QuoteTo build a self-reliant India, confidence of the youth of the country is equally important: PM Modi
QuoteConfidence comes only when the youth has complete faith in their education and knowledge: PM Modi
QuoteThe second biggest focus after health in this year's budget is on education, skill, research and innovation: PM Modi

নমস্কার!

 

শিক্ষা, গবেষণা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

 

আজকের এই মন্থন একটা এমন সময়ে আয়োজিত হচ্ছে যখন দেশ, তার ব্যক্তি, বুদ্ধিবৃত্তি, শিল্পোদ্যোগের মেজাজ এবং মেধাকে দিশা প্রদানকারী সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রূপান্তরণের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই রূপান্তরণকে আরও গতি দিতে আপনাদের সবার কাছ থেকে বাজেটের আগেও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কেও দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সৌভাগ্য হয়েছিল। আর আজ এর বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে চলতে হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের জন্য দেশের যুবশক্তির মনে আত্মবিশ্বাস ততটাই জরুরি, আত্মবিশ্বাস তখনই জাগে যখন যুব সম্প্রদায় তাদের শিক্ষা, তাদের জ্ঞান, তাদের দক্ষতার ওপর সম্পূর্ণ ভরসা জাগবে, বিশ্বাস জাগবে। আত্মবিশ্বাস তখনই জাগে যখন কেউ অনুভব করেন তাঁকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে আর প্রয়োজনীয় দক্ষতাও দিচ্ছে।

 

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি এই ভাবনা নিয়েই তৈরি করা হয়েছে। প্রি-নার্সারি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষানীতির প্রত্যেক ব্যবস্থাকে যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের জন্য এখন আমাদের দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। করোনার ফলে যদি গতি কিছুটা কমে গিয়ে থাকে, এখন তার প্রভাব থেকে বেরিয়ে আমাদের সামান্য গতি বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে, আর এগিয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে।

 

এ বছরের বাজেটও এই লক্ষ্যে অত্যন্ত সহায়ক প্রমাণিত হবে। এ বছরের বাজেটে স্বাস্থ্যের পর সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা, দক্ষতা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং আরঅ্যান্ডডি প্রতিষ্ঠানগুলিতে উন্নত ঐকতান আজ আমাদের দেশের সবথেকে বড় প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। এসব দিকে লক্ষ্য রেখে ‘গ্লু-গ্র্যান্ট’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে যার মাধ্যমে এখন ছয়টি শহরে এর প্রয়োজনীয় মেকানিজম তৈরি করা যাবে।

 

বন্ধুগণ,

 

অ্যাপ্রেন্টিসশিপ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে এই বাজেটে যে জোর দেওয়া হয়েছে, সেটাও অভূতপূর্ব। এই বাজেটে এসব বিষয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা থেকে শুরু করে দেশের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বিগত বছরগুলিতে শিক্ষাকে কর্মসংস্থান যোগ্যতা এবং শিল্পোদ্যোগ ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবারের বাজেটে এগুলিকে আরও বিস্তারিত করা হয়েছে।

 

এই সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিণাম হল আজ বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিনটি দেশের অন্যতম হয়ে উঠেছে। পিএইচডি করা মানুষদের সংখ্যা আর স্টার্ট-আপ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিনটি দেশের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছি।

 

আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ভারত বিশ্বের সেরা ৫০টি উদ্ভাবক দেশের তালিকায় সামিল হয়েছে আর নিরন্তর উন্নতি করছে। উচ্চশিক্ষা, গবেষণা আর উদ্ভাবনকে নিরন্তর উৎসাহ যোগানোর ফলে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা এবং নবীন বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন সুযোগের দিকে অনেক বেশি এগিয়ে যাচ্ছেন, আর সবচাইতে ভালো কথা হল যে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশীদারিত্ব এখন সন্তোষজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

|

বন্ধুগণ,

 

