QuoteInaugurates 10 Government Medical Colleges in Maharashtra
QuoteLays foundation stone for upgradation of Dr Babasaheb Ambedkar International Airport, Nagpur
QuoteLays foundation stone for New Integrated Terminal Building at Shirdi Airport
QuoteInaugurates Indian Institute of Skills Mumbai and Vidya Samiksha Kendra, Maharashtra
QuoteLaunch of projects in Maharashtra will enhance infrastructure, boost connectivity and empower the youth: PM

নমস্কার! 
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণান, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীদ্বয়, শ্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ, শ্রী অজিত পাওয়ার সহ অন্যান্য অভ্যাগত, মহারাষ্ট্রে আমার ভাই ও বোনেরা.... 

মহারাষ্ট্রে শিবভক্ত ভাই ও বোনেদের আমি শুভেচ্ছা জানাই।

আজ মহারাষ্ট্র ১০টি নতুন মেডিকেল কলেজ পাচ্ছে, সেইসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পেরও সূচনা হয়েছে অর্থাৎ নাগপুর বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ এবং শিরডি বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবনের নির্মাণ। এই সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য মহারাষ্ট্রের জনসাধারণকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।  গত সপ্তাহেই থানে এবং মুম্বাই গিয়ে আমি মেট্রো লাইন প্রকল্প সহ ৩০,০০০ কোটি টাকার নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এর আগে বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও সূচনা হয়েছে। বিভিন্ন শহরে মেট্রো রেল পথ সম্প্রসারিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ হচ্ছে, সেইসঙ্গে সড়ক এবং মহাসড়ক প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প সৌরবিদ্যুৎ এবং বস্ত্র পার্কেরও সূচনা হয়েছে। কৃষক এবং গবাদি পশুপালকদের কল্যাণে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে দেশের বৃহত্তম মালবাহী ভাদাবন বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও নানা ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের এই ব্যাপকস্তরের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ হয়নি। কংগ্রেস শাসনকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিদ্রুত দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই প্রসঙ্গ অবশ্য ভিন্ন। 
ভাই ও বোনেরা, 
কয়েকদিন আগে মারাঠি ভাষাকে আমরা ধ্রুপদী ভাষার সম্মান দিয়েছি। কোনও ভাষা যখন তাঁর প্রাপ্য সম্মান পায় তখন তাতে কেবল কথায় নয় সমগ্র প্রজন্মের এক অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটে। কোটি কোটি মারাঠির বহু দশকের পুরোনো স্বপ্নপূরণ হয়েছে। মহারাষ্ট্র জুড়ে সমস্ত মানুষ তাতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আমি মহারাষ্ট্রের গ্রামগুলি থেকেও অনুরূপ বার্তা পাচ্ছি। মারাঠিকে ধ্রুপদী ভাষার সম্মান দেওয়ায় সেখানকার মানুষ আমায় ধন্যবাদ বার্তা পাঠাচ্ছেন। যদিও আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই এটা আমার একার কাজ নয়, আপনাদের আশীর্বাদে সেই কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রত্যেকটি উন্নয়নমূলক প্রয়াস মহান ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ, বাবা সাহেব আম্বেদকর, জ্যোতিবা ফুলে এবং সাবিত্রী বাই ফুলের আশীর্বাদ ধন্য। 

