Launches and lays foundation stone for projects related to the Broadcasting sector worth about Rs 250 crores
“It is a matter of great joy that Khelo India Youth Games are being held in the beautiful city of Chennai”
“Khelo India Games – A great way to start 2024”
“Tamil Nadu is a land that has produced champions”
“Organization of mega sporting events is crucial for making India a top sporting nation”
“Veera Mangai Velu Nachiyar is a symbol of women power. Today her personality is reflected in many decisions of the government”
“In the last 10 years, the government reformed, the athletes performed and the entire sports system transformed in India”
“Today, we are not waiting for youth to come to sports, we are taking sports to youth”
“Today, for our youth in schools and colleges who want to make their career in sports-related sectors, their better future too is Modi's guarantee”

বনক্কম চেন্নাই!

তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবিজি,  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্ট্যালিনজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী অনুরাগ ঠাকুর,  এল. মুরুগান ও নিশীথ প্রামাণিক, তামিলনাড়ু সরকারের মন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে সমবেত আমার তরুণ বন্ধুরা।

ত্রয়োদশতম খেলো ইন্ডিয়া গেমস-এ আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই। ভারতের ক্রীড়া জগতে ২০২৪ বছরটি বেশ ভাল ভাবেই শুরু হয়েছে। এখানে সমবেত আমার তরুণ বন্ধুরা হলেন এক নবীন ভারত তথা এক নতুন ভারতের প্রতিনিধি। তাঁদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিশ্ব ক্রীড়ার আঙিনায় ভারতকে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া প্রেমীদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনারা সকলে মিলিত ভাবে 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর প্রকৃত শক্তিকে জাগিয়ে তুলেছেন। তামিলনাড়ুর আন্তরিক জনগণ, সুন্দর তামিল ভাষা, সংস্কৃতি ও খাদ্য সম্ভার আমাদের সকলকে এক বিশেষ স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাঁদের আতিথেয়তা নিঃসন্দেহে আপনাদের হৃদয় জয় করে নেবে। খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস আপনাদের দক্ষতাকে সকলের সামনে তুলে ধরার এক বিশেষ সুযোগ এনে দেবে। একই সঙ্গে তা আপনাদের মধ্যে এক নতুন মৈত্রী সম্পর্ক গড়ে তুলবে, যা আপনাদের জীবনভর অটুট থাকবে বলে আমি মনেকরি। 

 

বন্ধুগণ, 

আজ এখানে আকাশবাণী ও দূরদর্শনের কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেন্নাই দূরদর্শন কেন্দ্র থেকে সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৭৫ সালে। এই কেন্দ্রটির যাত্রাপথে এক নতুন মাইলফলক স্থাপিত হচ্ছে আজ থেকে। ডি ডি তামিল চ্যানেলটিও নতুন ভাবে তার কাজ শুরু করতে চলেছে। ৮টি রাজ্যে ১২টি নতুন এফএম টান্সমিটার চালু হলে উপকৃত হবেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। আজ ২৬টি নতুন এফএম টান্সমিটার প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সাফল্যের জন্য আমি অভিনন্দন জানাই তামিলনাড়ু সহ দেশের সর্বসাধারণকে।

বন্ধুগণ, 

ভারতের ক্রীড়া উন্নয়নের ইতিহাসে তামিলনাড়ুর একটি  বিশেষ স্থান রয়েছে। এই রাজ্যটি থেকে উঠে এসেছেন অনেক ক্রীড়া চ্যাম্পিয়ন। অমিতরাজ ভ্রাতৃদ্বয়ের মতো অনেক টেনিস প্রতিভারই জন্ম হয়েছে এই রাজ্যে। আবার তামিলনাড়ুর মাটি থেকে উঠে এসছেন ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক ভাস্করণ যাঁর নেতৃত্বে অলিম্পিক্স গেমসে ভারত একটি স্বর্ণপদক লাভ করেছিল। বিশ্বনাথন আনন্দ-এর মতো দাবা প্রতিভা এবং মারিয়াপ্পানের মতো প্যারা অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন উঠে এসেছেন তামিলনাড়ুর মাটি থেকে। এরকম ভাবেই এই রাজ্য থেকে বহু ক্রীড়া প্রতিভাই উঠে এসছেন। আমি বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু রাজ্য থেকে নানা ভাবে নানা প্রেরণা সঞ্চারিত হবে আপনাদের সকলের মধ্যে। 

