Published By : Admin |
November 5, 2020 | 19:10 IST
Share
India has shown remarkable resilience in this pandemic, be it fighting the virus or ensuring economic stability: PM
India offers Democracy, Demography, Demand as well as Diversity: PM Modi
If you want returns with reliability, India is the place to be: PM Modi
নমস্কার। উৎসবের মরশুমে সকলকে শুভেচ্ছা।
আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আপনাদের আগ্রহ দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আমরা আশা করি আপনাদের সঙ্গে আমাদের আরও ভালো বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা এবং আমাদের চিন্তাধারা ভালোভাবে বাস্তবায়িত হবে।
বন্ধুগণ,
এ বছর ভারত আন্তর্জাতিক মহামারীর বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছে। সারা বিশ্ব দেখেছে ভারতের জাতীয় চরিত্র। সারা বিশ্ব ভারতের প্রকৃত শক্তিও দেখেছে। ভারত সফলভাবে তার যে চরিত্র সেটি প্রকাশ করেছে : দায়িত্ববোধ। সহানুভূতিশীল, জাতীয় ঐক্যের ভাবনা। উদ্ভাবনের বহিঃপ্রকাশ। ভারত এই মহামারীর মধ্যেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই কিংবা আর্থিক স্থিরতাকে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা দেখিয়েছে । এই দৃঢ়তার মাধ্যমে আমাদের ব্যবস্থার শক্তি, আমাদের জনসাধারণের সমর্থন ও আমাদের নীতির স্থায়িত্ব প্রতিফলিত হয়েছে। এর কারণ, আমরা আমাদের ব্যবস্থার শক্তির মাধ্যমে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করতে পেরেছি, ৪২ কোটি মানুষের কাছে টাকা পাঠিয়েছি এবং ৮ কোটি পরিবারে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করেছি। জনসাধারণের সমর্থনের মধ্য দিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়া, এসব নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ভারত এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই চালিয়েছে। আমাদের নীতির স্থিরতার কারণে ভারত বিশ্বে বিনিয়োগকারীদের অন্যতম গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে।
বন্ধুগণ,
আমরা নতুন এক ভারত গড়ে তুলছি যেখানে পুরনো ব্যবস্থাগুলিকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। আজ ভারত আরও উন্নত হওয়ার জন্য পরিবর্তিত হচ্ছে। আর্থিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতা থেকে আর্থিক প্রজ্ঞায় রূপান্তরিত হচ্ছে। চূড়ান্ত মূল্য বৃদ্ধি থেকে মূল্য বৃদ্ধি হ্রাস করা হচ্ছে। যত্রতত্র ঋণ দেওয়ার ফলে অনুৎপাদক সম্পদ তৈরি করার পরিবর্তে সম্ভাবনা বুঝে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে ঘাটতির পরিবর্তে বাড়তি পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরাঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে অব্যবস্থা ছিল সেটিকে সরিয়ে সর্বাঙ্গীণ এবং সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। কায়িকের বদলে ডিজিটাল পরিকাঠামোর দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
ভারতের আত্মনির্ভর হওয়ার যে চাহিদা ౼ তার মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক কৌশলই গ্রহণ করা হচ্ছে না, এই কৌশলের মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষমতা, আমাদের কর্মীদের দক্ষতা ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরে উৎপাদন ক্ষেত্রের চালিকাশক্তিতে পরিণত করছে। এই কৌশলের মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছি। বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য আমরা আমাদের মানবসম্পদ এবং তাদের মেধাকে ব্যবহার করছি।
বন্ধুগণ,
আজ বিনিয়োগকারীরা সেইসব প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকছেন যেগুলি পরিবেশগত, সামাজিক এবং পরিচালন ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষ। ভারতে ইতিমধ্যেই সেই ব্যবস্থা রয়েছে এবং এ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি এ ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রণী। ভারত বিশ্বাস করে, পরিবেশগত, সামাজিক ও পরিচালনগত উন্নতির পথ অনুসরণ করতে হবে।
