভাবে আমরা ভারতীয় শস্যগুলির গুণবত্তা প্রচার ও প্রসার করতে পারি, সেদিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।

আমরা দেখেছি যে, করোনাকালে আমাদের দেশের মশলা, বিশেষ করে হলুদের মতো মশলার আকর্ষণ অনেক বেড়েছে। ২০৩০ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেটস’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই, আমাদের দেশে জোয়ার-বাজরা জাতীয় শস্যের ফলন ভালো দাম পাবে। এক্ষেত্রে আমাদের কর্পোরেট জগতের এগিয়ে আসা উচিৎ। ভারতের মোটাদানার শস্যকে যথাযথ ব্র্যান্ডিং করে প্রচার করা উচিৎ। আমাদের দেশের মোটা ধান নিয়েও আরও প্রচার করা প্রয়োজন। অন্যান্য দেশে আমাদের যত মিশন যায়, তাঁরা সেখানকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যত বড় বড় সেমিনারে অংশগ্রহণ করে, সেখানে এর ওপর জোর দেওয়া উচিৎ যাতে সেখানকার যত আমদানিকারক রয়েছেন, তাঁরা ভারতের মিলেটস বা মোটাদানার শস্য সম্পর্কে অবহিত হন। ভারতের মোটা ধান কতটা উৎকৃষ্ট, সে সম্পর্কে অবহিত হন। আমাদের মোটা ধান ও মোটা শস্য কতটা সুস্বাদু, এই বিষয়টি প্রচারিত হওয়া উচিৎ। আমরা আমাদের সমস্ত মিশনকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারি। আমাদের দেশে আয়োজিত সেমিনার, ওয়েবিনারে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে আমাদের মিলেটস নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। ভারতের মিলেটস-এর পুষ্টিগুণ কত বেশি তার ওপর আমরা জোর দিতে পারি।

বন্ধুগণ,

আপনারা দেখেছেন যে আমাদের সরকার সয়েল হেলথ কার্ড বা মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড প্রদানের ওপর অনেক বেশি জোর দিচ্ছে। দেশের কোটি কোটি কৃষককে সয়েল হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন দেশেঢ় সর্বত্র প্যাথলজি ল্যাব ছিল না। মানুষ খুব একটা প্যাথলজি টেস্টও করাতেন না। কিন্তু আজকাল যে কোনও রোগ হলে আগে প্যাথলজি চেক-আপ হয়, প্যাথলজি ল্যাবে যেতে হয়। আমাদের স্টার্ট-আপগুলি, আমাদের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা কী দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট প্যাথলজি ল্যাবরেটরির মতো মাটির প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ল্যাব খুলে কৃষকদেরকে মাটি পরীক্ষার জন্য, ধরিত্রী মাতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পথ দেখাতে পারেন? মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এই পরীক্ষাগুলি যদি নিয়মিত হতে থাকে, আমাদের কৃষকদের মধ্যে যদি এই অভ্যাস আমরা তৈরি করতে পারি, প্রত্যেককে যদি সয়েল হেলথ কার্ড তুলে দিতে পারি, তাহলে আমাদের ছোট ছোট কৃষকরাও প্রত্যেক বছর অবশ্যই মৃত্তিকা পরীক্ষা করাবেন আর এর জন্য এ ধরনের সয়েল টেস্টিং ল্যাব-এর সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যেতে পারে, নতুন নতুন যন্ত্রপাতি তৈরি হতে পারে। আমি মনে করি এটি একটি অত্যন্ত বড় ক্ষেত্র আর এক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আমাদের স্টার্ট-আপগুলির এগিয়ে আসা উচিৎ।

আমাদের কৃষকদের মধ্যেও এই সচেতনতা বাড়াতে হবে, তাঁদের স্বভাবের মধ্যে সহজ পরিবর্তন আনতে হবে যাতে তাঁরা প্রত্যেক বছর, অন্ততপক্ষে বছরে একবার তাঁদের খেতের মাটি পরীক্ষা করান আর সেই পরীক্ষার ফল অনুযায়ী মাটিতে কোন ওষুধের প্রয়োজন, কোন সারের প্রয়োজন, কোন ফসলের জন্য কী কী দিতে হবে, তার একটা বৈজ্ঞানিক জ্ঞানও যাতে তাঁরা পান, সয়েল হেলথ কার্ড প্রধানের পাশাপাশি আপনারা সেই তথ্য তাঁদেরকে জানান। আমাদের নবীন বৈজ্ঞানিকরা ন্যানো-ফার্টিলাইজার ডেভেলপ করেছেন। এটি নিশ্চিতভাবে একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠতে চলেছে। ফলে, এক্ষেত্রেও কর্পোরেট জগতের সামনে কাজ করার অনেক সম্ভাবনা জেগে উঠেছে।

