Inaugurates Atal Bihari Vajpayee Sewri-Nhava Sheva Atal Setu
Lays foundation stone of underground road tunnel connecting Eastern Freeway's Orange Gate to Marine Drive
Inaugurates ‘Bharat Ratnam’ and New Enterprises & Services Tower (NEST) 01 at SEEPZ SEZ
Dedicates to nation multiple projects related to rail and drinking water
Flags off inaugural run of the EMU train from Uran railway station to Kharkopar
Launches Namo Mahila Shashaktikaran Abhiyaan
Thanks Japan Government and remembers Shinzo Abe
“The inauguration of Atal Setu exemplifies India's infrastructural prowess and underscores the country's trajectory towards a 'Viksit Bharat'”
“For us, every project is a medium for the creation of New India”
“Atal Setu presents a picture of Viksit Bharat”
“Earlier, multi million crore scams were part of discussion, today the discussions revolve around the completion of projects worth thousands of crores”
“Modi's guarantee begins where expectations from others end”
“Mahila Kalyan is the foremost guarantee of any double engine government in any state”
“Today, there are mega-campaigns to improve the lives of the poor and also mega-projects in every corner of the country”

এখানে উপস্থিত মুম্বই এবং মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

‘বিকশিত ভারত’-এর অঙ্গীকার এবং মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের মানুষের কাছে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দিন। মুম্বইয়ে এই অনুষ্ঠান হলেও গোটা দেশে এর প্রভাব পড়বে। আজ বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র ব্রিজ ‘অটল সেতু’ পেল দেশ। আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের সাফল্য ও অঙ্গীকারের সাক্ষ্য বহন করছে। 

২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে আমি ভুলতে পারি না, যেদিন এই অটল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আমি এখানে এসেছিলাম। সেই সময় ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি বলেছিলাম – “এটা লিখে রাখুন, দেশে পরিবর্তন হবে এবং দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।” যে ব্যবস্থায় প্রকল্পের কাজ শেষ হতে বছরের পর বছর সময় নষ্ট হত, সেখানে মানুষ সব রকমের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা মনে করতেন, তাঁদের জীবদ্দশায় কোনো বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না। আজ আমি আবার ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই অটল সেতু মুম্বই এবং দেশবাসীকে উৎসর্গ করছি। কোভিড-১৯ সঙ্কটের মধ্যেই এই সংযোগ সেতুর কাজ শেষ করা এক বড় সাফল্য। আমাদের কাছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন শুধুমাত্র একটি দিনের কর্মসূচি নয়, আমাদের কাছে প্রতিটি প্রকল্পের অর্থ হল, ভারতের ‘নব নির্মাণ’। একটি বড় বাড়ি যেমন এক একটি করে ইঁট গেঁথে তৈরি করা হয়, তেমনই প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতের সমৃদ্ধির কাঠামো। 

 

বন্ধুগণ,

আজ ৩১ হাজার কোটি টাকার যেসব প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করা হচ্ছে, সেগুলির সঙ্গে দেশ, মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের উন্নয়ন জড়িত। সড়ক, রেল, মেট্রো এবং জলের সঙ্গে এই প্রকল্পগুলি যুক্ত। আজ মুম্বই আধুনিক ‘ভারত রত্নম’ পেল। এই প্রকল্পগুলির অধিকাংশই সেই সময়কার, যখন মহারাষ্ট্রে প্রথম ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠিত হয়েছিল।

আজ আমি মহারাষ্ট্রের বোনেদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিপুল সংখ্যায় মহিলাদের উপস্থিতির চেয়ে বড় সৌভাগ্য কিছু হতে পারে না। এই মা-বোনেদের আশীর্বাদ আমরা পাচ্ছি। দেশের মা, বোন এবং কন্যাদের ক্ষমতায়নের যে গ্যারান্টি মোদী দিয়েছে, তা মহারাষ্ট্র সরকার আরও এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সশক্তিকরণ অভিযান, নারীশক্তি দূত অ্যাপ এবং লেক লেড়কি যোজনা এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। 

মা, বোন এবং কন্যাদের জীবনযাত্রা সহজ করতে আমার সরকার ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা, বিনা খরচে চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান যোজনা, জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি, মহিলাদের নামে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি, গর্ভবতী মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার টাকা করে জমা, কর্মরত মহিলাদের জন্য সবেতন ২৬ সপ্তাহের ছুটি, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেশি সুদ প্রদান – আমাদের সরকারের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ মহিলাদের জন্য নেওয়া। 

আমার পরিবারের সদস্যগণ,

গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে এই অটল সেতু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যে কেউ এই সেতুর দিকে তাকালে, তাঁর বুক গর্বে ভরে উঠবে। এই সেতু নির্মাণে যে পরিমাণ লোহা ও ইস্পাত ব্যবহৃত হয়েছে, তা দিয়ে ৪টি হাওড়া সেতু এবং ৬টি স্ট্যাচু অফ লিবার্টি তৈরি করা যেত। এই সেতুর ফলে মুম্বই ও রায়গড়ের দূরত্ব কমেছে। যে পথ পেরোতে ঘন্টার বেশি সময় লেগে যেত, তা এখন কয়েক মিনিটেই অতিক্রম করা যাবে। এর ফলে পুণে এবং গোয়ার সঙ্গে মুম্বইয়ের দূরত্বও অনেক কমে যাবে। এই সেতু নির্মাণের কাজে সহায়তার জন্য জাপান সরকারের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।

