In the coming years, Bihar will be among those states of the country, where every house will have piped water supply: PM Modi
Urbanization has become a reality today: PM Modi
Cities should be such that everyone, especially our youth, get new and limitless possibilities to move forward: PM Modi

বিহারের রাজ্যপাল শ্রী ফাগু চৌহানজী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমারজী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী হরদীপ সিং পুরীজী, শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদজী, কেন্দ্র এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যগণ, মাননীয় সাংসদ এবং বিধায়কগণ এবং আমার প্রিয় বন্ধুরা,

বন্ধুগণ আজ যে চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে, তার মধ্যে পাটনা শহরের বেউর আর করম লিচক এলাকায় সিউরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়াও অমরুত যোজনার অন্তর্গত সীওয়ান এবং ছাপড়ায় পানীয় জলের প্রকল্পগুলিও রয়েছে। তাছাড়া মুঙ্গের এবং জামালপুরে জলাভাব দূর করার জন্য জলপূর্তি প্রকল্প এবং মুজফ্ফরপুরে নমামী গঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে রিভার ফর্ম ডেভেলপমেন্ট স্কীমেরও আজ শিলান্যাস করা হল। শহুরে গরীব এবং শহরে বসবাসকারী মধ্যবিত্ত বন্ধুদের জীবন সহজ করে তোলার জন্যে এই পরিষেবাগুলি চালু করা হচ্ছে। সেইজন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

বন্ধুগণ, আজকের এই কর্মসূচী একটি বিশেষ দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ আমরা ইঞ্জিনিয়ার দিবস পালন করছি। এই দিন দেশের মহান ইঞ্জিনিয়ার এম. বিশ্বেশ্বরাইয়াজীর জন্মজয়ন্তী। তাঁর স্মৃতিতেই আজকের দিনটি সমর্পিত। আমদের ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা দেশ নির্মাণে এবং বিশ্বের অনেক দেশের নির্মাণে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। তারা কাজের প্রতি যতই সমর্পিত হন না কেন, তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সামগ্রিকতা ও নিখুঁত খুঁটিনাটি সারা পৃথিবীতে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের একটি আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছে। একথা এতটাই সত্য যে তা নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা দেশের উন্নয়নকে মজবুতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর জীবনকে উন্নত করছেন। আমি এই সুযোগে সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের, তাদের নির্মাণশক্তিকে প্রণাম জানাই। দেশ নির্মাণের এই কাজে বিহারের বড় অবদান রয়েছে। বিহারের লক্ষ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছেন। বিহারের মাটি আবিস্কার এবং উদ্ভাবনের বিভিন্ন পর্যায়ে সাফল্য এনে দিয়েছে। বিহারের কত সন্তান প্রতিবছর দেশের সবচাইতে বড় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তার পর নিজেদের প্রতিভার জোরে সবার মন জয় করে নেন। আজ যে প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে, এগুলি নির্ধারিত সময়ে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে বিহারের ইঞ্জিনিয়ারদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আজকের এই ইঞ্জিনিয়ার দিবসে আমি বিহারের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদেরও বিশেষ শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ, এই বিহারের মাটিতে অনেকগুলি ঐতিহাসিক নগরী রয়েছে। এখানে হাজার হাজার বছরের নাগরিক সভ্যতার একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। প্রাচীন ভারতে গঙ্গা উপত্যাকার নানা স্থানে অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক রূপে সমৃদ্ধ ও সম্পূর্ণ নগর উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দাসত্বের দীর্ঘ সময়কালে এই ঐতিহ্য অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্বাধীনতার পর কয়েক দশক ধরে বিহার, বেশ কয়েকজন বড় এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতার নেতৃত্ব পেয়েছে। যারা দাসত্বের সময়কালে এই রাজ্য যে সব বিকৃতি এসেছিল, সেগুলি দূর করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার পর এমন একটা সময় এসেছে, যখন বিহারে মূল এবং আধুনিক পরিষেবা প্রদানের বদলে অগ্রাধিকার এবং দায়বদ্ধতা বদলে যায়। ফলস্বরূপ রাজ্যবাসী সুশাসন থেকে বঞ্চিত হয়। এর পরিণাম স্বরূপ বিহারের গ্রামগুলি আরো বেশি করে পিছিয়ে যেতে থাকে। আর যে শহরগুলি একদিন সমৃদ্ধির প্রতীক ছিল, সেগুলির পরিকাঠামো ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আধুনিক হয়ে উঠতে পারে না। সড়কপথ, গলিপথ, পানীয় জল, প্রয়ঃপ্রণালী এমন অনেক মূল সমস্যাগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয় না, কিংবা এগুলির উন্নয়নকর্মে দুর্নীতির করালগ্রাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