প্রথমবার দেশের স্কুলগুলিতে অটল টিঙ্কারিং ল্যাব থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিতে অটল ইনকিউবেশন সেন্টার পর্যন্ত ব্যবস্থা গড়তে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশের স্টার্ট-আপগুলির জন্য হ্যাকাথন-এর নতুন পরম্পরা গড়ে উঠেছে যা দেশের নবীন প্রজন্ম এবং শিল্পোদ্যোগ উভয়ের জন্যই অত্যন্ত শক্তিসঞ্চারী প্রমাণিত হয়েছে। ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর ডেভেলপিং অ্যান্ড হারনেসিং ইনোভেশন-এর মাধ্যমেই ৩,৫০০-রও বেশি স্টার্ট-আপকে লালন করা হয়েছে।

 

এভাবে দ্য ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটিং মিশন-এর মাধ্যমে পরমশিবায়, পরমশক্তি, তিনটি সুপার কম্পিউটার, আইআইটি বিএইচইউ, আইআইটি খড়্গপুর এবং আইআইএসইআর পুণেতে স্থাপন করা হয়েছে। এ বছর দেশে এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সুপার কম্পিউটার স্থাপন করার প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। আইআইটি খড়্গপুর, আইআইটি দিল্লি এবং বিএইচইউ-তে তিনটি সফিস্টিকেটেড অ্যানালিটিক্যাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল হেল্প ইনস্টিটিউট বা সাথী উন্নত পরিষেবা প্রদান করছে।

 

এই সমস্ত কাজ সম্পর্কে কথা বলা আজ এজন্য প্রয়োজন কারণ বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবধারাকে তুলে ধরতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতে আমাদের সবাইকে ঊনবিংশ শতাব্দীর ভাবনাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে - “ব্যয়ে কৃতে বর্ধতে এব নিত্যং বিদ্যাধনং সর্বধন প্রদানম।।”

অর্থাৎ, বিদ্যা এমন ধন যা নিজের কাছে সীমাবদ্ধ রাখলে বাড়ে না, বিতরণ করলে বাড়ে। সেজন্য বিদ্যাধন, বিদ্যাদান শ্রেষ্ঠ দান। জ্ঞানকে, গবেষণাকে সীমিত রাখা দেশের সামর্থ্যের প্রতি অনেক বড় অন্যায় - এই ভাবনা নিয়ে মহাকাশ থেকে শুরু করে পরমাণু শক্তি, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন থেকে শুরু করে কৃষি - এরকম অনেক ক্ষেত্রের দরজা আমাদের প্রতিভাবান যুব সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।

 

সম্প্রতি আরও দুটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যেগুলির মাধ্যমে উদ্ভাবন, গবেষণা এবং উন্নয়নের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা অত্যন্ত লাভবান হবে। দেশ প্রথমবার আবহাওয়া-বিদ্যা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানকে উত্তীর্ণ ভারতীয় সমাধান পেয়েছে, আর এই ব্যবস্থা লাগাতার শক্তিশালী করা হচ্ছে। এর ফলে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের আরও পণ্য আন্তর্জাতিক মানের ক্ষমতা নির্ধারণে উন্নতি করবে।

 

তাছাড়া সম্প্রতি জিও-স্পেশিয়াল ডেটা নিয়ে অনেক বড় সংস্কার করা হয়েছে। এখন মহাকাশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আর সেগুলির ভিত্তিতে তৈরি মহাকাশ প্রযুক্তিকে দেশের নবীন প্রজন্মের জন্য, দেশের নবীন শিল্পোদ্যোগীদের জন্য, স্টার্ট-আপগুলির জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে উপস্থিত সমস্ত বন্ধুদের প্রতি আমার অনুরোধ যে এই সংস্কারকে যত বেশি সম্ভব কাজে লাগান।

 

বন্ধুগণ,

 

এ বছরের বাজেটে প্রতিষ্ঠান গঠন এবং তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। দেশে প্রথমবার ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। সেজন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ থেকে গবেষণা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনগত কাঠামো থেকে শুরু করে গবেষণা ও উন্নয়ন, শিক্ষক জগৎ এবং শিল্প জগতের সংযোগ শক্তিশালী হবে। বায়ো-টেকনলজি সংশ্লিষ্ট গবেষণার জন্য বাজেটে ১০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি সরকারের অগ্রাধিকারকে ব্যক্ত করে।

|

বন্ধুগণ,

 

