আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন সহজে ব্যবহারযোগ্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে, যেটির ডিজিটাল স্বাস্থ্য ইকোসিস্টেমের মধ্যে অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পোর্টালগুলির সঙ্গে সমন্বয় থাকবে
জন ধন – আধার ও মোবাইল – এই ত্রিমুখী ব্যবস্থার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কোথাও এত বড় মাপের পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত পরিকাঠামো নেই
রেশন থেকে পুষ্টি সর্বত্রই ডিজিটাল পরিকাঠামো দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে
টেলিমেডিসিন ক্ষেত্রেও অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে
আয়ুষ্মান ভারত – পিএমজেএওয়াই দরিদ্র মানুষের জীবনে একটি বড় সমস্যার সমাধান করেছে। এখনও পর্যন্ত ২ কোটিরও বেশি দেশবাসী, যাঁদের অর্ধেক মহিলা এই কর্মসূচির সুবিধা নিয়েছেন
আয়ুষ্মান ভারত – ডিজিটাল মিশন সারা দেশে হাসপাতালগুলির সঙ্গে ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগসূত্র গড়ে তুলবে
সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বড় বিনিয়োগ
আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যখন সংহত ও শক্তিশালী হবে, তা পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশ ঘটাবে

নমস্কার!

আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার মন্ত্রিসভার সদস্য, আমার প্রিয় সাথী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যজি, আমার মন্ত্রিসভার অন্যান্য সকল সদস্যগণ, বরিষ্ঠ আধিকারিকগণ, সারা দেশ থেকে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

একবিংশ শতাব্দীতে এগিয়ে চলার পথে ভারতের জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ৭ বছর ধরে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে শক্তিশালী করার যে অভিযান জারি রয়েছে তা আজ থেকে একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে। আর এটি সাধারণ কোনও পর্যায় নয়, একটি অসাধারণ পর্যায়। আজ এমন একটি অভিযান শুরু হচ্ছে যার মধ্যে ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার অন্তর্নিহিত শক্তি রয়েছে।

বন্ধুগণ,

তিন বছর আগে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে পণ্ডিতজির স্মৃতির প্রতি সমর্পিত আয়ুষ্মান ভারত যোজনা গোটা দেশে কার্যকর হয়েছিল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ থেকে আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনও গোটা দেশে কার্যকর করা হচ্ছে। এই অভিযান দেশের গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর চিকিৎসায় যত প্রতিকূলতা আসছে সেগুলি দূর করার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের গোটা দেশের হাজার হাজার হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করার যে কাজ আয়ুষ্মান ভারত করেছে, সেটিও আজ এই মজবুত প্রযুক্তির মঞ্চের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারতে যেভাবে প্রযুক্তিকে সুশাসনের জন্য, শাসন সংস্কারের জন্য একটি ভিত্তি করে তোলা হচ্ছে, তা নিজেই যেভাবে সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়িত করছে তা অভূতপূর্ব। ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান ভারতে সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করে দেশের শক্তি অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আর আমরা খুব ভালোভাবে জানি, আমাদের দেশ গর্বের সঙ্গে বলতে পারে, ১৩০ কোটি আধার নম্বর, ১১৮ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহক, প্রায় ৮০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, প্রায় ৪৩ কোটি জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট – এত বড় যোগাযোগ পরিকাঠামো বিশ্বের আর কোনও দেশে নেই। এই ডিজিটাল পরিকাঠামো ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে শুরু করে প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরকে দ্রুত এবং স্বচ্ছভাবে সাধারণ দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ইউপিআই-এর মাধ্যমে যে কোনও সময়ে, যে কোনও স্থান থেকে ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে আজ ভারতবাসী বিশ্বে নিজেদের পরিচয় তৈরি করছে। এখন দেশে যে ‘ই-রুপি ভাউচার’ চালু হয়েছে, সেটাও একটা অসাধারণ উদ্যোগ।