বন্ধুগণ, 
গতকালই হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। হরিয়ানায় দেশের মানুষের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে। পরপর দুবার সরকারে থাকার পূর্ণ মেয়াদের পর টানা তৃতীয়বারের জন্য জয় পাওয়া এক কথায় ঐতিহাসিক। শহুরে নকশাল গ্যাং সহ কংগ্রেসের সামগ্রিক পরিমণ্ডল জন সাধারণকে ভুল বোঝাতে ব্যস্ত। তবে, কংগ্রেসের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল হয়ে গেছে। দলিতদের মধ্যে মিথ্যাচার ছড়ানোর চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের ভয়ঙ্কর অভিসন্ধির কথা দলিত সম্প্রদায় বুঝে গেছেন। দলিতরা বুঝতে পেরেছেন তাদের সংরক্ষণ ছিনিয়ে নিয়ে কংগ্রেস নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে চায়। হরিয়ানার দলিত সম্প্রদায় আজ বিজেপিকে রেকর্ড সমর্থন দিয়েছেন। উন্নয়নের কাজে দায়বদ্ধতা দেখেই হরিয়ানার অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষরা বিজেপির পাশে রয়েছেন। কংগ্রেস কৃষকদের উত্যক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু কৃষকরা জানেন যে বিজেপি তাদের ফসলের ন্যূনতম সহায়তা দিয়েছে। হরিয়ানার কৃষকেরা বিজেপির উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে খুশি। কংগ্রেস যুব সম্প্রদায়কে বিপথে চালানোর চেষ্টা করেছে। যদিও হরিয়ানার যুবক-যুবতী এবং কন্যা সন্তানরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিজেপিকে বিশ্বাস করেন। কংগ্রেসের যাবতীয় কৌশল সত্ত্বেও হরিয়ানার মানুষ বুঝিয়েছেন যে তারা শহুরে নকশালদের চক্রান্ত এবং কংগ্রেসের ফাঁদে আর কখনও পা দেবেন না। 

বন্ধুগণ, 
কংগ্রেস সবসময়ই ভাগাভাগির রাজনীতি করে শাসন পরিচালনার ফর্মূলা চালিয়ে এসেছে। এরফলে বারবার তারা একটি দায়িত্বহীন দল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। দেশকে ভাঙার নতুন প্রচার কৌশল তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটারদের বিপথে চালিত করতে কংগ্রেস থেমে নেই। তাদের ফর্মূলা একেবারে পরিষ্কার। মুসলিমদেরকে ভয়ে রেখে, তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে সেই ভোটব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করা। কোনও কংগ্রেস নেতা মুসলিমদের মধ্যে জাত-পাতের বিভাজন নিয়ে কখনও কথা বলেন না। যে মুহূর্তে মুসলিমদের জাতপাতের প্রশ্ন সামনে এসেছে কংগ্রেস নেতারা নিজেদের মুখ বন্ধ রেখেছেন। হিন্দু সমাজ নিয়ে আলোচনা মাত্রই কংগ্রেস জাত-পাতের প্রশ্নকে তুলে ধরে। কংগ্রেসের অভিসন্ধি হল, হিন্দুদের এক জাতকে অন্য জাতের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা। তারা জানেন, হিন্দুরা যত বিভাজিত হবে ততই কংগ্রেস তার থেকে সুবিধা তুলতে পারবে। রাজনৈতিক স্বার্থেই কংগ্রেস হিন্দু সমাজকে ডামাডোলের মধ্যে রাখতে চায়। দেশের কোথাও নির্বাচন হওয়া মাত্রই কংগ্রেস এই ফর্মূলাকে কাজে লাগিয়েছে। নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে কংগ্রেস সমাজে বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার যাবতীয় চক্রান্ত করে থাকে। সাম্প্রদায়িক এবং জাতভিত্তিক রাজনীতিতে কংগ্রেস পূর্ণমাত্রায় যুক্ত। কংগ্রেসের রাজনীতির মূল ভিত্তিই হল, ভোটের লাভকে নিশ্চিত করতে হিন্দু সমাজকে ভাঙো। সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখাও অর্থাৎ সকলের কল্যাণ যে এক সনাতন ধারা তা কংগ্রেস সব সময় চেপে রাখার চেষ্টা করেছে। বহু বছর ধরে দেশ শাসন করে কংগ্রেস পুনরায় আবার প্রতিদিন ঘৃণার রাজনীতিতে প্ররোচনা দিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা দলের এই জাতীয় মনোভাবে নিরূপায় এবং হতাশ। কংগ্রেস এক বৃহত্তম ঘৃণার কারখানা হিসেবে পরিণত হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে। স্বাধীনতার পর মহাত্মা গান্ধী একথা সঠিকভাবে বুঝেছিলেন বলেই বলেছিলেন যে কংগ্রেসকে তুলে দেওয়া উচিত। কংগ্রেস নিজে উঠে যায়নি তবে আজ দেশকে ধ্বংস করতে মরিয়া। ফলে আমাদেরকে সবসময় সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। 