ভারতের ফার্মা এবং টিকা সংক্রান্ত গবেষকরা ভারতকে নিরাপত্তা এবং সম্মান দুটোই এনে দিয়েছে। আমাদের এই সামর্থ্যকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য সরকার আগেই সাতটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চকে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বেসরকারি ক্ষেত্রে, আমাদের শিল্প জগতের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ভূমিকা আগামীদিনে আরও অনেক বিস্তারিত হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

এখন বায়ো-টেকনলজির সামর্থ্যের পরিধি দেশের খাদ্য সুরক্ষা, পুষ্টি ও কৃষির উন্নতিসাধনে কিভাবে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করা যায় সেজন্য প্রচেষ্টা চলছে। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য, তাঁদের জীবন উন্নত করার জন্য বায়ো-টেকনলজি সংশ্লিষ্ট গবেষণায় যে বন্ধুরা কাজ করছেন, তাঁদের থেকে দেশের অনেক প্রত্যাশা। আমি শিল্প জগতের সমস্ত বন্ধুদের অনুরোধ জানাই, এক্ষেত্রে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়ান। দেশে ১০টি বায়ো-টেক ইউনিভার্সিটি রিসার্চ জয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রি ট্রান্সলেশনাল ক্লাস্টার বা উর্জিত গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে এক্ষেত্রে যত উদ্ভাবন হবে সেগুলি যাতে দ্রুতগতিতে শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এভাবে দেশে ১০০টিরও বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলায় বায়ো-টেক-কৃষক প্রোগ্রামের আয়োজন করে, হিমালয়ান বায়ো-রিসোর্স মিশন প্রোগ্রাম কিংবা কনসর্টিয়াম প্রোগ্রাম অন মেরিন বায়ো-টেকনলজি নেটওয়ার্ক-এর ক্ষেত্রে গবেষণা ও শিল্পোদ্যোগের অংশীদারিত্ব কিভাবে বাড়ানো যেতে পারে তা নিয়ে আমাদের মিলেমিশে করতে হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

ভবিষ্যতের জ্বালানি গ্রিন এনার্জি আমাদের শক্তিক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেজন্য বাজেটে ঘোষিত হাইড্রোজেন মিশনের একটা বড় সঙ্কল্প রয়েছে। ভারত হাইড্রোজেন ভেহিকেল টেস্ট করে নিয়েছে। এখন হাইড্রোজেনকে যানবাহনে জ্বালানি রূপে ব্যবহার আর তার জন্য দেশকে ‘ইন্ডাস্ট্রি রেডি’ করে গড়ে তুলতে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তাছাড়া, সমুদ্র সম্পদ সংশ্লিষ্ট গবেষণায়ও নিজেদের সামর্থ্যকে প্রসারিত করতে হবে। সরকার ডিপ সি মিশনও উদ্বোধন করতে চলেছে। এই মিশন লক্ষ্য নির্ধারিত হবে আর বহুমুখী দৃষ্টিকোণ-ভিত্তিক হবে যাতে নীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে আমরা সম্পূর্ণরূপে ‘আনলক’ করতে পারি।

 

বন্ধুগণ,

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প জগতের যৌথ উদ্যোগকে আমাদের আরও মজবুত করতে হবে যাতে আমাদের নতুন গবেষণাপত্রগুলি প্রকাশ করাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সারা পৃথিবীতে যত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়, সেগুলি কিভাবে ভারতীয় গবেষক ও ছাত্রছাত্রীরা সহজে পড়তে পারেন এই বিষয়টা সুনিশ্চিত করাও আজ সময়ের চাহিদা। সরকার নিজস্ব স্তরে এ বিষয়ে কাজ করছে কিন্তু শিল্পোদ্যোগগুলিকেও এক্ষেত্রে নিজেদের পক্ষ থেকে অবদান রাখতে হবে।

 

আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, অ্যাক্সেস এবং অন্তর্ভুক্তিকরণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে আর অ্যাফোর্ডেবিলিটি, অ্যাক্সেস এর একটি অত্যন্ত বড় পূর্ব শর্ত। আরেকটি বিষয়কে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে তা হল, গ্লোবালকে কিভাবে লোকালের সঙ্গে সংহত করব। আজ সারা পৃথিবীতে ভারতের প্রতিভার চাহিদা রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুভব করে আমাদের স্কিলসেটগুলির আরও মানচিত্রায়ন প্রয়োজনীয় এবং সেই ভিত্তিতে দেশের নবীন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে।