 

বন্ধুগণ,

‘ইনপুট কস্ট’ হ্রাস করা এবং বেশি ফলনের অনেক বড় মাধ্যম হল ক্ষুদ্র সেচ, আর এর মাধ্যমে একভাবে পরিবেশেরও সেবা করা হয়। জল সাশ্রয় আজ মানবজাতির জন্য একটি অনেক বড় কাজ। সরকার ‘পার ড্রপ মোর ক্রপ’ বা প্রতি বিন্দুতে অধিক শস্য উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে আর এটাই সময়ের চাহিদা। এতেও অনেক সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে আর সেজন্যই এক্ষেত্রে আপনারা এগিয়ে আসুন। এখন যেমন কেন-বেতোয়া লিঙ্ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বুন্দেলখণ্ডে কেমন পরিবর্তন আসবে এটা আপনারা সবাই খুব ভালোভাবে জানেন। যে কৃষি সেচ প্রকল্পগুলি অনেক দশক ধরে দেশে আটকে ছিল, সে লিকেও এখন দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত করা হচ্ছেচিৎ।

আগামী ৩-৪ বছরে আমরা ভোজ্যতেল উৎপাদনকে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য রেখেছি। এই লক্ষ্যে আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছতেই হবে। ‘ন্যাশনাল মিশন অন এডিবল অয়েল’ বা ভোজ্যতেলের জন্য জাতীয় অভিযানের মাধ্যমে পাম অয়েলের কৃষি সম্প্রসারণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে আর তিল চাষের ক্ষেত্রেও আমাদের বিপুল মাত্রায় এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

‘ক্রপ প্যাটার্ন’-এর জন্য, ‘ক্রপ ডাইভার্সিফিকেশন’ বা ফসলের বৈচিত্র্যকে উৎসাহ যোগানোর জন্যও আমাদের এগ্রি-ইনভেস্টর্সদের এগিয়ে আসা উচিৎ। যেমন ভারতে এই ধরনের মেশিন চাই, এটা আমদানিকারকরা খুব ভালোভাবেই জানেন। তাঁরা জানেন যে কিভাবে এই কাজ ভালোভাবে চলবে। তেমনই আমাদের দেশের ফসল সম্পর্কেও জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন, আমি তিল চাষ এবং ডাল চাষের উদাহরণ দিতে পারি। দেশে এগুলির অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের কর্পোরেট জগতকে এই দুই ধরনের চাষেকে উৎসাহ যোগানোর জন্য এগিয়ে আসা উচিৎ। এটা আপনাদের জন্য একটি ‘অ্যাশিওর্ড মার্কেট’। নিশ্চিত বাজার পাবেন আপনারা। বিদেশ থেকে আনার প্রয়োজন কী? আপনারা দেশের কৃষকদের আগে থেকেই বলতে পারেন যে তাঁরা যদি এই ফসল ফলান, তাহলে এত পরিমাণ ফসল আপনারা কিনবেন। এখন ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে। সেজন্য ইনস্যুরেন্সের নিরাপত্তাও আপনারা পাবেন। ভারতের ‘ফুড রিকোয়ারমেন্ট’ বা খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গবেষণা হওয়া উচিৎ আর যে জিনিসগুলির বেশি প্রয়োজন, সেগুলি যাতে ভারতে উৎপাদন করা যায়, সেকই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

বন্ধুগণ,

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একবিংশ শতাব্দীর কৃষি এবং কৃষি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে চলেছে। দেশের কৃষিতে ‘কিষাণ ড্রোন এর ব্যবহার যত বাড়বে, তত দ্রুত পরিবর্তন আসবে। ড্রোন প্রযুক্তি একটি মাত্রায় তখনই উন্নত হবে যখন আমরা এগ্রি-স্টার্ট-আপগুলিকে প্রোমোট করব। বিগত ৩-৪ বছরে দেশে ৭০০-রও বেশি এগ্রি-স্টার্ট-আপ তৈরি হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