বন্ধুগণ,
ভারত আপনাদের কাছে গণতান্ত্রিক, জনবিন্যাসগত এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদার সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে, আমাদের বৈচিত্র্যের সুযোগ আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন যার মাধ্যমে আপনারা একটি বাজারের মধ্যে অনেকগুলি বাজার পাবেন। বিভিন্ন ধরনের চাহিদা পাওয়া যাবে। এ দেশে নানা ধরনের আবহাওয়া পাবেন এবং বিভিন্ন স্তরের উন্নয়ন পাবেন। এই বৈচিত্র্যের মাধ্যমে আপনারা মুক্তমনা, মুক্ত বাজার পাবেন যেখানে সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক এবং আইনানুগ একটি ব্যবস্থা রয়েছে।
বন্ধুগণ,
আমি জানি যে এখানে শ্রেষ্ঠ কিছু আর্থিক চিন্তাবিদ রয়েছেন। তাঁরা নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের মাধ্যমে স্থিতিশীল ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে এগিয়ে যান। একইসঙ্গে আমি জানি আপনাদের চাহিদা কি। সেটি হল আপনাদের বিশ্বাস অর্জন, যার মাধ্যমে সবথেকে ভালো এবং নিরাপদ দীর্ঘস্থায়ী লাভ আপনারা তুলতে পারেন।
আর তাই বন্ধুগণ,
এই প্রসঙ্গে আমি জোর দিয়ে জানাতে চাই, আমাদের লক্ষ্য হল বিভিন্ন সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি এবং স্থিতিশীল সমাধান। এই লক্ষ্যের মধ্যে আপনাদের চাহিদাগুলিও কিন্তু রয়েছে। আমি এ বিষয়ে কয়েকটা উদাহরণ আপনাদের কাছে তুলে ধরব।
বন্ধুগণ,
আমরা আমাদের উৎপাদন ক্ষেত্রের সম্ভাবনার উন্নতির জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা পণ্য ও পরিষেবা করের মাধ্যেম 'এক দেশ এক কর ব্যবস্থা' চালু করেছি। আমাদের দেশে কর্পোরেট করের হার যথেষ্ট কম। নতুন নতুন উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা উৎসাহের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আয়কর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করেছি। শ্রমিকদের কল্যাণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারীদের সহজে ব্যবসা করার জন্য সুষম কিছু নতুন শ্রম আইন চালু করা হয়েছে। উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প বেশ কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আনা হয়েছে। এছাড়া, বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সুবিধার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আমরা জাতীয় পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থ বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছি। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বহুস্তরীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতে মহাসড়ক, রেলপথ, মেট্রো রেল, জলপথ এবং বিমানবন্দর গড়ে তোলার মাধ্যমে ব্যাপক পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। আমরা আমাদের নব্য-মধ্যবিত্তদের জন্য স্বল্প মূল্যে লক্ষ লক্ষ বাড়ি তৈরি করছি। আমরা চাই, শুধুমাত্র বড় বড় শহরগুলিতেই নয়, ছোট ছোট শহর এবং জনপদেও বিনিয়োগ হোক। গুজরাটের গিফট সিটি এক্ষেত্রে একটি আদর্শ উদাহরণ। আমরা এ ধরনের শহরগুলির উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করছি।
বন্ধুগণ,
উৎপাদন ক্ষেত্রে ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের কৌশল গ্রহণের পাশাপাশি আমরা আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তুলছি এবং আর্থিক ক্ষেত্রে সর্বাঙ্গীণ কৌশল গ্রহণ করেছি। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সর্বাঙ্গীণ সংস্কারের মতো এরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর্থিক বাজারকে মজবুত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্রে অভিন্ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত খোলামেলা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় কর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পরিকাঠামো বিনিয়োগ ট্রাস্ট এবং রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ ট্রাস্টের মতো স্থিতিশীল নীতির মাধ্যমে বিনিয়োগ ক্ষেত্রকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। ঋণ খেলাপি আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। রুপে কার্ড এবং ভীম -ইউপিআই-এর মাধ্যমে আর্থিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তি-ভিত্তিক লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