বন্ধুগণ, যখন প্রশাসনে স্বার্থের লেনদেন মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, ভোটব্যাঙ্কের চাপে গোটা ব্যবস্থা নষ্ট হতে থাকে। তখন সবচাইতে বেশি প্রভাব সমাজের সেই অংশের উপর পড়ে, যারা প্রতারিত, বঞ্চিত ও শোষিত। দশকের পর দশক কাল ধরে বিহারের মানুষ এই কষ্ট সহ্য করেছে। যখন পানীয় জল এবং প্রয়ঃপ্রণালীর মতো মূল প্রয়োজনগুলির ব্যবস্থা ঠিক মতো হয় না, তখন সবচাইতে কষ্ট সহ্য করেন আমাদের মা ও বোনেরা। বিশেষ করে গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া, অতি পিছিয়ে পড়া অংশের মা ও বোনেরা। নোংরা পরিবেশে থাকতে হয়, বাধ্য হয়ে নোংরা জল খেতে হয়। ফলে নানা অসুখ – বিসুখ লেগে থাকে। এক্ষেত্রে রোজগারের অনেকটা অংশ চিকিৎসার পিছনে ব্যয় হয়ে যায়। অনেকবার অনেক পরিবার অনেক বছর ধরে ঋণভারে জর্জরিত হয়ে পড়ে। তার মানে সরকারের ভুল অগ্রাধিকারের ফলে সমাজের একটি বড় অংশের আত্মবিশ্বাস গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গরীবের সঙ্গে এর থেকে বড় অন্যায় আর কি হতে পারে ? 

বন্ধুগণ, বিগত দেড় দশক ধরে নীতিশজী,সুশীলজী এবং তাদের টিম সমাজের এই সর্বাধিক দূর্বল অংশের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে যেভাবে মেয়েদের লেখাপড়ায় উৎসাহ যোগাচ্ছেন, পঞ্চায়েতীরাজ সহ স্থানীয় প্রশাসনে বঞ্চিত, শোষিত সমাজের বন্ধুদের অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাদের আত্মবিশ্বস বেড়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে তো একপ্রকার বুনিয়াদী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলির প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত এবং সেগুলির তদারকির দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবেই স্থানীয় প্রশাসনগুলি, স্থানীয় প্রয়োজনের হিসেবে বাস্তবায়িত করতে পারছে। সেজন্যে এখন এবং বিহার সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় বিহারের শহরগুলিতে পানীয় জল এবং প্রয়ঃপ্রণালীর মতো মৌলিক পরিষেবাগুলির পরিকাঠামো প্রতিনিয়ত উন্নত হয়ে চলেছে। মিশন অমরুত এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বিগত ৪ – ৫ বছরে বিহারের শহর এলাকায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ পরিবারকে পানীয় জল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আগামী বছরগুলিতে বিহার, দেশের সেই রাজ্যগুলির মধ্যে পরিগণিত হবে, যেখানে প্রত্যেক বাড়িতে পাইপের মাধ্যমে জল পৌঁছবে। এটি বিহারের জন্যে অনেক বড় সাফল্য নিয়ে আসবে। বিহারের গৌরব বৃদ্ধি করবে।