‘পোস্ট-হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট’ বিগত সাত বছরে অনেক কাজ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর চেষ্টা করে গেছে যাতে প্রক্রিয়াকৃত খাদ্যের পরিধি বৃদ্ধি পায়, আমাদের পণ্যের  গুণ যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়! ।তাই ‘কিষাণ সম্পদা যোজনা’র পাশাপাশি পিএলআই স্কিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে ‘ভ্যালু চেন’ বা মূল্য শৃঙ্খলেরও অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ কৃষি পরিকাঠামো তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যে কিছুদিন আগেই ভারত সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আবু ধাবির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছে। এতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্যও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

‘এগ্রি-রেসিডিউ’ বা ফসলের অবশিষ্টাংশ, যাকে উত্তর ভারতে পরালী বলেন, তার যথাযথ ব্যবস্থাপনাও ততটাই প্রয়োজনীয়। সেজন্য এবারের বাজেটে কিছু নতুন উপায় রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণও হ্রাস পাবে আর কৃষকদের রোজগারও বাড়বে। এটা নিয়ে আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে। দেশের বৈজ্ঞানিকরা, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সমস্ত মেধাবী মানুষেরা ভাবুন! কৃষির কোনও বর্জ্য যেন নষ্ট না হয়, সমস্ত বর্জ্য যেন সম্পদে রূপান্তরিত হয়। আমাদের সুক্ষ্মভাবে ভাবতে হবে। এজন্য নতুন নতুন ব্যবস্থা আনতে হবে।

পরালী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা যত ধরনের সমাধান আনছি সেগুলি যেন কৃষকরা সহজে কাজে লাগান, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হওয়া উচিৎ। ‘পোস্ট হার্ভেস্ট ওয়েস্ট’ বা ফসল উৎপাদন পরবর্তী বর্জ্য আমাদের দেশের কৃষকদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। এখন এই বর্জ্যকে যদি আমরা সম্পদে রূপান্তরিত করতে পারি তাহলে দেশের কৃষকরাও সক্রিয়ভাবে আমাদের সাথী হয়ে উঠবেন, আমাদের অংশীদার হয়ে উঠবেন। এক্ষেত্রে পরিবহণ এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থাকে উৎসাহ যোগানো ও এই ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করতে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

সরকার এক্ষেত্রে অনেক কিছু করছে, কিন্তু আমাদের যে বেসরকারি ক্ষেত্র রয়েছে তাদেরকেও এক্ষেত্রে নিজেদের অবদান রাখতে হবে। আমি দেশের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকেও অনুরোধ করব, যাতে তাঁরা আমাদের ‘প্রায়রিটি ল্যান্ডিং’-এ এই সমস্ত কিভাবে বদলাবে, কিভাবে লক্ষ্য স্থির করবে, এর তদারকি কিভাবে হবে তা ঠিক করেন! যদি আমরা ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে এই ক্ষেত্রকে অর্থ যোগানের ব্যবস্থা করি, তাহলে আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্রের ছোট ছোট পদের মানুষেরাও অনেক বড় মাত্রায় এক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন। কৃষিক্ষেত্রে যে বেসরকারি কোম্পানিগুলি কাজ করছে তাদেরকে আমি বলব, আপনারা এই বিষয়টিকেও নিজেদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখুন।

 

বন্ধুগণ,

কৃষিতে উদ্ভাবন এবং প্যাকেজিং – দুটি এমন ক্ষেত্র, যেদিকে অনেক নজর দেওয়া এবং যা নিয়ে অনেক কাজ করার অনেক প্রয়োজন রয়েছে। আজ গোটা বিশ্বে ‘কনজিউমারিজম’ ক্রমবর্ধমান। সেজন্য প্যাকেজিং এবং ব্র্যান্ডিং-এর গুরুত্ব প্রতিদিন বাড়ছে। ফলের প্যাকেজিং-এ আমাদের কর্পোরেট হাউজগুলি, এগ্রি-স্টার্ট-আপগুলির বড় সংখ্যায় এগিয়ে আসা উচিৎ। এগুলি যে কৃষি বর্জ্য নিষ্কাশিত হবে, সেগুলিরও ‘বেস্ট প্যাকেজিং’ কিভাবে হতে পারে সেদিকেও তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তারা এক্ষেত্রে কৃষকদের সাহায্য করুন আর এই লক্ষ্যে নিজেদের পরিকল্পনা রচনা করুন।

ভারতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ইথানল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অনেক বড় সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সরকার ইথানলকে ২০ শতাংশ ব্লেন্ডিং-এর লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে চলেছে। এক্ষেত্রে তাই ‘অ্যাশিওর্ড মার্কেট’ বা নিশ্চিত বাজার রয়েছে। ২০১৪-র আগে যেখানে ১-২ শতাংশ ইথানল ব্লেন্ডিং হত, সেখানেই এখন ৮ শতাংশেরও বেশি ব্লেন্ডিং হয়। ইথানল ব্লেন্ডিং-কে বাড়ানোর জন্য সরকার অনেক বেশি উৎসাহভাতা দিচ্ছে। এক্ষেত্রেও আমাদের বাণিজ্য জগৎ এগিয়ে আসুক, আমাদের বিজনেস হাউজগুলি এগিয়ে আসুক।

আর একটি বিষয় হল প্রাকৃতিক ফলের রস। এর প্যাকেজিং-এর অনেক বড় গুরুত্ব রয়েছে। এমন প্যাকেজিং যার মাধ্যমে ওই পণ্যের আয়ু বৃদ্ধি পায়, যা অনেকদিন ধরে চলে, এরকম আরও কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ, আমাদের দেশে এত বিবিধ  গুণসম্পন্ন ফল হয়, আর ভারতে প্রাকৃতিক ফলের রসের অনেক বৈচিত্র্যও রয়েছে। আমাদের দেশে যে ফলের রস রয়েছে ,তার অনেক ধরনের অপশনও রয়েছে, অনেক বেশি বৈচিত্র্য রয়েছে। আমাদের উচিৎ বিদেশিদের নকল না করে ভারতে যত ধরণের প্রাকৃতিক ফলের রস রয়েছে সেগুলিকে প্রোমোট করা, উন্নত করা।

বন্ধুগণ,

আরও একটি বিষয় হল কো-অপারেটিভ সেক্টর নিয়ে। ভারতে কো-অপারেট সেক্টর বা সমবায় ক্ষেত্র অনেক পুরনো এবং স্পন্দিত। তা সে চিনি কারখানা হোক কিংবা সার কারখানা, ডেয়ারি শিল্প হোক কিংবা ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা, ফসল কেনার ক্ষেত্রে সমবায় ক্ষেত্রের অংশীদারিত্ব অনেক বড়। আমাদের সরকার এর মাধ্যমে কিছু নতুন নিয়মও তৈরি করেছে। আমাদের সরকার এর সঙ্গে যুক্ত কিছু নতুন মন্ত্রকও বানিয়েছে আর এর মূল কারণ হল কৃষকদের অধিক সাহায্য করা। আমাদের সমবায় ক্ষেত্রে একটি ‘ভাইব্র্যান্ট বিজনেস এনটিটি’ বাড়ানোর অনেক সুযোগ থাকে। আপনাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ যাতে সমবায় ক্ষেত্রকে একটি সফল বিজনেস এন্টারপ্রাইজে রূপান্তরণের চেষ্টা করা।

বন্ধুগণ,

আমাদের যে মাইক্রো-ফাইনান্সিং ইনস্টিটিউশন রয়েছে সেগুলির প্রতিও আমার অনুরোধ যে আপনারা এগিয়ে আসুন আর এগ্রি-স্টার্ট-আপগুলিকে ‘ফার্মার প্রোডিউস অর্গানাইজেশন’ বা এফপিও-গুলির মাধ্যমে যত বেশি সম্ভব আর্থিক সহায়তা করুন। আমাদের দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের কৃষিতে হওয়া খরচ হ্রাসের জন্য আপনারা একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। এর একটা সমাধান হল, ক্ষুদ্র কৃষকরা কোথা থেকে কৃষির নানা উপকরণ আনবেন তা ঠিক করা। আজকাল শ্রমিক খুব কম পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কৃষির নানা উপকরণ নিয়েএকটি নতুন পদ্ধতিতে ভাবা উচিৎ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা কী ‘পুলিং’-এর কথা ভাবতে পারি?

আমাদের কর্পোরেট জগতের উচিৎ এ ধরনের ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসা যাতে কৃষি সংক্রান্ত নানা উপকরণ ভাড়ায় পাওয়ার সুবিধা থাকে। আমাদের সরকার কৃষকদের অন্নদাতার পাশাপাশি শক্তিদাতা করে গড়ে তোলার জন্য বড় অভিযান চালাচ্ছে। সারা দেশে কৃষকদের সোলার পাম্প বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদের অধিকাংশ কৃষক কিভাবে কৃষিক্ষেত্র থেকে সৌরশক্তি উৎপাদন করবে তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের এই লক্ষ্যে চেষ্টা বাড়াতে হবে।