উদ্ভাবনের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের নীতি এবং সংস্কারের কেন্দ্রে রয়েছে ডিজিটাল ব্যবস্থা। আমাদের এখানে নতুন উদ্যোগ সবথেকে বেশি পরিমাণে গড়ে উঠছে। আমরা দ্রুতগতিতে উন্নয়ন করে চলেছি। ২০১৯ সালে বিকাশের হারের ভিত্তিতে বলা যায়, প্রত্যেকদিন দুই থেকে তিনটি নতুন উদ্যোগ, অর্থাৎ স্টার্ট-আপ গড়ে তোলা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
বেসরকারি উদ্যোগকে সাহায্য করার জন্য আমাদের সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৌশলগত বিলগ্নিকরণ এবং সম্পদের মূল্য নির্ধারণ এর আগে কখনও এত ব্যাপক হারে হয়নি। ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে আমাদের শেয়ার পরিমাণ ৫১ শতাংশের কমে নিয়ে আসা হয়েছে। কয়লা, মহাকাশ, পারমাণবিক শক্তি, রেল, বিমান চলাচল এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশীদারিত্বের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্রে নতুন নীতির মাধ্যমে সেগুলিকে আরও যুক্তিযুক্ত করে তোলা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আজ ভারতের প্রতিটি ক্ষেত্রে – উৎপাদন, পরিকাঠামো, প্রযুক্তি, কৃষি, আর্থিক ক্ষেত্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো সামাজিক ক্ষেত্রে সংস্কার আনা হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে আমরা সম্প্রতি যেসব সংস্কার এনেছি তার ফলে আমাদের দেশের কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভারত খুব শীঘ্রই কৃষিক্ষেত্রে রপ্তানিকারক কেন্দ্রে পরিণত হবে। জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে এ দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা সম্ভব হবে। জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
বন্ধুগণ,
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সম্প্রদায় তাঁদের আস্থা প্রকাশ করেছেন। বিগত পাঁচ মাসে গত বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে এই গোলটেবিল বৈঠকে আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বন্ধুগণ,
আপনারা যদি আস্থার সঙ্গে আপনাদের লভ্যাংশ ফেরত পেতে চান তাহলে বলব ভারতই হচ্ছে সেই জায়গা। আপনারা যদি চান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, তাহলে বলব ভারতই হল সেই জায়গা। আপনারা যদি চান স্থিতাবস্থা এবং স্থিতিশীলতা, ভারতই হল সেই জায়গা। আপনারা যদি চান উন্নয়ন এবং পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগ, ভারতই সেই জায়গা।
বন্ধুগণ,
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক পুনরুজ্জীবনে ভারতের বিকাশ অনুঘটকের কাজ করবে। ভারতের যে কোনও সাফল্য আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করবে। শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত এক ভারত বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতাকে নিশ্চিত করবে। আন্তর্জাতিক উন্নয়নের পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হয়ে ওঠার জন্য ভারতের যা যা করণীয় আমরা সেগুলিই করব। প্রগতির উৎসাহব্যাঞ্জক সময়সীমা শুরু হয়ে গেছে। আমি আপনাদেরকে এর শরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
Text of PM's address at the laying of foundation stone, inauguration of various development works in Delhi
January 03, 2025
Share