বন্ধুগণ,

ভারতের ডিজিটাল সমাধানগুলি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও প্রত্যেক ভারতবাসীকে অনেক সাহায্য করেছে, একটি নতুন শক্তি দিয়েছে। এখন যেমন আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে একটি সচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা, চারপাশের আবহকে বুঝতে পারার ক্ষমতা ঋদ্ধ করেছে, তেমনই ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযানের মাধ্যমে ভারত আজ প্রায় ৯০ কোটি টিকার ডোজ দিতে পেরেছে। টিকা গ্রহণকারীদের প্রত্যেকের রেকর্ড রয়েছে, শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে;  এক্ষেত্রে ‘কো-উইন’-এর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। নথিভুক্তিকরণ থেকে শুরু করে শংসাপত্র প্রদান পর্যন্ত এই সবক’টি পর্যায়কে একসঙ্গে সমাধানের এত বড় ডিজিটাল মঞ্চ বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের কাছে নেই।

বন্ধুগণ,

করোনাকালে টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থাও অভূতপূর্ব সম্প্রসারিত হয়েছে। ই-সঞ্জীবনীর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ রিমোট কনসালটেশন সম্পন্ন হয়েছে। এই পরিষেবা প্রতিদিন দেশের দূরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার দেশবাসীকে বাড়িতে বসেই বিভিন্ন শহরের বড় হাসপাতালের বড় বড় চিকিৎসকদের সঙ্গে যুক্ত করছে। নামী-দামি চিকিৎসকদের পরিষেবা সুলভ হয়েছে। আমি আজ এই উপলক্ষে দেশের সমস্ত চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। টিকাকরণ থেকে শুরু করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা, তাঁদের বিভিন্ন উদ্যোগ, করোনার প্রতিরোধে দেশকে অনেক বড় স্বস্তি এনে দিয়েছে, অনেক সহায়ক হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আয়ুষ্মান ভারত-পিএমজেএওয়াই গরীবদের জীবন থেকে অনেক বড় চিন্তা দূর করেছে। ইতিমধ্যেই ২ কোটিরও বেশি সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক রোগী হলেন আমার মা, বোন ও মেয়েরা। এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা, আমরা সবাই জানি আমাদের পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থা কেমন। সুলভে চিকিৎসার অভাবে সবচাইতে বেশি কষ্ট পেতেন আমাদের মা-বোনেরা। বাড়ির চিন্তা, সংসার চালানোর খরচ নিয়ে ভাবনা, বাড়ির অন্যদের মুখে দু’বেলা অন্ন তুলে দেওয়ার ভাবনা সামলে নিজেদের চিকিৎসার বিষয়টিকেই তাঁরা অবহেলা করতেন। ভাবতেন যে এমনি ঠিক হয়ে যাবে। এমনি কোনও ডাক্তারের থেকে কয়েক পুরিয়া ব্যথার ওষুধ এনে খেয়ে নিতেন। মায়েদের মন এমনই। তাঁরা নিজেরা দুঃখ সহ্য করে নেন, কিন্তু পরিবারের ওপরে আর্থিক বোঝা আসতে দিতে চান না।

