Lays foundation stone and dedicates to nation multiple development projects worth about Rs 17,000 crore across Madhya Pradesh in sectors of irrigation, power, road, rail, water supply, coal and industry
Launches Cyber Tehsil project in Madhya Pradesh
“Double engine government of Madhya Pradesh is committed to the welfare of the people”
“India will develop only when its states develop”
“Vikramaditya Vedic Clock in Ujjain will become witness to the ‘kaal chakra’ when India is on the path to becoming a developed nation”
“Double engine government is carrying out development work with double speed”
“Government is laying great emphasis on making villages aatmanirbhar”
“We are witnessing a revolution in Madhya Pradesh’s irrigation sector”
“In the last 10 years, India's reputation has increased a lot in the whole world”
“Youth’s dreams are Modi’s resolution”

নমস্কার !

‘বিকশিত রাজ্য থেকে বিকশিত ভারত’ অভিযানে আজ আমি মধ্যপ্রদেশের ভাই ও বোনদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি। কিন্তু এবার কথা বলার আগে আমি ডিন্ডোরি পথ দূর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এই দূর্ঘটনায় যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন আমার সমবেদনা তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের উপাচারের সমস্ত ব্যবস্থা সরকার করছে। এই দুঃখের সময় আমি মধ্যপ্রদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছি। 

বন্ধুগণ,

এই সময় মধ্যপ্রদেশে প্রত্যেক লোকসভা ও বিধানসভা আসনে ‘বিকশিত মধ্যপ্রদেশ’-এর সংকল্প নিয়ে লক্ষ লক্ষ বন্ধু যুক্ত হয়েছেন। বিগত কয়েকদিন ধরে দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের মানুষ এ রকমই তাঁদের রাজ্যকে উন্নত করার মাধ্যমে দেশকে উন্নত করার সংকল্প নিয়েছেন। কারন ভারত তখনই উন্নত হবে যখন রাজ্যগুলি উন্নত হবে। আজ এই সংকল্প যাত্রার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ যুক্ত হচ্ছে। আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

আগামীকাল থেকেই মধ্যপ্রদেশে ৯ দিনের ‘বিক্রমোৎসব’ শুরু হতে চলেছে। এটি আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য এবং বর্তমানে বিকাশের উৎসব। আমাদের সরকার ঐতিহ্য এবং বিকাশকে একসঙ্গে নিয়ে কীভাবে এগিয়ে চলেছে তার প্রমাণ উজ্জ্বয়িনীর বৈদিক ঘড়ি। বাবা মহাকালের নগরী এক সময় সারা পৃথিবীর গোটা বিশ্বের জন্য কাল গণনার কেন্দ্র ছিল। কিন্তু তার সেই গুরুত্বকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন আমরা বিশ্বের প্রথম ‘বিক্রমাদিত্য বৈদিক ঘড়ি’ পুনঃস্থাপন করেছি। এটি শুধুই আমাদের সমৃদ্ধ অতীতকে পুনঃস্মরণ করার সুযোগ এনে দিয়েছে, তা নয়। এটি সেই কালচক্রেরও সাক্ষী হয়ে উঠবে যা ভারতকে ‘উন্নত ভারত’-এ পরিণত করবে। 

 

বন্ধুগণ,

আজ মধ্যপ্রদেশের সমস্ত লোকসভা আসনের মানুষই একসঙ্গে প্রায় ১৭,০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলি পরিশ্রুত পানীয় জল এবং সেচ পরিকল্পনা। তাছাড়া এর মধ্যে বিদ্যুৎ, সড়ক, রেল, ক্রীড়াঙ্গন, কমিউনিটি হল এবং অন্যান্য বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের ৩০টিরও বেশি রেল স্টেশনে আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির ডবল ইঞ্জিন সরকার এ রকমই দ্বিগুণ গতিতে উন্নয়নের কাজ করছে। এই পরিকল্পনাগুলি মধ্যপ্রদেশের জনগণের জীবনকে সহজ করে তুলবে। এখানে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানেরও নতুন নতুন সুযোগ গড়ে তুলবে। এর জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। 

বন্ধুগণ,

আজ চারিদিকে শুধু একটি কথা শোনা যাচ্ছে- ‘অব কি বার ৪০০ পার, অব কি বার ৪০০ পার’ (অর্থাৎ, এবার সরকার পক্ষের আসন সংখ্যা ৪০০ পেরোবে)। এই প্রথম এইভাবে দেশের জনগণ তাঁদের প্রিয় সরকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরনের শ্লোগান দিচ্ছেন। এই শ্লোগান ভারতীয় জনতাপার্টির কর্মীদের নয়, দেশের জনগণের শ্লোগান। ‘মোদীর গ্যারান্টি’-র ওপর দেশবাসীর এত বিশ্বাস আমাকে ভাব বিভোর করে দেয়। 

