“This is indeed a Mahakumbh in its truest form creating an unprecedented energy and vibe”
“Any Indian visiting the Start-up Mahakumbh will witness the unicorns and decacorns of the future”
“Startup has become a social culture and no one can stop a social culture”
“More than 45 percent start-ups in the country are women-led”
“I believe that Indian solutions for global applications will become a helping hand for many nations in the world”

মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী পীযূষ গোয়েলজি, অনুপ্রিয়া প্যাটেলজি, সোমপ্রকাশজি, মাননীয় বিশিষ্টজন এবং দেশের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির বন্ধুরা! স্টার্ট-আপ মহাকুম্ভের জন্য আমি আপনাদের সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।

বহু মানুষই স্টার্ট-আপ-এর সূচনা করেন। রাজনীতির আঙিনায় এই ঘটনা আরও বেশি করে চোখে পড়ে। কারণ, সেখানে স্টার্ট-আপ-এর উদ্ভব ঘটে বারংবার। তবে, আপনাদের সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য হল, আপনারা সকলেই উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার সঙ্গে যুক্ত। যদি কোনো স্টার্ট-আপ ভালোভাবে কাজ না করে, তাহলে আপনারা অন্য কোন ক্ষেত্রে তা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। 

বন্ধুগণ,

সমগ্র জাতি যখন আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গঠনের লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ অনুসরণ করে চলেছে, তখন আমি মনে করি যে এই স্টার্ট-আপ মহাকুম্ভের উদ্যোগ ও আয়োজন যথেষ্ট তাৎপর্যময়। বিগত কয়েকটি দশকে আমরা লক্ষ্য করেছি যে ভারত কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার ক্ষেত্রে ক্রমশ আত্মপ্রকাশ করেছে। আর এখন আমরা সারা দেশে উদ্ভাবন প্রচেষ্টা ও স্টার্ট-আপ সংস্কৃতির এক নিরন্তর উত্থান প্রত্যক্ষ করছি। সুতরাং, স্টার্ট-আপ জগতে আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ বিশেষত, আজকের এই মহাকুম্ভে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

 

আমি যখন এ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করি, তখন আমি বিস্মিত হই একথা ভেবে যে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি এত সুন্দরভাবে সফল হয়ে উঠল কোন পথ অনুসরণ করে? অথবা কিভাবেই বা তারা এই সাফল্য অর্জনের পথ আবিষ্কার করতে পারল? আমি অনুভব করি, আমি উপলব্ধি করি যে এর পেছনে রয়েছে যথেষ্ট মেধা ও প্রতিভার স্ফূরণ। আপনারা সকলে মিলিতভাবে আজকের এই উদ্যোগ-আয়োজনে সামিল হয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি, শিল্প অথবা বাণিজ্য জগতে সরকারের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে পাঁচ বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। সেই কারণে, বাণিজ্য জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই চিন্তা করে থাকেন, এ বছরটি নির্বাচনের বছর। আসুন, আমরা একটু অপেক্ষা করি। কিন্তু নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে দেখা যাবে নতুন সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এটাই হল আপনাদের চিন্তাভাবনা। নির্বাচনের দিনক্ষণ এখন তো ঘোষণা হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও আপনারা এই পরিস্থিতিতেও এই ধরনের একটি বড় অনুষ্ঠানের উদ্যোগ-আয়োজন করতে পেরেছেন। এর অর্থ হল, আগামী পাঁচ বছরে কি ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কে আপনারা একদিক থেকে নিশ্চিত। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের মধ্যে যে মেধা ও প্রতিভা লুকিয়ে আছে, তাই স্টার্ট-আপ উদ্যোগগুলিকে সফল করে তুলছে। 

আজ এই মহাকুম্ভে উপস্থিত রয়েছেন অনেকেই - বিনিয়োগ কর্তা, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং শিল্প সংস্থার সদস্যবৃন্দ। তাই এই মহাকুম্ভ প্রকৃত অর্থেই মহাকুম্ভের আকার ধারণ করেছে। তরুণ তথা ভবিষ্যতের শিল্পোদ্যোগীদের উপস্থিতিও এখানে যথেষ্ট। আপনাদের সকলের মধ্যেই রয়েছে মেধাশক্তি। আমিও তার স্পর্শ পেয়েছি। এই পরিবেশে এই ধরনের উদ্যম ও উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।

বন্ধুগণ,

ভারত যদি এখন সকলের মধ্যে এক নতুন আশার জন্ম দিয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে যে বিশ্বজুড়ে স্টার্ট-আপ সংস্থা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক নতুন শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে বর্তমান ভারতের মধ্যে। কারণ, এর মূলে রয়েছে এক সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গী। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বর্তমান ভারত। এই ধরনের স্টার্ট-আপ যখন গড়ে ওঠেনি, তখনও কিন্তু আমি একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলাম। তখন বিজ্ঞান ভবনের প্রেক্ষাগৃহের অর্ধেক অংশও বোধহয় পূর্ণ হয়নি। কিন্তু, সরকার যদি কাজ করে যেতে থাকে তাহলে সেই শূন্যস্থান ক্রমশ পূরণ হতে থাকে। ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’র মতো একটি উদ্যোগের সূচনা ছিল আমার এক বিশেষ পদক্ষেপ। আমার লক্ষ্য ছিল শিল্পোদ্যোগীদের কাছে বিশেষত, তরুণ ও যুবকদের কাছে এক ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া। 