বন্ধুগণ,

যাঁরা আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন কিংবা যাঁদের এখন চিকিৎসা চলছে, তাঁদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ এমন বন্ধু রয়েছেন যাঁরা এই প্রকল্প চালু হওয়ার আগে হাসপাতালে যাওয়ার হিম্মতই করতেন না। তাঁরা ব্যথা-যন্ত্রণা সহ্য করে নিতেন। জীবনের গাড়ি কোনমতে টেনে নিয়ে যেতেন। কিন্তু অর্থের অভাবে হাসপাতাল যেতে পারতেন না। তাঁদের এই কষ্টের কথা ভেবে আমার মনে অনেকবার ঝড় উঠেছে। আমি এরকম অনেক পরিবারকে দেখেছি এই করোনাকালে এবং তার আগে, যখন তারা আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে পরিষেবা নিচ্ছে। কয়েকজন বয়স্ক মানুষ বলেছেন যে তাঁদের সন্তানরা ঋণভারে জর্জরিত হবে একথা ভেবে নিজেদের চিকিৎসা করাতেন না। সমস্ত ব্যথা-যন্ত্রণা সহ্য করে নিতেন। তাঁরা ভাবতেন, ঈশ্বর যেদিন ডাকবেন সেদিন তো যেতেই হবে, হয়তো আগেই যেতে হবে! কিন্তু সন্তানদের ওপর ঋণের বোঝা চাপাতে চাইতেন না! এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই আমার থেকে বেশি করে নিজেদের পরিবার এবং চারপাশে এরকম অনেককে হয়তো দেখেছেন। আমার থেকে অনেক বেশি করে তাঁরা এই দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেছেন।

বন্ধুগণ,

এখন তো করোনাকাল কিন্তু তার আগে যখন আমি সরকারি কাজে বিভিন্ন রাজ্যে যেতাম, তখন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করতাম। তাঁদের দেখা পেলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতাম। তাঁদের দুঃখ-কষ্ট, তাঁদের অভিজ্ঞতা, তাঁদের পরামর্শ আমি সরাসরি তাঁদের থেকেই নিতাম। সংবাদমাধ্যম বা সরকারিভাবে আমার এসব কাজ নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু আমি এটাকে দৈনন্দিন কাজের অংশ করে নিয়েছিলাম। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের হাজার হাজার সুবিধাভোগীর সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি আর কিভাবে বলতে পারি সেই বৃদ্ধা মা-কে যিনি বছরের পর বছর যন্ত্রণা সহ্য করার পর স্টোন অপারেশন করিয়েছেন। সেই নব-যুবককে কী করে ভুলব যে বৃক্কের রোগে কষ্ট পাচ্ছিল, কিংবা কেউ পায়ের সমস্যায় ভুগছিল, আবার কেউ মেরুদণ্ডের হাড়ের সমস্যায় ভুগছিলেন, তাঁদের চেহারা আমি কখনও ভুলতে পারি না! আজ ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এরকম সমস্ত মানুষের জন্য একটা অনেক বড় সম্বল হয়ে উঠেছে। কিছুক্ষণ আগে যে ফিল্ম এখানে দেখানো হয়েছে, যে কফি টেবিল বইটি এখানে উদ্বোধন করা হয়েছে, সেগুলিতে বিশেষ করে সেই মা-বোনেদের কথা বিস্তারিত লেখা হয়েছে। বিগত তিন বছরে যে হাজার হাজার কোটি টাকার চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করেছে, তা লক্ষ লক্ষ পরিবারকে দারিদ্র্যের কঠিন পাঁকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে। কেউ গরীব থাকতে চায় না। কেউ গরীব থাকতে চায় না, কঠিন পরিশ্রম করে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে, সুযোগ খোঁজে। কখনও মনে হয়, ব্যস, কিছুদিন পরেই আমরা দারিদ্রসীমা থেকে ওপরে উঠে যাব আর সেরকম সময়েই হঠাৎ করে পরিবারের কেউ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, আর সমস্ত পরিশ্রম বিফলে যায়। তারপর সেই পরিবার ৫-১০ বছরের মধ্যেই আবার দারিদ্র্যের পাঁকে ডুবে যেতে থাকে। রোগ, গোটা পরিবারকে দারিদ্র্যের পাঁক থেকে বেরিয়ে আসতে দেয় না আর সেজন্য আয়ুষ্মান ভারত সহ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যতরকম সমাধান সরকার সামনে নিয়ে আসছে, সেগুলি দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য অনেক বড় বিনিয়োগ।

