নমস্কার,
অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী হরদীপ সিং পুরীজি, শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতজি, শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলজি, শ্রী কৌশল কিশোরজি, শ্রী বিশ্বেশরজি, বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীগণ, আর্বান লোকাল প্রশাসনের মেয়র এবং চেয়ারপার্সনগণ, মিউনিসিপ্যাল কমিশনাররা, স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং অমৃত যোজনার সকল সারথী, মহাসারথী, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!
আমি দেশকে স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং অমৃত অভিযানের পরবর্তী পর্যায়ে প্রবেশ করার শুভলগ্নে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ২০১৪ সালে ভারতবাসী দেশকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম থেকে মুক্ত করার সঙ্কল্প নিয়েছিল, দেশকে ওডিএফ করার সঙ্কল্প নিয়েছিল। ১০ কোটিরও বেশি শৌচালয় নির্মাণের মাধ্যমে দেশবাসী এই সঙ্কল্প বাস্তবায়িত করেছে। এখন স্বচ্ছ ভারত মিশন-আর্বান ২.০ চালু হচ্ছে। এর লক্ষ্য হল আবর্জনামুক্ত শহর। আমাদের দেশের শহরগুলিকে সম্পূর্ণরূপে আবর্জনামুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশবাসীকে সাহায্য করতে চলেছে অমৃত মিশন। শহরের ১০০ শতাংশ নাগরিকের কাছে যেন পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছয়; শহরগুলিতে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার উন্নত সঞ্চালনের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। অমৃত মিশনের পরবর্তী পর্যায়ে দেশের লক্ষ্য হল ‘সিউয়েজ এবং সেপ্টিক ম্যানেজমেন্ট’কে আরও সুচারু করে তোলা, শহরগুলিকে জল সুরক্ষিত শহরে পরিণত করা আর এটা সুনিশ্চিত করা যেন আমাদের নদীগুলিতে কেউ কোনদিক থেকে নোংরা না ফেলে।
বন্ধুগণ,
স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং অমৃত মিশনের এযাবৎ যাত্রা প্রকৃতপক্ষেই প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই অভিযানে মান, মর্যাদা, দেশের ঐক্য ও সংহতির তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর মাতৃভূমির প্রতি অপ্রতীম প্রেমের সমাবেশ ঘটেছে। দেশ এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে যা অর্জন করেছে তা আমাদের দেশবাসী নিজেদের কর্তব্যের প্রতি কতটা সংবেদনশীল, কতটা সতর্ক সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অবদান, সকলের পরিশ্রম, সকলের স্বেদবারিধারা। আর আমাদের স্বচ্ছতা কর্মীরা, আমাদের সাফাই মিত্ররা; প্রতিদিন ঝাড়ু হাতে নিয়ে যে ভাই-বোনেরা সড়কগুলিকে পরিষ্কার করেন, নিজেরা আবর্জনার দুর্গন্ধ সহ্য করে যাঁরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখেন, তাঁরাই প্রকৃত অর্থে এই অভিযানের মহানায়ক। তাঁদের অবদানকে দেশ করোনার কঠিন সময়ে অনেক কাছে থেকে দেখেছে, অনুভব করেছে। আমি দেশের এই সাফল্যগুলির জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি, স্বচ্ছ ভারত মিশন-আর্বান ২.০ এবং অমৃত ২.০-এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে সবাইকে শুভকামনা জানাই। আর এর থেকে আনন্দের বিষয় কী হতে পারে যে, এই শুভ সূচনা আজ গান্ধী জয়ন্তীর একদিন আগেই সম্পন্ন হচ্ছে। এই অভিযান পুজনীয় বাপুর প্রেরণার ফসল আর বাপুর আদর্শ অনুসরণ করেই সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। আপনারা কল্পনা করুন, পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি আমাদের মা-বোনেদের কতটা সুবিধা হয়েছে। আগে কত মহিলা বাড়ি থেকে বেরোতে পারতেন না, কাজে যেতে পারবেন না ; কারণ কর্মস্থলে শৌচালয়ের সুবিধা ছিল না। কত মেয়েরা যে বিদ্যালয়ে শৌচালয় না থাকার ফলে স্কুলছুট হয়েছে! এখন এই সমস্ত ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে দেশের এই সাফল্যগুলিকে, আজকের নতুন সঙ্কল্পকে পুজনীয় বাপুর চরণে অর্পণ করে প্রণাম জানাই।
বন্ধুগণ,
আমাদের সকলের সৌভাগ্য যে আজকের এই অনুষ্ঠানটি বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে উৎসর্গীকৃত এই ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত হয়েছে। বাবাসাহেব অসাম্য দূর করার জন্য নাগরিক উন্নয়নকে অনেক বড় মাধ্যম বলে মনে করতেন। উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের গ্রামগুলি থেকে অনেক মানুষ শহরে চলে আসেন। আমরা জানি, শহরে এসে তাঁরা কর্মসংস্থান পান ঠিকই, কিন্তু তাঁদের জীবনযাত্রার মান গ্রাম থেকেও বেশি প্রতিকূল হয়ে ওঠে। এটা শাখের করাতের মতো ব্যাপার। তাঁরা বাড়ি থেকে দূরে চলে এসেছেন, আর এখানে এত সমস্যার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য বাবাসাহেব অসাম্য দূর করার ওপর জোর দিয়েছেন। স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং অমৃত মিশনের প্রথম পর্যায়টি বাবাসাহেবের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দেশ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ অউর সবকা বিশ্বাস’ এর পাশাপাশি এবার ‘সবকা প্রয়াস’-এর আহ্বানও রেখেছে। ‘সবকা প্রয়াস’-এর এই ভাবনা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনারা অনেকেই দূরদুরান্তের গ্রামীণ এলাকায় ঘুরতে গেছেন, আদিবাসী সমাজের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাড়িগুলিকে অবশ্যই দেখেছেন। তাঁদের হাতে তেমন টাকা-পয়সা না থাকলেও তাঁদের বাড়িগুলির পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য দেখে যে কারোর চোখ জুড়িয়ে যাবে। আজও আপনারা আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গ্রামগুলিতে যান, হিমাচল কিংবা উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি গ্রামগুলিতে যান, দেখবেন পাহাড়ের কোলে ছোট ছোট বাড়িগুলিতে পরিচ্ছন্নতার কারণে একটি ভিন্ন ধরনের ইতিবাচক প্রাণশক্তি প্রবাহিত হয়। এই বন্ধুদের সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়ে আমরা এটা শিখতে পারি যে পরিচ্ছন্নতা এবং সুখের মধ্যে কত গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছি আর উন্নয়নের জন্য পর্যটনের সম্ভাবনাগুলিকে অন্বেষণ করতে শুরু করেছি তখন এই পরিচ্ছন্নতার ওপরই সবচাইতে বেশি জোর দিয়েছি। আর এই অভিযানই সবাইকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। নাম দিয়েছিলাম ‘নির্মল গুজরাট অভিযান’। ক্রমে এটি গণ-আন্দোলনে পরিণত হয়। ফলে, গুজরাটের একটা নতুন পরিচয় গড়ে ওঠে, রাজ্যে পর্যটন বাড়ে।
ভাই ও বোনেরা,
গণ-আন্দোলনের এই ভাবনা স্বচ্ছ ভারত মিশনের সাফল্যের ভিত্তি। আগে শহরের আবর্জনা রাজপথে দেখা যেত, গলিতে গলিতে দেখা যেত। কিন্তু এখন পৌরসভাগুলি শুধু বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করেই থেমে থাকে না, সেই আবর্জনাকে আলাদা করার ওপরও জোর দিয়েছে। অনেক বাড়িতে গেলে এখন আমরা এখন দেখতে পাই যে ভেজা আবর্জনা এবং শুকনো আবর্জনাকে ভিন্ন ভিন্ন ডাস্টবিনে রাখা হচ্ছে। শুধু বাড়িতেই নয়, বাড়ির বাইরেও কোথাও নোংরা দেখতে পেলে এখন মানুষ ‘স্বচ্ছতা অ্যাপ’-এ তা রিপোর্ট করে দেন, অন্যদেরকেও সচেতন করেন। এই সচেতনতা দেখে আমি অনেক খুশি। বিশেষ করে নবীন প্রজন্ম এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে শক্তিশালী করে তোলার দায়িত্ব যেন নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন। চকোলেটের র্যাপার এখন আর কেউ মাটিতে ফেলে না। চকোলেট খেয়ে নিজের পকেটে র্যাপারটা রেখে দেন। বাড়ির বড়রা ভুল করলে ছোট ছোট শিশুরা তাঁদেরকে সচেতন করে। ঠাকুর্দা, ঠাকুরমা, বাবা-মাকেও তারা নোংরা করতে নিষেধ করে। শহরের শিশু, কিশোর ও নবীনরা নিজেদের উদ্যোগে নানা রকম পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছে কিংবা এতে সাহায্য করছে। অনেকে তো বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টির বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করছেন এবং এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজও করছেন। নবীন প্রজন্মের মানুষ এখন একটি প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন কিভাবে তাঁদের শহরকে স্বচ্ছ ভারত র্যাঙ্কিং-এ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আর যদি অন্য কোনও শহর থেকে পিছিয়ে থাকে তাহলে সকলের মনে একটা চাপ সৃষ্টি হয়,- আমরা কেন পিছিয়ে পড়েছি, আমাদের ত্রুটি কোথায়? সংবাদমাধ্যমে নবীন সাংবাদিকরা এইসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেন। এখন এমন আবহ গড়ে উঠছে যে প্রত্যেকেই পরিচ্ছন্নতার নিরিখে অন্য সবাইকে টপকে যেতে চায়। ইন্দোরের যত বাসিন্দা এই অনুষ্ঠানটি দেখছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে সহমত হবেন। আজ সবাই জানেন যে দেশের মধ্যে সবচাইতে পরিচ্ছন্ন শহরের নাম হল ইন্দোর। এটা ইন্দোরের প্রত্যেক নাগরিকের মিলিত সাফল্য। এই সাফল্যের ভাবনায় এখন দেশের প্রতিটি শহরকে যুক্ত করতে হবে।
আমি দেশের প্রত্যেক রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং মেয়র ও চেয়ারপার্সনদের অনুরোধ জানাই, আপনারা পরিচ্ছন্নতার এই মহাঅভিযানে আরেকবার ঝাঁপিয়ে পড়ুন। করোনার সঙ্কটকালে এই অভিযান অনেকটাই শিথিল হয়েছে। এখন আবার নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিছকই একটা দিবস পালন, একটি পক্ষ পালন কিংবা এক বছর ধরে পালন করার মতো কাজ নয়। প্রত্যেককে প্রতিদিন, প্রত্যেক সপ্তাহ, প্রতি পক্ষে এবং প্রত্যেক বছরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চালিয়ে যাওয়ার মহাঅভিযান হল এই পরিচ্ছন্নতার বিষয়। পরিচ্ছন্নতাকে আমাদের জীবনশৈলীর অন্তর্গত করে নিতে হবে, জীবনের মন্ত্র করে তুলতে হবে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমরা যেরকম দাঁত মাজি, একইভাবে পরিচ্ছন্নতাকে আমাদের জীবনের অংশ করে নিতে হবে। আর আমি শুধুই ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কথা বলছি না, সামাজিক পরিচ্ছন্নতার কথাও বলছি। আপনারা ভেবে দেখুন। আগে রেলের কামরা ও প্ল্যাটফর্মগুলি কেমন থাকত? কিন্তু কিছুটা সরকারি প্রচেষ্টা আর কিছুটা জনগণের সহযোগিতায় এখন রেলপথ, রেলগাড়ি ও প্ল্যাটফর্মগুলির চেহারা বদলে গেছে।
বন্ধুগণ,
শহরে বসবাসকারী মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও গরীবদের জীবনে ‘ইজ অফ লিভিং’ বৃদ্ধির উদ্দেশে আমাদের সরকার রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। ২০১৪ সালের আগের সাত বছরে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের বাজেট ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। আর আমাদের সরকার গত সাত বছরে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে এবং সেই অর্থ খরচ করেছে। এই বিনিয়োগ শহরকে পরিষ্কার রাখা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নতুন নতুন সিউয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসাতে খরচ হয়েছে। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে শহুরে গৃহহীন গরীবদের জন্য পাকা বাড়ি, নতুন নতুন মেট্রো রুট এবং স্মার্ট সিটি সংক্রান্ত প্রকল্পে অর্থ যোগানো হয়েছে। আমরা ভারতবাসী যে এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারব এই ভরসা আমার আছে। স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং অমৃত মিশনের গতি ও পরিধি উভয়ই এই ভরসাকে মজবুত করে।
আজ ভারত প্রত্যেকদিন প্রায় ১ লক্ষ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করছে। ২০১৪-য় যখন দেশে এই অভিযান শুরু হয়েছিল তখন প্রতিদিন যত বর্জ্য জমত তার ২০ শতাংশেরও কম প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব হত। আজ আমরা প্রায় ৭০ শতাংশ দৈনন্দিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারছি। ২০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশে পৌঁছেছি। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকরণকে আমাদের যত দ্রুত সম্ভব ১০০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। আর এই কাজ ‘ওয়েস্ট ডিসপোজাল’এর মাধ্যমেই শুধু সম্ভব নয়, বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সম্ভব হতে পারে। সেজন্য দেশের প্রত্যেক শহরে ১০০ শতাংশ বর্জ্য আলাদা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আধুনিক ম্যাটেরিয়াল রিকভারি ফেসিলিটি গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এই আধুনিক ব্যবস্থায় আবর্জনাকে আলাদা করা হবে, পুনর্নবীকরণযোগ্য বর্জ্যকে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। এর পাশাপাশি শহরের প্রান্তে গড়ে ওঠা আবর্জনার পাহাড়গুলিকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত করা হবে। হরদীপজি, যখন আমি এই বর্জ্যের বড় বড় পাহাড়গুলিকে সমাপ্ত করার কথা বলছি, আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন দিল্লিতে এরকম একটি পাহাড় বছরের পর বছর ধরে আয়তনে বাড়ছে। এই পাহাড়ও সমাপ্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
বন্ধুগণ,
আজকাল গোটা বিশ্ব জুড়ে ‘গ্রিন জবস’-এর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমি নিশ্চিত, ভারতে আজকে শুরু হওয়া এই অভিযান থেকে অনেক ‘গ্রিন জব’ও তৈরি হবে। দেশের শহরগুলির উন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে। এই আগস্ট মাসেই দেশে ‘ন্যাশনাল অটোমোবাইল স্ক্র্যাপেজ পলিসি প্রণয়ন হয়েছে। এই নতুন স্ক্র্যাপিং পলিসি বর্জ্য থেকে সম্পদ অভিযানকে, সার্কুলার ইকনমিকে আরও শক্তিশালী করবে। এই নীতি দেশের শহরগুলি থেকে দূষণ কম করার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করবে। এর মূল সিদ্ধান্ত হল ‘রিইউজ, রিসাইকেল অ্যান্ড রিকভারি’। সরকার সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রেও বেশি করে প্রক্রিয়াকরণজাত বর্জ্য ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে। যত সরকারি বাড়ি তৈরি হচ্ছে, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এই পুনর্নবীকৃত বর্জ্যের ব্যবহারকে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
পরিচ্ছন্ন ভারত এবং ভারসাম্যযুক্ত নগরায়নকে একটি নতুন পথ দেখানোর ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির অনেক বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। একটু আগেই আমরা বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকজন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বার্তাও শুনেছি। আমি আজ দেশের প্রত্যেক রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সকল রাজ্য তাঁদের শহরগুলির মৌলিক প্রয়োজনগুলিকে তুলে ধরেছে। জল সরবরাহ থেকে শুরু করে পয়ঃপ্রণালী পর্যন্ত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছে। অমৃত মিশনের মাধ্যমে সারা দেশে ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর ফলে শহরগুলির উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন নতুন কর্ম সৃষ্টিও হচ্ছে। নলের মাধ্যমে জল সংযোগ থেকে শুরু করে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা উন্নয়ন – এই সকল পরিষেবাকে এখন শহরের ১০০ শতাংশ পরিবারকে সুবিধাভোগী করে তুলতে হবে। আমাদের শহরগুলিতে নর্দমার জল পরিশোধন যত বৃদ্ধি পাবে, শহরগুলির জল ব্যবস্থাপনাও তত পরিচ্ছন্ন হবে এবং আমাদের নদীগুলি তত পরিষ্কার হবে। আমাদের এই সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে যে দেশের কোনও নদীতে একবিন্দু নোংরা জলও যেন না পড়ে।
বন্ধুগণ,
আজ নগরোন্নয়নের এই কর্মসূচিতে যে কোনও শহরের কোনও গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করতে চাইব; তারা হলেন আমাদের ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকাররা। এঁদের জন্য পিএম স্বনিধি যোজনা একটি আশার নতুন কিরণ নিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর অনেক দশক পেরিয়ে গেছে কিন্তু এই বন্ধুদের কেউ খোঁজ নেয়নি। সামান্য অর্থের জন্য এঁদেরকে অনেক বেশি সুদ দিয়ে ঋণ নিতে হত। তাঁরা সারা জীবন ঋণের বোঝায় ডুবে থাকতেন। সারাদিন পরিশ্রম করে যা রোজগার করতেন, তা থেকে যতটা পরিবারের জন্য খরচ করতেন তার থেকে বেশি সুদ দিতে হত। লেনদেনের কোনও ইতিহাস না থাকায়, কোনও নথিপত্র না থাকায় তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে সাহায্য পাওয়া অসম্ভব ছিল।
পিএম স্বনিধি যোজনা এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আজ দেশের ৪৬ লক্ষেরও বেশি ঠেলাওয়ালা, রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকার ভাই-বোনেরা এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২৫ লক্ষ মানুষকে প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা ঋণও দেওয়া হয়েছে। এই ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকার ভাই-বোনেদের পকেটে ২,৫০০ কোটি টাকা পৌঁছে দেওয়া কম কথা নয়। তাঁরা এখন ডিজিটাল লেনদেন করছেন আর ব্যাঙ্ক থেকে যে ঋণ নিয়েছেন সেটাও পরিশোধ করছেন। যে ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকাররা ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করছেন, তাঁদের সুদের হারে ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। অনেক কম সময়ে এঁরা ৭ কোটিরও বেশি লেনদেন করেছেন। অনেক সময় আমাদের দেশের বুদ্ধিমান মানুষেরা বলেন, গরীব মানুষরা এসব কী করে পারবে? কিন্তু আমার ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকার ভাই-বোনেরা এটা করে দেখিয়েছেন। অর্থাৎ, তাঁরা নিজেদের হাতে লেনদেনের জন্য ৭ কোটি বার কোনও না কোনও ডিজিটাল পথ বেছে নিয়েছেন।
এই মানুষেরা কী করেন? পাইকারী বিক্রেতা থেকে জিনিস কেনেন আর বিক্রি করে সে টাকা থেকে লাভ করেন। এই লেনদেন যখন তাঁরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করছেন, তখন মানুষও তাঁদের কাছ থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতেই জিনিস কেনা শুরু করেছে। ফলে তাঁদের প্রত্যেকের নামে ডিজিটাল লেনদেনের ইতিহাস তৈরি হচ্ছে। আর এই ডিজিটাল ইতিহাসের কারণে ব্যাঙ্কগুলি তাঁদের ব্যবসার ইতিবৃত্ত সহজেই জানতে পারছে। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের পরবর্তী ঋণ পেতে আরও সুবিধা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
পিএম স্বনিধি যোজনায় ১০ হাজার টাকার প্রথম ঋণ পরিশোধ করলে ২০ হাজার টাকার দ্বিতীয় ঋণ, আর দ্বিতীয় ঋণ পরিশোধ করলে ৫০ হাজার টাকার তৃতীয় ঋণ আমার দেশের ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকার ভাই-বোনেদের দেওয়া হচ্ছে। আজ হাজার হাজার ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকার ব্যাঙ্ক থেকে তৃতীয় ঋণ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমি এরকম প্রত্যেক বন্ধুকে ব্যাঙ্কের বাইরে অন্য কারোর কাছ থেকে অধিক সুদে ঋণ নেওয়ার কুচক্র থেকে মুক্তি দিতে চাই। আর আজ সারা দেশের মেয়ররা এবং সমস্ত নগর পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষরা আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটা প্রকৃত অর্থে দরিদ্রদের সেবার কাজ, প্রকৃত অর্থে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষদের সশক্তিকরণের কাজ। এটি প্রকৃত অর্থে দরিদ্র মানুষকে সুদের কুচক্র থেকে মুক্তি দেওয়ার অভিযান। আমার দেশের এমন কোনও মেয়র নেই, এমন কোনও কর্পোরেটর, কাউন্সিলর নেই যাঁদের হৃদয়ে এই মানুষদের জন্য কোনও সমবেদনা নেই। কাজেই আমি দৃঢ় নিশ্চিত তাঁরা সকলেই পিএম স্বনিধি যোজনাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু না কিছু চেষ্টা করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন।
আপনারা সবাই এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হলে আমাদের দেশের গরীবদের জীবনযাপন অনেক সহজ হবে। এটা আমরা করোনার সঙ্কটকালে দেখেছি। আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষ অনুভব করেছেন যে এই কঠিন সময়ে গলিতে গলিতে সব্জিওয়ালারা যদি সব্জি নিয়ে না পৌঁছতেন, দুধওয়ালারা যদি না যেতেন তাহলে তাঁদেরকে কি সমস্যায় পড়তে হত। করোনাকালে আমরা দেখেছি সমাজের প্রতিটি পেশার প্রত্যেক ব্যক্তির মূল্য আমাদের জীবনে কতটা। যখন আমরা এটা অনুভব করতে পেরেছি, তখন এত বড় প্রকল্প আমাদের হাতে থাকতে এর সুবিধা যেন ওঁরা পায় এটা সুনিশ্চিত করা কি আমাদের দায়িত্ব নয়? তাঁরা যেন সুদখোরদের হাত থেকে রেহাই পান, তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়মিত টাকার যোগান পান। যাঁরা ডিজিটাল লেনদেন জানেন না, আপনারাও পারেন তাঁদের এর প্রশিক্ষণ দিতে। আপনারা কি নিজের শহরের আয়তন অনুসারে ১, ২, ২০, ২৫ হাজার এ ধরনের বন্ধুদের জীবন পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নিতে পারেন না?