PM inaugurates 1,675 newly constructed flats for the Economically Weaker Section at Swabhiman Apartments, Ashok Vihar
Today is a landmark day for Delhi, with transformative projects in housing, infrastructure and education being launched to accelerate the city's development: PM
The central government has started a campaign to build permanent houses in place of slums: PM
The new National Education Policy is a policy to provide new opportunities to children from poor families: PM
भारत माता की जय।
भारत माता की जय।
केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी मनोहर लाल जी, धमेंन्द्र प्रधान जी, तोखन साहू जी, डॉक्टर सुकांता मजुमदार जी, हर्ष मल्होत्रा जी, दिल्ली के उपराज्यपाल विनय कुमार सक्सेना जी, संसद में मेरे सभी साथीगण, विधायकगण और मेरे प्यारे भाइयों और बहनों।
आप सभी को, साल 2025 की बहुत-बहुत शुभकामनाएं। साल 2025, भारत के विकास के लिए अनेक नई संभावनाएं लेकर आ रहा है। दुनिया की तीसरी बड़ी आर्थिक ताकत बनाने की तरफ हमारी यात्रा इस वर्ष और तेज़ होने वाली है। आज भारत, दुनिया में राजनीतिक और आर्थिक स्थिरता का प्रतीक बना है। साल 2025 में भारत की ये भूमिका और सशक्त होगी। ये वर्ष विश्व में भारत की अंतरराष्ट्रीय छवि को और सशक्त करने का वर्ष होगा, ये वर्ष भारत को दुनिया का बड़ा मैनुफैक्चरिंग हब बनाने का वर्ष होगा, ये वर्ष, युवाओं को नए स्टार्टअप और आंत्रप्रेन्योरशिप में तेजी से आगे बढ़ाने का वर्ष होगा, ये वर्ष कृषि क्षेत्र में नए कीर्तिमानों का वर्ष होगा। ये वर्ष वूमन लेड डवलपमेंट के हमारे मंत्र को नई ऊंचाई देने का वर्ष होगा, ये वर्ष Ease of Living बढ़ाने, क्वालिटी ऑफ लाइफ बढ़ाने का वर्ष होगा। आज का ये कार्यक्रम भी इसी संकल्प का एक हिस्सा है।
साथियों,
आज जिन परियोजनाओं का शिलान्यास और लोकार्पण हुआ है, उनमें गरीबों के घर हैं, स्कूल और कॉलेज से जुड़े प्रोजेक्ट्स हैं। मैं आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं। विशेष रूप से मैं उन साथियों को, उन माताओं-बहनों को बधाई देता हूं, जिनकी एक तरह से अब नई ज़िंदगी शुरु हो रही है। झुग्गी की जगह पक्का घर, किराए के घर की जगह अपना घर, ये नई शुरुआत ही तो है। जिनको ये घर मिले हैं, ये उनके स्वाभिमान का घर है। ये आत्मसम्मान का घर है। ये नई आशाओं, नए सपनों का घर है। मैं आप सभी की खुशियों में, आपके उत्सव का हिस्सा बनने ही आज यहां आया हूं। और आज जब यहां आया हूं तो काफी पुरानी यादें ताजा होना बहुत स्वाभाविक है। आप में से शायद कुछ लोगों को पता होगा, जब आपातकाल का समय था, देश इंदिरा गांधी के तानाशाही रवैये के खिलाफ लड़ाई लड़ रहा था, इमरजेंसी के खिलाफ एक लड़ाई चल रही थी, उस समय मेरे जैसे बहुत साथी अंडरग्राउंड मूवमेंट का हिस्सा थे। और उस समय ये अशोक विहार मेरा रहने का स्थान हुआ करता था। और इसलिए आज अशोक विहार में आते ही बहुत सारी पुराने यादें ताजा होना बहुत स्वाभाविक है।
साथियों,
आज पूरा देश, विकसित भारत के निर्माण में जुटा है। विकसित भारत में, देश के हर नागरिक के पास पक्की छत हो, अच्छे घर हों, ये संकल्प लेकर हम काम कर रहे हैं। इस संकल्प की सिद्धि में दिल्ली का बहुत बड़ा रोल है। इसलिए भाजपा की केंद्र सरकार ने झुग्गियों की जगह पक्का घर बनाने का अभियान शुरू किया। 2 साल पहले भी मुझे कालकाजी एक्सटेंशन में झुग्गियों में रहने वाले भाई-बहनों के लिए 3 हज़ार से अधिक घरों के शुभारंभ का अवसर मिला था। वो परिवार जिनकी अनेक पीढ़ियां सिर्फ झुग्गियों में ही रहीं, जिनके सामने कोई उम्मीद नहीं थी, वे पहली बार पक्के घरों में पहुंच रहे हैं। तब मैंने कहा था कि ये तो अभी शुरुआत है। आज यहां और डेढ़ हजार घरों की चाबी लोगों को दी गई है। ये ‘स्वाभिमान अपार्टमेंट्स, गरीबों के स्वाभिमान को, उनकी गरिमा को बढ़ाने वाले हैं। थोड़ी देर पहले जब कुछ लाभार्थियों से मेरी बातचीत हुई, तो मैं यही ऐहसास उनके भीतर देख रहा था। मैं नया उत्साह, नई ऊर्जा अनुभव कर रहा था। और वहां मुझे कुछ बालक-बालिकाओं से भी मिलने का मौका मिला, ऐसा लग रहा था कि स्वाभिमान अपार्टमेंट की ऊंचाई जो है ना उससे भी ऊंचे उनके सपने मैं देख रहा था।