কিন্তু বন্ধুগণ,

আমাদের জন্য এটা শুধুই তৃতীয় বার সরকার গঠনের লক্ষ্য নয়, আমরা তৃতীয় বারে দেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক মহাশক্তি রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে নামছি। আমাদের জন্য সরকার গঠন অন্তিম লক্ষ্য নয়, আমাদের জন্য সরকার গঠন দেশ গঠনের মাধ্যম। এই আত্মবিশ্বাস আমরা মধ্যপ্রদেশেও দেখছি। বিগত দু দশক ধরে লাগাতার আপনারা আমাদের সুযোগ দিচ্ছেন। আজও উন্নয়নের জন্য আমাদের মনে কত উৎসাহ, উদ্দীপনা রয়েছে তা আপনারা নতুন সরকারের বিগত কয়েক মাসে দেখেছেন। আর এখন আমি আমার সামনে স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছি মানুষই মানুষ, যেদিকে তাকাই শুধু মানুষ ! ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান আর তার সঙ্গে ২০০টিরও বেশি স্থান থেকে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ যুক্ত হয়েছেন। এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আর আমি নিজের চোখের সামনে টিভির পর্দায় দেখতে পাচ্ছি কতো উৎসাহ, উদ্দীপনা ! আমি আর একবার মধ্যপ্রদেশের ভাই বোনদের এই ভালোবাসাকে নতমস্তকে প্রণাম জানাচ্ছি, আপনাদের এই আশীর্বাদকে মাথা পেতে নিচ্ছি। 

 

বন্ধুগণ,

উন্নত মধ্যপ্রদেশ গড়ে তুলতে আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং পর্যটন এই তিনটি বিষয়কে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আজ মা নর্মদায় পরিকল্পিত তিনটি জল প্রকল্পের ভূমিপূজন হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সেচের পাশাপাশি পানীয় জলের সমস্যারও সমাধান হবে। সেচের ক্ষেত্রে আমরা মধ্যপ্রদেশে একটি নতুন বিপ্লব দেখতে পাচ্ছি। কেন-বেতওয়া লিঙ্ক প্রকল্পের মাধ্যমে এই বিপ্লব বুন্দেলখণ্ড এলাকার লক্ষ লক্ষ পরিবারের জীবনে পরিবর্তন আসবে। যখন কৃষকের ক্ষেতে জল পৌঁছায় তখন এর থেকে বড় সেবা তাঁর জন্য আর কী হতে পারে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার আর কংগ্রেস সরকারের মধ্যে পার্থক্য কোথায় তার উদাহরণ এই সেচ প্রকল্পও। ২০১৪ সালের আগে ১০ বছরে দেশের প্রায় ৪০ লক্ষ হেক্টর জমিকে ক্ষুদ্র সেচের আওতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু বিগত ১০ বছরে আমাদের শাসনকালে এর দ্বিগুণ থেকেও বেশি, অর্থাৎ প্রায় ৯০ লক্ষ হেক্টর ক্ষেতকে ক্ষুদ্র সেচের আওতায় আনা হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় যে বিজেপি সরকারের অগ্রাধিকার কী। এ থেকেই বোঝা যায় যে বিজেপি সরকার মানেই গতি এবং প্রগতি।   

বন্ধুগণ,

ক্ষুদ্র কৃষকদের আর একটি বড় সমস্যা হল শস্য সংরক্ষণের সমস্যা, গুদাম না থাকার সমস্যা। এর ফলে ক্ষুদ্র কৃষকদের বাধ্য হয়ে অস্বাভাবিক কম দামে নিজেদের উৎপাদিত শস্য বিক্রি করে দিতে হত। আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই শস্য গুদামজাত করা নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রকল্প চালু করার কাজ করছি। আগামী দিনগুলিতে দেশে হাজার হাজার বড় গুদাম গড়ে উঠবে। এর ফলে দেশে ৭০০ লক্ষ মেট্রিকটন শস্য গুদামজাতকরণের ব্যবস্থা তৈরি হবে। এই বাবদ আমাদের সরকার ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার দেশের গ্রামগুলিকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলার ওপর বেশি জোর দিচ্ছে। সেজন্য সমবায় আন্দোলনকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমরা দুধ এবং আখ চাষের ক্ষেত্রে সমবায়গুলিকে লাভবান হতে দেখেছি। বিজেপি সরকার শস্য, ফল, সব্জি, মাছ- এমন প্রতিটি ক্ষেত্রে সমবায় আন্দোলনকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। সেই জন্য লক্ষ লক্ষ গ্রামে নতুন নতুন সমবায় সমিতি ও সমবায় প্রতিষ্ঠান গঠন করা হচ্ছে। 

চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে কৃষি, পশুপালন, মৌ চাষ, মুরগি পালন, মৎস্য চাষ- প্রতিটি ক্ষেত্রে নানাভাবে গ্রামের মানুষের আয় বাড়ানো যায়। 

বন্ধুগণ,

গ্রামের উন্নয়নে অতীতে আর একটি অনেক বড় সমস্যা ছিল। গ্রামের জমি ও সম্পত্তি নিয়ে অনেক বিবাদ মামলা-মোকদ্দমা চলত। জমি সংক্রান্ত নানা কাজের জন্য গ্রামবাসীদের তহসিল অফিসের চক্কর কাটতে হত। এই ধরনের সমস্য সমাধানের জন্য আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার ‘পিএম স্বামীত্ব যোজনা’-র মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান বের করছে। আর মধ্যপ্রদেশ তো স্বামীত্ব যোজনার মাধ্যমে খুব ভালো কাজ করছে। মধ্যপ্রদেশে ১০০ শতাংশ গ্রামে ড্রোনের মাধ্যমে সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষেরও বেশি স্বামীত্ব কার্ড জমির মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের বাড়িগুলির হাতে এই যে আইনসম্মত কাগজ এলো তা গরিবদের অনেক ধরনের বিবাদ থেকে মুক্ত রাখবে। গরিবদের প্রত্যেক সমস্যা থেকে রক্ষা করাই তো মোদীর গ্যারান্টি। আজ মধ্যপ্রদেশের সমস্ত ৫৫টি জেলায় ‘সাইবার তহসিল’ কর্মসূচি সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। এখন নামান্তরন ও নথিভুক্তিকরণের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও ডিজিটাল মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে। এর ফলে গ্রামীণ পরিবারগুলির সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। 

বন্ধুগণ,

মধ্যপ্রদেশের নবীন প্রজন্মের মানুষ চান যাতে এই রাজ্যটি দেশের অগ্রগন্য শিল্পোদ্যোগী রাজ্যগুলির অন্যতম হয়ে ওঠে। আমি মধ্যপ্রদেশের প্রত্যেক নবীনকে, বিশেষ করে এবার যারা প্রথম ভোট দেবেন তাঁদেরকে বলবো, আপনাদের জন্য বিজেপি সরকার নতুন নতুন সুযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোনোরকম খামতি রাখেনি। আপনাদের স্বপ্নই মোদীর সংকল্প। মধ্যপ্রদেশ ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানে একটি শক্তিশালী স্তম্ভ হয়ে উঠবে। মুরৈনার সীতাপুরে ‘মেগা লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ক্লাস্টার’, ইন্দোরে রেডিমেড বস্ত্রশিল্পের জন্য পার্ক, মান্দসৌর-এ ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সম্প্রসারণ’, ‘ধার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’-এর নব নির্মাণ এই সব কিছু এই লক্ষ্যে পৌঁছনোর উদ্দেশ্যে নতুন নতুন পদক্ষেপ। কংগ্রেস শাসনাধীন সরকারগুলি আমাদের নির্মাণ শিল্পের পারম্পরিক শক্তিকেও ধ্বংস করে দিয়েছিল। আমাদের দেশে খেলনা তৈরি কতো বড় পরম্পরা ছিল। কিন্তু তাঁদের অপশাসনে এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমাদের বাজারগুলি এবং বাড়িতে বাড়িতে বিদেশী খেলনা ছেয়ে গেছিল। আমরা আমাদের দেশের পারম্পরিক খেলনা প্রস্তুতকারী বিশ্বকর্মা পরিবারগুলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। ফলে আজ বিদেশ থেকে খেলনা আমদানি অনেক কমে গেছে। যতটা খেলনা এখন আমরা আমদানি করি তার থেকে বেশি খেলনা এখন রপ্তানি করি। আমাদের বুধনির খেলনা প্রস্তুতকারী বন্ধুদের জন্যও অনেক নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। আজ বুধনিতে যেসব পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে এর মাধ্যমে খেলনা শিল্প অনেক শক্তিশালী হবে।