আমি জোর দিয়ে বলছি বন্ধুগণ, এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের হতে পারে, পিএম স্বনিধি নাম হতে পারে, কিন্তু আপনারা যদি এটিকে বাস্তবায়িত করেন তাহলে উপকৃত গরীবদের হৃদয়ে আপনাদের জন্য একটা বিরাট জায়গা গড়ে উঠবে। তাঁরা কিন্তু সেই শহরের মেয়রের জয় জয়কার করবেন, সেই শহরের কর্পোরেটরের জয় জয়কার করবেন, সেই শহরের কাউন্সিলারের জয় জয়কার করবেন। যাঁরাই তাঁদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবেন, তাঁদেরই জয় জয়কার করবেন। আমি চাই তাঁরা আপনাদের জয় জয়কার করুন, তা সে আপনি যে দলেরই হোন না কেন, আপনার জয় জয়কার হোক। তাহলেই এই ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকাররা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারবে। তাঁরাও তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভালভাবে শিক্ষিত করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
খুব সহজেই আপনারা এটা করতে পারেন বন্ধুগণ! এই কাজে আমাদের সকলের অবদান মানবতার সপক্ষে তৃণমূল স্তরে খুব ভালো কাজ হবে। আর্থিক দুর্নীতি দূর হবে। এটি সাধারণ মানুষের মনে আত্মাভিমান জাগিয়ে তুলবে। তাঁরাই তো আপনাদের এত প্রতিষ্ঠিত পদে বসিয়েছে। সেজন্য বলছি, আপনারা মন থেকে এই পিএম স্বনিধি কর্মসূচিকে আপন করে নিন। দেখবেন, আপনার এলাকার প্রত্যেক পরিবার কিছুদিনের মধ্যেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব্জি, দুধ কিনবে আর এই গরীব মানুষদেরও পাইকারী বিক্রেতাদের কাছ থেকে জিনিস নিতে সুবিধা হবে। একটি বড় বিপ্লব আসবে। এই ক্ষুদ্র সংখ্যক মানুষ ৭ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। যদি দেশের সমস্ত ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তিরা ও হকার এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হন, তাহলে তাঁরা কতটা উপকৃত হবেন।
আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নগরোন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ব্যক্তিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবেন না! বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে তৈরি এই ভবন থেকে যখন আমি এ কথাগুলি বলছি, তখন গরীবদের জন্য কিছু করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব বর্তায়।
বন্ধুগণ,
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে দেশের দুটি বড় রাজ্য – উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ দেশের মধ্যে সবচাইতে বেশি ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তি ও হকারদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দিয়েছে। আমি সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ জানাব, এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় আসুন। কোন রাজ্য সবচাইতে বেশি ডিজিটাল লেনদেন করে, সবচাইতে বেশি কোন রাজ্যের ঠেলাওয়ালা, রেলপথের দু’পাশে পসরা সাজানো ব্যক্তি ও হকারদের হাতে ৫০ হাজার টাকা ঋণ আসে। আমি চাইব, প্রত্যেক তিন মাসে এবং ছয় মাসে যে রাজ্যগুলি এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। গরীবদের কল্যাণে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা, গরীবদের ভালো করতে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা এবং গরীবদের সশক্তিকরণে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা। আসুন, এই প্রতিযোগিতায় আমরা সবাই অংশগ্রহণ করি। সমস্ত মেয়র, সমস্ত শহরের সভাপতি, সমস্ত কর্পোরেটর, সমস্ত কাউন্সিলর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন।
বন্ধুগণ,
আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে –
“আস্তে ভগ আসীনঃ য়ঃ ঊর্ধ্বঃ তিষ্ঠতি তিষ্ঠতঃ।
শেতে নিপদ্য মানস্য চরাতি চরতো ভগঃ চরৈবেতি।।”
অর্থাৎ, কর্মপথে এগিয়ে যেতে আমরা যদি বসে যাই, তাহলে আমাদের সাফল্য থেমে যাবে। আমরা যদি শুয়ে পড়ি, তাহলে আমাদের সাফল্যও শুয়ে পড়বে। আমরা যদি উঠে দাঁড়াই, তাহলে সাফল্যও উঠে দাঁড়াবে আর আমরা যদি এগিয়ে যাই, তাহলে সাফল্যও সেভাবেই এগিয়ে যাবে আর সেজন্য আমাদের নিরন্তর এগিয়ে যেতে হবে। চরৈবেতি চরৈবেতি। চরৈবেতি চরৈবেতি। এই চরৈবেতি চরৈবেতি মন্ত্র নিয়ে আপনারা আজকে যাত্রা শুরু করলে নিজেদের শহরকে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তিদানের পথ সহজ হবে। আমাদের এমন ভারত গড়ে তুলতে হবে যা হবে পরিচ্ছন্ন, সমৃদ্ধ। যে ভারত বিশ্বকে সুস্থ ও সুদূরপ্রসারী জীবনযাপনের পথ দেখাবে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের প্রত্যেক দেশবাসীর প্রচেষ্টায় দেশের এই সঙ্কল্পগুলি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। এই শুভকামনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ! অনেক অনেক শুভকামনা।