মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী পীযূষ গোয়েলজি, অনুপ্রিয়া প্যাটেলজি, সোমপ্রকাশজি, মাননীয় বিশিষ্টজন এবং দেশের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির বন্ধুরা! স্টার্ট-আপ মহাকুম্ভের জন্য আমি আপনাদের সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বহু মানুষই স্টার্ট-আপ-এর সূচনা করেন। রাজনীতির আঙিনায় এই ঘটনা আরও বেশি করে চোখে পড়ে। কারণ, সেখানে স্টার্ট-আপ-এর উদ্ভব ঘটে বারংবার। তবে, আপনাদের সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য হল, আপনারা সকলেই উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার সঙ্গে যুক্ত। যদি কোনো স্টার্ট-আপ ভালোভাবে কাজ না করে, তাহলে আপনারা অন্য কোন ক্ষেত্রে তা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
বন্ধুগণ,
সমগ্র জাতি যখন আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গঠনের লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ অনুসরণ করে চলেছে, তখন আমি মনে করি যে এই স্টার্ট-আপ মহাকুম্ভের উদ্যোগ ও আয়োজন যথেষ্ট তাৎপর্যময়। বিগত কয়েকটি দশকে আমরা লক্ষ্য করেছি যে ভারত কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার ক্ষেত্রে ক্রমশ আত্মপ্রকাশ করেছে। আর এখন আমরা সারা দেশে উদ্ভাবন প্রচেষ্টা ও স্টার্ট-আপ সংস্কৃতির এক নিরন্তর উত্থান প্রত্যক্ষ করছি। সুতরাং, স্টার্ট-আপ জগতে আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ বিশেষত, আজকের এই মহাকুম্ভে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি যখন এ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করি, তখন আমি বিস্মিত হই একথা ভেবে যে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি এত সুন্দরভাবে সফল হয়ে উঠল কোন পথ অনুসরণ করে? অথবা কিভাবেই বা তারা এই সাফল্য অর্জনের পথ আবিষ্কার করতে পারল? আমি অনুভব করি, আমি উপলব্ধি করি যে এর পেছনে রয়েছে যথেষ্ট মেধা ও প্রতিভার স্ফূরণ। আপনারা সকলে মিলিতভাবে আজকের এই উদ্যোগ-আয়োজনে সামিল হয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি, শিল্প অথবা বাণিজ্য জগতে সরকারের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে পাঁচ বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। সেই কারণে, বাণিজ্য জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই চিন্তা করে থাকেন, এ বছরটি নির্বাচনের বছর। আসুন, আমরা একটু অপেক্ষা করি। কিন্তু নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে দেখা যাবে নতুন সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এটাই হল আপনাদের চিন্তাভাবনা। নির্বাচনের দিনক্ষণ এখন তো ঘোষণা হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও আপনারা এই পরিস্থিতিতেও এই ধরনের একটি বড় অনুষ্ঠানের উদ্যোগ-আয়োজন করতে পেরেছেন। এর অর্থ হল, আগামী পাঁচ বছরে কি ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কে আপনারা একদিক থেকে নিশ্চিত। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের মধ্যে যে মেধা ও প্রতিভা লুকিয়ে আছে, তাই স্টার্ট-আপ উদ্যোগগুলিকে সফল করে তুলছে।
আজ এই মহাকুম্ভে উপস্থিত রয়েছেন অনেকেই - বিনিয়োগ কর্তা, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং শিল্প সংস্থার সদস্যবৃন্দ। তাই এই মহাকুম্ভ প্রকৃত অর্থেই মহাকুম্ভের আকার ধারণ করেছে। তরুণ তথা ভবিষ্যতের শিল্পোদ্যোগীদের উপস্থিতিও এখানে যথেষ্ট। আপনাদের সকলের মধ্যেই রয়েছে মেধাশক্তি। আমিও তার স্পর্শ পেয়েছি। এই পরিবেশে এই ধরনের উদ্যম ও উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।
বন্ধুগণ,
ভারত যদি এখন সকলের মধ্যে এক নতুন আশার জন্ম দিয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে যে বিশ্বজুড়ে স্টার্ট-আপ সংস্থা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক নতুন শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে বর্তমান ভারতের মধ্যে। কারণ, এর মূলে রয়েছে এক সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গী। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বর্তমান ভারত। এই ধরনের স্টার্ট-আপ যখন গড়ে ওঠেনি, তখনও কিন্তু আমি একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলাম। তখন বিজ্ঞান ভবনের প্রেক্ষাগৃহের অর্ধেক অংশও বোধহয় পূর্ণ হয়নি। কিন্তু, সরকার যদি কাজ করে যেতে থাকে তাহলে সেই শূন্যস্থান ক্রমশ পূরণ হতে থাকে। ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’র মতো একটি উদ্যোগের সূচনা ছিল আমার এক বিশেষ পদক্ষেপ। আমার লক্ষ্য ছিল শিল্পোদ্যোগীদের কাছে বিশেষত, তরুণ ও যুবকদের কাছে এক ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ অভিযানের আওতায় দেশ উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার উপযোগী একটি মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছিল। আমরা সূচনা করেছিলাম ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’-এর। আজ সেখান থেকে আমরা কতটা পথ এগিয়ে এসেছি তা আপনারা লক্ষ্য করেছেন। বর্তমান স্টার্ট-আপ বিপ্লবে ভারতের নেতৃত্ব দেশ-বিদেশের ছোট ছোট শহরের তরুণ ও যুবকরাও সমাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে আমাদের স্টার্ট-আপ সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র প্রযুক্তি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু আজ আমি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে কৃষি, বস্ত্রশিল্প, ওষুধ উৎপাদন, পরিবহণ, মহাকাশ, এমনকি যোগচর্চার মধ্যেও স্টার্ট-আপ চিন্তাভাবনা প্রবেশ করেছে। এই স্টার্ট-আপ চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত দেশের আয়ুর্বেদ শিল্পও।