বন্ধুগণ, 

বিশ্বের যেকটি দেশ ক্রীড়া জগতে শীর্ষ স্থান অধিকার করে রয়েছে তাদের মধ্যে ভারত অন্যতম একটি দেশরূপে স্বীকৃত হবে তা দেখতে আমি বিশেষ ভাবে আগ্রহী। এজন্য প্রয়োজন দেশে নিরন্তর ভাবে বড় ধরণের ক্রীড়া অনুষ্ঠানের উদ্যোগ আয়োজনের। যার মধ্য দিয়ে খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পাশাপাশি একেবারে নিচের তলা থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়রা বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করবেন। খেলো ইন্ডিয়া অভিযান আজ ভারতের ক্রীড়া ক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৮ থেকে খেলো ইন্ডিয়া গেমসের ১২টি পর্ব আয়োজিত হয়েছে। ইন্ডিয়া ইউথ গেমস, খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভারসিটি গেমস, খেলো ইন্ডিয়া উইন্টার গেমস এবং খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমস নতুন প্রতিভাকে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের জন্য নানা ধরণের সুযোগ সুবিধারও ব্যবস্থা করেছে। খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস-এর আজ আরও একবার এখানে সূচনা হতে চলেছে। চেন্নাই, ত্রিচি, মাদুরাই এবং কোয়েম্বাটুরের মতো তামিলনাড়ুর সুন্দর সুন্দর শহরগুলি ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। 

 

বন্ধুগণ, 

খেলোয়াড় বা দর্শক আপনারা যাই হোক না কেন চেন্নাইয়ের সুন্দর সুন্দর সমুদ্র সৈকতগুলি আপনাদের সকলকে আকৃষ্ট করবে। মাদুরাইয়ের অপূর্ব মন্দিরের পরিবেশও মুগ্ধ করবে আপনাদের। ত্রিচির মন্দিরগুলির স্থাপত্য ও শিল্প সৌন্দর্য আপনাদের মনকে হরণ করে নেবে। আবার কোয়েম্বাটুরের পরিশ্রমী শিল্পোদ্যোগীরা উন্মুক্ত হৃদয়ে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তামিলনাড়ুর এই শহরগুলিতে আপনারা সঞ্চয় করবেন এমন এক অভিজ্ঞতা যা আপনাদের সারা জীবনে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

বন্ধুগণ, 

খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস চলাকালীন ৩৬টি রাজ্যের খেলোয়াড়রা তাঁদের নিষ্ঠা ও প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। পাঁচ হাজারেরও বেশি তরুণ খেলোয়াড় যখন তাঁদের সমস্ত আবেগ ও উৎসাহ নিয়ে খেলার মাঠে অবতীর্ণ হবেন, ঠিক সেই সময়ের অবিস্মরণীয় মুহূর্তটি আমি আমার কল্পনার দৃষ্টিতে এখন দেখতে পাচ্ছি। তীরন্দাজি, অ্যাথলেটিক্স এবং ব্যাডমিন্টনের মতো খেলাগুলি আমাদের সকলকে আনন্দ এনে দেবে। আবার স্কোয়াশের মতো খেলাটিতে আমরা দেখতে পাবো উৎসাহ উদ্দীপনের স্ফূরণ। এই খেলাটি এই প্রথমবার খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস-এর তালিকায় স্থান পেয়েছে। তামিলনাড়ুর প্রাচীন গৌরব ও ঐতিহ্যকে আমরা নতুন করে খুঁজে পাবো সিলাম্বামের মতো একটি খেলায়। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে সকল খেলোয়াড়ই মিলিত সংকল্প, শক্তি ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে এখানে ঐক্যের এক নতুন পরাকাষ্ঠা স্থাপন করবেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে আপনাদের নিষ্ঠা, আত্মবিশ্বাস ও সাহস খেলাধূলাকে এক বিশেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করবে। খেলোয়াড়দের অসাধারণ সাফল্য নিশ্চিত করার সংকল্পের সাক্ষী থাকবে সমগ্র জাতি। 