আপনারা এই বড় লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য করোনার এই সঙ্কটকালেও বিহারের জনগণ নিরন্তন কাজ করে গেছেন। বিগত কয়েকমাসে বিহারের গ্রামাঞ্চলে ৫৭ লক্ষেরও বেশি পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযান। আমাদের হাজার হাজার শ্রমিক বন্ধু যারা করোনার ফলে অন্যান্য রাজ্য থেকে বিহারে ফিরেছেন, তাঁরা এই কাজ করে দেখিয়েছেন। জলজীবন মিশনের এই দ্রুত কাজ আমার বিহারের এই পরিশ্রমী বন্ধুদেরকেই সমর্পণ করছি। বিগত এক বছরে জলজীবন মিশনের মাধ্যমে গোটা দেশে ২ কোটিরও বেশি পানীয় জলের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আজ দেশে প্রতিদিন ১ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে নতুন পাইপের মাধ্যমে জলের সংযোগ সাধন করা হচ্ছে। স্বচ্ছ জল মধ্যবিত্ত ও গরীবদের জীবন উন্নত করেছে এবং তাদের অনেক বড় রোগ থেকেও রক্ষা করেছে।

বন্ধুগণ, শহুরে এলাকার মধ্যেও বিহারের লক্ষ লক্ষ বাড়িতে শুদ্ধ পানীয় জলের সংযোগ প্রদানের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। গোটা বিহারে অমরুত যোজনার মাধ্যমে প্রায় ১২ লক্ষ পরিবারকে শুদ্ধ পানীয় জল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ পরিবারের ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা পৌঁছে গেছে। বাকি পরিবারগুলিতে অতিশিঘ্রই নলের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছতে শুরু করবে। আজ যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করা হয়েছে, সেটা এই প্রকল্পেরই অংশ।

বন্ধুগণ, নগরায়ন হল আজকের সময়ের সত্যি। আজ গোটা বিশ্বে শহুরে এলাকার সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান। মূলত এই আন্তর্জাতিক পরিবর্তনকে এড়িয়ে যেতে পারে না। কিন্তু অনেক দশক ধরে আমাদের একটি মানসিকতা তৈরি হয়েছে। আমরা এটা ধরেই নিয়েছি, যে নগরায়ন নিজেই একটি সমস্যা, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করে। তাই কিন্তু আমি মনে করি এমনটাই ঠিক নয়, এরকম কখনই হয় না। বাবাসাহেব আম্মেদকর সেই সময়েই এই সত্যিটাকেই বুঝতে পেরেছিলেন। আর তিনি নগরায়নের বড় সমর্থক ছিলেন। তিনি নগরায়নকে সমস্যা বলে স্বীকার করেন নি। তিনি এমনই এমন সব শহরের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও সুযোগ পাবেন। তাদের জীবনকে উন্নত করার পথ তিনি খুলে দিয়েছেন। আজকের প্রয়োজন হল আমাদের শহরগুলিতে নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি, সমৃদ্ধি, সম্মান, নিরাপত্তা, সমাজের প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষমতায়ন এবং আধুনিক পরিষেবাগুলি থাকা। অর্থাৎ শহর এমন হওয়া উচিত যেখানে সবাই বিশেষ করে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের এগিয়ে যাওয়ার জন্যে নতুন এবং অসীম সম্ভাবনাগুলি সৃষ্টি হবে। শহর এমন হওয়া উচিত, যেখানে প্রত্যেক পরিবার সমৃদ্ধির সঙ্গে সুখে জীবন-যাপন করতে পারেন। শহর এমন হওয়া উচিত, যেখানে গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া এবং মহিলারা প্রত্যেকেই সম্মানের জীবন-যাপন করতে পারেন। যেখানে নিরাপত্তা থাকবে, আইনের শাসন থাকবে, যেখানে সমাজ, সমাজের প্রত্যেক অংশের মানুষ একসঙ্গে মিলে মিশে চলতে পারবেন। আর শহর এমন হওয়া উচিত, যেখানে সমস্ত আধুনিক পরিষেবা থাকবে, আধুনিক পরিকাঠামো থাকবে, এটাইতো ইজ অফ লিভিং। এটাই দেশের স্বপ্ন, এই লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে।