और साथियों,
इन घरों के मालिक भले ही दिल्ली के अलग-अलग लोग हों, लेकिन ये सब के सब मेरे परिवार के ही सदस्य हैं।
साथियों,
देश भली-भांति जानता है कि मोदी ने कभी अपने लिए घर नहीं बनाया, लेकिन बीते 10 वर्षों में 4 करोड़ से अधिक गरीबों के घर, उनका सपना पूरा किया है। मैं भी कोई शीश महल बना सकता था। लेकिन मेरे लिए तो मेरे देशवासियों को पक्का घर मिले यही एक सपना था। और मैं आप सबको भी कहता हूं आप जब भी लोगों के बीच जाएं, लोगों को मिले और अभी भी जो लोग झुग्गी-झोपड़ी में रहते हैं, मेरी तरफ से उनको वादा करके आना, मेरे लिए तो आप ही मोदी हैं, वादा करके आना आज नहीं तो कल उनके लिए पक्का घर बनेगा, उनको पक्का घर मिलेगा। गरीबों के इन घरों में हर वो सुविधा है, जो बेहतर जीवन जीने के लिए ज़रूरी है। यही तो गरीब का स्वाभिमान जगाता है, आत्मविश्वास बढ़ाता है, जो विकसित भारत की असली ऊर्जा है। और हम यहीं रुकने वाले नहीं हैं। अभी दिल्ली में करीब 3 हज़ार ऐसे ही और घरों के निर्माण का काम कुछ ही समय में पूरा होने वाला है। आने वाले समय में हज़ारों नए घर, दिल्ली वासियों को मिलने वाले हैं। इस क्षेत्र में, बहुत बड़ी संख्या में हमारे कर्मचारी भाई-बहन रहते हैं। उनके जो आवास थे, वे भी काफी पुराने हो चुके थे। उनके लिए भी नए आवास बनाए जा रहे हैं। दिल्ली के अभूतपूर्व विस्तार को देखते हुए ही, केंद्र सरकार, रोहिणी और द्वारका सब-सिटी के बाद, अब नरेला सब-सिटी के निर्माण को गति दे रही है।
साथियों,
विकसित भारत बनाने में बहुत बड़ी भूमिका, हमारे शहरों की है। हमारे ये शहर ही हैं, जहां दूर-दूर से लोग बड़े सपने लेकर आते हैं, पूरी ईमानदारी से उन सपनों को पूरा करने में जिंदगी खपा देते हैं। इसलिए, केंद्र की भाजपा सरकार, हमारे शहरों में रहने वाले हर परिवार को क्वालिटी लाइफ देने में जुटी है। हमारा प्रयास है कि गरीब हो या मिडिल क्लास, उसको अच्छा घर दिलाने में मदद मिले। जो नए-नए लोग गांव से शहर आए हैं, उन्हें उचित किराए पर घर मिले। जो मध्यमवर्गीय परिवार है, मिडिल क्लास है उसको भी अपना सपनों का घर पूरा करने के लिए सरकार पूरी मदद दे रही है। बीते एक दशक से ये काम लगातार, ये काम निरंतर चल रहा है। बीते 10 वर्षों में प्रधानमंत्री आवास योजना शहरी इसके तहत देशभर में 1 करोड़ से ज्यादा घर बने हैं। इसी योजना के तहत दिल्ली में भी करीब 30 हज़ार नए घर बने हैं।
साथियों,
अब इस प्रयास को हमने और विस्तार देने की योजना शुरू की है। प्रधानमंत्री आवास योजना शहरी के अगले चरण में, शहरी गरीबों के लिए एक करोड़ नए घर बनने वाले हैं। इन घरों के लिए केंद्र की भाजपा सरकार ही मदद देने वाली है। साल में जिनकी आय 9 लाख रुपए से कम है, उन परिवारों को इस योजना का विशेष फायदा होगा। केंद्र सरकार मिडिल क्लास परिवारों को, मध्यमवर्गीय परिवारों का घर का सपना पूरा करने के लिए होम लोन के ब्याज में बहुत बड़ी छूट दे रही है, वो पैसे सरकार दे रही है।
साथियों,
हर परिवार का सपना होता है कि उसके बच्चे अच्छे से पढ़ें, अच्छे से सीखें और अपने पैरों पर खड़े हों। देश में अच्छे स्कूल-कॉलेज हों, यूनिवर्सिटीज़ हों, अच्छे प्रोफेशनल संस्थान हों, इस पर भाजपा सरकार द्वारा बहुत ज़ोर दिया जा रहा है। हमें सिर्फ बच्चों को पढ़ाना ही नहीं है, बल्कि वर्तमान और भविष्य की ज़रूरतों के लिए नई पीढ़ी को तैयार भी करना है। नई नेशनल एजुकेशन पॉलिसी में इसी बात का ध्यान रखा गया है। नई राष्ट्रीय शिक्षा नीति, गरीब परिवार को बच्चा हो, मध्यम परिवार की संतान हो उनको नए अवसर देने वाली नीति को लेकर चलता है। हमारे देश में मध्यमवर्ग परिवार के बच्चे हो, गरीब परिवारों के बच्चे हो, उनके लिए