 

ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পাসগুলিকে ভারতে আনার প্রসঙ্গ হোক কিংবা অন্যান্য দেশের বেস্ট প্র্যাক্টিসেসগুলির কোলাবোরেশনের মাধ্যমে অ্যাডপ্ট করা হোক – এসবের জন্য আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দেশের যুব সম্প্রদায়কে ‘ইন্ডাস্ট্রি রেডি’ করে তোলার পাশাপাশি নতুন নতুন সমস্যা, পরিবর্তিত প্রযুক্তির সঙ্গে স্কিল আপগ্রেডেশন করার কার্যকরি মেকানিজম সম্পর্কেও একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে। এবারের বাজেটে ‘ইজ অফ ডুয়িং অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমেও শিল্পোদ্যোগ এবং যুব সম্প্রদায় অত্যন্ত লাভবান হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এক্ষেত্রেও শিল্পোদ্যোগের অংশীদারিত্ব বিস্তারিত হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

দক্ষতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সমাহারকে না বুঝলে এ কাজ করা সম্ভব নয়। সেজন্য নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচাইতে বড় সংস্কার আনা হচ্ছে। এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী সমস্ত বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের থেকে বেশি ভালো করে কে জানে যে কোনও বুঝতে ভাষার একটা বড় অবদান থাকে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্থানীয় ভাষার ব্যবহারকে বেশি উৎসাহ যোগানো হয়েছে।

 

এখন এই সমস্ত শিক্ষাবিদদের ওপর রয়েছে সমস্ত ভাষায় দেশ এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঠ্যকে কিভাবে ভারতীয় ভাষাগুলিতে প্রস্তুত করা হবে। প্রযুক্তির এই যুগে এটা খুব ভালোভাবেই সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ভারতীয় ভাষাগুলিতে একটি উন্নতমানের পাঠ্য যাতে দেশের যুব সম্প্রদায় পায় তা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসা-বিদ্যা থেকে শুরু করে প্রযুক্তি ও কারিগরি-বিদ্যা ব্যবস্থাপনা এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞতার জন্য ভারতীয় ভাষাগুলিতে পাঠ্য রচনা অত্যন্ত জরুরি।

 

আমি আপনাদেরকে অনুরোধ জানাই, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে কোনকালেই আমাদের দেশে প্রতিভার অভাব ছিল না। গ্রামের গরীবরা নিজেদের মাতৃভাষা ছাড়া আর কিছু জানেন না, কিন্তু তাঁদের প্রতিভার অভাব নেই। ভাষার কারণে আমাদের গ্রামের গরীব মেধাগুলি যাতে শুকিয়ে না যায়, সেটা দেখতে হবে। দেশের উন্নয়ন যাত্রা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত রাখা উচিৎ নয়। ভারতের মেধা গ্রামেও আছে, ভারতের গরীব বাড়িতেও আছে। কোনও ভাষাকে সমস্ত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না রাখলে তবেই দেশের সমস্ত মেধাকে এতবড় দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো যাবে। সেজন্য ভাষার ব্যবধান থেকে বের করে এনে আমাদের তাঁদের মাতৃভাষাতেই মেধা লালন-পালন ও প্রস্ফুটনের সুযোগ দিতে হবে। একাজ মিশন মোডে করার প্রয়োজন রয়েছে। বাজেটে ঘোষিত ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন মিশন থেকেও এই বিষয়টি অত্যন্ত উৎসাহ পাবে।

 

বন্ধুগণ,

 

এই সমস্ত ব্যবস্থা, এই সমস্ত সংস্কার আপনাদের সকলের অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হতে পারে। সরকার থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, শিল্পোদ্যোগ সবাই মিলেমিশে কিভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রটিকে এগিয়ে নিয়ে যাব তা নিয়ে আজকের আলোচনা ও পরামর্শগুলি অত্যন্ত মূল্যবান প্রমাণিত হবে, আমাদের সকলের কাজে লাগবে। আমাকে বলা হয়েছে যে আগামী কয়েক ঘন্টা ধরে এই বিষয়গুলি নিয়ে ছয়টি মূল ভাবনায় এখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