 

বন্ধুগণ, 

তামিলনাড়ু হল থিরুভাল্লুভার-এর মতো এক মহান সাধুপুরুষের পবিত্র ভূমি। তিনি দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে এক নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিলেন। তাঁর লেখনীর মাধ্যমে তিনি নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলেন দেশের তরুণ ও যুবকদের। খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস-এর লোগোটিতেও মহাপুরুষ থিরুভাল্লুভারের প্রতিচ্ছবি স্থান পেয়েছে। তিনি একদা লিখেছিলেন, 'প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমাদের কখনও দুর্বল হলে চলবে না, বিপদ থেকে আমরা পালিয়ে বাঁচতে পারবো না। মনকে শক্ত করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে'। তাঁর এই কথাটি দেশের একজন খেলোয়াড়ের কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ। আমি খুবই আনন্দিত যে এবছর খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস-এর ম্যাসকট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বীরা মঙ্গাই ভেলুনাচিয়ার-এর প্রতিকৃতিকে। ম্যাসকট হিসেবে আমাদের ব্যবহারিক জগতের এক বিশেষ ব্যক্তিত্বকে বেছে নেওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। কারণ, বীরা মঙ্গাই ভেলুনাচিয়ার ছিলেন নারীশক্তির এক বিশেষ প্রতীক। বর্তমানে সরকারি বহু সিন্ধান্তের প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর মতো ব্যক্তিত্বের। তাঁর অনুপ্রেরণা সরকারকে চালিত করেছে ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারী ক্ষমতায়নের পথকে প্রশস্ত করার লক্ষ্যে নিরন্তর ভাবে কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে। ২০টির মতো খেলায় গঠিত হয়েছে মহিলা লিগ। এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মহিলা খেলোয়াড়। 'দশ কা দম' উদ্যোগটি এক লক্ষেরও বেশি মহিলা প্রতিযোগীকে তাঁদের প্রতিফা স্ফূরণের সুযোগ করে দিয়েছে। 

বন্ধুগণ,

২০১৪ সাল থেকে ভারতীয় খেলোয়াড়দের দক্ষতা ও সাফল্য কিভাবে এই উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে সেসম্পর্কে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। আপনারা সকলেই লক্ষ্য করেছেন যে টোকিও অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক গেমস-এ ভারত অসাধারণ সাফল্য প্রদর্শন করেছে। শুধু তাই নয়, এশিয়ান গেমস এবং এশিয়ান প্যারা গেমস-এও ভারত এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। ইউনিভারসিটি গেমসের আঙিনাতেও রেকর্ড সংখ্যক পদক জয় করে ভারত বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। তবে সাফল্যের পথে আমাদের রূপান্তর প্রচেষ্টা কিন্তু একদিনে বা রাতারাতি সম্ভব হয়নি। এর পেছনে কাজ করেছে দেশের খেলোয়াড়দের কঠোর শ্রম ও নিষ্ঠা। গত ১০ বছরে তাঁদের মধ্যে জন্ম নিয়েছে এক নতুন আত্মবিশ্বাস। সরকার প্রতিনিয়ত তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অতীতে ক্রীড়া বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের। আমরা বর্তমানে ১০ বছরের সংস্কার প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্রীড়া ক্ষেত্রে এক নতুন মান আমরা নিশ্চিত করেছি। এই বাতাবরণের মধ্যে ব্যতিক্রমী সাফল্য দেখিয়েছেন আমাদের ক্রীড়াবিদরা। সমগ্র ক্রীড়া পদ্ধতি ও ব্যবস্থাটির বর্তমানে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। হাজার হাজার ক্রীড়া প্রতিযোগী এখন প্রতি মাসে খেলো ইন্ডিয়া অভিযানের আওতায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তার সুযোগ লাভ করছেন। ২০১৪ সালে আমরা সূচনা করেছি টপস অর্থাৎ টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম-টির। এর উদ্দেশ্য ছিল দেশের সেরা ক্রীড়া প্রতিভাদের বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলা। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আঙিনাতেও তাঁরা যাতে সাফল্যের নজির রাখতে পারেন তা নিশ্চিত করাও ছিল আমাদের এক প্রধান উদ্দেশ্য। আমাদের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ ২০২৪-এর প্যারিস অলিম্পিক এবং ২০২৮-এর লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের দিকে। টপস কর্মসূচির আওতায় খেলোয়াড়দের সম্ভাব্য সকল রকম সহযোগিতার যোগান দেওয়া হচ্ছে। 