ভাই ও বোনেরা,

আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার প্রক্রিয়াকে সরল করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ইজ অফ লিভিং-কেও বাড়িয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি হাসপাতাল বা একটি হাসপাতাল গ্রুপের মধ্যে সীমিত থাকে। নতুন হাসপাতাল বা নতুন শহরে যখন রোগী যান, তখন তাঁকে নতুন করে সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ডিজিটাল হেলথ রেকর্ডের অভাবে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা তাঁর সমস্ত ফাইল সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তো এটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এর ফলে রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ের অনেকটা সময় নষ্ট হয়। সমস্যাও বৃদ্ধি পায় আর চিকিৎসার খরচও অনেক বেশি বেড়ে যায়। আমরা প্রায়ই দেখি, অনেক মানুষের কাছে হাসপাতালে যাওয়ার সময় তাঁর কোনও মেডিকেল রেকর্ডই থাকে না। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী যত চিকিৎসকের পরামর্শ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ভুলে আবার নতুনভাবে শুরু করতে হয়। মেডিকেল হিস্ট্রির রেকর্ড না থাকায় সময়ও বেশি লাগে, আর খরচও বাড়ে। আর কখনও তো চিকিৎসাও পরস্পর-বিরোধী হয়ে পড়ে আর আমাদের গ্রামেগঞ্জে থাকা ভাই-বোনেরা এর ফলে অনেক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের ব্যাপারে তো আর খবরের কাগজে কোনও বিজ্ঞাপন থাকে না। পরস্পরের মুখ থেকে তাঁদের সম্পর্কে খবর পাওয়া যায় যে অমুক চিকিৎসক ভালো, আমি তাঁর কাছে গিয়েছিলাম এবং সুস্থ হয়ে ফিরেছি। সেজন্য চিকিৎসকদের সম্পর্কে তথ্য প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে, দেশের কোন রাজ্যের, কোন শহরে, কোন হাসপাতালে কোন বিষয়ের বড় বড় বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, নির্দিষ্ট রোগীর কাছাকাছি কারা থাকেন, যেখানে তিনি দ্রুত পৌঁছতে পারবেন – এই সমস্ত তথ্য যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে কত সুবিধা হবে! এখন আমি আপনাদেরকে বলছি যে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তিদানের ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন বড় ভূমিকা পালন করবে।

বন্ধুগণ,

আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন এখন গোটা দেশের হাসপাতালগুলির ডিজিটাল স্বাস্থ্য সমাধানকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করুক। এর মাধ্যমে প্রত্যেক দেশবাসীকে এখন একটি ডিজিটাল হেলথ আইডি প্রদান করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে। ডিজিটাল হেলথ আইডি-র মাধ্যমে রোগী নিজে এবং যে কোনও চিকিৎসক তাঁর পুরনো তথ্য দেখতে পারবেন বা জানতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এতে সমস্ত চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মী বন্ধুদের নাম নথিভুক্ত থাকবে। দেশে যত হাসপাতাল, ক্লিনিক, গবেষণাগার, ওষুধের দোকান রয়েছে সব সেখানে নথিভুক্ত থাকবে। অর্থাৎ, এই ডিজিটাল মিশন স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটা মঞ্চে নিয়ে আসবে।

বন্ধুগণ,

এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তরাই সব থেকে বেশি লাভবান হবেন। প্রথমত, রোগীরা দেশের যে কোনও স্থান থেকে এমন চিকিৎসক সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন যিনি তাঁর ভাষা জানেন, বোঝেন এবং তাঁর রোগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এর ফলে রোগীরা দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। শুধু চিকিৎসক নয়, উন্নত পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য গবেষণাগার ও ওষুধের দোকান সম্পর্কেও সহজেই জানতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

এই অত্যাধুনিক মঞ্চের মাধ্যমে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত গোটা ইকো-সিস্টেম আরও বেশি কার্যকর হতে চলেছে। চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলি রিমোট কন্ট্রোলে এই মঞ্চের মাধ্যমে তাদের পরিষেবা প্রদান করতে পারবে। কার্যকর এবং বিশ্বস্ত তথ্যের জোগান চিকিৎসাকে আরও সহজ করবে, আর রোগীদের সাশ্রয়ও হবে।