বন্ধুগণ,
মহাকাশের মতো একটি ক্ষেত্রে কাজ ও গবেষণার জন্য অনেক রকম সরকারি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে। কিন্তু, আমার লক্ষ্য ছিল মহাকাশ প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে যাবতীয় ‘ব্যারিয়ার’ তুলে দিয়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এর ফলশ্রুতি হিসেবে আপনারাও লক্ষ্য করেছেন যে মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতীয় স্টার্ট-আপ উদ্যোগগুলি এখন যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। এই মহাকাশ ক্ষেত্রটির সঙ্গে যুক্ত ৫০টি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এই স্টার্ট-আপ উদ্যোগ আজ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই স্টার্ট-আপ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে পেরেছি।
বন্ধুগণ,
সমগ্র বিশ্ব আজ ভারতের যুবশক্তির সম্ভাবনা লক্ষ্য করতে পারছে। কারণ, এই সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের মানসিকতা। স্টার্ট-আপ-এর উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করেছি সারা দেশেই। সূচনায়, অনেকেই আমাদের এই প্রচেষ্টায় আস্থাশীল ছিলেন না। কারণ, তখন মানুষ চাকরি বা কর্মসংস্থানকেই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করতেন এবং এক সময় ধারণা ছিল যে চাকরির অর্থই হল সরকারি চাকরি যা মুষ্টিমেয়র মধ্যে সীমাবদ্ধ মাত্র। কিন্তু বর্তমানে এই মানসিকতার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এমন একটা সময় আমরা অতিক্রম করে এসেছি, যখন ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা বলা হলে প্রথমেই লোকে টাকা বা অর্থের কথা চিন্তা করত। তখন সাধারণের মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে যাঁরা অর্থবান তাঁরাই একমাত্র ব্যবসা শুরু করতে পারে। কিন্তু, আমরা দেশে স্টার্ট-আপ-এর উপযোগী এমন এক পরিবেশ ও পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পেরেছি যার ফলে মানুষের এই বদ্ধমূল ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এই সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়েই সূচিত হয়েছে ভারতের বৈপ্লবিক রূপান্তর প্রচেষ্টা।
দেশের যুব সমাজ এখন ‘কর্মপ্রার্থী’ নয়, বরং ‘কর্মদাতা’ হয়ে উঠছে। যখন ভারতে ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ অভিযান শুরু হয়, তখন থেকেই দেশের যুবকরা তাদের দক্ষতা ও ক্ষমতার প্রতি আরও বেশি করে আস্থাশীল হয়ে পড়ে। বর্তমানে ভারত হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ উদ্যোগী একটি দেশ। ২০১৪ সালে দেশে স্টার্ট-আপ সংস্থার সংখ্যা ছিল বড়জোর ১০০। কিন্তু বর্তমান ভারতে ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো স্টার্ট-আপ উদ্যোগ। এই সংস্থাগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ তরুণ ও যুবক কর্মপ্রার্থীর। প্রায় ১২ হাজার উৎপাদনের পেটেন্ট বা স্বত্বাধিকারের জন্য আবেদন জানিয়েছে দেশের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের জিইএম পোর্টালটির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্টার্ট-আপ সংস্থা ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছে বলে পরিসংখ্যানগত তথ্যে প্রকাশ। এর অর্থ হল, জিইএম পোর্টালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি মঞ্চ গড়ে দিয়েছে, যার আওতায় ২০-২২ বছর বয়সী তরুণ মেধাশক্তি খুব অল্প সময়কালের মধ্যেই ২০ হাজার কোটি টাকার মতো বাণিজ্য ইতিমধ্যেই সম্ভব করে তুলেছে। আমাদের এই সাফল্যকে কোনভাবেই অস্বীকার করা চলে না। ভারতের বর্তমান যুব সমাজ ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি উদ্ভাবন প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির মাধ্যমে তরুণ ও যুবকরা কিভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তাও আমরা আনন্দের সঙ্গেই লক্ষ্য করতে পারছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ২০২৯-এর নির্বাচনকালে অন্ততপক্ষে ১ হাজারটি নতুন স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে উঠবে এবং তাদের পরিষেবা গ্রহণের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। পরিষেবা, যোগাযোগ বা অন্য যেকোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারতীয় যুবকরা নতুন