Releases the first series of 11 volumes
“The launch of Pandit Madan Mohan Malaviya's complete book is very important in itself”
“Mahamana was a confluence of modern thinking and Sanatan culture”
“Fragrance of Malviya ji's thoughts can be felt in the work of our government”
“It was privilege of our government to confer the Bharat Ratna upon Mahamana”
“Efforts of Malviya ji are also reflected in the new National Education Policy of the country”
“Good governance means being service-centric rather than power-centric”
“India is becoming the creator of many institutions of national and international importance”

ক্যাবিনেটে আমার সহকর্মী শ্রী অনুরাগ ঠাকুর জি এবং অর্জুনরাম মেঘওয়াল জি, আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং মহামনা সম্পূর্ণ রচনা সংগ্রহের মুখ্য সম্পাদক রাম বাহাদুর রাই জি, মহামানা মালব্য মিশনের প্রধান প্রভু নারায়ণ শ্রীবাস্তব জি, উপস্থিত সুধীবৃন্দ !
প্রথমেই আপনাদের ক্রিস্টমাসের শুভেচ্ছা জানাই। যাঁরা ভারত এবং ভারতীয়তার আদর্শে বিশ্বাস করেন, তাঁদের কাছে আজকের দিনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আজ মহানামা মদন মোহন মালব্য জি-র এবং অটল জি-র জন্মবার্ষিকী। তাঁদের শ্রদ্ধাবনত নমস্কার জানাই আমি। অটল জি-র জন্মবার্ষিকীতে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে সুপ্রশাসন দিবস। এই উপলক্ষে আমি শুভেচ্ছা জানাই দেশের প্রতিটি নাগরিককে। 

বন্ধুরা,
এমন একটি বিশেষ একটি দিনে পন্ডিত মদন মোহন মালব্যের রচনা সংগ্রহের প্রকাশ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই লেখন সম্ভারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মহামনার চিন্তা-ভাবনা ও দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সমকালীন ইতিহাসের একটা সামগ্রিক ছবি পাবেন তাঁরা। ইতিহাস কিম্বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে এই রচনা সংগ্রহ এক গুরুত্বপূর্ণ আকর। এখানে রয়েছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মালব্য জি-র কথাবার্তা, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থান এবং ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রসঙ্গ। মহামনার দিনলিপি থেকে মিলবে ভারতীয় সমাজ ও আধ্যাত্মিক চেতনা সম্পর্কে মূল্যবান নানা তথ্য ও ভাবধারার কথা। 
বন্ধুরা,
মহামনার বিশাল ব্যক্তিত্বের একটি সামগ্রিক ছবি ১১ খণ্ডে তুলে ধরার অনবদ্য প্রচেষ্টায় আপনারা যাঁরা রাতদিন এক করে পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, মহামনা মালব্য মিশন, রাম বাহাদুর রাই জি এবং তাঁর সহকর্মীদের এজন্য আমি অকুন্ঠ সাধুবাদ জানাই। আরও অনেকে এক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। তাঁদের জন্য রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আমার পরিবারের সদস্যরা,
মহামনার মতো মানুষ জন্ম নেন বেশ কয়েকশো বছর পরে পরে। তাঁদের কর্মকাণ্ড প্রভাবিত করে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। আধুনিক চিন্তন এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অনবদ্য সম্মিলনের প্রকাশ ঘটেছিল মহামনার মধ্যে। বর্তমানের যুক্তিযুক্ত ভাষ্য এবং ভবিষ্যতের দিশা নির্দেশ মেলে তাঁর চিন্তা-ভাবনার মধ্যে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর অগ্রাধিকার ছিল এই দেশ। তাঁকে ভারতরত্ন দিতে পেরে সম্মানিত হয়েছে আমাদের সরকার। কাশীর সঙ্গে মহামনার অনুষঙ্গ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ভারতীয় ঐতিহ্যের মূর্ত প্রতিফলন কাশী আজ উন্নয়নের নতুন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে। 
আমার পরিবারের সদস্যরা,
দাসত্বের মনোভার পরিহার করে, নিজস্ব ঐতিহ্য এবং সম্পদকে পাথেয় হিসেবে রেখে স্বাধীনতার অমৃতকালে এগিয়ে চলেছে দেশ। মহামনার চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন আমাদের সরকারের কাজকর্মে প্রতিফলিত। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে স্বকীয়তার কথা তিনি বলে গেছেন, তার ওপর ভিত্তি করেই প্রণীত হয়েছে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি। ভারতীয় ভাষায় উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি আমরা। আদালতে ভারতীয় ভাষা ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত এজন্য দেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭৫ বছর। 

বন্ধুরা,
একটি দেশের শক্তি ও সামর্থের ভিত তৈরি হয় তার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপণার মধ্যে। মালব্য জি দেশ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একের পর এক প্রতিষ্ঠানের সূচনা করে গেছেন। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, হরিদ্বারের ঋষিকুল ব্রহ্মচর্য আশ্রম কিম্বা প্রয়াগরাজের ভারতী ভবন লাইব্রেরি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আজ আমাদের সরকারও একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নানান পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। তৈরি হয়েছে পৃথক সমবায় মন্ত্রক ও আয়ুষ মন্ত্রক। গড়ে উঠেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিরাচরিত ঔষধ কেন্দ্র, ভারতীয় মিলেট গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্ব জৈব জ্বালানী জোট, আন্তর্জাতিক সৌর জোট, প্রাকৃতি বিপর্যয় মোকাবিলা জোট, দরিদ্র দেশগুলির জন্য ‘দক্ষিণ’, ভারত- মধ্য প্রাচ্য- ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডরের মতো কমর্সূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ভারত। মহাকাশ এবং সামুদ্র পরিসরেও তাৎপর্যপূর্ণ নানা কর্মসূচির ক্ষেত্রে  প্রথম সারিতে রয়েছে এই দেশ। এইসব উদ্যোগ শুধুমাত্র একবিংশ শতকের ভারতই নয়, একবিংশ শতকের বিশ্বকেও পথ দেখাবে। 
বন্ধুরা,
মহামনা এবং অটল জি-র স্বপ্ন পূরণে আমরা সুপ্রশাসনের ওপর জোর দিচ্ছি-যা সেবা কেন্দ্রিক, ক্ষমতা কেন্দ্রিক নয়- যেখানে প্রতিটি মানুষ তাঁর প্রাপ্য পেয়ে থাকেন কোনোরকম ভেদাভেদ ছাড়াই।
ন্যূনতম পরিষেবা পেতে মানুষকে যাতে হয়রান না হতে হয়, সেজন্য আমাদের সরকার সচেষ্ট। এই লক্ষ্যেই সারা দেশে ‘বিকশিক ভারত সংকল্প যাত্রা’-র আয়োজন। এর অঙ্গ হিসেবে গ্রামে গ্রামান্তরে পৌঁছে যাচ্ছে মোদীর গ্যারান্টি যান। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন ঘরে বসে। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে ১ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে আয়ুষ্মান কার্ড। ‘সকলের সঙ্গে সকলের বিকাশ’-এই হল সুপ্রশাসনের মূল কথা। 

বন্ধুরা, 
সুপ্রশাসনের আর একটি দিক হল, সততা ও স্বচ্ছ্বতা। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির কারণে ২০১৪-র আগে সরকারের ভাবমূ্র্তি ছিল কালিমালিপ্ত। আজ ছবিটা পাল্টে গেছে। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। গরিবদের নিখরচায় রেশন দেওয়ার জন্য ৪ লক্ষ কোটি টাকা, বাসস্থানের জন্য ৪ লক্ষ কোটি টাকা, প্রতি বাড়িতে পাণীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে ভারতে। সৎ করদাতাদের প্রতিটি টাকা যাতে মানুষের কল্যাণে এবং জাতীয় স্বার্থে ব্যয়িত হয়, তা নিশ্চিত করার নামই হল সুপ্রশাসন। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং বলিষ্ঠ নীতির কল্যাণে মাত্র ৫ বছরে ১৩.৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের গ্রাস থেকে মুক্ত হয়েছেন। 

বন্ধুরা,
১১০ টি জেলা আগে অনগ্রসর বলে চিহ্নিত ছিল। এনিয়ে হেলদেল ছিল না কারও। আমাদের সরকার এই ১১০ টি জেলাকে উচ্চাকাঙ্খী জেলার মর্যাদা দিয়ে সেখানকার উন্নয়নে জোর দেয়। তার সুবাদে বিকাশের প্রশ্নে  এই জেলাগুলি এখন অন্য অঞ্চলের চেয়ে এগিয়ে গেছে বলা যায়। একইভাবে আমরা এখন হাতে নিয়েছি উচ্চাকাঙ্খী ব্লক কর্মসূচি। সীমান্তবর্তী এলাকার উন্নয়নে হাতে নেওয়া হয়েছে ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ কর্মসূচি। ওইসব এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছেন সরকারি আধিকারিক এবং মন্ত্রীরা। 
করোনা অতিমারির সময় সংকট মোকাবিলায় ভারত যেভাবে সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে, তা এখন বহু চর্চিত। ইউক্রেন সংঘর্ষের প্রশ্নেও এদেশের অবস্থান সারা বিশ্বের সমীহ আদায় করে নিয়েছে। প্রশাসনিক চালচিত্রে এই পরিবর্তন সমাজগত প্রশ্নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে অবশ্যই। 

বন্ধুরা, 
স্বাধীনতার অমৃতকালে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলায় এগিয়ে চলতে হবে মহামনা এবং অটল জি-র আদর্শকে পাথেয় করে। এই কর্মযজ্ঞে প্রতিটি নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রার্থনীয়।
অনেক ধন্যবাদ !

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
How Modi Government Defined A Decade Of Good Governance In India

Media Coverage

How Modi Government Defined A Decade Of Good Governance In India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi wishes everyone a Merry Christmas
December 25, 2024

The Prime Minister, Shri Narendra Modi, extended his warm wishes to the masses on the occasion of Christmas today. Prime Minister Shri Modi also shared glimpses from the Christmas programme attended by him at CBCI.

The Prime Minister posted on X:

"Wishing you all a Merry Christmas.

May the teachings of Lord Jesus Christ show everyone the path of peace and prosperity.

Here are highlights from the Christmas programme at CBCI…"