 

বন্ধুগণ, 

আমরা এখন খেলার জগতের তরুণ যুবকদের অংশগ্রহণের প্রতীক্ষায় কাল অতিবাহিত করছি না। বরং আমরাই খেলাধূলাকে পৌঁছে দিচ্ছি তরুণ ও যুবকদের কাছে। 

বন্ধুগণ,

খেলো ইন্ডিয়ার মতো ক্রীড়া কর্মসূচিগুলি দেশের গ্রামীণ, আদিবাসী এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলি থেকে উঠে আসা তরুণ যুবকদের স্বপ্নকে সাকার করে তুলেছে। 'ভোকাল ফর লোকাল' শব্দবন্ধটি আমরা যখন উচ্চারিত করে, তখন তার মধ্যে ক্রীড়া প্রতিভার কথাটিও উল্লেখিত থাকে। স্থানীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়েও এখন আমরা নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্যোগ আয়োজনে উন্নততর সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটিয়েছি। এর ফলে, বিশ্বের ক্রীড়া আঙিনাতে ভারতীয় তরুণদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটেছে। গত ১০ বছরে অসংখ্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আমরা আয়োজন করেছি আমাদের দেশে। আপনারা একবার কল্পনা করুন ভারতে রয়েছে এক বিরাট উপকূল রেখা এবং এতগুলি সমুদ্র সৈকত। তাই এই প্রথমবার আমরা আয়োজন করেছিলাম আমাদের দ্বীপ ভূখন্ডগুলিতে সৈকত ক্রীড়ার। অন্যান্য ৮টি ক্রীড়ার সঙ্গে ভারতের পরম্পরাগত মাল্লাখাম খেলাটিও প্রতিযোগিতার তালিকাভুক্ত ছিল। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১৬০০ ক্রীড়াবিদ। সৈকত ক্রীড়া এবং ক্রীড়া পর্যটনের ক্ষেত্রে আমাদের এই উদ্যোগ এক নতুন অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। ফলে, দেশের উপকূলবর্তী শহরগুলিতে সম্প্রসারিত হয়েছে নানা ধরণের সুযোগ-সুবিধা। 

 

বন্ধুগণ, 

আমাদের তরুণ প্রতিভাদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ, বিশ্বের ক্রীড়া জগতে ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে ২০২৯ সালে ইউথ অলিম্পিক এবং ২০৩৬ সালে অলিম্পিক গেমস আয়োজনে আমরা শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টায় নিযুক্ত হয়েছি। আপনারা সকলেই জানেন যে খেলাধূলা এখন এক শুধুমাত্র মাঠ ময়দানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, খেলাধূলা হল এখন প্রকৃত অর্থে এক বিশেষ অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টা, যা দেশের তরুণ ও যুবকদের কাছে কর্মসংস্থানের অসংখ্য সুযোগ এনে দিতে পারে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম একটি অর্থনীতি হিসেবে তুলে ধরার গ্যারান্টি আমি দিয়েছি। সুতরাং গত ১০ বছর ধরে খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত সবকটি ক্ষেত্রের উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা নিয়োজিত রয়েছে। 