डॉक्टर बनना, इंजीनियर बनना, बड़ी अदालत में खड़े होकर के वकालत करना, ये सारे सपने उनके भी होते हैं। लेकिन मध्यमवर्ग के परिवार के लिए अंग्रेजी माध्यम के स्कूल में बच्चों को पढ़ाना आसान नहीं होता है। गरीब के लिए बच्चों को अंग्रेजी में शिक्षा देना मुश्किल होता है। अगर मेरे मध्यमवर्ग के बच्चे, मेरे गरीब परिवार के बच्चे, क्या अंग्रेजी के अभाव में डॉक्टर-इंजीनियर नहीं बन सकते हैं क्या? उनका डॉक्टर-इंजीनियर बनने का सपना पूरा होना चाहिए कि नहीं होना चाहिए? और इसलिए आजादी के इतने सालों तक काम नहीं हुआ, वो आपके इस सेवक ने कर दिया है। अब वो अपनी मातृभाषा में पढ़कर के डॉक्टर भी बन सकता है, इंजीनियर भी बन सकता है और बड़ी से बड़ी अदालत में मुकदमा भी लड़ सकता है।
साथियों,
देश की शिक्षा व्यवस्था को बेहतर बनाने में CBSE की बड़ी भूमिका है। इसका दायरा निरंतर बढ़ रहा है। इसको देखते हुए ही, CBSE का नया भवन बनाया है। इससे आधुनिक शिक्षा का विस्तार करने में, परीक्षा के आधुनिक तौर-तरीकों को अपनाने में मदद मिलेगी।
साथियों,
उच्च शिक्षा के मामले में दिल्ली यूनिवर्सिटी की प्रतिष्ठा भी लगातार मजबूत हो रही है। और ये मेरा सौभाग्य है मुझे भी दिल्ली यूनिवर्सिटी का विद्यार्थी रहने का सौभाग्य मिला। हमारा प्रयास है कि दिल्ली के युवाओं को यहीं पर उच्च शिक्षा के ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलें। आज जिन नए परिसरों का शिलान्यास किया गया है, इससे हर वर्ष सैकड़ों नए साथियों को डीयू में पढ़ाई का अवसर मिलेगा। डीयू के पूर्वी कैंपस और पश्चिमी कैंपस का इंतजार लंबे समय से हो रहा था। अब ये इंतज़ार खत्म होने जा रहा है। सूरजमल विहार में पूर्वी कैंपस और द्वारका में पश्चिमी कैंपस पर अब तेज़ी से काम होगा। वहीं नज़फगढ़ में वीर सावरकर जी के नाम पर नया कॉलेज भी बनने जा रहा है।
साथियों,
एक तरफ दिल्ली में शिक्षा व्यवस्था के लिए केंद्र सरकार के प्रयास है, वहीं दूसरी तरफ यहां की राज्य सरकार का कोरा झूठ भी है। दिल्ली में जो लोग राज्य सरकार में पिछले 10 साल से हैं, उन्होंने यहां की स्कूली शिक्षा व्यवस्था को बहुत नुकसान पहुंचाया है। हालात ये है कि समग्र शिक्षा अभियान के तहत जो पैसे भारत सरकार ने दिये ये दिल्ली में ऐसी सरकार बैठी है जिसको दिल्ली के बच्चों की भविष्य की परवाह नहीं है, जो पैसे शिक्षा के लिए भारत सरकार ने दिये, आधे पैसे भी पढ़ाई के लिए खर्च नहीं कर पाए ये लोग।
साथियों,
ये देश की राजधानी है, दिल्ली वासियों का हक है, उनकी सुशासन की कल्पना की है। सुशासन का सपना देखा है। लेकिन बीते 10 वर्षों से दिल्ली, एक बड़ी, दिल्ली, एक बड़ी आप-दा से घिरी है। अन्ना हजारे जी को सामने करके कुछ कट्टर बेईमान लोगों ने दिल्ली को आप-दा में धकेल दिया। शराब के ठेकों में घोटाला, बच्चों के स्कूल में घोटाला, गरीबों के इलाज में घोटाला, प्रदूषण से लड़ने के नाम पर घोटाला, भर्तियों में घोटाला, ये लोग दिल्ली के विकास की बात करते थे, लेकिन ये लोग ‘आप-दा’ बनकर दिल्ली पर टूट पड़े हैं। ये लोग खुलेआम भ्रष्टाचार करते हैं और फिर उसका महिमामंडन भी करते हैं। एक तो चोरी ऊपर से सीनाजोरी, ये, ये आप, ये आप-दा दिल्ली पर आई है। और इसलिए, दिल्ली वालों ने आप-दा के विरुद्ध जंग छेड़ दी है। दिल्ली का वोटर, दिल्ली को आप-दा से मुक्त करने की ठान चुका है। दिल्ली का हर नागरिक कह रहा है, दिल्ली का हर बच्चा कह रहा है, दिल्ली की हर गली से आवाज आ रही है- आप-दा को नहीं सहेंगे, बदल के रहेंगे, आप-दा को नहीं सहेंगे, बदल के रहेंगे, आप-दा को नहीं सहेंगे, बदल के रहेंगे, आप-दा को नहीं सहेंगे, बदल के रहेंगे, आप-दा को नहीं सहेंगे, बदल के रहेंगे।
साथियों,