 

|

বন্ধুগণ, 
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সমাজকে ভাঙার যাবতীয় চক্রান্ত মহারাষ্ট্রের মানুষ ব্যর্থ করে দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে মহারাষ্ট্রের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি ও মহাযুতি জোটকে ভোট দেবেন। 

হরিয়ানায় জয়লাভের পর মহারাষ্ট্রেও বিজেপির আরও বড় সাফল্য পেতে হবে। 
বন্ধুগণ, 
গত ১০ বছরে দেশের উন্নয়নে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ার এক বিরাট লক্ষ্যের আমরা হাতে নিয়েছি। আজ আমরা কেবলমাত্র ভবন নির্মাণ করছি না স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ মহারাষ্ট্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছি। ১০টি নতুন মেডিকেল কলেজের একইসঙ্গে উদ্বোধন কেবলমাত্র নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপনই নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের উন্নতিকল্পে এটা এক মহাযজ্ঞ। থানে-অম্বরনাথ, মুম্বাই, নাসিক, জালনা, বুলধানা, হিঙ্গোলি, ওয়াসিম, অমরাবতি, ভান্ডারা, গাদচিরোলি মেডিকেল কলেজের ফলে এইসব জেলা এবং সন্নিকটবর্তী এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। নতুন মেডিকেল কলেজগুলি স্থাপিত হওয়ায় মহারাষ্ট্রে ৯০০টি নতুন মেডিকেল আসন বরাদ্দ করা হচ্ছে। ফলে, মহারাষ্ট্রে মেডিকেল আসনের সংখ্যা ৬০০০-এ পৌঁছোলো। লালকেল্লা থেকে এবছর ঘোষণা করা হয়েছে যে, ৭৫,০০০ নতুন মেডিকেল আসন গড়তে দেশ সংকল্প নিচ্ছে। আজকের এই উদ্যোগ সেই লক্ষ্যে এক বৃহৎ পদক্ষেপ। 

বন্ধুগণ, 
মেডিকেল শিক্ষাকে আরও সহজলভ্য করার আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। যা মহারাষ্ট্রের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারে সন্তানরা আরও বেশি করে ডাক্তার হয়ে তাদের স্বপ্নপূরণ করুন সেটাই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার। একটা সময় মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তকের অভাব একটা বড় বাধা ছিল। মহারাষ্ট্রের যুব সম্প্রদায়ের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরা সেই বৈষম্য দূর করেছি। এখন মহারাষ্ট্রে আমাদের যুব সম্প্রদায় মারাঠি ভাষায় ডাক্তারি করতে পারে। মারাঠিতে পড়েই তারা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে পারেন। 

বন্ধুগণ, 
জীবধারায় স্বাচ্ছন্দ্যবিধান দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কংগ্রেসের মতো দলগুলি দারিদ্রকে রাজনীতি ক্ষেত্রে তাদের রসদ হিসাবে ব্যবহার করেছে। ফলে গরীবদেরকে তারা দরিদ্র্যাবস্থার মধ্যেই রেখেছেন। গত এক দশকের মধ্যেই আমাদের সরকার ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রমুক্তি ঘটিয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের রূপান্তর এখন এক মূল নির্ণায়ক হয়ে ওঠেছে। প্রত্যেকটি গরীব মানুষ এখন আয়ুষ্মান কার্ডে নিখরচায় চিকিৎসা পান। দেশে এখন সত্তরোর্ধ মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাচ্ছেন। জন ঔষধি কেন্দ্রগুলিতে অত্যাবশ্যক ওষুধ খুবই কম পয়সায় পাওয়া যায়। হৃদরোগীদের জন্য স্টেন্ট-এর দাম ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ সস্তা হয়ে গিয়েছে। ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় ওষুধের দামও আমরা কমিয়েছি। সরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা এখন অনেক কম খরচে সম্ভব। মোদী সরকারের সৌজন্যে দেশের দরিদ্রতম মানুষের জন্য এখন শক্তিশালী সামাজিক সুরক্ষা বলয় রয়েছে। 