আর বন্ধুগণ, আজ আমরা দেশে একটি নতুন ধরণের নগরায়ন দেখতে পাচ্ছি। যে শহরগুলি আগে দেশের মানচিত্রে প্রায় ছিলই না, সেগুলি আজ তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে, আর সবাইকে অনুভব করাচ্ছে। আমাদের সেই শহরগুলির যুবসম্প্রদায় যারা বড় বড় বেসরকারী স্কুল-কলেজে পড়েন নি, যারা অনেক বড়লোক পরিবারে বড় হন নি, তারাও আজ অসাধারণ সব কাজ করছেন। সাফল্যের নতুন নতুন মাত্রা গড়ে তুলছেন। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত নগরায়নের মানে হত কয়েকটি বড় বড় শহরকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলো, কয়েকটি হাতেগোনা শহরে ২-১টি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করে দাও। কিন্তু এখন এই ভাবনা, এই পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। এখন বিহারের মানুষ ভারতের এই নতুন নগরায়নে নিজেদের সম্পূর্ণ অবদান রাখতে পারছেন।

বন্ধুগণ, আত্মনির্ভর বিহার এবং আত্মনির্ভর ভারতের মিশনকে গতি প্রদান করতে বিশেষ করে দেশের ছোট ছোট শহরগুলিকে শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎএ প্রয়োজন অনুসারে গড়ে তোলার অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। এই ভাবনা নিয়ে অমরুত মিশনের মাধ্যমে বিহারের অনেক শহরে জরুরী পরিষেবাগুলি উন্নয়নের পাশাপাশি, ইজ অফ লিভিং এবং ইজ অফ ডুইং বিসনেসের জন্য উন্নত পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অমরুত মিশনের মাধ্যমে এই শহরগুলিতে জল এবং প্রয়ঃপ্রণানীর পাশাপাশি, গ্রীণজোন, পার্ক, এলইডি স্ট্রিট লাইটের মতো ব্যবস্থাগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। এই মিশনের মাধ্যমে বিহারের নগর এলাকায় লক্ষ লক্ষ পরিবারকে উন্নত প্রয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও অধিকাংশ পরিষেবা এমন বস্তিগুলিতে বিকশিত করা হয়েছে, যেখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর পরিবারের মানুষ থাকেন। বিহারের শতাধিক পুরসভা এলাকায় সাড়ে ৪ লক্ষ এলইডি স্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে। এর ফলে আমাদের ছোট শহরগুলির রাজপথ ও গলিগুলিতে রাতে আলোর ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি, কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত ও সহজ হচ্ছে।

বন্ধুগণ, বিহারের জনগণ, বিহারের শহরগুলির সঙ্গে গঙ্গা নদীর অনেক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রাজ্যের ২০টি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর গঙ্গার তীরেই অবস্থিত। গঙ্গা নদীর পরিচ্ছন্নতা এবং গঙ্গা জলের স্বচ্ছতার প্রভাব সরাসরি এই শহরগুলিতে বসবাসকারী কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে। গঙ্গা নদীর পরিচ্ছন্নতা মাথায় রেখে বিহারে ৬০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে ৫০টির বেশি প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছে। সরকারের চেষ্টা করছে, যাতে গঙ্গার দুই তীরে সমস্ত শহরগুলি থেকে বড় বড় নালার মাধ্যমে নোংরা জল সরাসরি গঙ্গায় মেশাকে আটকানো যায়। সেজন্য অনেক জল পরিশোধন প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। আজ পাটনার বেউর এবং করম লীচককে যে প্রকল্পের উদ্বোধন হল, সেগুলির মাধ্যমে এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। এর পাশাপাশি, গঙ্গার দুই তীরে যত গ্রাম আছে, সেগুলিকে গঙ্গা গ্রাম রূপে বিকশিত করা হচ্ছে। এই গ্রামগুলিতে লক্ষ লক্ষ শৌচালয় নির্মাণের পর এখন আবর্জনা ব্যবস্থাপনা এবং জৈব চাষের মতো বেশ কিছু পরিবেশ বান্ধব বিষয়কে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে।