নতুন চিন্তাভাবনা সঙ্গে নিয়ে পথ প্রদর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। এমনকি, ন্যূনতম মূলধন সঙ্গে নিয়ে তাঁরা কাজে নেমে পড়ার মতো সাহস দেখাতেও শুরু করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, এইভাবেই গড়ে উঠতে চলেছে এক বিশেষ শক্তিশালী ভারত। খাদ্য ও পানীয়, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও সাজসরঞ্জাম – প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে। এমনকি, এই ধরনের কয়েকটি সংস্থা আবার বিশ্বের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার মতো ক্ষমতা ও দক্ষতা দেখাতেও শুরু করেছে। এইভাবেই স্বপ্ন থেকে শক্তি এবং শক্তি থেকে বাস্তবায়নের পথ আমরা খুঁজে পেয়েছি। আমাকে করতেই হবে – এই দৃঢ় মানসিকতাই হল এই সাফল্যের মূলে।
বন্ধুগণ,
আমাদের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ অভিযান থেকে নানা ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়েছে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির জন্য। দেশের ফিনটেক স্টার্ট-আপগুলি ইউপিআই-এর মাধ্যমে বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে সম্প্রসারিত হয়েছে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকালে আমি লক্ষ্য করেছি যে ইউপিআই-এর ক্ষমতা কতখানি। গ্রামের একজন সাধারণ সবজি বিক্রেতাও এখন ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
বন্ধুগণ,
কৃত্রিম মেধাশক্তি দেশের তরুণ বিনিয়োগকারীদের কাছে অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে। ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশন, ইন্ডিয়া এআই মিশন এবং সেমি-কন্ডাক্টর মিশনের মতো অভিযানগুলি ভারতের তরুণ ও যুব সমাজের কাছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার উন্মুক্ত করতে চলেছে। মাত্র কয়েক মাস আগে ইউএস কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি সেখানে কৃত্রিম মেধাশক্তির ওপর আমার বক্তব্য পেশ করেছিলাম। আমি বলেছিলাম যে ভবিষ্যতের বিশ্ব গঠনে কৃত্রিম মেধাশক্তি হল একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আমি যখন উচ্চারণ করেছিলাম যে এআই-এর অর্থ হল আমেরিকা-ইন্ডিয়া, তখন সমস্ত শ্রোতা ও দর্শকই সেখানে দাঁড়িয়ে আমাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
বন্ধুগণ,
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে কৃত্রিম মেধাশক্তির মাধ্যমে নেতৃত্বের অধিকার থাকবে ভারতের হাতেই। কারণ, এই বিষয়টিতে আমি দৃঢ় প্রত্যয়ী। আমাদের তরুণ ও যুব সমাজের ওপর গভীর আস্থার মনোভাব থেকেই আমি জোর দিয়ে একথা আজ উচ্চারণ করতে পারছি। আমি আরও মনে করি, যে ধরনের উৎপাদন প্রচেষ্টাই ভারতে গড়ে উঠুক না কেন, তা সফলতা লাভ করবেই।
বন্ধুগণ,
গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে উৎসাহদানের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি। এই লক্ষ্যে আমরা সংস্থান রেখেছি ১ লক্ষ কোটি টাকার। এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা প্রকল্পগুলিকে সহায়তার যোগান দেওয়া যাবে। অন্যদিকে, ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু কার্যকর আইনও বলবৎ করেছি। এইভাবেই স্টার্ট-আপ উদ্যোগকে নানাভাবে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছি।
আমি বিশ্বাস করি, আজকের এই স্টার্ট-আপ মহাকুম্ভ থেকে নতুন নতুন কাজের পথের সন্ধান আমরা লাভ করব এবং সেইভাবেই আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাব। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনাদের জন্য আমার শুভেচ্ছা থাকবে সকল সময়েই। আপনারা নতুন নতুন স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে তুলুন, তার মাধ্যমেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুন এবং অন্যদেরও সাহায্য করুন, এই হল আমাদের সরকারের একান্ত ইচ্ছা। উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে কখনই ব্যাহত হতে দেবেন না। কারণ, আপনাদের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষাই হল ভারতের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা।
ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আমাদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দেশের অগণিত তরুণের উদ্যম ও মেধাশক্তি। তাই তাদের ভূমিকা কোনভাবেই অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আগামীদিনে আমি আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী যাতে তা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি রূপে স্বীকৃতি আদায় করতে পারে। আমি মনে করি যে আমাদের এই প্রচেষ্টায় স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলবে।
বন্ধুগণ,
আপনাদের সামনে আমার এই বক্তব্য পেশ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আপনাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা আমার মধ্যেও এক নতুন উদ্যম সঞ্চারিত করেছে। আপনাদের সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে