Dedicates five AIIMS at Rajkot, Bathinda, Raebareli, Kalyani and Mangalagiri
Lays foundation stone and dedicates to nation more than 200 Health Care Infrastructure Projects worth more than Rs 11,500 crore across 23 States /UTs
Inaugurates National Institute of Naturopathy named ‘Nisarg Gram’ in Pune
Inaugurates and dedicates to nation 21 projects of the Employees’ State Insurance Corporation worth around Rs 2280 crores
Lays foundation stone for various renewable energy projects
Lays foundation stone for New Mundra-Panipat pipeline project worth over Rs 9000 crores
“We are taking the government out of Delhi and trend of holding important national events outside Delhi is on the rise”
“New India is finishing tasks at rapid pace”
“I can see that generations have changed but affection for Modi is beyond any age limit”
“With Darshan of the submerged Dwarka, my resolve for Vikas and Virasat has gained new strength; divine faith has been added to my goal of a Viksit Bharat”
“In 7 decades 7 AIIMS were approved, some of them never completed. In last 10 days, inauguration or foundation stone laying of 7 AIIMS have taken place”
“When Modi guarantees to make India the world’s third largest economic superpower, the goal is health for all and prosperity for all”

ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!

মঞ্চে উপস্থিত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভুপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী মনসুখ মান্ডব্য, গুজরাটে ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি এবং আমার সংসদের সহকর্মী শ্রী সি আর পাটিল সহ অন্য বিশিষ্টজনেরা এবং আমার রাজকোটের ভাই ও বোনেরা,

নমস্কার!

আজকের এই অনুষ্ঠানে সমগ্র দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, বিধায়ক, সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ভিডিও কনফারেন্সিং – এর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন – তাঁদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।

একটা সময় ছিল, যখন দেশের মূল জাতীয় অনুষ্ঠানগুলি দিল্লিতেই হ’ত। আমি ভারত সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম বিকেন্দ্রীকরণ করেছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে দিচ্ছি। এর মধ্যে রাজকোটে আজকের এই অনুষ্ঠানও রয়েছে। এই অনুষ্ঠান এক নতুন ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে, যেখানে বিভিন্ন শহরের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস একসঙ্গে হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরে উপস্থিত থেকে আমি আইআইটি ভিলাই, আইআইটি তিরুপতি, আইআইআইটি, ডিএম কুরনুল, আইআইএম বৌদ্ধগয়া, আইআইএম জম্মু, আইআইএম বিশাখাপত্তনম এবং আইআইএস কানপুরের উদ্বোধন করেছি। বর্তমানে রাজকোট থেকে আমরা এইমস্‌ কল্যাণী, এইমস্‌ রাজকোট, এইমস্‌ রায়বরেলি, এইমস্‌ মঙ্গলগিরি, এইমস্‌ ভাতিন্ডা'’ উদ্বোধন করছি। এই কাজ ভারতের উন্নয়নে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার অন্যতম পরিচায়ক।

 

বন্ধুগণ,

রাজকোটে উপস্থিত হয়ে আজ আমার বিভিন্ন স্মৃতি মনে পড়ছে। গতকাল আমার জীবনের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল। রাজকোট আমার রাজনৈতিক পথ চলায় বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। ২২ বছর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি এই শহর প্রথমবারের মতো বিধায়ক নির্বাচন করে আমায় আশীর্বাদ দিয়েছিলেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি গান্ধীনগরে রাজকোট আসন থেকে আমি প্রথমবারের মতো বিধায়ক হিসেবে শপথ নিই। আমার প্রতি অকুন্ঠ বিশ্বাস ও ভালোবাসা বজায় রাখার জন্য রাজকোটবাসীর প্রতি আমি অত্যন্ত ঋণী। আমি গর্ব করে বলতে পারি যে, আমি আমার ক্ষমতার সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চেষ্টা করেছি।

বর্তমানে সমগ্র দেশ তাঁদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ জানায় আমার প্রতি। রাজকোট এই সম্মান ও ভালোবাসার অংশীদার। এনডিএ সরকার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমকতায় আসবে – এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে এবং আপনাদের আস্থার উপর ভর করে এ বছর আসন সংখ্যা ৪০০-র গণ্ডী অতিক্রম করবে – ‘আবকি বার চারশো পার’। প্রজন্ম পরিবর্তিত হলেও সব বয়সের নিরিখে মোদীর প্রতি ভালোবাসা অব্যাহত রয়েছে। আমার প্রতি আপনাদের এই সমর্থন আমি সর্বত্রই দেখতে পাই। 

বন্ধুগণ,

আপনাদের সকলের কাছে এবং বিভিন্ন রাজ্যের সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী ও নাগরিকদের কাছে আজকের এই অনুষ্ঠানে দেরীতে পৌঁছনোর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। দ্বারকা সফরের জন্য আমার দেরী হয়েছে। ভগবান দ্বারকাধীশের আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম আমি। সেখানে দ্বারকা থেকে বেট দ্বারকা পর্যন্ত সুদর্শন সেতুর উদ্বোধন করেছি। এই সফল কেবলমাত্র দ্বারকাকে পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তা নয়, আমাকে এক ধর্মীয় অনুভূতিও প্রদান করেছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই দ্বারকা স্থাপন করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। বর্তমানে তা সমুদ্রের গভীরে ডুবে গেছে। আজ আমার জলের নীচে গিয়ে সেই প্রাচীন শহর প্রত্যক্ষ করার ও সেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করার সুযোগ হয়েছে। আমার বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা অবশেষে পূর্ণ হয়েছে। দ্বারকার কথা প্রাচীনকাল থেকেই শুনে আসছি। সমুদ্র অতলান্তে এই শহর প্রত্যক্ষ করে আমি শিহরিত। পূজার্চনা ছাড়াও সেখানে একটি ময়ূরের পালক নিবেদন করেছি। ভারতের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য এবং উন্নয়নের পথে তার উল্লেখযোগ্য সফরের পরিচয় এই কাজ। সমুদ্রের তলদেশ থেকে আমি কেবলমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ এনেছি তা নয়, দ্বারকাবাসীর জন্য নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষাও সঞ্চারিত হয়েছে। উন্নয়ন ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি আজ নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে। উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমি এক স্বর্গীয় বিশ্বাস অনুভব করেছি।

 

বন্ধুগণ,

বর্তমানে সমগ্র দেশ ও আপনারা ৪৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্প প্রত্যক্ষ করেছেন। এর মধ্যে নিউ মুন্দ্রা – পানিপথ পাইপলাইন প্রকল্পও রয়েছে। এর সাহায্যে গুজরাট থেকে হরিয়ানার শোধনাগার পর্যন্ত অশোধিত তেল সরবরাহ করা হবে। সমগ্র সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের জন্য আজ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। রয়েছে – সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, রেললাইন ডবল করা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং শিক্ষার মতো নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প। এছাড়াও, রাজকোটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করাও হয়েছে। এইমস্ – এর সুবিধা পাবেন গুজরাটের জনগণ।

বন্ধুগণ,

আজ রাজকোট এবং গুজরাটের জন্য কেবলমাত্র ঐতিহাসিক দিন নয়, আজকের দিনটি সমগ্র দেশের জন্য বিশেষ। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কেবলমাত্র দিল্লিতে একটি এইমস্‌ হাসপাতাল ছিল। কিন্তু, বিগত ১০ বছরে আমরা ৭টি নতুন এইমস্‌ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছি। সেজন্য আমি বলি যে, বিগত ছয় – সাত দশকের থেকে বহুগুণ দ্রুততার সঙ্গে আমরা দেশের উন্নতি করছি এবং আমরা দেশের জনগণের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০০-রও বেশি স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু হাসপাতালে দুরারোগ্য চিকিৎসাও হবে। 

বন্ধুগণ,

অঙ্গীকার বাস্তবায়িত করার মধ্য দিয়ে মোদীর গ্যারান্টির প্রতি দেশের আস্থা বেড়ে চলেছে। এইমস্ হাসপাতালের সূচনা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত পরিষেবা প্রদানের গ্যারান্টি। তিন বছর আগে রাজকোটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে আমি প্রথম এইমস্‌ হাসপাতাল শীঘ্রই চালু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ আমি সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলাম। একইভাবে, পাঞ্জাবের ভাতিন্ডায় এইমস্‌ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে আমি সেখানেও এই চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ সেই হাসপাতালেরও উদ্বোধন হ’ল। আপনাদের দাস তাঁর গ্যারান্টি পূরণ করেছে। উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে পাঁচ বছর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূর্ণ করে আজ সেখানে এইমস্‌ হাসপাতালের সূচনা হ'ল। রায়বরেলিতে কংগ্রসের রাজ পরিবার শুধুমাত্র রাজনীতি করতেই ব্যস্ত ছিল। কিন্তু, সঠিক কাজ করেছে এই মোদী। পশ্চিমবঙ্গে কল্যাণী এইমস্‌, অন্ধ্রপ্রদেশে মঙ্গলগিরি এইমস্‌ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হ’ল। মাত্র কয়েকদিন আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার রেওয়াড়িতে এইমস্‌ হাসপাতালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। সমগ্র দেশে আমাদের সরকার বিগত এক দশকে ১০টি নতুন এইমস্‌ হাসপাতালের মঞ্জুরি দিয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এইমস্ – এর মতো আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একের পর এক খুলে যাচ্ছে। মোদীর গ্যারান্টি সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

সমগ্র বিশ্ব ভারত কিভাবে করোনা অতিমারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, তা নিয়ে বিস্মিত। বিগত এক দশকে ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে যে বিপুল উন্নয়ন হয়েছে – এটি তার পরিচায়ক। এই সময়ের মধ্যে সম্প্রসারিত হয়েছে এইমস্‌ ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পাশাপাশি, গুরুতর রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামোও উন্নত হয়েছে। আমরা ১.৫ লক্ষ আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির স্থাপন করেছি। ১০ বছর আগে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল ৩৮০-৩৯০। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৭০৬। এমবিবিএস – এ আসন সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার। বর্তমানে তা বেড়ে ১ লক্ষেরও বেশি হয়েছে। একইভাবে, স্নাতকোত্তর ক্ষেত্রে মেডিকেলের আসন সংখ্যাও বিগত ১০ বছরে ৩০ হাজার থেকে বেড়ে ৭০ হাজার হয়েছে। স্বাধীনতার পর ৭০ বছরে দেশে যে চিকিৎসক ছিলেন, আগামী কয়েক দিনে নতুন চিকিৎসকের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনে ৬৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যক্ষ্মা রোগের গবেষণা কেন্দ্র, পিজিআই – এর জন্য স্যাটেলাইট কেন্দ্রের মতো বিভিন্ন পরিষেবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এছাড়াও, বেশ কিছু ইএসআইসি হাসপাতাল রাজ্যগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমানভাবে দৃষ্টি দিয়েছে। আমরা পুষ্টি, যোগ, আয়ুষ এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের প্রচারে জোর দিচ্ছি। ভারতের চিরাচরিত চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসা প্রথা উভয়ের সাহায্যেই বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। বর্তমানে যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথির জন্য মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় দুটি বিশেষ হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও, গুজরাট চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার জন্য হু – এর আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার বর্তমানে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগণ যেন উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে ধন্যবাদ। এর সাহায্যে দরিদ্ররা ১ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য পাচ্ছেন। পাশাপাশি, জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগণ ৮০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ কিনতে পারছেন। এর ফলে, বছরে তাঁদের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকার কেবলমাত্র জীবন বাঁচাচ্ছে তা নয়, দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগণের আর্থিক বোঝাও কম করছে। এছাড়াও, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় দরিদ্র পরিবারগুলি ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সমন্বিতভাবে সাশ্রয় করছে। কর সংক্রান্ত সংস্কারের ফলে করদাতাদের ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

আগামী দিনে বহু পরিবার রক্ষায় আমাদের সরকার একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে চলেছে। আমরা বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে শূন্যে নিয়ে আসতে চলেছি। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে জনগণের আয়ের সুযোগও তৈরি করে দেব। প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর প্রকল্প একটি বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রকল্প। এর সাহায্যে আমরা দেশের জনগণকে অর্থ সাশ্রয় ও রোজগারে সাহায্য করবো। এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাবে। পাশাপাশি, সরকার তাঁদের থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কিনবে।

বন্ধুগণ,

আমরা যখন প্রত্যেক পরিবারকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদক হিসেবে গড়ে তুলছি, তখন আমরা বৃহৎ আকারে সৌর এবং বায়ুশক্তি কারখানাও স্থাপন করছি। আজ আমরা কচ্ছ’তে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সৌরবিদ্যুৎ ও একটি বায়ু শক্তি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এর ফলে, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে গুজরাটের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের এই শহর রাজকোট উদ্যোগপতি, শ্রমিক এবং শিল্পীদের শহর। আত্মনির্ভর ভারত গঠনে এই শহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর আগে এখানকার এই বিশিষ্টজনেরা তেমন কোনও গুরুত্ব পাননি। মোদী সরকারের আমলে এই প্রথম তাঁদের এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম আমাদের বিশ্বকর্মা বন্ধুদের দেশব্যাপী প্রকল্প চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন লক্ষ লক্ষ জনগণ। এর ফলে, তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, রোজগারের সম্ভাবনাও বাড়বে। গুজরাটেই কেবলমাত্র এই প্রকল্পের আওতায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রত্যেক বিশ্বকর্মা সুবিধাভোগী ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ,

রাজকোটের স্বর্ণকার সম্প্রদায়ের বিশেষ ভূমিকা সম্পর্কে আপনারা অবগত রয়েছেন। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও বিশ্বকর্মা প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছেন। 

বন্ধুগণ,

এই প্রথম লক্ষ লক্ষ রাস্তার হকারদের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে। গুজরাটে রাস্তার হকাররা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য পেয়েছেন আপনারা সহজেই বুঝতে পারেন, কিভাবে বিজেপি এই রাস্তার হকারদের সম্মান জানাচ্ছে। এতদিন তাঁরা প্রান্তিক শ্রেণীর আওতাভুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার আওতায় রাজকোটে ৩০ হাজারেরও বেশি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

এই প্রকল্পগুলির সাহায্যে উন্নত ভারতের জনগণের ক্ষমতায়ন সরকারের লক্ষ্য। মোদী যখন ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নিয়েছে, তখন সকলের স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধিকে নিশ্চিত করাও তাঁর লক্ষ্য। সমগ্র দেশে আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন হ’ল, তা আমাদের সরকারের কাজের পরিচয়। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত আমি আপনাদের কাছ থেকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি, তা আমায় নতুন করে উদ্বুদ্ধ করেছে। বহু বছর পর আজ পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে, যা আমার জন্য সত্যিই আনন্দের। আমি রাজকোটে আমার বিজেপির দলীয় সহকর্মীদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন জানাই। আসুন, আমরা একযোগে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাই এবং উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি। আপনাদের সকলকে অভিনন্দন। একসঙ্গে বলুন সবাই –

ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!

আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi addresses the Parliament of Guyana
November 21, 2024


Prime Minister Shri Narendra Modi addressed the National Assembly of the Parliament of Guyana today. He is the first Indian Prime Minister to do so. A special session of the Parliament was convened by Hon’ble Speaker Mr. Manzoor Nadir for the address.

In his address, Prime Minister recalled the longstanding historical ties between India and Guyana. He thanked the Guyanese people for the highest Honor of the country bestowed on him. He noted that in spite of the geographical distance between India and Guyana, shared heritage and democracy brought the two nations close together. Underlining the shared democratic ethos and common human-centric approach of the two countries, he noted that these values helped them to progress on an inclusive path.

Prime Minister noted that India’s mantra of ‘Humanity First’ inspires it to amplify the voice of the Global South, including at the recent G-20 Summit in Brazil. India, he further noted, wants to serve humanity as VIshwabandhu, a friend to the world, and this seminal thought has shaped its approach towards the global community where it gives equal importance to all nations-big or small.

Prime Minister called for giving primacy to women-led development to bring greater global progress and prosperity. He urged for greater exchanges between the two countries in the field of education and innovation so that the potential of the youth could be fully realized. Conveying India’s steadfast support to the Caribbean region, he thanked President Ali for hosting the 2nd India-CARICOM Summit. Underscoring India’s deep commitment to further strengthening India-Guyana historical ties, he stated that Guyana could become the bridge of opportunities between India and the Latin American continent. He concluded his address by quoting the great son of Guyana Mr. Chhedi Jagan who had said, "We have to learn from the past and improve our present and prepare a strong foundation for the future.” He invited Guyanese Parliamentarians to visit India.

Full address of Prime Minister may be seen here.