বন্ধুগণ, গঙ্গার দুই তীরের গ্রাম ও শহরগুলিতে আস্থা এবং আধ্যাত্মের সঙ্গে যুক্ত পর্যটনের প্রধান কেন্দ্রগুলি রয়েছে। গঙ্গা নদীতে নির্মল বাধাহীন করে তোলার অভিযান যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তেমনি এই অঞ্চলির পর্যটনেও আধুনিক মাত্রা যুক্ত করছে। নমামী গঙ্গে মিশনের মাধ্যমে বিহার সহ গোটা দেশে ১৮০টিরও বেশি ঘাটকে নির্মাণের কাজ চালু রয়েছে। এর মধ্যে ১৩০টি ঘাটের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। তাছাড়া ৪০টিরও বেশি মোক্ষধামগুলিরও কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। দেশের গঙ্গার দু পারে অনেক জায়গায় আধুনিক পরিষেবা যুক্ত রিভার ফ্রন্ট প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। আর মুজাফ্ফরপুরেও এমনই রিভার ফ্রন্ট নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। যখন মুজাফ্ফরপুরের আখাড়া ঘাট, সিঁড়ি ঘাট এবং চন্দুয়ারা ঘাটকে বিকশিত করা হবে, তখন এটিও একটি বড় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। বিহারে এত দ্রুত কাজ হচ্ছে, কাজ শুরু হওয়ার পর এত দ্রুত সম্পূর্ণ হচ্ছে, আজ থেকে দেড় দশক আগে এই পরিস্থিতি কল্পনা করা যেত না, কিন্তু নীতিশজীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় সরকারের চেষ্টায় এগুলি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আশাকরি এই প্রচেষ্টাগুলি আগামী ছটিমাইয়ার পুজোর সময় বিহারের জনগণকে বিশেষ করে বিহারের মহিলাদের সমস্যা অনেক সমাধান হবে, তাদের জীবন অনেক সহজ হবে। ছটিমাইয়ার আর্শীবাদে আমরা বিহারের নাগরিক এবং গ্রামীণ এলাকাগুলিকে নোংরা জল, রোগ ও সংক্রমণ বৃদ্ধিকারী জল থেকে মুক্তি দেওয়ার কাজ প্রাণপণে করে যাবো।

বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো শুনেছেন, সম্প্রতি সরকার একটি ‘প্রজেক্ট ডলফিন’ ঘোষণা করেছে। এই মিশনের মাধ্যমে গঙ্গার ডলফিনেরাও খুব লাভবান হবে। গঙ্গা নদীর সংরক্ষণের জন্য গাঙ্গেয় ডলফিনের সংরক্ষণও অত্যন্ত জরুরী। পাটনা থেকে শুরু করে ভাগলপুর পর্যন্ত গঙ্গায় অনেক ডলফিন রয়েছে। সেজন্য প্রজেক্ট ডলফিনের মাধ্যমে বিহারবাসী অত্যন্ত লাভবান হবেন। এখানে গঙ্গায় জৈব বৈচিত্রের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় থাকার পাশাপাশি পর্যটনও অনেক শক্তিশালী হবে।

বন্ধুগণ, করোনা সংক্রমণের চ্যালেঞ্জের মাঝে বিহারের উন্নয়ন, বিহারের সুশাসনের এই অভিযান নিরন্তর এগিয়ে যাবে। আমরা সম্পূর্ণ শক্তি, সম্পূর্ণ সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে যাবো। কিন্তু এর পাশাপাশি প্রত্যেক বিহারবাসী, প্রত্যেক দেশবাসী যেন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার সংকল্প না ভোলেন। মাস্ক, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, দুই গজের দূরত্ব এগুলি আমাদের সুরক্ষার সবচাইতে কার্যকরী হাতিয়ার। আমাদের বৈজ্ঞানিকরা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আবিস্কারের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, যতদিন ওষুধ আসবে না, ততদিন অবহেলা চলবে না। এই নিবেদনের পাশাপাশি আর একবার আপনাদের সবাইকে এই উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলির জন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
ধন্যবাদ !!!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।