বন্ধুগণ, শুধুমাত্র অটল সেতুর মধ্যেই আমরা আটকে থাকব না। অটল সেতু হল, ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যখন আমার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হল, তখন ভোটের কিছু সময় আগে আমি রায়গড় দুর্গ পরিদর্শন করেছিলাম এবং ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সৌধের সামনে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম। তার ১০ বছর পর আজ এই সাফল্য। এই ১০ বছরে দেশ অনেক স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখেছে। 

 

আমার পরিবারের সদস্যগণ,

গত ১০ বছরে ভারত এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ১০ বছর আগে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার বড় বড় কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা হত। আজ লক্ষ কোটি টাকার বড় বড় প্রকল্পের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা হয়। 

উত্তর-পূর্বের ভূপেন হাজারিকা সেতু এবং বগিবিল ব্রিজের মতো বড় বড় প্রকল্প দেখেছে দেশ। আজ অটল টানেল, চেনাব ব্রিজ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আধুনিক বড় বড় রেল স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। বন্দে ভারত, নমো ভারত এবং অমৃত ভারত-এর মতো ট্রেন মানুষের ভ্রমণকে সহজ করেছে। আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি সপ্তাহে নতুন বিমানবন্দরের সূচনা করা হচ্ছে। 

বন্ধুগণ,

আগামী বছরগুলিতে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন পেতে চলেছে মুম্বই। দিল্লি-মুম্বই আর্থিক করিডর খুব শীঘ্রই মধ্য ও উত্তর ভারতের সঙ্গে মহারাষ্ট্রকে জুড়বে। 

আজ গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে, করদাতাদের টাকা কীভাবে দেশের উন্নয়নে ব্যয় করা হচ্ছে। যদিও দশকের পর দশক ধরে যাঁরা দেশ শাসন করেছেন, তাঁরা সময় এবং করদাতাদের অর্থের বিষয়টি গ্রাহ্যই করেনি। এর ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হয় বিলম্বিত হয়েছে, কিংবা কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে এ ধরনের বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। পাঁচ দশক আগে নীলভান্দে বাঁধের কাজ শুরু হয়েছিল এবং তা শেষ হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে। নবি মুম্বই মেট্রো প্রকল্পের কাজও বিলম্বিত হয়েছে। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের পর এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয় এবং প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

অটল সেতুর মতো পরিকাঠামো প্রকল্প শুধুমাত্র যাতায়াতের সুবিধাই প্রদান করবে না, সেইসঙ্গে এই প্রকল্প উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। এর নির্মাণকালে প্রায় ১৭,০০০ শ্রমিক এবং ১,৫০০ ইঞ্জিনিয়ারকে প্রত্যক্ষভাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া, ব্যবসায়িক পরিবহণ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। 

আমার পরিবারের সদস্যগণ,

আজ একইসঙ্গে দুটি পথে ভারতের উন্নয়ন হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হল, গরিবদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে ব্যাপক প্রচার এবং অন্যটি হল, দেশের প্রতিটি প্রান্তে বড় বড় প্রকল্প। আমরা অটল পেনশন যোজনার মতো কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি অটল সেতুর মতো প্রকল্পও হাতে নিচ্ছি। আমি আপনাদের সামনে  ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরছি। ২০১৪ সালের আগের ১০ বছরে পরিকাঠামো প্রকল্পে মাত্র ১২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। গত ১০ বছরে আমাদের সরকার পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৪৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। শুধু মহারাষ্ট্রেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজ হয় শেষ করেছে, অথবা সেগুলির কাজ চলছে। এই প্রকল্পগুলিও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের মিশন হল, দেশের প্রতিটি পরিবারের কাছে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র মাধ্যমে মোদীর গ্যারান্টি যান দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের বোন ও কন্যারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন। পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি প্রকল্পে আমাদের গ্রাম ও শহরের বোন ও কন্যারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন।

পিএম স্বনিধি যোজনায় লক্ষ লক্ষ পথ-বিক্রেতা ভাই-বোন উপকৃত হচ্ছেন। আমাদের সরকার মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক সহায়তা করে চলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমরা অসংখ্য বোনকে ‘লাখপতি দিদি’ করে তুলেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হল, আগামী বছরগুলিতে ২ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করা। 

 

মহারাষ্ট্রে এনডিএ সরকার এক নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা মহিলাদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সশক্তিকরণ অভিযান এবং নারীশক্তি দূত অভিযান মহিলাদের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার একই নিষ্ঠা নিয়ে মহারাষ্ট্রের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 

আমি আবার আপনাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি, বিশেষত সেইসব মা-বোনেদের, যাঁরা বিপুল সংখ্যায় এখানে হাজির হয়ে আমাদের আশীর্বাদ করেছেন।

আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি দিয়েছেন হিন্দিতে 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।