বর্তমানে ক্রীড়া সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলিতে পেশাদারিত্বের প্রশিক্ষণে আমরা দক্ষতা বিকাশের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। অন্যদিকে, ক্রীড়ার সাজসরঞ্জাম উৎপাদন ও সেসম্পর্কিত পরিষেবার মান উন্নত করতে এক উপযুক্ত বাতাবরণ গড়ে তোলার কাজেও আমরা উদ্যোগী হয়েছি। খেলো ইন্ডিয়া অভিযানের মাধ্যমে আমরা এপর্যন্ত স্থাপন করেছি ৩০০টিরও বেশি নামী-দামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১০০০-এরও বেশি খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র এবং ৩০টিরও বেশি উৎকর্ষ কেন্দ্র। আমাদের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতেও মূল পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে খেলাধূলার মতো বিষয়টি। শৈশব থেকে ক্রীড়াকে পেশাদারিত্বের দৃষ্টিতে বেছে নেওয়ার কাজকে আরও সহজ করে তুলতে এই ভাবে আমরা চেষ্টা করেছি সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সচেতনতা প্রসারের। 

বন্ধুগণ,

ভারতের ক্রীড়া শিল্পে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা বিনিয়োগ করতে চলেছি ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এর ফলে, প্রত্যক্ষ ভাবে উপকৃত হবেন দেশের তরুণ ক্রীড়া প্রতিযোগীরা। আমাদের এই উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সম্প্রচার ব্যবস্থা, ক্রীড়ার সাজসরঞ্জাম, ক্রীড়া পর্যটন এবং ক্রীড়ার পোষাকের মতো ব্যবসায়িক প্রচেষ্টাতেও বিশেষ সাফল্য এসেছে। আমাদের লক্ষ্য হল ক্রীড়ার সাজসরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতকে স্বনির্ভর করে তোলা। এদেশে এখন উৎপাদিত হচ্ছে ৩০০টি ভিন্ন ভিন্ন ধরণেরর ক্রীড়া সরঞ্জাম। 

 

বন্ধুগণ,

খেলো ইন্ডিয়া অভিযানের আওতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে তা দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি। এই ভাবেই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে আমরা ক্রীড়া প্রতিভার বীজ বপন করতে শুরু করেছি। তাঁদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি এক উন্নততর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। এটাই হল মোদী গ্যারান্টি।

বন্ধুগণ, 

ভারত বর্তমানে শুধু ক্রীড়া ক্ষেত্রেই নয়, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষের অধিকারী। আজকের নতুন ভারত অতীতের সমস্ত প্রাচীন রেকর্ড ম্লান করে দিচ্ছে। কারণ, আমাদের ঝুলিতে এখন নতুন নতুন সাফল্য। নতুন নতুন মাইলফলক আমরা আজ স্থাপন করে চলেছি। দেশের যুবশক্তির ওপর আমার আস্থা রয়েছে অটুট। কারণ, তাঁদের মধ্যে আমি লক্ষ্য করেছি কোন কিছু জয় করে নেওয়ার আগ্রহকে। তাঁদের মানসিক শক্তি ও অবিচল নিষ্ঠা আমার মধ্যে এক বিশেষ আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। তরুণ ক্রীড়া প্রতিভাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই যে আপনারা আরও সামনের দিকে এগিয়ে চলুন। সমগ্র দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে। আসুন আমরা সকলে একে অপরের হাত শক্ত করি এবং দেশকে জয়ের গর্ব এনে দিই। দেশের সকল ক্রীড়াবিদদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

ধন্যবাদ।

খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমস-এর শুভ সূচনার কথা আমি এখন ঘোষণা করছি।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।