 

‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ অভিযানের আওতায় দেশ উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার উপযোগী একটি মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছিল। আমরা সূচনা করেছিলাম ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’-এর। আজ সেখান থেকে আমরা কতটা পথ এগিয়ে এসেছি তা আপনারা লক্ষ্য করেছেন। বর্তমান স্টার্ট-আপ বিপ্লবে ভারতের নেতৃত্ব দেশ-বিদেশের ছোট ছোট শহরের তরুণ ও যুবকরাও সমাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে আমাদের স্টার্ট-আপ সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র প্রযুক্তি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু আজ আমি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে কৃষি, বস্ত্রশিল্প, ওষুধ উৎপাদন, পরিবহণ, মহাকাশ, এমনকি যোগচর্চার মধ্যেও স্টার্ট-আপ চিন্তাভাবনা প্রবেশ করেছে। এই স্টার্ট-আপ চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত দেশের আয়ুর্বেদ শিল্পও। 

বন্ধুগণ,

মহাকাশের মতো একটি ক্ষেত্রে কাজ ও গবেষণার জন্য অনেক রকম সরকারি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে। কিন্তু, আমার লক্ষ্য ছিল মহাকাশ প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে যাবতীয় ‘ব্যারিয়ার’ তুলে দিয়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এর ফলশ্রুতি হিসেবে আপনারাও লক্ষ্য করেছেন যে মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতীয় স্টার্ট-আপ উদ্যোগগুলি এখন যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। এই মহাকাশ ক্ষেত্রটির সঙ্গে যুক্ত ৫০টি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এই স্টার্ট-আপ উদ্যোগ আজ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই স্টার্ট-আপ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে পেরেছি। 

 

বন্ধুগণ,

সমগ্র বিশ্ব আজ ভারতের যুবশক্তির সম্ভাবনা লক্ষ্য করতে পারছে। কারণ, এই সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের মানসিকতা। স্টার্ট-আপ-এর উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করেছি সারা দেশেই। সূচনায়, অনেকেই আমাদের এই প্রচেষ্টায় আস্থাশীল ছিলেন না। কারণ, তখন মানুষ চাকরি বা কর্মসংস্থানকেই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করতেন এবং এক সময় ধারণা ছিল যে চাকরির অর্থই হল সরকারি চাকরি যা মুষ্টিমেয়র মধ্যে সীমাবদ্ধ মাত্র। কিন্তু বর্তমানে এই মানসিকতার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এমন একটা সময় আমরা অতিক্রম করে এসেছি, যখন ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা বলা হলে প্রথমেই লোকে টাকা বা অর্থের কথা চিন্তা করত। তখন সাধারণের মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে যাঁরা অর্থবান তাঁরাই একমাত্র ব্যবসা শুরু করতে পারে। কিন্তু, আমরা দেশে স্টার্ট-আপ-এর উপযোগী এমন এক পরিবেশ ও পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পেরেছি যার ফলে মানুষের এই বদ্ধমূল ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এই সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়েই সূচিত হয়েছে ভারতের বৈপ্লবিক রূপান্তর প্রচেষ্টা। 

 

দেশের যুব সমাজ এখন ‘কর্মপ্রার্থী’ নয়, বরং ‘কর্মদাতা’ হয়ে উঠছে। যখন ভারতে ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ অভিযান শুরু হয়, তখন থেকেই দেশের যুবকরা তাদের দক্ষতা ও ক্ষমতার প্রতি আরও বেশি করে আস্থাশীল হয়ে পড়ে। বর্তমানে ভারত হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ উদ্যোগী একটি দেশ। ২০১৪ সালে দেশে স্টার্ট-আপ সংস্থার সংখ্যা ছিল বড়জোর ১০০। কিন্তু বর্তমান ভারতে ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো স্টার্ট-আপ উদ্যোগ। এই সংস্থাগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ তরুণ ও যুবক কর্মপ্রার্থীর। প্রায় ১২ হাজার উৎপাদনের পেটেন্ট বা স্বত্বাধিকারের জন্য আবেদন জানিয়েছে দেশের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের জিইএম পোর্টালটির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্টার্ট-আপ সংস্থা ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছে বলে পরিসংখ্যানগত তথ্যে প্রকাশ। এর অর্থ হল, জিইএম পোর্টালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি মঞ্চ গড়ে দিয়েছে, যার আওতায় ২০-২২ বছর বয়সী তরুণ মেধাশক্তি খুব অল্প সময়কালের মধ্যেই ২০ হাজার কোটি টাকার মতো বাণিজ্য ইতিমধ্যেই সম্ভব করে তুলেছে। আমাদের এই সাফল্যকে কোনভাবেই অস্বীকার করা চলে না। ভারতের বর্তমান যুব সমাজ ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি উদ্ভাবন প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির মাধ্যমে তরুণ ও যুবকরা কিভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তাও আমরা আনন্দের সঙ্গেই লক্ষ্য করতে পারছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ২০২৯-এর নির্বাচনকালে অন্ততপক্ষে ১ হাজারটি নতুন স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে উঠবে এবং তাদের পরিষেবা গ্রহণের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। পরিষেবা, যোগাযোগ বা অন্য যেকোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারতীয় যুবকরা নতুন নতুন চিন্তাভাবনা সঙ্গে নিয়ে পথ প্রদর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। এমনকি, ন্যূনতম মূলধন সঙ্গে নিয়ে তাঁরা কাজে নেমে পড়ার মতো সাহস দেখাতেও শুরু করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, এইভাবেই গড়ে উঠতে চলেছে এক বিশেষ শক্তিশালী ভারত। খাদ্য ও পানীয়, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও সাজসরঞ্জাম – প্রতিটি  ক্ষেত্রেই স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে। এমনকি, এই ধরনের কয়েকটি সংস্থা আবার বিশ্বের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার মতো ক্ষমতা ও দক্ষতা দেখাতেও শুরু করেছে। এইভাবেই স্বপ্ন থেকে শক্তি এবং শক্তি থেকে বাস্তবায়নের পথ আমরা খুঁজে পেয়েছি। আমাকে করতেই হবে – এই দৃঢ় মানসিকতাই হল এই সাফল্যের মূলে। 