 

এখান থেকে যত পরামর্শ এবং সমাধান বেরিয়ে আসবে, সেগুলি নিয়ে দেশ অত্যন্ত আশাবাদী। আর আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব যে এখন নীতিতে এই পরিবর্তন আসা উচিৎ কিংবা বাজেটে এই পরিবর্তন আসা উচিৎ এই বিষয়ে আলোচনা করবেন না, এটার সময় পেরিয়ে গেছে। এখন শুধু পরবর্তী ৩৬৫ দিন, ১ তারিখ থেকে নতুন বাজেটের বাস্তবায়ন, নতুন প্রকল্পগুলি কিভাবে দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত করা যায়, বেশি করে কিভাবে ভারতের প্রতিটি অঞ্চলে এর সুফল পৌঁছয়, প্রান্তিক মানুষটি পর্যন্ত কিভাবে পৌঁছবে তার রোড-ম্যাপ কেমন হবে, সেজন্য কি ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যেসব ছোট-বড় বাধা রয়েছে বাস্তবায়নের সময় সেগুলি থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, এই সমস্ত বিষয়কে যত বেশি গুরুত্ব দেবেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকে নতুন বাজেট কার্যকর করতে ততটাই সুবিধা হবে। আমাদের কাছে যতটা সময় আছে তাকে যত বেশি সম্ভব কাজে লাগানো ইচ্ছা রয়েছে।

 

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনাদের কাছে অভিজ্ঞতা রয়েছে, ভিন্ন ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনাদের ভাবনা, আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং কিছু না কিছু দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুতিই আমাদের ইস্পিত পরিণাম এনে দেবে। আমি আপনাদের সবাইকে এই ওয়েবিনারের জন্য, উচ্চতম ভাবনার জন্য, অত্যন্ত পারফেক্ট রোড-ম্যাপ তৈরি করার প্রত্যাশা নিয়ে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

 

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
MiG-29 Jet, S-400 & A Silent Message For Pakistan: PM Modi’s Power Play At Adampur Airbase

Media Coverage

MiG-29 Jet, S-400 & A Silent Message For Pakistan: PM Modi’s Power Play At Adampur Airbase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Cabinet approves semiconductor unit in Uttar Pradesh
May 14, 2025
QuoteSemiconductor mission: Consistent momentum

The Union Cabinet chaired by the Prime Minister Shri Narendra Modi today approved the establishment of one more semiconductor unit under India Semiconductor Mission.

Already five semiconductor units are in advanced stages of construction. With this sixth unit, Bharat moves forward in its journey to develop the strategically vital semiconductor industry.

The unit approved today is a joint venture of HCL and Foxconn. HCL has a long history of developing and manufacturing hardware. Foxconn is a global major in electronics manufacturing. Together they will set up a plant near Jewar airport in Yamuna Expressway Industrial Development Authority or YEIDA.

This plant will manufacture display driver chips for mobile phones, laptops, automobiles, PCs, and myriad of other devices that have display.

The plant is designed for 20,000 wafers per month. The design output capacity is 36 million units per month.

Semiconductor industry is now shaping up across the country. World class design facilities have come up in many states across the country. State governments are vigorously pursuing the design firms.

Students and entrepreneurs in 270 academic institutions and 70 startups are working on world class latest design technologies for developing new products. 20 products developed by the students of these academic students have been taped out by SCL Mohali.

The new semiconductor unit approved today will attract investment of Rs 3,700 crore.

As the country moves forward in semiconductor journey, the eco system partners have also established their facilities in India. Applied Materials and Lam Research are two of the largest equipment manufacturers. Both have a presence in India now. Merck, Linde, Air Liquide, Inox, and many other gas and chemical suppliers are gearing up for growth of our semiconductor industry.

With the demand for semiconductor increasing with the rapid growth of laptop, mobile phone, server, medical device, power electronics, defence equipment, and consumer electronics manufacturing in Bharat, this new unit will further add to Prime Minister Shri Narendra Modiji’s vision of Atmanirbhar Bharat.