বন্ধুগণ, 

কোনও দেশের যুব সম্প্রদায় আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হলে সে দেশ বিশ্বের আস্থা অর্জন করে থাকে। আজ ভারতের যুব সম্প্রদায়ের আস্থা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের গল্প বলছে।  প্রধান দেশগুলি এখন ভারতকে মানব সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ হাব বলে দেখছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সফটওয়্যার সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের যুব সম্প্রদায়ের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমাদের যুবসম্প্রদায়কে বিশ্বমানের উপযুক্ত করে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখন মহারাষ্ট্রে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের মতো উদ্যোগ শুরু করেছি। মুম্বাইয়ে আমরা আজ ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ স্কিলস – এর উদ্বোধন করেছি। এখানে যুব সম্প্রদায়ের মানুষ ভবিষ্যতের প্রয়োজনভিত্তিক প্রশিক্ষণ পাবেন। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে। আমাদের সরকার যুবদের ইন্টার্নশিপের টাকা মেটাচ্ছে। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এই জাতীয় কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টার্নশিপ করার সময় এখন যুবক –যুবতীরা ৫০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। আমি খুশি যে কয়েক হাজার কোম্পানি এই উদ্যোগকে সমর্থন জানাতে এবং যুবদের ইন্টার্নশিপ প্রশিক্ষণ দিতে নাম লেখাচ্ছেন। এই প্রয়াসের ফলে যুব সম্প্রদায়ের ভিত্তি অনেক শক্তিশালী হবে, তাদের অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। 


ভাই ও বোনেরা,
 
যুব সম্প্রদায়ের জন্য ভারতে এই প্রয়াস ক্রমশই ফলদায়ক হচ্ছে। আজ আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বিশ্বের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। গতকালই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যোগ্যতাভিত্তিক বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ের ঘোষণা হল। এই ব়্যাকিং থেকে দেখা যাচ্ছে ভারতে যুব সম্প্রদায়ের জন্য উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা ক্ষেত্র ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। 

 

|

বন্ধুগণ,

বিশ্ব আজ ভারতে প্রতি আলোকপাত করছে। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যত এখন ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র খুলে দিচ্ছে। কংগ্রেসের সময় দশকের পর দশক ধরে অবহেলিত ক্ষেত্রগুলি এখন প্রভূত সম্ভাবনার ভাণ্ডার হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ, পর্যটন ক্ষেত্র। মহারাষ্ট্রে অমূল্য ঐতিহ্যের ভাণ্ডার রয়েছে। অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ এলাকার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক নানা কেন্দ্র রয়েছে। এইসব জায়গায় বহু বিলিয়ন ডলার অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু এতদিন এইসব জায়গার সদ্ব্যবহার করা হয়নি। বিকাশ অর্থাৎ উন্নয়ন এবং বিরাসত অর্থাৎ ঐতিহ্যের প্রতি কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ ছিল না। আমাদের সরকারের আমলে ঐতিহ্যের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ দুইই হচ্ছে। আমরা সমৃদ্ধ অতীত থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলছি। এই কারণেই আজ আমরা শিরডি বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন সহ আধুনিক নাগপুর বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এছাড়াও মহারাষ্ট্র জুড়ে আরও অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়ে চলেছে। শিরডি বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের ফলে সাঁইবাবার ভক্তদের অনেক সুবিধা হবে। সারাদেশ জুড়ে এবং বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত এখানে আসতে পারবেন। কিছুদিন আগেই আমি  নতুনভাবে গড়ে তোলা সোলাপুর বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছি। কোনও ভক্ত যদি এক জায়গায় এলে  তাঁরা শানি সিগনাপুর, তুলজা ভবানি এবং কৈলাশ মন্দিরের মতো বিভিন্ন স্থানও পরিদর্শন করবেন। এরফলে মহারাষ্ট্রের পর্যটন অর্থনীতির সূচনা হবে এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে। 


বন্ধুগণ, 

আমাদের সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত এবং নীতি একটি লক্ষ্যে সমর্পিত, অর্থাৎ বিকশিত ভারত বা উন্নত ভারত। এই জন্যই আমাদের লক্ষ্য হল দরিদ্র, কৃষক, যুব সম্প্রদায় এবং নারী কল্যাণ। ফলে প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পই গ্রামের জন্য, দরিদ্র, শ্রমজীবী এবং কৃষকদের স্বার্থে নিবেদিত। শিরডি বিমানবন্দরে পৃথক কারগো কমপ্লেক্স কৃষকদের অনেক উপকারে লাগবে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বিদেশেও নানাবিধ কৃষিজ পণ্য পাঠানো যাবে। শিরডি, লাসালগাঁও, আহিল্যানগর এবং নাসিকের কৃষকরা এতে প্রভূত লাভবান হবেন। এখানকার বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য যেমন পেঁয়াজ, আঙুর, সজনে ডাটা, পেয়ারা, ডালিম প্রভৃতি কৃষকরা অনেক বড় বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন।  


ভাই ও বোনেরা, 

কৃষকদের কল্যাণে আমাদের সরকার ক্রমাগত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে চলেছে। বাসমতী চালের ওপর ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের সীমা আমরা সরিয়ে দিয়েছি। বাসমতী চাল নয় এমন চালের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধ চালের ওপরে রপ্তানি শুল্ক অর্ধেক করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের কৃষকদের মুনাফার স্বার্থে পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক আমরা অর্ধেক করে দিয়েছি। ভোজ্য তেলের আমদানির ওপরে আমরা ২০ শতাংশ কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও পরিশোধিত সোয়াবিন, সান ফ্লাওয়ার এবং পাম তেলের ওপরে বহিঃশুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। এতে লাভবান হবেন কারা?  লাভবান হবেন আমাদের কৃষকরা। তারা তাদের উৎপাদিত সর্ষে, সোয়াবিন, সানফ্লাওয়ারের ভালো দাম পাবেন। বস্ত্রশিল্পে আমাদের সরকারের সহায়তা মহারাষ্ট্রের তুলো চাষীদেরও নানা উপকারে লাগছে। 


বন্ধুগণ, 

একটা জিনিষ আপনারা সবসময় মনে রাখবেন, মহা-আঘাদি ক্ষমতা পেলে মহারাষ্ট্রকে দুর্বল করতে চায়। অন্যদিকে, মহাযুতিরা মহারাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে সংকল্পবদ্ধ। আমি খুশি যে মহারাষ্ট্র দেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রথম সারিতে এগিয়ে চলেছে। আরও একবার আমি এই সমস্ত উন্নয়নমূলক উদ্যোগের জন্য মহারাষ্ট্রের জনসাধারণকে আমার ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

আপনাদের অনেক ধন্যবাদ ! 

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণ হিন্দিতে। 

 

  • Dheeraj Thakur January 31, 2025

    जय श्री राम.
  • Dheeraj Thakur January 31, 2025

    जय श्री राम
  • SUNIL Kumar November 30, 2024

    Jai shree Ram
  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • ram Sagar pandey November 07, 2024

    🌹🙏🏻🌹जय श्रीराम🙏💐🌹जय माता दी 🚩🙏🙏🌹🌹🙏🙏🌹🌹🌹🌹🙏🙏🌹🌹🌹🌹🙏🙏🌹🌹🌹🌹🙏🙏🌹🌹
  • Avdhesh Saraswat November 04, 2024

    HAR BAAR MODI SARKAR
  • Ratna Gupta November 02, 2024

    जय श्री राम
  • Chandrabhushan Mishra Sonbhadra November 01, 2024

    k
  • Chandrabhushan Mishra Sonbhadra November 01, 2024

    j
  • Preetam Gupta Raja October 27, 2024

    जय श्री राम
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India's first microbiological nanosat, developed by students, to find ways to keep astronauts healthy

Media Coverage

India's first microbiological nanosat, developed by students, to find ways to keep astronauts healthy
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 20 ফেব্রুয়ারি 2025
February 20, 2025

Citizens Appreciate PM Modi's Effort to Foster Innovation and Economic Opportunity Nationwide