ভাই ও বোনেরা,

দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সহজ ও সুলভ করে তোলার যে অভিযান আজ গোটা দেশে শুরু হয়েছে এটা বিগত ৬-৭ বছরের নিরন্তর প্রক্রিয়ার একটা অংশ। বিগত বছরগুলিতে ভারত আরোগ্য সংক্রান্ত অনেক দশকের ভাবনা ও দৃষ্টিকোণ বদলেছে। এখন ভারতে একটি এমন হেলথ মডেল নিয়ে কাজ হচ্ছে যা সর্বাত্মক ও সমন্বয়ধর্মী। একটি এমন মডেল যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ, প্রিভেন্টিভ হেলথ কেয়ার আর রোগাক্রান্ত হলে সুলভ চিকিৎসার ব্যবস্থা সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছে। যোগ এবং আয়ুর্বেদের মতো আমাদের পারম্পরিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে আয়ুষ-এ অন্তর্ভুক্ত করে এ ধরনের সমস্ত উদ্যোগ গরীব ও মধ্যবিত্তকে রোগের চোরাবালি থেকে উদ্ধার করার কাজ শুরু করেছে। দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ দেশে এইমস-এর মতো অনেক বড় এবং অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবার নেটওয়ার্কও তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেক তিনটি লোকসভা ক্ষেত্রে একটি করে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ,

ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করার জন্য গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির কাছাকাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার নেটওয়ার্ককে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলির মাধ্যমে মজবুত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এরকম প্রায় ৮০ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি রুটিন চেক-আপ এবং টিকাকরণ থেকে শুরু করে কঠিন রোগের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক পরীক্ষানিরীক্ষা সব পরিষেবাই দিচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিরও কাজ চলছে।

বন্ধুগণ,

করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়েও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের গতি জারি রয়েছে। দেশের জেলা হাসপাতালগুলিতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লকের পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য জেলা ও ব্লক হাসপাতালগুলিতে বিশেষ পরিষেবা গড়ে উঠছে। পাশাপাশি, প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য চিকিৎসা-শিক্ষার ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব সংস্কার আনা হয়েছে। গত ৭-৮ বছরে প্রতি বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষিত হচ্ছেন। শুধু মানবসম্পদই নয়, চিকিৎসা সংক্রান্ত আধুনিক প্রযুক্তি, বায়োটেকনলজি সংক্রান্ত গবেষণা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামে আত্মনির্ভরতা নিয়েও দেশে মিশন মোডে কাজ চলছে। করোনা টিকা তৈরি ও উৎপাদনে ভারত যেভাবে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে তা আমাদের গর্বিত করেছে। স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং ওষুধের কাঁচামালের জন্য পিএলআই স্কিম থেকেও এক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান অনেক শক্তি পেয়েছে।

বন্ধুগণ,

উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের ওষুধের খরচ কমানোরও প্রয়োজন ছিল। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, সার্জারির সরঞ্জাম, ডায়ালিসিসের মতো অনেক পরিষেবার খরচ কমিয়ে দিয়েছে। ভারতে নির্মিত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জেনেরিক ওষুধ চিকিৎসায় বেশি করে ব্যবহারে উৎসাহ জোগানো হয়েছে। ৮ হাজারেরও বেশি জন-ঔষধি কেন্দ্র থেকে গরীব ও মধ্যবিত্তরা অনেক সুলভে ওষুধ কিনতে পারছেন। বিগত দিনে আমার এরকম অনেকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে যাঁদের অনেকেরই রোজ কিছু ওষুধ খেতে হয় বয়স এবং কঠিন রোগের কারণে। সেজন্য তাঁদের খরচের কোনও ঊর্ধ্বসীমা ছিল না। এই জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি চালু হওয়ার ফলে তাঁদের মাসে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