এভাবেই আমাদের খেতের আলগুলিতে আমরা অর্থকরী গাছ লাগাতে পারি। আমরা আজকাল টিম্বার আমদানি করি। যদি আমরা আমাদের কৃষকদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নিজেদের খেতের আলে মূল্যবান কাঠ রয়েছে এ ধরনের গাছ লাগাতে উৎসাহ যোগাতে পারি, তাহলে ১০ থেকে ২০ বছর পর তাঁদের আয়ের একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যত আইন বদলানোর দরকার হয়, তা বদলাবে।

বন্ধুগণ,

কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, কৃষিতে খরচ কম করা, বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত কৃষকদের আধুনিক পরিষেবা প্রদান – এগুলি সব আমাদের সরকার অগ্রাধিকার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের পরামর্শগুলির মাধ্যমে সরকারের এসব প্রচেষ্টা সার্থক হবে, আর আমাদের কৃষকরা যেমন স্বপ্ন দেখেন, কিছু করতে চান, তাঁরা তা করার উৎসাহ পাবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে আজ আমরা কৃষির একটি পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে চর্চা করতে চাই, পরম্পরাগত পদ্ধতিগুলি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ভাবতে চাই, বাজেটের আলোতে, বাজেটে যে জিনিসগুলির ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই জিনিসগুলির আলোতে আমরা কিভাবে উন্নতি করতে পারি তা দেখতে হবে আর আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ এই সেমিনারে যেন এই সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসে।

১ এপ্রিল থেকেই নতুন বাজেট যেদিন কার্যকর হবে, সেদিনই আমরা এই বিষয়গুলি ‘রোল আউট’ করে দেব, কাজ শুরু করে দেব। এখন আমাদের কাছে পুরো মার্চ মাসটা রয়েছে। বাজেট ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ করা হয়েছে। এখন সেই বাজেটই আমাদের সামনে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা সময় নষ্ট না করে জুন-জুলাই মাসে আমাদের কৃষকদের নতুন বছর কিভাবে পালন করব, তার আগে এই মার্চ মাসে সমস্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। এপ্রিলে আমাদের কৃষকদের কাছে কৃষির নানা উপকরণ, নানা জিনিস পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা আগেই রচনা করতে হবে। তাতে আমাদের কর্পোরেট জগত এগিয়ে আসুক, আমাদের ‘ফাইনান্সিয়াল ওয়ার্ল্ড’ এগিয়ে আসুক, আমাদের স্টার্ট-আপগুলি এগিয়ে আসুক, আমাদের প্রযুক্তিক্ষেত্রের সবাই এগিয়ে আসুক। ভারতের প্রয়োজনীয়তাগুলিকে বোঝার চেষ্টা করুক। যেহেতু ভারত কৃষি প্রধান দেশ, আমাদের কোনও কিছুই বাইরে থেকে আনা উচিৎ নয়। দেশের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আমাদের তৈরি করা উচিৎ।  

আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা যদি আমাদের কৃষকদেরকে, আমাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে, আমাদের কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীদেরকে এই সমস্ত কাজের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মে আনি আর তারপর এগিয়ে যাই, তাহলে প্রকৃত অর্থে বাজেট একটা শুধুই পরিসংখ্যানের খেলা হয়ে থাকবে না। বাজেট আমাদের জীবন পরিবর্তন, কৃষি পরিবর্তন, গ্রাম জীবন পরিবর্তনের একটি অনেক বড় সাধন হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য আমি আপনাদের অনুরোধ জানাই যে এই সেমিনার, এই ওয়েবিনার অত্যন্ত ফলপ্রসূ হওয়া উচিৎ, ‘কমপ্লিট’ হওয়া উচিৎ। সমস্ত ‘অ্যাকশানেবল পয়েন্টস’ সঙ্গে নিয়ে থাকতে হবে, আর তখনই গিয়ে আমরা পরিণাম আনতে পারব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা সবাই এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত হোন। সারা দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে আজ যাঁরা এই ওয়েবিনারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁরা সবাই এর সঙ্গে যুক্ত হোন। এর ফলে আপনারা সরকারি দপ্তরকেও অনেক ভালো পথ প্রদর্শন করতে পারবেন। ‘সিমলেসলি’ প্রতিটি পদক্ষেপকে কার্যকর করার পথ বেরিয়ে আসবে, আর আমরা দ্রুতগতিতে মিলেমিশে এগিয়ে যাব।

আমি আরও একবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই, আর আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Waqf Law Has No Place In The Constitution, Says PM Modi

Media Coverage

Waqf Law Has No Place In The Constitution, Says PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.