दिल्ली देश की राजधानी है, बड़े खर्चे वाले बहुत से काम यहां जो होते हैं वो भारत सरकार, केंद्र सरकार के ज़िम्मे हैं। दिल्ली में ज्यादातर सड़कें, मेट्रो, बड़े-बड़े अस्पताल, बड़े-बड़े कॉलेज कैंपस, ये सब केंद्र सरकार ही बना रही है। लेकिन यहां की आप-दा सरकार के पास जिस भी काम का दायित्व है, उस पर भी यहां ब्रेक लगी हुई है। दिल्ली को जिस आप-दा ने घेर रखा है, उसके पास कोई विजन नहीं है। ये कैसी आप-दा है, इसका एक और उदाहरण हमारी यमुना जी हैं, यमुना नदी। अभी मैं ये स्वाभिमान फ्लैट के लाभार्थियों से बात कर रहा था यहां आने से पहले, तो ज्यादातर वो इस उत्तरी क्षेत्र के रहने वाले थे, तो मैंने उनको पूछा छठ पूजा कैसी रही? उन्होंने कहा साहब, सर पर हाथ जोड़कर कह रहे थे, साहब यमुना जी का हाल इतना खराब हुआ अब हम तो छठ पूजा क्या करें, इलाके में ऐसा छोटा-मोटा करके हम मां की क्षमा मांग लेते हैं। हर दिल्लीवासी को यमुना जी की ये स्थिति।
साथियों,
आज 10 साल बाद ये कह रहे हैं और बेशर्मी देखो लाज-शर्म का नामोनिशान नहीं, ये कैसी आप-दा, ये कह रहे हैं यमुना की सफाई से वोट नहीं मिलते। अरे, वोट नहीं मिलेंगे तो क्या यमुना को बेहाल छोड़ देंगे? यमुना जी की सफाई नहीं होगी तो दिल्ली को पीने का पानी कैसे मिलेगा? इन लोगों की करतूतों की वजह से ही आज दिल्ली वालों को गंदा पानी मिलता है। इस आप-दा ने, दिल्लीवालों के जीवन को टैंकर माफिया के हवाले कर दिया है। ये आप-दा वाले रहेंगे तो भविष्य में दिल्ली को और भी विकराल स्थिति की तरफ ले जाएंगे।
साथियों,
मेरा ये निरंतर प्रयास है कि देश के लिए जो भी अच्छी योजनाएं बन रही हैं, उनका लाभ मेरे दिल्ली के भाई-बहनों को भी मिले। केंद्र की भाजपा सरकार की योजनाओं से गरीब और मध्यम वर्ग को सुविधाएं भी मिल रही हैं और पैसे भी बच रहे हैं।
साथियों,
केंद्र की भाजपा सरकार, बिजली का बिल ज़ीरो कर रही है और इतना ही नहीं बिजली से कमाई के अवसर भी दे रही है। पीएम सूर्यघर-मुफ्त बिजली योजना से, हर परिवार आज बिजली उत्पादक बन रहा है। भाजपा सरकार, हर इच्छुक परिवार को 78 thousand rupees, करीब-करीब 75-80 हज़ार रुपए एक परिवार को सोलर पैनल लगाने के लिए 75-80 हजार रूपए दे रही है। अभी तक, देशभर में करीब साढ़े 7 लाख घरों की छत पर पैनल लग चुके हैं। इससे ज़रूरत की बिजली मुफ्त मिलेगी और बची हुई बिजली का पैसा सरकार आपको देगी। मैं दिल्ली के लोगों को विश्वास दिलाता हूं, दिल्ली में भाजपा का मुख्यमंत्री बनते ही, प्रधानमंत्री सूर्यघर मुफ्त बिजली योजना और तेजी से लागू की जाएगी।
साथियों,
आज दिल्ली के करीब 75 लाख जरूरतमंदों को, भारत सरकार मुफ्त राशन दे रही है। एक देश एक राशन कार्ड, वन नेशन वन राशन कार्ड योजना ने दिल्ली के लोगों की बड़ी मदद की है। वरना कुछ साल पहले तक तो दिल्ली में राशन कार्ड बनाना तक मुश्किल था। पुराने अखबार निकालकर देखिए क्या-क्या होता था। आप-दा वाले तो राशन कार्ड बनाने में भी घूस लेते थे। आज घूसखोरी का रास्ता भी बंद हुआ है और राशन के खर्च में भी बचत हो रही है।
साथियों,
दिल्ली के गरीब हों, मध्यम वर्गीय परिवार हों, उनको सस्ती दवाएं मिले, इसके लिए करीब 500 जनऔषधि केंद्र यहां दिल्ली में बनाए गए हैं। इन केंद्रों पर 80 परसेंट से अधिक डिस्काउंट पर दवाएं उपलब्ध हैं, 100 रूपए की दवाई 15 रूपए, 20 रूपए में मिलती है। इन सस्ती दवाओं से दिल्ली के लोगों को हर महीने हज़ारों रुपए की बचत हो रही है।
साथियों,
मैं तो दिल्लीवालों को मुफ्त इलाज की सुविधा देने वाली आयुष्मान योजना का भी लाभ देना चाहता हूं। लेकिन आप-दा सरकार को दिल्लीवालों से बड़ी दुश्मनी है। पूरे देश में आयुष्मान योजना लागू है, लेकिन इस योजना को आप-दा वाले यहां लागू नहीं होने दे रहे। इसका नुकसान दिल्ली वालों को उठाना पड़ रहा है। और सबसे बड़ी बात, हमारे दिल्ली के व्यापारी देशभर में जाते-आते रहते हैं, दिल्ली के प्रोफेशनल देशभर में जाते-आते रहते हैं, दिल्ली के नौजवान देशभर में जाते-आते रहते हैं, घूमने-फिरने जाते हैं। हिंदुस्तान के किसी कोने में गए और कुछ हो गया अगर आयुष्मान कार्ड होगा तो कार्ड वहां पर भी आपके ट्रीटमेंट के गारंटी बन जाएगा। लेकिन ये लाभ दिल्ली को नहीं मिल रहा है क्योंकि दिल्ली की आप-दा सरकार आपको आयुष्मान से जोड़ नहीं रही है। और इसलिए हिंदुस्तान में कहीं गए, कुछ हो गया ये मोदी चाहते हुए भी आपकी सेवा नहीं कर पाता है ये आपदा के पाप के कारण।