কাকতালীয়ভাবে আজ এই অনুষ্ঠানটি বিশ্ব পর্যটন দিবসে আয়োজিত হচ্ছে। অনেকে ভাবতে পারেন যে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে পর্যটনের কী সম্পর্ক ? কিন্তু আমরা মনে করি, স্বাস্থ্যের সঙ্গে পর্যটনের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে কারণ, আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যখন শক্তিশালী হয় তখন তার প্রভাব পর্যটনের ওপরও পড়ে। কোনও পর্যটকই সহজে এমন জায়গায় যেতে চান না, যেখানে আপৎকালীন চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত নেই। করোনার পর এখন এই প্রয়োজন আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। যেখানে টিকাকরণ যত বেশি হবে, পর্যটকরা সেখানে যাওয়া ততটাই নিরাপদ বলে ভাববেন। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং গোয়ার মতো আমাদের পর্যটন গন্তব্যবহুল রাজ্যগুলিতে অনেক দ্রুতগতিতে টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। আন্দামান-নিকোবরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও অনেক দ্রুতগতিতে টিকাকরণ হয়েছে, যাতে পর্যটকদের মনে একটি বিশ্বাস, ভরসা গড়ে তোলা যায়। আগামী বছরগুলিতে এই সমস্ত দিকগুলি আরও শক্তিশালী হবে। যে স্থানগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যত উন্নত হবে, সেখানে পর্যটনের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ, হাসপাতাল এবং হসপিটালিটি পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে এগিয়ে যাবে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারতের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি বিশ্ববাসীর ভরসা ক্রমাগত বাড়ছে। আমাদের দেশের চিকিৎসক ও সেবিকারা বিশ্ববাসীর কাছে অনেক সম্মান অর্জন করেছেন। তাঁরা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। বিশ্বের অনেক বড় বড় মানুষকে আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরা বলবেন যে আমার চিকিৎসক একজন ভারতীয়। ভারতের পরিকাঠামো যদি সেই সুনামকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে পারে, তাহলে ভারত ভ্রমণে আসা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে বাধ্য। ভারতে চিকিৎসা করতে আসা অনেক বিদেশি আমাদের পরিকাঠামো উন্নয়নের মর্যাদাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের অনেকের মুখে আমি অনেক আবেগপূর্ণ কথা শুনেছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে অনেক ছোট ছোট শিশুরা আমাদের দেশে কঠিন রোগের চিকিৎসা করিয়ে যখন সুস্থ হয়ে বাড়ি যায়, তখন তাদের পরিবারের সমস্ত সদস্যের মনে যে আনন্দ হয় তার কোনও পরিমাপ করা যাবে না।

বন্ধুগণ,

আমাদের টিকাকরণ কর্মসূচি, ‘কো উইন’ প্রযুক্তি মঞ্চ এবং ঔষধি ক্ষেত্র স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারতের মর্যাদা আরও বাড়িয়েছে। যখন আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল অভিযানের মাধ্যমে প্রযুক্তির নতুন ব্যবস্থা বিকশিত হবে, তখন বিশ্বের যে কোনও দেশের রোগীরা ভারতের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন, চিকিৎসা করাতে আসবেন, তাঁদের রিপোর্ট পাঠিয়ে পরামর্শ নেওয়া সহজতর হবে। নিশ্চিতভাবেই এর প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্য পর্যটনের ওপর পড়বে।

বন্ধুগণ,

সুস্থ ভারতের পথ স্বাধীনতার অমৃতকালে ভারতের বড় সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে, বড় স্বপ্নগুলিকে কার্যকর করতে অনেক প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। এর জন্য আমাদের সবাইকে মিলেমিশে নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে সকল ব্যক্তি – সমস্ত চিকিৎসক, চিকিৎসা-কর্মী, চিকিৎসা-প্রতিষ্ঠান এই নতুন ব্যবস্থাকে দ্রুতগতিতে আপন করে নেবে। আরেকবার আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল অভিযানের জন্য আমি দেশের সমস্ত নাগরিককে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।