 

বন্ধুগণ,

আমাদের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ অভিযান থেকে নানা ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়েছে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির জন্য। দেশের ফিনটেক স্টার্ট-আপগুলি ইউপিআই-এর মাধ্যমে বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে সম্প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকালে আমি লক্ষ্য করেছি যে ইউপিআই-এর ক্ষমতা কতখানি। গ্রামের একজন সাধারণ সবজি বিক্রেতাও এখন ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বন্ধুগণ,

কৃত্রিম মেধাশক্তি দেশের তরুণ বিনিয়োগকারীদের কাছে অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে। ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশন, ইন্ডিয়া এআই মিশন এবং সেমি-কন্ডাক্টর মিশনের মতো অভিযানগুলি ভারতের তরুণ ও যুব সমাজের কাছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার উন্মুক্ত করতে চলেছে। মাত্র কয়েক মাস আগে ইউএস কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি সেখানে কৃত্রিম মেধাশক্তির ওপর আমার বক্তব্য পেশ করেছিলাম। আমি বলেছিলাম যে ভবিষ্যতের বিশ্ব গঠনে কৃত্রিম মেধাশক্তি হল একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আমি যখন উচ্চারণ করেছিলাম যে এআই-এর অর্থ হল আমেরিকা-ইন্ডিয়া, তখন সমস্ত শ্রোতা ও দর্শকই সেখানে দাঁড়িয়ে আমাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। 

 

বন্ধুগণ,

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে কৃত্রিম মেধাশক্তির মাধ্যমে নেতৃত্বের অধিকার থাকবে ভারতের হাতেই। কারণ, এই বিষয়টিতে আমি দৃঢ় প্রত্যয়ী। আমাদের তরুণ ও যুব সমাজের ওপর গভীর আস্থার মনোভাব থেকেই আমি জোর দিয়ে একথা আজ উচ্চারণ করতে পারছি। আমি আরও মনে করি, যে ধরনের উৎপাদন প্রচেষ্টাই ভারতে গড়ে উঠুক না কেন, তা সফলতা লাভ করবেই। 

বন্ধুগণ,

গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে উৎসাহদানের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি। এই লক্ষ্যে আমরা সংস্থান রেখেছি ১ লক্ষ কোটি টাকার। এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা প্রকল্পগুলিকে সহায়তার যোগান দেওয়া যাবে। অন্যদিকে, ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু কার্যকর আইনও বলবৎ করেছি। এইভাবেই স্টার্ট-আপ উদ্যোগকে নানাভাবে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছি। 

আমি বিশ্বাস করি, আজকের এই স্টার্ট-আপ মহাকুম্ভ থেকে নতুন নতুন কাজের পথের সন্ধান আমরা লাভ করব এবং সেইভাবেই আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাব। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনাদের জন্য আমার শুভেচ্ছা থাকবে সকল সময়েই। আপনারা নতুন নতুন স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে তুলুন, তার মাধ্যমেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুন এবং অন্যদেরও সাহায্য করুন, এই হল আমাদের সরকারের একান্ত ইচ্ছা। উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে কখনই ব্যাহত হতে দেবেন না। কারণ, আপনাদের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষাই হল ভারতের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা। 

ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আমাদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দেশের অগণিত তরুণের উদ্যম ও মেধাশক্তি। তাই তাদের ভূমিকা কোনভাবেই অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আগামীদিনে আমি আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী যাতে তা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি রূপে স্বীকৃতি আদায় করতে পারে। আমি মনে করি যে আমাদের এই প্রচেষ্টায় স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলবে।

বন্ধুগণ,

আপনাদের সামনে আমার এই বক্তব্য পেশ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আপনাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা আমার মধ্যেও এক নতুন উদ্যম সঞ্চারিত করেছে। আপনাদের সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!


প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।