 

ভাই ও বোনরা,

যাদের খোঁজ কেউ রাখে না, মোদী তাদের খোঁজ রাখে। দেশে এ রকম পারম্পরিক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী বন্ধুদের পরিশ্রমের ফসলের কথা প্রচার করার দায়িত্বও এখন মোদী নিয়েছে। আমি দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন মঞ্চে আপনাদের অনুপম শিল্পকলা ও দক্ষতার প্রচার করছি। আর এটা করেই যাবো। যখন আমি বিদেশী অতিথিদের আমাদের কুটির শিল্পে উৎপাদিত কোনো পণ্য উপহার দিই তখন আপনাদের দক্ষতা সম্পর্কে প্রচারের চেষ্টা করি। যখন আমি ‘ভোকাল ফর লোকাল’ বা স্থানীয় পণ্যের জন্য উচ্চকিত হওয়ার কথা বলি তখন আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বাড়িতে বাড়িতে এই অভিযানকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। 

বন্ধুগণ,

বিগত ১০ বছরে সারা পৃথিবীতে ভারতের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। আজ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। যে কোন ভারতীয় আজ বিদেশে গেলে তাকে সবাই খুব সম্মান করে। ভারতের এই ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ফলে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগে আর পর্যটনে। আজ অনেক বেশি মানুষ ভারতে আসতে চান। ভারতে এলে অনেকে মধ্যপ্রদেশেও বেড়াতে আসবেন কারণ মধ্যপ্রদেশে অনেক সুন্দর পর্যটন স্থল রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে ওঙ্কারেশ্বর এবং মামলেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যা খুব বেড়েছে। ওঙ্কারেশ্বর আদি গুরু শঙ্করাচার্যের স্মৃতিতে এখন যে একাত্ম ধাম নির্মাণ করা হচ্ছে সেটির কাজ সম্পূর্ণ হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ২০২৮ সালে উজ্জ্বয়িনীতে ‘সিংহস্থ কুম্ভ’ মেলা হবে। ইন্দোরের ইচ্ছাপুর থেকে ওঙ্কারেশ্বর পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট সড়ক পথ গড়ে তোলায় ভক্তদের আরও সুবিধা হবে। আজ যে রেল প্রকল্পগুলির উদ্বোধন হয়েছে সেগুলির মাধ্যমেও মধ্যপ্রদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয় তখন কৃষি থেকে শুরু করের পর্যটন কিংবা শিল্প- প্রত্যেকেই লাভবান হয়। 

বন্ধুগণ,

বিগত ১০ বছরে আমাদের দেশে নারীশক্তির অসাধারণ উত্থান হয়েছে। মোদীর গ্যারান্টি ছিল যে, মা ও বোনদের জীবনের প্রতিটি সমস্যা ও কষ্টকে দূর করার সৎ প্রচেষ্টা অবশ্যই করবো। এই গ্যারান্টি আমি সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে পূর্ণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আগামী ৫ বছরে আমাদের বোন ও মেয়েদের অভূতপূর্ব ক্ষমতায়ন হবে। আগামী ৫ বছরে প্রত্যেক গ্রামে অনেক ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি হবে। আগামী ৫ বছরে গ্রামে গ্রামে বোনেরা ‘নমো ড্রোন দিদি’ হয়ে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব আনার ভিত্তি রচনা করবেন। আগামী ৫ বছরে বোনদের অর্থনৈতিক অবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হবে। এর ফলে প্রত্যেকেই লাভবান হবেন। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে বিগত ১০ বছরে গরিব কল্যাণে অনেক কাজ হয়েছে। এর ফলে গ্রামের গরিব পরিবারগুলির আয় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। প্রতিবেদন অনুসারে শহরগুলির তুলনায় গ্রামগুলি বেশি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বিগত ১০ বছরে ২৫ কোটি দেশবাসী দারিদ্রসীমার ওপরে উঠেছেন। অর্থাৎ বিজেপি সরকার সঠিক লক্ষ্যে কাজ করছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে মধ্যপ্রদেশ এ রকমই দ্রুত গতিতে উন্নয়নের নতুন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করতে থাকবে। আর একবার আপনাদের সবাইকে এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ আপনারা এত বড় সংখ্যায় এই কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসেছেন, আপনারা নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। আমি সমস্ত ভাই-বোনদের হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই।

ধন্যবাদ !

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।