साथियों,
भाजपा सरकार 70 साल की आयु के ऊपर के बुजुर्गों को भी आयुष्मान योजना के दायरे में ले आई है। किसी भी परिवार का 70 साल के ऊपर का व्यक्ति, अब उनके बच्चों को उसकी बीमारी की चिंता नहीं करनी पड़ेगी, ये आपका बेटा उनकी चिंता करेगा। लेकिन मुझे बड़े दुख के साथ कहना पड़ रहा है कि ये बेटा दिल्ली के बुजुर्गों की कितनी ही सेवा करना चाहे, लेकिन आप-दा वालों ने दिल्ली के बुजुर्गों को उस सेवा से वंचित कर दिया है, फायदा नहीं ले पा रहे हैं। आप-दा वालों का स्वार्थ, आप-दा वालों की ज़िद्द, आप-दा वालों का अहंकार, आपके जीवन से वो ज्यादा बड़ा मानते हैं।
साथियों,
दिल्ली के लोगों के लिए भारत सरकार पूरी संवेदनशीलता से काम कर रही है। दिल्ली की अनेकों कॉलोनियों को रेगुलर करके भाजपा सरकार ने लाखों लोगों की चिंता दूर की, लेकिन यहां की आप-दा सरकार ने, यहां की राज्य सरकार ने उन्हें आप-दा का शिकार बना डाला। केंद्र की भाजपा सरकार लोगों की मदद के लिए स्पेशल सिंगल विंडो कैंप चला रही है, लेकिन आप-दा सरकार, इन कॉलोनियों में पानी की, सीवर की, सुविधाएं तक ठीक से नहीं दे रही हैं। इसके चलते, लाखों दिल्ली वासियों को बहुत परेशानी हो रही है। घर बनाने में लाखों रुपए लगाने के बाद भी अगर सीवर ना हो, नालियां टूटी हों, गली में गंदा पानी बहता हो, तो दिल्ली के लोगों का दिल दुखना बहुत स्वभाविक है। जो लोग दिल्ली के लोगों से विश्वासघात करके, झूठी कसमें खाके, अपने लिए शीशमहल बनवा लेते हैं, उनसे जब ये आप-दा जाएगी और भाजपा आएगी, तो इन सारी समस्याओं का भी समाधान भी किया जाएगा।
साथियों,
आपको याद रखना है जहां-जहां आप-दा का दखल नहीं है, वहां हर काम अच्छे से होता है। आपके सामने DDA-दिल्ली डवलपमेंट अथॉरिटी का उदाहरण है। DDA में आप-दा का उतना दखल नहीं है। इसके कारण, DDA गरीबों और मध्यम वर्ग के लिए नए घर बना पा रही है। दिल्ली के हर घर तक पाइप से सस्ती गैस पहुंचाने का काम तेज़ी से चल रहा है। ये काम भी इसलिए हो पा रहा है क्योंकि इसमें भी आप-दा की दखल नहीं है। दिल्ली में इतने सारे हाईवे बन रहे हैं, एक्सप्रेसवे बन रहे हैं, ये भी इसलिए बन पा रहे हैं क्योंकि इसमें आप-दा की दखल नहीं है।
साथियों,
आप-दा वाले दिल्ली को सिर्फ समस्याएं दे सकते हैं, वहीं भाजपा, दिल्ली के लोगों की समस्याओं का समाधान करने में जुटी है। दो दिन पहले ही हमारे दिल्ली के सातों एमपी, हमारे सांसदों ने यहां की ट्रैफिक की समस्या को दूर करने के लिए अहम सुझाव भारत सरकार को दिए थे। दिल्ली एयरपोर्ट के नजदीक शिव मूर्ति से नेल्सन मंडेला मार्ग तक टनल बनाना हो, दिल्ली अमृतसर कटरा एक्सप्रेसवे को K.M.P एक्सप्रेसवे से जोड़ना हो, दिल्ली देहरादून एक्सप्रेसवे को अर्बन एक्सटेंशन रोड– टू से जोड़ना हो, या दिल्ली का ईस्टर्न बाईपास हो, ये हमारे सांसदों ने जो सुझाव दिए हैं इन सुझावों को भारत सरकार ने मान लिया है, इन पर सैद्धांतिक सहमति दे दी है। इनसे आने वाले समय में दिल्ली में ट्रैफिक की समस्या का समाधान होगा।
साथियों,
साल 2025, दिल्ली में सुशासन की नई धारा तय करेगा। ये साल, राष्ट्र प्रथम, देशवासी प्रथम, मेरे लिए दिल्ली वासी प्रथम इस भाव को सशक्त करेगा। ये साल, दिल्ली में राष्ट्र निर्माण और जनकल्याण की नई राजनीति का शुभारंभ करेगा। और इसलिए, आप-दा को हटाना है, भाजपा को लाना है, आप-दा को हटाना है, भाजपा को लाना है, आप-दा को हटाना है, भाजपा को लाना है, आप-दा को हटाना है, भाजपा को लाना है। इसी विश्वास के साथ, आप सभी को नए घरों के लिए, नए शिक्षा संस्थानों के लिए फिर से एक बार बहुत-बहुत बधाई। मेरे साथ बोलिए-
भारत माता की जय।
दोनों हाथ ऊपर करके पूरी ताकत से बोलिए, आप-दा से मुक्ति का नारा चाहिए-